• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
সুন্দরবনে রয়েল বেঙ্গলের সেঞ্চুরি
বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে নাক না গলাতে মমতাকে বার্তা নয়াদিল্লির
কোটা সংস্কার আন্দোলন নিয়ে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যের জেরে ক্ষোভ জানিয়েছিল বাংলাদেশ সরকার। এর প্রেক্ষিতে মমতাকে এবার কড়া বার্তা দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যু নিয়ে তাকে নাক না গলাতে বলে দেওয়া হয়েছে দেশটির পরারাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে।   বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জসওয়াল। কলকাতার মেট্রো চ্যানেলে গত রোববার (২১ জুলাই) এক দলীয় সমাবেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের বক্তব্য বলেন, ‘বাংলাদেশে ছাত্র-ছাত্রীদের রক্ত ঝরছে।’ পরে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্যের লিখিত প্রতিবাদ জানায় বাংলাদেশ সরকার। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বাংলাদেশের কাছ থেকে পাওয়া সেই আপত্তিবার্তার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। একইসঙ্গে তিনি বলেছেন, মমতাকে জানানো হয়েছে, বাংলাদেশ বা অন্য কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে কোনো রাজ্যের ‘নাক গলানোর’ প্রয়োজন নেই।  ব্রিফিংকালে তিনি আরও জানান, ভারতীয় সংবিধানের সপ্তম তফসিলের (শিডিউল) প্রথম তালিকার ১০ নম্বর বিষয়টিতে বলা আছে, পররাষ্ট্র সংক্রান্ত সবকিছুই কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন, কেন্দ্রীয় তালিকাভুক্ত। এ ক্ষেত্রটি রাজ্য তালিকা কিংবা যুগ্ম তালিকায় নেই, রয়েছে কেন্দ্রীয় তালিকায়। কাজেই পররাষ্ট্রসংক্রান্ত কোনো বিষয়ে কোনো রাজ্য সরকারেরই বিন্দুমাত্র এখতিয়ার নেই। যা রাজ্যের বিষয় নয়, তা নিয়ে রাজ্য সরকারের মাথা ঘামানোর কিছু নেই। প্রসঙ্গত, গত ২১ জুলাই কলকাতার ওই সমাবেশ থেকে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কোটা সংস্কার আন্দোলন ও অশান্তি প্রসঙ্গ তুলে মমতা বলেন, বাংলাদেশ থেকে কেউ পশ্চিমবঙ্গের দরজায় এলে তিনি ফেরাবেন না। এ বিষয়ে জাতিসংঘের একটি সনদের কথাও উল্লেখ করেছিলেন তিনি। তবে একইসঙ্গে এও বলেছিলেন, ‘এ বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারবেন না। কারণ বাংলাদেশ একটি স্বতন্ত্র দেশ।’
তিন হাজারের বেশি ভারতীয় নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়েছে
বাংলাদেশের পরিস্থিতি শিগগিরই স্বাভাবিক হবে প্রত্যাশা ভারতের  
জম্মু-কাশ্মীরে গোলাগুলিতে ভারতীয় মেজরসহ চার সেনা নিহত
ব্যস্ত সড়ক খুঁড়তেই বেরিয়ে এলো নারীর মরদেহ
কলকাতার জলাশয়ে বাংলাদেশি যুবকের মরদেহ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা মহানগরীর সায়েন্স সিটি এলাকার জলাশয় থেকে মহম্মদ দাউদ হোসেন উপল (২৩) নামে এক বাংলাদেশি যুবকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (১০ জুলাই) প্রগতি ময়দান থানা এলাকায় বরুণ সেনগুপ্ত মেট্রো স্টেশনের কাছের একটি জলাশয়ে পড়ে ছিল ওই যুবকের লাশ। দাউদ হোসেন উপল ঢাকার মহম্মদপুরের মীর মোশারফ হোসেনের ছেলে। তার কাছে থাকা নথিপত্র দেখে বাংলাদেশি হিসেবে শনাক্ত করে পুলিশ। কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকাল ৯টার দিকে বরুন সেনগুপ্ত মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি পুকুরের পাড়ে ওই যুবককে ঘোরাঘুরি করতে দেখেন স্থানীয়রা। হঠাৎ তিনি পুকুরে ঝাঁপ দেন। স্থানীয়রা প্রগতি ময়দান থানায় খবর দেন। পরে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী লাশটি উদ্ধার করে। তার কাছে থাকা নথিপত্র দেখে জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক। ঢাকার মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা। এ নিয়ে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। লাশ ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়েছে বলে জানা যায়।  আরও জানা যায়, কয়েকদিন আগে বাংলাদেশ থেকে কলকাতায় এসেছিলেন ওই যুবক। উপল কেন কলকাতায় এসেছিলেন? কেনইবা পুকুরে ঝাঁপ দিলেন— এসব বিষয়ে তদন্ত করে দেখছে কলকাতা পুলিশ।‌
ভারতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১৮
ভারতের উত্তর প্রদেশ রাজ্যে এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহত হয়েছে আরও অন্তত ১৯ জন। দেশটির উত্তর প্রদেশের লখনৌ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে ডাবল-ডেকার বাসের সঙ্গে দুধের ট্যাংকারের সংঘর্ষে হতাহতের এই ঘটনা ঘটে।  বুধবার (১০ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উত্তর প্রদেশের উন্নাওতে দুধবহনকারী ট্যাংকারের সাথে ডাবল-ডেকার বাসের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৮ জন নিহত এবং আরও ১৯ জন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে তিন নারী ও এক শিশু রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশ জানায়, বাসটি বিহার রাজ্যের সীতামারহি থেকে দিল্লির দিকে যাচ্ছিল। ভোরের দিকে লখনৌ-আগ্রা এক্সপ্রেসওয়েতে বেহতা মুজাওয়ার এলাকায় এসে এই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে আহতদের দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এই দুর্ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং আহতদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করতে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে তার অফিস জানিয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে ধারণা করা হচ্ছে, বাস চালকের ঘুমিয়ে পড়ার কারণেই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। দুর্ঘটনার সঠিক কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং নিহত ও আহতদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে।
বাংলাদেশিদের কিডনি চুরি, ভারতের চিকিৎসকসহ গ্রেপ্তার ৬
বাংলাদেশি রোগীদের কিডনি চুরির সঙ্গে জড়িত আন্তর্জাতিক চক্রের অন্তত ছয় সন্দেজভাজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাদের মধ্যে তিন বাংলাদেশিও রয়েছেন। কিডনি চুরির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ভারতের এক চিকিৎসককেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  দিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের ওই চিকিৎসকের নাম বিজয়া কুমারি। এমন খবর জানিয়েছে দেশটির বিভিন্ন গণমাধ্যম। ভারতের বিভিন্ন গণমাধ্যম জানায়, ইয়াথার্থ নামের একটি হাসপাতালে কিডনি অপসারণের কাজ করা হতো। ২০২১ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত অন্তত ১৬ জন রোগীর কিডনি অপসারণ করা হয়েছে। এসব রোগীর বেশিরভাগই বাংলাদেশি। পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় এই চক্র দালালদের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়াদিল্লির আশপাশের কিছু হাসপাতালে নিয়ে আসা হতো। সেসব হাসপাতালে চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ করতেন। দিল্লি পুলিশের বরাত দিয়ে নিউজ এইটিন জানিয়েছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন শহরে ডায়ালাইসিস সেন্টারে ঘুরে ঘুরে রোগী জোগাড় করত চক্রের সদস্যরা। যেসব রোগীর অর্থনৈতিক সামার্থ আছে, ভারতে নিয়ে গিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনের গোপন চুক্তি করত তাদের সঙ্গে। প্রতিটি কিডনির জন্য এই চক্র কিডনি গ্রহীতার কাছ থেকে ২০-২৫ লাখ টাকা করে নিতো। সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, রোগী খোঁজার পাশাপাশি তারা কিডনিদাতাও বাংলাদেশেই খুঁজে বের করত। অভাবি, অসহায় মানুষদের টাকার লোভ দিয়ে কিডনি বিক্রিতে রাজি করায় চক্রের দালালরা। তারপর তাদের ভারতে এনে রোগী অর্থাৎ কিডনি গ্রহীতার সঙ্গে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করিয়ে চুক্তি চূড়ান্ত করত।
কাশ্মীরে জঙ্গি হামলায় ৫ ভারতীয় সেনা নিহত
জম্মু-কাশ্মীরে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের অতর্কিত হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর অন্তত পাঁচ সেনার মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ছয়জন সেনা সদস্য।  বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাহাড়ের আড়ালে লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা সামরিক যানে থাকা সেনাদের ওপর হামলা চালান। হামলার পরপরই ঘটনাস্থলে বাড়তি সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গিদের খোঁজে তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। কর্মকর্তারা জানান, পরে বাহিনীর আরও সদস্যরা সেখানে ছুটে যান এবং হামলাকারীদের ধরতে অনুসন্ধান অভিযান চালান। কাশ্মীর ১৯৮৯ সাল থেকে ভারতীয় শাসনের বিরুদ্ধে সশস্ত্র বিদ্রোহ দেখে আসছে, তবে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সহিংসতা কমেছে। সোমবার বিকেলে জম্মুতে হামলার ঘটনা ঘটে। গত এক মাসে এ অঞ্চলে সহিংসতা কিছুটা বেড়েছে। গত মাসে ওই অঞ্চলে হিন্দু তীর্থযাত্রীদের বহনকারী একতি বাসে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের হামলায় ৯ জন নিহত হন। আহত হন ৩৩ জন।   প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং সর্বশেষ হামলায় প্রাণহানির ঘটনায় গভীর ক্ষুব্ধ হয়েছেন। এক্স হ্যান্ডলে এক পোস্টে তিনি নিহতদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান। তিনি লেখেন, জঙ্গিবিরোধী অভিযান চলছে। আমাদের সেনারা এ অঞ্চলে শান্তিশৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বদ্ধপরিকর। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জঙ্গিরা পাহাড় থেকে নেমে এসে প্রাথমিকভাবে একটি ট্রাক লক্ষ্য করে হামলা চালায়। কর্মকর্তারা জানান পাঁচ সেনা আহত হয়েছেন। জুন থেকে এ পর্যন্ত জম্মু অঞ্চলে সাতটি হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দেবো না: মমতা
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার চাইলেও বাংলাদেশকে তিস্তার পানি দেবেন না বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।  সোমবার (৮ জুলাই) পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারের সচিবালয় ‘নবান্ন’তে এক সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সরকারকে দেওয়া ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের ওয়াদা রাখতে পারবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। খবর আনন্দবাজার পত্রিকার।   মূলত, মমতা ব্যানার্জির কারণেই ভারত সরকার গত এক যুগেরও বেশি সময় ধরে চেষ্টা করেও বাংলাদেশের সঙ্গে তিস্তা পানি চুক্তি করতে পারছে না। সবশেষ সংবাদ সম্মেলনেও তিস্তা পানি চুক্তির ব্যাপারে নিজের অবস্থান আরেকবার স্পষ্ট করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী।  সোমবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক শেষে উত্তরবঙ্গের বন্যা পরিস্থিতি, শহরে যানজট থেকে মূল্যবদ্ধি, বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন তিনি। ডিভিসির জল ছাড়া নিয়ে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার তথা বিজেপি সরকারের ওপর রীতিমত আক্রোশ ঝাড়েন তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী।  মমতা বলেন, গঙ্গায় ভাঙন দেখার দায়িত্ব কেন্দ্রের। কিন্তু কেন্দ্র তা করেনি। বাঁধ থেকে পানি ছাড়ার আগে প্রতিদিন ডিভিসির তাকে রিপোর্ট দিতে হবে বলেও দাবি জানান মমতা।  তিস্তা চুক্তির নবায়ন নিয়েও কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি। বলেন, গঙ্গার ভাঙনে যেসব বাড়ি তলিয়ে গেছে, সেগুলি নতুন করে তৈরি করে দেয়া হবে বলে জানিয়েছিল। ৭০০ কোটি টাকা আজ পর্যন্ত দেয়নি। ফরাক্কা চুক্তি নবায়ন হলে বিহারও ভাসবে। মূল পক্ষ আমরা। আমাদের জানানো হল না। বলছে তিস্তার পানি দেবে বাংলাদেশকে। পানি রয়েছে যে দেবে? বাংলাদেশকে পানি দিলে উত্তরবঙ্গে কেউ পানীয় জল পাবেন না।  
বাংলাদেশিদের কিডনি পাচার চক্রে জড়িত অভিযোগে গ্রেপ্তার ভারতীয় চিকিৎসক
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার আন্তঃদেশীয় একটি কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ডা. বিজয়া কুমারি (৫০) নামে এক ভারতীয় চিকিৎসককে গ্রেপ্তার করেছে নয়াদিল্লি পুলিশ। ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লি ভিত্তিক ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের চিকিৎসক তিনি। খবর দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের।  প্রাথমিক অভিযোগে জানা গেছে, ওই নারী চিকিৎসক রাজধানী দিল্লির পার্শ্ববর্তী নয়ডা শহরে ‘যথার্থ’ নামের একটি হাসপাতালে অপারেশনের নামে অন্তত ১৫ থেকে ১৬ জন ব্যক্তির কিডনি সরিয়েছেন। কিডনি পাচারকারী দলের সদস্য হিসেবে এসব অপারেশন করেছেন তিনি। যাদের কিডনি তিনি সরিয়েছেন, তাদের অধিকাংশই বাংলাদেশের নাগরিক। ২০২১ থেকে ২০২৩ সালের বিভিন্ন সময়ের মধ্যে এই অপকর্ম করেছেন তিনি। ভারতীয় পুলিশ জানিয়েছে, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সক্রিয় একটি চক্র দালালদের মাধ্যমে দরিদ্র বাংলাদেশিদের অর্থের লোভ দেখিয়ে নয়াদিল্লির আশপাশের কিছু হাসপাতালে নিয়ে আসত। সেসব হাসপাতালে চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকরা বাংলাদেশিদের কিডনি অপসারণ করতেন। পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, দিল্লিতে একাধিক কিডনি পাচারকারী চক্র সক্রিয়। ডা. বিজয়া কুমারি যে চক্রটির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, ওই চক্রের অধিকাংশই বাংলাদেশি। গত মাসে নয়াদিল্লি থেকে এই চক্রের তিনজনকে গ্রেপ্তার করে দিল্লি পুলিশ। তাদের সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। উল্লেখ্য, বিশ্বের অধিকাংশ দেশের মতো ভারতেও অর্থের বিনিময়ে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিক্রি করা নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তবে, কোনো ব্যক্তি যদি স্বেচ্ছায় কাউকে কিডনি বা অন্য কোনো প্রত্যঙ্গ প্রদান করতে চান, তাহলে তা বৈধ। এক্ষেত্রে দাতা ও গ্রহীতার নাম-পরিচয় ও অন্যান্য তথ্য কর্তৃপক্ষকে জমা দিতে হয়। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, চক্রটি কেবল বাংলাদেশ থেকে আসা ভিকটিমদের কিডনি অপারেশন করত এবং দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে এসব অপারেশন সংক্রান্ত বিভিন্ন ভুয়া নথি প্রদান করত। সেসব নথিও জব্দ করেছে পুলিশ। ডা. বিজয়া কুমারি নয়াদিল্লির ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা এবং কিডনি প্রতিস্থাপন বিষয়ক সার্জন। প্রায় ১৫ বছর আগে জুনিয়র ডাক্তার হিসেবে ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলোতে যোগ দেন তিনি। অ্যাপোলোর পাশাপাশি নয়ডার ‘যথার্থ’ হাসপাতালের ভিজিটিং কনসালটেন্ট ও সার্জনও ছিলেন এই নারী চিকিৎসক। ওই হাসপাতালের অতিরিক্ত মেডিকেল সুপারিটেন্ডেন্ট সুনীল বালিয়ান জানিয়েছেন, যেসব ব্যক্তির কিডনি ডা. বিজয়া কুমারি অপসারণ করেছেন, তাদের কেউই ওই হাসপাতালের রোগী ছিলেন না। ভিজিটিং কনসালটেন্ট হিসেবে তিনি রোগী ভর্তির জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বরাবর সুপারিশ করতে পারতেন। যে ১৫-১৬ জন বাংলাদেশির কিডনি তিনি অপারেশন করেছেন, তাদের সবাইকে তার সুপারিশের ভিত্তিতেই ভর্তি করা হয়েছিল।  ডা. বিজয়া কুমারি ব্যতীত ইন্দ্রপ্রস্থ অ্যাপোলো হাসপাতালের আর কোনো চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কিডনি পাচার চক্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ইতোমধ্যে এ চিকিৎসককে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।