• ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
শমী কায়সারের জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের আগাম জামিন শুনানির আবেদন নাকচ
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে হওয়া রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন শুনানির আবেদন নাকচ করে দিয়েছেন আদালত। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) অবকাশকালীন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলামের আদালতে চিন্ময় দাসের জন্য আগাম জামিন শুনানির অনুমতি চাওয়া হলে তা নাকচ করে দেন আদালত।  চিন্ময়ের পক্ষে আইনজীবীর ওকালতনামা না থাকায় আবেদন নাকচ করা হয়েছে বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি মফিজুল হক ভূঁইয়া।  গত ৩১ অক্টোবর রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন ফিরোজ খান নামের এক বিএনপি নেতা। পরে তাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। আদালত সূত্র জানায়, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানি আগামী বছরের ২ জানুয়ারি ধার্য রয়েছে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এ মামলার অন্য দুই আসামির জামিন শুনানির কথা ছিল। তবে, আইনজীবী না আসায় সেই শুনানি হয়নি। এ অবস্থায় চিন্ময়ের জামিনের আগাম শুনানির জন্য আবেদন করেন রবীন্দ্র ঘোষ নামে সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আগাম শুনানির আবেদনে বলা হয়, মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি একজন সন্ন্যাসী। এ ছাড়া ডায়াবেটিস, শ্বাসকষ্টসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। আবেদনে আরও বলা হয়, নিরাপত্তাজনিত কারণে ৩ ডিসেম্বর চিন্ময়ের আইনজীবী শুভাশীষ শর্মা শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি। চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি পিপি মফিজুল হক ভূঁইয়া জানান, রাষ্ট্রপক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, চিন্ময়ের আগাম জামিন শুনানির আবেদন করা আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ কোনো ওকালতনামা দেননি তার পক্ষে মামলা লড়ার। এ ছাড়া চিন্ময়ের আইনজীবী শুভাশীষ শর্মাও হাজির ছিলেন না। শুভাশীষ মামলা লড়ার জন্য রবীন্দ্র ঘোষকে লিখিত কিছু দেননি। পরে আদালত আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষের আবেদন নাকচ করে দেন। এ ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ও বাংলাদেশ মাইনরিটি ওয়াচের সভাপতি রবীন্দ্র ঘোষ জানান, নিরাপত্তাজনিত কারণে চিন্ময়ের আইনজীবী ৩ ডিসেম্বর শুনানিতে অংশ নিতে পারেননি। এ জন্য আজ আগাম জামিন শুনানির আবেদন করা হয়। কিন্তু আইনজীবীদের বাধার মুখে আদালত তা নাকচ করে দেন। প্রসঙ্গত, গত ২৬ নভেম্বর চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাইফুল ইসলাম নামে এক আইনজীবীকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় সাইফুলের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধাদান এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ছয়টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৪০ জন। তাদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ১০ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন। ২ ডিসেম্বর পুলিশের ওপর হামলা ও কাজে বাধাদানের মামলায় গ্রেপ্তার দুই আসামির জন্য ওকালতনামা দিলে আইনজীবীদের বিক্ষোভের মুখে পদত্যাগ করেন অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর সরকারি কৌঁসুলি নেজাম উদ্দিন। আরটিভি/এসএইচএম/এআর  
১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় বাবরের খালাস চাইলেন আইনজীবী
সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিমানমন্ত্রীসহ ৯ জন নতুন মামলায় গ্রেপ্তার
‘জয় বাংলা’ আর জাতীয় স্লোগান নয়, হাইকোর্টের রায় স্থগিত
৫১ বিচারক-কর্মকর্তার দুর্নীতির তদন্ত চেয়ে করা রিট খারিজ
অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের সাজা স্থগিত
সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের অভিযোগে মামলায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ৭ বছরের সাজা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে তারেক রহমানের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার নাসির উদ্দিন অসীম, ব্যারিস্টার মো. জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন, অ্যাডভোকেট আজমল হোসেন। এর আগে, ২০১৩ সালের ১৭ নভেম্বর সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের মামলায় ঢাকার একটি বিশেষ জজ আদালত তারেক রহমানকে খালাস দেন। ওই মামলায় তারেকের বন্ধু ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে দুদক তারেক রহমানকে খালাস দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করে। ওই আপিল শুনানি শেষে হাইকোর্ট ২০১৬ সালের ২১ জুলাই বিচারিক আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দেন। পাশাপাশি ২০ কোটি টাকা জরিমানা করেন। আরটিভি/এমএ আরটিভি/এমএ/এআর
জামিন পেলেন অভিনেত্রী শমী কায়সার
রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানার হত্যাচেষ্টা মামলায় ই-কর্মাস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সাবেক সভাপতি ও অভিনেত্রী শমী কায়সারকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান ও বিচারপতি সৈয়দ এনায়েত হোসেনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে শমী কায়সারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী এ বি এম হামিদুল মেসবাহ। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ১৮ জুলাই ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার চেষ্টা হয়। ওই ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা হয়।  গত ৫ নভেম্বর এই মামলায় গ্রেপ্তার করা হয় শমী কায়সারকে। পরে রিমান্ড শেষে তাকে গত ৯ নভেম্বর কারাগারে পাঠান ঢাকার আদালত।   আরটিভি/এইচএসকে   
নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিল শুনানি আজ
রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন বাতিল করে হাইকোর্টের দেওয়া রায়ের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর করা আপিলের শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে আজ। গত ৩ ডিসেম্বর প্রথমদিনের শুনানি শেষে পরবর্তী শুনানির জন্য মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) দিন ধার্য করেন আদালত।  মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ শুনানি শুরু হতে পারে। এর আগে, ৩ ডিসেম্বর প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন চার সদস্যের বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চে শুনানি শুরু হয়। আদালতে ওইদিন আপিল আবেদনের শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এহসান এ সিদ্দিক ও অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির। আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির প্রথমদিনের শুনানির বিষয়ে বলেন, শুনানিতে যা বলা হয়েছে তা হলো, যারা রিট আবেদন দায়ের করেছিলেন তারা বলেছেন জনস্বার্থে আবেদন করেছেন। কিন্তু মূলত এটা জনস্বার্থের রিট আবেদন করা হয়নি। এটি করা হয়েছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যকে সামনে রেখে। তারা যে রিট আবেদন করেছেন তাদের সেই এখতিয়ার নেই। তারা জনস্বার্থে বলেছেন কিন্তু মূলত রিট করেছেন ব্যক্তি স্বার্থে এবং রাজনৈতিক স্বার্থে। দ্বিতীয় প্রশ্ন যেটি সামনে এসেছে, নির্বাচন কমিশনের সামনে ইলেকশন প্রসেস ও ইলেকশন রেজিস্ট্রেশন প্রসেস শেষ হওয়ার আগেই তারা রিট করেছে। বিষয়টি তখনো নির্বাচন কমিশনের অধীনে বিচারাধীন ছিল। এ দুটি পয়েন্টে (৩ ডিসেম্বর) যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে। আগামী মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) আবার শুনানির জন্য আসবে। এদিন নির্বাচন কমিশন ও অন্যপক্ষকেও শুনানির জন্য প্রস্তুত হয়ে আসতে বলা হয়েছে। এর আগে, গত ২২ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে চার বিচারপতির আপিল বিভাগের বেঞ্চ জামায়াতে ইসলামীর বাতিল হওয়া নিবন্ধন ফিরে পেতে খারিজ হওয়া আপিল পুনরুজ্জীবিত করে আদেশ দেন। আদেশের বিষয়ে ওইদিন আইনজীবী শিশির মনির বলেছিলেন, বিলম্ব মার্জনা করে আপিল পুনরুজ্জীবিত করার অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। আমরা এ আপিল শুনানির জন্য নিয়ে আসবো। এ মামলার আপিলকারী মৃত্যুবরণ করায় নতুন আপিলকারী স্থলাভিষিক্ত হবেন, এরপর নতুন করে আপিল শুনানির জন্য আবেদন করা হবে। তিনি বলেন, এটি একটি সার্টিফিকেট আপিল। হাইকোর্ট বিভাগই সার্টিফিকেট দিয়েছিল যে এখানে সাংবিধানিক ইস্যু জড়িত। লিভ টু আপিল না করে সরাসরি আপিল করা যাবে। হাইকোর্ট বিভাগ যেখানে সার্টিফিকেট দিয়েছেন, এ ধরনের মামলা শুনানি ছাড়া খারিজ করা যায় না। এজন্য আমাদের বিলম্ব মার্জনা করেছেন ও আপিল পুনরুজ্জীবিত করার আবেদন মঞ্জুর করেছেন। শিশির মনির বলেন, শুনানিতে অপরপক্ষ থেকেও আপত্তি নেই মর্মে জানানো হয়েছিল। আপিল শুনানির সময় প্রতীকের বিষয়টিও আসবে। আপিল মঞ্জুর হলে নিবন্ধনের সঙ্গে আশা করি প্রতীকও অ্যালাউ হবে। গত বছরের ১৯ নভেম্বর তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় জামায়াতের আপিল খারিজ (ডিসমিসড ফর ডিফল্ট) করে আদেশ দেন। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময় গত ১ আগস্ট জামায়াত-শিবিরকে নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আরটিভি/এমএ/এআর  
‘জয় বাংলা’ জাতীয় স্লোগানের রায় নিয়ে আপিলের শুনানি আজ
জয় বাংলা জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাইকোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে আবেদনের ওপর আপিল বিভাগে শুনানি হবে আজ (১০ ডিসেম্বর)। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম নেতৃত্বাধীন তিন বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। এদিন বিষয়টি শুনানির জন্য উপস্থাপন করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। তখন জ্যেষ্ঠ বিচারক বলেন, এ বিষয়টা আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চে শুনানি হবে। সেই অনুযায়ী তা শুনানির জন্য মঙ্গলবার দিন ঠিক করা হয়েছে। ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান ঘোষণা করে হাই কোর্টের দেওয়া রায় স্থগিত চেয়ে গত ২ ডিসেম্বর আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। এর আগে, জয় বাংলা-কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা চেয়ে করা এক রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০২০ সালের ১০ মার্চ হাইকোর্ট ওই রায় দেন। রায়ে জয় বাংলা বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হবে এবং জাতীয় দিবস, সরকারি অনুষ্ঠান ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে স্লোগানটি উচ্চারণের জন্য পদক্ষেপ নিতেও বলা হয়। ২০১৭ সালে ওই রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। আরটিভি/এমএ/এআর
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তৃতীয় ধাপে শিক্ষক নিয়োগ আপাতত স্থগিত
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র প্রদানসহ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ার আদেশ আপাতত বহাল থাকছে। এ সংক্রান্ত জারি করা রুল আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের পক্ষে করা আবেদনের (লিভ টু আপিল) শুনানিতে এ আদেশ দেওয়া হয়। আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন। আদালতে এদিন লিভ টু আপিলকারী পক্ষে শুনানিতে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন ও মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল। রিট আবেদনকারীদের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া। আইনজীবীরা জানান, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদে তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র দেওয়াসহ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়ার আদেশ আপাতত বহাল থাকছে। এ সংক্রান্ত রুল আগামী ২৫ জানুয়ারির মধ্যে হাইকোর্টে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এর আগে, এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে গত ১৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ আদেশ দেন। ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি এবং নিয়োগের ক্ষেত্রে নিয়োগপত্র প্রদানসহ এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্তের কার্যক্রম ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা বিভাগ লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে, যা আজ আপিল বিভাগে শুনানির জন্য ওঠে। আইনজীবী কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। শুনানি নিয়ে আদালত লিভ টু আপিল নিষ্পত্তি করে ওই আদেশ দেন। এর ফলে নিয়োগ কার্যক্রম স্থগিত করে হাইকোর্টের দেওয়া আদেশ আপাতত বহাল থাকছে। অর্থাৎ এই সময়ে নিয়োগ কার্যক্রম পরিচালনা করা যাবে না। এর আগে, ২০২৩ সালের ১৪ জুন ওই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এরপর ৬ হাজার ৫৩১ জন প্রার্থীকে নির্বাচন করে গত ৩১ অক্টোবর নিয়োগ পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গত ১১ নভেম্বরের এ সংক্রান্ত আদেশ অনুসারে নির্বাচিত প্রার্থীদের অনুকূলে ২০ নভেম্বর নিয়োগপত্র ইস্যু করার কথা ছিল। তবে ওই নিয়োগের ক্ষেত্রে কোটা অনুসরণের অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রকাশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে নিয়োগবঞ্চিত ৩১ প্রার্থী গত নভেম্বরে রিটটি করেন। রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ১৯ নভেম্বর রুল দেন। পাশাপাশি গত ৩১ অক্টোবর ও গত ১১ নভেম্বরের সিদ্ধান্তের কার্যক্রম স্থগিত করেন। হাইকোর্টের আদেশের পর নিয়োগপত্র ইস্যু হয়নি। রুলে গত ৩১ অক্টোবরের ফলাফল প্রকাশের বিজ্ঞপ্তি ও নিয়োগ বিষয়ে গত ১১ নভেম্বরের নির্দেশনা-সংবলিত স্মারক কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মহাপরিচালকসহ বিবাদীদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়। এই রুল এখন হাইকোর্টে নিষ্পত্তি হতে যাচ্ছে। আরটিভি/একে
শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞার আদেশ প্রকাশ করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির স্বাক্ষরের পর এ আদেশ প্রকাশ করা হয়। আদেশের অনুলিপি বিটিআরসিসহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। রোববার (৮ ডিসেম্বর) শেখ হাসিনা লন্ডনে ভার্চুয়ালি যে বক্তব্য দিয়েছেন তা বিদ্বেষমূলক কি না, তা-ও খতিয়ে দেখে সরকারকে ব্যবস্থা নিতে বলেছেন প্রসিকিউশন। এর আগে, গত ৫ ডিসেম্বর জুলাই-আগস্ট গণহত্যা মামলার প্রধান আসামি ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সব ধরনের বিদ্বেষমূলক বক্তব্য গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচারে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। একইসঙ্গে শেখ হাসিনা আগে যত বিদ্বেষমূলক বক্তব্য দিয়েছেন তা সব মাধ্যম থেকে সরাতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনকে (বিটিআরসি) নির্দেশ দেন আদালত। প্রসিকিউশনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৫ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে দুই বিচারপতির ট্রাইব্যুনাল এ আদেশ দেন। তথ্য সচিব, তথ্য ও প্রযুক্তি সচিব ও বিটিআরসির চেয়ারম্যানকে এ আদেশ এখন থেকেই বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালতে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম, প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ ও আবদুল্লাহ আল নোমান। এর আগে, গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভারতে পালিয়ে যাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিদ্বেষমূলক বক্তব্য প্রচারে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করা হয়। আরটিভি/এমএ/এস
কারাগারে হাই কমোড চাইলেন পলক
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে শিক্ষার্থী মানিক মিয়া হত্যা মামলায় সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. সেফাতুল্লাহর আদালত শুনানি শেষে এ রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে, আজ সকালে পলককে আদালতে হাজির করা হয়। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও শাহবাগ থানার উপপরিদর্শক শেখ হাদীউজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আসামির শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় তার আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলের আবেদন করেন। পরে শুনানিতে পলকের আইনজীবী ফারজানা ইয়াসমিন রাখি বলেন, পলককে ৪৬ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তিনি ৩১ দিন রিমান্ডে ছিলেন। গত ৯ নভেম্বর যাত্রাবাড়ী থানার এক মামলায় তাকে রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেখানে অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে দেখা যায়, তিনি কোমরের ব্যথায় ভুগছেন। এ অবস্থায় তিনি ট্রাভেল করতে পারবেন না। লো কমোড ব্যবহার করতে পারবেন না, হাই কমোড লাগবে।  পলকের এই আইনজীবী বলেন, বারবার সাবেক প্রতিমন্ত্রীকে রিমান্ডে নেওয়া হলেও কোনো তথ্য উদঘাটন হচ্ছে না। শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তার রিমান্ড বাতিলের প্রার্থনা করছি। প্রয়োজনে তাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করা হোক।   জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ও ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা একটা লিস্ট পেয়েছি। সেখানে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ১৫৮১ জনকে হত্যা করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে তো ১৫৮১টি মামলা হওয়া উচিত। আর কোর্টে আসলে অসুস্থতার শেষ নেই। কোর্টে আসার মতো পরিস্থিতি থাকে না। বাইরে থাকলে হত্যাকাণ্ড চালাতে দ্বিধাবোধ করেন না। আরও হত্যা মামলা তার বিরুদ্ধে আসতে পারে। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট ঢাকার চানখারপুলে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারান শিক্ষার্থী মানিক মিয়া। এ ঘটনায় রাজু আহমেদ নামে একজন বাদী হয়ে ঢাকার সিএমএম আদালতে শেখ হাসিনাসহ ৭৯ জনের নামে হত্যা মামলা করেছেন। মামলার দুই নম্বর এজাহারনামীয় আসামি জুনাইদ আহমেদ পলক। আরটিভি/আইএম