• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০
logo
বাংলাদেশের জন্য পেঁয়াজ কিনছে ভারত
‘শেখ মুজিব কেবল বাংলাদেশের বন্ধু নন, তিনি ভারতেরও বন্ধু’
বাংলাদেশের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অকাল মৃত্যু নাহলে এই উপমহাদেশে রাজনীতির ইতিহাস ভিন্নভাবে লেখা হতো বলে মনে করেন ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। রোববার (১৭ মার্চ) ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশন আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১০৪তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। খাদ্যমন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী বলেছেন, ‘দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশ ও নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসুর পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানই স্বতঃস্ফূর্ত জননেতা হতে পেরেছিলেন এবং সর্বসাধারণ একাগ্রচিত্তে তাকে নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল।’ তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুকে ছাড়া বাংলাদেশকে নিয়ে আন্তর্জাতিক মানচিত্রে আলোচনার কোনো মানে হয় না। বঙ্গবন্ধু এবং বাংলাদেশ সমার্থক শব্দ।’  অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহিদুল হাসান খোকন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশে স্বাধীন হয়েছে, কিন্তু ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধী তিনি ১৯৬৯ সালে পেয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুকেই মানুষ আগে থেকেই নেতা হিসেবে মেনে নিয়েছিল। শেখ মুজিবুর রহমান এর জন্ম না হলে বাংলাদেশ হত না। বঙ্গবন্ধুর অকাল প্রয়াণে বাঙালি জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর ওপর কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও কবি নজরুল ইসলাম এর একটা বিরাট প্রভাব ছিলো। তাই কবিগুরু লেখা ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি’ গান তিনি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন। তাই বঙ্গবন্ধুর কাছ থেকে আজকের বাঙালিদের অনেক শেখার আছে। আগরতলায় নিযুক্ত বাংলাদেশের সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মদ সকালে হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী কর্মসূচির সূচনা করেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি হোটেলে এক আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।   সহকারী হাই কমিশনার তার বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক সূত্রে গাঁথা। শত বছরের শোষণ, নিপীড়ন, বঞ্চনা ও পরাধীনতার শিকল ভেঙে তিনি পথহারা বাঙালি জাতিকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন। সহকারী হাইকমিশনার বঙ্গবন্ধুর চারিত্রিক ও মানবিক গুণগুলো শিশুদের মধ্যে প্রোথিত করে সুন্দর আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার আহ্বান জানান।   অন্যান্যের মধ্যে ত্রিপুরার শিক্ষাবিদ ড. মোস্তফা কামাল, মৈত্রী সম্মাননা প্রাপ্ত সাংবাদিক ও লেখক স্বপন ভট্টাচার্য বক্তব্য রাখেন।   সন্ধ্যায় শিশু-কিশোরদের অংশগ্রহণে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে শিশু-কিশোরদের উপস্থিতিতে বিশেষ কেক কাটা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে লেখা কবিতা, প্রবন্ধ ও গানের মধ্য দিয়ে জাতির পিতাকে স্মরণ করা হয়। অনুষ্ঠানে বঙ্গবন্ধুর ওপর নির্মিত একটি তথ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।       দিবসটি উপলক্ষে সহকারী হাই কমিশনের পক্ষ থেকে শিশু-কিশোরদের জন্য চিত্রাংঙ্গন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়। সন্ধ্যায় অতিথিবৃন্দ প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।     বাংলাদেশ সহকারী হাই কমিশনের প্রথম সচিব আল আমিন জামিলসহ কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ত্রিপুরা রাজ্যের বিশিষ্টজনসহ শিশু-কিশোররা অনুষ্ঠানে যোগ দেন।
জাহাজ মুক্ত করলো ভারতীয় নৌবাহিনী, ১৭ ক্রু উদ্ধার
ভারতের লোকসভা নির্বাচন ১৯ এপ্রিল, ৭ ধাপে হবে ভোটগ্রহণ
ব্যায়াম করতে গিয়ে ফাটল কপাল, চার সেলাই নিয়ে ফিরলেন মমতা
নারী কর্মীদের জন্য ১০ দিনের বাড়তি ছুটি
নারী দিবস উপলক্ষে ভারতে রান্নার গ্যাসের দাম কমানোর ঘোষণা
আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে রান্নার জন্য ব্যবহৃত এলপিজি গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ১০০ রুপি কমানোর ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সামাজিক মাধ্যম এক্সেও এ–সংক্রান্ত একটি পোস্ট দিয়েছেন তিনি। ঘোষণায় নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, রান্নার গ্যাসের দাম কমলে ভারতের কোটি কোটি পরিবারের আর্থিক চাপ কমবে। বিশেষ করে এই সিদ্ধান্তে ‘নারী শক্তি’ উপকৃত হবে।  তিনি আরও বলেন, ‘রান্নার গ্যাস আরও সাশ্রয়ী করার মাধ্যমে আমরা পরিবারের কল্যাণের পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছি।’ তবে, নরেন্দ্র মোদির এই ঘোষণা নিছক নারী শক্তির কল্যাণে নয় বলেই মনে করছে ভারতের রাজনৈতিক মহল। তারা মনে করছে, এপ্রিল মাসে দেশজুড়ে লোকসভা নির্বাচন। আসন্ন এই নির্বাচনে ভোটব্যাংক নিজের দিকে টানতেই রান্নার গ্যাসের দাম প্রতি সিলিন্ডারে ১০০ টাকা করে কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোদি। এক্স পোস্টে মোদি অবশ্য লিখেছেন, ‘নারীর ক্ষমতায়ন ও তাদের জীবনযাত্রা সহজতর করতে আমরা যে অঙ্গীকার করেছিলাম, এই সিদ্ধান্ত তার আলোকেই নেওয়া হয়েছে।’  ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সূত্রের খবর, শুক্রবার রাত ১২টার পর থেকেই রান্নার গ্যাসের নতুন দাম কার্যকর হবে। নির্বাচনের আগে আগে মোদি সরকারের সিলিন্ডার গ্যাসের দাম কমানোর ঘটনা এবারই প্রথম নয়। এর আগে গত বছরের আগস্টে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের আগে গ্যাসের দাম সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি করে কমিয়েছিল মোদি সরকার। ভারতে উজ্জ্বলা প্রকল্পের গ্রাহক নন যারা, তাদের জন্য এলপিজি সিলিন্ডারের দাম ছিল ১ হাজার ১০০ রুপি। মোদি সরকার গত বছরের আগস্টে সিলিন্ডারপ্রতি ২০০ রুপি দাম কমানোয় তা ৯০০ রুপিতে নেমে আসে। এবার আরও ১০০ রুপি দাম কমায় উজ্জ্বলা প্রকল্প বহির্ভূত গ্রাহকরা ৮০০ রুপিতে এলপিজি সিলিন্ডার নিতে পারবেন।
বিয়ের আগমুহূর্তে ছেলেকে হত্যা করে বাবা
ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বিয়ের কয়েক ঘণ্টা আগে অন্তত ১৫ বার ছুরিকাঘাতে বরকে হত্যা করেছে তার বাবা। এ ঘটনায় বাবাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ মার্চ) পুলিশের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) দিল্লির দেবলি এক্সটেনশনের নিহত যুবকের বাড়িতেই এ ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নিহত ২৯ বছর বয়সী গৌরব সিংগাল একটি জিমের মালিক। তার বাবা রঙ্গলাল সিংগালকে প্রতিদিন বিভিন্নভাবে অপমান করতেন তিনি। রাগের বশবর্তী হয়ে নিজের ছেলেকে হত্যা করেছে রঙ্গলাল। গৌরবের মুখে এবং বুকে অন্তত ১৫ বার ছুরিকাঘাত করেন তিনি। এতে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। ডেপুটি কমিশনার অব পুলিশ (দক্ষিণ দিল্লি) অঙ্কিত চৌহান জানিয়েছেন, গৌরব সিংগালকে বৃহস্পতিবার রাজু পার্কে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে। ঘটনার পর গৌরবের বাবা রঙ্গলাল গাঢাকা দেন। সন্ধ্যায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
৫ বছর পর এই প্রথম কাশ্মীরে শোভাযাত্রা-সমাবেশ মোদির
জম্মু-কাশ্মীরের স্বায়ত্বশাসন বাতিলের ৫ বছর পর এই প্রথম এ রাজ্যের রাজধানী শ্রীনগর যাচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। দিনভর একগুচ্ছ কর্মসূচি রয়েছে তার। উদ্বোধন করবেন একাধিক প্রকল্পের। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) শ্রীনগরের বকশি স্টেডিয়ামে জনসভা রয়েছে নরেন্দ্র মোদির। সেখান থেকেই ভার্চুয়ালি ঐতিহ্যবাহী হজরতবাল মসজিদের সংস্কার প্রকল্প, সোনমার্গের ‘স্কি ড্র্যাগ লিফ্ট’-এর উদ্বোধন করবেন তিনি। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নিজস্ব রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টি বিজেপির দলীয় সূত্রের খবর অনুয়ায়ী, সব মিলিয়ে কাশ্মীরের জন্য ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকার প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন তিনি।  উল্লেখ করা যেতে পারে গত ২০১৯ সালের ৫ই অগাস্ট কেন্দ্রীয় সরকার সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে দেয়। গত বছর ডিসেম্বরে ভারতের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ রায় দেয়, কেন্দ্রীয় সরকারের ৩৭০ ধারা বাতিলের সিদ্ধান্ত অসাংবিধানিক নয়। এই রায়ের পর, আজ কাশ্মীরে পা রাখছেন প্রধানমন্ত্রী। সামনেই ভারতের আসন্ন লোকসভা নির্বাচন।  অন্যদিকে ইতোমধ্যেই জম্মু ও কাশ্মীরে বিধানসভা নির্বাচনের দাবি জানিয়েছেন বিরোধী নেতারা। এর মাঝেই প্রধানমন্ত্রীর কাশ্মীর সফর অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন দেশের ওয়াকিবহাল মহল।
শরীরটা পুরুষের, হাত দুটো শুধু নারীর
পেশায় ছিলেন চিত্রশিল্পী, রঙ-তুলিই ছিল তার জীবন। ছবি এঁকেই উপার্জন করতেন অর্থ। আর সেই দুই হাতই ট্রেন দুর্ঘটনায় কাটা পড়ে দুর্বিষহ হয়ে উঠেছিল জীবন। আয়-রোজগার নেই, সংসারও চালাতে হয় বহু কষ্টে। আর এমন অবস্থাতেই এক নারীর দান করা দুটি হাত জোড়া লাগল ওই ব্যক্তির কাটা পড়া হাতের সঙ্গে। মূলত ব্রেথ ডেড এক নারীর দান করা হাতই জোড়া লেগেছে ৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তির শরীরে। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে অপারেশন চলার পর দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন এই দুই হাত পেলেন ওই চিত্রশিল্পী। বুধবার (৬ মার্চ) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়ে আর কোনওদিন রঙ-তুলি ধরতে পারবেন না ভেবেই অবসাদে চলে যাচ্ছিলেন ৪৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি। কিন্তু জীবন তাকে নতুন সুযোগ দিলো। চিকিৎসকদের দক্ষতায় নতুন দুই হাত পেয়েছেন তিনি। আর এতে করে আবারও তিনি ধরতে পারবেন রঙ-তুলি। সংবাদমাধ্যম বলছে, দিল্লিতে এই প্রথম হাত প্রতিস্থাপনের অপারেশন হলো। দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালে ব্রেন-ডেথ রোগীর দুই হাত নিয়ে তা সফলভাবে প্রতিস্থাপন করা হয় ওই চিত্রশিল্পীর কেটে বাদ দেওয়া দুই হাতের জায়গায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, দাতার থেকে নেওয়া হাতের শিরা-ধমনী, হাড়-মজ্জা-মাংস সব নিখুঁতভাবে জোড়া লেগেছে গ্রহীতার হাতের সঙ্গে। দাতার থেকে নেওয়া হাত চিত্রশিল্পীর শরীরে মিলেও গেছে। নতুন দুই হাত দিয়ে এখন সব কাজই করতে পারবেন এই শিল্পী। এর আগে ২০২০ সালে ট্রেন দুর্ঘটনায় দুই হাত হারিয়েছিলেন ওই চিত্রশিল্পী। তিনি বলছেন, দিল্লির স্যার গঙ্গারাম হাসপাতালের চিকিৎসকরা তাকে হাত প্রতিস্থাপন সম্ভব বলে জানিয়েছিলেন। শুধু দাতার খোঁজ করতে হবে। সে সুযোগও এসে যায়। মীনা মেহতা নামে ব্রেন-ডেথ এক রোগীর দুই হাত নিয়েই প্রতিস্থাপন করার পরিকল্পনা করেন চিকিৎসকরা। দক্ষিণ দিল্লির একটি স্কুলের প্রশাসনিক প্রধান ছিলেন মীনা। তিনি লিখিতভাবেই তার অঙ্গ প্রতিস্থাপনের অনুমতি দিয়ে গিয়েছিলেন। এরপরই মীনার লিভার, কিডনি, হার্ট নেওয়ার পাশাপাশি দুই হাতও প্রতিস্থাপন করার কথা ভাবেন ডাক্তাররা। ১২ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা অপারেশনে নিখুঁতভাবে মীনার দুই হাত চিত্রশিল্পীর কাটা হাতের জায়গায় জুড়ে দেওয়া হয়। চিকিৎসকরা বলছেন, লিভার, কিডনি প্রতিস্থাপনের মতোই হাত প্রতিস্থাপনও খুবই জটিল প্রক্রিয়া। দাতার হাত গ্রহীতার শরীর গ্রহণ করবে কিনা সেটাই আসল ব্যাপার। অনেক সময় দেখা যায়, হাড়-মাংস বা ধমনী জুড়লেও শরীরে সেই হাত ঠিকমতো কাজ করতে পারছে না বা নতুন বসানো হাতে রক্ত সরবরাহ হচ্ছে না। তখন বিপদ বাড়তে পারে। মূলত এই ধরনের অপারেশনের ক্ষেত্রে শিরা, ধমনী, স্নায়ু ও টেন্ডন (শক্ত ও মোটা তন্তু) সব ঠিকঠাক ভাবে জুড়তে হয়। প্লাস্টিক সার্জারি, অর্থোপেডিক, নেফ্রোলজি-সহ অনেকগুলো বিভাগের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দরকার হয়। চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এই প্রতিস্থাপনের পরবর্তী অধ্যায়ও গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গ্রহীতার শরীর কতটা সেই অঙ্গ গ্রহণ করবে, সে দিকে খুব সতর্ক ভাবে নজর রাখতে হয়। শরীর যাতে ওই অঙ্গকে প্রত্যাখ্যান না করে, সে জন্য গ্রহীতাকে সারা বছর ইমিউনো থেরাপি নিতে হবে যেন তার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। ৪৫ বছর বয়সী ওই চিত্রশিল্পীকে আগামীকাল স্যার গঙ্গা রাম হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। সূত্র : এনডিটিভি
ভারতে প্রথম নদীর নিচে মেট্রোরেল
ভারতের কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গবাসীর দীর্ঘদিনের অপেক্ষার অবসান হলো। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই গঙ্গার নিচ দিয়ে চলল মেট্রোরেল।  বুধবার (৬ মার্চ) সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এ রুটের উদ্বোধন করেন।  জানা গেছে, এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশন থেকে গঙ্গার নিচের মেট্রোরেল রুটের উদ্বোধন করেন নরেন্দ্র মোদি। দক্ষিণ কলকাতার তারাতলা থেকে মাঝেরহাট পর্যন্ত সম্প্রসারিত অংশেরও উদ্বোধন করেছেন তিনি। উদ্বোধনের পরেই গঙ্গার নিচে মেট্রো সফর করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। এরপরই দলীয় নির্বাচনী প্রচারে রাজ্যের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার বারাসাতের উদ্দেশ্যে রওনা হন মোদি। গঙ্গার নিচের মেট্রো রুটের উদ্বোধনে মাধ্যমে হাওড়া ময়দান থেকে এসপ্ল্যানেড রুট ছাড়াও, নিউ গড়িয়া থেকে রুবি পর্যন্ত অরেঞ্জ লাইন মেট্রো রুট, এবং জোকা-তারাতলা পার্পল লাইনে মেট্রো পরিষেবা চালু হলো। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস, বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও।   
স্ত্রীর ভয়ে বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ালেন বাংলাদেশি যুবক!
স্ত্রীর ভয়ে ই-মেইলের মাধ্যমে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়িয়েছেন নজরুল ইসলাম (২৯) নামের এক বাংলাদেশি যুবক। সোমবার (৪ মার্চ) কলকাতার নিউমার্কেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করেছে দেশটির পুলিশ। জানা গেছে, স্ত্রীর কাছে মিথ্যা বলে ধরা পড়ার ভয়ে ভারতের দিল্লি বিমানবন্দরে বোমাতঙ্ক ছড়ান নজরুল। দিল্লি-কলকাতাগামী একটি ফ্লাইটে বিস্ফোরক নিয়ে বিমানবন্দরে ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে তাকে দিল্লি পুলিশ রিমান্ডে নিয়েছে। গত ২৭ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনার জেরে তদন্ত করে দিল্লি পুলিশের সাইবার ক্রাইম শাখা ও স্পেশাল টাস্ক ফোর্স।  যুক্তরাষ্ট্রে গবেষণার কাজে যুক্ত রয়েছেন এমন মিথ্যা বলে ২০২৩ সালে সোনিয়া নামে নয়াদিল্লির এক নারীকে বিয়ে করেন নজরুল। পাঞ্জাবের একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর পড়ার সময় সোনিয়ার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক তৈরি হয় তার। মাস্টার্স শেষে ২০২০ সালে নজরুল বাংলাদেশে ফিরলেও তাদের মধ্যে যোগাযোগ ছিল। বিয়ের পর থেকে নজরুলের স্ত্রী সোনিয়াকে বারবার যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার কথা বললে বিষয়টি এড়িয়ে যেতে শুরু করেন তিনি। দিল্লিতে চলমান কৃষক আন্দোলনের কারণে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরতে পারছেন না বলে স্ত্রীকে জানান। স্ত্রীর সন্দেহ হলে গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভাইকে কলকাতায় নজরুলের থাকার বিষয়টি সত্যতা যাচাই করতে পাঠাতে চায়। বিষয়টি নজরুল জেনে যায়। শ্যালককে বিমানবন্দরেই আটকাতে এক যাত্রী বোমা বহন করছেন বলে দিল্লি বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের কাছে ভুয়া ই-মেইল পাঠান। আর এতেই বোমাতঙ্ক ছড়ায় বিমান বন্দরজুড়ে। নজরুলকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, নজরুল কলকাতার নিউমার্কেটের একটি হোটেলে প্রায় এক মাসের বেশি সময় ধরে ছিলেন। সে বাংলাদেশ থেকে আনা প্রায় ৫০ লাখ টাকা প্রতারণা করে লুকিয়ে রাখতেই কলকাতায় থাকেন। তার পাসপোর্ট, ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। নজরুল ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন। তাকে ট্রানজিট রিমান্ডে দিল্লি নেওয়া হয়েছে এবং ভুয়া ই-মেইল পাঠানোর দায়ে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।   দিল্লি পুলিশ কর্মকর্তা রাংনানি জানান, এভিয়েশনের ওপর একটি কোর্স করেছেন বলে জানিয়েছেন নজরুল। পাওনাদারদের কাছ থেকে বাঁচতে তিনি ভারতে থাকছেন।
বাংলাদেশের চেয়েও ভারতে বেকারত্বের হার বেশি : রাহুল গান্ধী
নরেন্দ্র মোদির আমলে ভারতে বেকারত্বের হার বিগত ৪০ বছরের মধ্যে ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে বলে মন্তব্য করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। এ সময় বাংলাদেশের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ভারতের তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার পাকিস্তানের প্রায় দ্বিগুণ এবং বাংলাদেশ, ভুটানের মতো দেশের চেয়েও বেশি। রোববার (৩ মার্চ) মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে ‘ভারত জোড়ো ন্যায়যাত্রা’য় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন রাহুল। আন্তর্জাতিক শ্রমিক সংগঠনের (আইএলও) এক পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার এখন ২৩ শতাংশ। মোদির জিএসটি এবং নোটবন্দি নীতির কারণেই ভারতে ক্ষুদ্র ব্যবসা কার্যত শেষ হয়ে গেছে। আইএলও’র ২০২২ সালের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের নিরিখে গোটা বিশ্বে যে ৬টি দেশ একেবারে পেছনের সারিতে রয়েছে, তার মধ্যে ভারত অন্যতম। এই ৬টি দেশের মধ্যে ভারতের সঙ্গে রয়েছে যুদ্ধবিধ্বস্ত সিরিয়া, আর্মেনিয়া, লেবানন, ইয়েমেন ও ইরান। ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে এই পরিসংখ্যান তুলে ধরে এক্স-এ পোস্ট করেছিলেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক মুখ্য অর্থনীতিবিদ কৌশিক বসু। রাহুল সেই পরিসংখ্যানই তুলে ধরেছেন। ২০২২ সালের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, পাকিস্তানের বেকারত্বের হার ১১ দশমিক ৩ শতাংশ এবং বাংলাদেশে বেকারত্বের হার ১২ দশমিক ৯ শতাংশ। কংগ্রেসের এ নেতার অভিযোগ, ২০১৪ সালে মোদি সরকার যখন ক্ষমতায় আসে, তখন ভারতে তরুণদের মধ্যে বেকারত্বের হার ছিল ২১ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০১৮ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ শতাংশ। ২০১৯ সালে কিছুটা কমলেও করোনার বছর ২০২০ সালে বেকারত্বের হার ৩০ শতাংশ পার হয়ে গিয়েছিল ভারতে। এখন কিছুটা কমে ২৩ শতাংশে। এরপরেও মোদি বলেন যে, তিনি গরিবদের জন্য কাজ করছেন।