• ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ইমরান ও বুশরা বিবিসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাকিস্তানে শিয়া-সুন্নি সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪
পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুররাম জেলায় শিয়া-সুন্নি জনগোষ্ঠীর মধ্যে টানা ১১ দিনের সংঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১২৪ হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছেন আরও ১৭৮ জন। রোববার (১ ডিসেম্বর) পাকিস্তানি গণমাধ্যম জিও নিউজের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য দেওয়া হয়েছে। জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়, গত ২১ নভেম্বর দুটি গাড়িবহরে বন্দুক হামলার জেরে নতুন করে এই অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনার পর শিয়া-সুন্নিদের বেশ কয়েকটি গোত্রের মধ্যে সহিংসতার মাত্রা ছাড়িয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হিমশিম খাচ্ছে পুলিশ। এতে মূল মহাসড়ক বন্ধ থাকায় স্থানীয় পরিবহন সংকটের পাশাপাশি আফগানিস্তানের সঙ্গে বাণিজ্যও পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। এদিকে, চলমান পরিস্থিতির উন্নয়নে দেশটির খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে সংঘাতে জড়িতদের কাছ থেকে সব ধরনের অস্ত্র জব্দ ও সশস্ত্র অবস্থানগুলো নির্মূল করার অভিযান চালুর নির্দেশ দিয়েছেন। নিকটবর্তী কোহাত জেলায় স্থানীয় শিয়া-সুন্নি গোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে আয়োজিত সালিশে (জিরগা নামে পরিচিত) তিনি এসব নির্দেশনা দেন। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, রোববার জিরগায় অংশগ্রহণকারীদের খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর নিশ্চয়তা দেন, প্রাদেশিক সরকার যেকোনো উপায়ে এ অঞ্চলে শান্তি ও আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে অঙ্গীকারবদ্ধ। কুররাম জেলে থেকে সহিংসতার জেরে যারা বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের পুনর্বাসনের জন্য শিগগিরই উদ্যোগ নিতে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর বলেন, সাধারণ মানুষের জীবন ও সম্পদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া সবচেয়ে জরুরি বিষয়। সংঘাতে লিপ্ত গোষ্ঠীদের কাছ থেকে সব বৈধ-অবৈধ অস্ত্র শিগগিরই জব্দ করা হবে। শান্তি প্রতিষ্ঠা না হওয়া পর্যন্ত এসব অস্ত্র প্রশাসনের হেফাজতে থাকবে। যারা সামাজিকমাধ্যমে ঘৃণা ছড়াচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তারের আহ্বানও জানান তিনি। মুখ্যমন্ত্রী আলি আমিন গান্দাপুর উপস্থিত নেতাদের শিগগিরই নতুন করে কার্যকর সংঘর্ষ-বিরতির ঘোষণা দিতে এবং আগের সব শান্তি চুক্তির প্রতি সম্মান জানাতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, নাগরিকদের সহযোগিতা ছাড়া শান্তি প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়।  আরটিভি/কেএইচ-টি
ইমরান খান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে নতুন ৮ মামলা
পাকিস্তানে ইমরানপন্থিদের বিক্ষোভ, গ্রেপ্তার ১০০০ 
ইসলামাবাদে ‘রেড জোনে’র সামনে ইমরান-সমর্থকেরা
বিক্ষোভে উত্তাল পাকিস্তানে নিহত আরও ৫, সেনা মোতায়েন
পাকিস্তানে ইমরানের হাজার হাজার সমর্থক গ্রেপ্তার
ইমরান খানের সমর্থকদের রুখতে ইসলামাবাদে ঢোকার সব রাস্তা বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মুক্তির দাবিতে ইসলামাবাদে ইমরান খানের সমর্থকরা বিক্ষোভ দেখাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাদের ঠেকাতে রোববার (২৪ নভেম্বর) ইসলামাবাদে নিরাপত্তা লক-ডাউন জারি করা হয়। ইমরানের সমর্থকদের দাবি, নির্বাচনে জালিয়াতি করে ক্ষমতায় এসেছেন শেহবাজ শরীফরা। তাই তাদের ইস্তফা দিতে হবে। ইমরানসহ পিটিআই দলের যে নেতারা বন্দি আছেন, তাদের অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে। বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, ইমরানের কয়েক হাজার সমর্থককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার মধ্যে দলের পাঁচজন সংসদ সদস্যও আছেন। নিরাপত্তা জনিত কারণে ইসলামাবাদের অনেক জায়গায় ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। পাকিস্তানের পাঞ্জাব ও খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে আসার সব রাস্তা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। লাহোরেও পুলিশ পিটিআইয়ের প্রচুর কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে।  পুলিশ জানিয়েছে, যে কোনো ধরনের জমায়েতের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। খাইবার পাখতুনখোয়ার মুখ্যমন্ত্রী ও ইমরানের ঘনিষ্ঠ নেতা আলি আমিন গান্দাপুর ভিডিও বার্তায় বলেছেন, মানুষ যেন শহরের ডি চকে জমায়েত হন। যতক্ষণ পর্যন্ত দাবিপূরণ না হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত ওখানে অবস্থান করার জন্য ইমরান খান নির্দেশ দিয়েছেন।  অভিযোগ-পাল্টা অভিযোগ গত অক্টোবরেও পুলিশ ইসলামাবাদে এভাবেই ইমরানের সমর্থকদের বিক্ষোভ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল। তখন বিক্ষোভ সহিংস হয়ে ওঠে। একজন পুলিশ মারা যান। প্রচুর নিরাপত্তা কর্মী আহত হন। বহু বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়। দুই পক্ষ একে অপরের প্রতি সহিংসতার অভিযোগ আনে। পুলিশের অভিযোগ, গণ্ডগোল করার জন্যই এই বিক্ষোভ ডাকা হয়েছে। ইমরানের দলের নেতাদের দাবি, অন্যায়ভাবে তাদের নেতাকে জেলে বন্দি করে রাখা হয়েছে। ২০২২ সালের এপ্রিলে সংসদে অনাস্থা প্রস্তাবে হেরে গিয়ে ক্ষমতা হারাতে হয়েছিল ইমরান খানকে। ২০২৩ থেকে থেকে তিনি জেলে বন্দি। তার তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। ইমরানের বিরুদ্ধে দুর্নীতিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১৫০টির মতো মামলা করা হয়েছে। তা সত্ত্বেও পাকিস্তানে তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয়। তার সমর্থকদের দাবি, ইমরানের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে মামলা করা হয়েছে। গত ডিসেম্বরে ইমরানকে জামিন দেয়া হয়। কিন্তু আইনি জটিলতায় তিনি মুক্তি পাননি। ইমরান অবশ্য তার বিরুদ্ধে করা সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আরটিভি/এএইচ
পাকিস্তানে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ৩২
পাকিস্তানে দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৩২ জন নিহত এবং ২৫ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ৷ শনিবার (২৩ নভেম্বর) রাতে উত্তর-পশ্চিম পাকিস্তানের কুররাম জেলায় এ ঘটনা ঘটে। পাকিস্তানে শিয়া সংখ্যালঘু ও সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ঠদের মধ্যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ইতিহাস রয়েছে৷ আফগানিস্তানের সীমান্তবর্তী খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশে অবস্থিত কুররামে প্রায়ই শিয়া-সুন্নি সহিংসতা ঘটে৷ জমি নিয়ে বিরোধে জুলাই মাসের পর থেকে একাধিক সংঘর্ষে অনেক প্রাণহানি হয়েছে৷ শুক্রবার একদল সশস্ত্র ব্যক্তি বাগান এবং বাচা কোট শহরে দোকান, বাড়ি এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে আগুন দেয়ার পর নতুন করে সহিংসতা শুরু হয়৷ নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জ্যেষ্ঠ পুলিশ কর্মকর্তা বলেছেন, আলিজাই ও বাগান গোত্র কুররাম এলাকায় গোলাগুলি করছিল৷ তিনি বলেন, উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় কুররামে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। দুই পক্ষই ভারী ও স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র নিয়ে একে অপরের ওপর হামলা চালাচ্ছে। কয়েকদিন আগেই খাইবার পাখতুনখোয়ার একটি মহাসড়কে শিয়া মুসলিমদের বহনকারী যানবাহন লক্ষ্য করে বন্দুকধারীরা গুলি চালায়। এই হামলায় অন্তত ৪২ জন নিহত হন। বাসে এই হামলার দায় কেউ স্বীকার করেনি।  আরটিভি/এএইচ
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ দেবে পাকিস্তান
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য স্কলারশিপের অনুমোদন দিয়েছে পাকিস্তান। দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ স্কলারশিপে ১০০ বাংলাদেশিকে পাকিস্তানে পড়ার সুযোগ দেওয়ার বিষয়টির অনুমোদন দিয়েছেন। বুধবার (২০ নভেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম সামা টিভি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।  এতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ সরকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পাকিস্তানি শিক্ষার্থীদের পড়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর ১০০ বাংলাদেশিকে শিক্ষার্থীকে স্কলারশিপ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে পাকিস্তান। এতে করে বাংলাদেশিদের পাকিস্তানে উচ্চশিক্ষা নেওয়ার পথ সুগম হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি পাচ্ছে। একটি সূত্র সামা নিউজকে জানিয়েছেন, বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানি হাইকমিশনার এই বিষয়টি নিয়ে সবচেয়ে বেশি কাজ করছেন। স্কলারশিপ দেওয়ার জন্য পাকিস্তানি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাংলাদেশি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজস্ব পোর্টালে যুক্ত করবে। এদিকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে আগেও শিক্ষা বিষয়ক সহযোগিতামূলক সম্পর্ক ছিল। তবে এটি অনেকদিন বন্ধ ছিল। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর দুই দেশের মধ্যে আবারও এই সহযোগিতামূলক সম্পর্ক নতুন করে শুরু হতে যাচ্ছে। আরটিভি/একে
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে গুলি, নারী-শিশুসহ নিহত ৪২
পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িবহরে বন্দুক হামলায় তিন নারী-শিশুসহ অন্তত ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ২০ জন। দেশটির পুলিশের বরাত দিয়ে পাকিস্তানি প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম জিও নিউজ এ তথ্য জানিয়েছে। এক প্রতিবেদনে জিও নিউজ জানায়, বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় খাইবার পাখতুনখোয়া প্রদেশের কুর্রাম জেলার ওচত এলাকায় যাত্রীবাহী যানবাহনে হামলাকারীরা গুলি চালালে এই হতাহতের ঘটনা ঘটে।  লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে খাইবার পাখতুনখোয়ার প্রধান সচিব নাদিম আসলাম চৌধুরী বলেন, হামলাটি একটি বড় ট্র্যাজেডি। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। কারণ, অনেকে আশঙ্কাজনক। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পাকিস্তানের পারাচিনার থেকে পেশোয়ার যাওয়ার পথে গাড়িবহরে এই হামলা হয়। নিহত ছাড়াও একাধিক লোক আহত হয়েছেন। তাদের অ্যাম্বুলেন্সে করে ঘটনাস্থল থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য আহতদের জেলা শহরে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। এ ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সৈয়দা বানু নামে এক যাত্রী বিবিসিকে জানান, হঠাৎ গুলি শুরু হলে তিনি বুদ্ধি করে তার সন্তানদের নিয়ে গাড়ির আসনের নিচে লুকিয়ে থাকেন। তাৎক্ষণিক এ সিদ্ধান্ত তাদের প্রাণে বাঁচায়। গুলির শব্দ থেমে যাওয়ার পর তিনি বের হয়ে হতভম্ব হয়ে যান এবং দেখেন রাস্তায় ও গাড়ির ভেতর আহত ও নিহত মানুষ ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছেন। প্রাথমিক তদন্তের পর ঘটনার বিবরণ দিয়ে প্রদেশটির আইনমন্ত্রী আফতাব আলম জিওনিউজকে বলেন, সশস্ত্র ব্যক্তিরা পাহাড় থেকে গাড়ি বহর লক্ষ্য করে গুলি চালায়। আমি কুর্রাম পরিদর্শন করতে চেয়েছিলাম কিন্তু দুটি প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের মধ্যে বিরোধের কারণে জেলার দিকে যাওয়ার রাস্তাগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ওই দুটি গ্রুপ একে অপরকে ঘটনার জন্য দায়ী করছে। তারা উভয়ই সন্ত্রাসী দল। আমরা তদন্ত করছি। প্রকৃত দোষীদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির মুখোমুখি করা হবে বলেও জানান তিনি। এই হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্দারপুর। তিনি মুখ্য সচিব, প্রদেশের আইনমন্ত্রী এবং স্থানীয় পার্লামেন্টের সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি প্রতিনিধি দলকে ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছেন পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে এবং প্রদেশের সব মহাসড়কের নিরাপত্তা জোরদারে হাইওয়ে পুলিশকে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া হামলায় নিহতদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়ারও ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এছাড়া ঘটনার নিন্দা জানিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফ আহতদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা নিশ্চিতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম ডয়েচে ভেলে।  যাদের উপর আক্রমণ চালানো হয়েছে, তারা সাধারণ শান্তিপ্রিয় জনতা বলে জানিয়ে শেহবাজ শরীফ বলেন, যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তারা মানবতার শত্রু। অশান্তি সৃষ্টিকারী এই আক্রমণকারীদের কঠিন শাস্তি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।  প্রসঙ্গত, গত সপ্তাহে খাইবার পাখতুনখওয়া প্রদেশে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দু’টি পৃথক হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর এক ডজনেরও বেশি সদস্য নিহত হন। এর মধ্যে তিরা উপত্যকার বাগ-মায়দান মারকাজের কাছে একটি সামরিক ক্যাম্পে গত রোববার রাতে বন্দুকধারীরা হামলা চালানোর পর দুই পক্ষের মধ্যে বন্দুকযুদ্ধ শুরু হয়, যা দুই দিন ধরে চলে। দুই দিনের বন্দুকযুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মঙ্গলবার থমথমে পরিস্থিতির মধ্যে তিরার দোকানপাটগুলো খুলে। ওইদিনই প্রদেশটির বান্নু জেলার জানিখেল এলাকার মালি খেল চেকপয়েন্টের কাছে এক আত্মঘাতী হামলায় নিরাপত্তা বাহিনীর বেশ কয়েকজন সদস্য নিহত হন। আরটিভি/কেএইচ
ইমরানের ‘চূড়ান্ত ডাক’, দুই মাস ১৪৪ ধারা জারি ইসলামাবাদে
পাকিস্তান জুড়ে আগামী ২৪ নভেম্বর সর্বাত্মক আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। এটিকে ‘চূড়ান্ত ডাক’  ঘোষণা করে  নিজ দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) সব নেতাকর্মী ও সমর্থকদের রাজপথে নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। এদিকে পরিস্থিতি বিবেচনায় রাজধানী ইসলামাবাদে আগামী দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে পাকিস্তান সরকার। সোমবার (১৮ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম দ্য ডন। আগামী ২৪ নভেম্বর পুরো পাকিস্তানজুড়ে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন দেশটির পিটিআইয়ের প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। তিনি এদিন জনগণের ম্যান্ডেট রক্ষার জন্য দলীয় নেতাকর্মীসহ সবাইকে রাস্তায় নেমে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। ইমরান এই আন্দোলনকে ‘শেষ ডাক’ হিসেবে অভিহিত করেছে। তবে ইমরান খান ২৪ নভেম্বর ‘শেষ ডাক’ দেওয়ার মধ্যেই পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে দুই মাসের জন্য ১৪৪ ধারা জারি করেছে স্থানীয় প্রশাসন।  ১৪৪ ধারা একটি আইনি ধারা। এই ধারা অনুযায়ী স্থানীয় প্রশাসন একসঙ্গে চারজনের বেশি মানুষকে জড়ো হতে দেয় না। ইসলামাবাদে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ায় আগামী ২৪ নভেম্বর ইমরান খানের ‘শেষ ডাক’ কতটা সফল হবে সেটিই এখন দেখার বিষয়। কারাবন্দি ইমরান খান তার আইনজীবীদের মাধ্যমে আগামী ২৪ নভেম্বর পুরো পাকিস্তানে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার জনগণের ম্যান্ডেট চুরি করেছে, নির্বিচারে সাধারণ মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে। এছাড়া সংবিধানের ২৬তম সংশোধনীর মাধ্যমে ‘স্বৈরাচারী সরকারের ভিত্তি’ শক্ত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ইমরান। আর এগুলোর বিরুদ্ধেই আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তিনি। আরটিভি/এফআই  
বিয়ের বাস নদীতে পড়ে নিহত ১৪, বেঁচে আছেন নববধূ
পাকিস্তানে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে বাড়ি ফেরার পথে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় অন্তত ১৪ জন নিহত হয়েছেন।  বুধবার (১৩ নভেম্বর) বরযাত্রী বহনকারী বাসটি নদীতে পড়ে গেলে এ ঘটনা ঘটে। খবর এএফপি’র। বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পাকিস্তানের গিলগিট-বালটিস্তান মহাসড়কে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে অতিথিদের বাড়িতে নিয়ে যাওয়ার পথে বহনকারী বাসটি নদীতে পড়ে যায়। এতে পানিতে ডুবে অন্তত ১৪ জন নিহত হয়। এ দুর্ঘটনায় একমাত্র নববধূকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। ২৫ জন যাত্রীর মধ্যে আরও ১০ জন এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। গিলগিটের সিনিয়র পুলিশ কর্মকর্তা নায়েক আলম এএফপিকে বলেন, একটি বাঁকে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারালে এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। বিয়ের জন্য বরের পরিবার পাঞ্জাব থেকে ৫০০ কিলোমিটার দূরে ভ্রমণ করেছিল এবং অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে ফেরার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। আহত নববধূ বিপদমুক্ত এবং তাকে গিলগিটের একটি হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আরটিভি/এসএপি
পাকিস্তানে রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণ, নিহত অন্তত ২১
পাকিস্তানে একটি রেলস্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে অন্তত ২১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও ৩০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। স্থানীয় সময় শনিবার (৯ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দক্ষিণ-পশ্চিম পাকিস্তানের কোয়েটায় একটি রেলস্টেশনে এই  বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। খবর রয়টার্সের। ঘটনাটি নিশ্চিত করে সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ অপারেশন মুহাম্মদ বালোচ বলেন, পেশোয়ারগামী একটি ট্রেন তার গন্তব্যের উদ্দেশ্যে রওনা দিচ্ছিল, তখনই রেলস্টেশনের ভিতরে বিস্ফোরণটি ঘটে। তিনি বলেন, বিস্ফোরণটি একটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে কোনো গোষ্ঠী এখনো এই বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেনি। নিশ্চিত হতে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা সম্পর্কে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, বিস্ফোরণে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২১ এবং ৩০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। ফলে বিস্ফোরণে মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে।