• ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
logo
বাংলাদেশ-ভারতের বাণিজ্য সম্পর্ক অত্যন্ত জোরালো: অর্থ উপদেষ্টা
দেশে ১৪ হাজার নতুন রোহিঙ্গা, অপেক্ষায় আরও ৭০ হাজার
মিয়ানমারের সামরিক জান্তা এবং আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাতের কারণে গত ৮-৯ দিনে প্রায় ১৪ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা কমপক্ষে ৩০টি পয়েন্ট দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকছে, যার মধ্যে মংডু এলাকা থেকে আসা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা বেশি। বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের নোম্যানস ল্যান্ডে আরও ৭০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষায় আছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, বাংলাদেশ যদি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারে, তবে এই দফায় আরও ১ লাখ ৫০ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশের আশঙ্কা রয়েছে। ৩ সেপ্টেম্বর পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন জানিয়েছেন যে, নতুন করে ৮ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তিনি বলেছেন, ‘এটা কীভাবে ঠেকানো যায়, সেটা আমাদের চেষ্টা করতে হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নীতিগতভাবে আমরা নতুন রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেব না, যদিও এটা বলাটা আমাদের জন্য কষ্টকর, কিন্তু আমাদের সাধ্যের বাইরে, আমরা তাদের আশ্রয় দিতে পারব না।’ সীমান্তের একাধিক সূত্র জানায়, গত ৮-৯ দিনে ১৩-১৪ হাজার নতুন রোহিঙ্গা টেকনাফ ও উখিয়ার বিভিন্ন আশ্রয়শিবিরে অবস্থান নিয়েছে। মংডু সীমান্তে আরও ৬০ থেকে ৭০ হাজার রোহিঙ্গা জড়ো হয়ে বাংলাদেশে প্রবেশের অপেক্ষা করছে। নাফ নদী ও সীমান্তে বিজিবি ও কোস্টগার্ডের কড়া নজরদারির মধ্যেও নানা কৌশলে তারা বাংলাদেশে ঢুকছে। কিছু দালাল তাদের অর্থ নিয়ে ঢুকতে সাহায্য করছে। উখিয়া ক্যাম্পের রোহিঙ্গা নেতা ইউনুস আরমান বলেছেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি রাখাইন রাজ্যের মংডুতে যুদ্ধ তীব্র হচ্ছে। মংডু টাউনে থাকা সেনা ও বিজিপির দুটি ব্যারাক দখলের জন্য মরিয়া আরাকান আর্মি। গোলাগুলি ও মর্টার শেল, গ্রেনেড-বোমা ব্যবহার করা হচ্ছে, মাঝে মাঝে ড্রোন হামলাও চলছে।’ রোহিঙ্গাদের ৯ নাম্বার ক্যাম্পের এক নাম্বার ব্লকের হেড মাঝি মোহাম্মদ হোসেন বলেছেন, ‘প্রতিদিন নতুন রোহিঙ্গারা আসছেন। তারা নাফ নদী ও অন্যান্য সীমান্ত থেকে আসছেন। স্থানীয় কিছু লোক তাদের বাংলাদেশে প্রবেশে সহায়তা করছে। সবাই ক্যাম্পে আসছে না, ক্যাম্পের বাইরেও তারা অবস্থান করছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘মংডুতে চলমান তীব্র সংঘাতের কারণে রোহিঙ্গারা সেখানে টিকতে পারছেন না। তারা মিয়ানমারের সামরিক জান্তা ও আরাকান আর্মির হামলা ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন।’ টেকনাফের সাবেক কাউন্সিলর নুরুল বাসার বলেন, ‘৫ আগস্ট সরকার পতনের পর কয়েক দিন সীমান্ত দিয়ে ব্যাপকভাবে রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে। এখনও বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে প্রবেশ অব্যাহত রয়েছে। দালালরা তাদের ঢুকতে সহায়তা করছে। তারা প্রথমে কক্সবাজারে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকছে, পরে আত্মীয়-স্বজনের মাধ্যমে ক্যাম্পে আশ্রয় নিচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘নতুন রোহিঙ্গা প্রবেশের কারণে আমরা আতঙ্কিত। আমরা ইতিমধ্যেই সংখ্যালঘু হয়ে যাচ্ছি, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তবে ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে।’ কক্সবাজারে অতিরিক্ত শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দ্দৌজা বলেন, ‘প্রতিদিন ক্যাম্পে নতুন রোহিঙ্গারা আসছে। এটা স্পষ্ট যে, সীমান্ত থেকে নতুন করে রোহিঙ্গারা ঢুকছে। তবে আমরা এখনও তাদের কোনো তালিকা তৈরি শুরু করিনি। সরকার থেকে এ বিষয়ে কোনো নির্দেশনা পাইনি।’ মিয়ানমারে বাংলাদেশের সাবেক সামরিক অ্যাটাশে ও সাবেক রাষ্ট্রদূত মো. শহীদুল হক বলেন, ‘যদি রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঠেকানো না যায়, তাহলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা হুমকির মুখে পড়বে। ইতিমধ্যেই ক্যাম্পে মাদক, অস্ত্র ব্যবসা ও নানা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব তৈরি হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনই এই সমস্যা সমাধানের সময়। সরকারের উচিত কূটনৈতিক তৎপরতা জোরদার করা। আমরা নতুন রোহিঙ্গা নিতে পারব না।’ আরেক সাবেক কূটনীতিক ও কসোভোতে সাবেক ইউএন আঞ্চলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেটর এস এম রাশেদ আহমেদ চৌধুরী বলেন, ‘জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের আসন্ন অধিবেশনে আশা করি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস রোহিঙ্গা ইস্যুটি শক্তভাবে তুলে ধরবেন। তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। আশা করি, তার প্রচেষ্টায় কাজ হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনই সময় কূটনৈতিক প্রচেষ্টা জোরদার করে এই সমস্যা সমাধানের। রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবসনই একমাত্র সমাধান। প্রয়োজনে আমাদের আরাকান আর্মির সাথে ভিন্ন চ্যানেলে কথা বলতে হবে।’ ‘আমাদের কূটনৈতিক প্রচেষ্টার সাথে দৃশ্যমান শক্তি দেখাতে হবে। একটি দেশে সীমান্তের ওপার তো নন-স্টেট অ্যাক্টরদের দখলে থাকতে পারে না’ বলেন মো. শহীদুল হক। সূত্র: ডয়চে ভেলে আরটিভি/এআর-টি
আবু সাঈদ হত্যা: দুই পুলিশ সদস্য ৪ দিনের রিমান্ডে 
বাংলাদেশে ভারতের সহযোগিতায় চলমান প্রকল্পের কাজ চালু থাকবে: প্রণয় ভার্মা
খরচের লাগাম টানতে বাতিল হচ্ছে অপ্রয়োজনীয় উন্নয়ন প্রকল্প
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য 
আসামির আইনজীবী না থাকলে সহায়তা দেবে লিগ্যাল এইড
আদালতে কেউ যেন আইনি সহায়তা থেকে বঞ্চিত না হন, তা নিশ্চিতে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার আলোকে  আইনি সহায়তা দেবে জাতীয় আইনগত সহায়তা সংস্থা (লিগ্যাল এইড)।  সুপ্রিম কোর্টের গণসংযোগ কর্মকর্তা মো. শফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গত ২৫ আগস্ট প্রধান বিচারপতির নির্দেশক্রমে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে নির্দেশনা দেওয়া হয় যে, আইনের শাসন ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় আদালতে উপস্থিত সব আসামির আইনগত সহায়তা নিশ্চিত করা আবশ্যক। আদালতে উপস্থিত আসামির কেউ যেন আইনগত সহায়তা বঞ্চিত না থাকেন তা নিশ্চিত করতে অধস্তন আদালত বা ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত আসামির পক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকলে ওই আসামির জন্য লিগ্যাল এইডের আইনজীবী প্যানেল থেকে আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে।  আদালতে উপস্থিত কোনো আসামির পক্ষে আইনজীবী নিযুক্ত থাকলে ওই আইনজীবী যেন নির্বিঘ্নে ও বাধাহীনভাবে তাদের পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে পারেন সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতা করার নির্দেশনা দেওয়া হয় বলে জানান গণসংযোগ কর্মকর্তা। তিনি জানান, সুপ্রিম কোর্টের জারি করা বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থাও বিষয়টি নিয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে। এতে বলা হয়, জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান নীতিমালা, ২০২৪ এর অনুচ্ছেদ ২-এর উপ-অনুচ্ছেদ (১) (থ) অনুযায়ী উদ্ভূত কোনো বিশেষ পরিস্থিতির কারণে আদালতে উপস্থিত আসামি যদি কোনো আইনজীবী নিযুক্ত করতে না পারেন, তাহলে ওই আসামিকে অসমর্থ ব্যক্তি হিসেবে গণ্যক্রমে লিগ্যাল এইডের আইনজীবী প্যানেল থেকে আইনজীবী নিয়োগ করার মাধ্যমে আইনগত সহায়তা দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করা হয়। সূত্র: বাসস আরটিভি/এমএ-টি
ইতালির ভিসা আবেদনকারীদের জন্য সুখবর
ভিসা প্রত্যাশীদের হয়রানি ও ভোগান্তি লাঘব এবং ভিসা প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে টাস্কফোর্স গঠনের কথা জানিয়েছে ইতালি দূতাবাস। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে ঢাকায় অবস্থিত ইতালির দূতাবাস। এতে ইতালি দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা প্রত্যাশী‌দের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার আবেদনকারীদের কয়েকজন প্রতিনিধিকে নিয়ে দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন বৈঠক করে। বৈঠকে ইতালিতে কাজের ভিসা প্রক্রিয়াকরণে বিদ্যমান বিলম্বের জন্য আইনি, প্রযুক্তিগত এবং লজিস্টিক বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয় দূতাবাস। বৈঠকে প্রক্রিয়াকৃত আবেদনের আউটপুট বাড়ানোর জন্য দূতাবাস অঙ্গীকারের আশ্বাস দিয়েছে এবং একটি ডেডিকেটেড টাস্কফোর্স গঠনসহ রোমে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে গ্রহণ করা কিছু উদ্যোগ উপস্থাপন করেছে। সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দূতাবাস জানিয়েছে, ভিসা প্রক্রিয়াকরণের সঙ্গে ভিএফএস গ্লোবালের কিংবা তাদের কর্মচারী কারও সম্পৃক্ততা নেই। ঢাকা এবং বিশ্বের অন্যান্য স্থানে ভিএফএস গ্লোবাল ভিসা অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যান বা তার সময় সংক্রান্ত কোনো সিদ্ধান্তে অংশ না নিয়ে এবং ভিসার আবেদনপত্র ফাইল করার অ্যাপয়েন্টমেন্ট সময়সূচিতে অংশ না নিয়ে ইতালির দূতাবাসের পক্ষে এবং কঠোর নির্দেশের অধীনে কাজ করে। ভিএফএস গ্লোবাল বা এর কর্মীদের কোনো সম্পৃক্ততা ছাড়াই আবেদনকারীদের জমা দেওয়া তথ্যের ওপর যথাযথ চেক এবং নিয়ন্ত্রণের পর দূতাবাস দ্বারা অ্যাপয়েন্টমেন্ট দেওয়া হয়। ভিসা ইস্যু করা রাষ্ট্রের একচেটিয়া ক্ষমতার আওতায় পড়ে। এতে আরও বলা হয়েছে, অতএব, বাংলাদেশি নাগরিকদের ইতালীয় কাজের ভিসা মুক্তি বা অস্বীকার সংক্রান্ত সব সিদ্ধান্ত, সেইসঙ্গে তাদের সময়, পদ্ধতি, নিয়ন্ত্রণ এবং সময়সীমা, ইতালির আইন দ্বারা একচেটিয়াভাবে নিয়ন্ত্রিত হয়। দূতাবাসের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ এবং আপিল প্রযোজ্য ইতালির আইন ও প্রবিধান অনুসারে ইতালিতে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করা যেতে পারে। এর আগে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করতে সোমবার সকালে বাংলাদেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
বগুড়ায় স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা খুন, ঘাতক সন্দেহে যুবককে হত্যা
বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৫) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এই ঘটনায় ঘাতক সন্দেহে এক যুবককে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাতে সদরের গোকুল ইউনিয়ন পরিষদের সামনে নিজ অফিসে মিজানকে হত্যা করা হয়। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে লেদো নামের এক যুবককে হাসপাতালে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করা হয়েছে। জানা যায়, সোমবার রাত অনুমান ৯টায় একদল দুর্বৃত্ত মোটরসাইকেলযোগে এসে মিজানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরিভাবে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে গুরুতর আহত অবস্থায় ফেলে রেখে চলে যায়। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে তাকে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মিজান গোকুল উত্তরপাড়ার আফসার আলীর ছেলে। এদিকে ঘাতক সন্দেহে রাতেই গোকুল এলাকায় স্থানীয় লোকজন লেদোকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে মিজানের অফিসে আটক করে রাখে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে গুরুতর আহত লেদোকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু ভর্তির আগেই সেখানে উপস্থিত বিক্ষুব্ধ জনতা লেদোকে ফের গণপিটুনি দিলে রাত আনুমানিক ১১টায় তিনি মারা যান । লেদোর মৃত্যুর বিষয়টি বগুড়া মেডিকেল পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) রুবেল হোসেন নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্র জানায়, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। কিছুদিন আগেও হত্যার উদ্দেশে তার ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ সহ যৌথবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।  এদিকে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা মিজানের মৃত্যুর খবরে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে ছুটে যান বগুড়া জেলা বিএনপি’র সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদার হেনা, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি মোশারফ হোসেন ও স্বেচ্ছাসেবক দল, যুবদল, ছাত্রদলসহ বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুর রশিদ হাসপাতালে  উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘হত্যাকান্ডের তদন্তের বিষয়টি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। পুলিশের একাধিক টিম হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের চিহ্নিত করতে কাজ শুরু করেছেন। তাদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে পুলিশ তৎপর রয়েছে।’
বঙ্গবন্ধুর পরিবারের বিশেষ নিরাপত্তায় করা আইন বাতিল
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যদের সুরক্ষার জন্য প্রণীত ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ বাতিল করা হয়েছে।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) ‘জাতির পিতার পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা (রহিতকরণ) অধ্যাদেশ, ২০২৪’ জারি করেছেন রাষ্ট্রপতি। এর মাধ্যমে ‘জাতির পিতা পরিবার-সদস্যগণের নিরাপত্তা আইন, ২০০৯’ বাতিল হলো।  এর আগে গত ২৯ আগস্ট উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। খসড়া অনুমোদনের সময় জানানো হয়, কেবল একটি পরিবারের সদস্যদের রাষ্ট্রীয় বিশেষ সুবিধা প্রদানের জন্য আইনটি করা হয়েছিল যা সুস্পষ্ট বৈষম্য। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার সব বৈষম্য দূরীকরণে দৃঢ় প্রত্যয় গ্রহণ করেছে। এখন সংসদ না থাকায় অধ্যাদেশ জারির মাধ্যমে নিরাপত্তা দেওয়ার আইনটি রহিত করা হলো। নিরাপত্তা রহিতকরণ অধ্যাদেশ এর খসড়া লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগের ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্তভাবে অনুমোদন দেয় উপদেষ্টা পরিষদ। জানা গেছে, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১, যেটি বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের ‘তাদের অবস্থান নির্বিশেষে’ রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর মতো ভিভিআইপি হওয়া ছাড়াও একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে– সেটি সংশোধন করা হয়েছে। এর ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা, তাদের সন্তান এবং সন্তানদের স্বামী-স্ত্রী ও নাতি-নাতনিদের নিরাপত্তার জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) নিরাপত্তা সুবিধা, নিরাপদ আবাসনসহ সরকার থেকে প্রয়োজনীয় অন্যান্য সুবিধা বাতিল হয়ে গেল। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯ প্রণয়ন করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবিত দুই কন্যা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছোট বোন শেখ রেহানা এবং তাদের সন্তানদের আজীবন বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়। এই আইনের অধীনে একজন ‘ভেরি ভেরি ইম্পর্ট্যান্ট পারসন (ভিআইপি)’-এর জন্য স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স (এসএসএফ) যে ধরনের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করে, তাদের জন্যও আজীবন একই ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কথা বলা হয়েছে। বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১ সালে প্রণীত হয় যাতে ভিভিআইপি যেমন রাষ্ট্রপতি এবং বঙ্গবন্ধুর পরিবারের সদস্যদের যেকোনো স্থানে সমান নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়। যদি কোনো ব্যক্তি এই ব্যক্তিদের শারীরিক নিরাপত্তার জন্য হুমকি সৃষ্টি করে, তাহলে এসএসএফ সদস্যদের তাকে গ্রেপ্তার করার ক্ষমতা রয়েছে। ওই ব্যক্তি গ্রেপ্তার এড়ানোর চেষ্টা করলে কিংবা গ্রেপ্তার প্রচেষ্টায় বাধা দিলে, যথাযথ হুঁশিয়ারি প্রদানের মাধ্যমে এসএসএফ তার বিরুদ্ধে প্রাণঘাতী বলপ্রয়োগ বা যেকোনো প্রয়োজনীয় উপায়ে হুমকি নিরসন করতে পারে। এই আইনের আওতায় এসএসএফ-এর সদস্যদের কৃতকর্মের জন্য সরকারের পূর্ব অনুমোদন ছাড়া কোনো মামলা করা যায় না। গত ৫ আগস্ট জনরোষে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর এই দুই আইনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। রিটে ‘জাতির পিতার পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা আইন ২০০৯’ এবং ‘বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী আইন ২০২১’ এর ধারা ২(খ), ২(গ), ৮(১), ৮(৩), ৮(৪) এবং ৯(২); যেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পরিবারের সদস্যগণ লেখা আছে সেগুলো অসাংবিধানিক এবং অবৈধ ঘোষণা করার জন্য রিট করা হয়েছে। রিটে আইন সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, অর্থ সচিব, বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনীর ডিজি এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, শেখ রেহানার ছেলে রেদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি এবং শেখ রেহেনার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও আজমিনা সিদ্দিক রুপন্তিকে বিবাদী করা হয়েছে।
‘রাস্তাঘাটের স্থায়িত্ব কম হলেও ব্যয় করেছে অত্যধিক’
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণব্যয় অত্যধিক কিন্তু এর স্থায়িত্ব কম বলে মন্তব্য করেছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয়ে এলজিইডির আওতায় বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ও অগ্রগতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। এ এফ হাসান আরিফ বলেন, দেশের রাস্তাঘাট নির্মাণব্যয় অত্যধিক, এমন অভিযোগ প্রায় আসে। এলজিইডির দুর্নীতির ক্ষেত্রগুলো চিহ্নিত করতে হবে। ছাত্র-কৃষক-শ্রমিক জনতার অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে যে নতুন বাংলাদেশের সূচনা হলো তার একমাত্র লক্ষ্য রাষ্ট্র সংস্কার। এই সংস্কার করতে দুর্নীতিকে নির্মূল করতে হবে। বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলা করাই এখন একান্ত জরুরি মন্তব্য করে তিনি বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় রাস্তাঘাটের প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এরই মধ্যে অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। দ্রুততম সময়ে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামত করতে হবে। কাজের গুণগতমানের সঙ্গে কোনো আপস করা যাবে না বলে জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, দুর্যোগকালীন একটি গোষ্ঠী খুশি হয়। প্রাকৃতিক দুর্যোগে এসব গোষ্ঠীর হয়তো দুর্নীতির নতুন ক্ষেত্র তৈরি হয়। কিন্তু এসবকে গুরুত্ব দেওয়া যাবে না। এ ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। দেশের গ্রাম-বাংলার রূপ পরিবর্তনের প্রধান কারিগর স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। এসময় উপস্থিত ছিলেন, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মো. আলি আখতার হোসেন, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান, অতিরিক্ত সচিব ড. শের আলী খান এবং মো. নজরুল ইসলামসহ আরও অনেকে।
মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে সারজিসের বার্তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়করা দেশের ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় কর্মসূচি শুরু করেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবারের কর্মসূচি নিয়ে বার্তা দিয়েছেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম। সোমবার (৯ সেপ্টম্বর) রাতে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেন তিনি। এতে সারজিস আলম বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের সংগ্রামী সহযোদ্ধাদের সাথে মঙ্গলবার দেখা হচ্ছে ইনশাআল্লাহ।’  স্ট্যাটাসে তিনি সাক্ষাতের সময় ও স্থান জানিয়ে বলেন, ‘বিকাল ৩টায় পৌর স্টেডিয়ামে দেখা হবে।’ এর আগে রোববার থেকে ছাত্র-জনতার সঙ্গে মতবিনিময় শুরু করেন আন্দোলনের সমন্বয়কেরা। এ দিন সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ চট্টগ্রাম এবং মুন্সিগঞ্জ যান সারজিস আলম।
মালয়েশিয়ায় ড্রেন নির্মাণের সময় দেয়াল ধসে ২ বাংলাদেশি নিহত
মালয়েশিয়ায় ড্রেন নির্মাণের সময় কংক্রিটের দেয়াল ধসে পড়ে মাটিচাপায় দুই বাংলাদেশি শ্রমিক নিহত হয়েছেন। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে শাহ আলম-সেলাঙ্গর রাজ্যের নির্মাণ সেক্টরে একটি বড় ইউ বক্স-কালভার্টের কাজ করতে গিয়ে এলমিনা রিজ দেনাই আলম ইউ-১৫ কনস্ট্রাকশন প্রজেক্টে এ দুর্ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিক পুলিশ নিহতদের বিস্তারিত পরিচয় প্রকাশ করেনি। জানা গেছে, ঘটনাস্থলে তিন বাংলাদেশি শ্রমিক কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ কংক্রিটের দেয়াল ধসে পড়ে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ টিম বোম্বা। পরে ময়নাতদন্ত ও পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য তাদের লাশ সুঙ্গাই বুলোহ হাসপাতালে প্রেরণ করে পুলিশ। শাহ আলম জেলার ডেপুটি পুলিশ প্রধান, সুপারিন্টেনডেন্ট রামসে আনাক এমবোল বলেন, দুই নিহত শ্রমিকের মধ্যে একজনের বয়স ২৫ বছর এবং অন্যজনের ৩০ বছর। নির্মাণাধীন কংক্রিটের দেয়াল ধসে মাটিচাপা পড়ে মাথায় ও শরীরে গুরুতর আঘাতের কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। মালয়েশিয়ার ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ ডিপার্টমেন্ট (জেবিপিএম) সেলাঙ্গরের পরিচালক মো. রাজালি ওয়ান ইসমাইল জানান, তার দল সকাল সাড়ে ১০টায় এই ঘটনার বিষয়ে একটি ফোন পেয়েছিল। এরপরে বুকিত জেলুটং ফায়ার অ্যান্ড রেসকিউ স্টেশনের (বিবিপি) কর্মকর্তা ও সদস্যদের একটি দল ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাদের উদ্ধার করেন।