• ঢাকা সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
logo
অপরাধের সাম্রাজ্যে এখনও দাপুটে গোল্ডেন মনির
সাবেক ভূমিমন্ত্রীর অর্থপাচার অনুসন্ধানে সিআইডি
সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও চট্টগ্রাম-১৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক সংসদ সদস্য সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্বার্থসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিদেশে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। বিভিন্ন উৎস থেকে প্রাপ্ত তথ্য ও অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র, লন্ডন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং সিঙ্গাপুরে অর্থপাচারের অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। জানা গেছে, ২০০৫ সালে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্রে নাহার ম্যানেজমেন্ট ইনকর্পোরেটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠান খোলেন। ওই বছর থেকে বিভিন্ন সময়ে এই প্রতিষ্ঠানের নামে যুক্তরাষ্ট্রে ৯টি ফ্ল্যাট কেনেন। ২০১৪ ও ২০১৫ সালে কম্পিউটার সফটওয়্যার ব্যবসা করার জন্য দুবাইয়ে র‌্যাপিড র‌্যাপ্টর এফজিই এবং জেবা ট্রেডিং এফজিই নামে ২টি প্রতিষ্ঠান খোলেন। এ ছাড়া তার স্ত্রী রুখমিলা জামান চৌধুরীর নামে আল-বারশা সাউথ-থার্ড এলাকায় কিউ গার্ডেন্স ও বুটিক রেসিডেন্সে ২টি ফ্ল্যাট কেনেন, যার দাম ২২ লাখ ৫০ হাজার ৩০০ দিরহাম। ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং আরব আমিরাতে ৬২০টি বাড়ি কেনেন, যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৮ কোটি ডলার। ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে তিনি ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত নিজের ও স্ত্রী রুখমিলা জামানের নামে যুক্তরাজ্য ও দুবাইয়ে ৮টি প্রতিষ্ঠান খোলেন, যার স্থায়ী ও চলতি সম্পদের মূল্য ২১ কোটি ৭২ লাখ ৬০ হাজার ডলার। অভিযোগ রয়েছে যে, বাংলাদেশ হতে পাচারকৃত অর্থ দিয়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতে এসব কোম্পানি খুলে বিনিয়োগ করেছেন। এ ছাড়াও বাংলাদেশ ব্যাংক এখন পর্যন্ত যে ২১টি প্রতিষ্ঠানকে বিদেশে বিনিয়োগের অনুমোদন দিয়েছে সেই তালিকায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী বা তার পরিবারের কারও নাম নেই। ভোটের আগে নির্বাচন কমিশনে সাইফুজ্জামান চৌধুরী যে সম্পদ বিবরণী জমা দেন, সেখানে তার বিদেশে থাকা সম্পদের কোনো তথ্য নেই। অর্থপাচার, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন অনুসারে একটি সম্পৃক্ত অপরাধ বিধায় সাইফুজ্জামান চৌধুরী এবং তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে সিআইডির ফাইন্যান্সিয়াল ক্রাইম ইউনিট। আরটিভি/এআর/এসএ
উপদেষ্টার সঙ্গে রাষ্ট্রপতির মিথ্যা ফোনালাপ তৈরি, যুবক গ্রেপ্তার
আস-সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের নাম ভাঙিয়ে অর্থ হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক আটক
সাবেক পাটমন্ত্রীর স্ত্রী হাসিনা গাজীকে খুঁজছে পুলিশ
৩০০ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করেছে বিএফআইইউ
৪০০ কোটির পিয়ন জাহাঙ্গীরের ‘ভাতিজা’ পরিচয়ে শতকোটি কামাই এসআইয়ের
পেশায় পুলিশ কর্মকর্তা, কিন্তু দাপট দেখাতেন জাহাঙ্গীর আলমের ‘ভাতিজা’ পরিচয়ে; সেই জাহাঙ্গীর, যিনি কিনা সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন হিসেবে দেশব্যাপী পরিচিত ইতোমধ্যে। অভিযোগ আছে, জাহাঙ্গীরের ‘ভাতিজা’ হওয়ার দাপট দেখিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখতেন নিজের পুরো ডিপার্টমেন্টকে। এমনকি তাকে সমীহ করে চলতেন জেলার এসপি পর্যন্ত। বিগত সরকারের আমলের এমনই এক দাপুটে এসআইয়ের সন্ধান পাওয়া গেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশে, যার নাম জয়নাল আবেদীন।  জানা গেছে, কুমিল্লা জেলা পুলিশের রিজার্ভ অফিসার (আর.ও-১) থাকার সুবাদে অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শতকোটি টাকার সম্পদের মালিক হয়েছেন এসআই জয়নাল আবেদীন। এ পদে বসে শুধু কুমিল্লাতেই নয়; ঢাকা ও নোয়াখালীতেও স্ত্রী, শ্বশুর, স্বজন এবং নিজ নামে গড়েছেন অঢেল সম্পদ। নিয়োগ, বদলি ও নানা তদবির বাণিজ্য করে হাতিয়ে নিয়েছেন কোটি কোটি টাকা।  প্রসঙ্গত, পুরো জেলার পুলিশের এসআই, এএসআই, কনস্টেবল পদে বদলির প্রস্তাব তৈরি ও তদারকি করেন আর.ও-১। আর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪০০ কোটি টাকার পিয়ন জাহাঙ্গীর আলমের ‘ভাতিজা’ পরিচয়কে অবলম্বন করে নিজের পদের পূর্ণাঙ্গ অপব্যবহার করেছেন জয়নাল আবেদীন। নিয়োগ, বদলি ও তদবির বাণিজ্যে ঘুরিয়েছেন ছড়ি।  ক্ষমতার দাপটে শুধু দুর্নীতিই নয়, নারী পুলিশ সদস্যদের উত্ত্যক্ত ও যৌন হয়রানি করতেন বলেও অভিযোগ আছে এসআই জয়নালের বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর অভিযোগ করেও না কি প্রতিকার মেলেনি কোনো ভিকটিমের। জানা যায়, নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার খিলপাড়ার বাসিন্দা অভিযোগের স্তূপে নিমজ্জিত এ পুলিশ কর্মকর্তা। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর আস্তানা গাড়েন কুমিল্লা জেলা পুলিশে। জেলার একাধিক ইউনিটে চাকরি করার পর বিয়ে করেন নাঙ্গলকোট থানার ভুশ্চি এলাকায়। পরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পিওন জাহাঙ্গীর আলমের প্রভাবে বাগিয়ে নেন জেলা পুলিশের গুরুত্বপূর্ণ পদ আর.ও-১। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, আর.ও-১ পদে বসে জয়নাল এসআই, এএসআই ও কনস্টেবল পদে বদলি বাণিজ্যে জড়িয়ে পড়েন। গুরুত্বপূর্ণ থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র এবং বিভিন্ন ইউনিটে পোস্টিং বাণিজ্য করে হাতিয়ে নেন কোটি কোটি টাকা। কোনো পুলিশ সদস্য কিংবা কর্মকর্তা জয়নালের চাহিদা অনুসারে ঘুষ দিতে রাজি না হলে তার ঠিকানা হতো পাহাড়ি অঞ্চলে। জেলার সব থানা ফাঁড়ি ও তদন্তকেন্দ্রে ক্যাশিয়ার ও মুনশিদের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা আদায় করতেন এসআই জয়নাল। অর্থের বিনিময়ে করতেন মাদকসহ বিভিন্ন মামলার তদবিরও। ভুক্তভোগী এক সাব-ইনস্পেকটর বলেন, আর.ও-১ জয়নাল সকালে ভুয়া বদলির আদেশ দেখিয়ে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে বিকেলে আবার তা প্রত্যাহার করে নিতেন। এসআই টিপু বিশ্বাস বলেন, আর.ও-১ জয়নাল আমাকে হয়রানি করে এক মাসে ১২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসআই মোহাম্মদ সোহেল বলেন, আমার কাছ থেকে ৫ লাখ টাকা নিয়ে এক মাসের মধ্যে আবার আমাকে জেলা থেকে বের করে দিয়েছেন। কুমিল্লা পুলিশ সূত্র অনুযায়ী, ২০১৪ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ৫ বছর আর.ও-১ পদে বহাল ছিলেন এসআই জয়নাল। দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগে তাকে দফায় দফায় বদলির আদেশ করা হলেও তা শেষ পর্যন্ত কার্যকর হয়নি। মাঝেমধ্যে শেখ হাসিনার বিতর্কিত পিয়ন জাহাঙ্গীরকে প্রটোকল দিয়ে কুমিল্লায় এনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতেন এ পুলিশ কর্মকর্তা। শেষমেশ ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় পদাবনতি দেওয়া হয় তাকে। এসআই থেকে তিন বছরের জন্য এএসআই করা হয় জয়নাল আবেদীনকে। কিন্তু পিয়ন জাহাঙ্গীরের প্রভাবে দেড় বছরের মধ্যে আবারও এসআই পদে বহাল করা হয় তাকে। ওই বছরই রংপুরে বদলি করা হয় বিতর্কিত এ পুলিশ কর্মকর্তাকে। সেখানে থানা এবং ডিএসবি মিলিয়ে চার বছর কাটান। পরে ২০২৩ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বদলি করা হয় এসআই জয়নালকে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পুলিশে যোগদানের পরপরই নারী কেলেঙ্কারির অভিযোগে আবারও ক্লোজ করা হয় তাকে। তার অনৈতিক কর্মকাণ্ডের দুটি ভিডিও ফেসবুকে ভাইরালও হয়। প্রায় এক বছর জেলা পুলিশের কন্ট্রোল রুমে সংযুক্ত থাকার পর আবার প্রভাব খাটিয়ে আশুগঞ্জ থানায় পোস্টিং নেন এসআই জয়নাল। বর্তমানে ওই থানার সেকেন্ড অফিসার পদে দায়িত্বরত আছেন তিনি। কুমিল্লা নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকার বাসিন্দা ইফতেখার আহমেদ বলেন, বাগিচাগাঁও এলাকায় এসআই জয়নালের ২০ কোটি টাকা মূল্যের ৪ তলা একটি বাণিজ্যিক ভবন রয়েছে। বেক্সিমকো ফার্মার কাছে ভবনটি ভাড়া দেওয়া হয়েছে। নগরীর পৃথক এলাকায় তার আছে একাধিক ফ্ল্যাট ও প্লট।  নাঙ্গলকোট উপজেলার ভুশ্চি এলাকার মোবারক হোসেন বলেন, এসআই জয়নালের শ্বশুর পেশায় একজন স্কুলশিক্ষক। অথচ তার জমি ২০-৩০ বিঘার নিচে হবে না। চতুর জয়নাল বিঘায় বিঘায় কৃষিজমি কিনেছেন শ্বশুরের নামে।  অবশ্য এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন এসআই জয়নাল আবেদীন। তার ভাষ্য, ষড়যন্ত্র করে নারী দিয়ে বারবার তাকে ফাঁসানো হয়েছে। এসব ঘটনায় বিভাগীয় শাস্তি ভোগ করতে হয়েছে তাকে।  এদিকে শতকোটি টাকার সম্পদের কথা অস্বীকার করলেও কুমিল্লায় নিজের নামে একটি বাণিজ্যিক ভবন আছে বলে স্বীকার করেছেন এসআই জয়নাল আবেদীন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ডিবি হারুন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব তলব
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ ও তার পরিবারের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করা হয়েছে।  রোববার (২০ অক্টোবর) জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল দেশের সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, জাতীয় সঞ্চয় অধিদপ্তর ও ডাক বিভাগের কাছে থাকা হিসাবের তথ্য জানতে চেয়েছে। এনবিআরের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (সিআইসি) সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে। জানা গেছে, হারুন ছাড়াও তার মা-বাবা, স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে বা বোনের যৌথ নামে অথবা ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের নামে থাকা ব্যাংক হিসাবের তথ্যও তলব করা হয়েছে।  এর আগে, হারুন ও তার পরিবারের ব্যাংক হিসাব জব্দ করেছিল বাংলাদেশ ফিন্যানশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তার দুর্নীতি ও অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে তত্পর দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এবার কর ফাঁকি ধরতে মাঠে নামল সিআইসি। নাম প্রকাশ না করার শর্তে সিআইসির একজন কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমকে জানান, ডিবি হারুনের বিপুল সম্পদ অর্জনের বিষয়টি তাদের সামনে এসেছে, একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে যা তার বৈধ আয়ের সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়। বিভিন্ন মাধ্যমে অর্থপাচার ও কর ফাঁকির বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। আরটিভি/এআর/এসএ
এস আলমের কালো টাকা সাদা করে ৩ কর্মকর্তা বরখাস্ত 
এস আলম গ্রুপের কালো টাকা অবৈধভাবে সাদা করার দায়ে সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন এক অতিরিক্ত কমিশনারসহ তিন আয়কর কর্মকর্তা।  বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। বরখাস্ত কর্মকর্তারা হলেন, চট্টগ্রাম কর আপিল অঞ্চলের অতিরিক্ত কর কমিশনার সাইফুল আলম, ঢাকা কর অঞ্চল-১৪ এর যুগ্ম কর কমিশনার এ কে এম শামসুজ্জামান এবং চট্টগ্রাম কর অঞ্চল-২ এর সহকারী কর কমিশনার আমিনুল ইসলাম। এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, চট্রগ্রামের কর অঞ্চল-১ এর করদাতা এস আলম গ্রুপ। আইন উপেক্ষা করে এই গ্রুপকে সুবিধা দিয়ে আসছিলেন আয়কর বিভাগের কর্মকর্তারা। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে এনবিআর। সেই ধারাবাহিকতায় তদন্ত কমিটি করা হলে তাদের প্রতিবেদনে উঠে আসে কর-কর্মকর্তাদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি। ওই প্রতিবেদনের আলোকে তিন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।   আরটিভি/এআর
অর্থপাচার ও অবৈধ আয় করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে দেশ টিভির আরিফ হাসান
সিঙ্গাপুর-কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে শত শত কোটি টাকা পাচার ও ঋণ জালিয়াতি করেও ধরাছোঁয়ার বাইরে দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান। দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) গোয়েন্দা প্রতিবেদন ও গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে অপরাধের তথ্য এলেও অজ্ঞাত কারণে এখনো নীরব সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো। তাই আইনিভাবে শাস্তির আওতায় আনা যায়নি তাকে।  মিডিয়া মাফিয়া দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসানের টাকা পাচার, ঋণ জালিয়াতি আর অবৈধ আয়ের বিষয়টি তদন্ত করে দুর্নীতি দমন কমিশন এবং বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট।   দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক শফি উল্লাহ সম্প্রতি আরিফ হাসানের অবৈধ আয়, ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচারের অনুসন্ধান করেছেন। অনুসন্ধানে বলা হয়, অভিযুক্ত আরিফ হাসান সংবাদ মাধ্যমের পরিচালকের আড়ালে অবৈধ উপায়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করে সিঙ্গাপুর ও কানাডাসহ বিভিন্ন দেশে পাচারের মাধ্যমে বিনিয়োগ করেছেন। এর মধ্যে শুধু কানাডায়ই ৫০০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। পাচার করা টাকায় কানাডায় গড়ে তুলেছেন বাড়ি। বাড়ি নম্বর ৮২, হলিউড অ্যাভিনিউ। এটি কানাডার এমটুএনথ্রিকেওয়ান নর্থইউয়র্ক, অনটারিওতে অবস্থিত।  অর্থপাচার তদন্তকালে দুর্নীতি দমন কমিশন ম্যানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ এর ১৪ এর ২ ধারা এবং দুর্নীতি দমন কমিশন বিধিমালা ২০০৭ সংশোধিত ২০১৯ এর ১৮ বিধি অনুযায়ী অভিযুক্ত আরিফ হাসানের ১৫ ব্যাংক হিসেব অবরুদ্ধ করার আবেদন করেন। যেসব ব্যাংক হিসেবে কোটি কোটি টাকার সন্দেহজনক লেনদেন হয়েছে। কিন্তু ব্যাংক হিসাবগুলো অবরুদ্ধ না করে খুলে দিতে সর্ব্বোচ্চ আদালতের আবেদন করলে তৎকালীন প্রধান বিচারপতি অভিযুক্ত আরিফের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন চায় সুপ্রিমকোর্ট।  দুদকের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অভিযুক্ত আরিফ হাসান ২০১১ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত সন্দেহজনকভাবে ছয়বার তার পাসপোর্ট পরিবর্তন করেছেন।  ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, এ পর্যন্ত তিনি ১২৮ কোটি ৭ লাখ ১৭ হাজার ৯৮৮ টাকার সম্পদ অর্জন করেছেন যা তার আয়ের সঙ্গে মিল নেই।  বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে দুর্নীতি দমন কমিশনের অনুসন্ধানকারী কর্মকর্তা জানান, যে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে ঢাকার মহাখালী ন্যাশনাল ব্যাংক থেকে হাসান টেলিকমের নামে ৩৩৫ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হয়।  অবৈধ আয়ের মাধ্যমে কানাডা সিঙ্গাপুরসহ বিভিন্ন দেশে অর্থপাচার এবং ঋণজালিয়াতির গুরুতর অভিযোগ থাকলেও বিশেষ ইশারায় এখনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বাইরেই রয়েছেন আরিফ হাসান। দ্রুত সব অপরাধের অনুসন্ধান শেষ করে অপরাধের কেন্দ্রবিন্দু দেশটিভিসহ সব সম্পদ বাজেয়াপ্তের পাশাপাশি দেশ টিভির বিশেষ ক্ষমতাধর আরিফ হাসানের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি সচেতন মহলের। আরটিভি/এআর
ফেসবুকে বেকারদের ফাঁদে ফেলত তারা
ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে ফাঁদে ফেলে বেকার যুবকদের জিম্মি করে চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সাত জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত ৯ অক্টোবর থেকে সোমবার (১৪ অক্টোবর) পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় এ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন, নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসির, আনোয়ার ওরফে তন্ময় ওরফে আকতারুজ্জামান, রোকসানা রহমান ওরফে রোকসানা, সীমা ওরফে রোকসানা আক্তার, জেসমিন ওরফে জেসমিন বেগম, মোছা. লিজা ও শাহানাজ আক্তার। খিলগাঁও থানার মামলা সূত্রে জানা যায়, বেকার যুবক ঢাকার নবাবগঞ্জের নাসির উদ্দীন। তিনি ফেসবুকে নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগের বিজ্ঞাপন দেখে ৬ অক্টোবর দুপুরে সীমা ওরফে রোকসানা আক্তারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে যোগাযোগ করেন। ওই দিন সন্ধ্যায় সীমার কথা মতো তিনি খিলগাঁও টেম্পোস্ট্যান্ড এলাকার ১৩৬ নম্বর দক্ষিণ গোড়ানের বাসায় যান। কিছুক্ষণ পর সীমা, আনোয়ারসহ কয়েকজন ওই বাসায় আসে। তারা মুহূর্তে নাসিরকে বিবস্ত্র করে মারধর এবং মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে। সেই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। সীমা নিজেকে ডিবি পুলিশের পরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ভুক্তভোগীর মায়ের কাছে মোবাইল ফোনে ১ লাখ টাকা চায়। বাদীর মা তখনই তাদের দেওয়া বিকাশ নম্বরে ৫ হাজার টাকা পাঠান। এর পর তারা ভুক্তভোগীর সঙ্গে থাকা দুটি স্বর্ণের আংটি, একটি মোবাইল ফোনসেট ও নগদ সাড়ে ৩২ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। শেষে রাত সাড়ে ১১টার দিকে তাঁকে চোখ বেঁধে মোটরসাইকেলে খিলগাঁও ফ্লাইওভারের ওপর ফেলে যায় আনোয়ার। এ ঘটনায় ৯ অক্টোবর মামলা দায়েরের পরপরই খিলগাঁও থেকে ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় সোমবার শাহানাজ আক্তার নামে আরেকজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার নাসির উদ্দিন ওরফে পিটার নাসিরের নামে হত্যা-চাঁদাবাজিসহ আটটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে ফেসবুকে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে, বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে মানুষকে প্রলুদ্ধ করতো। কেউ তাদের ফাঁদে পা দিলে তাকে জিম্মি করে অর্থ ও মূল্যবান সামগ্রী হাতিয়ে নিতো তারা। আরটিভি/এসএপি
ওবায়দুল কাদেরের দুর্নীতির অনুসন্ধান চেয়ে দুদকে আবেদন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ তিনজনের জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধান চেয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) আবেদন করা হয়েছে।  সোমবার (১৪ অক্টোবর) দুদক চেয়ারম্যান বরাবর সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী সুলতান মাহমুদ এ আবেদন করেছেন। দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে এক সংবাদ সম্মেলনে এই আইনজীবী নিজেই বিষয়টি নিশ্চিত করেন । আবেদনে ওবায়দুল কাদের ছাড়াও তার দুই ভাই আব্দুল কাদের মির্জা ও শাহাদাত কাদের মির্জার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অনুসন্ধান করার কথা মামলার আরজি জানানো হয়েছে। ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে যান শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ সরকারদলীয় সাবেক এমপি-মন্ত্রী ও নেতাকর্মীরা আত্মগোপনে চলে যান।  গত বুধবার রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ‘সড়ক ও মহাসড়ক উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে সুশাসনের চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলে সড়ক-মহাসড়কের ব্যাপক উন্নয়ন দাবি করা হলেও সড়ক খাতে ২৯ হাজার ২৩০ থেকে ৫০ হাজার ৮৩৫ কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আওয়ামী লীগের ১৫ বছরের শাসনামলে ১২ বছরই সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী হিসেবে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দায়িত্বে ছিলেন ওবায়দুল কাদের।  আরটিভি/এআর
 ১৬ বছরে সম্পদের পাহাড় গড়া শাহরিয়ার এবার ভারত ছেড়ে রাশিয়ায় 
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে শেখ হাসিনা ৫ আগস্ট দেশ ছেড়ে ভারত পালিয়ে যাওয়ার পর তার দোসররাও ভারত পালিয়ে যায়। তারা সে দেশে এখনও আছেন। ভারতে পালিয়ে যাওয়া মন্ত্রী-এমপিদের মধ্যে রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনের সাবেক সংসদ-সদস্য ও সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমও রয়েছেন। জানা গেছে, তিনি এখন আর সে দেশে নেই।  শাহরিয়ারের বর্তমান অবস্থান সম্পর্কে বাঘা-চারঘাটের বাসিন্দারা বলছেন, ৫ আগস্ট খুব ভোরে তিনি নিজ বাড়ি ছেড়ে সড়কপথে গেদে সীমান্তে পৌঁছান। এরপর তিনি ভারতে প্রবেশ করেন। ভারত থেকে থাইল্যান্ড হয়ে বর্তমানে তিনি রাশিয়ায় অবস্থান করছেন।    শাহরিয়ার ২০০৮ সালে প্রথম নির্বাচন করেন। তখন তিনি ছিলেন ব্যবসায়ী। হলফনামায় ঋণগ্রস্ত ছিলেন বলে উল্লেখ করেছিলেন। কিন্তু পরবর্তী ১৬ বছরে অভাবনীয় উত্থান ঘটে। রীতিমতো কয়েক হাজার কোটি টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির মালিক বনে যান শাহরিয়ার ও তার পরিবারের সদস্যরা। তার এই অস্বাভাবিক উত্থান দেখে বিস্মিত এলাকাবাসী ও সংশ্লিষ্টরা।     নাটোরের লালপুর উপজেলার আওয়ামী লীগের এক নেতার কন্যা সিলভিয়া পারভীন লেনিকে দ্বিতীয় বিয়ে করেন শাহরিয়ার। প্রভাব খাটিয়ে লেনির মা রোকসানা মর্ত্তুজাকে ২০২১ সালে মেয়র বানান শাহরিয়ার। ঢাকার গুলশানে লেনিকে ৩ হাজার ৬০০ স্কয়ার ফুটের রাজকীয় একটি ফ্ল্যাট উপহার দেন। লালপুরে কোটি টাকা মূল্যের বাড়ি করে দেন। এ ছাড়া গুলশানে নিজের নামে দুটি এবং ছেলের নামে একটি ফ্ল্যাট কেনেন শাহরিয়ার। জানা গেছে, রাশিয়া, ব্রাজিল ও চীনে গড়ে তুলেছেন ৮টি পোশাক কারখানা ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান। নিজের রেনেসাঁ গ্রুপের নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন ‘দুরন্ত’ টেলিভিশন । আরটিভি/এআর