• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
‌উন্নয়নের ভেলকিবাজীতে দেশ এখন মৃত্যু উপত্যকা: রিজভী
ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে দেশ : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ডামি সরকারের উন্নয়নের ভেলকিবাজিতে বাংলাদেশ এখন মৃত্যু উপত্যকায় পরিণত। অপরিকল্পিত নগরায়ণের জন্য গাছপালা বন-জঙ্গল উজাড় করে, নদী নালা ভরাট করে এবং তাপবিদ্যুৎ ও কয়লা বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করে মানুষের জীবনকে সংকটে ফেলে দিয়েছে। বাংলাদেশকে এখন গ্যাস চেম্বারে পরিণত করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি। শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে সারাদেশে তীব্র তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরীর পথচারীদের মাঝে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির উদ্যোগে মিরপুরে খাবার পানি ও স্যালাইন বিতরণের কর্মসূচি উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রিজভী বলেন, প্রধানমন্ত্রী গতকাল বলেছেন ‘তার বাবা মরহুম শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ বাস্তবায়ন করতে হবে’। তিনি বলেন শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শ তো বাকশাল, যেখানে গণতন্ত্র থাকবে না, মানুষের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে না। সেদিনতো ৪টি পত্রিকা বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে বায়তুল মোকাররমে ফল বিক্রি করতেন। বর্তমানে বিগত ১৭ থেকে ১৮ বছরে প্রধানমন্ত্রী দেশে আবারও ভয়ংকর বাকশাল কায়েম করেছেন। বিপদজনক বাকশাল কায়েম করেছেন। আজকে দেশ থেকে গণতন্ত্রকে ও মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছে। এ কারণে মানুষ এখন আর ভোট দিতে পারে না। সংসদকে পরিণত করা হয়েছে এন্টারটেইনমেন্ট হাউজে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও ভোটের অধিকারের কথা বলতে গিয়ে আমার ভাইদের জীবন দিতে হচ্ছে। দুর্নীতি আর লুটপাটরে মাধ্যমে দেশটাকে উজার করে দেওয়া হয়েছে। সারাদেশকে বানানো হয়েছে লীগময়। সত্য বললেই জেলে পুড়ে দেওয়া হয়।  এসময় উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনার, সদস্য সচিব আমিনুল হক, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির অর্থনৈতিক বিষয়ক সহসম্পাদক মাহমুদুর রহমান সুমন, কেন্দ্রীয় সদস্য তাবিথ আউয়াল, মহানগর উত্তর বিএনপির আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, মোস্তফা জামান, আতাউর রহমান (চেয়ারম্যান), মোস্তাফিজুর রহমান সেগুন, আব্দুর রাজ্জাকসহ অনেকে।
‘বিএনপির ভবন খোলাটা সঠিক হয়নি’
৭৩ নেতাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
ন্যায্য অধিকার আদায়ে শেরে বাংলার অবদান ভুলবার নয় : ফখরুল
ওলামা দলের নতুন কমিটিতে স্থান পেলেন যারা
তীব্র গরমের জন্য দায়ী সরকার : মির্জা আব্বাস
তীব্র গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে। মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে। তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।  এ সময় হিট অফিসারকে উদ্দেশ্য করেও কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এ সদস্য। তিনি বলেন, একজন নাকি হিট অফিসার নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাকে বলব- সরকারকে বলুন ঢাকার চারপাশে খালগুলো খুলে দিতে। ভূমি দস্যুদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলুন। না হলে সারাদেশের জন্য পানি আনতে হবে। আজকে ঢাকা শহরসহ দেশকে মরুকরণ করা হচ্ছে। এসব নিয়ে কথা বলুন। তবেই বুঝব আপনি দেশ ও ঢাকাকে ভালোবাসেন। জেডআরএফ’র নির্বাহী পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারের সভাপতিত্বে ও ড্যাবের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব ডা. মো. মেহেদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, শিক্ষাবিয়ষক সম্পাদক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক লুৎফর রহমান, ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব প্রমুখ।  
যে কারণে ৬৪ নেতাকে বিএনপির শোকজ
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে অংশ নিতে চাওয়া ৬৪ নেতাকে শোকজ করেছে বিএনপি। তাদের মধ্যে চেয়ারম্যান পদে ২৪ জন, ভাইস চেয়ারম্যান ২১ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ জন রয়েছেন। নেতাদের ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়ে উত্তর দিতে বলা হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত শোকজ চিঠিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত হয়। বিএনপির নেতা হিসাবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা। সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। দলটির সূত্রে জানা গেছে, শোকজ করা ৬৪ নেতার মধ্যে ইতোমধ্যে ৫ জনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকিদের শোকজের চিঠির উত্তর পাওয়ার পর দলীয় ফোরামের আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে প্রাথমিক সিদ্ধান্ত অনুযায়ী নির্বাচনে অংশ নিতে চাওয়া দলীয় পদে আছেন এমন সবাইকে বহিষ্কার করা হবে। ৬৪ নেতাদের মধ্যে বহিষ্কার ৫ জন হলেন, নীলফামারী জেলাধীন জলঢাকা উপজেলা বিএনপির সভাপতি ফাহমিদ ফয়সাল চৌধুরী কমেট (কমেট চৌধুরী), দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি সাদেক আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলার ১২ নং চিকনদন্ডী ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ আলী মাহমুদ, সদস্য জহুরুল আলম এবং কক্সবাজার জেলার ঈদগাঁ উপজেলা বিএনপির সদস্য ও ঈদগাঁ উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক মো. হান্নান মিয়া।
বিএনপির আরও এক নেতা বহিষ্কার
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে বিএনপির আরও এক নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দলের পক্ষ থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন টংগীবাড়ী উপজেলার আড়িয়াল ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মঞ্জু শেখ ফারুখকে দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করায় উপজেলা পর্যায়ের দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। ওইদিন এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাহ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ জনিকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর এবার স্থানীয় নির্বাচনও বর্জনের ডাক দিয়েছে বিএনপি। উপজেলা ও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ না নিতে তৃণমূলের নেতাদের প্রতি বার্তাও পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। মনোনয়ন সংগ্রহকারীদের সরে দাঁড়াতে বললেও অনেকে নির্বাচনের মাঠ না ছাড়ায় বহিষ্কার শুরু করেছে বিএনপি।
বিএসএফের নরহত্যার দায় সরকারের ওপরেও বর্তায়: রিজভী
সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ) যেসব হত্যাকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাতে সরকারেরও দায় আছে বলে মন্তব্য করেছেন  বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ মন্তব্য করেন তিনি।  সরকারের নতজানু নীতির কারণেই বিএসএফ আশকারা পাচ্ছে দাবি করে রিজভী বলেন, মনে হচ্ছে দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বের চাবিটা শেখ হাসিনা ভারতকে দিয়ে দিয়েছেন। তাই প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত বিএসএফ কতৃর্ক বধ্যভূমি বানানো হলেও আওয়ামী সরকারকে নিশ্চুপ থাকতে হয়। তিনি বলেন, ক্ষমতার নেশায় আচ্ছন্ন দখলদার আওয়ামী সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং যুবলীগ-ছাত্রলীগ ক্যাডারদের দিয়ে নিজস্ব সেনাদল গঠন করে নিজ দেশের জনগণের বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত সাঁড়াশি অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু বিএসএফ’র বর্গীর ভূমিকার বিরুদ্ধে টুঁ শব্দ করতে পারেনি। বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, বিএসএফের নরহত্যার দায় দখলদার আওয়ামী সরকারের ওপরেও বর্তায়। সোমবারও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার পুটিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে হাসান মিয়া নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন। সীমান্তে রক্তের দাগ যেন শুকাচ্ছেই না। বাংলাদেশি মানুষের রক্তে সীমান্ত সবসময়ই ভেজা থাকছে। প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় এদেশে আইনের প্রয়োগ হয় মন্তব্য করে এরপর রিজভী বলেন, দেশের আইন শেখ হাসিনার সংস্করণ অনুযায়ী প্রয়োগ করতে হয়। ৭ জানুয়ারি ডামি নির্বাচনের পর বাংলাদেশের একচ্ছত্র অধিপতি হয়ে উঠেছেন শেখ হাসিনা। জেল-জুলুম, অত্যাচার আর অবিচারের প্রকটতা দেখে বিশ্ব সম্প্রদায় বিচলিত হলেও তাতে শেখ হাসিনার কিছু যায় আসে না। তার সব অপকর্মের দায় নিয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখার জন্যই মিথ্যা মামলায় সাজা দিয়ে বন্দি করা হয়েছে তা আজ দেশ-বিদেশে সর্বজনবিদিত। বেগম খালেদা জিয়ার সাজা নিয়ে দেশবাসী এতদিন যা মনে করেছে, আজ মার্কিন প্রতিবেদনেও সেটি উঠে এসেছে।
বিএনপির পর আ.লীগের সমাবেশও স্থগিত
পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আগামী ২৬ এপ্রিল (শুক্রবার) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পূর্বঘোষিত শান্তি সমাবেশ স্থগিত করেছে আওয়ামী লীগ। সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজের সই করা প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শুক্রবার বিকেল ৩টায় সমাবেশের কর্মসূচি দেওয়া হলেও পুলিশের অনুমতি না পাওয়ায় আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। শান্তি সমাবেশের তারিখ পরে জানানো হবে। এর আগে রোববার (২১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে ২৬ এপ্রিল সমাবেশের কথা জানানো হয়।   এদিকে গ্রীষ্মের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে ২৬ এপ্রিল বিএনপির পূর্ব ঘোষিত সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে সমাবেশটি স্থগিত করা হয়েছে। সমাবেশের নতুন তারিখ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। নতুন তারিখ নির্ধারিত হলে জানানো হবে। এর আগে, বিকেল ৫টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বৈঠকে বসেন নেতারা। বৈঠক শেষে সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে জানানো হয়। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। গত ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দেয় দলটি। বিএনপির এই ঘোষণার পর একই দিন রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগও। এতে রাজনৈতিক অঙ্গনে উত্তাপ ছড়ায়। এদিকে তীব্র গরমের কারণে গত ১৯ এপ্রিল সারাদেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস, যা সোমবার আরও তিন দিন বাড়ানো হয়। ফলে বিএনপি সমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নেয়। এরপর আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকেও সমাবেশ স্থগিত করার সিদ্ধান্ত আসে।
উপজেলা নির্বাচনে মাঠে আছেন বিএনপির অন্তত ৩০ নেতা 
দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে দুই নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি। দলটির বহিস্কার আদেশের ঘোষণা থাকা সত্ত্বেও নির্বাচনের মাঠে আছেন অন্তত ৩০ নেতা কর্মী। নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিষয়ে কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত অমান্য করেই মাঠে থাকছেন তারা। তবে কেউ কেউ মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ভাবলেও অধিকাংশই নির্বাচন করার কথা জানিয়েছে। আর কেন্দ্র বলছে, যারা দলীয় পদে নেই তারা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির কিছু করার নেই। উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অভিযোগে বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- পটুয়াখালী সদর থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনির রহমান এবং কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলমগীর তাজ। বহিষ্কারের আদেশে বলা হয়েছে, এই দুই নেতাকে বিএনপির প্রাথমিক সদস্যপদসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ধারাবাহিকতায় উপজেলা নির্বাচনও বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে দলটি। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বিএনপির সাবেক ও বর্তমান মিলে অন্তত ৩০ জন নেতা উপজেলা চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদের ভোটে মনোনয়ন জমা দেওয়া নেতাদের বিএনপি জানিয়েছে, এই অবৈধ সরকারের নির্বাচনি প্রহসনের অংশীদার না হওয়ার অবস্থান থেকে বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে।  তবে বেশির ভাগ নেতা দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে ভোটে থাকার কথা জানিয়ে বলছেন, এবার উপজেলা নির্বাচন দলীয় প্রতীকে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগের প্রার্থীরাও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করছেন। তাই মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে। রাজনীতি হচ্ছে জনগণের জন্য আর জনগণের জন্য কাজ করতে ভোটে অংশগ্রহণ ছাড়া বিকল্প নেই। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের মধ্যে বিএনপির সাবেক নেতার সংখ্যাই বেশি। তারা নির্বাচনে অংশ নিতে অনড়। তারা বলছেন, দলীয় পদ না থাকায় তাদের নির্বাচনে অংশ নিতে কোনো বাধা নেই। আর পদধারী কয়েকজন নেতা ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথাও বলছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা বলছেন, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে জয়ী হওয়ার পরও দায়িত্ব না নিতে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। তারপরও তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করায় তাকে সহ-সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এর আগেও দলের অনেক নেতা দলের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তাদেরকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এবারও অনেকে মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন। তাদের নির্বাচনে অংশ না নিতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের কথা বলা হয়।   দলীয় নির্দেশনা সত্ত্বেও ভোটে থাকতে চান সরাইল উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সরাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেন মাস্টার, ফরিদপুর সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি রউফ উন নবী ও যুবদলের সাবেক নেতা কে এম নাজমুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলা বিএনপির সভাপতি নগেন্দ্র চন্দ্র সরকার, রাজশাহীর গোদাগাড়ী জেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান খান, শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. আমিনুল ইসলাম, কিশোরগঞ্জ জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. নাজমুল আলম, কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও কুমিল্লা উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক রমিজ উদ্দিন, নাঙ্গলকোট উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম, চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুরের সাবেক বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন ও ভোলাহাট উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক বাবর আলী বিশ্বাস, জেলা বিএনপির সদস্য ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, পিরোজপুর ইন্দুরকানি উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফায়জুল কবির তালুকদার, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সুহেল আহমদ চৌধুরী, যুক্তরাজ্য বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো. সেবুল মিয়া, যুক্তরাজ্য বিএনপির নেতা সফিক উদ্দিন, ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি শামসুর রশিদ, ফুলপুর পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমরান হাসান ও হালুয়াঘাটে ময়মনসিংহ উত্তর জেলা বিএনপির সদস্য আবদুল হামিদ। অন্যদিকে মনোনয়নপত্র দাখিল করেও দলীয় সিদ্ধান্তের কথা মাথায় রেখে মনোনয়ন প্রত্যাহারের কথা ভাবছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান লস্কর, নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ওমরাও খান, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি সারওয়ার হোসেন ও সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক মাসুদুল আলম, সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক গৌছ খান। বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (ঢাকা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত) আবদুস সালাম জানান, যারা দলীয় পদে নেই তারা নির্বাচনে অংশ নিলে বিএনপির কিছু করার নেই। যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন তাদের প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে। এটা দলীয় সিদ্ধান্ত। জয়-পরাজয় তো পরের কথা, কেউ দলীয় সিদ্ধান্ত না মেনে ভোট করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এটা জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, যারা মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। যাদের বিএনপির পদ নেই-তারা নির্বাচনে অংশ নিলেও তারা তো বিএনপির কেউ না।  
বিএনপির সমাবেশ স্থগিত
গ্রীষ্মের চলমান তাপপ্রবাহের কারণে বিএনপির পূর্ব ঘোষিত আগামী ২৬ এপ্রিলের (শুক্রবার) সমাবেশ স্থগিত করা হয়েছে। সোমবার (২২ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির দপ্তর সম্পাদক সাইদুর রহমান মিন্টু গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নবীউল্লাহ নবীসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল।। কিন্তু তীব্র গরমের কারণে সমাবেশটি স্থগিত করা হয়েছে।  সমাবেশের নতুন তারিখ নিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি। নতুন তারিখ নির্ধারিত হলে জানানো হবে। এর আগে, বিকেল ৫টায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে বৈঠকে বসে নেতারা। বৈঠক শেষে সমাবেশ স্থগিতের বিষয়ে জানানো হয়। বিএনপির একটি সূত্র জানিয়েছে, আগামী পহেলা মে শ্রমিক দিবস উপলক্ষে নয়াপল্টনে র‍্যালি ও সমাবেশ করবে বিএনপি। এরপর সুবিধমতো একটি দিন ঠিক করা হবে সমাবেশের জন্য। উল্লেখ্য, আগামী শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছিল বিএনপি। গত ২০ এপ্রিল এ বিষয়ে ডিএমপি কমিশনারকে অবহিত করে চিঠি দেয় দলটি। এরই মধ্যে বিএনপির ২৬ এপ্রিলের সমাবেশের ঘোষণায় রাজনৈতিক অঙ্গনেও উত্তাপ ছড়ায়। বিএনপির এই ঘোষণার পর একই দিন রাজধানীতে সমাবেশের ডাক দেয় আওয়ামী লীগও। তবে তীব্র গরমের কারণে গত ১৯ এপ্রিল সারাদেশে ৩ দিনের জন্য সতর্কতামূলক হিট অ্যালার্ট জারি করে আবহাওয়া অফিস, যা আজ আরও তিন দিন বাড়ানো হয়।