ঘন কুয়াশা আর শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। এ জেলায় রাতে প্রচণ্ড ঠান্ডার সঙ্গে পড়ে ঘন কুয়াশা। কুয়াশা থাকছে পরদিন সকাল ৯টা পর্যন্ত। ফলে রাতের পাশাপাশি দিনভর অনুভূত হয় শীত। এতে ব্যাহত হচ্ছে মানুষের স্বাভাবিক কাজকর্ম। বিপাকে পড়েছে নদীপাড় ও চরাঞ্চলসহ ছিন্নমূল মানুষ। এ ছাড়া চরম বিপাকে পড়েছে খেটে-খাওয়া ও নিম্ন আয়ের শ্রমজীবী মানুষ।
শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় বেড়েছে শীতের তীব্রতা। শীতের দাপটে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়ে পড়েছে। শীতের তীব্রতায় বিপাকে পড়েছে কৃষি শ্রমিক ও স্বল্প আয়ের খেটে খাওয়া মানুষজন। তীব্র ঠান্ডায় অনেকেই খড়কুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টাও করছে। এদিকে দিনের বেলা তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পেলেও সন্ধ্যার পর থেকে তাপমাত্রা কমতে থাকে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত শীতের তীব্রতা বেশি অনুভূত হয়। শীতে কষ্টে পড়েছে জেলার ওপর দিয়ে প্রবাহিত ১৬টি নদ-নদী তীরবর্তী চর ও দ্বীপ চরের দরিদ্র মানুষজন।
কুড়িগ্রাম নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের ঘোড়ার গাড়িচালক সিরাজুল ইসলাম বলেন, কয়েক দিন থেকে খুব ঠান্ডা। আজ আরও বেশি ঠান্ডা। হাত-পা বরফ হয়ে যায়। কাজ করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।
কৃষক আব্দুর রহিম ও রফিকুল ইসলাম জানান, বোরো বীজতলা তৈরির কাজ করছি। পানিতে হাত দেওয়া যায় না এতো ঠান্ডা। তারপরেও কাজ ছাড়া উপায় নাই।
কুড়িগ্রাম আবহাওয়া ও কৃষি পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার বলেন, গত দুই সপ্তাহ থেকে জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১১-১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ওঠানামা করছে। এ মাসের ১৫ তারিখের মাঝামাঝি সময়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আরটিভি/এএএ/এস