• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
রংপুর বিভাগে ১৩ ঘণ্টা কারফিউ শিথিল
‘আমার বুকের ধন না খেয়ে আন্দোলনে চলে আসছে, খুঁজে পাচ্ছি না’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচি সফল করতে সারাদেশের শিক্ষার্থীরা আন্দোলনে নেমেছেন। ঠাকুরগাঁয়েও এর বিপরীত হয়নি, সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেছেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী। তাদের মধ্যে এক শিক্ষার্থী হলেন বাবু চৌধুরী, তিনি বর্তমানে নিখোঁজ রয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও শহরের বড় মাঠে ছেলেকে খুঁজতে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে মা সুবর্ণা চৌধুরী বলেন, ‘আমার বাবু কই? পুলিশরা তো গুলি করবে। তাকে কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না। সকালে না খেয়ে আমার বুকের ধন মিছিলে চলে আসছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দয়া করে এই বাচ্চাদের একটু সান্ত্বনা দিয়ে বাসায় পাঠান। ওদের মনের কথাগুলো এবার একটু বুঝুন।’ এ সময় তাকে বিলাপ করতে দেখে আশপাশে জড়ো হওয়া অসংখ্য শিক্ষার্থীর চোখ ছল ছল করতে দেখা গেছে। জানা গেছে, এদিন সকাল ১০টা থেকে বড় মাঠে সমবেত হতে থাকেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের হাজারো শিক্ষার্থী। পরে সেখান থেকে শহরের চৌরাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে যান আন্দোলনকারীরা। এ সময় জেলার বড় অংশজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। প্রচণ্ড গরমে গন্তব্যে পৌঁছাতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। পরে শিক্ষার্থীরা শহরের চৌরাস্তায় এসে প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবস্থান নেন। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে উত্তাল হয়ে ওঠে চৌরাস্তা এলাকা। শিক্ষার্থীদের হাতে লেখা ফেস্টুনে ‘বৈষম্যমূলক কোটার বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘কোটাসহ সকল বৈষম্য নিপাত যাক’ ইত্যাদি স্লোগান লেখা ছিল। সমাবেশস্থলের নিরাপত্তা নিয়ে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এবিএম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, ‘জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের পর্যাপ্তসংখ্যক পুলিশ সদস্য মোতায়েন রয়েছে। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা প্রতিহত করার জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।’
কোটা আন্দোলনে নিহত সবুজের ভ্যানচালক বাবার স্বপ্ন অধরাই রইল
‘মুইও তাড়াতাড়ি তোর কাছোত আসিম’ বলে সাঈদকে চিরবিদায় দিলেন মা
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
৯ ভাই-বোনের মধ্যে শুধু আবু সাঈদই পড়তেন
বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন সাঈদের মা, ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন বাবা
রংপুরে সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছেন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ (২২)। তিনি পীরগঞ্জ উপজেলার মদনখালী ইউনিয়নের বাবনপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছোট ছেলে। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বাড়ি গিয়ে দেখা যায়, আবু সাঈদের মা মনোয়ারা বেগম নির্বাক হয়ে পড়েছেন। নিহত ছেলের ছবির দিকে তাকিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন তিনি। বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন বাবা মকবুল হোসেন। সবার দিকে ফ্যালফ্যাল করে তাকিয়ে আছেন। মাঝে মাঝে বাবা বাবা বলে ডাকছেন তিনি। সন্তানের মৃত্যুর সংবাদ শোনার পর থেকে বাবা-মায়ের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে পরিবেশ। তার মৃত্যুতে এলাকা শোকে আচ্ছন্ন হয়েছে। জানা গেছে, ৯ ভাই-বোনের মধ্যে নিজের ইচ্ছায় লেখাপড়া চালিয়ে গেছেন আবু সাঈদ। অভাবের কারণে অন্য সন্তানদের লেখাপড়া করাতে না পারলেও সাঈদ খালাশপীর দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয় থেকে গোল্ডেন জিপিএ ৫ পেয়ে এসএসসি পাস করেন। রংপুর সরকারি কলেজ থেকে একই ফলাফল নিয়ে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে ভর্তি হন সাঈদ।   নিহতের ছোট বোন সুমি কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘হামার ভাইকে ওরা মেরে ফেলল ক্যান? হামার ভাই বেঁচে থাকলে হামার স্বপ্ন পূরণ হতো।’  প্রতিবেশী রাসেল আহম্মেদ বলেন, ‘সাঈদের বাবা দিনমজুর হওয়ায় লেখাপড়ার টাকা বহন করতে সক্ষম ছিলেন না। তাই অভাবের কারণে আমার ছেলের লেখাপড়ার সরঞ্জামাদি ও পোশাক ব্যবহার করে লেখাপড়া চালিয়েছে। সে একজন মেধাবী ছাত্র হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছিল। ও ভবিষ্যতে ভালো কিছু করতো।’ পীরগঞ্জ থানার ওসি মো.আনোয়ারুল ইসলাস বলেন, ‘আমরা লোকাল আইন প্রয়োগকারী সংস্থা হিসেবে সতর্ক অবস্থানে আছি; যেন বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহের চেষ্টা করা না হয়।’   
কোটা আন্দোলন / পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, রংপুরে বেরোবির এক শিক্ষার্থী নিহত
রংপুরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারী ও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) এক শিক্ষার্থী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুর আড়াইটার দিকে এই ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা মিছিল নিয়ে শহরের লালবাগ এলাকা থেকে ক্যাম্পাসের দিকে যায়। এরপর ক্যাম্পাসে প্রবেশের চেষ্টা করলে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। ফলে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষ বাধে। তখন পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট ছোড়ে। এতে রোবির ইংরেজি বিভাগের ১২তম ব্যাচের শিক্ষার্থী আবু সাঈদ নিহত হন। রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‌‌‌‌‌‌‌‘কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা যোগ দেন। তারা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান। অনেক পুলিশ সদস্য এতে আহত হয়েছেন। একজন মারা গেছে বলে শুনেছি তিনি কীভাবে মারা গেছেন তা বলতে পারছি না।’
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ / লালমনিরহাটে ছাত্রলীগের ২ নেতার পদত্যাগ
লালমনিরহাটে স্বেচ্ছায় ছাত্রলীগের ২ নেতা পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা পদত্যাগ করেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে নিজেদের ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেন তারা। এ দুই নেতা হলেন, লালমনিরহাট সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ ও লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার। তারা জানান, সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতিবিরোধী তারা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ফেসবুকে পদত্যাগকারী ওই দুই নেতা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার চেষ্টা করছেন। তারা ছাত্রলীগ নেতা হয়ে ভিন্ন মতাদর্শ লালন করেন। তারা ছাত্রলীগ থেকে স্বেচ্ছায় বেরিয়ে গেছে এতে আমরা খুশি। এরা ছাত্রলীগে কীভাবে ঢুকেছে এটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’ এর আগে পদত্যাগ করা আরিফুজ্জামান আরিফ ফেসবুকে লেখেন, ‘আমি আরিফুজ্জামান আরিফ সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সদর উপজেলা এই পদে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি সজ্ঞানে এই পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। আমি বা আমার পরিবার কেউ মুক্তিযোদ্ধা না, আমরা রাজাকার।’ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার তার ফেসবুক পোস্টে লেখেন, ‘আমি সর্বদাই শিক্ষাভিত্তিক রাজনীতি চর্চা করেছি। শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ ছিল আমার পরম ব্রত। তবে আজকের আক্রমণাত্মক ছাত্ররাজনীতি আমায় ব্যথিত করেছে ও আমার সংবেদনশীল অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত নৈতিকতাবিরোধী। তাই আমি সজ্ঞানে আমার মস্তিষ্কের দুইশ বিলিয়ন নিউরন ব্যবহার করে বিবেকের দাড়িপাল্লায় দাঁড়িয়ে আজ থেকে ছাত্ররাজনীতি থেকে সরে গেলাম এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’
কোটা সংস্কারের দাবি / হাবিপ্রবি শিক্ষার্থীদের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা
কোটার যৌক্তিক সংস্কার ও সারাদেশে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর ন্যাক্কারজনক হামলার বিচার না হওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে এমন ঘোষণা দিয়েছে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ইতোমধ্যেই সকল প্রকার ক্লাস পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ফুড অ্যান্ড প্রসেস ইঞ্জিনিয়ারিং, ইংরেজি, ভেটেরিনারি অ্যান্ড এনিমেল সায়েন্স, পদার্থবিজ্ঞান, অর্থনীতিসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। ক্লাস পরীক্ষা বর্জন ছাড়াও শিক্ষার্থীরা তাদের ফেসবুক পোস্টের ঘোষণায় আরও বলেন, ‘আমাদের মধ্যে কোনো শিক্ষার্থী যদি আজকে বা আগামীতে সাধারণ ছাত্রছাত্রী তথা আমাদের ভাই বোনদের ওপর আক্রমণের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়, তাহলে তাকে আমরা আমাদের ব্যাচ থেকে সামগ্রিকভাবে বর্জন করবো। এবং আমাদের সঙ্গে কোনো প্রকার ক্লাস বা পরীক্ষায় তাকে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবেনা।’ শিক্ষার্থীরা আরও জানায়, ‘শিক্ষকদের আন্দোলন শেষ হলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষায় না ফেরার ঘোষণা চলমান থাকবে।’
বন্যার্তদের হাতে ত্রাণ সহায়তা তুলে দিলেন র‌্যাব মহাপরিচালক
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে বন্যার্তদের মাঝে ত্রাণসহায়তা বিতরণ করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশিদ।  রোববার (১৪ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের চর যাত্রাপুরে সহস্রাধিক বন্যার্ত পরিবারের মাঝে ত্রাণের প্যাকেট তুলে দেওয়া হয়।  এ সময় র‌্যাবের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবাও। বন্যার সংকটকালীন সময়ে ত্রাণ ও স্বাস্থ্য সেবা পেয়ে খুশি চরবাসী। সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে বন্যাকবলিত থাকায় খাদ্য সংকটে পড়েছেন ৯ উপজেলার প্রায় দুই লাখ মানুষ। নদ-নদীর পানি হ্রাস পাওয়ায় জেলার বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও খাদ্য সংকটে পড়েছেন বন্যাকবলিতরা। এ অবস্থায় বন্যাকবলিতদের মাঝে সরকারি ত্রাণসহায়তা অব্যাহত থাকলেও সবার ভাগ্যে জুটছে না তা। স্থানীয়রা বলছেন, এমন দুর্যোগকালীন পরিস্থিতিতে ত্রাণ সহায়তা নিয়ে চরাঞ্চলের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে উপকার করেছেন র‌্যাবের মহাপরিচালক। এ বিষয়ে চর যাত্রাপুরের বাসিন্দা জামেলা বেগম বলেন, ‘১৫ দিন ধরে বানের পানিতে আছি। কোনো কাজ কাম নাই। খাবারও শেষ হয়ে গেছে। কোনো সহযোগিতাও মেলে নাই। গতকাল একটা ত্রাণের প্যাকেট পেয়েছি। এটা আমাদের খুব উপকারে আসবে।’ সদরের যাত্রাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল গফুর বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে ১২ হাজার পরিবার বন্যাকবলিত। তাদের মধ্যে মাত্র দেড় হাজার পরিবারকে সরকারি সহায়তা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। র‌্যাবের পক্ষ থেকে যে সহায়তা দেওয়া হলো তা বন্যার্তদের উপকারে আসবে। আমাদের এখানে আরও সরকারি-বেসরকারি সহায়তা প্রয়োজন।’ ত্রাণের মধ্যে ছিল চাল, ডাল, আটা, চিড়া, মুড়ি, গুড়, বিস্কুটসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী। ত্রাণ বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন কুড়িগ্রামের পুলিশ সুপার আল আসাদ মো. মাহফুজুল ইসলাম, র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালকসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
২২ দিন পর কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করল সেনাবাহিনী
পঞ্চগড়ে ২২ দিন আগে কুড়িয়ে পাওয়া মর্টার শেল ধ্বংস করেছে সেনাবাহিনীর বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট।  রোববার (১৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বাংলাবান্ধা এলাকা থেকে ৫০ মিটার দূরত্বে একটি বাঁশঝাড়ের পাশে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীনের নেতৃত্বে ১২ জনের একটি দল সফলভাবে মর্টার শেলটি ধ্বংস করে।  এ সময় মর্টার শেলটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। মর্টারশেল ধ্বংসের আগে ওই এলাকাজুড়ে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। তবে দূর থেকে মর্টার শেল ধ্বংস দেখতে ওই এলাকার শত শত মানুষ ভিড় করেন।  এ সময় তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের একটি দলসহ বিজিবির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর রংপুর-৬৬ পদাতিক ডিভিশনের ৬ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যাটালিয়নের বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিটের ক্যাপ্টেন রাকিব উদ্দীন বলেন, মর্টারন শেলটি ৫১ মিলিমিটার প্যাকেট বোম। মর্টারশেলটি মরিচা পড়ার কারণে এটার তৈরির বিষয়ে কোনো তথ্য জানা যায়নি। তেঁতুলিয়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় বলেন, ‘স্থানীয়দের কাছে পাওয়া মর্টার শেলটি বিজিবি ওই দোকানের বাইরে গর্ত করে সংরক্ষণ করেছিল। এটি আমদানি করা পাথরের সঙ্গে এসেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সফলভাবেই মর্টার শেলটি নিষ্ক্রিয় করেন সেনাবাহিনীর সদস্যরা।’ এর আগে, গত ২৩ জুন তেঁতুলিয়া উপজেলার বাংলাবান্ধা বাজারে এক পাথর শ্রমিক মহিলা মর্টার শেলটি লোহার দণ্ড মনে করে বাজারের ভাঙারি ব্যবসায়ী আল আমিনের দোকানে নিয়ে আসেন। পরে ওই ব্যবসায়ী দেখে মর্টারশেল সন্দেহ হলে থানা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ লোহার দন্ডটিকে মর্টার শেল নিশ্চিত হলে দোকানের পেছনে গর্ত করে পুঁতে রাখেন। পরে রোববার (১৪ জুলাই) মর্টার শেলটি সফলভাবে ধ্বংস করা হয়।