• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নীলফামারীতে মাটি খুঁড়তেই মিলল রাইফেল-মাইন-মর্টারশেল
অটোভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে নারীর মৃত্যু
নীলফামারীর জলঢাকায় ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানের চাকায় ওড়না পেঁচিয়ে রাবেয়া বেগম (২৫) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) শিমুলবাড়ী ইউনিয়নের দক্ষিণ বেরুবন্ধ ময়দানের পার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। মৃত রাবেয়া বেগম তেলিপাড়া গ্রামের মো. সবুজ ইসলামের স্ত্রী। জানা যায়, মীরগঞ্জ বাজার থেকে ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানে করে বাড়ি ফেরার পথে দক্ষিণ বেরুবন্ধ ময়দানের পার এলাকায় পৌঁছালে অসাবধানতাবশত চাকায় ওড়না জড়িয়ে রাস্তায় পড়ে গিয়ে গুরুতর আহত হয় রাবেয়া। পরে নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জলঢাকা থানার ওসি মো. মোক্তারুল আলম। তিনি বলেন, মরদেহ নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে রয়েছে। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নীলফামারীতে রেললাইনের ক্লিপ খোলার সময় আটক ২
বাবার দাফনে ছেলের বাধা
জয় বাংলা না বলায় অধ্যক্ষের কক্ষে ছাত্রলীগের তালা 
নীলফামারীতে ট্রাক্টর-অটোরিকশার সংঘর্ষ, নিহত ২
তুচ্ছ ঘটনায় সৈয়দপুরে ৩ ঘণ্টা সড়ক অবরোধ, চরম ভোগান্তি
নিজেরা অপরাধ করে উল্টো ট্রাফিক পুলিশের ওপর দোষ চাপিয়ে জনগণকে জিম্মি বানিয়ে চরম ভোগান্তিতে ফেলেছেন মোটর শ্রমিকরা। মিথ্যে অপবাদ ছড়িয়ে মহাসড়ক অবরোধ করে ৩ ঘণ্টা সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়ায় দুঃসহ দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে যাত্রীদের। পরে থানা পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ হয়।  এমন ঘটনা ঘটেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। শুক্রবার (১৫ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টা থেকে পৌনে ৩টা পর্যন্ত সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে আড়াআড়িভাবে সড়কে বাস রেখে এ অবরোধ করে নীলফামারী জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের শ্রমিকরা। এতে সৈয়দপুর থেকে রংপুর, দিনাজপুর মহাসড়কসহ পার্বতীপুর, নীলফামারী, ডোমার, ডিমলা পথে বাস, ট্রাক, কার, মাইক্রো, মোটর সাইকেল, রিকশা, অটোসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।  জানা যায়, মেহেদী এন্টারপ্রাইজ নামের একটি মিনিবাস রংপুর থেকে সৈয়দপুরে আসার পথে তারাগঞ্জ হাইওয়ে থানার সামনে পুলিশ থামার সংকেত দেয়। কিন্তু চালক বুলবুল সেখানে গাড়ি না থামিয়ে দ্রুত এগিয়ে আসে। এতে পুলিশ গাড়িটি আটকাতে মোটর সাইকেল নিয়ে পিছু করে। তা টের পেয়ে কিছু দূর এসে গাড়ির চালক বাস থামিয়ে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ এসে কাগজপত্র চাইলে সুপার ভাইজার ও হেলপার তা দেখাতে ব্যর্থ হলে তাদেরসহ গাড়িটি থানায় নিয়ে যায় এবং ড্রাইভারকে কাগজসহ এসে গাড়ি নিয়ে যাওয়ার জন্য বলে।  অথচ চালক বুলবুল পালিয়ে সৈয়দপুরে এসে জানায় হাইওয়ে পুলিশ অকারণে তার গাড়ি আটক করেছে এবং সুপার ভাইজার ও হেলপারকে মারধর করেছে। এতে উপস্থিত সকল মোটর শ্রমিকের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তারা তাৎক্ষণিক বাস টার্মিনালের তিন দিকের সড়কে মিনিবাস এলোমেলো ভাবে রেখে অবরোধের সৃষ্টি করে। ফলে মুহূর্তে চারপাশে প্রায় ২ শতাধিক যান আটকে পড়ে।  এতে যাত্রীরা বাধ্য হয়ে হেটে টার্মিনাল এলাকা পার হয়। কাছের যাত্রীরা অপরপ্রান্তে এসে অটোরিকশা ও সিএনজি নিয়ে গন্তব্যে রওনা দেয়। কিন্তু দূরের যাত্রীরা চরম ভোগান্তির শিকার হন। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে যেতে বের হওয়া প্রার্থীরা। তাছাড়া স্থানীয় লোকজনও চলাচলে সমস্যায় পড়েন। এমনকি অ্যাম্বুলেন্সও আটকে পড়ে অবর্ণনীয় দুর্দশায় নিপতিত হয় রোগীসহ স্বজনরা।
সৈয়দপুরের পৌর মেয়রের আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল
নীলফামারীর সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিয়া জাহান বেবির কয়েকটি আপত্তিকর ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এতে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা বিব্রত।  তবে এর আগেও আরও আপত্তিকর ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে এমন পরিস্থিতিতে তিনি ভিডিওগুলো সুপার এডিট দাবি করেছিলেন৷  বুধবার (১৩ মার্চ) দুপুরে ভিডিওগুলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে স্থানীয়রা নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন৷  সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পরা ভিডিও ক্লিপ ও ছবিগুলোতে দেখা যায়, মেয়র রাফিকা জাহান ভিডিও কলে অশ্লীল অঙ্গভঙ্গি প্রকাশ করছেন। তিনি বিভিন্ন গানের সঙ্গে তাল মিলিয়ে অশ্লীল ভঙ্গিতে নাচছেন। তার পাশে আরও একজনকে নাচতে দেখা যায়। পরে আরেক ভিডিওতে দেখা যায়, ভিডিও কলে অপরপ্রান্তের কারও সঙ্গে বিবস্ত্র হয়ে কথা বলছেন তিনি।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর পৌর মেয়র রাফিয়া জাহান বেবির মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যারা এ বেয়াদবি করছে সেটাও নেত্রী দেখবেন এবং যে সাংবাদিকরা করছেন তাদেরও বিচার হবে।  প্রসঙ্গত, তার স্বামী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক মেয়র আখতার হোসেন বাদলের মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি মনোনয়ন পেয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন রাফিকা জাহান বেবি। এরপর পঞ্চম ধাপের পৌর নির্বাচনে ২০২১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের এ নতুন মুখ প্রথমবার নির্বাচনে এসেই গৃহিনী থেকে মেয়র হয়েছেন৷ 
অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা, ফিরিয়ে দিল পুলিশ
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় এক শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক গৃহবধূ। পরে যাচাই বাছাই শেষে শিশুটিকে উদ্ধার করে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেয় পুলিশ।   সোমবার (১১ মার্চ) শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন সৈয়দপুর থানার ওসি শাহ আলম। রোববার শিশুটিকে মায়ের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।  শিশুটির মা রেহেনা বেগম শহরের কামারপুকুর এলাকার ঈদগাহ ময়দান পাড়া গ্রামের বাসিন্দা।   পুলিশের বরাতে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পান সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন পুলিশ। তারপর খোঁজখবর নিয়ে প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুকে হস্তান্তর করা হয়।  শিশুর মা রেহেনা বেগম বলেন, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার বাবা আমার আর তার কোনো খোঁজখবর নেননি। অভাবের তাড়নায় শিশুটিকে আমি রাস্তায় ফেলে যাই। নিজের সন্তানকে ফেলে দেওয়ায় আমি অনুতপ্ত হই৷ পরে পুলিশকে জানালে তারা আমার শিশুকে আজকে ফেরত দেয়।  শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম জানান, আমি শিশুটিকে কুড়িয়ে পেয়েছিলাম। শিশুটিকে অসুস্থ থাকায় তাকে আমি চিকিৎসা করিয়েছি। শিশুটি ভালো থাকুক তার মায়ের কাছে।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম বলেন, একজন মা তার শিশুকে রাস্তায় ফেলে যায় এমন একটি খবর শুনতে পাই। পরে সেই শিশুকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে সেলিনা বেগম নামে একজন থানায় জিডি করেন। আমরা তদন্ত করে তার প্রকৃত মায়ের কাছে শিশুটিকে ফিরিয়ে দেই।
অভাবের তাড়নায় শিশুকে রাস্তায় ফেলে গেলেন মা 
নীলফামারীর সৈয়দপুরে অভাবের তাড়নায় নিজের শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় রেহেনা নামে এক মা।  শনিবার (৯ মার্চ) রাতে সৈয়দপুর থানায় শিশুটিকে নিয়ে আসেন কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা বেগম। এর আগে বৃহস্পতিবার শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় তিনি। কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে এ শিশুটিকে কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। তবে শিশুটিকে নিজের সন্তান বলে দাবি করছেন শহরের কামারপুকুর ঈদগাহ এলাকার রেহেনা বেগম। স্বামীর অত্যাচারে আর অভাবে শিশুকে হাসপাতালের পাশের গলির রাস্তায় ফেলে যায় তিনি।  জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার বিকালে কাজ শেষ করে বাসায় ফেরার পথে শিশুটিকে হাসপাতালের গলির রাস্তায় কুড়িয়ে পায় সেলিনা বেগম। এরপর শিশুটি অসুস্থ থাকায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেন তিনি। এরপর মানুষের মাঝে শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে বাচ্চার মা দাবি করে শিশুকে ফেরত নিতে আসেন রেহেনা বেগম। এরপর শিশুটিকে কুড়িয়ে পাওয়ার বিষয়ে থানায় জিডি করেন ওই গৃহবধূ। আজকে তাদের দুজনকে শিশুটিকে নিয়ে থানায় ডাকেন দায়িত্বরত কর্মকর্তা৷  বাচ্চার মা দাবি করা রেহেনা বেগম জানায়, আমার বাচ্চাটি হওয়ার পর তার আর আমার কোন খোজ খবর নেয়না আমার স্বামী। আমার বাচ্চা হওয়ার পর কয়েকদিন না খেয়ে ছিলাম। তারা বলে এটা অন্যের ছেলে এজন্য তারা আমাকে খাবার দেয় না। আমি অভাবের তাড়নায় শিশুকে ফেলে দিয়েছি। এখন আমি আমার শিশুকে ফেরত চাই৷  বাচ্চা কুড়িয়ে পাওয়া সেলিনা জানায়, আমি কাজ শেষ করে বাসায় যাচ্ছিলাম এ সময় শিশুটিকে দেখতে পাই৷ তারপর শিশুটিকে কুড়িয়ে নিয়ে হাসপাতাল যাই। বাচ্চাটি খুব অসুস্থ ছিলো তারপর তার চিকিৎসা করার পর সে কিছুটা সুস্থ হয়েছে। এখন যাকে ফেলে দিয়েছে এটা তার বাচ্চা আমি বুঝব কিভাবে। আমি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পেয়েছি তাকে আমি রাখতে চাই।  স্থানীয় মহিলা কাউন্সিলার রুবিনা বেগম জানায়, আমি শুনেছি উনি বাচ্চাটিকে কুড়িয়ে পায়। তারপর হাসপাতালে গিয়ে বাচ্চাটিকে কাপড় কিনে দেয়, তারপর থানায় এসে জিডি করি। আজকে থানায় ডেকেছে পুলিশ এখানে এসে সবাই মিলে সিদ্ধান্ত করবে শিশুটি কার। আমি চাই প্রকৃত মালিককে শিশুকে ফেরত দেওয়া হোক।  এ বিষয়ে সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ বলেন, থানায় সবাইকে ডাকা হয়েছে, তদন্ত করে শিশুটিকে তার প্রকৃত মালিক বা মায়ের হাতে তুলে দিব।
ঘুমন্ত ছোট ভাইকে হত্যা করলো বড় ভাই
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে ঘুমন্ত ছোট ভাইকে জবাই করে হত্যা করেছে বড় ভাই মেহেদী হাসান। মেহেদী হাসান মানসিক রোগী ছিলেন। মঙ্গলবার (৫ মার্চ) সকালে কিশোরগঞ্জ উপজেলার কুঠিপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ছোট ভাই আওকত হোসেন ওই এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য খগেন্দ্রনাথ রায়। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, বছরখানেক ধরে মানসিক রোগে ভুগছিলেন মেহেদী হাসান। তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন। মানসিক সমস্যার কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতেন। মায়ের অনুরোধে ছোট ভাই আওকত হোসেন জুয়েল বড় ভাইয়ের সঙ্গে ঘুমাতেন। মঙ্গলবার ভোরে ঘুমন্ত অবস্থায় ছোট ভাইকে জবাই করে এবং মাথায় কুপিয়ে হত্যা করে নিহতের বুকের ওপর বসে থাকেন বড় ভাই। পরে বিষ পান করে নিজে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন মেহেদী হাসান। সকালে রক্তাক্ত অবস্থায় ছোট ভাইয়ের নিথর দেহ দেখতে পান পরিবারের অন্য সদস্যরা। তাদের চিৎকারে ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা।  এ সময় স্থানীয় ইউপি সদস্য বিষয়টি কিশোরগঞ্জ থানা পুলিশকে অবগত করেন। পরে পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে নিয়ে যান।  এ সময় অভিযুক্ত বড় ভাইকে আটক করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়।
নীলফামারীতে সড়ক দুর্ঘটনায় স্কুলশিক্ষকের মৃত্যু
নীলফামারীর ডিমলায় সড়ক দুর্ঘটনায় জামিনুর রহমান (৪০) নামের এক স্কুলশিক্ষক মারা গেছেন। সোমবার (৪ মার্চ) ইসলামি ডিগ্রি কলেজের পূর্ব দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এক পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। নিহত জামিনুর রহমান ওই এলাকার বাসিন্দা ও স্থানীয় পচারহাট উচ্চ বিদ্যালের শিক্ষক। আহত পুলিশ সদস্য পচারহাট এলাকার বাসিন্দা মিস্টার আলী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ওই শিক্ষক ও পুলিশ সদস্য মামলার হাজিরার জন্য মোটরসাইকেলযোগে লালমনিরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কায় দুজনে মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়েন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জামিনুর রহমানকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত মিস্টার আলীকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ডিমলা থানার ওসি দেবাশীষ রায়। তিনি জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় পুলিশ সদস্যের বাম পা ভেঙে গেছে ও একজনের মৃত্যু হয়েছে।