• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
সাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি রূপ নিতে পারে ঘূর্ণিঝড়ে, ৪ বন্দরে সতর্ক সংকেত
সাগরে নিম্নচাপ, বন্দরে সতর্ক সংকেত
বঙ্গোপসাগরের সুস্পষ্ট লঘুচাপটি ইতোমধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। ফলে ক্রমেই এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার আশঙ্কা জোরালো হচ্ছে। বিদ্যমান নিম্নচাপের ফলে দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে একই এলাকায় (১৫.২° উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১.০০ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ) নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। এটি মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭০০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণপূর্বে অবস্থান করছিল। এটি আরও পশ্চিম-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর ও ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে। আবহাওয়া অফিস জানায়, নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিম্নচাপ কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর উত্তাল রয়েছে। এজন্য চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ১ নম্বর দূরবর্তী সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এছাড়া, উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, যেন স্বল্প সময়ের নোটিশে নিরাপদ আশ্রয় যেতে পারে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় ডানার বিষয়ে আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ঘূর্ণিঝড়টি মূলত ভারতের পশ্চিমবঙ্গ ও উড়িষ্যার ওপর দিয়ে অতিক্রম করবে। বাংলাদেশের বরিশাল, খুলনা, যশোরে ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাব থাকতে পারে। উপকূলে প্রচণ্ড বাতাস বইতে পারে। এ সময় সমুদ্রবন্দরগুলোতে সর্বোচ্চ ৬ নম্বর সতর্ক সংকেত জারি করা হতে পারে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
আম্পানের মতো একই পথে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’
বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ, যখন আঘাত হানবে ঘূর্ণিঝড় ‌‌‘ডানা’
ঘূর্ণিঝড় ও বৃষ্টি নিয়ে যা জানাল অফিস
খুলনায় আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’, জলোচ্ছ্বাসের শঙ্কা
ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে বঙ্গোপসাগরের লঘুচাপ, আঘাত হানবে যেখানে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি ক্রমেই ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিচ্ছে বলে জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। আগামী ২৩ অক্টোবর ঘূর্ণিঝড়টির সৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি।  এবারের ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে ‘ডানা’। নামটি কাতারের দেওয়া। আইএমডির পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার পর ২৪ অক্টোবর সকালে বঙ্গোপসাগরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা উপকূলে পৌঁছাতে পারে। সংস্থাটি বলছে, ২২ অক্টোবর সকালে লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হবে। এরপর ২৩ অক্টোবর মধ্যরাত নাগাদ পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে এটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে। ২৪ অক্টোবর সকালেই ঘূর্ণিঝড়টি উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগরের ওড়িশা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূলে পৌঁছাবে। এর আগে, সংস্থাটি তাদের শনিবারের সতর্কবার্তায় জানায়, ২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগরে উত্তাল ও ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকবে। ওই সময় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪০ এবং ঝড়ো হাওয়ার গতি ৫৫ কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। অন্যদিকে বঙ্গোপসাগর ২২ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তাল ও সেখানে ঝড়ো আবহাওয়া বিরাজমান থাকতে পারে। ওই সময় বাতাসের গতি ৪৫ থেকে ৫৫ কিলোমিটার হতে পারে। এরপর ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর উত্তর বঙ্গোপসাগর খুবই উত্তাল হয়ে উঠতে পারে। এ অবস্থায় ২১ অক্টোবর পর্যন্ত আন্দামান সাগর, ২২ থেকে ২৪ অক্টোবর মধ্য বঙ্গোপসাগর এবং ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত উত্তর বঙ্গোপসাগরে জেলেদের মাছ ধরতে না যাওয়ার জন্য পরামর্শ দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ। এ ছাড়া জাহাজ, বন্দর, সাগর ও উপকূলে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।  আরটিভি/এসএইচএম-টি
ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা, টানা ৫ দিন বৃষ্টির বার্তা
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। এটি ঘনীভূত হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিতে পারে। এটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিলে এর প্রভাবে ৫দিন বৃষ্টি হতে পারে। রোববার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রোববার (২১ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত  চট্টগ্রাম বিভাগের দু'এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। সোমবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু’এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) রাজশাহী খুলনা ও বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; ঢাকা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু’এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারাদেশে দিন এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এদিকে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের আগ পর্যন্ত দুইদিন বৃষ্টি কম হতে পারে। এরপর বুধবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান, লঘুচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে লঘুচাপ সৃষ্টির পর এর গতিপথ কী হবে, কতটা শক্তিশালী হবে তা জানা যাবে। জানা গেছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিলে এর নাম হবে ‘ডানা’। নামটি কাতারের দেওয়া। আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল থেকে জানা গেছে, আগামী ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। এ সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর দেশের বেশিভাগ জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশে ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর আগে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে নিদিষ্ট সময় জানায়নি আবহাওয়া অফিস। আরটিভি/এসএপি    
ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’ নিয়ে সবশেষ যা জানাল আবহাওয়া অফিস
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগরে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। পরবর্তী সময়ে এটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। রোববার (২০ অক্টোবর) আবহাওয়া অফিসের নিয়মিত পূর্বাভাস থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রোববার ও আগামীকাল সোমবার সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে। একই সঙ্গে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। ঘূর্ণিঝড়ের আগ পর্যন্ত দুইদিন বৃষ্টি কম হতে পারে। এরপর বুধবার থেকে বাড়তে পারে বৃষ্টি। এ প্রসঙ্গে আবহাওয়াবিদ আব্দুর রহমান জানান,  লঘুচাপের ফলে ঘূর্ণিঝড়ের প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। তবে লঘুচাপ সৃষ্টির পর এর গতিপথ কী হবে, কতটা শক্তিশালী হবে তা জানা যাবে। জানা গেছে, লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রুপ নিলে এর নাম হবে ‘ডানা’। নামটি কাতারের দেওয়া। আমেরিকা ও ইউরোপিয়ান আবহাওয়ার পূর্বাভাস মডেল থেকে জানা গেছে, আগামী ২৪ থেকে ২৫ অক্টোবরের মধ্যে স্থলভাগে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ‘ডানা’। এ সময় তার গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৩০ কিলোমিটার। ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে আগামী ২৩ থেকে ২৬ অক্টোবর দেশের বেশিভাগ জেলায় প্রবল বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এর প্রভাবে সারাদেশে ৪ থেকে ৫ দিন বৃষ্টিপাত হতে পারে। এর আগে আবহাওয়া অফিসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, অক্টোবরে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টির সম্ভাবনা আছে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। তবে নিদিষ্ট সময় জানায়নি আবহাওয়া অফিস। আরটিভি/এসএপি/এআর
ফের লঘুচাপ সৃষ্টির আভাস
পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তর আন্দামান সাগর এলাকায় আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। রোববার (২০ অক্টোবর) সকালে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। এতে আরও বলা হয়, লঘুচাপের বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত। এ অবস্থায় আজ (রোববার) সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এ সময়ে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। সোমবার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময়ে অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। এ ছাড়া মঙ্গলবার চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। বর্ধিত পাঁচ দিনে বৃষ্টিপাতের প্রবনতা রয়েছে বলেও জানায় আবহাওয়া অধিদপ্তর। আরটিভি/আরএ
দেশের ৭ অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টি, হুঁশিয়ারি সংকেত
দেশের ৭ অঞ্চলের ওপর দিয়ে ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বিকেল ৩টা থেকে রোববার রাত ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দর সমূহের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও কক্রবাজার অঞ্চল সমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দর সমূহকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আবহাওয়া অফিসের অপর এক বার্তায় বলা হয়েছে, রোববার সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ সময়ে রংপুর, খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের দু-এক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে। আরটিভি/এসএপি/এসএ  
সন্ধ্যার মধ্যে ছয় অঞ্চলে ঝোড়ো বৃষ্টির আভাস
দেশের ছয় অঞ্চলে সন্ধ্যার মধ্যে ঝোড়ো হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টির আভাস দিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর। এসব অঞ্চলের নদীবন্দরগুলোকে সতর্ক সংকেত দেখাতে বলেছে সংস্থাটি। শনিবার (১৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরসমূহের জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়। পূর্বাভাসে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে যশোর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালি, নোয়াখালি এবং কুমিল্লা অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫-৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।এসময়  বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টিও হতে পারে।  এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। আরটিভি/এসএইচএম
যতটা শক্তি নিয়ে আঘাত হানতে পারে ঘূর্ণিঝড় ডানা
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে বিচ্ছিন্নভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। আগামী কয়েক দিনে লঘুচাপটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে আভাস মিলেছে। যদি পূর্বাভাস অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হয়, তাহলে নাম হবে ‘ডানা’। আবহাওয়া সংস্থার সতর্কবার্তা অনুসারে, আগামী ২৩ অক্টোবর সাগরে নিম্নচাপ তৈরি হবে। ২৩ বা ২৪ অক্টোবর নাগাদ একটি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে সেটি। এদিকে ঘূর্ণিঝড়টি সৃষ্টি হলে কোন উপকূলে আঘাত হানতে পারে, সে ব্যাপারেও পুরোপুরি নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে, সম্ভাব্য গতিপথ হিসেবে বাংলাদেশের বরিশাল ও খুলনা বিভাগ এবং ভারতের ওড়িশা রাজ্যের কথা জানা গেছে। বলা হচ্ছে, ঘূর্ণিঝড়টি যদি বরিশাল এবং খুলনা বিভাগের কোনো উপকূলে আঘাত হানে সে ক্ষেত্রে এর গতিবেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১২০ কিলোমিটার। অন্যদিকে যদি ভারতের ওড়িশা অভিমুখে এই ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে তাহলে এর বেগ হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৫০ কিলোমিটার। সম্প্রতি কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এক ফেসবুক পোস্টে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের আবহাওয়া পূর্বাভাস মডেলের বরাত দিয়ে বলেন, ২১ থেকে ২৬ অক্টোবরের মধ্যে বঙ্গোপসাগরে একটি ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হতে পারে। সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড়টি কম কিংবা মাঝারি শক্তিসম্পন্ন হতে পারে। ঘূর্ণিঝড় সৃষ্টি হলে তা ২৪ বা ২৫ অক্টোবর উপকূলে আঘাত করতে পারে। তবে স্থান-কাল নির্দিষ্ট করে বলতে হলে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এ বিষয়ে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মনোয়ার হোসেন জানান, যে লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে, সেটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এখন পর্যন্ত এতটুকু বোঝা যাচ্ছে। সাধারণত ২৪ ঘণ্টা আগে আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে ঘূর্ণিঝড়ের আপডেট দেওয়া হয়ে থাকে। তবে এখন দায়িত্বশীল জায়গা থেকে এই লঘুচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নেবে কি না, সেটি নিশ্চিতভাবে বলা যাচ্ছে না। তবে, একটা আশঙ্কা রয়েছে। এর আগে, অক্টোবরের শুরুতে দীর্ঘমেয়াদি আবহাওয়া পূর্বাভাসে জানানো হয়েছিল, চলতি মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার মধ্যে একটি নিম্নচাপ বা ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। আরটিভি/এসএইচএম-টি