• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
বঙ্গভবনে ঢোকার চেষ্টা আন্দোলনকারীদের, বাধা
রাষ্ট্রপতি ইস্যুতে আসিফ নজরুলের সঙ্গে একমত সরকার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদ থেকে সরানোর বিষয়ে আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল যে বক্তব্য দিয়েছেন তার সঙ্গে একমত সরকার। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের উপ-প্রেস সচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর সরকারের একমতের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল (রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এর পদে থাকার বিষয়ে) যা বলেছেন, তার সঙ্গে সরকার একমত পোষণ করে। তবে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনকে পদ থেকে সরানোর বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেয়নি অন্তর্বর্তী সরকার। এর আগে অপূর্ব জাহাঙ্গীরকে প্রশ্ন করা হয়, রাষ্ট্রপতি ‘মিথ্যাচার’ বলে তার পদে থাকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে একজন উপদেষ্টা (আইন উপদেষ্টা) যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটা তার ব্যক্তিগত না, পুরো উপদেষ্টা কাউন্সিলের। দেশত্যাগ করা শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র প্রসঙ্গে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন এক সাংবাদিককে বলেন, আমি শুনেছি তিনি পদত্যাগ করেছেন। কিন্তু আমার কাছে কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই। বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি। ৫ আগস্ট সকাল সাড়ে দশটায় বঙ্গভবনে ফোন এলো প্রধানমন্ত্রীর বাসভবন থেকে। বলা হলো, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গভবনে আসবেন মহামান্য প্রেসিডেন্টের সঙ্গে সাক্ষাতের জন্য। এটা শুনেই প্রস্তুতি শুরু হলো বঙ্গভবনে। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই ফোন এলো তিনি আসছেন না। রাষ্ট্রপতি বললেন, চারদিকে অস্থিরতার খবর। কী হতে যাচ্ছে জানি না। আমি তো গুজবের ওপর নির্ভর করে বসে থাকতে পারি না। তাই সামরিক সচিব জেনারেল আদিলকে বললাম খোঁজ নিতে। তার কাছেও কোনো খবর নেই। আমরা অপেক্ষা করছি। টেলিভিশনের স্ক্রলও দেখছি। কোথাও কোনো খবর নেই। এক পর্যায়ে শুনলাম, তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। আমাকে কিছুই বলে গেলেন না। তিনি বলেন, সবকিছু যখন নিয়ন্ত্রণে এলো তখন একদিন মন্ত্রিপরিষদ সচিব এলেন পদত্যাগপত্রের কপি সংগ্রহ করতে। তাকে বললাম, আমিও খুঁজছি। এর পরেই আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগপত্র পাননি বলে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন মিথ্যাচার করে শপথের লঙ্ঘন করেছেন। তিনি বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে তার থাকার যোগ্যতা আছে কি না এ নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। উনি যদি তার বক্তব্যে অটল থাকেন তাহলে বিষয়টি উপদেষ্টা পরিষদে যাবে এবং পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা মতামত দিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি স্ববিরোধিতা করছেন। তার এ পদে থাকার আর অধিকার নেই। ভাষণে তিনি বলেছেন শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন। এখন আড়াইমাস পরে এ কথা কীভাবে বলেন? তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকতে পারেন না। বিষয়টি নিয়ে চারদিকে যখন সমালোচনা শুরু হয় তখন এক বিজ্ঞপ্তিতে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন স্পষ্ট বক্তব্য তুলে ধরেন।  সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের বিষয়টি মীমাংসিত এবং এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের উপপ্রেস সচিব শিপলু জামানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ইস্যুতে রাষ্ট্রপতিকে উদ্ধৃত করে বিভিন্ন মিডিয়ায় যে প্রচারণা চালানো হয়েছে তা জনমনে বিভ্রান্তির সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে রাষ্ট্রপতির পক্ষ থেকে সুস্পস্ট বক্তব্য হচ্ছে, ছাত্র-জনতার গণবিপ্লবের মুখে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও দেশত্যাগ, সংসদ ভেঙে দেয়া এবং বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সাংবিধানিক বৈধতার ওপর যত ধরনের প্রশ্ন জনমনে উদ্রেক হয়েছে সেগুলোর যাবতীয় উত্তর স্পেশাল রেফারেন্স নং-০১/২০২৪ এ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের গত ৮ আগস্ট, ২০২৪ এর আদেশে প্রতিফলিত হয়েছে। আরও বলা হয়, সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি গত ৮ আগস্ট সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়ার প্রেক্ষিতে আপিল বিভাগ এই মতামত দিয়েছিলেন। মীমাংসিত এই বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য রাষ্ট্রপতি সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, মীমাংসিত এ বিষয়ে নতুন করে কোনো বিতর্ক সৃষ্টি করে অন্তর্বর্তী সরকারকে অস্থিতিশীল কিংবা বিব্রত করা থেকে বিরত থাকার জন্য মহামান্য রাষ্ট্রপতি সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। আরটিভি/এএইচ
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটি গঠন
যাদের জন্য ই-রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করল এনবিআর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নতুন ৫ দফা দাবি ঘোষণা
বুধবার ১২ ঘণ্টা গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়
পিএসসির সচিব ওএসডি, সমাজকল্যাণের সচিবকে বাধ্যতামূলক অবসর
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের সচিব মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ চৌধুরীকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। এ ছাড়া সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেনকে সরকারি চাকরি থেকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত পৃথক দুটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) ড. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়াকে সচিব হিসেবে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। পদোন্নতির পর তাকে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) সচিবালয়ের সচিব করা হয়েছে। পৃথক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব ইসমাইল হোসেনের চাকরির সময় পঁচিশ বছর পূর্ণ হয়েছে এবং যেহেতু সরকার জনস্বার্থে তাকে সরকারি চাকরি থেকে অবসর প্রদান করা প্রয়োজন বলে বিবেচনা করে। সেহেতু, সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪৫ ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে তাকে সরকারি চাকরি অবসর দেওয়া হয়েছে। তবে বিধি অনুসারে, তাকে অবসরজনিত সব সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হবে বলেও এতে জানানো হয়।  আরটিভি/একে/এসএ
এ সপ্তাহেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের আল্টিমেটাম
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগ ও ছাত্রলীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বঙ্গভবনের সামনে বিক্ষোভ করেছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। কর্মসূচি থেকে এ সপ্তাহের মধ্যেই রাষ্ট্রপতির পদত্যাগ ও ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম দিয়েছেন সমন্বয়করা। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বিকেলে বঙ্গভবনের সামনে থেকে এই ঘোষণা দেওয়া হয়। আন্দোলনকারীরা বলেন, বর্তমান রাষ্ট্রপতি আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনার দোসর। আমরা চাই না তিনি রাষ্ট্রপতি পদে থাকুন। তাই আমরা তাকে এ সপ্তাহের আল্টিমেটাম দিয়েছি তিনি যেন রাষ্ট্রপতির পথ থেকে পদত্যাগ করেন। তিনি যদি এ সপ্তাহের মধ্যে পদত্যাগ না করেন তাহলে আমরা জানি তাকে কীভাবে পথ থেকে সরাতে হয়। এ আল্টিমেটামে কাজ না হলে দুর্বার আন্দোলন গড়ে তুলব। একই সঙ্গে তারা ছাত্রলীগ নিষিদ্ধেরও দাবি জানান। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, রাষ্ট্রপতিকে এই সপ্তাহের মধ্যেই পদত্যাগ করতে হবে। ছাত্রলীগ-যুবলীগ, মুজিববাদী মিডিয়া-সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ সকল সংগঠনকে নিষিদ্ধ করতে হবে। আরেক সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেন, ‌কার কথা শুনে ও কার চক্রান্তে রাষ্ট্রপতি উচ্চারণ করছেন যে, তার কাছে পদত্যাগপত্র নাই। আমরা ফ্যাসিস্ট চুপ্পুসহ সব ফ্যাসিস্ট দোসরদের বলে দিতে চাই, আমরা যদি বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট ও খুনিদের কোনো উৎপাত লক্ষ্য করি ছাত্র-জনতা ৫ আগস্টের মতো ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করবে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মীদেরও দেশব্যাপী ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, জীবন দিয়ে হলেও ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামী লীগ নামধারী ফ্যাসিস্টদের প্রতিহত করতে আমরা আমৃত্যু লড়াই করবো। সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে বৃহস্পতিবারের মধ্যে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করার আল্টিমেটাম দিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আব্দুল হান্নান মাসউদ বলেন, যে ছাত্রলীগের হাতে মানুষের মৃত্যু হয়েছে তাদের রাজনীতি করার কোনো অধিকার নেই। রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, আপনার সময় শেষ হয়ে গেছে। ছাত্র-জনতা আর আপনাকে রাষ্ট্রপতি পদে দেখতে চায় না। হয় আপনি পদত্যাগ করুন না হলে ছাত্র-জনতা বঙ্গভবন ঘেরাও করে হাসিনার মতো পালাতে বাধ্য করাবে। ছাত্র-জনতার এই স্পিরিট নতুন বাংলাদেশ গঠনের আগ পর্যন্ত থাকবে। ৭২ এর ফ্যাসিবাদী সংবিধান বাতিল করে সংবিধান নতুন সংবিধান প্রণয়নের আগ পর্যন্ত আমরা রাজপথে থাকব। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি। এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা। আরটিভি/একে/ডিসিএনই  
শাহবাগে নয়, সোহরাওয়ার্দীতে করতে হবে সভা-সমাবেশ 
রাজধানীর শাহবাগ এলাকা অবরোধ করে সভা-সমাবেশ করার কারণে যানজটে তৈরি হচ্ছে ভোগান্তি। এজন্য শাহবাগের পরিবর্তে বিভিন্ন দাবিতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা ও সমাবেশ করার স্থান নির্ধারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইনশৃঙ্খলাসংক্রান্ত উপদেষ্টা কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, রাস্তাঘাটে সমাবেশ করতে গেলে যানজট তৈরি হয়। জনভোগান্তি দূর করতে শাহবাগের মোড়ের পরিবর্তে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যদি সমাবেশটা করে তাতে জনভোগান্তি অনেক কম হয়। তিনি বলেন, বৈঠকে এ ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। আমরা সবাইকে অনুরোধ করব শাহবাগের পরিবর্তে যেন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে প্রতিবাদ বা সভা-সমাবেশ করে। সভায় সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়, বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সন্ত্রাসী ও উগ্রবাদী প্রতিরোধ, অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সভায় আলোচনা করা হয়। সভায় সাম্প্রতিক বিভিন্ন আন্দোলন-সমাবেশে উসকানিদাতাদের রাজনৈতিক পরিচয় প্রকাশ করার বিষয়েও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানান। পাশাপাশি জামিনে মুক্তি পাওয়া শীর্ষ সন্ত্রাসীরা কোনো ধরনের অপরাধে লিপ্ত হলে দ্রুত ব্যবস্থাগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। আরটিভি/ ডিসিএনই
বঙ্গভবন ঘিরে নিরাপত্তা জোরদার
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের পদত্যাগসহ চার দফা দাবিতে বঙ্গভবন ঘেরাও কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ওই এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) বঙ্গভবন এলাকায় কড়া নিরাপত্তা লক্ষ্য করা যায়। বঙ্গভবনের চারপাশে অবস্থান নিয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। সরেজমিনে দেখা যায়, বঙ্গভবনের সামনের মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করছেন স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটির ব্যানারে আসা বিক্ষুব্ধ জনতা। এর পাশে রাষ্ট্রপতির পদত্যাগের দাবিতে ‘রক্তিম জুলাই-২০২৪’ ব্যানারে বিক্ষোভ করতে দেখা যায় আরেক গ্রুপকে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্য থেকে মিছিল শুরু করে বঙ্গভবনের দিকে যায় স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা কমিটি। হাইকোর্ট মাজার মোড় এলাকায় পুলিশের বাধা অতিক্রম করে বঙ্গভবন পর্যন্ত এগিয়ে যায় তারা। সেখানে তারা বঙ্গভবনের সামনের খালি জায়গায় অবস্থান করতে চাইলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। উপায় না পেয়ে বঙ্গভবন মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে তারা। জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার মো. ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বঙ্গভবন এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য ডিএমপি থেকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী বিপুল সংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা কাজ করছেন। অপ্রীতিকর কিছু যাতে না ঘটে সেজন্য স্থানীয় থানা পুলিশের পাশাপাশি সেখানে সহযোগিতায় রয়েছে সেনাবাহিনী ও র‍্যাবের সদস্যরা। মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. শাহরিয়ার আলী বলেন, আমরা সতর্ক রয়েছি। কিছু জনতা বিক্ষোভ করছেন, তাদের বাধা দেওয়া হয়নি। তবে পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার তোপের মুখে গত ৫ আগস্ট দেশত্যাগ করেন ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার দেশত্যাগের পর জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন এবং আমি তা গ্রহণ করেছি। সম্প্রতি একটি পত্রিকার সম্পাদকের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে রাষ্ট্রপতি জানান, তিনি শুনেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করেছেন, কিন্তু তার কাছে এ সংক্রান্ত কোনো দালিলিক প্রমাণ বা নথিপত্র নেই। রাষ্ট্রপতি বলেন, (পদত্যাগপত্র সংগ্রহ করার) বহু চেষ্টা করেও আমি ব্যর্থ হয়েছি। তিনি হয়তো সময় পাননি। এরপর নতুন করে রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন সরকার পতনে নেতৃত্বদানকারীরা। আরটিভি/একে/এসএ  
নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে মতামত চেয়েছে কমিশন
নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কারে পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাব জানতে চেয়েছেন নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এতে বলা হয়েছে, গত ৩ অক্টোবর নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশন গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। এই কমিশন অবাধ, অংশগ্রহণমূলক ও নিরপেক্ষ জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে সবার পরামর্শ, মতামত ও প্রস্তাবনা জানতে আগ্রহী। নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার বিষয়ে সবার অভিজ্ঞতালব্ধ ও সুনির্দিষ্ট মতামত মেইল অথবা ওয়েবসাইট বা কমিশনের ফেসবুক পেজে ১৫ নভেম্বরের মধ্যে পাঠাতে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো। মতামত পাঠানোর ঠিকানা- ই-মেইল: [email protected] ওয়েবসাইট:  https://erc.ecs.gov.bd ফেসবুক পেজ: www.facebook.com/ercbd2024 আরটিভি/এমএ
জানা গেল বিশ্ব ইজতেমার সম্ভাব্য সময় 
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী জানুয়ারি মাসে বিশ্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে ডেট এখনও নিশ্চিত করা হয়নি।   মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির ৩য় সভায় এ কথা জানান তিনি।  স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বিশ্ব ইজতেমা কীভাবে ভালোভাবে হতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আপনারা জানেন বিশ্ব ইজতেমা সাত থেকে আট বছর একটা গ্রুপ ছিল। এখন দুইটা গ্রুপ হয়ে গেছে। তাদের ভেতরে কিছু মতেরও পার্থক্য আছে। তিনি বলেন, আমরা তাদের সঙ্গে বসবো যাতে তারা সবাই ঐকমত্যে এসে ইজেতেমা ভালোভাবে করতে পারে। এটা খুবই ভালো একটা অনুষ্ঠান, আমাদের ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের জন্য বিরাট একটা অনুষ্ঠান। এখানে বহু হুজুর যান এবং তাদেন কাছ থেকে বহু দিকনির্দেশনা আসে। আমরা অনুরোধ করব, যেহেতু তারা মুরুব্বি, তারা সমাজকে দিক নির্দেশনা দেবেন। উপদেষ্টা আরও বলেন, আমরা তাদের বলবো আপনাদের নিজেদের ভেতরে যে সমস্যাটা রয়েছে সেটা নিজেরা সমাধান করতে পারলে আমাদের জন্য ভালো। আর যদি নিজেরা সমাধান করতে না পারে তাহলে আমরা বসতে পারি, কিভাবে সমাধান করে অনুষ্ঠানটি ভালোভাবে করা যায় সে বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সভায় স্বরাষ্ট্র ও কৃষি উপদেষ্টা এবং কমিটির আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সভাপতিত্বে সারাদেশে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে করণীয়; বিশ্ব ইজতেমা উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, সার্বিক নিরাপত্তা ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক বিষয়; সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও জঙ্গি প্রতিরোধ, নির্মূল ও নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ; অস্ত্র জমা ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান পরিচালনা-সহ এ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়। এতে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সদস্যরা অংশ নেন। আরটিভি/এমএ/এআর  
নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে ব্যর্থ হবে না আগামী প্রজন্ম: ফাওজুল কবির
অন্তর্বর্তী সরকার যদি ব্যর্থ হয়, তবুও জাতিকে নিরাপদ সড়ক উপহার দিতে আগামী প্রজন্ম ব্যর্থ হবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।  মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকালে ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ২০২৪’ উপলক্ষে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে সরকারের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় এ আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা। তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে যখন একটি স্বৈরাচারী সরকার ছিল, তখন মনে করেছিলাম, এর শেষ দেখে যেতে পারবো না। কিন্তু জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেখিয়ে দিয়েছে, স্বৈরাচারেরও পতন সম্ভব। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেন, ‘আমরা জাতি হিসেবে একটি সন্ধিক্ষণে আছি। সন্ধিক্ষণ বলার কারণ হচ্ছে, একটি সময় থেকে অন্য আরেকটি সময়ে উত্তরণের বেগে আছি। আমরা মনে করি, আমাদের প্রজন্ম অনেক কিছুতে ব্যর্থ হয়েছে। এর বড় দৃষ্টান্ত সড়কের ন্যূনতম নিরাপত্তাব্যবস্থা নিশ্চিত করতে না পারা। কিন্তু ২০১৮ সালে আমাদের ছাত্ররাই তাদের আত্মদানের মাধ্যমে ও সড়ক নিয়ন্ত্রণ করে দেখিয়ে দিয়েছে, আসলে কাজটা কীভাবে করা উচিত। সে সময় সড়কে যারা যাতায়াত করেছেন, তারা সবাই অনুভব করেছেন, সড়কের শৃঙ্খলা তো এমনই হওয়া উচিত। তখন দুর্ঘটনাও উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছিল। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আমরা সেটা ধরে রাখতে পারিনি।’ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমরা যে কিছু করিনি বা করতে চেষ্টা করছি না, এমন নয়। আমরা প্রথম যে পরিবর্তনটা করতে চাইছি, সড়কের দুর্ঘটনা এখন আর আমাদের কাছে কোনো পরিসংখ্যান নয়। আমরা এটিকে এখন আর পরিসংখ্যান হিসেবে দেখছি না। আমরা এটাকে একটি মানবিক বিষয় হিসেবে দেখছি। আমরা দেখছি যে সড়কে দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো ব্যক্তি কারও সন্তান, কারও বাবা, কারও ভাই। এর মাধ্যমে একটি সম্ভাবনারও মৃত্যু হয়।’ সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ আবদুল মোমেন ও বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান মো. ইয়াসীন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর