• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিরোপা জয়ের দ্বারপ্রান্তে রিয়াল মাদ্রিদ
ইউরোর আগে নিষিদ্ধ হতে পারে স্পেনের ফুটবল!
গত বছর নারী বিশ্বকাপের পর চুমু-কাণ্ডে ফেডারেশনের প্রধানের পদ হারান লুইস রুবিয়ালেস। এরপর দুর্নীতির অভিযোগে আটক হন তিনি। এরপর থেকেই অস্থিরতা চলছে স্প্যানিশ ফুটবলে। চলতি বছর জুনে জামার্নিতে অনুষ্ঠিত হবে ইউরোপীয় ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের লড়াই ইউরো কাপ। তবে তার আগেই বিপাকে পড়তে পারে স্পেনের ফুটবল।  নতুন নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত ফুটবল ফেডারেশন চলমান সংকট ও স্পেনের স্বার্থ রক্ষায় দেশটির সরকার এই বিশেষ কমিটি গঠন করেছে বলে জানিয়েছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ (সিএসডি)।  গতকাল (বৃহস্পতিবার) এক বিবৃতিতে বিশেষ কমিটি গঠনের ঘোষণা দেয় স্পেনের সরকারি সংস্থা সিএসডি। বিবৃতিতে বলা হয়, আরএফইএফ যে গুরুতর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা ঠিক করতে এবং সংস্থাটির পুনর্জাগরণ ঘটাতে স্পেন সরকার একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেডারেশনের তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্বের জন্য এ কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন স্বীকৃত মর্যাদাবান স্বতন্ত্র ব্যক্তিরা। কিন্তু বিশ্ব ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফার নিয়মে রয়েছে, ফুটবল ফেডারেশন মূলত স্বায়িত্বশাসিত থাকে। কোনো দেশের ফুটবল ফেডারেশনে সরকার বা তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বৈধ নয়। এমন ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট দেশকে নিষেধাজ্ঞা দেয় ফিফা। ফলে সরকারের হস্তক্ষেপের দায়ে নিষিদ্ধ হতে পারে স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম।  এমন ঘটনার পর ফিফা ও ইউরোপীয় ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা জানিয়েছে, স্পেন ফুটবলের কার্যক্রম এবং দেশটির ফেডারেশনের পরিস্থিতি মূল্যায়ন করা হচ্ছে। এক যৌথ বিবৃতিতে দুই সংস্থা জানিয়েছে, সিএসডির তথাকথিত তত্ত্বাবধান, স্বাভাবিকীকরণ ও প্রতিনিধিত্ব কমিশন আরএফইএফের স্বাধীনভাবে ও সরকারি হস্তক্ষেপ ছাড়াই কার্যাবলি পরিচালনার বাধ্যবাধকতাকে প্রভাবিত করতে পারে। ফিফা এবং উয়েফা পরিস্থিতি মূল্যায়ন করতে অতিরিক্ত তথ্য চাইবে।’ এদিকে স্প্যানিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, আরএফইএফের প্রধানের পদে একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী হচ্ছেন বর্তমানে ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করা পেদ্রো রোচা। তবে বিশেষ কমিটি গঠনের পর বেকায়দায় আছেন তিনি।  গত মাসে আদালতে এক সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণের পর রোচার বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারক। আন্তর্জাতিক ক্রীড়া আদালত অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ কোর্ট অব স্পোর্টের রায় আসার আগে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে পারে সিএসডিও। যদিও আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত অপেক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বিদ্যুৎ বিল দেওয়ার সামর্থ্য নেই বাফুফের, তাপদাহের মধ্যে মেয়েদের খেলা
ট্রেবল জয়ে তাকিয়ে এনরিকে
‘জাভির থেকে যাওয়াটা সঠিক সিদ্ধান্ত’
মেসিদের সিনেমা এখন বাংলাদেশে!
বার্সেলোনায় থাকছেন জাভি!
বার্সেলোনার কোচ হিসেবেই বহাল থাকছেন জাভি। কাতালান ক্লাবটির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। গত জানুয়ারিতেই চলতি মৌসুম শেষে ক্লাব ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন তিনি। স্প্যানিশ গণমাধ্যমের বিভিন্ন সূত্র জানাচ্ছে, গত বছর বার্সেলোনার সঙ্গে ২০২৫ সাল পর্যন্ত চুক্তি নবায়ন করেছিলেন ৪৪ বছর বয়সী জাভি। বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী ক্লাব সভাপতি হুয়ান লাপোর্তা ও স্পোর্টিং ডিরেক্টর ডেকোর সঙ্গে লম্বা আলোচনার পর নিজের সিদ্ধান্তের নাটকীয় পরিবর্তন করেন জাভি। গত জানুয়ারিতে ঘরের মাঠে ভিয়ারিয়ালের কাছে ৫-৩ গোলে হারের পর তিনি বলেছিলেন, ‘এই ক্লাবে কাজ করতে গেলে প্রতিদিনই এমন এক অনুভূতির মুখোমুখি হতে হয়, যেখানে বারবার তোমাকে মনে করিয়ে দেওয়া হয় তুমি যথেষ্ট ভালো করছো না। এটা সব কোচের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। পেপ গার্দিওলা একবার আমাকে বলেছিল, এটা আর্নেস্টো ভালভার্দের ক্ষেত্রে হয়েছে। আমি লুইস এনরিকেকে চাপে থাকতে দেখেছি।’ জাভি আরও বলেন, ‘এখানে মাঝে মাঝে মনে হয় শ্রদ্ধার অভাব রয়েছে। তোমার কাছে মনে হবে তোমার কাজ অনেকেরই পছন্দ হচ্ছে না। এ কারণে শারীরিক ও মানসিকভাবে ভেঙে পড়াটা স্বাভাবিক। এক সময় অনেকেই আবেগী হয়ে পড়ে। আমি সবসময়ই একজন ইতিবাচক মানুষ, কিন্তু আমারও শক্তি ক্রমেই কমে যাচ্ছে। এ কারণেই আমার কাছে মনে হয়েছিল আর কাজ চালিয়ে নেবার কোনো মানে হয় না।’ সাম্প্রতিক সময়ে বার্সাকে ক্লাবের আর্থিক দিক নিয়ে বেশ হিমশিম খেতে হচ্ছে। ২০২১ সালের নভেম্বরে কোচ হিসেবে জাভিকে নিয়োগ দেওয়া হয়। তার নেতৃত্বে ক্লাবের সৌভাগ্য ক্রমেই ফিরে আসে। তারই ধারাবাহিকতায় গত মৌসুমে লিগ শিরোপাও ঘরে আসে। কিন্তু এবারের মৌসুমে স্প্যানিশ সুপার কাপে রিয়ালের কাছে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত হবার পর কোপা ডেল রে’তে অ্যাথলেটিক বিলবাওয়ের কাছে হেরে বিদায় নিতে হয় তাদের। জানুয়ারিতে জাভি বলেছিলেন, ‘কোচের পদ ছাড়ার সিদ্ধান্ত ব্যক্তিগতভাবে আমাকে মুক্ত থাকতে সহযোগিতা করেছে। ৩০ জুন থেকে আমি আর বার্সেলোনার কোচ নই। একজন বার্সা সমর্থক হিসেবে আমার কাছে মনে হয়েছে এই মুহূর্তে ক্লাবের নাটকীয় একটি পরিবর্তন প্রয়োজন।’ উল্লেখ্য, জাভির এই ঘোষণার পর থেকেই বার্সেলোনা এই পদ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে। জাভির মানের কোনো কোচ এখন পর্যন্ত তারা খুঁজে পায়নি। বার্সেলোনা বি দলের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করা সাবেক ডিফেন্ডার রাফায়েল মারকুয়েজ এই তালিকায় সর্বাগ্রে এগিয়ে ছিলেন। জার্মানির সাবেক বস হান্সি ফ্লিক ও ব্রাইটনের রবার্তো ডি জারবির নামও তালিকায় উঠে এসেছিল।
শিরোপা স্বপ্নে হোঁচট খেল লিভারপুল
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে (ইপিএল) ‘মার্সিসাইড ডার্বি’তে জিতলে লিভারপুলের সামনে সুযোগ ছিল শীর্ষে থাকা আর্সেনালকে ছুঁয়ে ফেলার। কিন্তু এভারটনের কাছে ২-০ গোলে হেরে শিরোপা রেস থেকে পিছিয়ে পড়ল লিভারপুল। অন্যদিকে প্রায় ১৪ বছর পর ‘মার্সিসাইড ডার্বি’তে জয়ের স্বাদ পেল এভারটন। এতে অলরেডদের শিরোপা স্বপ্ন অনেকটা ফিকে হয়ে গেল। বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাতে ঘরের মাঠ গুডিসন পার্ক স্টেডিয়ামে লিভারপুলকে আতিথ্য দেয় এভারটন। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে এভারটনই বাজিমাত করে। ম্যাচের ২৯তম মিনিটেই জেরার্ড ব্রান্থওয়েটের গোলে লিড নেয় স্বাগতিকরা।  গোল শোধে মরিয়া চেষ্টা চালালেও ম্যাচে ফিরতে ব্যর্থ হয় ইয়ুর্গেন ক্লপের শিষ্যরা। ম্যাচের ৪৪তম মিনিটে সমতায় ফেরার সহজ সুযোগ হাতছাড়া করেন লুইস দিয়াস। শেষ পর্যন্ত ১-০ গোলে ব্যবধানে পিছিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় লিভারপুল। দ্বিতীয়ার্ধের অল্প সময়ের মধ্যে দ্বিতীয় গোলের দেখা পায় স্বাগতিকেরা। ম্যাচের ৫৮তম মিনিটে দারুণ হেডে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ডমিনিক কালভার্ট লেউইন। জোড়া গোল হজমের পর আর ম্যাচে ফেরা হয়নি লিভারপুলের। শেষ পর্যন্ত ২-০ ব্যবধানে পরাজয় মানতে হয় অল রেডদের। ফলে ৩৪ ম্যাচ শেষে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানেই থাকতে হচ্ছে লিভারপুলকে। যেখানে সমান ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে অবস্থান করছে আর্সেনাল। অন্যদিকে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি।    
হাসপাতালে ভর্তি আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড তেভেজ
বুকে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন আর্জেন্টিনার সাবেক ফরোয়ার্ড কার্লোস তেভেজ। বুয়েন্স আয়ার্সের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয় তাকে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্ত। ২০২২ সালে সব ধরনের ফুটবল থেকে অবসর নেওয়া তেভেজ বর্তমানে আর্জেন্টিনার ক্লাব ইন্ডিপেনডিয়েন্তের হেড কোচের দায়িত্বে আছেন।  সোশ্যাল মিডিয়া এক্সে এক বার্তায় ক্লাবটি জানিয়েছে, আমাদের কোচ কার্লোস তেভেজ বুকে ব্যথা নিয়ে সান ইসিড্রোর লা ত্রিনিদাদ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে তার পরীক্ষার রিপোর্ট সন্তোষজনক এসেছে বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও সতর্কতা হিসেবে আরও কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলবে। সে পর্যন্ত হাসপাতালেই থাকবেন তিনি।  ২০০৪ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আর্জেন্টিনার জার্সিতে ৭৬ ম্যাচ খেলেছেন তেভেজ। জাতীয় দলের হয়ে কোনো ট্রফি না থাকলেও প্রিমিয়ার লিগে ম্যানইউর সঙ্গে দুইবার ও সিটির জার্সিতে একবার শিরোপা জেতেন তিনি। ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে ইন্ডিপেনডিয়েন্তের কোচিংয়ে আসেন তেভেজ। ২০২২ সালের জুনে খেলোয়াড়ী ক্যারিয়ারের ইতি টেনে রোজারিও সেন্ট্রালের দায়িত্বে ছিলেন অল্প কিছুদিন।
চেলসির জালে আর্সেনালের গোল উৎসব
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ ফুটবলে দাপুটে জয় নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষ স্থান ধরে রাখল আর্সেনাল।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এমিরেটস স্টেডিয়ামে চেলসিকে ৫-০ গোলের বড় ব্যবধানে হারায় দ্য গানার্স বাহিনী।  ম্যাচজুড়ে একচেটিয়া আধিপত্য দেখায় মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা। ম্যাচের চতুর্থ মিনিটে ডেক্লান রাইসের বাড়িয়ে দেওয়া বলে লিয়েন্দ্রো ট্রোসার্ডের গোলে লিড পায় আর্সেনাল। এরপর আরও বেশকিছু সুযোগ এসেছিল, তবে নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে বল জালে জড়াতে পারেননি রাইস-বুকায়ো সাকারা।  অ্যাঞ্জো ফার্নান্দেজ এবং নিকোলাস জনসনরাও সুযোগ কয়েকবার পেয়েছিলেন। তবে গোলের দেখা পাননি। শেষ পর্যন্ত প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় দ্য গানার্স।  দ্বিতীয়ার্ধে চেলসির জালে জোড়া আঘাত হানেন বেন হোয়াইট ও কাই হ্যাভার্টজ। ম্যাচের ৫২তম মিনিটে রাইসের বাড়িয়ে দেওয়া বলে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। মিনিট পাঁচেক পরেই গোল করেন হ্যাভার্টজ। এরপর ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে হ্যাভার্টজ এবং ৭০তম মিনিটে হোয়াইট গোলে বড় ব্যবধানে জয় নিশ্চিত করে মাইকেল আর্তেতার শিষ্যরা। এই জয়ে শীর্ষে ফিরলো গানাররা। ৩৪ ম্যাচে ৭৭ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের এক নম্বরে আর্তেতার দল। অন্যদিকে এক ম্যাচ কম খেলে ৭৪ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে লিভারপুল। এ ছাড়া দুই ম্যাচ কম খেলা ম্যানসিটির ৭৩ পয়েন্ট।
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে ইন্টার মিলান
ইতালিয়ান ফুটবল সাম্রাজ্যে জুভেন্টাসের আধিপত্যে ভাগ বসাতে পারে এমন ক্লাব কই! আপনি ফুটবল ফলোয়ার হলে, আরও সহজ করে বললে ইউরোপীয় ফুটবলের নিয়মিত দর্শক হলে নিশ্চিতভাবে মাথায় খেলবে দুটি নাম। এক এসি মিলান, আরেকটি ইন্টার মিলান। প্রসঙ্গে ফেরা যাক। জুভেন্টাস এবার সিরি-এ জিততে পারবে না, এটা নিশ্চিত। কারণ, ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই চলতি মৌসুমের শিরোপা ঘরে তুলেছে ইন্টার মিলান। ৩৩তম রাউন্ডে অ্যাওয়ে ম্যাচে নগরপ্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে তারা হারায় ২-১ গোলে। এতেই ৩৩ ম্যাচে ৮৬ পয়েন্ট নিয়ে শিরোপা নিশ্চিত হয় জায়ান্টদের।  এসি মিলানের নামের পাশে সমান ম্যাচ খেলে পয়েন্ট ৬৯। এতে শীর্ষস্থানে থাকা ইন্টারের সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান ১৭। ইন্টার যদি পরের সবগুলো ম্যাচ হেরে যায়, আর এসি মিলান যদি সব ম্যাচ জিতেও যায়, তবুও তারা ইন্টারের পয়েন্ট স্পর্শ করতে পারবে না।  নিজেদের ২০তম লিগ শিরোপা জয়ের পাশাপাশি আরও এক জায়গায় এসি মিলানকে পেছনে ফেলেছে ইন্টার। এর আগে, দুদলেরই ছিল সমান ১৯টি করে সিরি-এ শিরোপা। চলতি মৌসুমের শিরোপা জয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় সফল ক্লাব হিসেবে নাম লেখালো ইন্টার মিলান। ৩৬টি শিরোপা জিতে শীর্ষে জুভেন্টাস। আর ২০টি শিরোপা জিতে এর পরেই আছে নিরাজ্জুরিরা। চলুন একনজরে দেখে নেওয়া যাক, ইন্টার মিলানের সাফল্যগুলো। ক্লাবের ১১৬ বছরের ইতিহাসে প্রথম শিরোপার দেখা মেলে ১৯০৯-১০ মৌসুমে। ক্লাব তৈরির এক বছর পরই শিরোপা জিতে ইতালিতে হৈ-চৈ ফেলে দেয় তারা। এরপরের দুটি শিরোপার স্বাদ পায় ১০ বছর পরপর। শিরোপা জেতাকে নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত করা ইন্টার এরপর হয়ে ওঠে ইতালিয়ান জায়ান্ট। ২০০৫ থেকে ২০০৯-১০ মৌসুমে টানা পাঁচ বার শিরোপা জিতে অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠে ইন্টার মিলান। এরপর ২০২০-২১ মৌসুমেও শিরোপা জেতে তারা।  ইতালির ঘরোয়া ফুটবলের আরও দুই বড় আসর কোপা ইতালিয়া ৯ ও সুপার কোপা ৮ বার জিতেছে ইন্টার মিলান। আন্তর্জাতিক ক্লাব ফুটবলেও আছে সাফল্য। তিনবার করে ক্লাবটি জিতেছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ও ইউরোপা লিগের শিরোপা। রেকর্ড আর ট্রফি জয়ের সাফল্যের সাথে ঐতিহ্য আর অহংবোধে মিলানের মানুষের আবেগের নাম ইন্টার মিলান। তবে, আরেক জায়ান্ট জুভেন্টাসের সঙ্গে টেক্কা দিতে পাড়ি দিতে হবে আরও অনেকটা পথ।  
ডার্বি জিতে ৫ ম্যাচ আগেই চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান
মিলান ডার্বিতে এসি মিলানকে ২-১ গোলে পরাজিত করে ৫ ম্যাচ হাতে রেখেই ইতালিয়ান সিরি-এ শিরোপা ঘরে তুললো ইন্টার মিলান। এই জয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকা মিলানের চেয়ে ১৭ পয়েন্টে এগিয়ে থেকে ২০তম লিগ শিরোপা জয় করার কৃতিত্ব দেখালো ইন্টার।  সবশেষ ২০২১ সালে সিরি-এ শিরোপা জয় করেছিল ইন্টার। এরপরের দুটি শিরোপা এসি মিলান ও নাপোলির ঘরে যায়। এ ছাড়া এ নিয়ে টানা ষষ্ঠ ডার্বিতে জয়ী হলো ইন্টার।  সোমবার (২২ এপ্রিল) নগর প্রতিদ্বন্দ্বী এসি মিলানকে ২-১ গোলে হারিয়েছে ইতালিয়ান জায়ান্টরা। এদিন ম্যাচের ১৮তম মিনিটে বেঞ্জামিন পাভার্ডের ফ্লিক-অনে আকারবি গোল করলে ইন্টারের পার্টি তখনই শুরু হয়ে যায়।  এর ৭ মিনিট পর ফেডেরিকো ডিমারকোর নিখুঁত কাট-ব্যাক থেকে মার্টিনেজ বল ধরতে ব্যর্থ হলে ব্যবধান দ্বিগুণ করা হয়নি। থুরামও একইভাবে গোলের সুযোগ হাতছাড়া করেন। এরপর ব্যারেলর পাসে বিরতির সাত মিনিট আগে থুরামের শট অল্পের জন্য পোস্টের বাইরে দিয়ে চলে যায়। বিরতি থেকে ফিরে আর কোনো ভুল করেননি থুরাম। ম্যাচের ৪৯তম মিনিটে দুর্দান্ত এক গোলে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। সিরি-এ অভিষেক মৌসুমে এনিয়ে ১২ গোল করলেন ফরাসি এই ফরোয়ার্ড।  এরপর থিও হার্নান্দেজের একটি জোরালো শট রুখে দেন ইন্টার গোলরক্ষক ইয়ান সোমার। ম্যাচের ৮০তম মিনিটে টোমোরি ফিরতি এক বলে মাথা ছুঁইয়ে এসি মিলানের হয়ে এক গোল পরিশোধ করেন।  ইনজুরি টাইমে মিলান ম্যাচে ফিরে আসার লড়াই ছাপিয়ে মাথা গরম করা শুরু করে। যে কারণে থিও হার্নান্দেজ ও ডেভিও কালাব্রিয়াকে লাল কার্ড দেখতে হয়। ইন্টারের ডেনজেল ডামফ্রাইয়ও শেষ মুহূর্তে লাল কার্ড দেখেন।
‘অন্যায়ের শিকার হয়েছে বার্সেলোনা’
কয়েক দিন আগেই পিএসজির কাছে হেরে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ থেকে বিদায় নিয়েছে বার্সেলোনা। এবার লা লিগায় চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরে শিরোপা থেকে দূরে সরে গিয়েছে কাতালানরা। তবে হারের পর লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বার্সা কোচ জাভি হার্নান্দেজ। তার দাবি, অবিচারের শিকারের হয়েছে বার্সা। রোববার (২২ এপ্রিল) রাতে এল ক্লাসিকোতে রিয়ালের ঘরের মাঠ সান্তিয়াগো বার্নাব্যু থেকে ৩-২ গোলে হেরে ফিরতে হয়েছে বার্সেলোনাকে। এদিন ম্যাচের ২৮তম মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়ে গিয়েছিল বার্সা। কর্নার থেকে আসা বলে লামিন ইয়ামালের ব্যাক ফ্লিক গোললাইন থেকে ঠেকান রিয়াল গোলরক্ষক আন্দ্রে লুনিন। রেফারি গোলের বাঁশি না বাজালেও গোলের জন্য আবেদন করতে থাকেন বার্সার খেলোয়াড়রা। কিন্তু লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি নেই। তাই ভিএআর দেখে বল গোললাইন অতিক্রম করেনি বলে সিদ্ধান্ত দেন রেফারি।   ম্যাচ শেষে লা লিগায় গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় তাই ক্ষুব্ধ জাভি বলেন,লা লিগার মতো টুর্নামেন্টে গোললাইন প্রযুক্তি না থাকাটা অস্বস্তিকর। এটিকে বিশ্বসেরা লিগে পরিণত করতে হলে এই প্রযুক্তি লাগবেই।  গোললাইন প্রযুক্তি না থাকায় বার্সা অন্যায়ের শিকার হয়েছে বলেও মনে করেন জাভি। তিনি বলেন, কী হয়েছে তা সবাই দেখেছে। আমি আর কী বলব? এজন্য লিগ কর্তৃপক্ষ আমাকে শাস্তি দিতে পারে। কিন্তু ছবি তো আছে। আজ মনে হচ্ছে আমরা পুরোপুরি অবিচারের শিকার হয়েছি।  ‘আমি ম্যাচের আগেও বলেছিলাম, আশা করি রেফারি সঠিক সিদ্ধান্তই দেবেন। কিন্তু এমনটা ঘটেনি। তবে আমরা খুব ভালো খেলেছি। আমাদের তিন পয়েন্ট পাওয়া উচিত ছিল।’ ইংল্যান্ডের প্রিমিয়ার লিগ তো বটেই, এমনকি দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবলেও রয়েছে গোললাইন প্রযুক্তি। অথচ লা লিগার মতো টুর্নামেন্টে এই প্রযুক্তি নেই। নিজে গোলরক্ষক বলেই হয়তো এ নিয়ে চুপ থাকতে পারেননি বার্সা গোলরক্ষক মার্ক আন্দ্রে টের-স্টেগান।  ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, গোললাইনে যা ঘটেছে, তা নিয়ে আসলে বলার ভাষা নেই। এটা ফুটবলের জন্যই অস্বস্তিকর। কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা ঢালা হয় এখানে, কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ একটা জিনিসের জন্যই নেই। অথচ এই প্রযুক্তি অন্যান্য লিগে আছে, আমাদের এখানে কেন নেই বুঝতে পারছি না।