• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে ভোট চুরি নিয়ে অনুসন্ধান করবে দুদক
বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনায় ৬ সদস্যের কমিটি
বিদ্যুৎকেন্দ্রের ট্যারিফ (বিদ্যুতের দাম) পর্যালোচনায় ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। বুধবার (২২ জানুয়ারি) এক বার্তায় এ তথ্য জানায় বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়। গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের অধ্যাপক মো. কামরুল আহসানের নেতৃত্বে গঠিত কমিটিতে বিদ্যুৎ বিভাগের উপসচিব (উন্নয়ন-১) মোহাম্মদ সোলায়মানকে সদস্য সচিব করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- বিদ্যুৎ খাতের সংস্কার কমিটির আর্থিক মডেলিং বিশেষজ্ঞ ও পাওয়ারসেলের পরামর্শক তোহা মুহাম্মদ, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মনজুর আলম, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সদস্য (অর্থ) অঞ্জনা খান মজলিশ ও পরিচালক (ক্রয় পরিদপ্তর) মো. নান্নু মিয়া। বিদ্যুৎ-জ্বালানির বিশেষ বিধান বা ‘দায়মুক্তি আইনের’ আওতায় নির্মিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোর ক্রয় চুক্তিতে অসংগতি খুঁজে বের করে এ সংক্রান্ত সুপারিশ করবে কমিটি। এ ছাড়া বিশেষ আইনে করা ফার্নেস তেলভিত্তিক কেন্দ্রগুলোর বিদ্যুতের দাম পর্যালোচনা করে তা কমানো যায় কি না সে সুপারিশও করা হবে। বিদ্যুৎ বিভাগের অফিস আদেশে বলা হয়, কমিটিতে প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কোনো সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করার সুযোগ রয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনের আওতায় ৯১টি বিদ্যুৎকেন্দ্র কোনো ধরনের প্রতিযোগিতা ছাড়াই নির্মিত হয়েছে। এসব চুক্তি নিয়ে নানা প্রশ্ন ও অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। আওয়ামী লীগ সরকারের পছন্দের বিশেষ কিছু ব্যক্তিকে এসব কেন্দ্রের কাজ দেওয়ার পাশাপাশি কেন্দ্রগুলো থেকে যে বিদ্যুৎ কেনা হচ্ছে তাতে ব্যয় অনেক বেশি পড়ছে বলে জানা গেছে। দায়মুক্তি আইনের অধীনে নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে যাওয়া যাবে না। দীর্ঘদিন ধরে এটি বাতিলের দাবি তোলা হলেও তা আমলে নেয়নি আওয়ামী লীগ সরকার। যদিও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আইনটি বাতিল করা হয়। এখন কেন্দ্রগুলোর চুক্তি পর্যালোচনা করা হবে। উল্লেখ্য, ২০১০ সালে বিশেষ বিধান আইনটি করা হয় এবং দফায় দফায় মেয়াদ বাড়ানো হয়। এই আইনের অধীন নেওয়া কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে আদালতে প্রশ্ন তোলা যাবে না। এর কারণে এটি দায়মুক্তি আইন হিসেবে পরিচিত। এই আইনের অধীন দরপত্র ছাড়া আওয়ামী লীগ সরকার একটার পর একটা চুক্তি করেছিল। আরটিভি/এফএ
মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের পাঠানোর প্রক্রিয়া মার্চের মধ্যে শুরুর আশ্বাস
মোবাইল কলরেট ও ওষুধসহ কয়েক খাতে বর্ধিত ভ্যাট প্রত্যাহার
বিজিবি-বিএসএফের যৌথ সিদ্ধান্ত / সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে কৃষক ছাড়া কেউ ঢুকবে না
ঢাকাগামী বিমানে বোমা হামলার বার্তা এসেছে পাকিস্তানি নম্বর থেকে
আবেদন খারিজ, ট্রাইব্যুনালেই চলবে জুলাই গণহত্যার বিচার 
জুলাই-আগস্টে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বিচারের এখতিয়ার চ্যালেঞ্জ করে আবেদন করেছিলেন এনটিএমসির সাবেক মহাপরিচালক অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল জিয়াউল আহসান। তার সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বুধবার (২২ জানুয়ারি) এ আদেশ দেন। ট্রাইব্যুনালের অন্য সদস্যরা হলেন বিচারপতি শফিউল আলম মাহমুদ ও বিচারক মো. মহিতুল হক এনাম চৌধুরী। এর আগে, গত সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ সংক্রান্ত বিষয়ে শুনানি নিয়ে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আদেশের জন্য আজকের দিন ঠিক করেন। সেদিন আদালতে জিয়াউল আহসানের আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এম আই ফারুকী ও অ্যাডভোকেট নাজনীন নাহার। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট নাজিম উদ্দিন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। আরটিভি/এআর/এস
দুই দশক পর বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা
প্রায় দুই দশক পর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে বাংলাদেশ-পাকিস্তান যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের (জেইসি) সভা। সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ দিকে পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে এ সভা হতে পারে। সভায় উভয় দেশের মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণের পাশাপাশি যোগাযোগ বাড়ানোয় বেশি জোর দেওয়া হবে বলে জানা গেছে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) সূত্রে।  সূত্রমতে, ইতোমধ্যে এই সভার আলোচ্যসূচিসহ অন্যান্য বিষয়ে কাজ শুরু করেছেন ইআরডির কর্মকর্তারা। পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সর্বশেষ জেইসি সভা হয়েছিল ২০০৫ সালে। জানা গেছে, সভার আলোচ্যসূচিতে রাখার জন্য এরই মধ্যে পররাষ্ট্র, শিল্প, বাণিজ্য, বস্ত্র ও পাট, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষ (বেজা), বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) সহ ১৫টি দপ্তরের প্রধানের কাছে প্রস্তাব চেয়ে চিঠি দিয়েছে ইআরডি।  এ বিষয়ে ইআরডি সচিব শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী বলেন, জেইসির সভা করার জন্য পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চলছে। যেকোনো দেশের জিইসি সভার আলোচ্যসূচি ঠিক করার আগে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কাছে প্রস্তাব চাওয়া হয়। পরে সেই প্রস্তাবগুলো থেকে খসড়া আলোচ্যসূচি ঠিক করে তা সংশ্লিষ্ট দেশে পাঠাতে হয়। ওই দেশও একই প্রক্রিয়া অনুসরণ করে আমাদের কাছে প্রস্তাব পাঠায়। দুই দেশের অনুমোদনের ভিত্তিতে সভার চূড়ান্ত সূচি ঠিক করা হয়। সবশেষ ২০০৫ সালের ১২-১৩ সেপ্টেম্বর দুই দেশের মধ্যে জেইসি সভা অনুষ্ঠিত হয়। ঢাকায় অনুষ্ঠিত ওই সভায় পাকিস্তানের বাজারে শতাধিক পণ্যে শুল্কমুক্ত বাজার সুবিধা চেয়েছিল বাংলাদেশ। অন্যদিকে পাকিস্তান চেয়েছিল মুক্তবাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ)। ২০০৫ সালের পর জেইসির আর কোনো সভা হয়নি। বিশেষ করে গত আওয়ামী লীগ শাসনামলের ১৬ বছরে পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে অনেকটা দূরত্ব বজায় রাখা হয়। কিন্তু, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়ানোর আগ্রহ দেখায় পাকিস্তান। এ নিয়ে গত কয়েক মাসে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টাসহ কয়েকজন উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ঢাকায় নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ। সব সাক্ষাতেই তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য সম্প্রসারণের ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন।  এ ছাড়া গত সপ্তাহেই পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফপিসিসিআইয়ের নেতাদের নেতৃত্বে একটি ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করে। এতে নেতৃত্ব দেন সংগঠনটির সভাপতি আতিফ ইকরাম শেখ। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে বাণিজ্য জোরদার করতে তখন বিজনেস কাউন্সিল গঠনের বিষয়ে একটি সমঝোতা চুক্তি স্বাক্ষর করে এফবিসিসিআই ও এফপিসিসিআই। ইআরডি সূত্রে জানা গেছে, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে এই সভা করতে চেয়েছিল পাকিস্তান, কিন্তু প্রস্তুতি ও সময়ের অভাবে তা হয়নি। এর আগে, গত মাসে ইআরডির পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জিইসি সভার নতুন সময় নির্ধারণে পাকিস্তানকে অনুরোধ করার কথা জানানো হয়।  ইআরডির তথ্য অনুসারে, বর্তমানে ১৮টি দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের যৌথ অর্থনৈতিক কমিশন (জিইসি) আছে। দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, চীন, ভিয়েতনাম, দক্ষিণ কোরিয়া, ফিলিপাইন, থাইল্যান্ড, সৌদি আরব, ইরান, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই), রোমানিয়া, তুরস্ক ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। উল্লেখ্য, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সহজ করতে গত ছয় মাসে বেশ কিছু উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। যেমন গত ডিসেম্বর মাসে প্রথমবারের মতো সরাসরি পাকিস্তান থেকে পণ্যবাহী জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। এ ছাড়া বাংলাদেশিদের জন্য ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করেছে পাকিস্তান। দুই দেশের মধ্যে সরাসরি বিমান চলাচল ব্যবস্থা চালুর বিষয়েও আলোচনা চলছে। আরটিভি/এসএইচএম/এস
বোমা হামলার হুমকি / বিমানে তল্লাশি চালিয়ে কিছু পাওয়া যায়নি
হুমকি পাওয়া ইতালির রোম থেকে ঢাকায় আসা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিমানটিতে তল্লাশি চালিয়ে বোমা ও বোমাসদৃশ কিছু পাওয়া যায়নি। বুধবার (২২ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন কামরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুরো বিমান ও যাত্রীদের সব ব্যাগেজ চেক করেও বোমা বা বোমাসদৃশ কোনো বস্তু কিংবা বিস্ফোরক কিছু পাওয়া যায়নি। তল্লাশি শেষ হয়েছে। হুমকি ও তল্লাশির বিষয়ে গণমাধ্যমে বিস্তারিত জানানো হবে। বেবিচক এয়ারভাইস মার্শাল মঞ্জুর কবীর ভুঁইয়া চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের নিরাপত্তা যে কত সুসংহত, সেটা আমরা আজ বুঝিয়ে দিয়েছি। আমাদের প্রতিটি সদস্য আন্তরিকভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছেন। তিনি বলেন, এ ধরনের সংবাদ পাওয়ার পরপরই আমি নিজেসহ সব কর্মকর্তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করি। কোনো কিছু না পাওয়া গেলেও আমরা প্রতিটি তথ্যকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করি। নিরাপত্তার ব্যাপারে আমরা সবসময়ই জিরো টলারেন্স। এর আগে, এদিন সকালে বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ সতর্কতা জারি করে। আরটিভি/এসএপি/এস
তল্লাশি চলছে বোমা হামলার হুমকি পাওয়া বিমানে
বাংলাদেশ বিমানের বিজি-৩৫৬ নম্বর ফ্লাইটে বোমা হামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে। একটি অপরিচিত নম্বর থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফোন করে এই হুমকি দেওয়া হয়। এরই মধ্যে বিমানবন্দরে সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ৯টা ২০ মিনিটে হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের জরুরি অবতরণ করেছে। এরপর সকাল সাড়ে ১০টায় বোমা ডিসপোজাল ইউনিট প্লেনটির ভেতর প্রবেশ করে। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বিমানে তল্লাশি চলছে। জানা গেছে, বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট বিমানের ভেতরে সিট, করিডোর, টয়লেট, ক্যাফেতে তল্লাশি চালাচ্ছেন। যাত্রীদের জরুরি ভিত্তিতে নামানো হলেও তাদের হ্যান্ড ব্যাগেজ বিমানেই রয়েছে। সেগুলো একে একে তল্লাশি করা হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের টার্মিনাল ভবনে রাখা হয়েছে। কাউকে ইমিগ্রেশন করতে দেওয়া হয়নি। এয়ারক্রাফটটি পুরোপুরি নিরাপদ ঘোষণার আগ পর্যন্ত যাত্রীরা টার্মিনাল ভবনেই থাকবেন। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক বোসরা ইসলাম বলেন, আমাদের রোম ফ্লাইটে থ্রেট একটা ছিল। আমরা সবরকম ব্যবস্থা নিয়েছিলাম। কিন্তু ফ্লাইটটা ৯টা ২০ মিনিটে সুন্দরভাবে ল্যান্ড করেছে। যাত্রী ও ক্রুরা সবাই নিরাপদেই আছেন। এখন মনে হচ্ছে ওটা ছিল একটা ‍উড়োখবর। আরটিভি/এসএপি/এস
স্থানীয় সরকার নয়, জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাবছে কমিশন: ইসি মাছউদ
নির্বাচন কমিশন এই মুহূর্তে শুধুমাত্র জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) আব্দুর রহমানেল মাছউদ। বুধবার (২২ জানুয়ারি) বরিশালে নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি।  ইসি মাছউদ বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা। সেদিকেই এগিয়ে যাচ্ছে কমিশন।  আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নয়, আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভাবছে কমিশন। ইসি বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে কোনভাবেই প্রশ্নবিদ্ধ না হয় সেদিকে লক্ষ্য রেখেই নির্বাচন কমিশন কাজ করে যাচ্ছে। জনগণকে সুষ্ঠু ভোট উপহার দিতে আমাদের কমিশন প্রতিজ্ঞাবদ্ধ।  ভোটার তালিকা হালনাগাদ কর্মসূচি ২০২৫ উপলক্ষে সকালে বরিশাল আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে বরিশাল জেলার ঊর্ধ্বতন নির্বাচন কর্মকর্তারা অংশ নেন।   সভায় নির্ভুল ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের বিভিন্ন দিক-নির্দেশনা দেন নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ। ভুয়া ভোটার থাকলে প্রমাণ সাপেক্ষে বাতিলের পাশাপাশি সবাইকে যথাযথ তথ্য সহায়তায় আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।  আরটিভি/এসএইচএম
বিদেশি মিশনে কর্মরত বাংলাদেশিদের জন্য সুখবর
বিদেশি মিশনগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশিদের ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বৈদেশিক ভাতা বাড়িয়েছে সরকার। নতুন হার কার্যকর হবে ১ জানুয়ারি থেকে।  এই অর্থ পরিশোধ করা হয় বৈদেশিক মুদ্রায়। জানা গেছে, বিশ্বের ৬০ দেশে বাংলাদেশের ৮২টি মিশন রয়েছে। সেখানে কর্মরতরা নিয়মিত বেতন ও ভাতার বাইরে বৈদেশিক ভাতা পান। দেশের ভেতরের হারের বেতন-ভাতায় বিদেশে খরচ মেটানো সম্ভব হয় না বলে বৈদেশিক ভাতা দেওয়া হয়। বর্তমান হারে বৈদেশিক ভাতায় তাদের পেছনে সরকারের ব্যয় হয় ১৬৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। নতুন করে ব্যয় বাড়বে ২৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার, যা ৩৩ কোটি টাকার বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ গত রোববার বৈদেশিক ভাতা বৃদ্ধির কথা জানিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে চিঠি পাঠিয়েছে। তার আগে গত বৃহস্পতিবার অর্থ বিভাগের এ–বিষয়ক উপস্থাপিত প্রস্তাব অনুমোদন করেন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ। পররাষ্ট্রসচিবের কাছে পাঠানো চিঠিতে অর্থ বিভাগ বলেছে, ভাতা বৃদ্ধির আগে ২০১২ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ৬০ দেশের মূল্যস্ফীতির সঙ্গে দেশগুলোর মুদ্রা বিনিময় হারের সমন্বয়করণ পদ্ধতি বিবেচনা করা হয়েছে। অর্থ বিভাগ ভাতা বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক আধা সরকারি চিঠিতে জানানো অনুরোধের পরিপ্রেক্ষিতে। ওই চিঠিতে বৈদেশিক ভাতা ও আপ্যায়ন ভাতা ১০০ শতাংশ এবং শিক্ষা ভাতা ৬০ শতাংশ বৃদ্ধির দাবি ছিল। তবে অর্থনৈতিক অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্রসাধনের লক্ষ্যে অর্থ বিভাগ শুধু বৈদেশিক ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবই অনুমোদন করেছে। তা–ও কিছুটা কমিয়ে। আপ্যায়ন ভাতা ও শিক্ষা ভাতা আগের হারই বহাল থাকবে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকা অনুযায়ী সুদান, লেবানন, ইরান, ইথিওপিয়া, নাইজেরিয়া, শ্রীলঙ্কা, কেনিয়া, ভিয়েতনাম, নেপাল, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডান, ভুটান, মালদ্বীপ, মেক্সিকো, কুয়েত, সৌদি আরব, ফিলিপাইন, কাতার এবং সিঙ্গাপুর হচ্ছে এ শ্রেণিতে রাখা দেশ। চীন, ইরাক, বাহরাইন, ওমান, পাকিস্তান, রোমানিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, পোল্যান্ড, অস্ট্রিয়া, যুক্তরাজ্য, আলজেরিয়া, দক্ষিণ কোরিয়া, বেলজিয়াম নেদারল্যান্ডস, থাইল্যান্ড, মরিশাস, সুইজারল্যান্ড, জার্মানি, মরক্কো এবং ব্রুনেই দারুসসালামকে রাখা হয়েছে বি শ্রেণিতে। বাকিরা সি শ্রেণিতে স্থান পেয়েছে। তথ্য–উপাত্তে দেখা যায়, অর্থ উপদেষ্টা মাঝামাঝি একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। তিনি এ শ্রেণিতে রাখা দেশের জন্য ৩০ শতাংশ, বি শ্রেণির জন্য ২৫ শতাংশ এবং সি শ্রেণির জন্য ২০ শতাংশ পর্যন্ত ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাব অনুমোদন করেছেন। এতে বাড়তি ব্যয় হবে ২৫ দশমিক ৩৫ শতাংশ, পরিমাণে যা ২৭ লাখ ৪০ হাজার ডলার। মিশনগুলোতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাইরে অন্য মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও প্রেষণে নিয়োজিত আছেন। তাদের জন্যও এ হার প্রযোজ্য হবে এবং তাদের জন্য বাড়তি ব্যয় হবে বছরে ৬ কোটি টাকা। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, ২০১৯ সালে শিক্ষা ভাতা একবার বাড়ানো হয়েছিল। তাই এটা নিয়ে তারা কিছু বলতে চায় না। আর বৈদেশিক ভাতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় করেছিল ২০১৮ সালে। এত বছর তা অনুমোদন পায়নি। নতুন হারে নেপালে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত বৈদেশিক ভাতা পাবেন বছরে ৩ হাজার ১৯৩ ডলার (৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা)। সর্বনিম্ন স্তরের একজন কর্মচারী পাবেন ৭২২ ডলার (৮৭ হাজার টাকার বেশি)। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক সেলিম রায়হান বলেন, এখন রাজস্ব আদায় কম। এসব সিদ্ধান্ত আগামী বাজেটের সময় নেওয়া যেত। আরটিভি/এআর
দেশের ৬৮ ভাগ বাস-ট্রাকচালক কানে শোনেন না: পরিবেশ উপদেষ্টা
দেশের ৬৮ ভাগ বাস-ট্রাকচালক কানে শোনেন না বলে মন্তব্য করেছেন পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।  মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পরিবেশ অধিদপ্তরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে শব্দদূষণ নিয়ে কথা বলার সময় এ মন্তব্য করেন তিনি।  পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ঢাকার মতো এত আওয়াজের শহর পৃথিবীতে আর কোথাও নেই। শব্দদূষণ ও বায়ুদূষণে আমরা এক নম্বর। বাংলাদেশের বাস বা ট্রাকের ৬৮ ভাগ ড্রাইভার কানে শোনেন না। রিজওয়ানা হাসান বলেন, আগামী মাস থেকে আমরা হর্নের ক্যাম্পেইন শুরু করব। সেখানে ছাত্র-ছাত্রীদের পাশে চাই। তিনি বলেন, পলিথিন বন্ধের কাজ ২০০২ সাল থেকে শুরু হয়েছে। এরপর যখন ২০২৪ সালে আমরা আবার কাজটি শুরু করলাম, অনেকেই আমাদের উৎসাহ দিচ্ছেন। অনেকেই আবার মনে করছেন, কাজটি কেন তাড়াতাড়ি হয়ে যাচ্ছে না। একটু অধৈর্য হয়ে যাচ্ছেন। অনেক নেতিবাচক কথা আমাদের শুনতে হয়। এটি কোনো সমস্যা নয়। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপদেষ্টা বলেন, তোমরা দেখোনি, আমরা দেখেছি, আমাদের বাবাদের পাটের চটের ব্যাগ নিয়ে বাজারে যেতে। বাংলাদেশে একটি তর্ক শুরু হয়ে গেছে যে বিকল্প নেই। এটি ঠিক না। প্রথাগতভাবেই পলিথিনের বিকল্প বহুকাল আগে থেকেই ব্যবহার হয়ে আসছে। আমাদের বাবারা যেটা নিয়ে বাজার করতে গেছেন, সেটিই আমাদের বিকল্প। তিনি বলেন, আমরা শুধু পলিথিন শপিং ব্যাগ নিয়ে কাজ শুরু করেছি। এটি সবার স্বার্থে বন্ধ করতে হবে। না হলে আমরা আমাদের মাটি, নদী, লেক, বাঁচাতে পারব না। আরটিভি/এসএইচএম/এস