• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বাগেরহাটে ট্রাক-ভ্যান মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ৩
মুজিবনগরে ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থক‌দের সংঘ‌র্ষ, আহত ১৩ 
মুজিবনগরে দুই চেয়ারম‌্যান প্রার্থীর সমর্থক‌দের সংঘ‌র্ষে ১৩ জন আহত হ‌য়ে‌ছেন।  শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মু‌জিবনগর উপ‌জেলার মহাজনপুর গ্রামে এ ঘটে।  আহতদের মধ্যে তোতার সমর্থক ইসলাম শেখের (৬০) অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  আহতদের মধ্যে অন্যরা হলেন তোতা গ্রুপের রাজন আলী (২৬), শাহাজাহন আলী (২৫), আব্দুস সাত্তার (৫৫) আনারুল ইসলাম (৫০) ও মিলু গ্রুপের রাসেল শেখ (২৩), শাহেদ আলী (২৫), শাহাবুদ্দীন (৫০), উজ্জ্বল (৩২), রমজান আলী (২১), মেহেরাব হোসেন (২২), সৌরভ মেম্বার (৪৭) ও হাবিবুর রহমান (২২)। আহতদের মুজিবনগর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি থমথমে রয়েছে।  স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে মুজিবনগরের মহাজনপুর বাজারে মুজিবনগর উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী উপ‌জেলা আওয়ামী লী‌গের সভাপ‌তি রফিকুল ইসলাম তোতা ও সা‌বেক সাধারণ সম্পাদক আমাম হোসেন মিলুর সমর্থক‌দের ম‌ধ্যে উত্তেজনা ছ‌ড়ি‌য়ে প‌ড়ে। দুই প্রার্থীর নির্বাচনী অফিস পাশাপাশি হওয়ায় প্রচারণাকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনা শুরু হয়।  স্থানীয়রা আরও জানান, এক পর্যা‌য়ে উভয়পক্ষের মধ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপসহ ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয় এবং আমাম হোসেন মিলু গ্রুপের লোকজন রফিকুল ইসলাম তোতার কাপ পিরিচের অফিসের চেয়ার ভাঙচুর করে। উভয়প‌ক্ষের ম‌ধ্যে সংঘ‌র্ষে আহত হয় ১৩ জন। খবর পে‌য়ে মুজিবনগর থানা ও কোমরপুর পুলিশ ক্যাম্পের সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) উজ্জ্বল কুমার দত্ত। তিনি জানান, প‌রি‌স্থি‌তি নিয়‌ন্ত্রেণে যা যা করণীয় তাই করা হ‌চ্ছে। 
নড়াইলে পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
বাগেরহাটে কৃষককে পিটিয়ে হত্যা, আটক ৪
ষষ্ঠ ও সপ্তম স্ত্রীর কাড়াকাড়িতে পালিয়ে বাঁচলেন তরিকুল
সাতক্ষীরায় সড়কে ঝরল পিতা-পুত্রের প্রাণ
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (প্রথম আদালত) মুহাম্মাদ আকরাম হোসেন এ আদেশ দেন। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার পূর্ব সোনাপুর গ্রামের ফজল আহম্মেদের ছেলে সোহেল রানা (৩৯), যশোর সদর উপজেলার পূর্বচানপাড়া গ্রামের মোকলেস মণ্ডলের ছেলে রবিউল ইসলাম (৫০), দাইতলা মোড় এলাকার বাবর আলী মোল্যার ছেলে সবুজ হোসেন (৩০) ও একই এলাকার জুলফিকার আলীর ছেলে তারেক আজিজ (৩৫)। রায় ঘোষণার সময় দণ্ডপ্রাপ্ত রবিউল ইসলাম ও সবুজ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুই দণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল রানা ও তারেক আজিজ অনুপস্থিত ছিলেন। নড়াইল অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) সরদার মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৪ সালের ১৮ এপ্রিল ভোর সোয়া ৫টার দিকে নড়াইল-যশোর সড়কের সদর উপজেলার সীতারামপুর ব্রিজের পূর্ব পাশে একটি পিকআপ তল্লাশি করে সোহেল, রবিউল ও সবুজকে জিজ্ঞাসাবাদের পর স্বীকারোক্তি মোতাবেক গাড়ির ইঞ্জিনকভারের মধ্য থেকে ২২৩ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় নড়াইল সদর থানায় মাদক দ্রব্য আইনে মামলা দায়ের হয়। পরবর্তীতে ওই তিনজন ও তারেক আজিজসহ মোট চারজনকে অভিযুক্ত করে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে। এ মামলায় ১৪ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ শেষে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক এ আদেশ দেন।
মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ, ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ 
মেহেরপুরে সকাল থেকেই তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে জনজীবন। কয়েকটি জেলার মতো মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপপ্রবাহ। রোদের তীব্রতায় খেত-খামারের কাজে নেমে এসেছে স্থবিরতা। প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পেয়ে ফসল ঘরে তোলার কাজ হচ্ছে ব্যাহত।  মেহেরপুর জেলাজুড়ে ভুট্টা ও তামাক ঘরে তোলার কাজ চলছে পুরোদমে। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ এবং রোদের মধ্যে কাজ করতে চাইছেন না শ্রমিকরা। কাজের জন্য মিলছে না প্রয়োজনীয় সংখ্যক শ্রমিক। দু-একজন শ্রমিক পাওয়া গেলেও তারা দিনের পুরো সময় কাজ করতে নারাজ।  এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা রহমত আলী, আবদুর রজ্জাক ও জাবেদ মজুমদার বলেন, রোদ ও গরমে কাজ করতে গিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন অনেক শ্রমিক ও চাষী। কাজের ফাঁকে প্রয়োজনীয় পানি পান করেও মিলছে না স্বস্তি।  তারা আরও বলেন, বিশ্রামের ফাঁকে ফাঁকে কাজ করার চেষ্টা হলেও তাতে মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে ফসল ঘরে তোলার কাজ। 
সকালে ইসতিসকার নামাজ আদায়, রাতেই নামল স্বস্তির বৃষ্টি
টানা বেশ কিছুদিনের তাপদাহের পর গভীর রাতে চুয়াডাঙ্গায় স্বস্তির বৃষ্টি নেমেছে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) রাত ১টা ১০ মিনিট থেকে ১টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত জেলায় ১ দশমিক ৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আবহাওয়া অফিসের চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান।  তিনি বলেন, কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই মধ্যরাতে ২৫ মিনিট ধরে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মূলত ভারতে মেদিনিপুরে বৃষ্টি হওয়ার কথা ছিল। মেঘটি জেলার ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় বৃষ্টি হয়ে ঝড়েছে এবং ছোটখাটো কালবৈশাখী ঝড়ও হয়েছে। অন্য কোনো জেলায় বৃষ্টি হয়নি। তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে। এর আগে মঙ্গলবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় ৩৯ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। তীব্র তাপদাহ থেকে রক্ষা পেতে এদিন সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা ওলামা কল্যাণ পরিষদের উদ্যোগে শহরের টাউন ফুটবল মাঠে ইসতিসকার নামাজ আদায় শেষে বৃষ্টির জন্য মহান আল্লাহর নিকট বিশেষ মোনাজাত করা হয়।  মুসল্লিরা চোখের পানি ফেলে মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে বৃষ্টি কামনা করেন। এরপর রাতে কোনো পূর্বাভাস ছাড়াই বৃষ্টি পড়তে দেখা যায়।
সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই
নড়াইলে সুলতান মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) শহরের কুড়ির ডোব মাঠে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা।  বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী এ ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৬টি ষাঁড় অংশ নেয়। লড়াইয়ে অংশ নেওয়া প্রতিটি ষাঁড়ই ছিল সুঠাম দেহের ও বাহারি রঙের। লড়াই দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নানা বয়সী মানুষ। এ সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাঠটি।  যশোরের অভয়নগর থেকে আসা সূর্য কুমার বলেন, অনেক কষ্ট করে প্রতিবছর সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসি। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে এসেছি। সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ষাঁড়ের লড়াই আগে অনেক জায়গায় হতো, এখন হয় না। এই সুলতান মেলায় প্রতিবছর হয়। তাই অনেক মানুষ এসেছে। ষাঁড়ের লড়াই দেখছি, খুব ভালো লাগছে।  এ দিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া উৎসবের নবজাগরণের উদ্দেশ্যে সুলতান মেলায় এসব খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।  সুলতান মেলার ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মন্নু বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া যে ক্রীড়া উৎসব রয়েছে সেগুলোর নবজাগরণ সৃষ্টি করা। নতুন প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। তারা মাদক থেকে সরে এসে খেলাধুলা, লেখাপড়ার ভেতরে আসুক এবং নিজেরা আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি হোক সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমাদের এই প্রচেষ্টা। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল নড়াইলের সুলতান মঞ্চে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলা মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। মেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কুড়ির ডোব মাঠে ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব শিরোনামে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আগামী ২৯ এপ্রিল এ মেলা শেষ হবে।
নড়াইলে চলছে গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব
বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার অংক করতে গিয়ে কল্পনায় এমন দৃশ্য হয়তো অনেকেই এঁকেছে। কিন্তু বাস্তবে তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠার মতো এমন অসাধ্য কাজ কী করেছেন কখনো? নড়াইলে এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তীতে দেখা গেলো অসম্ভব সে চ্যালেঞ্জ নিতে দুর্দান্ত শিশুদের হার না মানা প্রয়াস।  আর তা উপভোগ করতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। অভূতপূর্ব এ দৃশ্য নিজ চোখে অবলোকনের সুযোগ হারাতে চান না কেউই। শুধু কলা গাছ বেয়ে ওঠাই নয়। এখানে আয়োজন করা হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা। যেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে চোখ বেছে প্রতিযোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাতে একটি লাঠি দিয়ে। আর সে লাঠি দিয়ে মাটিতে রাখা হাড়ি ভাঙার চেষ্টা করে প্রতিযোগী। যদিও এই কাজটিও খুব একটা সহজ নয়। তবে সফল যিনি হচ্ছেন, তার সঙ্গে উল্লাসে মাতছেন দর্শকরাও। দারুণ এসব খেলা উপভোগ করতে আসা গ্রামবাসী মনে করে নিয়মিত এসব আয়োজন পারে যুবকদের মাদক-নেশা থেকে দূরে রাখতে।  খেলা দেখতে আসা একজন জানান, আমার খুব ভালো লাগছে। এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে ছেলেমেয়েরা কেউই মাদকে আসক্ত হবে না। নতুন প্রজন্ম আগের দিনের খেলার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।  
মেহেরপুরে গরমে বেড়েছে শরবতের চাহিদা, যত্রতত্র দোকান
দেশের যে কয়টি জেলার ওপর দিয়ে তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে তার মধ্যে মেহেরপুর জেলা অন্যতম। তাপপ্রবাহে এ জেলার জনজীবন হয়ে পড়েছে বিপর্যস্ত। গরমে তৃষ্ণা নিবারণে ঠান্ডা পানি আর শরবতের দিকে ঝুঁকছে মানুষ। এতে গেল কয়েক দিনে জেলায় দেখা যাচ্ছে যততত্রভাবে শরবতের দোকান। মেহেরপুর জেলা ও উপজেলা শহরগুলোর সঙ্গে রাস্তাঘাটে যেন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে শরবতের দোকান। ঠান্ডা পানি আর লেবু শরবতের পাশাপাশি কদর বেড়েছে আখের রসের। এসব শরবতের দোকানে ভিড় বাড়ছে পথচারীদের। গরমের মধ্যে ঠান্ডা পানির শরবত পানে অসুস্থতার ঝুঁকি বাড়ে। এই আশঙ্কা নিয়েও তৃষ্ণা মেটাতে মানুষ ছুটছেন শরবতের দোকানে। তাই শরবতের চাহিদা আর কদর বেড়ে যাওয়ায় প্রতিদিনই যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন দোকান। গরমে ঠান্ডা পানি ও শরবতে স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধির আশঙ্কার কথা উল্লেখ করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল আল মারুফ বলেন, প্রচণ্ড গরম থেকে এসে ঠান্ডা পানি, ফ্রিজের পানি, ঠান্ডা শরবত পান করলে সর্দি-জ্বর, গলাব্যথা ও নিউমোনিয়ার ঝুঁকি বাড়বে। রোদ থেকে ছায়ায় আসার পর শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক হলে পানি পান করতে হবে।  তবে ঠান্ডা পানি নয়, টিউবওয়েলের বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দেন এই চিকিৎসক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের পাশে সদর উপজেলার আলমপুর গ্রামের মোড়ে শরবতের দোকান দিয়েছেন অনেকে। তীব্র গরম আর প্রচণ্ড রোদের কবলে রাস্তাঘাট অনেকটাই ফাঁকা। কিন্তু শারীরিক ঝুঁকি জেনেও নিম্ন আয়ের অনেক মানুষ ভারী কাজ করছেন।