• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
‘গুলিসহ ভাইকে কবর দেওয়া হয়েছে’
‘সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে’
দেশের শৃঙ্খলা ফেরাতে সশস্ত্র বাহিনী বেশ সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান।  বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) মোংলা সমুদ্র বন্দরে পরিদর্শন ও সার্বিক পরিস্থিতি দেখে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন তিনি।  নৌবাহিনী প্রধান বলেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারাকে অব্যাহত রাখতে যে কোনো নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড রুখতে সশস্ত্র বাহিনী প্রস্তত রয়েছে। সরকারের নির্দেশনায় দেশের শৃঙ্খলা ফেরাতে সশস্ত্র বাহিনী নিজেদের সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছে।  নৌবাহিনী প্রধান আরও বলেন, সকলের গর্ব পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের কর্মচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। দেশের আমদানি-রপ্তানিসহ বাণিজ্যিক কার্যক্রমকে গতিশীল রাখতে মোংলা বন্দর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। এই বন্দরকে ঘিরে গড়ে ওঠা শিল্প এলাকা, ইপিজেডসহ বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নৌবাহিনী কাজ করে যাচ্ছে।   এ সময় সাংবাদিকদের ভূয়সী প্রশংসা করে তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য গণমাধ্যম সাহসী ও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।   দেশের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে নিরলসভাবে কাজ করে যাওয়া সশস্ত্র বাহিনীর কর্মকাণ্ড তুলে ধরতে সাংবাদিকদের প্রতি আহ্বান জানান নৌবাহিনী প্রধান।   এ সময় উপস্থিত ছিলেন, মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার অ্যাডমিরাল শাহীন রহমান ও খুলনা নৌ অঞ্চলের প্রধান রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেকসহ পদস্থ কর্মকর্তারা।
নড়াইলে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীর নামে নাশকতার মামলা, গ্রেপ্তার ৪
দুই মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
‘লাশ কিমা কিমা করে ফেলামু’, আনারকন্যা ডরিনকে হুমকি
ঝিনাইদহে কোটা আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা, আহত ১০
খামারে ২১ মহিষের মৃত্যুতে তদন্ত শুরু
দেশের একমাত্র মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের ২১টি বাচ্চা মহিষের মৃত্যুর ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্ত কার্যক্রম শুরু হয়েছে।  সোমবার (১৫ জুলাই) বাগেরহাটের ফকিরহাটে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি খামার পরিদর্শন ও খামারের কর্মচারীদের কাছ থেকে মহিষের মৃত্যু সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য নেয়। এর আগে গত বছরের ডিসেম্বর ও চলতি বছরের জানুয়ারি ও ফেব্রুয়ারি মাসে ২১টি বাচ্চা মহিষ মারা যায়।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাগেরহাট মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারের সিনিয়র সহকারী পরিচালক ডা. আহসান উদ্দিন প্রামাণিক। তিনি বলেন, ভারত থেকে দীর্ঘ সড়ক পথে খামারে মহিষগুলো পৌঁছাতে সাত দিন সময় লেগেছে। এ কারণে কিছু মহিষের বাচ্চা দুর্বল হয়ে পড়ে ও শীতের প্রকোপে মহিষের বাচ্চাগুলো মারা যায়। এখানে কোনো অবহেলা হয়নি। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় পরিচালক ও তদন্ত কমিটির প্রধান ডা. নুরুল্লাহ মো. আহসান বলেন, খামারের ভেতরে মাটিচাপা দেওয়া মৃত মহিষের বেশ কয়েকটি দেহাবশেষ পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। খামারে কর্মচারীদের কাছ থেকে মহিষের মৃত্যু সম্পর্কে লিখিত বক্তব্য নেওয়া হয়। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে সকল তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করে ৭ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে বাগেরহাটের ফকিরহাটে মহিষ প্রজনন ও উন্নয়ন খামারে ৪৭০টি মহিষ রয়েছে।
রেলস্টেশন চালুর দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ
যশোরের ঐতিহ্যবাহী গদখালী রেলস্টেশনটি পুনরায় চালুসহ ছয় দফা দাবিতে ট্রেন থামিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে এলাকাবাসী। রোববার (১৪ জুলাই) গদখালী রেলস্টেশন চত্বরে যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতির আয়োজনে এ বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরও গদখালী রেল স্টেশন চালু ছিল। এরপর কিছুদিন যশোর-বেনাপোল ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে। পরে আবার এই রেললাইন চালু হয়। কিন্তু গদখালী রেল স্টেশনটি চালু হয়নি। তারা আরও বলেন, এ অঞ্চলের মানুষ গদখালী রেলস্টেশন থেকে বনগাঁও হয়ে কলকাতায় বাজার করতে যেত। এখন ট্রেন ভারত যাচ্ছে কিন্তু অনেক পুরাতন গদখালী রেলস্টেশন চালু হয়নি। গদখালী রেলস্টেশনটি চালুর জন্য আমরা এই অঞ্চল থেকে মন্ত্রণালয়সহ রেল কোম্পানিকে আবেদনের মাধ্যমে লিখিত জানিয়েছি কিন্তু সফলতা পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া এই স্টেশনটি চালু না হওয়ার পেছনে স্থানীয় কিছু কুচক্রীমহল কাজ করছে। ফুল উৎপাদক সমিতির নেতারা বলেন, ঐতিহ্যবাহী গদখালী রেলস্টেশনটি চালু এলাকার জনগণের প্রাণের দাবি। কারণ, ফুলের রাজ্য হিসেবে খ্যাত এখানকার নানাজাতের ফুল ঢাকা, চট্টগ্রামসহ সারা দেশে যায়।  যশোর ফুল উৎপাদক ও বিপণন সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি আব্দুর রহিমের সভাপতিত্বে সমাবেশে দাবি আদায় সংগ্রাম কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার রুহুল আমিন, অ্যাডভোকেট আমিনুর রহমান হিরু, যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ভিটু প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
জীবননগরে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন এক গৃহবধূ। অভিযোগ উঠেছে, ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে ৩ ঘণ্টা আটকে রেখে ধর্ষণ করেন চার যুবক। শনিবার রাতে বাড়ির পাশেই ছুঁতার মাঠে এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (১৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ওসি এস এম জাবিদ হাসান। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে জীবননগর থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন। গৃহবধূকে ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে। মামলার আসামিরা হলেন- সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামের লাল্টু মল্লিক (৩০), খালিদ হোসেন (২২), আব্দুল জব্বার (১৮) ও একরা মন্ডল (৪৫)। অভিযুক্ত সবাই ঘটনার পর থেকে আত্মগোপনে চলে গেছেন বলে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে।  ওই গৃহবধূ অভিযোগ করেন, শনিবার রাতে তার বৃদ্ধা শাশুড়িকে নিয়ে নিজ বাড়িতে ছিলেন। সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে বাড়ির ভেতরে অবস্থিত টিউবওয়েলে পানি আনতে যান তিনি। এ সময় চার আসামি বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা গৃহবধূকে তুলে পাশের ছুঁতার মাঠে নিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে তিনি স্বামীকে ফোন দিলে এলাকার লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করেন।  এ বিষয়ে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য নজরুল ইসলাম বলেন, ‘ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা আত্মগোপনে। তাদের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না।’ এ বিষয়ে ওসি এস এম জাবিদ হাসান বলেন, ‘বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। এরইমধ্যে ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারে পুলিশি তৎপরতা অব্যাহত আছে।’
পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় এইচএসসি পরীক্ষার্থীর আত্মহত্যা
কুষ্টিয়া শহরের একটি ছাত্রীনিবাস থেকে এক এইচএসসি পরীক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই পরীক্ষার্থীর নাম তাসনিভু আক্তার জেমি (১৮)।  রোববার (১৪ জুলাই) ভোরে কালিশংকরপুরের ছাত্রীনিবাস থেকে তার ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ধারণা করা হচ্ছে, পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন জেমি। জানা গেছে, জেমি মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার আনন্দধাম গ্রামের জাহিদুর রহমানের মেয়ে। সে কুষ্টিয়া শহরের কালিশংকরপুর এলাকার সোনার বাংলা মসজিদের সামনে নাসিমা খাতুনের বাড়ির চারতলায় ছাত্রীমেসে প্রায় দেড় বছর ধরে থাকতো। সে কুষ্টিয়া সরকারি বালিকা কলেজের এইচএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। একাই এক রুমে থাকতো। ছাত্রীনিবাসের মালিক ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৩টার দিকে জেমির রুম থেকে চিৎকার শুনতে পায় মেসের ছাত্রীরা। তার রুমের দরজা বন্ধ ছিল। এরপর তার আর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি বাড়ির মালিক ও ওই ছাত্রীর বাবাকে জানানো হয়। দরজা বন্ধ থাকায় মেসের ছাত্রীরা ও বাড়ির মালিক তার দরজায় নক করলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। রোববার ভোরের দিকে ঘরের দরজা ভেঙে দেখা যায় জেমি ফ্যান ঝুলানোর রডের সঙ্গে ঝুলছে। তারা ঝুলন্ত জেমির দেহ নামান এবং হাসপাতালে নিয়ে যান।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক তার কয়েকজন বান্ধবী বলেন, ‘জেমি খুব ভালো মানুষ ছিল। প্রচুর পড়াশোনা করতো। ভালো ছাত্রী ছিল। তার অনেক স্বপ্ন ছিল। কিন্তু পদার্থ বিজ্ঞান পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় কয়েকদিন ধরে খুব মন খারাপ করতো। সে অনেক ভেঙে পড়েছিল। পরীক্ষা খারাপ হওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে।’ এ বিষয়ে কু‌ষ্টিয়া কুষ্টিয়া মডেল থানার ও‌সি মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, সে আত্মহত্যা করেছে। তবে, কী কারণে আত্মহত্যা করেছে তা জানা যায়নি।’ 
সাতক্ষীরায় ২ রোহিঙ্গা নারীসহ পাচারকারী আটক
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে দুই রোহিঙ্গা নারীসহ মানবপাচারকারী চক্রের হোতা আবদুল্লাহ তরফদারকে আটক করা হয়েছে। রোববার (১৪ জুলাই) শ্যামনগর উপজেলার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রাম থেকে তাদের আটক করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যরা। দুই রোহিঙ্গা নারী হলেন, সাজিদা বেগম (১৯) ও হাজরা বেগম (২১)। আটক সাজিদা কক্সবাজারের টেকনাফের বাঁশনল ক্যাম্পের বাসিন্দা। আর হাজরা বেগম কক্সবাজার সদরের ১৮ নম্বর ক্যাম্পের সদস্য।   এ ছাড়া আটক পাচারকারী চক্রের হোতা আব্দুল্লাহ তরফদার রমজাননগর ইউনিয়নের কালিঞ্চি গ্রামের মাস্টারপাড়া এলাকার আকবর তরফদারের ছেলে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কৈখালী ক্যাম্পের ইনচার্জ লিয়াকত হোসেন। লিয়াকত হোসেন বলেন, সীমান্তবর্তী কালিন্দি নদী দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য আটক দুই রোহিঙ্গা নারীকে তিনদিন ধরে নিজ বাড়িতে লুকিয়ে রাখেন আব্দুল্লাহ। গত কয়েক মাস ধরে আব্দুল্লাহ ও তার লোকজন নদীপথে রোহিঙ্গা নর-নারীদের ভারতে পাচার করছিল বলে গোয়েন্দা তথ্য ছিল। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আব্দুল্লাহর বাড়ি ঘেরাও করে রাখা হয়। এরপর রোববার ভোরে ভারতে পাচারের আগ মুহূর্তে পাচার চক্রের প্রধান আব্দুল্লাহসহ রোহিঙ্গা দুই নারীকে আটক করা হয়। শ্যামনগর থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ বলেন, বিজিবির সদস্যরা রোহিঙ্গা দুই নারীসহ পাচারকারীকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। লিখিত অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী আইনি পদেক্ষপ নেওয়া হবে।
বাবাকে হত্যা করে থানায় এসে মেয়ের স্বীকারোক্তি
খুলনার দৌলতপুর এলাকায় মৃত্যুর সাতদিন পর থানায় গিয়ে নিজেকে বাবার হত্যাকারী বলে দাবি করে মৌখিক স্বীকারোক্তি দিয়েছেন নিহতের ছোট মেয়ে সুমাইয়া বিনতে কবির (১৬)।  নিহত মো. শেখ হুমায়ুন কবিরের (৫২) মেয়ে সুমাইয়া জানিয়েছেন, তার বাবাকে ঘুমের ট্যাবলেট খাইয়ে এবং বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলেছে তিনি। শনিবার (১৩ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার ওসি প্রবির কুমার বিশ্বাস। তিনি বলেন, রোববার মেয়েটিকে আদালতে হাজির করা হবে। আদালত যে সিদ্ধান্ত দেবেন সেই অনুযায়ী কাজ করা হবে। স্থানীয়রা জানান, শেখ হুমায়ুন কবির ৫ জুলাই মারা যান। সকালে তার স্ত্রী এবং ছেলে-মেয়েরা তাকে ডেকে তুলতে না পেরে নিশ্চিত হন যে তিনি মারা গেছেন। পরবর্তীতে এলাকার লোকজন এসে তাকে দাফন করেন। কিন্তু সুস্থ লোক রাতে খাবার খেয়ে ঘুমের মধ্যে মারা যাওয়া এবং গোসলের সময় তার বাম হাতে দুটো ছিদ্র দেখে কেউ কেউ সাপে কামড় বলে সন্দেহ করেন। এ অবস্থায় মৃতের ছোট মেয়ে সুমাইয়া ১২ জুলাই দৌলতপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। একই সঙ্গে বাবার মৃত্যুর জন্য নিজেই দায়ী বলে পুলিশকে জানান। এ বিষয়ে ওসি প্রবির কুমার বিশ্বাস বলেন, ‘সুমাইয়া পুলিশকে বলেছেন, সে তার বাবাকে হত্যা করেছে। রাতের খাবারের সঙ্গে ঘুমের ট্যাবলেট দিয়ে এবং পরে বালিশ চাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করেছে। বর্তমানে সুমাইয়া ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রয়েছেন।’ ওসি প্রবির কুমার আরও বলেন, ‘আমরা তার পরিবারের লোকজনকে ডেকেছিলাম। কেউ কেউ বলেছে সে মানসিক প্রতিবন্ধী। কিন্তু তার বড় ভগ্নীপতির সন্দেহ হওয়ায় তাকে ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে রাখা হয়েছে। রোববার আদালতে হাজির করা হবে।’