• ঢাকা রোববার, ০৬ অক্টোবর ২০২৪, ২২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
ভারতে বন্দুকযুদ্ধে ৩৬ মাওবাদী নিহত
এক দশক পর পাকিস্তান সফরে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ভারতের সাংহাই কো অপারেশন অর্গানাইজেশন (এসসিও)-এর সম্মেলনে যোগ দিতে চলতি মাসেই পাকিস্তানে যাচ্ছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ কথা জানিয়েছে। গত ৯ বছরের মধ্যে এটিই হবে ভারতের কোনো পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পাকিস্তান সফর। ১৫ এবং ১৬ অক্টোবর পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে হবে এসসিও সম্মেলন। সেখানেই ভারতের প্রতিনিধি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন জয়শঙ্কর। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়, এস জয়শঙ্করের পাকিস্তান সফরের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজ শুক্রবার একটি বিবৃতি দিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেখানে বলা হয়েছে, ইসলামাবাদে অনুষ্ঠিতব্য এসসিও সামিটে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন এস জয়শঙ্কর। ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন তথা এসসিও আসন্ন বৈঠকে যোগ দেবেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। আর সেখানে তিনি ভারতের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করবেন। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ এসসিও সদস্য দেশের রাষ্ট্রপ্রধানদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছেও আমন্ত্রণপত্র এসেছে। জয়শঙ্করের পাকিস্তান সফরটি বেশ তাৎপর্যপূর্ণ, কেননা নয়াদিল্লির পক্ষ থেকে এই সফরকে একটি বড় সিদ্ধান্ত হিসাবে দেখা হচ্ছে। এসসিও এর সম্মেলনে ভারতের একজন উচ্চ পর্যায়ের মন্ত্রীর যোগদান আঞ্চলিক নিরাপত্তায় সহযোগিতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে দিল্লির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা দৃশ্যমান হচ্ছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশনের (এসসিও) সদস্য দেশের মধ্যে রয়েছে, ভারত, চীন, রাশিয়া, পাকিস্তান, কাজাখস্তান, কিরঘিজস্তান, তাজিকিস্তান এবং উজবেকিস্তান। রীতি অনুযায়ী এসসিও-র বৈঠকে কোনো দেশের রাষ্ট্রনেতার উপস্থিতি বাধ্যতামূলক নয়। জানা যায়, নয় বছর আগে শেষ বারের জন্য ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ ইসলামাবাদের মাটিতে পা রেখেছিলেন। এবার পা রাখতে চলেছেন এস জয়শঙ্কর। আরটিভি/এআর
দিল্লিতে নার্সিং হোমে ঢুকে ডাক্তারকে গুলি করে হত্যা
ইরান নিয়ে নির্দেশিকা জারি করলো ভারত
চেন্নাইয়ে স্যামসাংয়ের ৬০০ কর্মী আটক
যে কারণে বাংলাদেশে এখনও সীমিত ভারতের ভিসা কার্যক্রম
২০ হাজার বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিলো ভারত
ভিসার আবেদন করা ২০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দিয়েছে ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন। সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।  প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সর্বশেষ খবর অনুযায়ী ২০ হাজারের বেশি বাংলাদেশির পাসপোর্ট ফেরত দেওয়া হয়েছে। ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনকে উদ্দেশ্য করে ব্যাপক বিক্ষোভ ও হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মূলত বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য ভিসা পরিষেবাগুলো অনির্দিষ্টকালের জন্য স্থগিত করার ফলে এই পরিস্থিতির হয়। টাইমস অব ইন্ডিয়া বলছে, বেশ কয়েকটি সূত্র নিশ্চিত করেছে, বর্তমানে শুধুমাত্র সীমিত সংখ্যক জরুরি ভিসার আবেদনগুলো প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। অবশ্য এর মধ্যে কিছু ব্যতিক্রম ভিসা আবেদনও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, যেমন-মেডিকেল ইমার্জেন্সি, স্টুডেন্ট ভিসা এবং তৃতীয় দেশে ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় ডবল-এনট্রি ভিসা। এর আগে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর বিক্ষোভের জেরে ভিসা পরিষেবা স্থগিত করা হয়েছিল। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের এই ঘটনা দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়িয়ে তোলে। ভারতীয় এই সংবাদমাধ্যম বলছে, বাংলাদেশে ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্রগুলো অনেকাংশে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আর এর কারণে হতাশাগ্রস্ত আবেদনকারীদের অনেকেই ব্যাপকভাবে হাইকমিশনে ই-মেইল করছেন, এমনকি কিছু ই-মেইলে ভাঙচুরের হুমকিও রয়েছে। প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ছাড়াও আরও চারটি কনস্যুলেট আছে। যেখান থেকে প্রতিবছর বিপুলসংখ্যক ভিসা অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০২৩ সালে ভারত ১৬ লাখ বাংলাদেশিকে ভিসা দিয়েছিল। এর মধ্যে সাড়ে ৪ লাখই ছিল চিকিৎসা ভিসা। একইভাবে চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত ৮ লাখ ভিসা দিয়েছে ভারত। যার মধ্যে ২ লাখই চিকিৎসা ভিসা। তবে হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ৫ আগস্ট থেকে বাংলাদেশিদের ক্ষেত্রে ভারতীয় ভিসা প্রদান কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ রয়েছে। আরটিভি/আইএম/এসএ
বাংলাদেশিদের ভিসা দেওয়া নিয়ে ভারতের নতুন বার্তা
বাংলাদেশের নাগরিকদের ভিসা দেওয়া নিয়ে নিজেদের অবস্থান স্পষ্ট করেছে ভারত। আপৎকালীন এবং চিকিৎসার প্রয়োজন ছাড়া আপাতত বাংলাদেশি নাগরিকদের ভিসা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে দেশটি। রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে কলকাতার সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।  ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, বাংলাদেশিদের আপাতত চিকিৎসা এবং জরুরি প্রয়োজনে ভিসা দেওয়া হচ্ছে। যখন বাংলাদেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, তখন পূর্ণমাত্রায় কাজ শুরু হবে এবং ভিসা প্রদানও স্বাভাবিক হবে। এর আগে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পর থেকেই বন্ধ রয়েছে ভারতীয় ভিসা পরিষেবা। পরে ভারতীয় দূতাবাসের বহু কর্মীকে ফিরিয়ে নেয় দেশটি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলে ভারতীয় ভিসা কেন্দ্রগুলোতে পুনরায় কাজ শুরু হলেও মিলছে না ভিসা পরিষেবা। ভারতীয় ভিসা আবেদন কেন্দ্র জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে ভিসা সেন্টার খুলছে ঢাকা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট এবং খুলনায়। তবে এখনই সকলে ভিসা পাবেন না। কেবলমাত্র যারা চিকিৎসার জন্য ভারতে যেতে চান, তাদেরই জরুরি ভিত্তিতে দেওয়া হবে অগ্রাধিকার। আরটিভি/আরএ/এসএ
ভারতে বিদেশি পর্যটকের তালিকায় শীর্ষে বাংলাদেশ
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারত ভ্রমণে যাওয়া পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ছিলেন বাংলাদেশিরা। এরপরই ছিল যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বিশ্ব পর্যটন দিবস উপলক্ষে এ তথ্য প্রকাশ করেছে ভারতের পর্যটন মন্ত্রণালয়। খবর দ্য ইকোনমিক টাইমসের।  পর্যটন মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ৬ মাসে প্রায় ৪৭ লাখ ৮০ হাজার পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে শুধু জুনে ৭ লাখ ৬ হাজার ৪৫ জন পর্যটক ভারত ভ্রমণ করেছেন। এ সংখ্যা ২০২৩ সালের জুনের তুলনায় ৯ শতাংশ বেশি। তবে ২০১৯ সালের জুনের তুলনায় ২ দশমিক ৮ শতাংশ কম। আর গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত সময়ে পর্যটকদের এ সংখ্যা ছিল ৪৭ লাখ ৭৮ হাজার ৩৭৪। এ সংখ্যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ১ শতাংশ বেশি, তবে তা ২০১৯ সালের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ৮ শতাংশ কম। গত জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ভারতে পর্যটকদের ভ্রমণের ক্ষেত্রে শীর্ষে থাকা পাঁচ দেশ হলো বাংলাদেশ (২১ দশমিক ৫৫ শতাংশ), যুক্তরাষ্ট্র (১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ), যুক্তরাজ্য (৯ দশমিক ৮২ শতাংশ), কানাডা (৪ দশমিক ৫ শতাংশ) ও অস্ট্রেলিয়া (৪ দশমিক ৩২ শতাংশ)। গত বছর ভারতে সবচেয়ে বেশি পর্যটক গিয়েছিল যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এরপরে ছিল বাংলাদেশের অবস্থান। এ বছর ছয় মাসের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে প্রথম অবস্থানে চলে গেছে বাংলাদেশ। তবে ভারতীয় বিভিন্ন গণমাধ্যম বলছে, গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্কের অবনতি হওয়ায় ভারতে বাংলাদেশ থেকে যাওয়া পর্যটকের সংখ্যা প্রায় ৯০ শতাংশ কমে গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাংলাদেশে থেকে অল্প খরচে ভ্রমণ করা যায় বলেই এই আগ্রহের অন্যতম কারণ।  আরটিভি/এমএ-টি
কাশ্মীর ইস্যুতে কঠোর হুঁশিয়ারি শাহবাজের, পাল্টা জবাব দিল্লির  
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু এবং কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফের কড়া হুঁশিয়ারির পাল্টা জবাব দিয়েছে নয়াদিল্লি। তারা জানিয়েছে, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসীদের অব্যাহত সমর্থন দিয়ে পাকিস্তান অনিবার্যভাবে নিজেদের করুণ পরিণতি ডেকে আনছে। খবর এনডিটিভির। শুক্রবার জাতিসংঘে নিযুক্ত ভারতের ফাস্ট সেক্রেটারি ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।  ভাবিকা মঙ্গলানন্দন বলেন, আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাধেও পাকিস্তানের জড়িত থাকার দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে।  ২০১৯ সালে ভারত সরকার কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা অর্থাৎ সংবিধানের ৩৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্তকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী সমালোচনা করায় তার পাল্টা প্রতিক্রিয়ায় ভাবিকা মঙ্গলানন্দন এসব কথা বলেন। ভাবিক বলেন, পাকিস্তান সেনাবাহিনী দ্বারা পরিচালিত হয়, তাদের সন্ত্রাসবাদের কথা সবার জানা, যে দেশে মাদকের কারবার চলে, তাদের কী করে সাহস হয় বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক দেশ ভারতকে নিয়ে সমালোচনা করার।  ভারতের এই প্রতিনিধি বলেন, পাকিস্তানের চিত্র আসলে কেমন, তা সবারই জানা। এই প্রসঙ্গে তিনি ২০০১-এর সংসদ হামলা ও ২০০৮ সালের মুম্বাই হামলার কথা তুলে ধরেন। ১৯৩ সদস্যবিশিষ্ট সাধারণ পরিষদের সামনে ২১ মিনিট ভাষণ দেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। এ সময় আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক বিষয়গুলোর বিস্তৃত পরিসর নিয়ে আলোচনা করেন তিনি। তবে তার ভাষণে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব পায় গাজা, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যকার বিতর্কিত কাশ্মীর ইস্যুটি। আরটিভি/এআর
চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিলো ভারত
১৪ মাস পর চাল রপ্তানির ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে ভারত। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রপ্তানিকারক বাসমতি ব্যতীত অন্য সব ধরনের চাল রপ্তানি করতে পারবেন। চালের রপ্তানি শুল্কও কমানো হয়েছে। আগে যেখানে রপ্তানি শুল্কের হার ছিল ২০ শতাংশ, সেখানে বর্তমানে তা নামিয়ে আনা হয়েছে দশ শতাংশে। সরকারের এই পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত ভারতের চাল রপ্তানিকারকরা। দেশটির অন্যতম চাল রপ্তানি কোম্পানি রাইস ভিলার শীর্ষ নির্বাহী সুরজ আগার ওয়াল ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে এ প্রসঙ্গে বলেন, ‌‌সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভারতের অভ্যন্তরীণ কৃষিক্ষেত্র এবং আন্তর্জাতিক চালের বাজারে গেম চেঞ্জারের ভূমিকা রাখবে। একদিকে আন্তর্জাতিক বাজারে চালের দাম কমে আসবে, অন্যদিকে কৃষকরাও লাভবান হবেন। ভারতে চালের উৎপাদন হয় মূলত দেশটির পূর্ব, উত্তরপূর্ব ও দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে। গত বছর এসব রাজ্যে পর্যাপ্ত বৃষ্টিপাত না হওয়ায় উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতে অভ্যন্তরীণ বাজার স্থিতিশীল রাখতে ২০২৩ সালের ২০ জুলাই বিশ্ববাজারে চাল রপ্তানিতে নিষেধজ্ঞা দেয় ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। বিশ্বের ৩০০ কোটিরও বেশি মানুষের প্রধান খাদ্য ভাত। যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চাল উৎপাদনে এই মূহূর্তে বিশ্বে শীর্ষে রয়েছে ৬টি দেশ—বাংলাদেশ, চীন, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। তবে চাল রপ্তানিতে শীর্ষে রয়েছে ভারত। প্রতিদিন বিশ্ববাজারে যে পরিমাণ চাল কেনাবেচা হয়, তার ৪০ শতাংশই আসে ভারত থেকে। ভারত চাল রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার পর থেকে আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়তে শুরু করেছিল চালের দাম। রয়টার্সের তথ্য অনুযায়ী, শতকরা হিসেবে সব ধরনের চালের দাম বেড়েছিল ১১ দশমিক ৭ শতাংশ, যা গত ১১ বছরে সর্বোচ্চ মূল্যবৃদ্ধির রেকর্ড। সূত্র: এনডিটিভি
বাংলাদেশকে ভেঙে নতুন দেশ তৈরির ক্ষমতা আছে, ভারতের নেতার হুমকি
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির মিত্র দল ত্রিপরা মোথার শীর্ষ নেতা প্রদ্যোত কিশোর হুমকি দিয়ে বলেছেন, বাংলাদেশকে ভেঙে আরেক নতুন দেশ তৈরির সক্ষমতা আমাদের আছে। বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে সংখ্যালঘু এবং উপজাতিদের ওপর নির্যাতনের অভিযোগ তুলে ত্রিপুরায় মিছিল করেছে স্থানীয় রাজনৈতিক দলটি। সেখানে তিনি এ হুমকি দেন। খবর মাইইন্ডিয়ার। প্রদ্যোত কিশোর বলেন, ‘ভারত চুপ ছিল কারণ শেখ মুজিব এবং শেখ হাসিনা ভারতের বন্ধু ছিলেন। কিন্তু এই বন্ধুত্ব এখন আর নেই। যদি বাংলাদেশিরা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানাতে পারে। আমি তাদের মনে করিয়ে দিতে চাই, পাকিস্তান ভেঙে ভারত বাংলাদেশ তৈরি করেছে। বাংলাদেশ ভেঙে আরেকটি দেশ তৈরি করার সক্ষমতাও ভারতের আছে। যদি তারা সংখ্যালঘুদের উপর হামলা বন্ধ না করে আমরা চুপ থাকব না।’ তিনি দাবি করেন, তার পরিবার আগে ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া, খাগড়াছড়ি, কুমিল্লা এবং চট্টগ্রামকে শাসন করত। ওই সময় সবাই মিলেমিশে থাকত। কিন্তু এখন সেই অবস্থা নেই। বিজেপির মিত্র দলের এই নেতা বলেন ‘আজ মুসলিমরাও আমাদের হিন্দু মন্দিরগুলো রক্ষা করে। আমাদের রাজবাড়িতে এখনো নামাজ হয়। এটি ভারত এবং আমাদের সংস্কৃতি। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের মানুষ এই বিষয়টিকে শ্রদ্ধা জানায় না। ত্রিপুরাকে ছাড়া বাংলাদেশের কোনো অস্তিত্ব থাকত না, থাকত না মুক্তিবাহিনীও।’ তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশিরা এখন ভারতের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছে। তারা বলে তারা নাকি ত্রিপুরা এবং উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য দখল করবে। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে এবং সরকারকে চাপ দিতে হবে তারা যেন বাংলাদেশের বিষয়টি জাতিসংঘে উত্থাপন করে।’ আরটিভি/এসএপি/এআর
ভারতে বাংলাদেশি তরুণী গ্রেপ্তার
জাল পাসপোর্ট ব্যবহার করে ভারতে বসবাসের অভিযোগে এক বাংলাদেশি তরুণীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মুম্বাই থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে উলহাসনগর থেকে রিয়া বারদে নামে পরিচিত ওই তরুণীকে গ্রেপ্তার করে হিল লাইন পুলিশ। ভুয়া নথি ব্যবহার করে নেভালি আম্বরনাথের আম্বরনাথে একটি বাংলাদেশি পরিবার বসবাস করছে বলে খবর পায় পুলিশ। তদন্তে ওই পরিবারের প্রতারণামূলক কার্যকলাপ উদঘাটিত হয়। পুলিশ জানিয়েছে, অমরাবতীর এক বাসিন্দা ভারতে থাকার সুবিধার্থে রিয়া ও তার তিন সঙ্গীর জন্য নথি জাল করেছিলেন। হিল লাইন পুলিশ রিয়াসহ আরও চারজনের বিরুদ্ধে ফরেনার্স অ্যাক্ট, ১৯৪৬-এর ১৪ (এ) ধারা এবং ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনায় জড়িত আরও চারজনের খোঁজে তল্লাশি চলছে।  অমরাবতী এলাকার এক বাসিন্দা রিয়া বারদের জাল নথি তৈরি করতে সাহায্য করেছেন। সেখানে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেন রিয়ার মা; বর্তমানে তারা দুজন কাতারে অবস্থান করছেন। রিয়া এবং তার পরিবারের সদস্যদের আর কারা জাল নথি দিয়ে পাসপোর্ট করতে সাহায্য করেছে তাদের খোঁজ চলছে। রিয়ার কাছ থেকে আরও কোনো তথ্য পাওয়া যায় কি না, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।   প্রসঙ্গত, ওটিটিভিত্তিক অ্যাডাল্ট ওয়েব সিরিজে আরোহি বারদে নামে অভিনয় করেছেন এই তরুণী। আরটিভি/এসএপি/এআর