• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শিগগিরই বাংলাদেশের সঙ্গে পাকিস্তানের সরাসরি ফ্লাইট চালু 
পাকিস্তান থেকে আসছে ২৫ হাজার টন চিনি 
পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ। আগামী মাসেই এই চিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে। এর মধ্য দিয়ে কয়েক দশক পর পাকিস্তানের কাছ থেকে এত বিপুল পরিমাণে চিনি দেশে আসছে। এতদিন মূলত ভারতের কাছ থেকেই পণ্যটি কিনত বাংলাদেশ।   মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের কাছ থেকে ২৫ হাজার টন চিনি কিনেছে বাংলাদেশ, যা আগামী মাসে করাচি বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এর আগে ভারত থেকে চিনি আমদানি করে আসছিল বাংলাদেশ। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের অনুমোদনের পর এই বছর কম-বেশি ৬ লাখ টন চিনি রপ্তানির চুক্তি করেছে পাকিস্তানের চিনিশিল্প। এর মধ্যে ৭০ হাজার টন চিনি পাকিস্তান থেকে পাঠানো হবে মধ্য এশিয়ার দেশগুলোতে। থাইল্যান্ড পাকিস্তানের চিনি শিল্প থেকে ৫০ হাজার টন চিনি কিনেছে। পাকিস্তানের চিনি ব্যবসায়ীদের কর্মকর্তা মজিদ মালিকের মতে, উপসাগরীয় রাষ্ট্র, আরব দেশ এবং আফ্রিকান দেশগুলোও পাকিস্তান থেকে চিনি কেনার চুক্তি করেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, চিনি রপ্তানি থেকে পাকিস্তান ৪০০-৫০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করবে। মূলত, চিনি শিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এই দেশটির জন্য একটি প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা উপার্জনকারী শিল্প হয়ে উঠেছে। গত সোমবার (২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক বাজারে চিনির দাম প্রতি টনে ৫৩০ মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। একইদিন থেকে পাকিস্তানের ৮০ টিরও বেশি চিনিকল উৎপাদন শুরু করেছে। আরটিভি/এসএইচএম-টি
ইমরান ও বুশরা বিবিসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪
ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন ৮ মামলা
পাকিস্তানে ইমরানপন্থিদের বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ১০০০ 
ইসলামাবাদে ‘রেড জোনে’র সামনে ইমরান-সমর্থকেরা
ইসলামাবাদে সেনা নামানো হয়েছে। তাতেও ইমরান-সমর্থকদের দমানো যায়নি বলে মত দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের মুক্তির দাবিতে বিরাট মিছিল নিয়ে মধ্য ইসলামাবাদে পৌঁছে গেছেন তার সমর্থকেরা। পুলিশ এবং সেনার সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হলেও তাদের ছত্রভঙ্গ করা যায়নি। মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে আন্দোলনকারীদের উপর চড়াও হয় সেনা। শতাধিক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। আন্দোলনকারীদের দাবি, তাদের নেতা ইমরান খানকে জেল থেকে মুক্তি দিতে হবে। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও জানিয়েছে, মাঝরাতে মধ্য ইসলামাবাদের সমস্ত আলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। এরপর কাঁদুনে গ্যাস ছুঁড়তে ছুঁড়তে ইমরান-সমর্থকদের সরানোর চেষ্টা করা হয়। এসময় বহু আন্দোলনকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদিন দুপুরে ইসলামাবাদের রেড জোনে সমস্ত নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে ফেলেন আন্দোলনকারীরা। এখানেই আছে যাবতীয় সরকারি অফিস। আন্দোলনকারীদের নেতৃত্ব দেন ইমরানের স্ত্রী। তার কনভয় সমস্ত নিরাপত্তার বেষ্টনী ভেঙে রেড জোনে ঢোকে। তার সঙ্গেই হাজার হাজার ইমরান-সমর্থক সেখানে ঢুকে পড়ে অবস্থান করতে শুরু করেন। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নাকভি জানিয়েছেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার কোনো প্রশ্নই নেই। পাশাপাশি যাবতীয় গণ্ডগোলের জন্য ইমরানের স্ত্রীকে দায়ী করেছেন তিনি। বস্তুত, আন্দোলনকারীদের হাতে প্রচুর সরকারি সম্পত্তি নষ্ট হয়েছে। নিরাপত্তারক্ষীদের সঙ্গে সংঘর্ষে আন্দোলনকারীদের মৃত্যুও হয়েছে। এই সবকিছুর দায় ইমরানের স্ত্রীকে নিতে হবে বলে নাকভি জানিয়েছেন। হাজার হাজার ইমরান-সমর্থক এখনো ইসলামাবাদে অবস্থান করছেন। ইমরান খান জেল থেকে বার্তা দিয়ে জানিয়েছেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ইমরানের মুক্তির পাশাপাশি আন্দোলনকারীদের দাবি, বর্তমান সরকারকে বরখাস্ত করতে হবে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এখনো পর্যন্ত ছয়জন আন্দোলনকারী এবং চারজন নিরাপত্তারক্ষীর মৃত্যু হয়েছে সংঘর্ষে। বিপুল পরিমাণ পুলিশ, সেনা এবং প্যারা মিলিটারি মোতায়েন করা হয়েছে রাজধানীতে। শনিবার থেকে সেখানে অনির্দিষ্টকালের জন্য লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। আরটিভি/এএইচ
বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানে নিহত আরও ৫, সেনা মোতায়েন
পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ইমরান খানের ডাকা বিক্ষোভে যোগ দিতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী রাস্তায় নেমেছে। তবে বিক্ষোভ ঠেকাতে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে পাকিস্তান সরকার ও প্রশাসন। এ নিয়ে বিক্ষোভকারী ও নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে।  কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, ইসলামাবাদের বেশির ভাগ প্রধান সড়ক শিপিং কনটেইনার দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিক্ষোভ ঠেকাতে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পিটিআইয়ের পাঁচ পার্লামেন্ট সদস্যসহ প্রায় চার হাজার জনকে। বিভিন্ন হামলা ও সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত চার রেঞ্জার্স সদস্য এবং এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন, এবং একশোরও বেশি পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশির ভাগেরই অবস্থা গুরুতর।  ইমরান খানের স্ত্রী বুশরা বিবির নেতৃত্বে রোববার (২৪ নভেম্বর) থেকে শুরু হয়েছে ইমরান সমর্থকদের আন্দোলন। গোটা দেশ থেকে ইসলামাবাদের উদ্দেশে রওনা দেন দলীয় সমর্থকরা।  ইসলামাবাদের উপকণ্ঠে জড়ো হন হাজারো বিক্ষোভকারী। বিক্ষোভ ঠেকাতে একদিন আগে থেকেই ইসলামাবাদের সব প্রবেশপথ বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই মাসের জন্য ইসলামাবাদে জারি করা হয়েছে ১৪৪ ধারা।  নিরাপত্তা বাহিনী বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে স্টান গ্রেনেড এবং টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করছে। কিন্তু বিশাল এই বিক্ষোভকারীদের দমিয়ে রাখা কার্যত কঠিন হয়ে পড়েছে। সংঘর্ষ এবং ব্লকেডের মধ্যেও পিটিআই সমর্থকেরা ইসলামাবাদে প্রবেশ করার চেষ্টা করছেন।  নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, শ্রীনগর মহাসড়কে কিছু দুষ্কৃতকারী নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের ওপর গাড়ি চালিয়ে দিয়ে হামলা চালিয়েছে, যার ফলে চারজন রেঞ্জার্স সদস্য নিহত এবং আরও পাঁচ রেঞ্জার্স সদস্য ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন শতাধিক পুলিশ কর্মকর্তা, তাদের বেশির ভাগের অবস্থাই আশঙ্কাজনক।  পাকিস্তানের সংবিধানের ২৪৫ ধারায় নাগরিক প্রশাসনের সহায়তায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সেনাবাহিনী মোতায়েনের ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। সূত্র মোতাবেক জানা গেছে, সেনাবাহিনীকে পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে ‘শুট অ্যাট সাইট’-এর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।  পিটিআই নেতাদের সঙ্গে সরকারের আলোচনা চললেও, পিটিআই জানিয়েছে যে তারা ইসলামাবাদে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাবে যতক্ষণ না তাদের নেতা ইমরান খান মুক্তি পান। আলোচনা চলার মধ্যে, ফেডারেল সরকার পিটিআইকে প্যারেড গ্রাউন্ড অথবা পেশাওয়ার মোড়ে বসার অনুমতি দিয়েছে, তবে নেতারা স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন যে তারা ইসলামাবাদে যাওয়ার সিদ্ধান্ত বদলাবেন না। ইসলামাবাদের রেড জোনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নকভি বলেন, বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি চালানো সরকারের জন্য খুব সহজ, কিন্তু আমরা ধৈর্য ধরব। এক সংক্ষিপ্ত মধ্যরাতের সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, গতকাল যেমন বলেছি, আজও বলছি: ক্ষয়ক্ষতির জন্য দায়ী তারাই, যারা এই কর্মসূচি ডেকেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ইমরান খানের দল যেন সরকারকে চরম পদক্ষেপ নিতে বাধ্য না করে। তারা যেন এমন সীমা অতিক্রম না করে, যা আমাদের চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য করে। প্রয়োজনে আমরা ২৪৫ ধারা প্রয়োগ করব, শহরে কারফিউ জারি করব, অথবা অন্য কোনো কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করব।
পাকিস্তানে ইমরানের হাজার হাজার সমর্থক গ্রেপ্তার
ইমরান খানের সমর্থকদের রুখতে ইসলামাবাদে ঢোকার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদে ইমরান খানের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ঠেকাতে রোববার (২৪ নভেম্বর) ইসলামাবাদে নিরাপত্তা লক-ডাউন জারি করা হয়। ইমরানের সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছেন শেহবাজ শরীফরা। তাই তাদের ইস্তফা দিতে হবে। ইমরানসহ পিটিআই দলের যে নেতারা বন্দি আছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইমরানের কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে দলের পাঁচজন সংসদ সদস্যও আছেন। নিরাপত্তা জনিত কারণে ইসলামাবাদের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লাহোরেও পুলিশ পিটিআইয়ের প্রচুর কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।  পুলিশ জানিয়েছে, যে কোনো ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও ইমরানের ঘনিষ্ঠ নেতা আলি আমিন গান্দাপুর ভিডিও বার্তায় বলেছেন, মানুষ যেন শহরের ডি চকে জমায়েত হন। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবিপূরণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওখানে অবস্থান করার জন্য ইমরান খান নির্দেশ দিয়েছেন।  অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ গত অক্টোবরেও পুলিশ ইসলামাবাদে এভাবেই ইমরানের সমর্থকদের বিক্ষোভ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তখন বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। একজন পুলিশ মারা যান। প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই পক্ষ একে অপরের প্রতি সহিংসতার অভিযোগ আনে। পুলিশের অভিযোগ, গণ্ডগোল করার জন্যই এই বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। ইমরানের দলের নেতাদের দাবি, অন্যায়ভাবে তাদের নেতাকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গিয়ে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল ইমরান খানকে। ২০২৩ থেকে থেকে তিনি জেলে বন্দি। তার তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫০টির মতো মামলা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার সমর্থকদের দাবি, ইমরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ইমরানকে জামিন দেয়া হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় তিনি মুক্তি পাননি। ইমরান অবশ্য তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আরটিভি/এএইচ
পাকিস্তানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩২
পাকিস্তানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের কুররাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানে শিয়া সংখ্যালঘু ও সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ইতিহাস রয়েছে৷ আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত কুররামে প্রায়ই শিয়া-সুন্নি সহিংসতা ঘটে৷ জমি নিয়ে বিরোধে জুলাই মাসের পর থেকে একাধিক সংঘর্ষে অনেক প্রাণহানি হয়েছে৷ শুক্রবার একদল সশস্ত্র ব্যক্তি বাগান এবং বাচা কোট শহরে দোকান, বাড়ি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার পর নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আলিজাই ও বাগান গোত্র কুররাম এলাকায় গোলাগুলি করছিল৷ তিনি বলেন, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় কুররামে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুই পক্ষই ভারী ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি মহাসড়কে শিয়া মুসলিমদের বহনকারী যানবাহন লক্ষ্য করে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এই হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হন। বাসে এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।  আরটিভি/এএইচ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।  এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ১০০ বাংলাদেশিকে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সূত্র সামা নিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন। স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে। এদিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আগেও শিক্ষা বিষয়ক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল। তবে এটি অনেকদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে আবারও এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। আরটিভি/একে
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নারী-শিশুসহ নিহত ৪২
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুক হামলায় তিন নারী-শিশুসহ অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুর্রাম জেলার ওচত এলাকায় যাত্রীবাহী যানবাহনে হামলাকারীরা গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।  লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বলেন, হামলাটি একটি বড় ট্র্যাজেডি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেকে আশঙ্কাজনক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পারাচিনার থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে গাড়িবহরে এই হামলা হয়। নিহত ছাড়াও একাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সৈয়দা বানু নামে এক যাত্রী বিবিসিকে জানান, হঠাৎ গুলি শুরু হলে তিনি বুদ্ধি করে তার সন্তানদের নিয়ে গাড়ির আসনের নিচে লুকিয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক এ সিদ্ধান্ত তাদের প্রাণে বাঁচায়। গুলির শব্দ থেমে যাওয়ার পর তিনি বের হয়ে হতভম্ব হয়ে যান এবং দেখেন রাস্তায় ও গাড়ির ভেতর আহত ও নিহত মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রদেশটির আইনমন্ত্রী আফতাব আলম জিওনিউজকে বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা পাহাড় থেকে গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমি কুর্রাম পরিদর্শন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে জেলার দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দুটি গ্রুপ একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করছে। তারা উভয়ই সন্ত্রাসী দল। আমরা তদন্ত করছি। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান তিনি। এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দারপুর। তিনি মুখ্য সচিব, প্রদেশের আইনমন্ত্রী এবং স্থানীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এবং প্রদেশের সব মহাসড়কের নিরাপত্তা জোরদারে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া হামলায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে।  যাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে, তারা সাধারণ শান্তিপ্রিয় জনতা বলে জানিয়ে শেহবাজ শরীফ বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা মানবতার শত্রু। অশান্তি সৃষ্টিকারী এই আক্রমণকারীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’টি পৃথক হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য নিহত হন। এর মধ্যে তিরা উপত্যকার বাগ-মায়দান মারকাজের কাছে একটি সামরিক ক্যাম্পে গত রোববার রাতে বন্দুকধারীরা হামলা চালানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যা দুই দিন ধরে চলে। দুই দিনের বন্দুকযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে তিরার দোকানপাটগুলো খুলে। ওইদিনই প্রদেশটির বান্নু জেলার জানিখেল এলাকার মালি খেল চেকপয়েন্টের কাছে এক আত্মঘাতী হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হন। আরটিভি/কেএইচ
ইমরানের ‘চূড়ান্ত ডাক’, দুই মাস ১৪৪ ধারা জারি ইসলামাবাদে
পাকিস্তান জুড়ে আগামী ২৪ নভেম্বর সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এটিকে ‘চূড়ান্ত ডাক’  ঘোষণা করে  নিজ দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজধানী ইসলামাবাদে আগামী দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে পাকিস্তান সরকার। সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। আগামী ২৪ নভেম্বর পুরো পাকিস্তানজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন দেশটির পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এদিন জনগণের ম্যান্ডেট রক্ষার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইমরান এই আন্দোলনকে ‘শেষ ডাক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে ইমরান খান ২৪ নভেম্বর ‘শেষ ডাক’ দেওয়ার মধ্যেই পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।  ১৪৪ ধারা একটি আইনি ধারা। এই ধারা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন একসঙ্গে চারজনের বেশি মানুষকে জড়ো হতে দেয় না। ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় আগামী ২৪ নভেম্বর ইমরান খানের ‘শেষ ডাক’ কতটা সফল হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়। কারাবন্দি ইমরান খান তার আইনজীবীদের মাধ্যমে আগামী ২৪ নভেম্বর পুরো পাকিস্তানে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট চুরি করেছে, নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘স্বৈরাচারী সরকারের ভিত্তি’ শক্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ইমরান। আর এগুলোর বিরুদ্ধেই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। আরটিভি/এফআই