• ঢাকা মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর ২০২৪, ৭ কার্তিক ১৪৩১
logo
ত্রিপুরায় বাংলাদেশ সীমান্তের ৫০০ মিটারের মধ্যে চলাচল নিষিদ্ধ
জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা, চিকিৎসকসহ নিহত ৭
ভারতের জম্মু-কাশ্মীরের গান্দেরবাল জেলায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৬ জন নির্মাণশ্রমিক এবং একজন চিকিৎসক নিহত হয়েছেন। খবর এনডিটিভির।   প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার (২০ অক্টোবর) রাতে সন্ত্রাসীরা একটি বেসরকারি কোম্পানির ক্যাম্প হাউজিং কর্মীদের ওপর অতর্কিত গুলি চালায়। ইতোমধ্যে ওই এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ ও সেনাবাহিনী। সেইসঙ্গে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান শুরু হয়েছে।  জম্মু-কাশ্মীরের সদ্য নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ এই হামলাকে নৃশংস ও কাপুরুষোচিত বলে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেছেন, এই এলাকায় শ্রমিকেরা একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পে কাজ করছিলেন। আমি নিরস্ত্র লোকদের ওপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাই।  জম্মু-কাশ্মীরের লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহা বলেছেন, পুলিশ, সেনাবাহিনী এবং নিরাপত্তা বাহিনীকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে তিনি জনগণকে আশ্বস্ত করেছেন যে, এই ঘৃণ্য কাজের পেছনে যারা- তারা শাস্তি পাবে। এই হামলার দায় এখন পর্যন্ত কেউ স্বীকার করেনি বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।  কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গড়করি ‘ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার’ নিন্দা জানিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মন্ত্রী জানান, ‘নিরীহ শ্রমিকরা’ একটি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো প্রকল্পে নিযুক্ত ছিলেন। আরটিভি/এআর/এসএ
শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়া নিয়ে ভারত যা ভাবছে
এক হাসপাতালেই ২৪ ঘণ্টায় জন্ম নিলো ১৮ যমজ শিশু!
পশ্চিমবঙ্গে ২ তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ
৪৮ ঘণ্টায় ১০ ভারতীয় বিমানে বোমাতঙ্ক
কলকাতায় বাড়ল স্বর্ণের দাম
ভারতের কলকাতায় আবারও বেড়েছে স্বর্ণের দাম। দুর্গাপূজার ছুটির পর গতকাল (১৪ অক্টোবর) ১০ গ্রাম ২৪ ক্যারাট খুচরা সোনা এই প্রথম ৭৬ হাজার ৬৫০ টাকায় উঠেছে, যা জিএসটি ধরে ৭৮ হাজার ৯৫০ টাকা। ছুটির আগে বুধবার (৯ অক্টোবর) সোনা এবং গয়নার বাজার বন্ধ হওয়ার সময় তা ছিল কর ছাড়া ৭৫ হাজার ৪০০ টাকা। মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানা গেছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বর্ণের দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সংশ্লিষ্ট মহল আঙুল তুলেছে পশ্চিম এশিয়ার দিকে। কারণ সেখানে যুদ্ধের কারণে বিশ্বজুড়ে স্বর্ণের বাজার অস্থির, যার প্রভাব পড়ছে ভারতে।   জেজেগোল্ডের ডিরেক্টর হর্ষদ অজমেরা বলেন, ‘পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধের উত্তাপ না কমা পর্যন্ত স্বর্ণের দাম কমার সম্ভাবনা কম। পুঁজি সুরক্ষিত রাখতে বিনিয়োগকারীরা আঁকড়ে ধরেছেন এই ধাতুকে। এতে বাড়ছে দাম।’   অল ইন্ডিয়া জেম অ্যান্ড জুয়েলারি ডোমেস্টিক কাউন্সিলের ডিরেক্টর সমর দে এবং সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসের এমডি শুভঙ্কর সেনের দাবি, আগামী ২৯ থেকে ৩০ অক্টোবর ধনতেরাস উৎসব ঘিরে গয়নার বাজার নিয়ে চিন্তা বাড়ছে। ধনতেরাসে মনে হয় হাল‌কা স্বর্ণের গয়না কিনবেন ক্রেতারা।   তবে তাদের ধারণা, চড়া দাম ক্রমশ নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে। ক্রেতারা পুরোপুরি মুখ ঘুরিয়ে থাকতে পারবেন না।   আরটিভি/এআর
কানাডার ৬ কূটনীতিককে বহিষ্কার করল ভারত
কানাডার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনারসহ দেশটির ছয়জন কূটনীতিককে দিল্লি ছাড়তে বলেছে ভারত সরকার। কানাডায় খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যা মামলায় ভারতীয় হাইকমিশনার সঞ্জয়কুমার বর্মাকে অটোয়া ‘স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি’ উল্লেখ করায় চরম প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে ভারত। ছয়জন কূটনীতিককে শনিবারের (১৯ অক্টোবর) মধ্যে ভারত ছাড়তে বলা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এনডিটিভি। সোমবার (১৪ অক্টোবর) প্রতিবেদনে বলা হয়, ভারত সরকার একইদিন কানাডা থেকে তার হাইকমিশনার ও অন্যান্য কূটনীতিক ও কর্মকর্তাদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেয়। একই সঙ্গে কানাডার চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব ও আরও পদক্ষেপের হুমকি দেয় নয়াদিল্লি।  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বহিষ্কৃত কূটনীতিকদের নাম জানানো হয়েছে। তারা হলেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার স্টুয়ার্ট রস হুইলার, ডেপুটি হাইকমিশনার প্যাট্রিক হেবার্ট, চার ফার্স্ট সেক্রটারি ম্যারি ক্যাথরিন জোলি, ল্যান রস ডেভিড ট্রিটস, পলা ওরিয়েলা ও এডাম জেমস চুইপকা। কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার সঙ্গে সঞ্জয় ও ভারতের কয়েকজন কূটনীতিকের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ আনার পর সোমবার কানাডা থেকে ভারতীয় হাইকমিশনারকে দেশে ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। এর আগে, ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো সরকারের এই পদক্ষেপ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও অযৌক্তিক। বারবার অনুরোধ করা সত্ত্বেও কানাডা সরকার নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে ভারতের জড়িত থাকার কোনো প্রমাণ দেয়নি। আরটিভি/এমএ-টি
বাবা সিদ্দিকি হত্যার দায় স্বীকার, নেপথ্যে সালমানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা! 
ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের সাবেক মন্ত্রী বাবা সিদ্দিকিকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার দুজন নিজেদের মুম্বাইয়ের লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য বলে জানিয়েছেন। সেইসঙ্গে এই হত্যার দায়ও স্বীকার করে নিয়েছে গ্যাংটি। শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে আততায়ীর গুলিতে নিহত হন ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এসসিপি) নেতা এবং মহারাষ্ট্রের তিনবারের বিধায়ক বাবা সিদ্দিকি। পুলিশের বরাতে ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়, শনিবার রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পূর্ব এলাকার নির্মল নগরে কোলগেট মাঠের কাছে ছেলে জিশান সিদ্দিকের অফিস থেকে বের হন বাবা সিদ্দিকি। গাড়িতে উঠতে যাবেন এমন সময়ে তাকে লক্ষ্য করে ছয়টি গুলি করে একদল সন্ত্রাসী। এর মধ্যে চারটি গুলি লাগে তার গায়ে। হামলাকারীরা স্থান ত্যাগ করার পর দ্রুত বাবা সিদ্দিকিকে স্থানীয় লীলাবতী হাসপাতালে নেওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি।  এদিকে ঘটনাটি তদন্তের জন্য পুলিশের চারটি বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, বাবা সিদ্দিকিকে গুলি করার সঙ্গে তিন ব্যক্তি জড়িত। এরই মধ্যে হরিয়ানা এবং উত্তরপ্রদেশ থেকে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে মুম্বাই পুলিশ। তৃতীয় ব্যক্তি পালিয়ে গেছেন। গ্রেপ্তার দুজনের নাম গুরমেল সিং (২০) এবং ধরমরাজ কাশ্যপ (২০)। এরই মধ্যে রোববার (১৩ অক্টোবর) লরেন্স বিষ্ণোই গ্যাং সদস্যের একটি ফেসবুক পোস্ট ভাইরাল হয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে, যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, বলিউড অভিনেতা সালমান খানের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক এবং দাউদ ইব্রাহিমের মতো আন্ডারওয়ার্ল্ড ডনের সঙ্গে যোগযোগ রাখার কারণে বাবা সিদ্দিককে টার্গেট করা হয়েছে। পোস্টে লিখা হয়েছে, ‘ওম, জয় শ্রী রাম, জয় ভারত। আমি জীবনের সারমর্ম বুঝি এবং সম্পদ এবং শরীরকে ধূলিকণা মনে করি। আমি কেবল কর্তব্যকে সম্মান জানিয়ে যা সঠিক তা করেছি। সালমান খান, আমরা এই যুদ্ধ চাইনি। কিন্তু আপনার কারণেই ভাইকে প্রাণ দিতে হলো। আজ বাবা সিদ্দিকির ভদ্রতার মুখোশ বন্ধ হয়ে গেছে। এক সময় তিনি দাউদের সঙ্গে (মহারাষ্ট্র কন্ট্রোল অফ অর্গানাইজড ক্রাইম) এর অধীনে ছিলেন। তার মৃত্যুর কারণ বলিউড, রাজনীতি এবং সম্পত্তির লেনদেনে দাউদ এবং অনুজ থাপনের সঙ্গে সম্পর্ক।’ পোস্টে আরও লেখা হয়েছে, ‘কারও সঙ্গে আমাদের কোনও ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। তবে সালমান খান বা দাউদ গ্যাংকে যারা সাহায্য করবে, তাদেরকে প্রস্তুত থাকতে হবে। যদি কেউ আমাদের কোনও ভাইকে হত্যা করে, আমরা জবাব দেব। আমরা কখনই প্রথম হামলা করি না। জয় শ্রী রাম, জয় ভারত, শহীদদের প্রতি স্যালুট।’ পুলিশ বলছে, খুনের মূল পরিকল্পনাকারীকে খুঁজে বের করেছে তারা। তদন্তে জানা গেছে, এই হত্যা পূর্বপরিকল্পিত। অভিযুক্তদের অগ্রীম টাকা দেওয়া হয়েছিল কয়েকদিন আগে। এরপর তাদের অস্ত্র সরবরাহ করা হয়েছিল। সিদ্দিকির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভিকে জানায়, তিনি ১৫ দিন আগে হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন এবং তাকে ‘ওয়াই’ ক্যাটাগরির নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছিল।    উল্লেখ্য, লরেন্স বিষ্ণোই বর্তমানে গুজরাটের একটি কারাগারে বন্দি আছেন। তবে, তার গ্যাং প্রায়ই ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করে বলে অভিযোগ আছে। ১৯৯৮ সালে দুই কৃষ্ণ হরিণ শিকার মামলার কারণে সালমান খানের ওপর ক্ষুব্ধ তিনি। কারণ, এই কৃষ্ণ হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায় পবিত্র বলে মনে করে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রীকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা
ভারতের মহারাষ্ট্রের সাবেক মন্ত্রী ও এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকিকে প্রকাশ্যে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।  শনিবার (১২ অক্টোবর) রাতে মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় সিদ্দিকির ছেলের অফিসের কাছাকাছি এই হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা এসময় প্রায় ছয় রাউন্ড গুলি চালায়। এর মধ্যে চারটি গুলি বাবা সিদ্দিকির শরীরে লাগে।  ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে সাবেক এ মন্ত্রীকে লীলাবতী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও বাঁচানো সম্ভব হয়নি তাকে। এ ঘটনায় তার একজন সঙ্গীও আহত হয়েছেন। বাবা সিদ্দিকির ছেলে জিশান সিদ্দিকি বান্দ্রা পূর্ব থেকে নির্বাচিত বিধায়ক। দিওয়ালি উৎসবের মধ্যে এবং মহারাষ্ট্রের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনের কয়েক মাস আগে সাবেক মন্ত্রীর ওপর এই হামলায় রাজ্যের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেছে। এরই মধ্যে বিরোধী দলগুলো মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। এনসিপি প্রধান শরদ পাওয়ার বলেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। দেশের অর্থনৈতিক রাজধানীতে এই ধরনের ঘটনা খুবই দুঃখজনক। সরকারকে এর দায়িত্ব নিতে হবে এবং পদত্যাগ করতে হবে। কংগ্রেস নেতা বিজয় ওয়াদেট্টিওয়ার বলেন, যেভাবে ওয়াই লেভেলের নিরাপত্তা পাওয়া একজন নেতাকে প্রকাশ্যে হত্যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত আশ্চর্যজনক ও দুঃখজনক। সরকার মুম্বাইয়ের নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটিয়েছে এবং অপরাধীদের পৃষ্ঠপোষকতা করছে। এ অবস্থায় মহারাষ্ট্র সরকার সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তদন্ত প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে ইতোমধ্যে। মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে বলেছেন, এমন ঘটনা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। এরই মধ্যে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত এখনও পলাতক। পুলিশকে কঠোর পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যাতে মুম্বাইয়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির আরও অবনতি না ঘটে। উল্লেখ্য, বাবা সিদ্দিকি বান্দ্রা পশ্চিম থেকে ১৯৯৯, ২০০৪ এবং ২০০৯ সালে তিনবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০০৪ থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত খাদ্য, নাগরিক সরবরাহ, শ্রম এবং এফডিএ-এর প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি। বাবা সিদ্দিকি রাজনৈতিক অঙ্গনে যেমন সুপরিচিত এক মুখ ছিলেন, তেমনি বলিউডের সঙ্গেও তার গভীর সম্পর্ক ছিল। ২০১৩ সালে তার আয়োজিত ইফতার পার্টিতে শাহরুখ খান এবং সালমান খানের শীতল সম্পর্ক ফের উষ্ণ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল বাবা সিদ্দিকির। আরটিভি/এসএইচএম    
টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের নাম ঘোষণা
টাটা গোষ্ঠীর জনহিতকর শাখা টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হলেন নোয়েল টাটা। এতদিন এই পদে ছিলেন রতন টাটা। বুধবার (৯ অক্টোবর) ৮৭ বছর বয়সে মুম্বাইয়ের ব্রিজ ক্যান্ডি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন রতন। খবর এনডিটিভির  শুক্রবার (১১ অক্টোবর) রতন টাটার সৎভাই নোয়েলকেই এই পদের জন্য বেছে নিলেন সংস্থার ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্যরা।   টাটা ট্রাস্টের নতুন চেয়ারম্যান রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটা। রতন টাটার মৃত্যুর পর তিনটি নাম নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছিল। তারা হলেন লিয়া টাটা, মায়া টাটা ও নেভিল টাটা। কিন্তু রতন বিয়ে করেননি, নিঃসন্তান, তাহলে এই লিয়া, মায়া ও নেভিল কারা? এই তিনজন হলেন রতন টাটার সৎ ভাই নোয়েল টাটার তিন সন্তান। এরই মধ্যে টাটা গোষ্ঠীর বিভিন্ন সংস্থায় ডিরেক্টরের দায়িত্ব সামলাচ্ছেন তারা। লিয়া, মায়া ও নেভিলের প্রতি ভরসা দেখিয়েছেন খোদ রতনও। সেই সূত্রেই দোরাবজি টাটা ট্রাস্ট ও রতন টাটা ট্রাস্টের ট্রাস্টি হিসেবে তিনজনকে নিয়োগের অনুমোদন দেন নিজেই। তবে নোয়েল কেবল রতনের সৎ ভাই নন, গত ৪০ বছর ধরে টাটা গ্রুপের বিশ্বস্ত সৈনিকও। সাফল্যের সঙ্গে নিজের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। বর্তমানে টাটা ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর নোয়েল। এ ছাড়াও রতন টাটা ট্রাস্ট ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের অন্যতম সদস্যও ছিলেন। রতন টাটার বাবা ছিলেন নাভাল টাটা। নাভালের দ্বিতীয় স্ত্রীর সন্তান ৬৭ বছরের নোয়েল। রতন টাটা ট্রাস্ট ও দোরাবজি টাটা ট্রাস্টের সদস্য হওয়ায় টাটা ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে ছিলেন নোয়েল। আরটিভি/এমএ/এআর
ভারতে নিষিদ্ধ হলো হিজবুত তাহ্‌রীর
বিশ্বব্যাপী ইসলামি খিলাফত প্রতিষ্ঠাকামী সংগঠন হিজবুত তাহ্‌রীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে ভারত।  বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে এ ঘোষণা দিয়েছে দেশটির স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এতে বলা হয়েছে, জিহাদ ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে ভারতসহ বিশ্বব্যাপী ইসলামি রাষ্ট্র ও খিলাফত প্রতিষ্ঠা করতে চায় হিজবুত তাহ্‌রীর। খবর পিটিআইয়ের।   ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জারি করা প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, হিজবুত তাহ্‌রীর চরমপন্থা বিস্তারে যুক্ত রয়েছে। তারা সহজ–সরল তরুণদের আইএসের মতো সন্ত্রাসী সংগঠনে যোগ দিতে উদ্বুদ্ধ করায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া তারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে। প্রজ্ঞাপন জারির পর এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ প্ল্যাটফর্ম এক্সে (সাবেক টুইটার) একটি পোস্ট করা হয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দপ্তর থেকে। তাতে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সন্ত্রাসবাদের প্রতি ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি অনুসরণ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আজ হিজবুত তাহ্‌রীরকে সন্ত্রাসী সংগঠন ঘোষণা করেছে। উল্লেখ্য, সংগঠনটি বাংলাদেশেও নিষিদ্ধ এবং জঙ্গি সংগঠন হিসেবে পরিচিত। ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর হিজবুত তাহ্‌রীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে তৎকালীন বাংলাদেশ সরকার। তবে এখনও সংগঠনটি দেশে তাদের তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। সপ্তাহখানেক আগেই রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে সংগঠনটির মিডিয়া সমন্বয়ক ইমতিয়াজ সেলিমকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।  মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হেরিটেজ ফাউন্ডেশনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিশ্বের অন্তত ৪০টি রাষ্ট্রে হিজবুত তাহ্‌রীর সক্রিয় আছে। তবে, তাদের বিতর্কিত কর্মতৎপরতার কারণে রাশিয়া, কাজাখস্তান, তুরস্ক, পাকিস্তান, তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, সংযুক্ত আরব আমিরাত, লেবানন এবং ইয়েমেন ছাড়া সব দেশেই সংগঠনটি নিষিদ্ধ।  আরটিভি/এসএইচএম  
মৃত্যুর আগে শেষ পোস্টে যা বলেছিলেন রতন টাটা
ভারতের বিখ্যাত শিল্পপতি ও টাটা সন্সের চেয়ারম্যান ইমেরিটাস রতন টাটা মারা গেছেন। বার্ধক্যজনিত কারণে মুম্বাইয়ের একটি হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। বুধবার রাতে সেখানেই তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। এদিকে মৃত্যুর মাত্র দুদিন আগে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্সে পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। মৃত্যুর আগে সেটিই ছিল তার সর্বশেষ পোস্ট। ওই পোস্টে তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়েছিলেন। মূলত নিজের স্বাস্থ্য নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ার পর অনুগামীদের জন্য ওই পোস্ট দিয়েছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার (১০ অক্টোবর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, মৃত্যুকালে রতন টাটার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর। বেশ কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন তিনি। এজন্য নিয়মিত চেকআপেও থাকতে হতো তাকে। জানা গিয়েছিল, হেলথ চেকআপের জন্য হাসপাতালে গিয়েছিলেন রতন টাটা। কিন্তু বুধবার বিকেলে ভারতীয় একাধিক সংবাদমাধ্যম দাবি করে, রতন টাটা শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। প্রাথমিকভাবে শোনা গিয়েছিল, হঠাৎ রক্তচাপ নেমে যাওয়ায় কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শেষে বুধবার রাতে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। এর আগে, গত সোমবার (৭ অক্টোবর) সকালে হঠাৎ খবর ছড়ায় রতন টাটা হাসপাতালে ভর্তি। কিন্তু এর কিছু পরে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, সেটা ভুল খবর। তিনি ঠিক আছেন। মাত্র দুই দিন আগে গত সোমবার ভারতীয় এই শিল্পপতি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে তার অনুগামীদের জন্য বার্তা দিয়ে তার স্বাস্থ্যকে ঘিরে ছড়িয়ে থাকা গুজবগুলোকে উড়িয়ে দিয়েছিলেন। সেখানে তিনি বলেছিলেন, আমার কথা চিন্তা করার জন্য আপনাদের ধন্যবাদ। রতন টাটা তার সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি আমার স্বাস্থ্য সম্পর্কে প্রচারিত সাম্প্রতিক গুজব সম্পর্কে অবগত এবং সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, এই দাবিগুলো ভিত্তিহীন। আমি বর্তমানে আমার বয়স এবং সম্পর্কিত চিকিৎসা অবস্থার কারণে মেডিকেল চেক-আপের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। আমি ভালো আছি...। ৮৬ বছর বয়সী ভারতীয় এই শিল্পপতি তার শেষ সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে বলেছিলেন, আমি জনসাধারণ এবং মিডিয়াকে ভুল তথ্য ছড়ানো থেকে বিরত থাকার অনুরোধ করছি। প্রসঙ্গত, ১৯৩৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ে পারসিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন রতন টাটা। বাবা নভল টাটার জন্ম গুজরাটের সুরাটে। পরে টাটা পরিবার তাকে দত্তক নেয়। রতন টাটার মা সুনি টাটা আবার সরাসরি জামশেদজি টাটার পরিবারের অংশ। রতন টাটার পিতামহ হরমসজি টাটা জন্মসূত্রেই ওই পরিবারের সদস্য। রতন টাটার যখন ১০ বছর বয়স, সেই সময় তার মা-বাবা আলাদা হয়ে যান। রতন টাটার নিজের এক ভাইও রয়েছেন, জিমি টাটা। সৎ ভাই নোয়েল টাটা। নভল টাটা দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন সিমোন টাটাকে। নোয়েল তাদেরই সন্তান। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খুব একটা কথা বলতেন না রতন টাটা। তবে বেশ কবছর আগে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের সঙ্গে খানিকটা মন খুলে কথা বলেছিলেন তিনি। রতন টাটা বলেছিলেন, প্রেম করলেও বিয়ে করার সাহস আর পাননি। কোনো না কোনো কারণ দেখিয়ে পিছু হটেছেন। প্রথম প্রেমিকা ছিলেন এক মার্কিন তরুণী। যুক্তরাষ্ট্রে তখন কাজ করতেন তিনি। প্রচণ্ড ব্যস্ততার মধ্যেও তার সঙ্গে ওই তরুণীর সম্পর্ক তৈরি হয়। কিন্তু তাকে বিয়ে করতে পারেননি। দ্রুত ভারতে ফিরে আসার কারণে সে সম্পর্ক পূর্ণতা পায়নি। ২০১১ সালে একটি সাক্ষাৎকারে রতন টাটা বলেছিলেন, তার জীবনে চার বার বিয়ের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল‌। কিন্তু শেষ পর্যন্ত নানা কারণে পিছিয়ে আসতে হয় তাকে। একাধিক সম্পর্কে জড়ালেও শেষ পর্যন্ত বিয়ের সিদ্ধান্ত নিতে পারেননি রতন টাটা। তাই শেষদিন পর্যন্ত কুমার থেকে গেলেন। ছোটবেলা বাবা-মায়ের বিচ্ছেদই রতন টাটার মধ্যে বিয়ের ভীতি তৈরি করেছে বলে অনেকের ধারণা। আরটিভি/একে/এআর