• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
আসাদুজ্জামান নূরসহ ৩৬০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
সৈয়দপুরে ৯০ আ.লীগ নেতাকর্মীর নামে মামলা  
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএনপির কার্যালয় ভাঙচুরের অভিযোগে সাবেক পৌর মেয়র রাফিয়া জাহান বেবিসহ আওয়ামী লীগের ৯০ নেতাকর্মীর নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।  রোববার (১ সেপ্টেম্বর) রাতে সৈয়দপুর থানার উপপরিদর্শক আকমল হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  এর আগে শনিবার পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শেখ আশিফুর রহমান বাবলু বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। আসামিরা হলেন- উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোখছেদুল মোমিন, সাধারণ সম্পাদক মহসিনুল হক মহসিন, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম বাবু, মহিলা লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র রাফিকা আকতার জাহান বেবী, ছাত্রলীগের সভাপতি মোমেন শাহরিয়ার টুটুল, সাধারণ সম্পাদক সজীব, পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি সিফাত সরকার, সাধারণ সম্পাদক শহিদুজ্জামান শুভ শেখ প্রমুখ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট দুপুরে আসামিরা বিভিন্ন জায়গা থেকে শহরে এসে জড়ো হন। পরে তারা সৈয়দপুর রাজনৈতিক জেলা বিএনপির কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। এসব ভাঙচুরের কারণে কার্যালয়ের বিভিন্ন জিনিসপত্র নষ্ট হয়ে প্রায় ৬ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। 
আরটিভিতে সংবাদ প্রচার / শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় সৈয়দপুর থানার ওসি ক্লোজড
সৈয়দপুরে বিআরটিসি বাসের ধাক্কায় যুবকের মৃত্যু  
গুলির যন্ত্রণায় হাসপাতালে ছটফট করছেন ৮ আন্দোলনকারী
গণহত্যার দায়ে শেখ হাসিনার বিচার হবে: মির্জা ফখরুল
পাখির সঙ্গে বিমানের ধাক্কা, অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা
নীলফামারীর সৈয়দপুর বিমানবন্দরে পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি বিমানের যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে।  রোববার (১১ আগস্ট) সকালে বিমানবন্দরে অবতরণের আগে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর বিমানবন্দরের ম্যানেজার বাহাউদ্দিন জাকারিয়া। জানা যায়, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে থেকে উড়ে এসে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে নামার সময় সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বিমানটির সামনের অংশ পাখির সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। তবে ত্রুটি সারিয়ে ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে বিমানটি ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এ বিষয়ে ম্যানেজার বাহাউদ্দিন জাকারিয়া বলেন, সকাল সাড়ে ৮টার দিকে বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি (বিজি ৪৪৯১/৪৯২) ৭১ জন যাত্রী নিয়ে সৈয়দপুর বিমানবন্দরে অবতরণের পথে বিমানবন্দর সীমানার বাইরে বার্ড হিটের কবলে পড়ে। এতে বিমানে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। ত্রুটি সারাতে গিয়ে সময় নেওয়া হয়। তবে ত্রুটি সারিয়ে ৪ ঘণ্টা পর বিমানটি ৭৩ জন যাত্রী নিয়ে দুপুর ১২টার দিকে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।
সৈয়দপুরে মোমবাতি জ্বালিয়ে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে মোমবাতি জ্বালিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। এতে শহরের প্রায় কয়েকশ’ শিক্ষার্থী ও অভিভাবক অংশ নেন।   শনিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যায় শিক্ষার্থীরা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধের সামনে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।  এর আগে, শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জায়গা থেকে শহরে জড়ো হতে থাকেন। পরে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কেন্দ্রীয় স্মৃতিসৌধে সমবেত হয়ে বিক্ষোভ করেন। এ সময় তাদেরকে বিভিন্ন স্লোগান দিতে শোনা যায়। একইসঙ্গে অবিলম্বে গ্রেপ্তারকৃতদের নিঃশর্ত মুক্তি, দমন-পীড়ন বন্ধ, কারফিউ তুলে নেওয়া, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী প্রত্যাহার, বিশ্ববিদ্যালয়সহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ হত্যার সঙ্গে জড়িত সবার পদত্যাগেরও দাবি জানান তারা। এ বিষয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম বলেন, বিক্ষোভে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা যাতে না ঘটে, সেজন্য পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের বিক্ষোভ শেষ করেছেন।
মাটি খুঁড়তেই মিলল ৭৮ তাজা গুলি
নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাড়ি নির্মাণের জন্য মাটি খননকালে ৭৮টি তাজা গুলি ও কয়েকটি ড্যামেজ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। রোববার (২৮ জুলাই) সকালে পৌর শহরের সাদ্দাম মোড় এলাকা থেকে এসব গুলি উদ্ধার করে পুলিশ। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সৈয়দপুর থানার ওসি শাহা আলম। স্থানীয়রা জানান, ওই এলাকার বাসিন্দা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান তার নিজ বাড়ি নির্মাণের জন্য শ্রমিক দিয়ে মাটি খোঁড়ার কাজ করাচ্ছিলেন। মাটি খোঁড়া চলাকালে বেশ কিছু গুলি দেখতে পান শ্রমিকরা। পরে ঘটনাটি থানায় জানানো হলে পুলিশ এসে ৭৮টি রাইফেলের তাজা গুলি উদ্ধার করে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব গুলি মুক্তিযুদ্ধের সময় লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এ বিষয়ে ওসি শাহা আলম বলেন, ‘৭৮টি তাজা ও কয়েকটি ড্যামেজ গুলি থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, এসব গুলি মুক্তিযুদ্ধের সময়ের। গুলিগুলো দীর্ঘদিন মাটির নিচে থাকায় মরিচা ধরেছে।’
কোটা আন্দোলনে নিহত সবুজের ভ্যানচালক বাবার স্বপ্ন অধরাই রইল
রাজধানীতে কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষে নিহত ছাত্রলীগ কর্মী সবুজ আলীর নিজ বাড়ি নীলফামারীতে চলছে শোকের মাতম। ছেলেকে হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন সবুজের মা সূর্য্য বানু। বাবা ভ্যানচালক আব্দুর রহিম বাদশা খবর পেয়ে ছেলের লাশের সাথে বাড়ি ফিরছেন। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) নীলফামারী সদর উপজেলার চওড়া বড়গাছা ইউনিয়নের আরাজি দলুয়া বাংলাবাজার গ্রামে যেয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।  জানা গেছে, আব্দুর রহিম বাদশা ও সূর্য্য বানুর তিন ছেলে এবং এক মেয়ের মধ্য সবুজ দ্বিতীয়। তাদের আদি নিবাস কুড়িগ্রাম জেলায়। সবুজ ঢাকা কলেজের পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের আবাসিক শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি ওই কলেজের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) শিক্ষার্থী এবং কলেজ শাখার ছাত্রলীগ কর্মী ছিলেন। সবুজের মা সূর্য বানু বিলাপ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘ও সবুজ বাবা তুই কোনঠে, মা কয়া একটা ডাক দিবে না বাবা। বাবা কোন দিন বাড়িত আসিবে দরজা খুলি থাকো। ওর জন্য তরকারি রান্না করি সারা রাত্রো বইয়া থাকো। ও আমার বাবা কই গেলিরে, আয় একটু বুকে জড়ি ধরো।’  তিনি আরও বলেন, ‘ছোট ছেলেকে দিয়া মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকাল ৪টায় সবুজকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। আবার সন্ধ্যা ৭টায় ফোন দিয়াও পাই নাই। ওর বন্ধুরা আসি কয়, সবুজকে ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।’  সবুজের মা বলেন, ‘মনে কত আশা ছিল, লেখাপড়া শিখি বড় হবে চাকরি করবে। সব আশা শেষ হয়া গেলো। আমার স্বামী গত বুধবার (৩ জুলাই) সবুজের লেখাপড়ার খরচ, ছোট ছেলের চিকিৎসার টাকা জোগাড় করতে মানিকগঞ্জে কাম (কাজ) করতে গেছিল।’  শোকে কাতর সবুজের মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন আর বলছেন, ‘এক সপ্তাহ ধরে ছেলে ও স্বামীর সঙ্গে কথা হয়নি। বাড়িতে একমুঠো চাউল নাই, ফোনে টেকা নাই, কথা বলতে পারিনি। বাড়িতে কিছু নাই বাবা, খালি হাত নিয়া পড়ি আছি। আমাদের আল্লাহ ছাড়া দেখার কেউ নাই।’ কথাগুলো বলতে বলতেই মূর্ছা যাচ্ছেন সূর্য বানু। সবুজের পরিবারের আহাজারিতে পুরো গ্রামের পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে। সবুজের বড় বোন বছিরন বেগম বলেন, ‘সবুজকে নিয়ে আমাদের পরিবারের অনেক আশা ছিল। ভাই লেখাপড়া শেষ করে চাকরি করে বুড়ো বাবা, মা ও ছোট ভাইকে দেখাশোনা করবে। সব আশা আল্লাহ কেড়ে নিয়া গেছে। আমাদের অভাবের সংসার অভাবই রইল। এক ভাইয়ের তো অসুখ দেখার কেউ রইল না।’ চাচা আব্দুল হাকিম বলেন, ‘আমার ভাইয়ের জীবনটা কষ্টের মাঝেই চলছে। ছেলেকে নিয়ে অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্ত সেই স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে গেলো। অভাব তাদের নিত্যসঙ্গী ছিল। অর্থের অভাবে সবুজের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ চালাতে অনেকসময় বিভিন্ন জেলায় কৃষিশ্রমিকের কাজের জন্য যেতে হয়। ছেলের এত বড় ঘটনা সে রইলো মানিকগঞ্জে। ছেলের জন্য ভ্যান চালিয়েও টাকার জোগাড় করে লেখাপড়া খরচ জোগাতেন তিনি। সেই ছেলে আজ লাশ হয়ে বাড়ি ফিরছে।’ চওড়া বড়গাছা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আবুল খায়ের বিটু জানান, ‘বুধবার (১৭ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টায় ঢাবি চত্বরে জানাজা শেষে তারা নীলফামারীর উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। আজ সকাল ১০টার দিকে তার গ্রামের বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়েছে। স্থানীয় সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান নূর জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।’
রাসেলস ভাইপার ভেবে ২৯ বাচ্চাসহ পাইন্না সাপ হত্যা
নীলফামারীর জলঢাকায় রাসেলস ভাইপার ভেবে পাইন্না সাপকে হত্যা করেছেন স্থানীয়রা। এ সময় তারা সাপটির ২৯টি বাচ্চাও মেরে ফেলেন। মেরে ফেলা সাপটির নাম সাইবোল্ডের পাইন্না। সোমবার জলঢাকার কৈমারী ইউনিয়নের আলসিয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। মেরে ফেলা সাপটির নাম সাইবোল্ডের পাইন্না। মঙ্গলবার (২৫ জুন) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রংপুর বন বিভাগের কর্মকর্তা বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে কৈমারী ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ড সদস্য হাফিজুল ইসলাম বলেন, সোমবার দুপুরে কয়েকজন যুবক তিস্তা নদীতে গোসল করতে গিয়ে একটি সাপ দেখতে পান। পরে তারা আশপাশের লোকজনকে খবর দিলে এলাকাবাসী এসে বিষধর রাসেলস ভাইপার ভেবে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন। এ সময় সাপটির পেট থেকে ২৯টি বাচ্চা বের হলে বাচ্চাগুলোও মেরে ফেলেন তারা। এ বিষয়ে বন্যপ্রাণী ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ কর্মকর্তা স্মৃতি সিংহ রায় বলেন, জলঢাকায় স্থানীয়রা যে বাচ্চাসহ যে সাপটিকে মেরে ফেলেছেন সেটি রাসেলস ভাইপার নয়, এটি সাইবোল্ডের পাইন্না সাপ। এটি মৃদু বিষধর যা মানুষের জন্য ক্ষতিকর নয়। মেরে ফেলা সাপটির সঙ্গে রাসেলস ভাইপারের কোনো সাদৃশ্য নেই। এই এলাকায় এখনো রাসেলস ভাইপারের ট্রেস পাওয়া যায়নি।
নীলফামারীতে জমি নিয়ে বিরোধ, প্রাণ গেল মা-ছেলের
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে মা ও ছেলে নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (৬ জুন) ও শুক্রবার (৭ জুন) রাতে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তারা। নিহতরা হলেন, কিশোরগঞ্জ উপজেলার মুসা হিন্দুপাড়া গ্রামের মৃত রজনী কান্ত রায়ের স্ত্রী সুফলা রানী ও তাদের ছোট ছেলে প্রাণকৃষ্ণ রায়। নিহতের স্বজনরা জানান, প্রতিবেশী সুরজিত চন্দ্র রায়ের সঙ্গে জমি নিয়ে অনেক দিন ধরেই বিরোধ চলে আসছিল সুফলা রানীদের। এর মধ্যে বৃহস্পতিবার বিকেলে লোকজন নিয়ে ট্রাক্টর দিয়ে বিরোধপূর্ণ জমিতে চাষ করতে আসেন প্রতিবেশী সুরজিত চন্দ্র। এ সময় তা দেখতে পেয়ে বাধা দিতে যান সুফলার ছেলে প্রাণকৃষ্ণ। এতে দু’পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। সংঘর্ষে সুফলা রানী ও তার ছেলে প্রাণকৃষ্ণসহ দুজন গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাতে সুফলা রানী ও শুক্রবার রাত ১১টার দিকে প্রাণকৃষ্ণ চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।  এ ঘটনায় সুফলা রানীর বড় ছেলে সুবাস চন্দ্র রায় বৃহস্পতিবার কিশোরগঞ্জ থানায় ২০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ থানার ওসি পলাশ চন্দ্র মন্ডল। তিনি বলেন, এ ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।