• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
প্রধান বিচারপতির সঙ্গে ২ উপদেষ্টার রুদ্ধদ্বার বৈঠক
জুলাই-আগস্টে হতাহতদের জন্য পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ চান হাইকোর্ট
জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে আহত-নিহতদের পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ দুই সপ্তাহের এ রুল জারি করেন। এ রুলের বিবাদী করা হয়েছে স্বরাষ্ট্র, আইন সচিব, অর্থ সচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শক ও ঢাকা জেলা প্রশাসককে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাদের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনকারীর পক্ষে ছিলেন আইনজীবী রওশন আলী। হাইকোর্টে রিটটি করেন উত্তরা এলাকার বাসিন্দা মনির মুন্না। মনির মুন্না গত ৯ অক্টোবর পাঁচটি বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আদালতের নির্দেশনা চান। এর মধ্যে রয়েছে, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহতদের পরিবার ও আহত ব্যক্তিদের এখনো কোনো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়নি। ক্ষতিগ্রস্তদের যথাযথ ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা অবিলম্বে নেওয়া, নিহত এবং আহতদের একটি সম্পূর্ণ ও আনুষ্ঠানিক তালিকা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের পরামর্শক্রমে দ্রুত সম্ভব প্রণয়ন করা।   অনেক আহত ব্যক্তির উন্নত এবং দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা প্রয়োজন। আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পুনর্বাসন সহায়তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া, বিশেষ করে গুরুতর আহতদের জন্য বিশেষায়িত যত্নের ব্যবস্থা করা। ক্ষতিপূরণ নীতি প্রণয়নে একটি কমিটি গঠন করা, যা সরকারি কর্মকর্তা, স্বাধীন বিশেষজ্ঞ এবং সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সমন্বয়ে গঠিত হবে। এ কমিটি নিহতদের পরিবার ও আহতদের জন্য ক্ষতিপূরণ মূল্যায়ন এবং বণ্টনের জন্য স্পষ্ট এবং স্বচ্ছ মানদণ্ড, নির্দেশিকা ও নীতিমালা তৈরি করবে। এর ফলে প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ও কার্যকর হবে। এ বিষয়ে সুশৃঙ্খলভাবে পদক্ষেপ নিশ্চিত করার জন্য একটি স্বাধীন কর্তৃপক্ষ প্রতিষ্ঠা, যারা ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়া এবং তদারকির জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকবে। এর মাধ্যমে সহিংসতায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য তহবিল এবং বিভিন্ন সুবিধা দেওয়ার ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত হবে। আরটিভি/এএইচ/এসএ
আদালতে ‘সরি’ বললেন ব্যারিস্টার সুমন
৫ দিনের রিমান্ডে ব্যারিস্টার সুমন 
ব্যারিস্টার সুমনের ১০ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আইনি লড়াইয়ের পথ খুলল
জামায়াতের নিবন্ধন: আপিল আবেদনের শুনানি আজ
রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করার আবেদনের শুনানি আজ।  সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকায় আজ এটি ২ নাম্বারে রয়েছে। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগের বেঞ্চে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।  জামায়াতের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের চেম্বার আদালতে বিষয়টি উপস্থাপন করা হলে তা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানির জন্য ধার্য করে দেন তিনি। আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির বলেন, ডিসমিস ফর ডিফল্ট হিসেবে খারিজ হওয়া আপিলটি পুনরুজ্জীবিত করতে আপিল বিভাগের চেম্বার কোর্টে আবেদন করা হয়েছে। এর আগে রাজনৈতিক দল হিসেবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দেওয়া নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল গত বছরের ১৯ নভেম্বর খারিজ করে আদেশ দেন আপিল বিভাগ। আপিলকারীপক্ষে কোনো আইনজীবী না থাকায় ওইদিন আপিল বিভাগ ওই আদেশ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) দেন। আপিলটি পুনরুজ্জীবিত চেয়ে দলটির পক্ষ থেকে সেক্রেটারি জেনারেল আবেদন করেন, যা ২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের চেম্বার জজ আদালতে শুনানির জন্য ওঠে।  প্রসঙ্গত, একটি রিট আবেদন নিষ্পত্তি করে ২০১৩ সালের ১ আগস্ট জামায়াতে ইসলামীর নিবন্ধন বাতিল ও অবৈধ ঘোষণা করে রায় দেন হাইকোর্ট। পরে একই বছরের ২ নভেম্বর পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হলে জামায়াতে ইসলামী লিভ টু আপিল করে। আরটিভি/এসএইচএম
ব্যারিস্টার সুমন গ্রেপ্তার
আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নির্বাচিত হবিগঞ্জ-৪ (চুনারুঘাট-মাধবপুর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল মুখ সৈয়দ সায়েদুল হককে (ব্যারিস্টার সুমন) গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানা ভাঙচুর ও জ্বালিয়ে দেওয়ার কারণে সেখানে আপাতত কোনো আসামিকে রাখা যাচ্ছে না। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে গ্রেপ্তার করে আপাতত পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে। সোমবার (২২ অক্টোবর) দিনগত রাতে পল্লবী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নজরুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার (২২ অক্টোবর) রাতে ঢাকা থেকে সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিস্টার সুমনকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলার সময় ছাত্র হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করেছে মিরপুর মডেল থানা পুলিশ। কিন্তু আন্দোলনের সময় মিরপুর মডেল থানায় ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের কারণে সেখানে আসামি রাখার মতো আপাতত জায়গা নেই। এ কারণে ব্যারিস্টার সুমনকে পল্লবী থানায় রাখা হয়েছে। এর আগে মধ্যরাতে হঠাৎ রহস্যময় ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়েছেন ব্যারিস্টার সায়েদুল হক সুমন। সোমবার (২১ অক্টোবর) দিবাগত রাত ১টা ২১ মিনিটে তিনি পুলিশের সঙ্গে যাচ্ছেন বলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লিখেছেন। নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে সুমন লিখেন, আমি পুলিশের সাথে যাচ্ছি। দেখা হবে আদালতে।দোয়া করবেন সবাই।
বসুন্ধরা পরিবারের ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহানসহ পরিবারের আট সদস্যের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন। দুদকের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।    সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমদ আকবর সোবহান, তার স্ত্রী আফরোজা বেগম, ছেলে সায়েম সোবহান আনভীর ও তার স্ত্রী সাবরিনা সোবহান, আরেক ছেলে সাদাত সোবহান ও তার স্ত্রী সোনিয়া ফেরদৌস সোবহান এবং আরও দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান সানভীর ও সাফওয়ান সোবহানের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। পিপি মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বলেন, দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ পরিবারের আট সদস্যেদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। দুদকের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে আদালতকে জানানো হয়েছে, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে মানি লন্ডারিং, ভূমি জবরদখল, ঋণ জালিয়াতি, অর্থ আত্মসাৎ, অবৈধ সম্পদ অর্জনসহ অর্থ স্থানান্তর, সরকারের রাজস্ব ফাঁকি, রূপান্তরসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের সম্পৃক্ত ধারার অপরাধের অভিযোগ অনুসন্ধান করা হচ্ছে। এ জন্য দুদক অনুসন্ধান টিম গঠন করেছে। তারা দেশত্যাগের পরিকল্পনা করেছেন। এ জন্য তাদের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা প্রয়োজন বলে আদালতকে জানিয়েছেন দুদকের উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন। আরটিভি/একে-টি
ম খা আলমগীর, মন্নুজান ও ২ এমপির দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহিউদ্দিন খান (ম খা) আলমগীর, সাবেক শ্রম প্রতিমন্ত্রী মন্নুজান সুফিয়ান ও তার ভাই শাহাবুদ্দিন আহমেদ ও ভাতিজি শামীমা সুলতানা হৃদয়ের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া সাবেক সংসদ মো. সাদেক খান, তার স্ত্রী ফেরদৌসী খান, সাবেক সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আশরাফ খান, স্ত্রী আফরোজ সুলতানার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালত তাদের বিরুদ্ধে এ আদেশ দেন। আবেদনটি করেন দুদকের পরিচালক আব্দুল মাজেদ। আবেদনের ওপর শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী মীর মোহাম্মদ আলী সালাম। ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীরের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, ড. মহিউদ্দিন খান আলমগীর মানি লন্ডারিংয়ের মাধ্যমে সাবেক দ্য ফারমার্স ব্যাংক লি. জামালপুরের (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক লি.) বকশীগঞ্জ শাখার ৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা আত্মসাৎ করে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২), ৪(৩) ধারায় অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গিয়েছে। মহিউদ্দিন খান আলমগীর দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। সুতরাং, অনুসন্ধানের স্বার্থে তার বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রয়োজন। মন্নুজানের বিরুদ্ধে আবেদনে বলা হয়, বিগত সরকারের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার এমপিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে অকল্পনীয় অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও তার ঘনিষ্ঠজন দেশ ছেড়ে বিদেশে পালিয়ে যেতে পারেন বলে অনুসন্ধানকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়। অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা একান্ত প্রয়োজন। শুনানি শেষে আদালত তাদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। সাদেক খানের আবেদনে বলা হয়েছে, সাদেক খানের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, ভূমি দস্যুতাসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকরি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি দল টিম গঠন করা হয়েছে। সাদেক খান বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ঢাকা-১৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও তৎকালীন ৪৭ নম্বর (বর্তমানে ৩৪ নম্বর) ওয়ার্ডের চারবারের কাউন্সিলর। এসব দায়িত্বে থেকে তিনি ক্ষমতার অপব্যবহার, অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন বলে জানা যায়। ‘অনুসন্ধানকালে গোপন সূত্রে জানা যায় যে, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি তার স্ত্রীসহ বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অনুসন্ধান কাজ ব্যাহত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এজন্য তাদের বিদেশ গমন রহিত করা একান্ত প্রয়োজন।’ একই কারণ দেখিয়ে আনোয়ারুল আশরাফ খানের বিষয়ে বলা হয়েছে, তার বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করে নিজের ও পরিবারের সদস্যদের নামে আত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগটি তিন সদস্যের দল অনুসন্ধানাধীন করছে। তার বিরুদ্ধে অবৈধ আয়ে নিজ এলাকায় আনুমানিক ৫১ লাখ টাকার কৃষি জমি, প্রায় এক কোটি ১৭ লাখ টাকার ফ্ল্যাট, প্লট, ভাটারা থানার জোয়ারসাহারা মৌজায় প্রায় ৪৮ লাখ টাকার ফ্ল্যাট এবং রাজউক এর উত্তরা ৩য় প্রকল্পের প্রায় ৩২ লাখ টাকার প্লট এবং স্ত্রী আফরোজা সুলতানার নামে বিভিন্ন স্থানে প্রায় এক কোটি টাকার প্লট, ফ্ল্যাট কেনার অভিযোগ রয়েছে। আরটিভি/একে-টি
সাবেক প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী ইমরানকে ৩ দিনের রিমান্ড 
সাবেক প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার বিরুদ্ধে সিন্ডিকেট করে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার (২১ অক্টোবর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহবুবের আদালতে পুলিশ ইমরান আহমদের ১০ দিনের রিমান্ড চাইলে শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড দেন আদালত। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পল্টন মডেল থানার সাব-ইন্সপেক্টর নাজমুল হাচানের উপস্থিতিতে ইমরান আহমদের পক্ষে তাঁর আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ এর বিরোধিতা করে। এর আগে রোববার রাতে রাজধানীর বনানী থেকে ইমরান আহমদকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। ডিএমপির জনসংযোগ বিভাগের ডিসি মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সিন্ডিকেট করে অর্থ আত্মসাৎ ও মানবপাচারের অভিযোগে সাবেক প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী ইমরান আহমেদের বিরুদ্ধে গত ৩ সেপ্টেম্বর পল্টন থানায় একটি মামলা হয়। এতে আসামি হিসেবে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ আরও ১০৩ জনের নাম যুক্ত করা হয়েছে। পল্টন থানায় আলতাফ খান নামে এক ব্যক্তি নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে মামলাটি করেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ২৪ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনেন তিনি। উল্লেখ্য, ইমরান আহমদ শেখ মুজিবুর রহমানের দ্বারা প্রভাবিত একজন রাজনীতিক। তিনি ১৯৮৬ সাল থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রাজনীতি ও জনসেবার সঙ্গে সরাসরি জড়িত আছেন। তিনি তৃতীয় (১৯৮৬), পঞ্চম (১৯৯১), সেপ্টেম্বর ১৯৯৬ উপনির্বাচন, নবম (২০০৮), দশম (২০১৪) এবং একাদশ জাতীয় সংসদ (২০১৮)নির্বাচনে সিলেট-৪ (জৈন্তাপুর, গোয়াইনঘাট, কোম্পানিগঞ্জ) আসনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ইমরান আহমদ পঞ্চম জাতীয় সংসদে বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন। তিনি সপ্তম জাতীয় সংসদে সরকারি প্রতিষ্ঠান কমিটির সভাপতি এবং বিদ্যুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। নবম জাতীয় সংসদে লাইব্রেরি কমিটি এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। দশম জাতীয় সংসদে তিনি ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আরটিভি/এএইচ
‘ভুলে’ আসামি জেড আই খান পান্না, নাম বাদ দিতে বাদীর আবেদন 
অজ্ঞতা ও ভুলবশত আসামি করায় এজাহার থেকে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও শালিস কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নার নাম বাদ দেওয়ার আবেদন করেছেন মামলার বাদী মো. বাকের। সোমবার (২১ অক্টোবর) খিলগাঁও থানার ওসি বরাবর তিনি এ লিখিত আবেদন করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে খিলগাঁও থানার ওসি মো. দাউদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বাদী মো. বাকেরের আবেদন পেয়েছি। উনি নিজে এসেই তা দিয়ে গেছেন। সেখানে ওনার স্বাক্ষরও আছে। আমি এই আবেদন এখন তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে পাঠিয়ে দেব।  তিনি আরও বলেন, বাদীকে চাপ দিয়ে নাম প্রত্যাহার করার আবেদন করানো হয়নি। নিজে থেকেই দিয়েছেন। এর আগে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ জুলাই আহাদুল ইসলামকে গুলি ও মারধরের মাধ্যমে হত্যাচেষ্টার অভিযোগে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী এবং মানবাধিকার সংস্থা আইন ও সালিশ কেন্দ্রের চেয়ারপারসন জেড আই খান পান্নাসহ ১৮০ জনের বিরুদ্ধে গত ১৭ অক্টোবর মামলা দায়ের করা হয়। খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি করেন আহত আহাদুলের বাবা মো. বাকের (৫২)। মামলার এজাহারে বলা হয়, আহাদুলসহ অন্যরা মেরাদিয়া বাজারের কাছে বিক্ষোভ করছিলেন। তখন নাম না জানা বিজিবি, পুলিশ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অন্য আসামিদের নির্দেশে গুলি চালায়। এ সময় আহাদুল গুলিবিদ্ধ হন। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ঘটনাস্থলে থাকা আসামিরা তাকে মারধরও করে। পরে তাকে নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এ ঘটনায় করা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে এক নম্বর আসামি করা হয়। আর জেড আই খান পান্নার নাম ছিল ৯৪ নম্বরে। এ ছাড়া বিজিবির বর্তমান মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকীকেও এ মামলায় আসামি করা হয়েছে। এদিকে এ মামলায় হাইকোর্ট থেকে আজ আগাম জামিন পেয়েছেন জেড আই খান পান্না। হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ এ জামিন আদেশ দেন।  আরটিভি/আইএম /এসএ