• ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
তদারকির অভাবে অধিকাংশ পিএসএফ অকেজো, পুকুরের পানিই ভরসা
স্ত্রীর দাবি নিয়ে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় নারীকে মারধর
বাগেরহাটের মোংলায় স্ত্রীর মর্যাদার দাবিতে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নেওয়ায় শ্লীলতাহানি ও মারধরের শিকার হয়েছেন লাইজু আক্তার (২৮) নামে এক তরুণী। সোমবার (২ ডিসেম্বর) বিকেল থেকে বটতলা (মুন্সিপাড়া) এলাকায় প্রেমিক সাগর তালুকদারের (৩৫) পিতার বাড়িতে অবস্থান নেন লাইজু। অবস্থান নেওয়ার পরপরই তাকে পিটিয়ে জখম করে প্রেমিক মো. সাগর তালুকদারের পরিবারের সদস্যরা।  লাইজু মোংলা উপজেলার সিগনাল টাওয়ার এলাকার সলেমানের মেয়ে। তিনি মোংলা ইপিজেড এলাকায় একটি গার্মেন্টস কোম্পানিতে চাকরি করেন। সাগর তালুকদার বটতলা (মুন্সিপাড়া) এলাকার কুদ্দুস তালুকদারের ছেলে। লাইজু আক্তারের অভিযোগ, সাগর তালুকদারের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই নিকাহ রেজিস্ট্রারের মাধ্যমে বিয়ে সম্পন্ন করেন। বিয়ের পর তাকে ভাড়া বাসায় রাখে। ঠিকমতো ভরনপোশন দিত না। বাড়ি তুলে নেওয়ার ক্ষেত্রেও তালবাহানা করতে থাকে সাগর। বিভিন্ন সময় ব্যবসা করবে বলে তার কাছ থেকে টাকা পয়সা হাতিয়ে নিতো এবং চাপ দিতো ও মারধর করতো। উপায়ন্ত না দেখে তিনি বটতলা (মুন্সিপাড়া) এলাকায় সাগর তালুকদারের বাবার বাড়িতে অবস্থান নেন। অবস্থানে ক্ষুব্ধ হয়ে পরিবারের লোকজন লাইজুকে পিটিয়ে জখম করে। পরে এলাকাবাসী লাইজুকে চিকিৎসার জন্য মোংলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। তিনি আরও বলেন, আমার শ্বশুর এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ কিছু বলেন না। সুস্থ্য হলে আবার আমি স্বামীর বাড়িতে অনশন করে আত্মহত্যা করব। অভিযুক্ত সাগর তালুকদার জানান, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম না। স্ত্রীর দাবিতে বাড়িতে অনশন করছেন যিনি, তিনি আমার দ্বিতীয় স্ত্রী। সে জেনে শুনেই আমাকে বিয়ে করেছে। এ বিষয়ে মোংলা থানার অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান জানান, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আরটিভি/এএএ/এস
জনগণের সঙ্গে থাকুন, জনগণকে সঙ্গে রাখুন: তারেক রহমান
শৈলকুপায় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় পথচারী নিহত
মেহেরপুরে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
বাগেরহাটে বিএনপির কর্মী সমাবেশে প্রতিপক্ষের হামলা, অর্ধশত আহত
লোহাগড়ায় পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে জখম
নড়াইলের লোহাগড়ায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এক কনস্টেবলকে কুপিয়ে জখম করেছে দুর্বৃত্তরা। তাকে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার (১ ডিসেম্বর) দুপুর ২টার দিকে উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের মধ্যপাড়ায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত পুলিশ সদস্য শাওন হোসেন (২৬) উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে। তিনি বরিশাল রেঞ্জে কর্মরত। ২৭ নভেম্বর ছুটিতে নিজ বাড়িতে আসেন তিনি। এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার কোটাকোল ইউনিয়নের ঘাঘা গ্রামের পুলিশ কনস্টেবল দেলোয়ার ফকিরের সঙ্গে একই গ্রামের মৃত শওকত হোসেনের ছেলে পুলিশ কনস্টেবল শাওন হোসেনের দীর্ঘদিন ধরে জমি ও ঘরবাড়ি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এর জের ধরে রোববার দুপুর ২টার দিকে একই গ্রামের মৃত আমির হোসেন ফকিরের ছেলে মফিজ ফকির, লায়ন ফকির, মেহেদী ফকির, আব্দুর রহমান, শাহানারা বেগম ও রুমা বেগম রাম দা, ছ্যান দা, লাঠিসোঁটা নিয়ে অতর্কিত শাওন হোসেনের বাড়িতে হামলা চালান। এ সময় দুর্বৃত্তরা পুলিশ কনস্টেবল শাওন হোসেনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। এলাকাবাসী শাওনকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এ সময় শাওনের সঙ্গে থাকা অন্যান্যদেরও পিটিয়ে নীলা-ফোলা জখম করে। এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশিকুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলার ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। আরটিভি/এমএ/এস
মাদকের টাকা না পেয়ে বাবাকে হত্যা
মাদক কেনার টাকা না দেওয়ায় মাগুরায় ছুরিকাঘাতে বাবাকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ছেলের বিরুদ্ধে।  রোববার (১ ডিসেম্বর) মাগুরা সদরের আঠারোখাদা গোরস্থান পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুরমান শেখ (৭৫)। তিনি ওই গ্রামের মৃত ইয়াকুব শেখের ছেলে। আর তার ছেলে মফিজুর শেখকে (৩৫) এলাকাবাসী আটক করে পুলিশে দিয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মাগুরা জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম। নিহতের আরেক ছেলে হানিফ শেখ বলেন, আমার ছোট ভাই মফিজুর শেখ দীর্ঘদিন ধরে মাদকাসক্ত। নেশার টাকা জোগাতে তার ভাগের জমি বিক্রি করতে বাবাকে চাপ দিতেন। মফিজুরের দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে বাবা জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় সকালে তার বুকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। এরপর আমরা বাবাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ দিকে ঘটনার পর হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মিরাজুল ইসলাম ও সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মো. আইয়ুব আলী। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি হত্যাকারী মফিজুর মাদকাসক্ত। তিনি নেশার টাকা জোগাড় করতে প্রায় তার বাবাকে মারধর করতেন। শেষ পর্যন্ত তিনি নেশার টাকা জোগাড় করতে তার বাবাকে জমি লিখে দিতে বলেন। জমি লিখে দিতে রাজি না হওয়ায় আজ তাকে বুকে আঘাত করে হত্যা করেন। আরটিভি/এমকে-টি
ডোবা থেকে প্রতিবন্ধী ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় নিখোঁজের এক সপ্তাহ পরে ডোবা থেকে শওকত লস্কার (৫০) নামে এক বাক্প্রতিবন্ধী ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করেছে কালিয়া থানা পুলিশ।  রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার ছালামাবাদ ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা গ্রাম থেকে ওই ভ্যানচালকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।  নিহত শওকত লস্কার লোহাগড়া উপজেলার মঙ্গলপুর গ্রামের আমজেদ লস্কারের ছেলে। পুলিশ ও নিহতের স্বজন সূত্রে জানা গেছে, ভ্যানচালক শওকত লস্কার বাক প্রতিবন্ধী ছিলেন। গত ২৪ নভেম্বর সন্ধায় তিনি নড়াগাতি থানার বড়দিয়া বাজার থেকে নিজের ব্যাটারিচালিত অটোভ্যানসহ সন্ধ্যা ৭টায় নিখোঁজ হয়। এরপর পরিবারের লোকজন তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে পরের দিন ২৫ নভেম্বর শওকতের বড় ভাই লাভলু লস্কার নড়াগাতি থানায় নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন। নিখোঁজের ৭ দিন পরে রোববার উপজেলার ছালামাবাদ ইউনিয়নের বলাডাঙ্গা এলাকা থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কালিয়া পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে ভ্যান নেওয়ার উদ্দেশ্যই তাকে হত্যা করে ফেলে গেছে দুর্বৃত্তরা। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল সদর হাসপাতালে পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী আইনগত অবস্থা নেওয়া হচ্ছে। আরটিভি/এমকে-টি
মাগুরায় মাদকাসক্ত ছেলের ছুরিকাঘাতে বাবা নিহত
নেশার টাকা না পেয়ে বৃদ্ধ বাবাকে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করেছে এক ছেলে।  রোববার (১ ডিসেম্বর) মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের নাম সুরমান শেখ (৭৫)। তিনি ওই এলাকার বাসিন্দা। তার মরদেহ মাগুরা সদর হাসপাতালের অস্থায়ী মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতের স্বজন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মাগুরা সদর উপজেলার আঠারখাদা গ্রামের চা বিক্রেতা সুরমান শেখের ছোট ছেলে মফিজুর শেখ (৩৫) দীর্ঘ দিন ধরে নেশাগ্রস্ত। নানা সময় বাবাকে নেশার টাকার জন্য নির্যাতন করে আসছিলেন। গত কয়েক দিন আগে বাবা-ছেলের মধ্যে হাতাহাতি হয়। বাবাকে নিজের নামে জমি লিখে দিতে বলেন ছেলে মফিজুর। এতে বাবা অস্বীকৃতি জানালে মফিজুর আজ সকাল সাড়ে ৯টার দিকে একটি ধারালো ছুরি দিয়ে বাবার পেটে আঘাত করেন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এই ঘটনার পর মাদকাসক্ত মফিজুরকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন এলাকাবাসী। মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস) মিরাজুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি মফিজুর নেশাগ্রস্ত ছিল। বিভিন্ন সময় তার বাবার কাছে নেশার টাকার জন্য হুমকি দিত এবং মারধর করত। অভিযুক্ত ছেলেকে আমরা আটক করেছি। তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। এ ঘটনায় সদর থানায় হত্যা মামলার প্রস্তুতি চলছে। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে রাখা হয়েছে। আরটিভি/এএএ   
মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে বৈষম্য থাকবে না: জামায়াত আমির 
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমরা এমন মানবিক বাংলাদেশ গড়তে চাই যেখানে থাকবে না কোনো বৈষম্য। সকল ধর্ম বর্ণ জাতির মানুষ সমান অধিকার নিয়ে মর্যাদার সঙ্গে থাকতে পারবে। যুবকের হাত হবে কর্মীর হাত। কেউ কারো অধিকারে হস্তক্ষেপ করবে না।  রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে নড়াইলের মালিবাগ মোড়ে পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন।  শফিকুর রহমান বলেন, অনেক বড় বড় কথা বলে আওয়ামী লীগ এ দেশের ক্ষমতা দখল করেছিল। ক্ষমতায় গিয়ে তারা আরও বড় বড় কথা বলেছে। কিন্তু তারা জনকল্যাণে কোনো কথা বাস্তবায়ন করেনি। কেবলমাত্র ক্ষমতায় টিকে থাকার জন্য যা যা করা দরকার, তাই তারা করেছে। তারা এ দেশের টাকা লুটপাট করে বিদেশ পাঠিয়েছে। জনগণের স্বাধীনতা হরণ করেছে। অবশেষে তারা তাদের অপকর্মের জন্য দেশ ছেড়ে পালিয়েছে।  তিনি প্রতিটি বাড়িতে ইসলামের দাওয়াত পৌঁছে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে উপস্থিত সকলের জন্য দোয়া করে এবং নিজের জন্য দোয়া চেয়ে বক্তব্য শেষ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান বাচ্চু, জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি ও নড়াইল সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ওবায়দুল্লাহ কায়সার, সদর উপজেলা জামায়াতের আমির আব্দুল্লাহ আল আমিনসহ জেলা উপজেলা পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।  আরটিভি/এএএ/এআর