• ঢাকা শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪, ১০ কার্তিক ১৪৩১
logo
পাকিস্তানিদের চাচাতো-মামাতো ভাই-বোনে বিয়ে কমছে
নয় বছর পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানে
সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও) বৈঠকে যোগ দিতে ইসলামাবাদে গেলেন জয়শঙ্কর। প্রায় নয় বছর পর ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তানে গেলেন। ২০১৫ সালের ডিসেম্বরে তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ পাকিস্তান গেছিলেন। তারপর থেকে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কের উত্তেজনা ও অবনতির কারণে আর কোনো ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাকিস্তান যাননি। দীর্ঘদিন পর এবার এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে পাকিস্তান গেলেন জয়শঙ্কর। এর আগে গতবছর পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো এসসিও বৈঠকে যোগ দিতে ভারতে এসেছিলেন। প্রায় ১২ বছর পর ভারতে পা রেখেছিলেন পাকিস্তানের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তবে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এসময় হচ্ছে না। ভারতও পাকিস্তান দুই দেশই জানিয়ে দিয়েছে, জয়শঙ্কর ইসলামাবাদে এসসিও বৈঠকে যোগ দিলেও কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হবে না। বিলাওয়ালও যখন ভারত এসেছিলেন, তখনো কোনো দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়নি। জয়শঙ্কর আগেই জানিয়েছেন, এসসিও বৈঠক হলো বহুপাক্ষিক ইভেন্ট। আমি ওখানে ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি না। আমি সেখানে এসসিও সদস্য দেশের প্রতিনিধি হিসাবে যাচ্ছি। আমি একজন ভদ্র ও সুশীল মানুষ। আমি সেরকমই আচরণ করব। পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জানিয়েছেন, ভারত বা পাকিস্তান কেউই দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য কোনো অনুরোধ করেনি। তিনি জানিয়েছেন, পাকিস্তান প্রটোকল অনুযায়ী জয়শঙ্করকে অভ্যর্থনা জানাবে। এসসিও শীর্ষ বৈঠকের সময় কোনো ধরনের সহিংসতা বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে, তার জন্য ইসলামাবাদ জুড়ে সেনা নামানো হয়েছে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের দলের বহু সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ইমরানের দল পিটিআই আগে বিক্ষোভের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছিল। কিন্তু পরে তারা জানিয়ে দেয়, এসসিও বৈঠক চলার সময় কোনো বিক্ষোভ দেখানো হবে না। এসসিও শীর্ষ বৈঠকে যোগ দেয়া নেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পাকিস্তান সরকার তিনদিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। স্কুল, কলেজ, ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান সব বন্ধ থাকছে। সেনা ও আধা সামরিক বাহিনী রাস্তায় রাস্তায় টহল দিচ্ছে। পার্লামেন্ট, দূতাবাস, বৈঠকস্থল, বিদেশি অতিথিরা যেখানে আছেন, সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব সেনার হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কুইয়াং যখন ইসলামাবাদে পা দেন, তখন নিরাপত্তা লকডাউনের মধ্যে ছিল ইসলামাবাদ। ১১ বছর পর চীনের প্রধানমন্ত্রী পাকিস্তানে এলেন। এরপর চীনের প্রধানমন্ত্রী বেজিংয়ের অর্থে বানানো একটি বিমানবন্দরের উদ্বোধনও করেন।  ইসলামাবাদের এসসিও বৈঠকে চীনের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও বেলারুশ, কাজাখিস্তান, রাশিয়া, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী থাকবেন। কিরঘিজিস্তানের মন্ত্রিসভার চেয়ারম্যান থাকবেন এবং ইরানের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট বৈঠকে যোগ দেবেন। এছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করও থাকবেন। এছাড়া বিশেষ আমন্ত্রিত হিসাবে মঙ্গোলিয়ার প্রধানমন্ত্রী এবং তুর্কেমেনিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী উপস্থিত থাকবেন। আর্থিক, বাণিজ্যিক, পরিবেশগত এবং সামাজিক-সাংস্কৃতিক বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হবে। এই সংগঠন কী কাজ করেছে তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এসসিও শীর্ষ বৈঠক উপলক্ষে শেহবাজ শরীফ নৈশভোজের আয়োজন করেছেন। জয়শঙ্কর সম্ভবত সেখানে থাকবেন। সাবেক কূটনীতিক অশোক সাজ্জানহার এনডিটিভি-কে বলেছেন, এসসিও হলো বহুপক্ষীয় সংগঠন। এখানে রোটেশন করে সব দেশ এই বৈঠকের আয়োজন করে। ২০১৭ সালের পর থেকে ভারত এসসিও-র সব বৈঠকে যোগ দিয়েছে। কিন্তু সবসময়ই পররাষ্ট্রমন্ত্রী গেছেন। একবার প্রতিরক্ষামন্ত্রী গেছিলেন। তাই জয়শঙ্করই যে এসসিও বৈঠকে যাবেন, সেটা প্রত্যাশিত। আরটিভি/এএইচ
১১ বছর পর পাকিস্তানের মাটিতে চীনের প্রধানমন্ত্রী
ভারতের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে পাকিস্তান উপযুক্ত জবাব দেবে: শাহবাজ শরিফ
পাকিস্তানে পুলিশ সদর দপ্তরে জঙ্গি হামলা, নিহত ৩ 
পাকিস্তান সফরে ড. ইউনূসকে শেহবাজের আমন্ত্রণ
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘর্ষ, নিহত ২০
উত্তরপশ্চিম পাকিস্তানের কুররাম জেলায় শিয়া ও সুন্নি জনজাতির মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে প্রায় ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলা জানা গেছে। বিরোধ শুরু হয়েছিল দিন পাঁচেক আগে। আফগানিস্তান সীমান্তের কাছে কুররাম জেলায় একটা জমি নিয়ে বিরোধ থেকে এই ঝামেলার সূত্রপাত। তারপর সেই বিরোধ বড় আকার নিয়েছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, অন্ততপক্ষে ৭৫ জন আহত হয়েছেন। কুররামের এক উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক অফিসার বলেছেন, প্রচুর বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সরকার ও অন্য জনজাতিরা এই সংঘর্ষ বন্ধের অনেক চেষ্টা করেছে। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি। আঞ্চলিক সরকারের মুখপাত্র ব্যারিস্টার সইফ আলী জানিয়েছেন, উত্তেজনা কম করার জন্য প্রশাসন প্রবীন জনজাতি নেতাদের সাহায্য নিচ্ছে। তার দাবি, দুই পক্ষই সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে কুররামে শিয়া ও সুন্নিদের মধ্যে একাধিক সংঘর্ষ হয়েছে। জুলাইয়েও তাদের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ দেখা দিয়েছিল। তখনো সংঘর্ষে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। পাকিস্তান হলো সুন্নি-প্রধান দেশ। এখানে মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৫ শতাংশ হলেন শিয়া মুসলিম। তারা অভিযোগ করেন, তাদের মাঝেমধ্যেই সহিংসতা ও বিভেদের শিকার হতে হয়। সূত্র: ডয়েচে ভেলে আরটিভি/এআর-টি
নিলামে উঠছে পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এয়ারলাইনস  
লাগাতার লোকসানের মুখে পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমান পরিবহন সংস্থা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। এজন্য আগামী ১ অক্টোবর এক নিলামের আয়োজন করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদের প্রাইভেটাইজেশন কমিটির বরাত দিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন এআরওয়াইয়ের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জাতীয় পরিষদের সদস্য ফারুক সাত্তার জানান, আগামী মাসের প্রথম দিন পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনসের (পিআইএ) নিলাম হবে। এর আগে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) দেওয়া সংস্কারের শর্ত অনুযায়ী, লোকসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এয়ারলাইনসের ৫১ থেকে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত শেয়ার বিক্রি করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল পাকিস্তান সরকার। আরটিভি/এসএইচএম
পাকিস্তানে বিদেশি কূটনীতিকদের বহরে হামলা, এক পুলিশ নিহত
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়ায় বিদেশি কূটনীতিকদের নিয়ে যাওয়ার সময় বিস্ফোরণে এক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। ওই গাড়িবহরে ১২টি দেশের কূটনীতিক ও বিশিষ্টজনেরা ছিলেন। রোববার (২২ সেপ্টেম্বর) দেশটির খাইবার পাখতুনখাওয়ার সোয়াত জেলায় গাড়িবহরে করে যাওয়ার সময় বিদেশি কূটনীতিকদের লক্ষ্য করে এ হামলার ঘটনা ঘটে। খবর ডনের।  খাইবার পাখতুনখাওয়ার উপপুলিশ মহাপরিদর্শক মুহাম্মদ আলি খান জানান, দূরনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের মাধ্যমে ওই গাড়িবহরে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। তবে সব কূটনীতিক নিরাপদ রয়েছেন। গাড়িবহরটি মালাম জাব্বা সড়কে আসার পরই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।  তিনি জানান, ওই গাড়িবহরে এসব কূটনীতিকেরা ইন্দোনেশিয়া, পর্তুগাল, কাজাখস্তান, বসনিয়া ও হার্জেগোভিনা, জিম্বাবুয়ে, রুয়ান্ডা, তুর্কমিনিস্তান, ভিয়েতনাম, ইরান, রাশিয়া এবং তাজিকিস্তান থেকে এসেছেন। ইসলামাবাদ চেম্বার অব কমার্সের আমন্ত্রণে সোয়াতের একটি পর্যটন প্রকল্প সামনে রেখে তারা ওই এলাকাটি পরিদর্শনে যান। মুহাম্মদ আলি খান আরও জানান, ইসলামাবাদ চেম্বার অব কমার্সের আমন্ত্রণে সোয়াতের একটি পর্যটন প্রকল্প সামনে রেখে তারা ওই এলাকাটি পরিদর্শনে যান। তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি। সন্দেহভাজনদের খুঁজতে পুলিশের একটি বড় দল ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। অন্যদিকে কূটনীতিকদের নিরাপদে রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। হামলায় হতাহতের বিষয়ে মুহাম্মদ আলি খান বলেন, নিহত পুলিশ কনস্টেবলের নাম বুরহান। অন্যদিকে আহতেরা হলেন- পুলিশের উপপরিদর্শক সার জামিন, কনস্টেবল হাবিব গুল ও আমানুল্লাহ। আরটিভি/এআর/এসএ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলায় ৬ সেনাসদস্য নিহত
পাকিস্তানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের দক্ষিণ ওয়াজিরিস্তান জেলার একটি নিরাপত্তা চৌকিতে জঙ্গিদের গুলিতে ৬ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন৷ এ সময় সেনাবাহিনীর গুলিতে ৫ জঙ্গি নিহত হয়৷ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) গভীর রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে৷ এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী৷ এ হামলার দায় স্বীকার করেছে ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী তেহরিক-ই-পাকিস্তান (টিটিপি)৷ আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে দুদিনের ব্যবধানে এটি দ্বিতীয় হামলা৷ দক্ষিণ এশিয়ার দেশটির উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বেশ কিছুদিন ধরে ইসলামি জঙ্গি গোষ্ঠীর তৎপরতা বেড়েছে৷ পাশাপাশি দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে জাতিগত বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সক্রিয়তাও বৃদ্ধি পাচ্ছে৷ এর আগে উত্তর ওয়াজিরিস্তানে সেনাবাহিনীর গুলিতে ৭ জঙ্গির মৃত্যু হয়৷ আরটিভি/এএইচ
পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা বাড়ছে যে কারণে
আগস্ট মাসে পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখা ও বেলুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গি হামলায় কয়েকশ মানুষ প্রাণ হারান৷ এর পেছনে আফগানিস্তানের ‘ইন্ধন’ দেখছেন অনেকে৷ পাকিস্তানের ইনস্টিটিউট ফর কনফ্লিক্ট অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ বা পিআইসিএসএস-এর হিসাব বলছে, এ বছরের প্রথম আট মাসে জঙ্গি হামলায় ৭৫৭ জন মারা গেছেন৷ এর মধ্যে শুধু আগস্ট মাসেই প্রাণ হারান ২৫৪ জন৷ গত ছয় বছরের মধ্যে কোনো এক মাসে মৃত্যুর এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যা৷ খাইবার পাখতুনখা ও বেলুচিস্তান প্রদেশে জঙ্গিরা সবচেয়ে বেশি সক্রিয়৷ দুটি প্রদেশই আফগানিস্তান সীমান্তে অবস্থিত৷ পাকিস্তানের ভেতরে হামলার জন্য আফগানিস্তান ভিত্তিক তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান বা টিটিপিকে বারবার দায়ী করে আসছে ইসলামাবাদ৷ তবে কাবুলের তালেবান সরকার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে৷ বেলুচ লিবারেশন আর্মি বা বিএলএ নামের আরেকটি গোষ্ঠী বেলুচিস্তানের জন্য বড় জঙ্গিদের আশ্রয় দেয়ায় আফগান তালেবানকে সতর্ক করলো। বিএলএ বেলুচিস্তানের স্বাধীনতা চাইছে৷ তারা ঐ প্রদেশে বাস্তবায়িত হতে থাকা চীনের প্রকল্পগুলোরও বিরোধিতা করে৷ ২০২১ সালের আগস্টে তালেবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর থেকে পাকিস্তান ক্রমে অনিরাপদ হয়ে উঠছে৷ সাম্প্রতিক হামলাগুলোর জন্য রাষ্ট্রের অবহেলাকে দায়ী করেছেন দ্য খোরাসান ডায়রির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ইহসানুল্লাহ টিপু মেহসুদ৷ নিরপেক্ষ সাংবাদিকদের একটি প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে দ্য খোরাসান ডায়রি৷ ডিডাব্লিউকে মেহসুদ বলেন, রাষ্ট্রের অবহেলাই মূল কারণ৷ সামরিক অভিযানের মাধ্যমে জঙ্গিদের দেশ থেকে বিতাড়িত করার পর যে লাভ হয়েছে তা রক্ষার উদ্যোগ নেওয়া হয়নি৷ আফগানিস্তানের আশরাফ গনি সরকারের সঙ্গে মিলে কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি৷ সে কারণে টিটিপি শক্তি বাড়ানোর সুযোগ পেয়েছ, বলে মনে করেন মেহসুদ৷ সাবেক কূটনীতিক ও পররাষ্ট্র বিষয়ক বিশ্লেষক মালিহা লোধি মনে করেন, সহিংসতার বিরুদ্ধে কাজ করতে ব্যর্থ হয়েছে তালেবান সরকার৷ পাকিস্তানে জঙ্গি হামলা বাড়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে৷ টিটিপির লাগাম টেনে ধরতে তালেবান কর্তৃপক্ষের অস্বীকৃতি একটি প্রধান কারণ, বলে মনে করেন তিনি৷ জুলাই মাসে জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, টিটিপি আফগানিস্তানের সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী৷ পাকিস্তানে হামলা করার জন্য তারা কাবুলের তালেবান সরকারের কাছ থেকে বিপুল সহায়তা পায় বলেও ঐ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে৷ আরটিভি/এএইচ
ড. ইউনূসের সঙ্গে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর ফোনালাপ, যেসব কথা হলো
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। ফোনালাপে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান তিনি। একইসঙ্গে পাকিস্তান ও বাংলাদেশ সমৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলে উভয় নেতা সম্মত হয়েছেন। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে রেডিও পাকিস্তান। এ ছাড়া পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের প্রেস উইং থেকে দেওয়া এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতেও উভয় নেতার ফোনালাপের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ শুক্রবার বাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে টেলিফোনে কথা বলেছেন। কথোপকথনে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ প্রধান উপদেষ্টার পদ গ্রহণের জন্য অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে অভিনন্দন জানান এবং বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তার অবদানের প্রশংসা করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় সৃষ্ট ধ্বংসযজ্ঞের ঘটনায়ও সমবেদনা প্রকাশ করেন শেহবাজ। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, (বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে) বিভিন্ন ক্ষেত্রে বর্ধিত সহযোগিতার মাধ্যমে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার গুরুত্বের ওপর জোর দেন শেহবাজ শরিফ। পাকিস্তান ও বাংলাদেশের মধ্যে ঐতিহাসিক, ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক বন্ধন উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ উভয় দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, সাংস্কৃতিক আদান-প্রদান এবং উভয় দেশের জনগণের মধ্যে যোগাযোগ আরও জোরদার করার বিষয়েও গভীর ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ফোনালাপে উভয় নেতা একমত হন যে, পাকিস্তান ও বাংলাদেশের জনগণের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধির জন্য ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করার প্রয়োজন রয়েছে। এ ছাড়া বৃহত্তর আঞ্চলিক সহযোগিতা দক্ষিণ এশিয়ার জনগণের জীবনযাত্রার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে বলেও একমত হন তারা। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস টেলিফোন আলাপে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফকে ধন্যবাদ জানান।
পাকিস্তানে ২১ সন্ত্রাসী ও ১৪ নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যসহ নিহত ৭৩
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানের কয়েকটি জেলায় সন্ত্রাসীদের হামলায় ৩৮ জন সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছেন। সন্ত্রাসীদের দমনে সামরিক বাহিনীর পাল্টা অভিযানে ২১ জন সন্ত্রাসী মারা গেছে। এ সময় সন্ত্রাসীদের হামলায় নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার (এলইএ) ১৪ সদস্য নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে আরও অনেকে।  রোববার (২৫ আগস্ট) দিবাগত রাত থেকে সোমবার (২৬ আগস্ট) ভোরের মধ্যে এসব হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সোমবার বেলুচিস্তানের মুখ্যমন্ত্রী সরফরাজ বুগতি ও পাকিস্তান সেনাবাহিনীর  আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) হতাহতের এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। খবর ডনের। রোববার রাতে বেলুচিস্তান প্রদেশের মাস্তুং, কালাত, পাসনি, ও সুনসার জেলার থানায় সন্ত্রাসীরা হামলা চালায়। প্রদেশটির রাজধানী কোয়েটাসহ সিবি, পঞ্জগুর, মাস্তুং, তুরবত ও বেলা শহরে সন্ত্রাসীরা বিস্ফোরণ ঘটায় এবং গ্রেনেড হামলা চালায়। প্রদেশের গোয়াদর জেলায় সুনসার থানায় হামলা চালিয়ে অস্ত্র লুট করে নেয় সন্ত্রাসীরা। মুসাখাইল জেলার সহকারী কমিশনার নজীব কাকার জানান, রোববার দিবাগত রাতে অস্ত্রধারীরা ররশম এলাকায় আন্তপ্রদেশ মহাসড়কে অনেকগুলো যাত্রীবাহী গাড়ি, ভ্যান, ট্রাক গাড়ি থামায়। এসব গাড়ি থেকে অস্ত্রধারীরা বেছে বেছে ২৩ পাঞ্জাবিকে হত্যা করে। মহাসড়কটি পাঞ্জাব ও বেলুচিস্তানকে যুক্ত করেছে। পরে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর নেতৃত্বে যৌথ অভিযানে ২১ জন সন্ত্রাসী নিহত হয়। প্রাণ হারান নিরাপত্তা বাহিনী ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার ১৪ সদস্য।