• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
জাতীয় ঐক্যের ডাক বিএনপির
সাদা পোশাকে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের তুলে নেওয়ার অভিযোগ
বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) তুলে নিয়ে গেছে দাবি করেছে ছাত্রদল। শুক্রবার (২৬ জুলাই) ছাত্রদলের দফতর সম্পাদক (সহ-সভাপতি পদমর্যাদা) মো. জাহাঙ্গীর আলমের স্বাক্ষর করা সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন দাবি করা হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সরকারকে ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু অতিউৎসাহী সদস্য সারা দেশে অসংখ্য ছাত্রদল নেতাকর্মীকে গুম, খুন ও ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। চাকরিবিধির বদলে দলবাজির পথ বেছে নেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কিছু সদস্যদের এ ধরণের বেআইনি অপকর্মের মাধ্যমে অবৈধ সরকার তার ক্ষমতার মসনদ চিরস্থায়ী করতে চাইছে। ছাত্রজনতার ঐক্য ও জাগরণে আতঙ্কিত হয়ে তারা আবারও দেশজুড়ে গণগ্রেপ্তার অভিযান শুরু করেছে।   এতে বলা হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সহ-সভাপতি এইচ এম আবু জাফর, সাবেক সহ-সভাপতি তবিবুর রহমান সাগর, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবু হান্নান তালুকদার, ড. মুহাম্মদ শহীদুল্লাহ হল ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইমাম আল নাসের মিশুক, বিজয় একাত্তর হল ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ফজলুর রহমান বিজয়, কবি নজরুল সরকারি কলেজ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি ইরফান আহমেদ ফাহিম, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সহ-সভাপতি ফেরদৌস মাহমুদ রুবেল ও তেজগাঁও কলেজ শাখার ছাত্রনেতা নাজমুল হাসান পাপনকে বিভিন্ন জায়গা থেকে তুলে নিয়ে গেছেসাদা পোশাকধারী ডিবি পুলিশ সদস্যরা তুলে নিয়ে যায়। ইতোমধ্যেই অনেকটা সময় পেরিয়ে যাওয়া সত্ত্বেও অনেক জায়গায় খোঁজ করে পরিবার ও সংগঠন তাদের খোঁজ পায়নি’, উল্লেখ করা হয় বিজ্ঞপ্তিতে।   এ অবস্থায় গুমের শিকার ছাত্রনেতাদের পরিবারগুলো বছরের পর বছর ধরে স্বজনের প্রতীক্ষায় পথ চেয়ে আছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমেও এ ধরণের নির্মমতা, পৈশাচিকতার লোমহর্ষক ঘটনাগুলো ক্রমাগতভাবে উঠে আসছে, যা দেশের ভাবমূর্তিকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন করছে।   এতে আরও জানানো হয়, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির অনতিবিলম্বে নেতাকর্মীদেরকে গণমাধ্যমের সম্মুখে হাজির করার আহ্বান জানিয়েছেন। অন্যথায় উদ্ভূত যেকোনো পরিস্থিতির দায়ভার সরকার ও তার পেটোয়া বাহিনীকেই নিতে হবে।
গ্রেপ্তারকৃতদের নির্যাতন চালিয়ে আদালতে হাজির করা হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপি নেতা এ্যানি আটক
পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দিতেই বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি: ফখরুল
জনদৃষ্টি ভিন্ন দিকে ঘোরাতে পরিকল্পিতভাবে এসব করেছে সরকার: ফখরুল
জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে কারফিউ জারি: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধাচারণকারী জনগণের ওপর প্রতিশোধ নিতে কারফিউ জারির মাধ্যমে তাদের ভোগান্তিতে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ জুলাই) এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেন তিনি। বিএনপির সহদপ্তর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে হতাহতের প্রমাণ লোপাট করা হচ্ছে। বর্বরোচিত ঘটনা বিশ্ব থেকে আড়াল করতে ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। হত্যাকারী ও হামলাকারীদের অবিলম্বে আইনের আওতায় আনতে হবে। বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তারা যে ধরনের বক্তব্য দিচ্ছেন তাতে প্রতীয়মান হয়, তারা সরকারি দলের কোনো পদে অধিষ্ঠিত। মির্জা ফখরুল আরও বলেন, গত সোমবার প্রধানমন্ত্রী বিএনপিকে উদ্দেশ্য করে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা সম্পূর্ণরূপে ভিত্তিহীন, কাল্পনিক ও বিএনপির আদর্শের প্রতি কুঠারাঘাতের শামিল। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই। বিএনপি কখনোই জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিতে পারে না। এই সরকারের পদত্যাগ এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত সর্বত্র সুশাসন ও আইনের শাসন কায়েম করা সম্ভব নয়। তাই আমরা আবারও এই জনবিচ্ছিন্ন ও ভোটারবিহীন সরকারের পদত্যাগ দাবি করছি। নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারসহ তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানান বিএনপি মহাসচিব।
এবার ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে বিএনপির সমর্থন
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ডাকা বৃহস্পতিবারের (১৮ জুলাই) ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচিতে সমর্থন দিয়েছে বিএনপি। বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে ভার্চুয়াল মাধ্যমে সংক্ষিপ্ত সংবাদ সম্মেলনে দলের স্থায়ী কমিটির নেওয়া এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় দেশবাসীকে এই ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি পালনে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। তিনি বলেন, আপনারা জানেন, সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের ন্যায্য এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। শিক্ষার্থীদের এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে পুলিশ ও সশস্ত্র ছাত্রলীগের হিংস্র আক্রমণে এ পর্যন্ত ৭ জন নিহত হয়েছেন। আজও আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর র‌্যাব-পুলিশ-বিজেপির ব্যাপক হামলায় অনেকেই আহত হয়েছে। এই রক্তাক্ত হামলায় বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের যৌক্তিক দাবিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা আগামীকাল বৃহস্পতিবার সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে সর্বাত্মক সমর্থন জানানো হয়েছে। অর্থাৎ শিক্ষার্থীরা যে কর্মসূচি দিয়েছে তাতে বিএনপি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে। একই সঙ্গে ‘কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচিতে’ দেশের আপামর জনগণকে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়ে রিজভী বলেন, আমি বিএনপির পক্ষ থেকে এই কর্মসূচিতে জনগণ অংশগ্রহণের জন্য জোরাল আহ্বান জানাচ্ছি। বিএনপি যুগপৎ আন্দোলনের শরিক জোট ও দলগুলোর সঙ্গে গত ছয় দিন ধারাবাহিক বৈঠকের পরে বুধবার এই কর্মসূচি ঘোষণা হলো। এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ (ঢাবি) সারাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। শিক্ষার্থীদের সরিয়ে দিতে তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারশেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়েছে পুলিশ।  এরপরেই বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৭টা ৫৫ মিনিটে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে হামলা ও খুনের প্রতিবাদে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা দেয়। সেখানে লেখা হয়- কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামীকাল হাসপাতাল ও জরুরি সেবা প্রতিষ্ঠান ছাড়া সবকিছু বন্ধ থাকবে এবং রাস্তায় অ্যাম্বুলেন্স ছাড়া কোনো যানবাহন চলবে না। বিবৃতিতে আরও বলা হয়, শিক্ষার্থীদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের ওপর পুলিশ, বিজিবি, র‍্যাব, সোয়াটের ন্যক্কারজনক হামলা, খুনের প্রতিবাদ, খুনিদের বিচার, সন্ত্রাসমুক্ত ক্যাম্পাস নিশ্চিত করা এবং কোটা সংস্কারের এক দফা দাবিতে আগামীকাল (১৮ জুলাই) সারাদেশে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ ঘোষণা করছি। দেশের সব প্রতিষ্ঠানকে কর্মসূচি সফল করতে আহ্বান জানিয়ে বলা হয়, শুধুমাত্র হাসপাতাল ও জরুরি সেবা ব্যতীত কোনো প্রতিষ্ঠানের দরজা খুলবে না, অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত সড়কে কোনো গাড়ি চলবে না। সারাদেশের প্রতিটি স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, মাদরাসা শিক্ষার্থীদের আহ্বান জানাচ্ছি, আগামীকালের কর্মসূচি সফল করুন।
বিএনপির সোহেল-টুকুসহ ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
রাজধানীতে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিএনপির ৩৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) এসআই আলাউল হক বাদী হয়ে পল্টন মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন। পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মোল্লা মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বুধবার দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজা শেষে বিএনপির ৪০০ থেকে ৫০০ নেতাকর্মী পুলিশের ওপর ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। তারা কয়েকটি ককটেল নিক্ষেপ করে সড়কে থাকা যানবাহনে ভাঙচুর চালান। এ ঘটনায় পল্টন মডেল থানার ওসিসহ বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।  মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- দারুস সালাম ওয়ার্ড বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল কাইয়ুম খান ওরফে জুয়েল, তুরাগ থানা বিএনপির আহ্বায়ক আমান উল্লাহ ভুইয়া আমান, সবুজবাগ থানা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দিল মোহাম্মদ, বিএনপির সমর্থক নওয়াব আলী, দারুস সালাম থানা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শেখ মর্তুজা আলী, রূপনগর থানা শ্রমিকদলের সাধারণ সম্পাদক মো. শামছুল আলম, দক্ষিণখান থানা ওয়ার্ড বিএনপির সহ-কোষাধ্যক্ষ এস এম মশিউর রহমান, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুমন আহম্মেদ, মিরপুর থানা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক আবুল বাশায় ভুইয়া।  আরও রয়েছেন ডা. সাখাওয়াত হোসেন, যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রাকিবুল ইসলাম মানিক, ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছির, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির ছাত্রবিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বকুল, মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক পাভেল সিকদার, মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম নয়ন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব আহসান, মীর্জা আব্বাসের এপিএস সোহেল ও পল্টন থানা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মো. নোমান খান।  
এন্ডোসকপি করাতে হাসপাতালে খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ফের হাসপাতালে গেছেন। সেখানে তিনি এন্ডোসকপি করাবেন। এ জন্য অপারেশন থিয়েটারে (ওটি) নেওয়া হয়েছে। বুধবার (১৭ জুলাই) সন্ধ্যায় তাকে ওটিতে নেওয়া হয়েছে। এর আগে সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শে হাসপাতালের কেবিন থেকে তাকে সিসিইউতে নেওয়া হয়। হঠাৎ শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে চিকিৎসকদের পরামর্শে ২১ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি করা হয়েছিল খালেদা জিয়াকে। এর একদিন পর ২২ জুন তার হার্টে পেসমেকার স্থাপন করা হয়। গত ২ জুলাই তিনি ১১ দিন চিকিৎসা নেওয়ার পর বাসায় ফেরেন তিনি।  ৭৯ বছর বয়সী খালেদা জিয়া আর্থ্রাইটিস, হৃদরোগ, ফুসফুস, লিভার, কিডনি, ডায়াবেটিসসহ বিভিন্ন জটিলতায় ভুগছেন। বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দুর্নীতির দুই মামলায় সাজা পেয়ে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দি হন। দুই বছরের বেশি সময় তিনি কারাবন্দি ছিলেন। পরিবারের আবেদনের প্রেক্ষিতে সরকার এক নির্বাহী আদেশে খালেদা জিয়ার সাজা ২০২০ সালের ২৫ মার্চ স্থগিত করে তাকে শর্ত সাপেক্ষে মুক্তি দেয়। তখন থেকে ছয় মাস পরপর মুক্তির মেয়াদ বাড়াচ্ছে সরকার।
কোটা আন্দোলনকে নৈতিক সমর্থন দিয়ে যাবো: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা খুব স্পষ্ট কণ্ঠে বলতে চাই, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে শিক্ষার্থীরা সরাসরি জড়িত। আমরা এই আন্দোলনের সঙ্গে কখনোই সরাসরি জড়িত নই। তাদের নৈতিক সমর্থন দিয়েছি। সেই নৈতিক সমর্থন আমরা দিয়ে যাবো। কারণ আমরা মনে করি যে তাদের এই আন্দোলন যুক্তিসঙ্গত। বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে বায়তুল মোকাররম মসজিদে গায়েবানা জানাজার পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, পাকিস্তান আমলে শাসকগোষ্ঠী এভাবে আন্দোলন দমন করার চেষ্টা করেছে কিন্তু সেই আন্দোলন তারা দমন করতে পারেনি। একইভাবে আজকে সরকার যেভাবে চেষ্টা করছে। তার সঙ্গে কোনো মতেই একমত নই। শুধু একমত নই, আমি এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানাচ্ছি, ঘৃণা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ করছি। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়সহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বন্ধের নিন্দা জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব হল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। এটা সরকার ইচ্ছা থাকলে করতে পারত, কিন্তু তাদের সেই ইচ্ছাটাই নাই বলে মনে হচ্ছে। এরকম ভয়াবহ ঘটনা জীবনে কখনো দেখেননি জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ছয় শিক্ষার্থী তাজা প্রাণ হারিয়েছে। একজন শিক্ষার্থী সাঈদকে রংপুরে কীভাবে সরাসরি গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এই ধরনের দমননীতি, এ ধরনের নির্যাতন, এই ধরনের হত্যা-গুম করে সরকার আজকে জোর করে ক্ষমতায় টিকে আছে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পুলিশি অভিযানের নিন্দা জানিয়ে ফখরুল বলেন, সম্পূর্ণ আগের মতো নাটক সাজিয়ে বিএনপি অফিসে কতগুলো ককটেল বোমা, লাঠিসোঁটা রেখে দিয়ে সেখানে ছবি তুলে আবার বিএনপিকে দোষারোপ করার চেষ্টা চলছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে তালা
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের মূল ফটকে তালা লাগিয়ে দেওয়া হয়েছে।  বুধবার (১৭ জুলাই) সকাল থেকেই কার্যালয়টির মূল ফটকে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। তবে কে বা কারা তালা লাগিয়েছেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এদিকে মূল ফটকে ক্রাইম সিন ফিতা দিয়ে ঘিরে রেখেছে সিআইডি পুলিশ। এর চারপাশে দাঁড়িয়ে আছেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে সকাল থেকেই দলটির কোনো নেতাকর্মী বা কর্মচারী কার্যালয়ে আসেননি। এর আগে, মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাতে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযান চালায় ডিবি পুলিশ। এরপর ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, মধ্যরাতে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গোয়েন্দা পুলিশের অভিযান ‘সরকারের নোংরা নাটক’। তিনি আরও বলেন, কাপুরুষের মতো বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মধ্যরাতে অভিযান চালানো হয়েছে। তারা একাকী ঢুকে নাটক করেছে যে বিএনপির কার্যালয়ের ভেতরে বিস্ফোরক আছে, লাঠিসোঁটা আছে ইত্যাদি। আমি সরকার ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর এই ঘৃণ্য চক্রান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি, আমি ঘৃণা জানাচ্ছি।
ডিবির অভিযান / বিএনপি কার্যালয় থেকে ১০০ ককটেল উদ্ধার, শ্রাবণসহ গ্রেপ্তার ৭
রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে ককটেল, পেট্রোল, বাঁশের লাঠি ও অস্ত্র উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে ডিবিপ্রধান মোহাম্মদ হারুন-অর-রশীদের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়। অভিযান শেষে ব্রিফিংয়ে ডিবিপ্রধান বলেন, অভিযানে ১০০টির বেশি ককটেল, ৫/৬ বোতল পেট্রোল, ৫০০টি বাঁশের লাঠি, সাতটি দেশি-বিদেশি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আটকদের মধ্যে ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ রয়েছেন। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের আদেশ অমান্য করে একটি গ্রুপ বিভিন্ন জায়গায় বসে সরকারবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, গাড়িতে আগুন দিচ্ছে, রেলের স্লিপার খুলে ফেলছে, মেট্রোরেল বন্ধ করে দিচ্ছে। গোয়েন্দা পুলিশ অবজারভেশনে জানতে পেরেছে যে, কেউ কেউ আন্দোলনকারীদের লাঠি দিয়ে, এমনকি অস্ত্র সরবরাহ করে পরিস্থিতি ঘোলাটে করার চেষ্টা করছে। তারই ধারাবাহিকতায় এই অভিযান।