• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
স্কুলছাত্রীকে জোর করে চুমু দিয়ে মাদরাসাছাত্র গ্রেপ্তার
অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ : স্টোর কিপারের ৩ বছরের কারাদণ্ড
জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের সাবেক স্টোর কিপার হামিদুর রহমান মণ্ডলকে ৩ বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়াও ৭ লাখ ৪০ হাজার ৭৪৫ টাকা জরিমানা করা হয়েছে তাকে। সোমবার (১৮ মার্চ) দুপুরে রংপুরের দুর্নীতি দমন বিশেষ আদালতের বিচারক হায়দার আলী এ রায় দেন। এ দিকে আসামি আদালতে হাজিরা দিলেও রায় ঘোষণার আগেই আদালত প্রাঙ্গণ থেকে পালিয়ে যান। বিচারক আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেন। আসামি হায়দার আলীর বাড়ি নওগাঁ সদর উপজেলার কেশবপুর গ্রামে। বর্তমান ঠিকানা রংপুরের গুড়াতিপাড়া। দুদকের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিশেষ পিপি হারুন উর রশীদ। তিনি জানান, আসামি হাজিরা দিতে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার আগে পালিয়ে গেছেন। তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ দিয়েছেন আদালত।  মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডল রংপুর জেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসের স্টোর কিপার হিসেবে কর্মরত থাকা কালে অবৈধভাবে নিজের ও স্ত্রীর নামে কোটি টাকারও বেশি অবৈধ সম্পদ অর্জন করেছেন। রংপুর নগরীতে তার তিন তলা আলিশান বাড়ি, বেশ কয়েকটি প্লট এবং নওগাঁয় বিপুল পরিমাণ আবাদি জমি কিনে বিপুল অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। এ ঘটনায় রংপুর দুদক কার্যালয়ের উপ-সহকারী পরিচালক জালাল উদ্দিন বাদী হয়ে ২০১১ সালের ২৭ জুলাই দুদক আইনে মামলা দায়ের করেন।  পরে তার নামে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। মামলায় ১০ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য ও জেরা শেষে আসামি হামিদুর রহমান মণ্ডলকে দোষী সাব্যস্ত করে এই কারাদণ্ড এবং জরিমানার আদেশ দেন আদালত। জরিমানার অর্থ আগামী ৬০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার আদেশ দেওয়া হয়েছে।
স্মার্ট বাংলাদেশকে এগিয়ে নেবে প্রশিক্ষিত তরুণ উদ্যোক্তারা : স্পিকার
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ আজ
স্ত্রী পরিচয় দিয়ে নারীকে দীর্ঘদিন ‘ধর্ষণ’, আ.লীগ নেতা আটক
তুচ্ছ ঘটনায় সৈয়দপুরে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি
একসঙ্গে মৃত্যুর ইচ্ছা পূরণ হলো দম্পতির, শায়িত হলেন পাশাপাশি
একসঙ্গে কাটিয়েছেন দীর্ঘ ৬০ বছর। এ দীর্ঘ সময়ের পথচলায় ছিল একে অপরের প্রতি অগাধ ভালোবাসা। বেঁচে থাকতে সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর এবং পাশাপাশি সমাধিস্থ হওয়ার। তাদের সেই ইচ্ছাই পূরণ হয়েছে এ দম্পতির। একই দিনে পৃথিবী ছেড়ে চির বিদায় নিলেন তার, দাফনও হলেন পাশাপাশি। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) ভোরে রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার দামোদরপুর ইউনিয়নের ইন্দিরাপাড়া গ্রামের আজগার আলী (৮০) এবং রাত আটটার দিকে তার স্ত্রী তহিদা খাতুন (৭২) ইন্তেকাল করেন। জানা গেছে, সেহরি খেয়ে বুধবার (১৩ মার্চ) দিবাগত রাতের খাবার একসঙ্গে খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। সকাল আটটার দিকে ঘুম থেকে জেগে ওঠেন তহিদা খাতুন। এ সময় ডাকাডাকি করেও স্বামীর সাড়া পাননি। তার কান্না শুনে বাড়ির অন্য লোকজন ছুটে আসেন। তখন তারা বুঝতে পারেন আজগর আলী মারা গেছেন। জানাজা ও দাফনকার্যে অংশগ্রহণকারী স্বজনদের অনেকটা শক্ত মনে বিদায় দেন তহিদা খাতুন। রাত আটটার দিকে বাড়িতে হঠাৎ মাথা ঘুরে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে তাৎক্ষণিক মারা যান তহিদাও। পরে মধ্যরাতে জানাজা শেষে স্বামীর কবরের পাশেই তাকে দাফন করা হয়। তাদের সন্তান লাভলু মিয়া বলেন, ‘আমার বাবা-মায়ের মধ্যে যে ভালোবাসা ও বন্ধুত্ব ছিল, তা এ যুগের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দেখতে পাই না। জীবদ্দশায় বাবা-মা সবসময় কামনা করতেন একসঙ্গে মৃত্যুর। আল্লাহ তাদের সেই মনোবাসনা পূর্ণ করেছেন।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য শামসুল হক জানান, ‘ঘটনাটি বিস্ময়কর। স্বামী-স্ত্রীর একই দিনে স্বাভাবিক মৃত্যু তেমন দেখা যায় না।’
সেই এসিল্যান্ডকে স্ট্যান্ড রিলিজ
জমি খারিজসংক্রান্ত তথ্য জানতে চাওয়ায় ৫ সাংবাদিককে নিজ কার্যালয়ে আটকে রেখে জেলে পাঠানোর হুমকি দেওয়ার ঘটনায় লালমনিরহাটের সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকারকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে।  শুক্রবার (১৫ মার্চ) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, ঘটনার পর বৃহস্পতিবারই তাকে স্ট্যান্ড রিলিজ করা হয়েছে। তাকে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় বদলি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। এ সংক্রান্ত একটি আদেশ ইতোমধ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এসেছে।  এ ছাড়া ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান। এর আগে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে সদর উপজেলা সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয়ে ৫ সাংবাদিককে আটকে রেখে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে জেলে দেওয়ার চেষ্টা করেন অভিযুক্ত এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল নোমান সরকার। আটকে রাখার প্রায় ৪০ মিনিট পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টি এম মমিন ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কার্যালয়ের গেটের তালা খুলে তাদের মুক্ত করেন। ভুক্তভোগী সাংবাদিকদের অভিযোগ, ভূমি অফিসে সেবা নিতে আসা মানুষজন নানা হয়রানির শিকার হচ্ছেন মর্মে তথ্য সংগ্রহে যান মাইটিভির সাংবাদিক মাহফুজ সাজু। এ সময় ভূমি অফিসের ক্রেডিট চেকিং কাম সায়রাত সহকারি রাশিদুল ইসলাম ওরফে রাসেল সাংবাদিকের মোবাইল কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এ ঘটনার প্রতিবাদ জানালে ভূমি অফিসের সার্টিফিকেট সরকারি মেহেদী হাসান ও অফিস সহায়ক ইমদাদুল হক ওই সাংবাদিককে হেনস্তা করেন। পরে খবর পেয়ে ভুক্তভোগী সাংবাদিকরা ভূমি অফিসে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানান। এ সময় এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল নোমান অফিসে উপস্থিত হয়ে অফিসের কলাপসেবল গেট তালা মেরে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে উপস্থিত সাংবাদিকদের জেলে দেওয়ার প্রস্তুতি নেন।  পরে সাংবাদিকরা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহকে বিষয়টি জানানোর পর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) টিএম মমিন ঘটনাস্থলে আসলে সাংবাদিকদের তালাবদ্ধ অবস্থায় পান। এ ঘটনার প্রতিবাদে সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিকভাবে জেলা শহরের মিশন মোড়ে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ এসে এসিল্যান্ড আব্দুল্লাহ আল নোমানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলে সাংবাদিকরা অবরোধ তুলে নেন। এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মাহফুজ সাজু বলেন, সাংবাদিকদের আটকে রেখে জেলে দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ক্ষমতার অপব্যবহার করে যে অপরাধ তিনি করেছেন তার শাস্তি বদলি হতে পারে না। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা করে শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে, যাতে গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মতো আইনের অপপ্রয়োগ করতে কেউ সাহস না পায়। সিনিয়র সাংবাদিক মোফাখখারুল ইসলাম মজনু বলেন, বদলি একটি নিয়মিত প্রশাসনিক প্রক্রিয়া। আমরা এসিল্যান্ডের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছি। এ দাবি পূরণ না হলে আমরা আবার আন্দোলনে যাবো।
সৈয়দপুরের পৌর মেয়রের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিয়া জাহান বেবির কয়েকটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিব্রত।  তবে এর আগেও আরও আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এমন পরিস্থিতিতে তিনি ভিডিওগুলো সুপার এডিট দাবি করেছিলেন৷  বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে স্থানীয়রা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ভিডিও ক্লিপ ও ছবিগুলোতে দেখা যায়, মেয়র রাফিকা জাহান ভিডিও কলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করছেন। তিনি বিভিন্ন গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অশ্লীল ভঙ্গিতে নাচছেন। তার পাশে আরও একজনকে নাচতে দেখা যায়। পরে আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, ভিডিও কলে অপরপ্রান্তের কারও সঙ্গে বিবস্ত্র হয়ে কথা বলছেন তিনি।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিয়া জাহান বেবির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যারা এ বেয়াদবি করছে সেটাও নেত্রী দেখবেন এবং যে সাংবাদিকরা করছেন তাদেরও বিচার হবে।  প্রসঙ্গত, তার স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন রাফিকা জাহান বেবি। এরপর পঞ্চম ধাপের পৌর নির্বাচনে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের এ নতুন মুখ প্রথমবার নির্বাচনে এসেই গৃহিনী থেকে মেয়র হয়েছেন৷ 
প্রথম দিনেই ঢিল ছুড়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের গ্লাস ভাঙল দুর্বৃত্তরা
লালমনিরহাটে উদ্বোধনী দিনেই রেললাইনের পাথর ছুড়ে বুড়িমারী এক্সপ্রেসের গ্লাস ভেঙে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তবে এতে কোনো যাত্রী হতাহত হননি। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) রাত ৮টায় হাতীবান্ধা উপজেলার ঘুন্টি বাজার এলাকায় চলন্ত ট্রেনে ঢিল মেরে গ্লাস ভেঙে দেয় দুর্বৃত্তরা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, লালমনিরহাটের বুড়িমারী রেল স্টেশনে ট্রেনটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোতাহার হোসেন এমপি। উদ্বোধন শেষে বুড়িমারী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ফেরার পথে হাতীবান্ধা উপজেলার ঘুন্টি বাজার এলাকায় এলে দুর্বৃত্তরা রেললাইনের পাথর দিয়ে ঢিল মেরে জানালার গ্লাস ভেঙে দেয়। ওই ট্রেনে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী সোহেল রানা বলেন, আমি ঢাকার উদ্দেশ্যে হাতীবান্ধা রেলস্টেশন থেকে বুড়িমারী এক্সপ্রেসে উঠি। পথিমধ্যে উপজেলার ঘুন্টি বাজার এলাকা পার হলে কে বা কারা তিনটি ঢিল মারে। এতে করে একটি ঢিল ট্রেনের জানালার গ্লাস ভেঙে ভেতরে ঢুকে যায়। তবে কেউ হতাহত হয়নি। একজন সাধারণ যাত্রী হিসেবে বলতে চাই, দেশের সম্পদ আমরা নিজেরাই নষ্ট করছি। এটা কাম্য নয়। এ বিষয়ে লালমনিরহাট রেলওয়ে বিভাগীয় কমার্শিয়াল ম্যানেজার (ডিসিএম) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। কে বা কারা এটা করেছে জানা যায়নি৷ এ ঘটনায় জড়িতদের খোঁজ করে আইনের আওতায় আনা হবে।
আ.লীগ নেতার ছেলের মরদেহ মিলল সেপটিক ট্যাংকে
গাইবান্ধা সদর উপজেলায় নিখোঁজের ৩ দিন পর এক যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার নাম পাভেল আকন্দ (৩৯)। মঙ্গলবার (১২ মার্চ) সকালে উপজেলার বল্লমঝাড় ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলামের পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে ওই যুবকের মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  নিহত পাভেল রঘুনাথপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি ও অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুস সামাদ আকন্দের ছোট ছেলে। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ওসি মাসুদ রানা। ওসি মাসুদ বলেন, গত ৯ মার্চ বাড়ি থেকে নিখোঁজ হন পাভেল আকন্দ। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পাওয়ায় গাইবান্ধা সদর থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন তার পরিবার। ওসি মাসুদ আরও বলেন, মোবাইলের সূত্র ধরে ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বল্লমঝাড় ইউনিয়নের একটি পরিত্যক্ত বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পাভেল আকন্দের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে, তাকে হত্যা করে মরদেহ সেপটিক ট্যাংকের মধ্যে ফেলে গেছে হত্যাকারীরা। ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
হিলিতে কাউন্সিলরকে মারধর, পৌরসভার নাগরিক সেবা বন্ধ
বিচার চলাকালীন সময়ে দিনাজপুরের হিলিতে ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলালকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর পৌরসভার সকল নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছে পৌরসভার সকল কাউন্সিলররা। সোমবার (১১ মার্চ) সকাল থেকে তারা নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন। কাউন্সিলরকে মারধরের ঘটনায় হাকিমপুর থানায় মামলা করেছেন ওই কাউন্সিলর। এ দিকে নাগরিক সেবা বন্ধ থাকার কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ নাগরিকরা।  হাকিমপুর (হিলি) পৌরসভাতে সেবা নিতে আসা মনিরা বেগম বলেন, আমি ঢাকাতে থাকি, আমার ভোটার আইডি কার্ডের জন্য কাগজে স্বাক্ষর প্রয়োজন। আমি পৌরসভাতে এসে জানতে পারলাম সকল কাউন্সিলররা কর্মবিরতিতে গেছেন। যার ফলে আমার প্রয়োজনীয় কাগজে স্বাক্ষর করাতে পারলাম না। এখন আমাকে অনেক বড় ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। আমরা সাধারণ নাগরিকরা চাই তাদের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের সমাধান করে সাধারণ নাগরিকদের দ্রুত সেবা প্রদান করা হোক।  হাকিমপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বলেন, আমি হিলি বাজারে পাবনা স্টোরের পাশে নিজস্ব অফিসে বসে বাদী-বিবাদীকে নিয়ে বিচার করছিলাম। এক পর্যায়ে বিচারের সমাধান হয়। কিন্তু বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন তা মেনে নেননি। পরে গালিগালাজ করে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে তিনি চলে যান। পরের দিন শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বিবাদী ছাবিনা আক্তারসহ দক্ষিণ বাসুদেবপুর এলাকার রাকেশ, মাসুদ (পচা) হাতে লাঠিসোঁটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ব্যক্তিগত অফিসে প্রবেশ করে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। আমি বিবাদীকে গালিগালাজ করতে নিষেধ করলে ১নং বিবাদী ছাবিনা ইয়াসমিন আমার শার্টের কলার ধরে আমাকে সেন্ডেল দিয়ে মারপিট করেন। এ সময় অন্যরা লাঠি দিয়ে আমাকে এলোপাতাড়ি মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। এমনকি আমার অফিসের ড্রয়ারে থাকা ৩ লাখ টাকা অসৎ উদ্দেশে নিয়ে যায়। এ ছাড়াও কিছু প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায়। পরে আমি হাকিমপুর থানাতে একটি অভিযোগ দিয়েছি।  হাকিমপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র মিনহাজুল ইসলাম বলেন, কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল চলতি মাসের ৭ মার্চ বাদী আবুল বাসার ও বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিনের মধ্যে মনোমালিন্য নিয়ে হিলি বাজারের তার নিজস্ব অফিসে বিচারে বসেন। এক সময় তাদের মধ্যে মীমাংসা করে দিলে বিবাদী সাবিনা ইয়াসমিন বিচার না মেনে কাউন্সিলরকে জুতা এবং দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারপিট করেন। যার কারণে সকল কাউন্সিলর নাগরিক সেবা বন্ধ রেখেছেন। এ বিষয়ে হাকিমপুর থানার ওসি দুলাল হোসেন বলেন, হাকিমপুর পৌরসভার কাউন্সিলর ইমরান হোসেন দুলাল বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে তদন্ত করছি। খুব দ্রুত আসামিদের গ্রেপ্তার করা হবে।