• ঢাকা রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
logo
বোমাসদৃশ বস্তু ও কাফনের কাপড় রেখে প্রাণনাশের হুমকি
৪ দিন ধরে মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা রুটে বাস চলাচল বন্ধ
মেহেরপুর-চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক মহাসড়কে বাস চলাচল বন্ধের আজ চতুর্থ দিন। গেল শনিবার বিকেলে চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক সমিতি ও ইজিবাইক চালকদের দ্বন্দ্বের জের ধরে সব ধরনের লোকাল বাস চলাচল বন্ধ করে দেয় বাস মালিক ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন। তবে চলাচল করছে দূরপাল্লার যানবাহন।  সরেজমিনে দেখা গেছে, বাস চলাচল বন্ধ থাকায় যাত্রীরা পড়েছেন চরম দুর্ভোগে। ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করলেও তা সরাসরি গন্তব্যে যাচ্ছে না। ভেঙে ভেঙে যেতে হচ্ছে। এতে ভোগান্তির পাশাপাশি যাত্রীদের খরচও বেশি লাগছে।  মেহেরপুর জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মতিয়ার রহমান বলেন, সড়কে প্রচুর পরিমাণে অবৈধ যানবাহন চলাচল করায় বাস চলাচলে মারাত্মক বাধার সৃষ্টি হচ্ছে। এতে আয় কমার পাশাপাশি প্রায়ই দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন বাস চালকরা। এসব অবৈধ যানবাহনের দৌরাত্ম্য কমানো না গেলে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যাবে।  তিনি আরও বলেন, শনিবার থেকে যে দ্বন্দ্বের জেরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে তা নিরসনে চুয়াডাঙ্গা বাস মালিক সমিতি ও মোটর শ্রমিক ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সঙ্গে জেলা প্রশাসনের আলোচনা চলছে। সমস্যা সমাধান হলেই বাস চলাচল শুরু হবে।   আরটিভি/আইএম
জামায়াত নেতা হত্যায় সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা 
শহীদদের স্মরণে মেহেরপুরে ‘শহীদি মার্চ’
মেহেরপুর জেলায় জমা পড়েছে ৭৩ অস্ত্র 
মেহেরপুরে মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যুবক নিহত 
সাপের কামড়ে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রের মৃত্যু 
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী কাজিপুর গ্রামে সাপের কামড়ে কিরণ হোসেন (১১) নামের এক শিশু মৃত্যুবরণ করে। নিহত কিরণ কাজিপুর আদর্শ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র।  বুধবার (২৮ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। কিরণ হোসেন কাজিপুর গ্রামের বর্ডার পাড়ার কৃষক রহিদুল ইসলামের ছেলে।  নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে ঘুমিয়ে থাকা অবস্থায় কিরণের পায়ে সাপ কামড় দিলে তার ঘুম ভেঙে যায়। বিষয়টি তার বাবা-মাকে জানালেও তারা সাপ দেখতে না পারায় বিষয়টি এড়িয়ে যায়। কোনো সমস্যা হবে না এমন আশা দিয়ে কিরণকে ঘুমিয়ে পড়তে বলেন তারা। ‌তবে রাত সাড়ে ১১টার দিকে কিরণের শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটে। মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়লে বিষয়টি তার বাবা-মায়ের নজরে আসে। রাতেই তাকে নেওয়া হয় গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। তবে হাসপাতালের চিকিৎসকরা কিরণের শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আবদুল আল মারুফ। ‌
মেহেরপুরে যুবককে গলা কেটে হত্যা
মেহেরপুরের মুজিবনগরে আলম হোসেন (৩৫) নামে এক ব্যক্তিকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।  শনিবার (১০ আগস্ট) ভোরে নিজ বাড়িতে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুজিবনগর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম। স্থানীয়রা জানান, পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য থানা হেফাজতে নিয়ে গেছে। নিহত আলম হোসেন মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের তারানগর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে। স্থানীয়রা আরও জানান, রাতের আঁধারে একদল দুর্বৃত্ত আলম হোসেনের বাড়িতে প্রবেশ করে তার কক্ষে গলা কেটে হত্যা করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের ধারণা, মাদক কেনাবেচা বা অর্থনৈতিক লেনদেনের কারণে এমন হত্যার ঘটনা ঘটতে পারে। বাগোয়ান ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য রমজান আলী বলেন, আলম হোসেন মাদক ব্যবসাসহ বিজিবির সোর্স হিসেবে কাজ করতো। এলাকাবাসী ও আমরা প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি, এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে অর্থনৈতিক লেনদেনের কারণে হত্যাকাণ্ডের শিকার হতে পারেন আলম। এ বিষয়ে ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হয়েছে, মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের আটকে সেনাবাহিনীর পাশাপাশি পুলিশ কাজ করছে। নিহতের নামে মাদকসহ দুটি মামলা রয়েছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, মাদক নিয়ে দ্বন্দ্বে তাকে হত্যা করা হতে পারে। 
মেহেরপুরে সেনাবাহিনীর সহায়তায় স্বাভাবিক হচ্ছে পুলিশের কার্যক্রম 
বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে মেহেরপুর জেলায় পুলিশের কার্যক্রম।  শুক্রবার (৯ আগস্ট) থেকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ টহল চলছে জেলাজুড়ে। এতে মানুষের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে।  জানা গেছে, মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানায় সেনাবাহিনীর সদস্যরা অবস্থান নিয়ে পুলিশের সঙ্গে যৌথ টহল চালিয়ে যাচ্ছেন। একইসঙ্গে বিজিবি সদস্যরা মুজিবনগর থানায় অবস্থান নিয়ে সহায়তা করছেন। এর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর সদস্যরা মুজিবনগর থানা পুলিশের সাথে যৌথ টহল দিয়ে যাচ্ছেন। সেনাবাহিনীর সহায়তা পেয়ে মূলত থানাগুলো থেকে শুক্রবার টহল যান বের করা হয়েছে। পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের গাড়ি বহর জেলা শহর থেকে শুরু করে গ্রাম পর্যন্ত টহল দিচ্ছেন। তারা স্থানীয় মানুষের সাথে কথা বলে নানা প্রকার পরামর্শ দিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার বিষয়ে আশ্বস্ত করছেন।  স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গেল কয়েকদিন অন্ধকার এক আতঙ্কে সময় পার হয়েছে। পুলিশের কোনো কার্যক্রম না থাকায় সেই আতঙ্ক বাড়িয়ে দেয় কয়েকগুণ। সেনাবাহিনীর গাড়ি বহরের সঙ্গে পুলিশ সদস্যদের গাড়ি দেখে জনমনে স্বস্তি ফিরেছে। সবার আস্থার প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের কার্যক্রম দ্রুত আবারও স্বাভাবিক হবে বলে আশার কথা জানান বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ।  সেনাবাহিনীর সহায়তায় পুলিশের ডিউটি শুরুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কনি মিয়া, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাজুল ইসলাম এবং মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল ইসলাম। এ প্রসঙ্গে তারা বলেন, চলমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার জন্য সেনাবাহিনীর সহায়তায় ডিউটি কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এর মাধ্যমে সবকিছুই স্বাভাবিক হবে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে মাঠে কাজ শুরু করেছে পুলিশ। 
মেহেরপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু-পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামে দু-পক্ষের সংঘর্ষে নাহারুল ইসলাম (৫৫) নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহত নাহারুল ইসলাম ব‌াওট গ্রা‌মের গ্রামের কুরু বিশ্বাসের ছেলে।  স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গাংনী উপজেলার বাওট গ্রামের হামিদুল হক কালু এবং নাহারুল ইসলামের পরিবার বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত। মঙ্গলবার সকালে গাংনীত্যে বিএনপির বিজয় মিছিলে বের করেন বাওট গ্রামের বিএনপি নেতা-কর্মীসহ সাধারণ জনতা। ওই মিছিলের ভেতরে উপস্থিত হন নাহারুল ইসলামের পরিবারের লোকজন। নাহারুল ইসলামের ভাই বাওট বাধাগ্রস্ত বিদ্যালয়ের পরিচালক ইনামুল হক। এনামুলকে দেখে উত্তেজিত হন বাওট গ্রামের বিএনপি কর্মী উজ্জ্বল হোসেন। গত ১০ বছর এনামুল হক আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং গ্রামে আওয়ামী লীগের নেতা হিসেবে পরিচিত। এই নিয়ে দুই পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের লোকজন রক্তাক্ত হয়। পরে স্থানীয়রা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠায়। কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে নাহারুলের মৃত্যু হয়। এদিকে মরদেহ নিয়ে এসে নাহারুলের বাড়িতে রাখা হয়েছে। ঘটনাস্থলে যায়নি পুলিশ। তবে এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্মকর্তারা কোনো বক্তব্য দিতে রাজি হননি।
মে‌হেরপু‌রে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু
মেহেরপুরের গাংনীর বাঁশবাড়িয়া গ্রামে পুকুরে ডুবে আসমাউল (১৫) নামে এক শিশুর মৃত্যু ঘটেছে।  মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) দুপুরে গোসল করতে নেমে  ঘটনা ঘটে।  আসমাউল শিশিরপাড়া গ্রামের আনারুল হকের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আসমাউল স্থানীয় একটি কাঠের দোকানে কাঠমিস্ত্রির কাজের প্রশিক্ষণ নিচ্ছিল। প্রতিদিনের ন্যায় সে কয়েকজন ছেলের সঙ্গে পুকুরে গোসল করতে যায়। গোসল শেষে ডাঙায় ওঠার সময় হঠাৎ পা পিছলে তলিয়ে যায়। তার সঙ্গের ছেলেরা উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। গাংনী থানার ওসি (তদন্ত) মনোজিৎ কুমার নন্দী বলেন, মৃত্যুর ঘটনাটি সম্পর্কে আমি জেনেছি। ঘটনাস্থলে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে।
গাংনীতে গাঁজাগাছসহ আটক ১
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সহড়াবাড়িয়া গ্রামে বসতবাড়িতে লাগানো ৩৩টি গাঁজাগাছ জব্দ করেছে পুলিশ। একই সঙ্গে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজাসহ নাঈম হোসেন (২৬) নামের এক যুবককে আটক করা হয়েছে।  সোমবার (৮ জুলাই) বিকেলে গাংনীর হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্প পুলিশের একটি টিম এ অভিযান চালায়।  হেমায়েতপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবদুল মুবিন বলেন, নাঈমের বাড়িতে গাঁজা গাছ চাষ করা হচ্ছে এমন খবরের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় নাঈমের ঘর থেকে দেড়শ’ গ্রাম গাঁজা ও গাঁজা বিক্রির সরঞ্জামাদি পাওয়া গেলে তাকে আটক করা হয়। তার স্বীকারোক্তিতে বাড়ির আঙিনা থেকে ৩৩টি গাঁজা গাছ জব্দ করা হয়। নিষিদ্ধ গাঁজা চাষ ও গাঁজা রাখার অপরাধে নাঈমের নামে মামলা করার প্রক্রিয়া চলছে।