• ঢাকা সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ২৬ কার্তিক ১৪৩১
logo
নতুন মামলায় গ্রেপ্তার শাজাহান খান-মেননসহ ৭ জন
খালেদা জিয়ার ১০ বছরের সাজা স্থগিত
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াকে দেওয়া হাইকোর্টের ১০ বছরের সাজা স্থগিত করেছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। সোমবার (১১ নভেম্বর) আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারপতির বেঞ্চে এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে এই মামলায় সাজার বিরুদ্ধে খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেছেন আপিল বিভাগ।  ২০০৮ সালের জুলাই মাসে খালেদা জিয়াসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায় অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হলেও ২০১৪ সালের মার্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়। এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন পর গতকাল (রোববার) এ বিষয়ে শুনানি হয়। শুনানিতে দুদক আইনজীবী আসিফ হাসান বলেন, ট্রাস্টের টাকা খালেদা জিয়া আত্মসাৎ করেননি। টাকা ট্রাস্টের ফান্ডেই আছে। শুনানি শেষে এ বিষয়ে আদেশের জন্য সোমবার (১১ নভেম্বর) দিন ধার্য করেন আপিল বিভাগ। এদিকে আওয়ামী সরকারের পতনের পর দুই মামলায় (অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি। তবে দণ্ড মওকুফের পরেও আপিল শুনানি কেন? এমন প্রশ্নে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তাই আইনগতভাবে আদালতের মাধ্যমে মামলা দুটি নিষ্পত্তি করতে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন। আরটিভি/আরএ/এসএ
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা / খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের বিষয়ে আদেশ আজ 
রিপাবলিক বাংলার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে নোটিশ
অরফানেজ ট্রাস্টের টাকা আত্মসাৎ করেননি খালেদা জিয়া: দুদক আইনজীবী
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদার লিভ টু আপিলের আদেশ সোমবার
সরকারের সিদ্ধান্ত পেলেই আ.লীগের বিচারকাজ শুরু হবে: তাজুল ইসলাম
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সিদ্ধান্ত পেলেই দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচারকাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পুরাতন ভবনের সংস্কার কাজ পরিদর্শনের পর তিনি এ কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, আমরা এখনও দল হিসেবে আলাদাভাবে তদন্ত শুরু করিনি। তবে, ব্যক্তি পর্যায়ে আমরা যে তদন্তগুলো করছি, তার প্রত্যেকটি জায়গায় আওয়ামী লীগের যুক্ত থাকার বিষয়টি পাচ্ছি।  তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনের বিরুদ্ধে গণহত্য, মানবতাবিরোধী অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততার প্রমাণ ক্রমাগত পাচ্ছি। সরকার যখনই সিদ্ধান্ত নেবে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করতে তখনই আমরা কাজ শুরু করব। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর বলেন, আমাদের তদন্ত প্যারালাললি চলছে, যদিও আমরা দল হিসেবে আলাদাভাবে বিচারের জন্য তদন্ত রিপোর্টটা করছি না। এখন শুধু ব্যক্তি পর্যায়েই আছে। এদিকে, একই পরিদর্শনে গিয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, শেখ হাসিনাসহ জুলাই-আগস্টের গণহত্যায় জড়িতদের দেশে ফিরিয়ে আনতে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে যাচ্ছে সরকার। তিনি বলেন, দেশের মর্যাদা ক্ষুণ্ন করতে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে সরকারের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন অভিযোগ দাখিল করেছে আওয়ামী লীগ। যা সরকার আমলে নিচ্ছে না। তিনি বলেন, এটা কোনো মামলা না, এটা আইসিসির প্রসিকিউশন অফিসকে একটা পিটিশন লিখে জানানো। এটা পৃথিবীর যেকোনো মানুষ করতে পারে। এটা ফ্যাসিস্টচক্র বিশ্ব জনমতকে, বাংলাদেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য নিজেদের আত্মরক্ষার জন্য মিথ্যা প্রচারণার চালানোর উপায় হিসেবে এ মামলাটা করেছে। আরটিভি/আরএ
অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার আবেদনের ওপর শুনানি চলছে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালাস চেয়ে করা খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিলের (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) শুনানি চলছে।  রোববার (১০ নভেম্বর) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে এ শুনানি শুরু হয়।  আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করছেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। ২০০৮ সালের জুলাই মাসে খালেদা জিয়াসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে  ঢাকার রমনা থানায় মামলাটি করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন। মামলায়, অরফানেজ ট্রাস্টের নামে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালে মামলার অভিযোগ পত্র দেয়া হলেও ২০১৪ সালের মার্চে মামলার অভিযোগ গঠন করা হয়।  এরপর ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি মামলায় খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের সাজা ও অর্থদণ্ড দেয় বিচারিক আদালত। এই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিলের ওপর শুনানি শেষে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন।  হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ২০১৯ সালে আপিল বিভাগে পৃথক দুটি লিভ টু আপিল করেন খালেদা জিয়া। দীর্ঘদিন পর আবেদন দুটি শুনানির জন্য ১০ নভেম্বর দিন নির্ধারণ করেন চেম্বার আদালত। এদিকে, আওয়ামী সরকারের পতনের পর দুই মামলায় (অরফানেজ ট্রাস্ট এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট) খালেদা জিয়ার দণ্ড মওকুফ করেছিলেন রাষ্ট্রপতি।  তবে, দণ্ড মওকুফের পরেও আপিল শুনানি কেন, এমন প্রশ্নে খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জানান, খালেদা জিয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। রাষ্ট্রপতি মওকুফ করেছেন। সেখানে ক্ষমার কথা আছে। খালেদা জিয়া ক্ষমার প্রতি বিশ্বাসী নন। তিনি অপরাধ করেননি। তাই আইনগতভাবে আদালতের মাধ্যমে মামলা দুটি নিষ্পত্তি করতে আমাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।  আরটিভি/আরএ/এআর
শমী কায়সার-তাপসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ
হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেত্রী শমী কায়সার ও গান বাংলার চেয়ারম্যান তাপসকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত। শনিবার (৯ নভেম্বর) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াক এ আদেশ দেন।  এর আগে, এদিন দুই আসামিকে রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত তাদের কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবীরা জামিন চেয়ে আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত আসামিদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। রাজধানীর ভাটারা এলাকা থেকে গত ৩ নভেম্বর রাতে তাপসকে এবং উত্তরা থেকে ৫ নভেম্বর রাতে শমী কায়সারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ৬ নভেম্বর শুনানি শেষে আদালত তাদের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। জানা গেছে, ছাত্র আন্দোলনে গত ১৮ জুলাই উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৪ নম্বর সেক্টরে আওয়ামী লীগ ও তাদের সহযোগী সংগঠনের সন্ত্রাসী ক্যাডাররা হত্যার উদ্দেশ্যে ব্যবসায়ী ইশতিয়াক মাহমুদকে মারধরসহ গুলি করে। এতে গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করেন তিনি। এ ঘটনায় গত ২৯ অক্টোবর বাদী হয়ে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনসহ ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেন ইশতিয়াক। আরটিভি/আরএ-টি
রিমান্ড শেষে কারাগারে পলক, ইনু ও মেনন 
সাবেক মন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, হাসানুল হক ইনু ও রাশেদ খান মেননকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। শনিবার (৯ নভেম্বর) সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাদের আদালতে হাজির করলে এ নির্দেশ দেন আদালত। এর আগে তারা রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় রিমান্ডে ছিলেন। গত ২ নভেম্বর থেকে এ তিনজনের রিমান্ড শুরু হয়। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আওলাদ হোসাইন মুহাম্মদ জোনাইদ তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। যাত্রাবাড়ী থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার সাব-ইন্সপেক্টর মো. আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন ইমন হোসেন গাজী নামে এক যুবক। এ ঘটনায় তার ভাই আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ২৮ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ৮৫ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। আরটিভি/এএইচ/এসএ
বিদেশে আইন উপদেষ্টার সঙ্গে অশোভন আচরণে বিচারকদের প্রতিবাদ
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে অশোভন আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে অধস্তন আদালতের বিচারকদের সংগঠন বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন (বিজেএসএ)। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) সংগঠনের পক্ষ থেকে প্রচার সম্পাদক মো. মোস্তানছির রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। তাদের দাবি, সুইজারল্যান্ডের জেনেভা এয়ারপোর্টে কতিপয় দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের একজন রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধির সঙ্গে এমন আচরণ শুধু শিষ্টাচার বিরোধী নয়, বরং এটি আমাদের জাতীয় মর্যাদা, দেশপ্রেম এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি চরম অবমাননার শামিল। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সাম্প্রতিক রাষ্ট্রীয় সফরের সময় সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় গিয়েছিলেন। সেখানে দুর্বৃত্তদের এমন ন্যক্কারজনক ও উদ্ধত আচরণ করায়, তাদের শাস্তির আওতায় আনতে হবে। বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন এই অসভ্য আচরণের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জাতীয় মর্যাদা সমুন্নত রাখতে এবং এমন অপকর্মের পুনরাবৃত্তি রোধে সংশ্লিষ্ট সব মহলকে কার্যকর ভূমিকা রাখার আহ্বান করেছে। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে চিহ্নিত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি। আরটিভি/এএইচ/এসএ
ডাক্তার পদবির অপব্যবহার, রিটের নিষ্পত্তি চায় এনডিএফ
ডাক্তার পদবির অপব্যবহার বন্ধে হাইকোর্টে করা রিটের দ্রুত নিষ্পত্তি চায় চিকিৎসকদের সংগঠন ন্যাশনাল ডক্টরস ফোরাম (এনডিএফ)। এ পর্যন্ত রিটটির শুনানি ৬৯ বার পেছানো হয়েছে। যা ডাক্তারদের ক্ষতি করছে বলে মনে করে সংগঠনটি। শুক্রবার (৮ নভেম্বর) এনডিএফ সভাপতি অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. মাহমুদ হোসেনের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে এ দাবি জানানো হয়। বেশ কিছু স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য নামের আগে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করছে দাবি করে সংগঠনটি বলছে, এনডিএফ অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছে যে, এর মাধ্যমে তারা প্রতারণামূলক ভাবে জনগণের চিকিৎসা লাভের রাষ্ট্রীয় এবং সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার প্রত্যাখ্যান করছে। তাদের শারীরিক, মানসিক, আর্থিক এবং সামাজিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করা হচ্ছে। স্বাস্থ্যসেবা দিতে পৃথিবীজুড়ে চিকিৎসকদের চিকিৎসা কর্মে সহায়তা করার জন্য অ্যালাইড হেলথ প্রফেশন রয়েছে জানিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, নার্স, মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট, মিডওয়াইফারিসহ নির্দিষ্ট কিছু জনশক্তি যারা নির্দিষ্ট কর্ম বাস্তবায়ন করে থাকেন। সবার উচিত তার নিজস্ব অবস্থানের স্বকীয়তা বজায় রেখে নির্ধারিত কাজ বাস্তবায়ন করা‌। বিএমডিসি আইন ২০১০ এবং বিশেষ করে ধারা ২৯ লঙ্ঘন করে মেডিকেল অ্যাসিস্ট্যান্ট যদি দাবি করেন তারা ডাক্তার, নার্স যদি দাবি করেন তারা ডাক্তার, ফিজিওথেরাপিস্ট যদি দাবি করেন তারা ডাক্তার, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট যদি দাবি করেন তারা ডাক্তার- তাহলে তো পুরো স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ধ্বসে পড়বে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, এসব অসৎ তৎপরতার মধ্যে অন্যতম ২০১৩ সালে হাইকোর্টে মামলা (রিট নং ২৭৩০/২০১৩) করে তা নিষ্পত্তি না করে এ পর্যন্ত ৬৮ বার কোনো শুনানি না করেই পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। সর্বশেষ ৫ নভেম্বর ৬৯তম বার এসে রিটটির শুনানি হয়, কিন্তু শুনানি অসমাপ্ত রেখে তা আবারও পেছানো হয়। এনডিএফ মনে করে এভাবে জনগুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়কে বারবার পেছানোর মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষকে সঠিক স্বাস্থ্য সেবা প্রাপ্তির মৌলিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সংগঠনের নেতারা মনে করেন, ছাত্র জনতার ২০২৪ সালের গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে দেশ এখন রাষ্ট্রের সব সেক্টরকে নিয়মতান্ত্রিক আর সুশৃঙ্খল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে। এমন সময়ে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার চরম অব্যবস্থাপনার অন্যতম কারণ এই অচিকিৎসকরা। রিট পেছানোর মধ্যে দিয়ে তাদের চিকিৎসক হিসেবে চিকিৎসা দেওয়ার বৈধতা দেওয়া হচ্ছে। যা কাম্য নয়। অনতিবিলম্বে এ ধরনের বিদ্যমান আইন ও জনস্বাস্থ্য বিরোধী, মানুষের মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিতে বাধাদানকারী রিটের নিষ্পত্তির আহ্বান জানায় সংগঠনটি। এ সংক্রান্ত সব অপতৎপরতা বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয় তাদের পক্ষ থেকে। আরটিভি/এএইচ/এসএ
জামায়াত কর্মী হত্যা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে সাবেক এমপি তাহজীব
আবদুস সালাম নামে এক জামায়াত কর্মী হত্যার ঘটনায় দায়েরকৃত এক মামলায় গ্রেপ্তার ঝিনাইদহ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।  শুক্রবার (৮ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রোমানা আফরোজ এ আদেশ দেন। এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) রাতে ঢাকার সাভার থেকে তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে (সমি সিদ্দিকী) গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে তাকে ঝিনাইদহে নেওয়া হয়। ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, ২০১৩ সালে ঝিনাইদহ শহরে বিক্ষোভ মিছিলে সহিংসতার ঘটনায় জামায়াত কর্মী আবদুস সালাম নিহত হন। সেই ঘটনায় সম্প্রতি সদর থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। ওই মামলায় গতকাল রাতে সাভার থেকে সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। পরে তাকে ঝিনাইদহ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়। আবদুল্লাহ আল মামুন আরও জানান, ১১ বছর আগের ওই হত্যাকাণ্ড ছাড়াও গত ৪ আগস্ট জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ-ভাঙচুর এবং জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় করা আরও দুটি মামলায় তাহজীব আলম সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের জন্য আবেদন করা হয়েছিল। তবে, বিচারক তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে পুলিশ হেফাজতে রেখে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। ঝিনাইদহে জামায়াতের কর্মী আবদুস সালাম হত্যার ঘটনায় ২৭ আগস্ট একটি মামলা করা হয়। মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শফিকুল ইসলাম, সাবেক সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকীসহ আওয়ামী লীগের ২৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত আবদুস সালামের শ্বশুর ও কৃষি ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তাহজীব আলম সিদ্দিকী ঝিনাইদহ-২ আসন (সদর আংশিক ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলা) থেকে ২০১৪ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে তিনি ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে নৌকার প্রার্থী হিসেবে আবারও জয়ী হন। তার বাবা নূরে আলম সিদ্দিকী ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি ছিলেন। আরটিভি/এসএইচএম