• ঢাকা রোববার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ৩০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
রেলস্টেশনের স্ক্রিনে ভেসে উঠল 'ছাত্রলীগ ভয়ংকর রূপে ফিরবে'
ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় এলো ৩৫ হাজার টন চাল
দীর্ঘ দুই বছর বন্ধ থাকার পর সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৯ দিনে ৯৬৯ ট্রাকে ৩৫ হাজার ৪৩ টন চাল আমদানি হয়েছে। ১৩ নভেম্বর থেকে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে বিভিন্ন প্রকারের চাল আমদানি হয়েছে। যার আমদানি মূল্য প্রায় ৩২ কোটি টাকা।  আমদানিকৃত এসব চালের মধ্যে রয়েছে চিকন বাসমতি, মিনিকেট ও মোটা স্বর্না এবং জামাইবাবু জাতের চাল। আমদানিকারকদের দাবি, এভাবে চাল আমদানি অব্যাহত থাকলে দেশের বাজারে দাম কমে আসবে। তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন, চাল আমদানির প্রভাব এখনও সাতক্ষীরার চালের বাজারগুলোতে পড়েনি। এ বিষয়ে ভোমরা স্থল শুল্ক স্টেশন রাজস্ব কর্মকর্তা মো. শফিউল বসর বলেন, ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ১৩ নভেম্বর থেকে শুরু হয়ে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ৯৬৯টি গাড়িতে চাল আমদানি করা হয়েছে ৩৫ হাজার ৪৩ টন। সরকার যেহেতু চালের ওপর ডিউটি ফ্রি করে দিয়েছে যার জন্য এখানে কোনো রাজস্ব আদায় হয়নি। উত্তরবঙ্গের চাল আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স সোনালী এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ভারত সরকার চাল রপ্তানি শুরু করার পর থেকে অন্যান্য বন্দরের পাশাপাশি ভোমরা বন্দর দিয়ে চাল আমদানি করছে তার প্রতিষ্ঠানটি। তবে গেল কয়েক সপ্তাহ ধরে কেবল আমদানি শুরু হয়েছে। এখনও তেমন প্রভাব পড়তে শুরু হয়নি দেশের চালের বাজারগুলোতে। সাতক্ষীরা জেলা সদরের বৃহৎ মোকাম সুলতানপুর বড় বাজারের চাল ব্যবসায়ীরা জানান, চিকন বাসমতি চাল প্রতি কেজি ৭৮ টাকা, চিকন আটাশ জাতের চাল কেজি প্রতি ৫৮ থেকে ৫৯ টাকা এবং মোটা জাতের চাল ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে বিক্রি করেন। এ ছাড়া আমদানিকৃত মোটা স্বর্ণা ও জামাইবাবু জাতের চাল ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেন। তবে ভারতীয় চাল আমদানিতে দেশি চালের বাজারে এর কোনো ইতিবাচক প্রভাব পড়েনি বলে জানান তিনি। সাতক্ষীরা জেলার দায়িত্ব প্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা সালেহ্ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ বলেন, সাতক্ষীরার চালের বাজার বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তবে ভারত থেকে চাল আমদানি শুরুর কারণে শিগগিরই চালের বাজার কমতির দিকে আসবে বলে আশা করছি।  আরটিভি/এমএ
যশোরে হত্যা মামলার আসামিকে গণপিটুনি, পুলিশে সোপর্দ
মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মিল্টন, সদস্যসচিব কামরুল
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় পাইকগাছায় বিএনপির আনন্দ মিছিল
ঝিনাইদহে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ১০
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রার পারদ নামল ৯ ডিগ্রির ঘরে
মৃদু শৈত্যপ্রবাহে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গার জনপদ। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ৯ ডিগ্রিতে। সকাল ৮টার দিকে সূর্য উকি দিলেও তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। বিকেলে আবারও কুয়াশার দাপট। ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়া কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। হাসপাতালে বাড়ছে শীতজনিত রোগীর সংখ্যা। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় এ জেলায়। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, শুক্রবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৮৮ ভাগ। আরটিভি/এএএ/এস 
সর্বনিম্ন তাপমাত্রায় কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা
চুয়াডাঙ্গায় ঘন কুয়াশার সঙ্গে হিমেল হাওয়ায় কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। সকাল ৮ টার দিকে সূর্য উঁকি দিলেও তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। বিকেলে আবারও কুয়াশার দাপট। তাপমাত্রার পারদ নেমেছে ১০ ডিগ্রিতে। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।  সকাল ৮টার দিকে সূর্য উঁকি দিলেও তা উত্তাপ ছড়াচ্ছে না। বিকেলে আবারও কুয়াশার দাপট। ঘন কুয়াশার সাথে হিমেল হাওয়া কয়েক গুণ বাড়িয়ে দিয়েছে শীতের তীব্রতা। দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। কনকনে ঠান্ডায় ঘর থেকে বের হতে পারছেন না খেটে খাওয়া মানুষ। এতে বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ছিন্নমূল মানুষ। সময় মতো কাজে যেতে পারছেন না তারা। শীতের প্রভাবে হাসপাতালে বাড়ছে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা। যার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধের সংখ্যাই বেশি। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এটি দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৯৭ ভাগ। আরটিভি/এমএ
দর্শনায় একাধিক মামলার আসামি শাহাবুল গ্রেপ্তার
চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি শীর্ষ সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী শাহাবুল হোসেনকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকেলে তাকে দর্শনা আমলি আদালতে তোলা হয়েছে। এর আগে মঙ্গলবার দিনগত রাতে তাকে দর্শনা পৌর এলাকার রামনগর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  গ্রেপ্তার শাহাবুল হোসেন একই গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে।  চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মেজর জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  অভিযান সূত্রে জানা গেছে, শীর্ষ সন্ত্রাসী শাহাবুল হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক, চোরাকারবারি, অবৈধ অস্ত্র, ডাকাতি ও অগ্নি সংযোগসহ বিভিন্ন থানায় ১০টি মামলা রয়েছে। তিনি দেশীয় বোমা ও ককটেল তৈরিতে সিদ্ধহস্ত এবং বোমা বিস্ফোরণে তার ডান হাত উড়ে যায়। গত ৫ আগস্ট পরবর্তী সময় শাহাবুল দর্শনায় বিভিন্ন ধরণের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে আসছিল। তিনি মাদক ব্যবসার ত্রাস হিসেবে এলাকায় পরিচিতি লাভ করেছে। মঙ্গলবার দিনগত রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনীর একটি টিম।  চুয়াডাঙ্গা সেনাবাহিনী ক্যাম্পের মেজর জাহাঙ্গীর আলম বলেন, গ্রেপ্তার শাহাবুলকে প্রয়োজনীয় জিজ্ঞাসাবাদ ও আইন কার্যক্রম সম্পন্নের জন্য আজ দুপুরে দর্শনা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সেখান থেকে তাকে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। পরে তাকে জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন আদালত।  আরটিভি/এএএ/এস
মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস আজ
আজ ১১ ডিসেম্বর, কুষ্টিয়া মুক্তদিবস। ৬০ হাজার মানুষের নির্মম হত্যা আর দুই হাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে ১৯৭১ সালের এদিনে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কুষ্টিয়া জেলা শত্রু হানাদার মুক্ত হয়। চুড়ান্ত বিজয়ের ৫ দিন আগেই জনগণ এদিন বিজয় নিশানা দেখতে পেয়েছিল। স্বজনের গলিত মৃতদেহ, কঙ্কাল, গণকবর, সম্ভ্রম হারানো মা-বোনের আর্তনাদ আর বিজয়ের আনন্দে রাস্তায় নেমে মানুষের উল্লাস মিলেমিশে একাকার হয়েছিল।  মূলত কুষ্টিয়া ছিল মুক্তিযুদ্ধের অস্থায়ী রাজধানী। তাই পাক হানাদাররা কুষ্টিয়ার ওপর সবচেয়ে বেশি অত্যাচার নিপীড়ন চালিয়েছিল। তবে মুক্তিযুদ্ধের শুরুতেই পাক হানাদার বাহিনীও কুষ্টিয়ায় চরম প্রতিরোধের মুখে পড়ে। ৩০ মার্চ ভোররাতে মুক্তিবাহিনী কুষ্টিয়া জিলা স্কুলে পাক হানাদার ক্যাম্পে হামলা করে। সারাদিন চলা যুদ্ধে নিহত হয় অসংখ্য পাক সেনা। শেষ পর্যন্ত ১ এপ্রিল রাতের আধারে পাক বাহিনী কুষ্টিয়া ছেড়ে পালিয়ে যায়। প্রথমবারের মত শত্রুমুক্ত হয় কুষ্টিয়া।  ১০ এপ্রিল তৎকালীন কুষ্টিয়ার অন্তর্গত মুজিব নগরে সরকার গঠন হয়। এরপর থেকে দফায় দফায় প্রচণ্ড বিমান হামলায় ১৬ দিন পর আবারও কুষ্টিয়া দখলে নেয় পাক বাহিনী। এভাবে মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাস জুড়েই কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় হানাদার পাকবাহিনীর সাথে মুক্তি বাহিনীর তুমুল লড়াই চলেছে।  শুধুমাত্র কুষ্টিয়া জেলায় মুক্তিযুদ্ধকালে পাক হানাদাররা ৬০ হাজার মানুষকে নির্মমভাবে হত্যা আর দুহাজার মা-বোনের সম্ভ্রমহানি করে।  ৬ ডিসেম্বর ভারত বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেওয়ার পর তিন দিক থেকে মুক্তি ও মিত্র বাহিনীর যৌথ আক্রমণে একের পর এক বৃহত্তর কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকা হানাদার মুক্ত হতে থাকে। শেষ পর্যন্ত ১০ ডিসেম্বর রাতে পাকবাহিনী পালিয়ে ভেড়ামারা-পাকশী ঘাট হয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে কুষ্টিয়া ত্যাগ করে। ১১ ডিসেম্বর পুরোপুরি মুক্ত হয় কুষ্টিয়া। কিছু স্মৃতিচিহ্ন এখনও তার সাক্ষী হয়ে আছে।  কুষ্টিয়া সদর উপজেলার সোনাইডাঙ্গা গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল ইসলাম বিশ্বাস বলেন, ১১ তারিখ সকালে কুষ্টিয়া শহরে ঢুকে আমরা বিধ্বস্ত পরিবেশ দেখতে পাই। যা বর্ণনা করে বোঝানো যাবে না। একদিকে পড়ে থাকা লাশের পচা গন্ধ, ঘরবাড়ি পোড়ানোর গন্ধ। অনেক বাবা মায়ের ছেলে হারানোর আহাজারি, কেউ কেউ তো জানেই না তার ছেলে মারা গেছে। তাদের আহাজারি দেখার মত না। এর ভেতরেও বিজয়ের আনন্দ। সকালে কুষ্টিয়া ডিসিকোর্ট চত্বরে স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা তোলা হয়। মুক্তিযোদ্ধা শামীম রেজা শহরে চৌড়হাসের ব্রিজের ক্ষতচিহ্ন দেখিয়ে বলেন, এখনও সেদিনের কথা মনে হলে ভয়ে আতকে ওঠে প্রাণ। ১১ তারিখে আমরা এই শহরের যেখানে সেখানে লাশ পড়ে থাকতে দেখেছি। মানুষের ঘরবাড়ি না থাকলেও তা পোড়ানোর গন্ধ রয়ে গেছে। রাস্তা ঘাট কোন কিছু ঠিক ছিলো না।  মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক ডেপুটি কমান্ডার রফিকুল আলম টুকু বলেন, পরবর্তী প্রজন্মের জন্য মুক্তিযুদ্ধের সব স্মৃতি চিহ্ন সংরক্ষণ করা দরকার। আরটিভি/এএএ 
কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস পালিত
শহীদদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা প্রদর্শনসহ জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কুষ্টিয়া মুক্ত দিবস পালিত হয়েছে।  বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া কালেক্ট্ররেট চত্বরে কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় পতাকা ও মুক্তিযুদ্ধের পতাকা উত্তোলন করা হয়।  কেন্দ্রীয় স্মৃতিস্তম্ভে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান। এরপর জেলার মুক্তিযোদ্ধারা স্মৃতিস্তম্ভে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এছাড়াও শহীদদের মাগফেরাত কামনায় দোয়া করা হয়। পরে জেলা প্রশাসকের সভা কক্ষে মুক্ত দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা প্রশাসক বলেন, প্রয়োজনীয় স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। আর পুলিশ সুপার বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান দেওয়া হবে। উল্লেখ্য, আজ ১১ ডিসেম্বর, বহু আত্মত্যাগের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সূতিকাগার কুষ্টিয়া জেলা শত্রু মুক্ত হয়।  আরটিভি/এএএ