• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
কারফিউতে সরবরাহ সংকট, বাজারে সবজির দাম বেড়ে দ্বিগুণ
তিন মাস রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করবে না ইপিবি
প্রতি মাসেই রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে থাকে রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। তবে রপ্তানির তথ্যে বড় ধরনের গরমিল ধরা পড়ায় আগামী তিন মাস রপ্তানি সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করবে না সংস্থাটি। এ সময়ের মধ্যে রপ্তানি আয়ে তথ্যের গরমিলের কারণ খুঁজে বের করে সংশোধনের পর পুরনায় মাসভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হবে। সোমবার (১৫ জুলাই) সচিবালয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী তিন মাস রপ্তানির তথ্য প্রকাশ না করার সিদ্ধান্তের বিষয়টি মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) অর্থমন্ত্রণালয় থেকে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হবে বলেও সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভায় অর্থ প্রতিমন্ত্রী ওয়াসিকা আয়শা খান, বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আব্দুর রউফ তালুকদার, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম, অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো খায়েরুজ্জামান মজুমদার, ইপিবির ভাইস চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেনসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অর্থ মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সভায় বাংলাদেশ ব্যাংক ও ইপিবির রপ্তানির পরিসংখ্যানে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে গরমিলের অন্তর্নিহিত কারণ উদ্ঘাটনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক, এনবিআর, ও ইপিবি আগামী তিন মাসের মধ্যে এ গরমিলের মূল কারণ খুঁজে বের করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ কারণে এ সময়ে রপ্তানির পরিসংখ্যান প্রকাশ করবে না ইপিবি। গরমিলের কারণ উদঘাটনের পর সেটি সংশোধন করে মাসভিত্তিক তথ্য প্রকাশ করা হবে। এ বিষয়ে আজ অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হতে পারে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। সাধারণত, প্রতিমাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই ইপিবি তার আগের মাসের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করে থাকে। রপ্তানির তথ্যে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও অধিক ফাঁরাক চিহ্নিত হওয়ার পর এখনও গত জুনের রপ্তানির তথ্য প্রকাশ করেনি সংস্থাটি।  সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের জুলাই-মে সময়ে এ দুই সংস্থার রপ্তানি পরিসংখ্যানে ১০ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলারের পার্থক্য ছিল। এর আগের অর্থবছরে এ দুই সংস্থার পরিসংখ্যানে ফারাক ছিল ১ হাজার ১৯৯ কোটি ডলার বা ২১ দশমিক ৫৮ শতাংশ। এ ছাড়া পরিসংখ্যানের ব্যবধান ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ৮৪৮ কোটি ডলার বা ১৬ দশমিক ২৮ শতাংশ, ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪৭৯ কোটি ডলার বা ১২ দশমিক ৩৬ শতাংশ ও ২০১৯-২০ অর্থবছরে ছিল ৩৭০ কোটি ডলার বা ১০ দশমিক ৯৯ শতাংশ।
বেসিসের ফিনটেক স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান হলেন নগদের নিয়াজ মোর্শেদ এলিট
টানা দশবার ‘জাতীয় রপ্তানি ট্রফি’ পেল সার্ভিস ইঞ্জিন লিমিটেড
বাজারে এলো বেঙ্গল মোবাইলের নতুন ইকো সিরিজ হ্যান্ডসেট
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১১ জুলাই)
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (১০ জুলাই)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ১০ জুলাই ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম    বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৯ টাকা ২০ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৮ টাকা ৭০ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৫২ টাকা ০৭ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ৩৯ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৫ টাকা ০২ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৭ টাকা ৫৫ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ৩১ টাকা ৩৪ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৭ টাকা ১৯ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৮০ টাকা ২০ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৮৭ টাকা ১০ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।  
সিন্ডিকেটের চালবাজিতে উধাও বাম্পার ফলনের খুশি
বাজারে বোরো ধান উঠেছে মাস খানেক হয়ে গেল। বাম্পার ফলনের সুবাদে নেই সরবরাহ ঘাটতিও। কিন্তু বোরোর বাম্পার ফলনের প্রভাব নেই চালের বাজারে। নিজস্ব গুদামে মজুত বাড়িয়ে চালবাজিতে মেতে উঠেছে সংঘবদ্ধ চক্র। ইতোমধ্যে বস্তাপ্রতি (৫০ কেজি) চালের দাম বেড়ে গেছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও সপ্তাহের ব্যবধানে অস্বাভাবিকভাবে চালের এমন মূল্য চড়ায় ক্ষুব্ধ ক্রেতা সাধারণ। সিন্ডিকেটের দৌরাত্ম্যের পেছনে বাজার তদারকির সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের নিষ্ক্রিয়তাকেই দায়ী করছেন তারা।  রাজধানীর বাজারগুলোতে এক সপ্তাহ আগেও এক কেজি মোটা পাইজাম চাল বিক্রি হয়েছে ৪৮ টাকায়। কিন্তু এখন ওই চালই বিক্রি হচ্ছে ৫৩-৫৪ টাকায়। ৭ দিন আগে যে মিনিকেট চাল বিক্রি হয় ৬৮-৭০ টাকায়, এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৭২-৭৫ টাকায়। কেজিতে ৮-১০ টাকা বেড়েছে নাজিরশাইলের দাম। বর্তমানে প্রতিকেজি নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়। মিরপু্রের কয়েকটি কাঁচাবাজার ঘুরে কথা হয় বেশ কয়েকজন ক্রেতার সঙ্গে। চালসহ বিভিন্ন পণ্যের অযৌক্তিক মূল্যবৃদ্ধিতে ক্ষোভ ঝরে তাদের কণ্ঠের। ইরফান খান নামে এক ক্রেতা বলেন, বাজারের যে অবস্থা, এখন আমাদের মধ্যবিত্তদের কোনরকম খেয়ে-পরে বাঁচাটাই মুশকিল হয়ে গেছে।  সিন্ডিকেটের কাছে অসহায় হয়ে পড়েছি আমরা। যখন যেভাবে খুশি সবকিছুর দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে তারা। জুনায়েদ হায়দার নামে আরেক ক্রেতা বলেন, দেশে নাকি বোরোর বাম্পার ফলন হয়েছে। তাহলে চালের দাম এমন বাড়ে কীভাবে? এসব দেখার কি কেউ নেই? শক্তভাবে বাজার মনিটরিং না হলে, আমাদের বাঁচা সম্ভব না।   খুচরা বিক্রেতারা বলেন, সব ধরনের চালের দামই বেড়েছে। বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে হলে একেবারে মিল পর্যায় থেকে শুরু করতে হবে। খুচরা বাজারে অভিযান চালিয়ে জরিমানা করে লাভ নেই। পাইকারি ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে বাড়তি দামে কিনতে হয় বলেই বাড়তি দামে বেচতে হয় ক্রেতাদের কাছে।  আড়তদাররাও দাবি করছেন, চালের দাম বাড়িয়েছে মিলাররা। নিজেদের গুদামে মজুত করে অল্প অল্প করে বাজারে ছাড়ছে তারা। তারা বলছেন, সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা চালের বস্তার দাম ৫০ টাকা বাড়িয়েছে মিলাররা। আর চিকন চালে ৫০ কেজির প্রতি বস্তার দাম বেড়েছে ৩০০ টাকা পর্যন্ত। মিলারদের পাশাপাশি চালের বাজার করপোরেট কোম্পানিগুলোও নিয়ন্ত্রণ করছে বলে অভিযোগ তাদের।    
রপ্তানি হিসাবে গরমিল, সরকারি তথ্য-উপাত্ত নিয়ে সন্দেহ
দেশের রপ্তানি আয়ে সাম্প্রতিক সময়ে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি দেখিয়ে আসছিল সরকারি সংস্থা রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো (ইপিবি)। সেই তথ্য সংশোধনের পর দেশের অর্থনীতির সূচকগুলো নিয়ে সরকারি বিভিন্ন সংস্থার দেওয়া তথ্য নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে। রপ্তানি হিসেবে গরমিল প্রকাশ্যে আসার পর থেকে প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে। পাশাপাশি অর্থনীতিবিদ ও গবেষকেরা মনে করছেন, ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে অর্থনীতির নাজুক সময়ে নীতিনির্ধারকেরা যেসব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, সেগুলোর কার্যকারিতা ও গ্রহণযোগ্যতাও এর ফলে প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছে। এ কারণে ভুল রপ্তানি তথ্যের ভিত্তিতে হিসাব করা অর্থনীতির অন্য সূচকগুলোও সংশোধন দরকার। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয়, সে জন্য একটি স্বাধীন ও নিরপেক্ষ পরিসংখ্যান কমিশন গঠনেরও দাবি জানিয়েছেন কেউ কেউ। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর সাম্প্রতিক সময়ের  রপ্তানি তথ্য সংশোধনে দেখা যায়, গত দুই অর্থবছরের ১০ মাস করে মোট ২০ মাসে প্রায় ২৩ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৩০০ কোটি মার্কিন ডলার উধাও হয়ে গেছে। দুই বছরের বেশি সময় ধরে প্রকৃত তথ্য আড়াল করে ইপিবি রপ্তানির ভুল তথ্য প্রকাশ করে আসছিল। আর ইপিবির এই তথ্যের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ব্যাংকসহ বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) অর্থনীতির বিভিন্ন সূচকের হিসাব করে এসেছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে রপ্তানির তথ্যে গরমিল ধরা পড়ায় মোট দেশজ উৎপাদন বা জিডিপি, মোট জাতীয় উৎপাদন বা জিএনপি, লেনদেনের ভারসাম্য, বিদেশি ঋণ গ্রহণের নীতি সিদ্ধান্তসহ অর্থনীতির অনেক কার্যক্রমের সূচক সংশোধনের দাবি উঠেছে। দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসায়ীরা ইপিবির তথ্যের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে এসেছেন। বিভিন্ন সময়ে আইএমএফ থেকেও এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে ইপিবির তথ্যে বড় পার্থক্য নিয়ে গণমাধ্যমেও রিপোর্ট হয়েছে। এত আলোচনা-সমালোচনার পরও বাংলাদেশ ব্যাংক, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ও ইপিবি কয়েক দফা বৈঠক করে এ সমস্যা সমাধানের সিদ্ধান্ত নেয় এবং সিদ্ধান্ত নেয় যে, এখন থেকে এই হিসাবের ক্ষেত্রে এনবিআরের তথ্যই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। অর্থনীতিবিদ ও গবেষকেরা কয়েক বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে এ ভুল তথ্য-উপাত্ত উপস্থাপনের বিষয়টি নিছক ভুল হিসেবে দেখতে নারাজ । রপ্তানিকারকেরাও এ নিয়ে ছিলেন অসন্তুষ্ট। তাঁরা বলছেন, এটি নিছক কোনো ভুল নয়, এই ঘটনা তথ্য-উপাত্তের ধারাবাহিক কারসাজিরই প্রতিফলন। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিভাগ ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা নেতৃত্ব জেনেবুঝে রাজনৈতিক নেতৃত্বকে খুশি করতে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য-উপাত্তগুলো ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। ভুল জেনেও রাজনৈতিক নেতৃত্বে এসব পরিসংখ্যান ব্যবহার করেছে তাদের রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ে। সাময়িকভাবে এর সুফল মিললেও শেষ পর্যন্ত তা দেশের ভাবমূর্তি ও তথ্য-উপাত্তের গ্রহণযোগ্যতাকে বড় ধরনের প্রশ্নের মুখে ফেলে দিয়েছে। এ বিষয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য গণমাধ্যমকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সরকারি পরিসংখ্যান ও তথ্য-উপাত্তের নৈরাজ্য ও বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে আমরা প্রশ্ন করে আসছিলাম। এখন সরকারি উদ্যোগেই রপ্তানির তথ্যে তার প্রমাণ মিলেছে। এ ধরনের ঘটনায় প্রাতিষ্ঠানিক দুর্বলতা ও সমন্বয়হীনতা এবং দক্ষ নেতৃত্বের অভাবের বিষয়টি প্রমাণিত হয়েছে। দেরিতে হলেও রপ্তানির তথ্য সংশোধন করা হয়েছে। এখন জিডিপি প্রাক্কলন থেকে শুরু করে অর্থনীতির অন্যান্য প্রক্ষেপণ বা পরিসংখ্যানের তথ্যগুলোও হালনাগাদ করার বাধ্যবাধকতা দেখা দিয়েছে। তথ্য ও পরিসংখ্যানের গ্রহণযোগ্যতা নিশ্চিত করতে পরিসংখ্যান কমিশন গঠনেরও সুপারিশ করেন দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, সরকারি তথ্য-উপাত্ত ও পরিসংখ্যান হচ্ছে রাষ্ট্রের পঞ্চম স্তম্ভ। সেখানে বিশ্বাসযোগ্যতার ঘাটতি দেখা দিলে তা দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাধাগ্রস্ত করে।
কাঁচা মরিচের দামে ট্রিপল সেঞ্চুরি
বেশ অনেকটা বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ১০০ থেকে ১২০ টাকা বেড়েছে এই কাঁচা পণ্যটির দাম। গত সপ্তাহে কাঁচা মরিচ ২৪০ থেকে ২৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও এ সপ্তাহে তা ৩০০ থেকে ৩২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। শুক্রবার (৫ জুলাই) রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, প্রকারভেদে ২৫০ গ্রাম কাঁচা মরিচ ৭০ থেকে ৮০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ক্রেতাদের কাছে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করতে চাইছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, দামের কারণে ১০ টাকার মরিচ বিক্রি করা যাচ্ছে না। এক সবজি বিক্রেতা জানান, বেশি দামে এক পাল্লা (৫ কেজি) মরিচ কিনে এনে ১০ থেকে ২০ টাকার মরিচ বিক্রি করলে তার পোষায় না। এ রকম দাম থাকলে মরিচ বিক্রি বন্ধ করে দেবেন তিনি। ক্রেতাদের অভিযোগ, বেশি দাম দিয়ে মরিচ কিনলে তেমল ঝাল নেই। ফলে রান্নায় পরিমাণেও বেশি মরিচ দিতে হচ্ছে।  শ্যামলীর কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা একজনের সঙ্গে কথা হয়। তিনি বলেন, গত সপ্তাহে ২৪০ কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছি। আজ এসে দেখি তা ৩২০ কেজি হয়ে গেছে। তবে কিছুটা নিম্ন মানের কাঁচা মরিচ ২৮০-৩০০ কেজি করে বিক্রি হচ্ছে। বাসায় কাঁচা মরিচ ছাড়া রান্না-বান্না করা যায় না। শ্যামলীর কাঁচাবাজারে একজন সবজি বিক্রেতা মিন্টু মিয়া বলেন, গত কয়েক দিন ধরে বৃষ্টির কারণে কাঁচা মরিচসহ আরও কয়েকটি সবজির দাম বেড়েছে। বেশি দামে কিনে আমাদের বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। শুধু আমাদের দোষারোপ করে লাভ নাই। পশ্চিম আগারগাঁওয়ের সবজি বিক্রেতা বিল্লাহ হোসেন বলেন, এ সপ্তাহে কাঁচা মরিচের দামটা একটু বেশি বেড়েছে। আজ ৩২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। গত কয়েক দিনের অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে বাজারে কাঁচা মরিচের দাম বেড়েছে। বিক্রেতারা বলছেন, চাহিদার তুলনার বাজারে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বাজারে কাঁচা মরিচের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়েছে। পাশাপাশি মরিচের আমদানিও কম হচ্ছে।
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৫ জুলাই)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ৫ জুলাই ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম    বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৯ টাকা ২০ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৮ টাকা ০৩ পয়সা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৫১ টাকা ১৯ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ৩৯ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৫ টাকা ০২ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৭ টাকা ৩১ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ৩১ টাকা ৩৪ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৭ টাকা ১৫ পয়সা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৯ টাকা ৮২ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৮৬ টাকা ৯৯ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।  
পেঁয়াজের দামে সেঞ্চুরি
বেশ কয়েক মাস পর আবারও অস্থির হয়ে উঠছে পেঁয়াজের বাজার। কোরবানি ঈদের আগে আগে এক দফায় বেড়ে কিছুদিন স্থির থাকার পর এবার কেজিতে আরও ১০ টাকা বেড়েছে পণ্যটির দাম। রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন ১০০-১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতিকেজি পেঁয়াজ।  দীর্গদিন পর পেঁয়াজের বাজারে সৃষ্ট এ অস্থিরতায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন ক্রেতা সাধারণ। আর ব্যবসায়ীরা অজুহাত হিসেবে দাঁড় করাচ্ছেন সরবরাহ সংকট।  যাত্রাবাড়ী, খিলগাঁও, কারওয়ান বাজার, মিরপুরসহ রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে কথা হয় ব্যবসায়ীদের সঙ্গে। তারা জানান, কোরবানি ঈদের সময় বাজারে ৮০ থেকে ৯০ টাকা কেজিতে বিক্রি হয়েছে পেঁয়াজ। এখন তা ১০০-১১০ টাকায় পৌঁছেছে। এই হিসেবে মাত্র ১৫ দিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। গত তিন দিনেই বেড়েছে ১০ টাকা। পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারত থেকে চার-পাঁচ মাস পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ ছিল। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম ছিল। সেই সময় মানুষ বেশি পরিমাণে দেশি পেঁয়াজ কিনেছেন। পরে আবার ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির অনুমতি দেয় কিন্তু এর ওপর ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতেই দেশে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যায়। ফলে বাজারে আমদানি করা পেঁয়াজের দাম দেশি পেঁয়াজের চেয়েও বেশি পড়ছে। এছাড়া বর্তমানে ভারত থেকে কম পরিমাণে পেঁয়াজ আমদানি হচ্ছে বলেও জানান তারা। তবে, খুচরা বিক্রেতারা বলছেন অন্য কথা। তাদের দাবি, আলাদা করে কারও কাছে পেঁয়াজের মজুত নেই। গৃহস্থদের কাছে যা আছে, সেগুলোই ব্যবসায়ীদের কাছে আসছে। গৃহস্থরা এবার আস্তে আস্তে বাজারে পেঁয়াজ ছাড়ছে। সব একবারে ছাড়েনি। তাই দাম উঠানামা করছে। এদিকে কৃষি বিভাগ বলছে, দেশে বছরে পেঁয়াজের চাহিদা ৩০ লাখ টন। ২০২২-২৩ অর্থবছরে উৎপাদন হয়েছে ৩৫ লাখ টন। হিসাব অনুযায়ী চাহিদার বিপরীতে উৎপাদন বেশি আছে। বাজারে পেঁয়াজের ঘাটতি হওয়ার কথা নয়।  
বাংলাদেশি টাকায় আজকের মুদ্রা বিনিময় হার (৪ জুলাই)
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য দিনকে দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে। ব্যবসায়িক লেনদেন ঠিক রাখার জন্য তাই মুদ্রা বিনিময়ের পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুধু তাই নয়, বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসীরা নিয়মিত পাঠাচ্ছেন বৈদেশিক মুদ্রা। লেনদেনের সুবিধার্থে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার সঙ্গে ৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে বাংলাদেশি টাকার বিনিময় হার তুলে ধরা হলো- বৈদেশিক মুদ্রার নাম    বাংলাদেশি টাকা   ইউএস ডলার   ১১৯ টাকা ৩০ পয়সা   ইউরোপীয় ইউরো   ১২৮ টাকা   ব্রিটেনের পাউন্ড   ১৫০ টাকা ৩৪ পয়সা    ভারতীয় রুপি   ১ টাকা ৩৯ পয়সা   মালয়েশিয়ান রিঙ্গিত   ২৪ টাকা ৯০ পয়সা   সিঙ্গাপুরের ডলার   ৮৭ টাকা ২২ পয়সা   সৌদি রিয়াল   ৩১ টাকা ৩৪ পয়সা   কানাডিয়ান ডলার   ৮৭ টাকা   অস্ট্রেলিয়ান ডলার   ৭৯ টাকা ৩৫ পয়সা   কুয়েতি দিনার   ৩৮৬ টাকা ৩৫ পয়সা   ** যেকোনো সময় মুদ্রার বিনিময় হার পরিবর্তন হতে পারে।