• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ফের বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত
দুই খাতে ৭ হাজার কোটি টাকা দেবে এডিবি
বাংলাদেশকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৬০০ মিলিয়ন বা ৬০ কোটি মার্কিন ডলার পলিসি বেজড ঋণ (নীতি-ভিত্তিক ঋণ) অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রতি ডলার ১১৯ টাকা ৪৬ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় ঋণের পরিমাণ ৭ হাজার ১৬৭ কোটি টাকা। এ টাকা অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও শাসনব্যবস্থা জোরদারে অন্তর্বর্তী সরকার ব্যবহার করতে পারবে। এ ঋণের আওতায় ব্যবসায়ী পরিবেশ সৃষ্টি এবং অপারেশন সহজতর করার জন্য, একটি অনলাইন সমন্বিত প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা হয়েছে যেখানে ১৩০টিরও বেশি পরিষেবা গ্রহণ করা যাবে। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ আবাসিক মিশনের এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স টিম লিডার গোবিন্দ বর এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছেন। বিজ্ঞপ্তিতে তিনি বলেন, রাষ্ট্র-সংস্কার এবং স্বচ্ছতা ও সুশাসন নিশ্চিতে, দেশের রাজস্ব আদায় বাড়ানো, সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পের দক্ষতা, বেসরকারি খাতের উন্নয়নের জন্য কাঠামোগত সংস্কারের একটি প্যাকেজ রয়েছে। ওই প্যাকেজ এ ঋণে বাস্তবায়িত হবে। দেশের মালিকানাধীন উদ্যোগ এবং স্বচ্ছতা এবং সুশাসনের প্রচারে এ ঋণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তিনি। সংস্কার প্রসঙ্গে পরিষ্কার করেন এডিবির আঞ্চলিক প্রধান অর্থনীতিবিদ আমিনুর রহমান। তিনি বলেন, এডিবির পলিসি-ভিত্তিক ঋণ বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পরবর্তী সময়ে ত্বরিতভাবে উন্নয়নমূলক আর্থিক সহায়তা প্রদান করবে। এই সংস্কারগুলোতে অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা ও শাসনব্যবস্থার উন্নতি, পাশাপাশি অর্থনৈতিক বৈচিত্র্যকরণ ও প্রতিযোগিতার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এডিবির এই কর্মসূচি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক ও অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে তৈরি করা হয়েছে বলেও জানান আমিনুর রহমান। ঋণ কর্মসূচির মধ্যে ডিজিটালাইজেশন এবং ‘সবুজ’ উদ্যোগ, কর প্রণোদনা ও ছাড়ের যৌক্তিককরণ এবং কর মনোবল বাড়াতে করদাতাদের সহায়তা করার ব্যবস্থা রয়েছে। ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে সরকারি বিনিয়োগ প্রকল্পগুলোর স্বচ্ছতা এবং দক্ষতা উন্নত করা এ ঋণের আরেকটি উদ্দেশ্য। এ ঋণ দেশের ‘নিয়ন্ত্রক পরিবেশকে’ সহজ করবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি সবার জন্য ‘সমান সুবিধা’ দিয়ে বেসরকারি খাতের উন্নয়ন এবং বিদেশি প্রত্যক্ষ বিনিয়োগকে উৎসাহিত করবে। আরটিভি/এএইচ/এস
দেশের বাজারে জিক্সার ২৫০ সিসির নতুন মোটরসাইকেল, দাম কত
দাম বাড়তেই ‘উধাও’ হওয়া সয়াবিন তেলে সয়লাব বাজার
আলুর দাম কমা নিয়ে যা জানালেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
আবারও বাড়ল স্বর্ণের দাম, ভরি কত?
সয়াবিন তেলের দাম বাড়ল
সয়াবিন তেলের দাম বাড়িয়েছে সরকার। তবে কী কারণে এ দাম বাড়ানো হয়েছে তা পরিষ্কার করেনি। দাম বাড়ার পেছনে অন্যান্য সময়ের মতো তেলের সংকটকে দায়ী করা হয়েছে।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) ভোজ্যতেলের দাম নির্ধারণ নিয়ে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। নতুন এ দাম আজ থেকেই কার্যকর হবে বলে জানান তিনি।   উপদেষ্টা জানান, বোতলজাত সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৭৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। অন্যদিকে খোলা সয়াবিন তেল প্রতি লিটার ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫৭ টাকায় নির্ধারণ করা হয়েছে। আরটিভি/এএইচ/এস
জানুয়ারিতে বাণিজ্যমেলা, টিকিট মিলবে যেভাবে
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার আত্মত্যাগকে সামনে রেখে আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী শুরু হতে যাচ্ছে ২৯তম ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা। সব ঠিক থাকলে রাজধানীর পূর্বাচলের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ-চায়না ফ্রেন্ডশিপ এক্সিবিশন সেন্টারে (বিবিসিএফইসি) এই মেলা শুরু হবে। আর এবারই প্রথম মেলার টিকিট পাওয়া যাবে অনলাইনে।  রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব ও বাণিজ্যমেলার পরিচালক বিবেক সরকার গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, আগামী ১ জানুয়ারি থেকে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্যমেলা শুরু হবে। অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এদিন সকাল ১০টায় মেলা প্রাঙ্গণে সশরীরে উপস্থিত থেকে মেলা উদ্বোধন করবেন বলে সম্মতি দিয়েছেন।  পরিচালক বিবেক সরকার বলেন, প্রতিবছরই বাণিজ্যমেলায় নতুন কিছু সংযোজন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় এবার আমরা গত জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার যে আত্মত্যাগ সেটা সামনে রেখে মেলা সাজাবো। শহীদের সম্মান জানাতে থাকবে শহীদ আবু সাঈদ ও মীর মুগ্ধ নামে দুইটি কর্নার। একইসঙ্গে যুবকদের জন্য একটি ইয়ুথ প্যাভিলিয়ন থাকবে। এ ছাড়া সিনিয়র সিটিজেনদের বসার জন্য একটি জায়গা রাখা হবে, সেখানে শুধু বয়স্করা বসতে পারবেন।  নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ সুযোগ রাখা হচ্ছে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এবারের মেলায় নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অপেক্ষাকৃত কম দামে স্টল বরাদ্দ দেওয়া হবে। যেখানে তারা তুলনামূলক কম দামে পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। মেলা প্রাঙ্গণ সাজানোর পরিকল্পনা জানিয়ে বাণিজ্যমেলার এই পরিচালক বলেন, এ বছর মেলার প্রবেশদ্বারে ভিন্নতা আনা হচ্ছে। প্রবেশ দ্বারে থাকছে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের থিম। এ ছাড়া পুরো মেলা প্রাঙ্গণে ইপিবির কর্মকাণ্ড তুলে ধরাসহ আর্থিক খাতের নানা বিষয় তুলে ধরা হবে।  সশরীরে টিকিট কেনার পাশাপাশি এবারের মেলায় থাকছে অনলাইনে টিকিট ক্রয়েরও সুযোগ। প্রথমবারের মতো নেওয়া এ উদ্যোগ নিয়ে বিবেক সরকার বলেন, ইতোমধ্যে আমাদের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা হয়েছে। ই-টিকিটিং হলে দর্শনার্থীরা মোবাইলে কিউআর কোড দেখিয়ে মেলায় প্রবেশ করতে পারবেন।  তিনি বলেন, অনলাইনের এ সেবার মাধ্যমে দর্শনার্থীরা যেখান থেকে খুশি অ্যাপের মাধ্যমে টিকিট ক্রয় করতে পারবেন। এতে একদিকে যেমন মেলায় প্রবেশে অতিরিক্ত ভিড় এড়ানো যাবে, অপরদিকে বাঁচবে দর্শনার্থীদের মূল্যবান সময়ও। এর বাইরে আগের নিয়মে লাইনে দাঁড়িয়েও দর্শনার্থীরা টিকিট কিনতে পারবেন। পাশাপাশি বিআরটিসি বাস কাউন্টার থেকে যাতে টিকিট কেনা যায়, সেই চেষ্টাও করা হচ্ছে।  মেলার প্রবেশমূল্য এখন পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়নি জানিয়ে বাণিজ্যমেলার পরিচালক বলেন, গতবছরের মতো এবারও মেলায় প্রবেশমূল্য প্রাপ্ত বয়স্কদের জন্য ৫০ টাকা ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ২৫ টাকা থাকছে। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) এই সচিব বলেন, দর্শনার্থীদের সুবিধার জন্য এবারও থাকছে বিআরটিসির বাস সার্ভিস। কুড়িল ফ্লাইওভারের নিচ থেকে মেলা পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত এই বাসগুলো চলাচল করবে।  মেলার আয়োজন প্রায় শেষের দিকে জানিয়ে তিনি বলেন, মেলার আয়োজনে চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। সেসব বিষয় মাথায় রেখেই কাজ এগিয়ে নিচ্ছি। প্রায় ৮০ শতাংশ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রসঙ্গত, আসন্ন বাণিজ্যমেলার ২৯তম আসরে ভারত, পাকিস্তান, ইরান, তুরস্ক, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, হংকং ও সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অংশ নেওয়ার কথা রয়েছে। সবমিলিয়ে স্টল থাকবে ৩৫০টি। এবারের আয়োজনে পুলিশ, র‌্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরাও সার্বিক নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবে। পাশাপাশি থাকবে মোবাইল কোর্টও। এ ছাড়া মেলাকেন্দ্রে বৃহৎ পরিসরে পার্কিং সুবিধা রাখা হচ্ছে। যাতে দর্শনার্থীদের কোনো প্রকার ভোগান্তি না পোহাতে হয়।  আরটিভি/আইএম/এআর
প্রথমবারের মতো বাজারে এলো খেজুরের তৈরি কোমল পানীয়
প্রথমবারের মতো বাজারে এলো খেজুরের তৈরি কোমল পানীয়। ‘মিলাফ কোলা’ নামে অভিনব এ পানীয়টি মিলছে সৌদি আরবের বাজারে। অচিরেই এটি বিশ্ববাজারে ছড়িয়ে পড়বে বলে আশা করছে উৎপাদক সংস্থাটি।  গত নভেম্বরে রিয়াদ ডেট ফেস্টিভ্যালে পানীয়টির উদ্বোধন করেন সৌদি কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রহমান আল-ফাদলি ও থুরাথ আল-মদিনা কোম্পানির সিইও বান্দার আল-কাহতানি।  উৎপাদক প্রতিষ্ঠানটি জানায়, তাদের দীর্ঘদিনের গবেষণার ফলাফল এই ‘মিলাফ কোলা’। আন্তর্জাতিক খাদ্যনিরাপত্তা এবং গুণগত মান বজায় রেখে তৈরি করা হয়েছে সুস্বাদু কোমল পানীয়টি। স্বাদ ও পুষ্টির দিকে দেওয়া হয়েছে সর্বোচ্চ মনোযোগ। স্থানীয় বাজারের পাশাপাশি বিশ্ববাজারেও নতুন এ কোমল পানীয়টি বেশ সাড়া ফেলবে বলে আশা তাদের। প্রতিষ্ঠানটি আরও জানায়, সৌদি আরবে স্থানীয়ভাবে সংগ্রহ করা উচ্চমানের খেজুর দিয়ে তাদের এই কোমল পানীয়টি তৈরি করা হয়েছে। প্রচলিত কোমল পানীয়ের চেয়ে এটি অনেক স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিগুণ সম্পন্ন। উল্লেখ্য, সৌদি আরবের পরিবেশবান্ধব এবং স্থানীয় পণ্য প্রচারের ভিশনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে মিলাফ কোলার মতো খেজুরের তৈরি বিভিন্ন ধরনের খাদ্য পণ্য উদ্ভাবনে কাজ করে থুরাথ আল-মদিনা।  আরটিভি/এসএইচএম/এআর
কমেছে সবজির দাম, উধাও বোতলজাত সয়াবিন তেল
রান্নার তেল নেই। বাজারে এসে বেশ কয়েকটি সুপার শপ ও মুদি দোকানে গেলাম। কোথাও নেই দুই লিটারের সয়াবিন তেলের বোতল। অবশেষে গলির একটি ছোট দোকানে পেলাম। দুটি ছিল, সেখান থেকে একটি নিলাম। তবে কিনতে হয়েছে বোতলের গায়ে লেখা দামের চেয়ে ১৫ টাকা বেশিতে।  কথাগুলো বলছিলেন মোহাম্মদপুরের গৃহিণী সাবিহা সুলতানা। হতাশা মেশানো কণ্ঠে তিনি আরও বলেন, সংকটের অজুহাতে প্রায়ই নিত্যপণ্যের দাম বাড়ানো হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়তে হয় আমাদের মতো সাধারণ মানুষের। সরকারের কাছে সবিনয় অনুরোধ, বিষয়টা একটু তদারকি করেন। তাহলে মানুষের দুর্দশা লাঘব হবে। একই কথা তেজগাঁও কলেজের শিক্ষার্থী ইমরান মাহমুদের মুখেও। তিনি বলেন, সকালে রান্না শেষে যাওয়ার সময় মেসের খালা জানালেন তেল শেষ। দুপুরে তেল ছাড়া রান্না হবে না। কিন্তু বাজারে এসে পড়েছি বিপাকে। যেখানেই যাই, তেল নাই। থাকলেও সংকটের অজুহাতে দোকানিরা ১৫-২০ টাকা বেশি চাচ্ছেন। এখন না নিয়েও তো উপায় নেই। বাধ্য হয়ে বেশি দামে তেল কিনেছি।    ইমরান আরও বলেন, এভাবে যদি প্রায়ই বাজারে কোনো না কোনো পণ্যের দাম বাড়ে, তাহলে আমরা যারা মেসে থেকে পড়ালেখা করি তারা যাবে কোথায়? সবারই তো কমবেশি আর্থিক সমস্যা আছে। চাইলেই তো আর বাড়ি থেকে যখন তখন টাকা আনতে পারি না। সরকারের উচিত বিষয়টির প্রতি সুনজর দেওয়া। ফার্মগেটের রিকশাচালক মনু মিয়া বলেন, জিনিসপত্রের দাম হুটহাট বাড়লেও আমাদের আয় বাড়ে না। এর মধ্যে তেল পাওয়া যাচ্ছে না, দু-এক জায়গায় পাওয়া গেলেও দাম বেশি। এখন আমাদের মতো গরিব মানুষরা কী করবে বলেন?  মোহাম্মদপুর, তেজতুরি বাজার, ফার্মগেটের মতো রাজধানীর অন্যান্য এলাকাতেও একই চিত্র। বোতলজাত সয়াবিন তেল এক প্রকার উধাও। আর দু-এক দোকানে পাওয়া গেলেও সেগুলো গায়ে লেখা দামের চেয়ে বেশি দামতে কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।   এই সুযোগে বেড়ে গেছে খোলা সয়াবিন ও পাম অয়েলের দাম। দোকানিরা বাড়তি দর পেতে বোতল থেকে ঢেলে খোলা সয়াবিন হিসেবে তা বিক্রি করছেন, এমন অভিযোগও মিলছে অহরহ। সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্যমতে, খুচরা পর্যায়ে বর্তমানে এক লিটার খোলা সয়াবিন ১৬৫-১৬৮ টাকা এবং এক লিটার খোলা পাম তেল ১৫৮-১৫৯ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ বিষয়ে একাধিক বিক্রেতার সঙ্গে কথা হয় এই প্রতিবেদকের। তারা বলেন, বাজারে সয়াবিনের এক, দুই ও পাঁচ লিটারের বোতলের সরবরাহ একেবারেই নেই বললেই চলে। পরিবেশকদের কাছে বারবার তাগাদা দিয়েও তেল পাওয়া যাচ্ছে না। শুধু দু-তিনটি কোম্পানি বোতলজাত সয়াবিন বাজারে ছাড়ছে, যা চাহিদার তুলনায় সামান্য। এ কারণেই দাম বেশি। এগুলো ব্যবসায়ীদের খোঁড়া যুক্তি উল্লেখ করে ভোক্তা-সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বর্তমানে যে তেল বিক্রি হচ্ছে, তা আমদানি হয়েছে তিন থেকে চার মাস আগে। তখন বিশ্ববাজারে দর কম ছিল। এখন বিশ্ববাজারে দাম বাড়লেও সে তেল আমদানি করে পরিশোধনের পর বাজারে আসতে লাগবে অন্তত দুই মাস। তাই বিশ্ববাজারে দাম বৃদ্ধির অজুহাত ও কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দেশে দাম বাড়ানোর যে পাঁয়তারা চলছে, তা অযৌক্তিক। এ বিষয়ে কথা হয় ভোক্তার নির্বাহী পরিচালক মো. খলিলুর রহমান সজলের সঙ্গে।  তিনি বলেন, মূল্য সংযোজন কর কমানোসহ নানা সুবিধা দেওয়ার পরও ভোজ্যতেল সরবরাহকারী কোম্পানিগুলো তেলের দাম না কমিয়ে উল্টো সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে। এখনই যদি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে এবারের রমজানে পরিস্থিতি আরও অস্বস্তিকর হতে পারে। তেলের বাজারের এমন পরিস্থিতি থাকলেও স্বস্তির চিত্র সবজির দামে। রাজধানীর বিভিন্ন কাঁচাবাজার ঘুরে দেখা গেছে, মৌসুমী বাহারি সব সবজিতে সয়লাব বাজার। সরবরাহ বাড়ায় দামও অনেকটা হাতের নাগালে। বর্তমানে প্রতি পিস ফুলকপি ও বাঁধাকপি ৪০-৫০ টাকা, প্রতি কেজি মুলা ৩০-৪০ টাকা, শালগম ৬০-৭০ টাকা, ধরনভেদে শিম ৬০-১০০ টাকা ও টমেটো ১৩০-১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।  এ ছাড়া বেগুন ৬০-৮০ টাকা, পেঁপে ৪০-৫০ টাকা, লাউ প্রতি পিস ৫০-৬০ টাকা, কাঁচা মরিচ প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা, পুরোনো আলু ৭৫-৮০ টাকা ও নতুন আলু ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। রাজধানীর কারওয়ান বাজারে কম দামে সবজি কিনতে পেরে খুশি দিনমজুর আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, সারা বছর এমন দামে তরকারি কিনতে পারলে ভালো হয়। কারণ, আমাদের আয় কম। সরকারের কাছে তাই বলবো, সবজির বাজারটা যেন এ রকমই থাকে।  আরটিভি/আইএম/এস
আজকে স্বর্ণের দাম (৬ ডিসেম্বর)
স্বর্ণ যেহেতু আমদানিকৃত একটি উপাদান সেক্ষেত্রে আমাদের বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম প্রায় প্রতিনিয়তই ওঠানামা করতে থাকে। এই দাম বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস) কর্তৃক সঠিকরূপে নির্ধারণ করা হয়ে থাকে। বাংলাদেশে স্বর্ণের দাম কত চলছে সে সম্পর্কে জানতে আগ্রহী সকলকে ৬ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখের পণ্যটির দাম জানানো হলো। সবশেষ রোববার (১ ডিসেম্বর) স্বর্ণের নতুন দাম নির্ধারণ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। আজকে স্বর্ণের দাম ২২ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩৭ হাজার ২২৭ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম ১ লাখ ৩০ হাজার ৯৯৮ টাকা। ১৮ ক্যারেটের এক ভরি স্বর্ণের দাম এক লাখ ১২ হাজার ২৮৯ টাকা। সনাতন পদ্ধতির এক ভরি স্বর্ণের দাম ৯২ হাজার ১৩৪ টাকা। আরটিভি/কেএইচ
রাজধানীতে শুরু হলো ওয়ালটন শিল্পমেলা 
দেশে দ্বিতীয়বারের মতো শুরু হলো তিন দিনব্যাপী ‘অ্যাডভান্সড টেকনোলজি সল্যুশন বা এটিএস এক্সপো-২০২৪’। বৃহৎ এই শিল্পমেলা আয়োজন করেছে দেশের শীর্ষ ইলেকট্রনিক্স প্রতিষ্ঠান ওয়ালটন। মেলায় একই ছাদের নিচে ওয়ালটনের সর্বাধুনিক ম্যানুফ্যাকচারিং প্ল্যান্টসে উৎপাদিত আন্তর্জাতিক মানের ৫০ হাজারেরও বেশি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ম্যাটেরিয়ালস, কম্পোনেন্টস, সার্ভিসেস ও টেস্টিং সল্যুশনস প্রদর্শন করা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি হল ৩-এ এই মেলা শুরু হয়ে চলবে ৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান। মেলায় সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব ও উদ্ভাবনী প্রযুক্তির বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী নতুন মডেলের পণ্য উদ্বোধন করা হবে। নিজস্ব চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠানে ম্যাটেরিয়াল ও কম্পোনেন্টস সরবরাহের মাধ্যমে দেশের আমদানি নির্ভরতা হ্রাস ও শিল্প উন্নয়নে অবদান রাখছে ওয়ালটন। এ ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন দেশে রপ্তানির মাধ্যমে আয় করছে প্রচুর পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কয়েক লক্ষ লোকের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে অর্থনীতিতে অবদান রাখছে ওয়ালটন।  আরটিভি/এমএ
বেড়েছে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি, খাদ্যে ১৪ শতাংশ
নভেম্বরে দেশে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১৪ শতাংশ হয়েছে; যা আগের মাস অক্টোবরে ছিল ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ। এ ছাড়া চলতি মাসে বেড়েছে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্যানুসারে, গত মাসে (নভেম্বর) দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৮ শতাংশ। গত অক্টোবরে দেশের সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ৮৭ শতাংশ। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, নভেম্বরে দেশের খাদ্য মূল্যস্ফীতি ছিল ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। এ ছাড়া খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। আগের মাস অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৬৬ শতাংশ ও ৯ দশমিক ৩৪ শতাংশ। গত বছরের অর্থাৎ ২০২৩ সালের নভেম্বরে খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ ও ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ, অক্টোবরে যা ছিল ১১ দশমিক ২৬ ভাগ। গত বছরের একই সময়ে অর্থাৎ নভেম্বরে দেশের গ্রামাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৬২ শতাংশ। নভেম্বরে গ্রামাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৩ দশমিক ৪১ ও ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। চলতি বছরের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৭৫ ও ৯ দশমিক ৭৬ শতাংশ, এবং গত বছরের নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৮৬ ও ৮ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলের মূল্যস্ফীতি ছিল ১১ দশমিক ৩৭ শতাংশ; অক্টোবরে যা ১০ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল ৯ দশমিক ১৬ শতাংশ। নভেম্বরে শহরাঞ্চলের খাদ্য ও খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে যথাক্রমে ১৪ দশমিক ৬৩ ও ৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। ২০২৪ সালের অক্টোবরে যা ছিল যথাক্রমে ১২ দশমিক ৫৩ ও ৯ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং ২০২৩ সালের নভেম্বরে যা ছিল যথাক্রমে ১০ দশমিক ৫৮ ও ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ। দেশে দেড় বছরের বেশি সময় ধরে মূল্যস্ফীতির হার দুই অঙ্কের কাছাকাছি। বিবিএসের পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গড় মূল্যস্ফীতি ছিল ১০ দশমিক ২২ শতাংশ। তার আগের বছর, অর্থাৎ ২০২২ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত দেশের গড় চলন্ত মূল্যস্ফীতি ছিল ৯ দশমিক ৪২ শতাংশ। আরটিভি/একে