• ঢাকা বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
স্বাধীনতা এনেছি দিল্লির কাছে আত্মসমর্পণের জন্য নয়: রিজভী
আগরতলা অভিমুখে চলছে বিএনপির তিন সংগঠনের লং মার্চ
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা, ভাঙচুর, জাতীয় পতাকা নামিয়ে ছিঁড়ে ফেলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চ’ শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) তিন সংগঠন। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় ‘ভারতীয় আগ্রাসন’র প্রতিবাদে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে এই লংমার্চ শুরু করেন যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। লংমার্চের উদ্বোধন করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘দিল্লির সাম্প্রদায়িক শাসকেরা শুনুন! আপনারা লেডি ফারাওকে ১৬ বছর ধরে ক্ষমতায় রাখতে সমর্থন দিয়েছেন। আজ ভারত গণতান্ত্রিক দেশগুলোর সমালোচনার সম্মুখীন। ভারত চায় না বাংলাদেশ তার জনগণের ইচ্ছায় চলুক।’ এর আগে আজ সকাল ৭টা থেকে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের হাজারো নেতাকর্মীরা দলীয় কার্যালয়ের সামনে একত্রিত হতে শুরু করেন। তাদের হাতে ছিল প্ল্যাকার্ড ও পোস্টার, মাথায় রঙিন টুপি। লংমার্চ শুরুর আগে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতারা নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছেন। ভারত বয়কটের ডাক দিয়ে নানা স্লোগান দিতে দিতে যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সেখানে উপস্থিত হন। আরটিভি/এসএপি/এআর
বিএনপির ৩ সংগঠনের লং মার্চ যে রুটে
আগরতলা অভিমুখে বিএনপির ৩ অঙ্গসংগঠনের লং মার্চ আজ
নির্বাচনে জিতলে দেশে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করবে বিএনপি: তারেক রহমান
আপনারা চট্টগ্রামের দিকে তাকালে আমরা কি আমলকী চুষব: রিজভী
১৬ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিএনপির কনসার্ট 
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আগামী ১৬ ডিসেম্বর রাজধানীতে বিজয় কনসার্ট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। সব ঠিক থাকলে এদিন মানিকমিয়া অ্যাভিনিউতে এই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে ‘সবার আগে বাংলাদেশ’  নামে একটি সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের ব্যানারে এ ঘোষণা দেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি। তিনি বলেন, গত ১৫ থেকে ১৬ বছর বাঙালি বিজয় দিবস উদযাপন করতে পারেনি। আওয়ামী লীগ সরকারের নানা অত্যাচার-অনাচারের মুখে পড়তে হয়েছে। তাই জাতিকে একত্রিত করার মধ্য দিয়ে এবারের বিজয় দিবস পালনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিএনপির এই যুগ্ম মহাসচিব বলেন, ১৬ ডিসেম্বর আমরা নতুন প্রত্যাশা নিয়ে নতুনভাবে বাংলাদেশের জনগণ ও নতুন প্রজন্মের কাছে হাজির হব। শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি আরও বলেন, বিজয় কনসার্টে দেশি শিল্পীরা গান পরিবেশন করবেন। আর ব্যান্ডের মধ্যে নগরবাউল, সোলস, আর্ক, ডিফরেন্ট টাচ, সোনার বাংলা সার্কাস ও অ্যাভয়েড রাফা গান গাইবে। সবার জন্য এ কনসার্ট উন্মুক্ত থাকবে।   এ সময় সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, এসএম জিলানী, নুরুল ইসলাম নয়ন, আতিকুর রহমান রুমন, এহসান মাহমুদ, জাহিদ রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ‘সবার আগে বাংলাদেশ’ নামের সংগঠনটি আজ আত্মপ্রকাশ করেছে। মূলত বিএনপির উদ্যোগে ও পৃষ্ঠপোষকতায় এটি গড়ে উঠেছে। আরটিভি/আইএম
দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও মুন্সিয়ানা চলবে না: গয়েশ্বর
ভারতকে ইঙ্গিত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কারও মুন্সিয়ানা চলবে না। তাদের ও আমাদের সম্পর্ক হবে সমমর্যাদার, যা দুই দেশের জন্যই কল্যাণকর। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন। বিএনপি সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব চায় উল্লেখ করে এ সময় গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, কোনো দল বা ব্যক্তি নয়। আশাকরি, বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে প্রতিবেশী দেশ বন্ধুত্ব স্থাপন করবে।  তিনি বলেন, এক ব্যক্তি চলে গেলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায় না। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হলেই দেশি-বিদেশি চক্রান্ত মোকাবিলা করা সম্ভব হবে। এ সময় তার সঙ্গে সাবেক যুবদল নেতা ও বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য মহিউদ্দিন আহমেদ জিন্টুসহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম/এআর
র‍‍্যাব বিলুপ্তি চায় বিএনপি, সুপারিশ গেল সংস্কার কমিটিতে
পুলিশ কমিশন গঠন ও দেশ-বিদেশের মহলে র‍্যাবের কর্মকাণ্ডে বিতর্ক সৃষ্টি হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন প্রশ্ন তুলে র‍্যাপিড আ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‍্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে বিএনপি।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা তুলে ধরেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।   তিনি বলেন, সরকারের পুলিশ সংস্কার কমিটি বিএনপির কাছে সুপারিশ না চাইলেও আমরা সুপারিশমালা দিয়েছি। রাষ্ট্রের এই অত্যাবশ্যকীয় সেবার (পুলিশ) সংস্কার এখন সময়ের দাবি। সুপারিশমালায় বিএনপি পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করেছে বলেও জানান হাফিজ। হাফিজ বলেন, পুলিশের বিভিন্ন স্তরের অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তকাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। অনেকের সঙ্গে কথা বলেছি। জনগণের সঙ্গে পুলিশের দুরত্ব কমানোর সুপারিশ করেছি আমরা। আরটিভি/এফআই/এআর
দেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির আনুগত্য করার জন্য নয়: এ্যানি
দিল্লির আনুগত্য করার জন্য বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি।  মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে উদয় টাওয়ারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।  শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি বলেন, বাংলাদেশের নিজস্ব সংস্কৃতি ধরে রাখতে হবে। বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে দিল্লির আনুগত্য করার জন্য নয়। আমরা নতুন প্রজন্মের কাছে দেশের নিজস্ব সংস্কৃতি তুলে ধরতে চাই। এ সময় সবার আগে বাংলাদেশের সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, রাশিদুজ্জামান মিল্লাত, এসএম জিলানী, নুরুল ইসলাম নয়ন, আতিকুর রহমান রুমন, এহসান মাহমুদ, জাহিদ রনি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আরটিভি/আইএম/এআর
তিন-চার মাসের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি
ভোটার তালিকা হালনাগাদ করতে বাড়ি বাড়ি যাওয়ারও ‘দরকার নেই’ বলে মত দিয়ে ‘তিন-চার মাসের মধ্যে’ নির্বাচনের দাবি করেছে বিএনপি।   সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকালে ঢাকার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন দলটির নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমেদ ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ইসমাইল জবিহউল্লাহ। বাড়ি বাড়ি যাওয়া অত্যন্ত ‘সময় সাপেক্ষ’ এবং ‘অপ্রয়োজনীয়’ মন্তব্য করে বিএনপির নির্বাচন সংস্কার বিষয়ক কমিটির আহ্বায়ক মঈন খান বলেন, যদি সত্যিকার অর্থে সৎভাবে সঠিক ভোটার তালিকা আমরা করতে চাই, তাহলে কিন্তু বাড়ি বাড়ি যাওয়া নয়, কম্পিউটার এআই… আজকে কিন্তু আমরা কম্পিউটারকে বলে দিলে সে নিজেই করে দিতে পারে, সেটা অবশ্যই সঠিক হবে। আমি কোন দিন ১৮ বছর হয়ে যাব, সেটাও কিন্তু কম্পিউটার করে দিতে পারে। সেটার জন্য বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের বাড়ি বাড়ি যাওয়ার প্রয়োজন নেই। এটায় ভুল হওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি। যিনি মারা গেছেন তার নামটা স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাদ চলে যাবে।  তিনি আরও বলেন, লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি জন্য যাতে সত্যিকারভাবে মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারে এবং জনগণের সত্যিকার প্রতিনিধি নির্বাচিত করতে পারে, ‘ডামি প্রতিনিধি’ না, ‘ভুয়া প্রতিনিধি’ না, সেজন্য আমাদের এই সংস্কার প্রস্তাব।  আওয়ামী লীগ সরকার প্রশাসনের মাধ্যমে নির্বাচনকে ‘কুক্ষিগত করতে’ অনেক কিছু করেছে অভিযোগ এনে মঈন খান বলেন, আমাদের বক্তব্য হচ্ছে, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী যাতে রাজনৈতিক ভূমিকা পালন করতে না পারে, তারা নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন করে, সেজন্য আমরা ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকারের প্রণীত বিধিমালার সংশোধন চেয়েছি।  সংস্কার সম্পন্ন করে নির্বাচন উপহার দিতে ৩/৪ মাসের বেশি সময় লাগবে না জানিয়ে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা যেসব প্রস্তাব করেছি, সেসব প্রস্তাব অনুযায়ী দ্রুত নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এখানে এমন কোনো প্রস্তাব করা হয় নাই যেটা নতুন করে কোনো কিছু করতে হবে। আমরা নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করার কথা বলেছি, নির্বাচন সচিবালয় করা এবং তাদের কিছু ক্ষমতা দেওয়া ইত্যাদি, আমরা প্রচলিত আইনগুলোর সংশোধন, সংস্কার, এগুলোর জন্য অধিক সময়ের প্রয়োজন হয় না।  অন্তর্বর্তী সরকার নির্বাচেনে নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা প্রস্তাব যেটা করেছি, সেটা হলো যাদের নেতৃত্বে যেসব অপকর্ম হয়েছে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তারা বিতাড়িত হয়েছে, পলায়ন করেছে। যাদের মাধ্যমে অপকর্ম করা হয়েছে তাদের ব্যাপারে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেছি। আমরা বিশ্বাস করি, যে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় থাকছে তার নির্বাচনী কোনো স্টেক নাই, নিরপেক্ষভাবে কাজ করবে। আর যারা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যুক্ত থাকবে তাদের মধ্যে যারা এই ধরনের অপকর্মের সাথে আগে যুক্ত ছিল বা থাকতে পারে, তাদের ব্যাপারে কার্যকর ব্যবস্থা নিয়ে এমন লোকদেরকে নিযুক্ত করা যারা এই ধরনের অপকর্মে যুক্ত হবেন না।  বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা যেসব সংস্কারের কথা বলেছি সেগুলো অধিকাংশ আইনি সংস্কারের বিষয়, কাগজের বিষয়। বাস্তবে যে কাজগুলোর জন্য নির্বাচন কমিশন সময় নেয়, যেমন ভোটার তালিকা প্রণয়ন, নতুন ভোটার সংযোজন, কী কী ভুল-ভ্রান্তি আছে, ভুয়া ভোটার ‘গণনা’ করা তারপরে নির্বাচনের কাজ; অফিসার নিয়োগ, সীমাবদ্ধতা ইত্যাদি সব কাজ গুছাতে বাস্তবে ২/৩ মাসের বেশি সময় লাগার কথা না।   তত্বাবধায়ক সরকার হলে দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন হতে বাধ্য মনে করেন সালাহ উদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, তত্বাবধায়ক সরকারের মূল্য আছে বা হবে। এটাই ছিল সুষ্ঠু নির্বাচন না হওয়ার সবচাইতে বড় বাধার একটা। সীমাবদ্ধতা, অপকর্মে জড়িতদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে বাদ রাখা, এসব হচ্ছে উপসর্গ। তত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হলে এই সমস্ত উপসর্গ আর থাকবে না।  আরটিভি/কেএইচ
ভারতের মনে অনেক কষ্ট: রিজভী 
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, ভারতের মনে অনেক কষ্ট। কারণ, তাদের প্রিয় মানুষ হাসিনা এখন বাংলাদেশে নেই। হাসিনার কাছ থেকে তারা (ভারত) ব্যাপক সুবিধা পেতো। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) বিকেলের দিকে শিবালয় উপজেলার রুপসা গ্রামে শহীদ রফিকুল ইসলামের বাড়িতে ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।   রিজভী বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ এবং আহতদের প্রতি আমাদের কৃতজ্ঞ থাকতে হবে। তাদের অবদানের কথা স্মরণ রাখতে বিভিন্ন স্থাপনা ও সড়কের নামকরণ করবো। বিএনপি জনগণের দল, আগামীতে জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে শহীদের যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হবে। তিনি বলেন, অন্যের জন্য গর্ত করলে সেই গর্তে নিজেকেই পড়তে হয়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ শেখ হাসিনা। আপসহীন নেত্রী খালেদা জিয়াকে বিনা অপরাধে কারাগারে বন্দি রেখেছিলেন। দুই হাজার ছাত্র-জনতা হত্যার দায় নিয়ে শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছেন। তিনি ভেবেছিলেন তার প্রভু ভারত সরকার তাকে টিকিয়ে রাখবে, কিন্তু পারেনি। তিনি আরও বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিলেন, ওই সময় অনেক পত্র-পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। ঠিক একই কায়দায় তার মেয়েও (শেখ হাসিনা) ক্ষমতায় এসে দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামী টেলিভিশন, চ্যানেল ওয়ান এবং আমার দেশ পত্রিকা বন্ধ করে দেয়।  বিএনপির যুগ্ম-মহাসচিব আরও বলেন, সাতটি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ চলছে, এর সঙ্গে ভারতের এক ব্যবসায়ী জড়িত আছেন। ওপরে দেখিয়েছে বাংলাদেশের কিছু ব্যক্তির নাম তা-ও আবার সব শেখ পরিবারের আত্মীয়-স্বজন। বিনা টেন্ডারে সব কয়টি বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ দেওয়া হয়েছে। কম দামি কয়লা দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করছে ভারতের ব্যবসায়ী আদানি। তিনি আবার হুমকি দিয়েছেন টাকা পরিশোধ না করলে বিদ্যুৎ উৎপাদন বন্ধ করে দেবেন। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও মানিকগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি আফরোজা খান রিতা, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’- এর উপদেষ্টা এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, আহ্বায়ক আতিকুর রহমান রুমনসহ জেলা উপজেলা পর্যায়ে কয়েক শতাধিক নেতাকর্মী।   আরটিভি/একে/এস
অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়: তারেক রহমান
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মৌলিক অধিকার হারানো নির্যাতিত মানুষের প্রতি গভীর সহমর্মিতা প্রকাশ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়।  সোমবার (৯ ডিসেম্বর) জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে গণমাধ্যমে পাঠানো বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশসহ পৃথিবীর কোথাও যেন ভবিষ্যতে আর কেউ মৌলিক মানবাধিকার থেকে বঞ্চিত না হন, সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে একটি ন্যায়নিষ্ঠ ও জবাবদিহিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের দেশ দীর্ঘ একদলীয় শাসনের কালো অধ্যায় পার করেছে, যখন মানুষের অধিকার হরণ করা হয়েছিল, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করা হয়েছিল এবং রাষ্ট্রব্যবস্থাকে ব্যক্তিগত ক্ষমতায়নের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল। এই দুঃশাসনের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়িয়েছিলেন তারা রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক, ছাত্র, শ্রমিক কিংবা সাধারণ মানুষ যেই হোন না কেন, মিথ্যা মামলা, কারাবাস, শারীরিক নির্যাতন, গুম ও হত্যার শিকার হয়েছেন। তারেক রাহমান বলেন, অতীতে বাক, ব্যক্তি, চিন্তা, প্রার্থনা, মুদ্রণসহ নাগরিক স্বাধীনতার জন্য সংগ্রামে যারা ক্ষমতাসীন গোষ্ঠীর নির্মম নিপীড়নে জীবন বিসর্জন দিয়েছেন, তাদের আত্মার প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধা। যারা এখনো নির্যাতিত ও নিপীড়িত, তাদের প্রতি জানাচ্ছি গভীর সহমর্মিতা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আজ আমরা এক নতুন যাত্রায় আছি গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা ও মানবাধিকারের সুরক্ষার যাত্রা। জাতিসংঘের সার্বজনীন মানবাধিকার ঘোষণার আলোকে আমাদের ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রব্যবস্থা এমন হতে হবে, যেখানে মানুষের অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং কেউ আর নিপীড়িত হবে না। তিনি আরও বলেন, ‘মানবাধিকার দিবস’র এ বছরের প্রতিপাদ্য আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দাঁড়াতে হবে। এ জন্য জনগণকে সচেতন ও সংগঠিত হয়ে ন্যায়ভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় এগিয়ে আসতে হবে। তারেক রহমান বলেন, দেশের আপামর জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন কারাবন্দি থেকে মিথ্যা মামলায় শাস্তিপ্রাপ্ত হয়ে যে নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছিলেন, তা আমাদের ইতিহাসে এক কলঙ্কজনক অধ্যায়। এই অধ্যায় আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয় যে, অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কখনো থেমে থাকা উচিত নয়। এই মুহূর্তে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, মানবাধিকার সুরক্ষিত রেখে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার এ যাত্রায় সবার এগিয়ে আসতে হবে, জাতিসংঘ ঘোষিত মানবাধিকার দিবসে এটাই হোক আমাদের দৃঢ় অঙ্গীকার। প্রসঙ্গত, জাতিসংঘ ১৯৫০ সালে ১০ ডিসেম্বরকে ‘মানবাধিকার দিবস’ ঘোষণা করে। সেই থেকে প্রতি বছর ১০ ডিসেম্বর ‘মানবাধিকার দিবস’ পালিত হয়ে আসছে। এবারে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসের প্রতিপাদ্য ‘আমাদের অধিকার, আমাদের ভবিষ্যৎ, এখনই’।  আরটিভি/কেএইচ/এস