• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo
মণিপুরে জঙ্গিদের বোমা হামলায় নিহত দুই জওয়ান
রোবটের সাহায্যে সন্দেশখালি থেকে উদ্ধার অস্ত্র, বিস্ফোরক
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের দিনে খবরের শিরোনামে সন্দেশখালি। শাহজাহানের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে বিস্ফোরক-অস্ত্র উদ্ধার। সন্দেশখালিতে শুক্রবার সিবিআই, সিআরপিএফ ও ন্যাশনাল সিকিউরিটি গার্ড বা এনএসজি শাজাহান শেখের ঘনিষ্ঠের বাড়ি থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করেছে। এনএসজি রোবট এনে আরও বিস্ফোরক উদ্ধারের চেষ্টা করে যাচ্ছে। গোপন সূত্র থেকে খবর পেয়ে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীরা শাহজাহান শেখের ঘনিষ্ঠ হাফিজুল খাঁর ভগ্নীপতির বাড়ি থেকে অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করে। সবচেয়ে বড় কথা, এবার অস্ত্র ও বিস্ফোরক উদ্ধার করার কাজে রোবটের সাহায্য নেওয়া হয়। টিভির পর্দায় দেখা যায়, রোবট কী করে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের খোঁজ করছে। হাফিজুলের আত্মীয়ের বাড়ির চারপাশে মাছের ভেড়ি। সেখানে মাটি খুঁড়ে প্রচুর বিদেশি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে বলে সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে। মেঝে খুঁড়েও অস্ত্রের খোঁজ মিলেছে। ফলে এলাকায় নতুন করে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে।  ভোটের ছবি শুক্রবার পশ্চিমবঙ্গের তিনটি কেন্দ্র দার্জিলিং, রায়গঞ্জ ও বালুরঘাটে শুক্রবার হয়েছে। বিকেল ৩টা পর্যন্ত তিনটি কেন্দ্রেই প্রায় ৬০ শতাংশ ভোট পড়েছে। প্রচণ্ড গরমের জন্য মানুষ সকাল সকাল ভোটের লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। দুপুরের পরে আবার বুথে লম্বা লাইন দেখা গেছে। ফলে দিন শেষে ভোটের হার ৭০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের তিন কেন্দ্রে বড় কোনো অশান্তির ঘটনা ঘটেনি। বালুরঘাটে বিজেপি প্রার্থী সুকান্ত মজুমদারকে লক্ষ্য করে গো ব্যাক স্লোগান দেয় তৃণমূল কর্মীরা। দার্জিলিংয়ে বিজেপি প্রার্থী রাজু বিস্তার সঙ্গে তৃণমূল কর্মীদের বিতণ্ডা হয়েছে। রাজুকে ঘিরে তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। সুকান্তকে ঘিরেও বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। সারা দেশে ভোট দেশের অন্যত্র পশ্চিমবঙ্গের তুলনায় কম ভোট পড়েছে। দেশেভোট পড়ার গড় হার হলো ৫০ শতাংশ। কোথাও কোনো গোলমাল হয়নি।
ভারতে ভোট দিতে গিয়ে হিটস্ট্রোকে ৫ জনের মৃত্যু
গাধার দুধ বিক্রি করে কোটিপতি, গড়ে তুলেছেন খামার (ভিডিও)
মোদি ও রাহুলের বিরুদ্ধে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ, ইসির নোটিশ
ভারতের পাটনায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে নিহত ৬
ভারতীয় হৃদয়ে প্রাণ বাঁচল পাকিস্তানি তরুণীর
আয়েশা রাশান। ১৯ বছরের এক পাকিস্তানি তরুণী। হৃদপিণ্ডের দুরারোগ্য এক সমস্যায় ভুগছিলেন। প্রতিস্থাপন ছাড়া আর কোনো উপায়ই ছিল না ওই ব্যাধি থেকে মুক্তির। কিন্তু পরিবারের আর্থিক সামর্থ্য ছিল না সেই চিকিৎসার খরচ চালানোর, মিলছিল না কাঙ্ক্ষিত ডোনারও। এদিকে ক্রমেই জীবনপ্রদীপ নিভে আসছিল আয়েশার, সঙ্গে দূর আকাশে মিলিয়ে যাচ্ছিল তার ফ্যাশন ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন। এরই মধ্যে করাচির এ তরুণীর জীবনে ত্রাণকর্তা হয়ে আবির্ভূত হলো পাশের দেশ ভারত।  সম্পূর্ণ বিনামূল্যে তার হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের সার্জারিটি সম্পন্ন করলেন চেন্নাইয়ের এমজিএম হেলথকেয়ারের চিকিৎসকরা। ভারতীয় এক হৃদপিণ্ডে নতুন জীবনের মুখ দেখলেন পাকিস্তানি তরুণী। বুধবার (২৪ এপ্রিল) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এই তথ্য। মেয়ের নতুন জীবন পেয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেনি আয়েশার পরিবার। তারা বলেছে, ট্রাস্ট এবং চেন্নাইয়ের ডাক্তারদের সহায়তা ছাড়া অপারেশনটির খরচ বহন করা তাদের পক্ষে সম্ভব হতো না। ভারতের চিকিৎসকরা তাদের কাছে দেবদূত হয়ে আবির্ভূত হয়েছেন। যে মেয়ের জীবনের আশা একটু একটু করে ফুরিয়ে আসছিল, সেই মেয়েকেই নতুন হৃদয় দিয়ে পুনর্জীবন দিয়েছেন তারা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, আয়েশার অবস্থা এখন স্থিতিশীল এবং তিনি পাকিস্তানে ফিরে যেতে পারবেন। তার হৃদযন্ত্রের কার্যকারিতা একদম শেষের দিকে ছিল। তাকে সেই অবস্থায় নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তার হৃদপিণ্ডে দুটি ফুটো হওয়ার কারণে সম্পূর্ণ হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের প্রয়োজন হয়। তারা জানান, একটি হার্ট ট্রান্সপ্লান্টে ৩৫ লাখ রুপির বেশি খরচ হয়ে থাকে। কিন্তু আয়েশার অপারেশনের সমস্ত ব্যয়ভার ট্রাস্ট এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বহন করেছে। ডা. কে আর বালাকৃষ্ণান, পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট), এবং ডা. সুরেশ রাও (সহ-পরিচালক (ইনস্টিটিউট অফ হার্ট অ্যান্ড লাং ট্রান্সপ্লান্ট) জানিয়েছেন, দানকারী হৃদপিণ্ডটি দিল্লি থেকে এসেছে। তারা আরও জানান, আয়েশা আমাদের মেয়ের মতোই। সে আসলেই ভাগ্যবতী। এ সময় তারা আরও জানান, তামিলনাড়ু অঙ্গদান এবং প্রতিস্থাপনে এগিয়ে গেছে। সরকারের কাছে হার্ট ট্রান্সপ্ল্যান্টের ব্যয়ভার আরও কমিয়ে আনার অনুরোধ জানান এ চিকিৎসকরা।  
মোদির বিরুদ্ধে ইসিতে ২০ হাজার নাগরিকের চিঠি
ভারতের রাজস্থানে গত রোববার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এক নির্বাচনী বক্তৃতায় তীব্র মুসলিম বিদ্বেষী বক্তব্য দিয়েছেন বলে অভিযোগ করেছে বিরোধী দলগুলো। মোদির বিচার চেয়ে নির্বাচন কমিশনে প্রায় ২০ হাজার ভারতীয় নাগরিকের চিঠি জমা পড়েছে। চিঠিগুলোতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নির্বাচনী প্রচারণায় নিষেধাজ্ঞা দেওয়ারও দাবি জানানো হয়েছে। তবে নির্বাচন কমিশন এখনও এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তারা বলছে, নির্বাচনী জনসভায় মোদি যা বলেছেন, তা ভয়ংকর। কমিশন ব্যবস্থা না নিলে নির্বাচনী সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা ও স্বশাসনের চরিত্রকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করাবে। ভারতের নির্বাচনে এবারও ধর্মীয় সংখ্যালঘু বিশেষ করে মুসলিম সম্প্রদায়কে নিশানা করে প্রচারণা চালাচ্ছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। একই সঙ্গে আক্রমণ করছেন প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসকেও। সম্প্রতি রাজস্থান ও উত্তর প্রদেশে পরপর দুটি নির্বাচনী জনসভায় কংগ্রেসকে লক্ষ্য করে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ক্ষমতায় এলে তারা সাধারণ মানুষের ধন-সম্পত্তি দখল করে মুসলমানদের মধ্যে বিলি-বাটোয়ারা করে দেবে। এ কথা তারা তাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারেও জানিয়ে দিয়েছে। তিনি বলেন, কংগ্রেস যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংসহ তার সরকারের নীতিনির্ধারকরা এ ধরনের অভিপ্রায়ের কথা বলেছিলেন। এই কংগ্রেসকে জনগণ ভোট দেবে কিনা? ‘তারা কি চান, তাদের কষ্টার্জিত সম্পত্তি, যারা শুধু কাঁড়ি কাঁড়ি বাচ্চার জন্ম দেয়, তাদের মধ্যে বাঁটোয়ারা হোক? তাদের সম্পদের মালিক হোক অনুপ্রবেশকারীরা?’ মুসলমানদের বিদ্রুপ করে প্রশ্ন ছোড়েন মোদি। ভারতের প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের পর দেশটির সংখ্যালঘু সম্প্রদায় মুসলিমদের মধ্যে আতঙ্ক বেড়েছে। এসব উসকানিমূলক বক্তব্য ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে সাধারণ মানুষ।  তবে দুইদিন পেরিয়ে গেলেও ভারতের নির্বাচন কমিশন নিরুত্তর। কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ তো দূরের কথা, মন্তব্য পর্যন্তও করেনি তারা। আর এ অবস্থার  মধ্যে দ্বিতীয় দফার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার।  
সমুদ্রের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে যৌথ উদ্যোগ ভারত ও ওমানের
চোরাচালার কিংবা অপহরণ, এ জাতীয় যেকোনো ধরনের বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করতে চলেছে ভারতীয় উপকূলরক্ষী বাহিনী এবং রয়েল ওম্যান পুলিশ।   বুধবার (২৪ এপ্রিল) সংশ্লিষ্ট বিষয়ে নয়াদিল্লিতে এক যৌথ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে সমুদ্রে বেআইনি কার্যকলাপ রুখতে এবং আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করতে বুধবার দিল্লিতে বিশেষ বৈঠক করলেন ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনী এবং রয়্যাল ওমান পুলিশ উপকূল রক্ষা বাহিনীর আধিকারিকরা।  ওমানের তরফে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন অ্যাসিস্ট্যান্ট অফিসার কমান্ডিং কর্নেল আব্দুল আজিজ মহম্মদ আলি আল জাবরী। ভারতীয় উপকূল রক্ষা বাহিনীর তরফে ডিরেক্টর জেনারেল রাকেশ পাল।  বৈঠকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করা হয়। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য দুই দেশের দক্ষতা বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ক্রস সিপ পরিদর্শন, সি রাইডার কর্মসূচি রূপায়ণ এবং অন্যান্য সহযোগী ব্যবস্থার মধ্যে পেশাদারি যোগসূত্র গড়ে তোলা। ভবিষ্যতে দুই দেশের সহযোগিতায় সামুদ্রিক নিরাপত্তা কাঠামো আরও মজবুত হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।  
পশ্চিমবঙ্গের বসিরহাটে সম্প্রীতির অনন্য নজির
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্তের মহকুমা শহর বসিরহাটে দেখা গেল সম্প্রীতির এক অনন্য নজির। মুসলিম সম্প্রদায়ের হাতে পানি খেয়ে টাকি রোডে রামনবমী মিছিল শুরু করলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা। গত রোববার (২১ এপ্রিল) বসিরহাটে রামনবমী উপলক্ষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় শোভাযাত্রায় যোগদানকারীদের যেন কোনো অসুবিধা না হয় তার জন্য প্রাচীন মাওলানাবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পানীয় জলের ব্যবস্থা করা হয়। এদিন দেখা গেছে, সংখ্যালঘু মুসলমান লোকজন পানীয় জল নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে রাস্তার পাশে। আর সেই জল পান করেই রামনবমীর মিছিলে সামিল শহর বসিরহাট। যেভাবে রাজ্যজুড়ে তীব্র দাবদহ চলছে। যেখানে বসিরহাটের তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে, সেখানে রাম নবমীর মিছিলে হাঁটা মানুষদের তৃষ্ণা মেটাতে রাস্তার ধারে বসিরহাট মাওলানাবাগ দরবার শরীফের পক্ষ থেকে পানীয় জল বিতরণের ব্যবস্থা করা হয়। রামনবমী উপলক্ষে যেসব ভক্তরা মিছিলে যোগদান করছেন তাদের হাতে পানীয় জলের বোতল তুলে দেন দরবার শরীফের সদস্য খোবায়েব আমিনসহ সদস্যরা। এই মিছিলে পা মেলান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী নীশিথ প্রামানিক ও বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র সহ একাধিক বিজেপি নেতৃত্ব। এদিন পানীয় জল বিতরণের মধ্য দিয়ে একে অপরকে আলিঙ্গন ও শুভেচ্ছা বিনিময়ের নজিরবিহীন ছবি দেখা যায়। যা ভারতের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এক অন্যতম নিদর্শন। এই মিছিল শুরু হয় বসিরহাট সোনপুকুর ধার থেকে গোটা শহর ঘুরে সেখানেই শেষ হয় প্রায় চার কিলোমিটার এই মিছিল পরিক্রমা হয় পা মেলাতে দেখা গেল কয়েক হাজার রাম ভক্ত অনুগামীদের নিরাপত্তার বেসট্রোনিতে মুড়ে রাখা হয়েছিল গোটা বসিরহাট শহর।
বাতাসেই ভেঙে পড়ল সেতু
ভারতের তেলেঙ্গানা রাজ্যে রাতে একটু ঝড়ো বাতাসেই ধসে পড়েছে ৮ বছর ধরে নির্মাণাধীন সেতু। এ ঘটনায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পেয়েছেন অর্ধ-শতাধিক মানুষ। ধ্বংসস্তূপ এদিক-সেদিক হলেই তার নিচে চাপা পড়তেন তারা। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। সোমবার দিবাগত রাতে তেলেঙ্গানা রাজ্যের পেদ্দাপল্লী জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ঘটনার দিন রাতে তেলেঙ্গানার পেড্ডাপল্লি জেলায় একটি নির্মীয়মাণ সেতুর একাংশ ভেঙে পড়ে। রাত পৌনে ৯টার দিকে প্রচণ্ড বাতাসের কারণে দুটি পিলারের মধ্যে পাঁচটি কংক্রিটের গার্ডার ভেঙে পড়ে। বাকি তিনিটি শিগগিরই ভেঙে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। সেতুটি থেকে ৬০০ মিটার দূরে ওদেদু গ্রামের সরপঞ্চ সিরিকোন্ডা বাক্কা রাও বলেন, সৌভাগ্যক্রমে একটি ৬৫ জনের একটি বিয়ের বাস মাত্র এক মিনিট আগে অতিক্রম করে কংক্রিটের নিচে চাপা পড়ার হাত থেকে রক্ষা পায়। ২০১৬ সালে তৎকালীন তেলেঙ্গানা বিধানসভার স্পিকার এস মধুসূদন চারী এবং স্থানীয় বিধায়ক পুট্টা মধু মানাইর নদীর ওপর প্রায় এক কিলোমিটার সেতুর উদ্বোধন করেছিলেন এবং এর জন্য প্রায় ৪৯ কোটি টাকা মঞ্জুর করা হয়েছিল। কাজটি এক বছরের মধ্যে শেষ করার কথা ছিল এবং তিনটি শহর মন্থনী, পরাকাল এবং জাম্মিকুন্টার মধ্যে দূরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার কমিয়ে আনার কথা ছিল। সেতুটি ভূপালপল্লীর টেকুমাতলা মণ্ডলের গারমিল্লাপাল্লু থেকে পেড্ডাপল্লীর ওডেডেডুকে সংযুক্ত করার কথা ছিল। স্থানীয়রা জানান, কমিশনের জন্য চাপ থাকায় এবং সরকার তার বকেয়া পরিশোধ না করায় ঠিকাদার এক বা দুই বছরের মধ্যে কাজ বন্ধ করে দেন। ওই একই ঠিকাদার ভেমুলাওয়াদায় একটি সেতু নির্মাণ করেছিলেন যা ২০২১ সালে ভারী বৃষ্টিতে ভেসে যায়। গ্রামবাসীরা গত পাঁচ বছর ধরে সেতুর নীচে কাঁচা রাস্তা তৈরি করে চলাচল করছেন। স্থানীয় বাসিন্দা সন্দীপ রাও বলেন, প্রকল্পের খরচ বেড়ে গিয়েছিল এবং গত বছর ৬০ শতাংশ কাজ শেষ না করেই আরও ১১ কোটি টাকা খরচ যোগ করা হয়েছিল।  
প্রথম পর্বে পশ্চিমবঙ্গে সন্ত্রাস, কারচুপি আর ‘কারসাজি'র ভোট
গুচ্ছ গুচ্ছ অভিযোগের মধ্য দিয়ে পশ্চিমবঙ্গে মিটলো প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন। নানা ঘটনায় উত্তপ্ত রইলো কোচবিহার। ভোটকর্মীদের তালাবদ্ধ করে রাখার ঘটনাও দেখলো পশ্চিমবঙ্গবাসী৷ গোটা দেশে শুরু হয়েছে অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। পশ্চিমবঙ্গে ভোট হবে সাত দফায়৷ ৪২টি কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ৷ আজ প্রথম দফায় উত্তরবঙ্গের তিনটি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়। কোচবিহার, জলপাইগুড়ি ও আলিপুরদুয়ারের অসংখ্য অভিযোগ জমা পড়েছে নির্বাচন কমিশনের কাছে। আশঙ্কা সত্যি করে সবচেয়ে বেশি গন্ডগোল হয়েছে কোচবিহার কেন্দ্রে। কোচবিহার উত্তপ্ত সারা বছরই রাজনৈতিক উত্তেজনায় ফুটতে থাকে কোচবিহার। তৃণমূলের নেতা ও রাজ্যের মন্ত্রী উদয়ন গুহর সঙ্গে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও বিজেপি নেতা নিশীথ প্রামাণিকের অহি-নকুল সম্পর্ক। নিজেই এখানে প্রার্থী নিশীথ। তার বিপক্ষে তৃণমূল প্রার্থী জগদীশচন্দ্র বসুনিয়া। ভোট শুরুর পর থেকেই উভয় শিবির একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলতে থাকে। দিনহাটায় বিজেপির পোলিং এজেন্টকে বুথ থেকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে। বিজেপি ছাপ্পা ভোট, এজেন্টদের বাধা দেওয়া ও মারধরের অভিযোগ তোলে। দিনহাটায় এক বিজেপি নেতার বাড়ির সামনে তাজা বোমা উদ্ধার হয়। গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহারের শীতলখুচিতে আধাসেনার গুলিচালনায় কয়েকজন গ্রামবাসীর মৃত্যু হয়েছিল। সেই শীতলখুচিতে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা চালানোর অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। লোহার রড, বাঁশ দিয়ে মারধর করা হয় কয়েকজনকে। গত লোকসভা ভোটে উত্তরবঙ্গের সব আসনই জিতেছিল বিজেপি। ফলত কোচবিহার ছিল তাদের দখলে। এবার তৃণমূল সেই জমি ছিনিয়ে নিতে মরিয়া। তাই অশান্তির আশঙ্কা ছিল। সকাল থেকেই ভোট ময়দানে তার প্রতিফলন দেখা গিয়েছে। দিনহাটার ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিকে মারধরের অভিযোগ ওঠে বিজেপির বিরুদ্ধে। আহত নেতাকে হাসপাতালে দেখতে আসেন উদয়ন গুহ। সিতাইয়ে তৃণমূলের ক্যাম্প অফিস ভাঙচুরের অভিযোগ ওঠে। একটি স্কুলের লাগোয়া জায়গায় অফিস বসানো নিয়ে তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে গন্ডগোল হয়। রুইয়াকুঠি এলাকায় তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে সংঘর্ষ হয়। তৃণমূলের ভোটারদের বিজেপি বাধা দিচ্ছিল বলে অভিযোগ। তালাবন্ধ ভোটকর্মীরা মাথাভাঙ্গার শিকারপুরে একটি স্কুলে ভোটকর্মীদের আটকে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। বিডিও অফিসের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়া হয়। ভোটকর্মীদের দাবি, তাদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করা হয়েছে। বিভিন্ন জেলা থেকে আসা ভোটকর্মীদের অভিযোগ, তাদের সঙ্গে গরু-ছাগলের মতো আচরণ করা হয়েছে। প্রশাসনের হাতেই সরকারি কর্মীরা কেন আটক হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই কর্মীরা যে ভোটকেন্দ্রে ভোটগ্রহণের দায়িত্বে ছিলেন, সেখানে কীভাবে নির্বাচন পরিচালিত হচ্ছে, তা নিয়েও দীর্ঘক্ষণ ধোঁয়াশা ছিল। কমিশনের কাছে এ নিয়ে অভিযোগ জমা পড়ে। ঘটনাস্থলে এসে বিজেপি বিধায়ক বরেন বর্মন বহিরাগত ভোটকর্মীদের বাইরে বার করেন। ভোটকর্মীরা বলেন, আমাদের জল বা খাবার দেয়া হয়নি। ভোটকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়নি। তালাবন্ধ করে রেখে চলে গিয়েছেন বিডিও অফিসের কর্মীরা। কোচবিহার থেকে বিপুল সংখ্যায় অভিযোগ আশায় উদ্বিগ্ন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। তারা রিপোর্ট তলব করে কলকাতায় রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের দপ্তর থেকে। এদিন দুপুর পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে প্রায় ৫০০ অভিযোগ জমা পড়ে। তার মধ্যে কোচবিহার থেকে সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে।  আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি কেন্দ্রেও বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। জলপাইগুড়ির ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি এলাকায় বিজেপি বিধায়ক শিক্ষা চট্টোপাধ্যায় গন্ডগোলে জড়িয়ে পড়েন। তৃণমূল তার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায়, তিনি ঘুরে ঘুরে ভোটারদের ভয় দেখাচ্ছেন। বিজেপি অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বিধায়ককে আটক করার চেষ্টা করে পুলিশ। নির্বাচন শেষ হওয়ার ঘন্টাখানেক আগে শিলিগুড়ি হাকিমপাড়ায় তুমল উত্তেজনা ছড়ায়। বিজেপি অভিযোগ করে, তৃণমূল বুথ জ্যাম করে ছাপ্পা ভোট দিচ্ছে। সেখানে উপস্থিত হন শিখা। এরপর কেন্দ্রীয় বাহিনী জমায়েত সরিয়ে দেয়। রাজভবনে পিসরুম পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস আগেই ঘোষণা করেছিলেন, তিনি নির্বাচনের উপর কড়া নজর রাখবেন। এমনকি সরাসরি রাস্তায় নেমে পর্যবেক্ষণের কথা বলেছিলেন তিনি। কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী বোস সরেজমিন সফরে বার হতে পারেননি বটে, তবে রাজভবনের পিসরুম থেকে তিনি পুরো বিষয়টি নজরদারি চালান। সকাল দশটায় রাজভবনের পিসরুম খুলে যায়। শুরু থেকেই সেখানে ছিলেন রাজ্যপাল। টেলিফোনে একের পর এক অভিযোগ আসতে থাকে। সবচেয়ে বেশি অভিযোগ আসে কোচবিহার থেকে। রাজভবন থেকে জানানো হয়েছে, বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে। রাজ্যপাল বলেন, পঞ্চায়েত ভোটের তুলনায় লোকসভা নির্বাচনে হিংসা কম হয়েছে। সন্দেশখালির ঘটনা প্রমাণ করেছে, চিরকাল হিংসা চলতে পারে না। পশ্চিমবঙ্গে বরাবরের মতো এবারও ভোটদানের হার যথেষ্ট ভালো। বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কোচবিহারের ভোট পড়েছে প্রায় ৭৮ শতাংশ। আলিপুরদুয়ারে ৭৫ শতাংশের বেশি ভোট পড়েছে। জলপাইগুড়িতে ভোটদানের হার ৭৯ শতাংশের বেশি। তিন আসনের গড় ৭৭.৫৭ শতাংশ যা গোটা দেশের মধ্যে সর্বাধিক।  বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত দেশে ভোটদানের গড় হার ৬০ শতাংশ। অন্য রাজ্যে ভোট আজ প্রথম দফায় দেশের ১৭টি রাজ্য ও চারটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মোট ১০২টি কেন্দ্রে ভোট নেয়া হয়। কোনো রাজ্য থেকে পশ্চিমবঙ্গের মতো গন্ডগোলের খবর আসেনি। একমাত্র ব্যতিক্রম উত্তর-পূর্বের রাজ্য মণিপুর। সেখানে গত বছরের মে মাস থেকে জাতি সংঘর্ষ চলছে। এখন পরিস্থিতি কিছুটা শান্ত হলেও উত্তেজনা রয়েছে। ইনার মণিপুর আসনের অন্তর্গত একটি বুথে সশস্ত্র দুষ্কৃতীরা গুলি চালায়। যদিও তাতে কেউ হতাহত হয়নি। পশ্চিমবঙ্গের থেকে মাত্র তিনটি কম আসন দক্ষিণের রাজ্য তামিলনাড়ুতে। সেখানকার ৩৯টি আসনে আজ একটি দফাতেই ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনের জন্য এই রাজ্যে দেশের মধ্যে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হচ্ছে। আজ তিনটি কেন্দ্রের জন্য ২৬৩ কোম্পানি আধাসেনা ছিল। রাজ্য পুলিশ ছিল ১২ হাজারের বেশি। কিন্তু তাও গন্ডগোল এড়ানো গেল না। সাংবাদিক শুভাশিস মৈত্র বলেন, নিরাপত্তা বাহিনী বা পুলিশ দিয়ে হিংসা থামানো যাবে না। প্রথম দফায় বড় বিপদ হয়নি। যদিও এদিনই বোঝা গিয়েছে, কেন নির্বাচন কমিশন সাত দফায় পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচন করাচ্ছে। কমিশন সঠিক সিদ্ধান্তই নিয়েছে। তিনটি কেন্দ্রে নির্বাচন ছিল বলে মৃত্যু ঠেকানো গিয়েছে।  সাংবাদিক সুমন ভট্টাচার্য সদ্য উত্তরবঙ্গ সফর করে এসেছেন। তিনি বলেন, আমি গত তিন সপ্তাহ উত্তরবঙ্গে কাটিয়ে এসেছি। কোথাও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে খুঁজে পাইনি। সেই বাহিনী উত্তেজনা নিবৃত্ত করতে পারবে, এটা আমাদের অতিরিক্ত ভাবনা। কোনো বাহিনী এখানে কিছু করতে পারবে না। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি এমন জায়গায় চলে গিয়েছে, সেখানে উত্তেজনার নিবৃত্তি হবে না, এভাবেই চলবে। পশ্চিমবঙ্গ আছে পশ্চিমবঙ্গেই।
লাইভ সংবাদ পাঠের সময় গরমে জ্ঞান হারালেন প্রেজেন্টেটর
বাংলাদেশের মতো পাশের দেশ ভারতেও চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রচণ্ড খরতাপে পুড়ছে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা শহর। জারি করা হয়েছে হিট এলার্ট। ভয়াবহ গরমে নাভিশ্বাস উঠে যাচ্ছে নগরবাসীর। এরকমই গরমে লাইভ সংবাদ পাঠ করার সময় অসুস্থ হয়ে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন লোপামুদ্রা সিনহা নামে কলকাতার টিভির এক নিউজ প্রেজেন্টেটর।  শনিবার (২০ এপ্রিল) হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সিরিয়ালের পরিচিত অভিনেত্রী লোপামুদ্রা দীর্ঘদিন টিভিতে সংবাদ পাঠ করছেন। শুক্রবার নিজের ফেসবুকে একটি ভিডিও পোস্ট করে অসুস্থতার কথা জানান তিনি। ভিডিওবার্তায় নিজের অনুসারীদের লোপামুদ্রা জানান, গতকাল শুক্রবার সকালে নিউজ বুলেটিন পড়ার সময় মারাত্মক গরমে হঠাৎ অসুস্থবোধ হয় তার। লাইভ নিউজ চলার সময় তার বিপি (রক্তচাপ) আশঙ্কাজনকভাবে কমে যায় এবং তিনি অজ্ঞান হয়ে যান।  কলকাতার টিভির এ নিউজ প্রেজেন্টেটর বলেন, বেশ কিছুক্ষণ ধরেই আমার শরীর খারাপ লাগছিল, মনে হচ্ছিল একটু পানি খেলে ঠিক হয়ে যাবে। আমি কোনোদিন পানি নিয়ে সংবাদ পড়তে বসি না। সেটা ১০ মিনিটের নিউজ হোক বা আধ ঘণ্টার, কখনো প্রয়োজন পড়েনি।…. ফ্লোর ম্যানেজারকে ইশারা করে পানির বোতল চাই। সেই সময় জেনারেল স্টোরি যাচ্ছিল, কোনো বাইট চলছিল না। ফলে আমি পানি খেতে পারচ্ছিলাম না। অবশেষে একটা বাইট আসায় পানি খাওয়ার সুযোগ মেলে। তিনি আরও বলেন, আমার মনে হয়েছিল বাকি চারটি নিউজ স্টোরি আমি শেষ করতে পারব। দুটো কোনোরকমে কমপ্লিট করি, তিন নম্বরটা হিট ওয়েভের ওপর স্টোরি ছিল। সেটা পড়ার সময়ই আমার আস্তে আস্তে কথাটা জড়িয়ে যাচ্ছিল। আমি ভেবেছিলাম আমি শেষ করতে পারব, নিজেকে ঠিক রাখার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু না…অসুস্থতা তো বলে কয়ে আসে না। ওই স্টোরিটার সময় আমি আর কিছু দেখতেই পাচ্ছিলাম না। টেলিপ্রমটারটা আবছা হতে হতে শেষে আমি ব্ল্যাকআউট হয়ে যাই। টিভির নিউজ ফ্লোর শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত হলেও ওইদিন সেটি কাজ করছিল না এবং এর ফলে ফ্লোর ভ্যাপসা গরম হয়ে পড়েছিল বলে ভিডিওবার্তায় জানান লোপামুদ্রা।