• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ভারতে ভেঙে দেওয়া হচ্ছে মুসলমানদের ঘর-বাড়ি
বাংলাদেশের সঙ্গে চীন-পাকিস্তানের মতো সম্পর্ক চায় না ভারত: জয়শঙ্কর
বাংলাদেশের উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের অংশীদারিত্বের কথা স্মরণ করিয়ে পারস্পরিক লাভে স্থিতিশীলতা ফেরানোর প্রত্যাশা জানিয়েছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। এ সময় তিনি চীন-পাকিস্তানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের প্রসঙ্গও টেনে ইঙ্গিত দিয়েছেন, বাংলাদেশের সঙ্গে সেরকম সম্পর্ক চায় না ভারত। জয়শঙ্কর বলেন, বাংলাদেশে উন্নয়ন প্রকল্পে ভারতের একটি ভালো অতীত রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে, যখন আমরা ‘প্রতিবেশী প্রথম’ নীতির কথা বলি, তখন পাকিস্তান ও চীন বাদে প্রায় প্রতিটি প্রতিবেশী দেশেই আমাদের গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে এবং বাংলাদেশের ক্ষেত্রেও তাই। শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) লোকসভা অধিবেশনের ভাষণে বাংলাদেশ প্রসঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ ভারতের জন্য উদ্বেগের বিষয় এবং নয়াদিল্লি আশা করে ঢাকা নিজ স্বার্থেই তাদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবস্থা নেবে। তিনি বলেন, ভারত আশা করে বাংলাদেশের নতুন সরকার পারস্পরিক লাভের একটা স্থিতিশীল সম্পর্কের দিকে যাবে। আমরা আমাদের উদ্বেগের বিষয়ে তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। সম্প্রতি, পররাষ্ট্রসচিব ঢাকা সফর করেছেন। সফরকালে বৈঠকগুলোতে বিষয়টি উঠে এসেছে। বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের প্রতি আচরণ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে কারণ তাদের ওপর একাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যোগ করেন জয়শঙ্কর। আরটিভি/এসএপি/এআর  
এবার বোমা মেরে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি
কারচুপিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দাবাড়ু, অভিযোগ রাশিয়ার 
তামিলনাড়ুতে হাসপাতালে আগুন, ৬ শিশুর করুণ মৃত্যু
হাসিনার কোনো বক্তব্যকে সমর্থন করে না ভারত: বিক্রম মিশ্রি
সমুদ্রে আটক ৭৮ বাংলাদেশিকে ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হবে
ভারতীয় জলসীমায় অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে আটক হওয়া ৭৮ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত পাঠানো হবে বলে জানিয়েছে উড়িষ্যা পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় বার্তাসংস্থা এএনআই। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভারতীয় কোস্ট গার্ডের হাতে ৭৮ জন বাংলাদেশি জেলের আটক হওয়ার দু’দিন পর ওড়িশা পুলিশ নিশ্চিত করেছে- তাদের তাদের নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। রাজ্যটির পারাদ্বীপের ডেপুটি সুপারিনটেনডেন্ট অব পুলিশ সন্তোষ কুমার জেনা এএনআইকে বলেছেন, আটকের পর জেলেদের বিষয়টি যাচাইয়ের জন্য উপকূলরক্ষীরা তাদেরকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে। পুলিশের এই ডিএসপি বলেছেন, গত পরশু ৭৮ বাংলাদেশি জেলেকে আটক করা হয়েছিল... এবং পরে তাদের পারাদ্বীপ থানায় নিয়ে আসা হয়... তাদের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য আমাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং সেটি করা হয়েছে। এখন তাদের (বাংলাদেশে) ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এর আগে, গত ১০ ডিসেম্বর ভারতীয় কোস্টগার্ড ভারতীয় জলসীমায় মাছ ধরার অভিযোগে ৭৮ জেলেসহ দুটি বাংলাদেশি ফিশিং ট্রলার আটক করে। ভারতীয় কোস্ট গার্ডের অভিযোগ, আন্তর্জাতিক সমুদ্র আইন ও ১৯৮১ সালের মেরিটাইম জোন অব ইন্ডিয়া অ্যাক্ট লঙ্ঘন করে ট্রলার দুটি ভারতীয় জলসীমায় চলাচল করছিল। আরটিভি/একে
ভারতে বসে হাসিনার রাজনৈতিক কার্যক্রম, যা জানালেন বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ ও ভারতের চলমান উত্তেজনার মধ্যেই সম্প্রতি দুই দেশের পররাষ্ট্র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্রসচিব মো. জসীম উদ্দিন ও ভারতের পক্ষে বিক্রম মিশ্রি নেতৃত্ব দেন। পরে দেশে ফিরে ভারতীয় পররাষ্ট্র সচিব সদ্য সমাপ্ত এই সফর নিয়ে দেশটির (ভারতের) সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করেন। সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ভারতে বসে রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়টি উঠে আসে। ভারতীয় গণমাধ্যম দ্য হিন্দুর বরাতে জানা যায়, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকে পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি জানিয়েছেন, ভারতে বসে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনার বিষয়টি সমর্থন করে না নরেন্দ্র মোদি সরকার। এটি দুই দেশের সম্পর্কের মধ্যে একটি ক্ষুদ্র প্রতিবন্ধক। তিনি বলেন, শেখ হাসিনা নিজের ব্যক্তিগত যোগাযোগের উপকরণ ব্যবহার করে বক্তব্য দিচ্ছেন। ভারত সরকার তাকে কোনো প্ল্যাটফর্ম বা সুযোগ প্রদান করেনি, যাতে তিনি ভারতীয় ভূখণ্ড থেকে তার রাজনৈতিক কার্যক্রম চালিয়ে যেতে পারেন।  ভারতের পররাষ্ট্রসচিব আরও বলেন, ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক কোনো একক রাজনৈতিক দল বা সরকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। বরং বাংলাদেশের জনগণের প্রতি মনোযোগ দিয়েই সম্পর্ক বিবেচনা করে ভারত। এদিকে ভারতীয় গণমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ব্রিফিং শেষে বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ভারতের বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর।  তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ সফরের বিষয়ে আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে ২১-২২ জন সংসদ সদস্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন করেছেন। এ সময় তার কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবও বিস্তারিত ও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন।  প্রসঙ্গত, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। এরপর থেকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। এমন পরিস্থিতিতে গত ৯ ডিসেম্বর ঢাকা সফর করেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। সফরকালে তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। পাশাপাশি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন মিশ্রি। আরটিভি/আইএম/এআর
বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতের সংসদ সদস্যদের ব্রিফ করলেন বিক্রম মিশ্রি
বাংলাদেশ সফর নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্যদের ব্রিফ করেছেন দেশটির পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) বিকালে নয়াদিল্লিতে পার্লামেন্ট অ্যানেক্স ভবনে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে সংসদ সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন তিনি বলে পিটিআইয়ের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস। বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ব্রিফিং শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেসের নেতা ও সংসদের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী কমিটির প্রধান শশী থারুর। তিনি বলেন, বাংলাদেশের বিষয়ে আমাদের চমৎকার ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকালই পররাষ্ট্রসচিব বাংলাদেশ থেকে ফিরে এসেছেন। সফরের বিষয়ে তিনি আমাদের একেবারে পুঙ্খানুপুঙ্খ ব্রিফ করেছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবো না। তবে ২১-২২ জন সংসদ সদস্য সফরের বিষয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে গুরুত্বপূর্ণ সব প্রশ্ন করেছেন। এ সময় তার কাছে অনেক বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। পররাষ্ট্রসচিবও বিস্তারিত ও সোজাসাপ্টা জবাব দিয়েছেন। কিন্তু আমি এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারব না। সূত্রের বরাত দিয়ে ভারতীয় বার্তা সংস্থা ইন্দো-এশীয় নিউজ সার্ভিসের (আইএএনএস) এক প্রতিবেদনে বলা হয়, পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ব্রিফিংয়ে অংশ নেওয়া সংসদ সদস্যদের জানান, বাংলাদেশে হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছে ঢাকার অন্তর্বর্তী সরকার। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব দেশটির সংসদ সদস্যদের বলেন, ঢাকা সফরে অনুষ্ঠিত বৈঠকের সময় ড. মুহাম্মদ ইউনূস নেতৃত্বাধীন প্রশাসন দিল্লির সঙ্গে স্বাক্ষরিত কোনও চুক্তি পর্যালোচনা করার কথা উল্লেখ করেনি। বৈঠকে অংশ নেওয়া একাধিক সূত্রের বরাত দিয়ে আইএনএস জানায়, ব্রিফ্রিংয়ের সময় পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির কাছে ভারতের কয়েকজন সংসদ সদস্য শেখ হাসিনা কোন মর্যাদায় দেশটিতে অবস্থান করছেন, সেই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন।   প্রসঙ্গত, গত সোমবার ঢাকা সফরে আসেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি। গত আগস্টে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর এটিই ছিল ভারতের কোনো কূটনীতিকের বাংলাদেশ সফর। সেদিন তিনি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে ফরেন অফিস কনসালটেশনে ভারতীয় প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন। মিশ্রি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ছাড়াও পররাষ্ট্র সচিব জসীম উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন। আরটিভি/কেএইচ
টাইমস অব ইন্ডিয়া / বাংলাদেশি পর্যটকদের ফেরাতে তৎপর কলকাতার ব্যবসায়ীরা
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এবং ব্যক্তিগত প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের ভারতের নিরাপত্তা সংক্রান্ত প্রতিশ্রুতির বার্তা জানানো হবে বলে জানিয়েছেন কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকার স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে তারা এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন। ব্যবসায়ীরা জানান, এই প্রচেষ্টার মাধ্যমে বাংলাদেশি পর্যটকদের জানানো হবে, তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি ভারত সরকার, পশ্চিমবঙ্গ প্রশাসন এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার। তারা আশা করছেন, বাংলাদেশি পর্যটকদের আস্থা পুনরুদ্ধার করে আবারও ব্যবসার স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। ফ্রি স্কুল স্ট্রিট ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হায়দার আলি খান বলেন, ‘অনেক নিয়মিত দর্শনার্থী, যারা চিকিৎসার জন্য আসতে চেয়েছিলেন, তারা নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণে সফর পিছিয়ে দিয়েছেন। অনেক পর্যটক ফিরে গেছেন, কারণ তারা কোনো প্রতিক্রিয়ার ভয়ে ছিলেন। আমরা তাদের আশ্বস্ত করছি কলকাতা এবং ভারতের যেকোনো অংশে তারা সম্পূর্ণ নিরাপদ।’ হোটেল মালিক পিন্টু বসাক বলেন, ‘গত দুই দশকে এই এলাকায় বাংলাদেশি পর্যটকদের জন্য একটি সম্পূর্ণ ব্যবস্থা গড়ে উঠেছে। আমরা সবাইকে আশ্বস্ত করতে চাই, কলকাতা আগের মতোই অতিথিপরায়ণ।’ মার্কুইস স্ট্রিটের একটি রেস্টুরেন্টের মালিক এনসি ভৌমিক বলেন, ‘কলকাতার মিনি বাংলাদেশ শুধু একটি ব্যবসায়িক কেন্দ্র নয়, এটি দুই দেশের দীর্ঘ সম্পর্কের প্রতীক। এই কঠিন সময়ে আমরা ছোট উদ্যোগের মাধ্যমে বিভ্রান্তি দূর এবং কলকাতার আন্তরিকতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ভাবমূর্তি পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাই।’ প্রসঙ্গত, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়া বিভ্রান্তিকর তথ্য ও ভুল ধারণার কারণে বাংলাদেশি পর্যটকদের মধ্যে নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তাই বাংলাদেশের অনেকে ভারত ভ্রমণের পরিকল্পনা বাতিল করেছেন বা নির্ধারিত সময়ের আগেই ফিরে এসেছেন। ফলে বর্তমানে মার্কুইস স্ট্রিট, ফ্রি স্কুল স্ট্রিট, কলিন স্ট্রিট, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোড এবং কেওয়াইডি স্ট্রিটের মতো এলাকাগুলোর ব্যবসায় মন্দা দেখা দিয়েছে। পর্যটকদের অনুপস্থিতিতে হোটেলগুলোর রুম ভাড়া ১০ থেকে ১৫ শতাংশে নেমে এসেছে। উল্লেখ্য, জমজমাট বাজার, বাংলাদেশি খাবারের রেস্টুরেন্ট ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের জন্য পরিচিত হলো কলকাতার ‘মিনি বাংলাদেশ’ এলাকা। আরটিভি/এফএ
বিএনপির লংমার্চ ঘিরে আখাউড়া সীমান্তে নিরাপত্তা জোরদার ভারতের
ভারতের আগরতলায় বাংলাদেশ সহকারী হাইকমিশনে হামলা ও সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বাঁধানোর ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে ‘ঢাকা টু আখাউড়া লংমার্চ’ শুরু করেছে বিএনপির তিন সংগঠন। দলটির এই কর্মসূচিকে হালকাভাবে না নিয়ে নিরাপত্তা জোরদার ভারত ও ত্রিপুরা রাজ্য সরকার। বুধবার (১১ ডিসেম্বর) আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট ও ত্রিপুরা রাজ্যের গোটা সীমান্ত এলাকায় বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে ভারত। জানা গেছে, এদিন সকাল থেকেই রাজধানী আগরতলার পার্শ্ববর্তী আখাউড়া ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টে ভারতীয় নিরাপত্তা বাহিনীর তৎপরতা ছিল লক্ষ্যনীয়। পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপারকে চেকপোস্টের বাইরে দাঁড়িয়ে নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করতে দেখা গেছে। আখাউড়া সীমান্তে বিএসএফের পাশাপাশি টিএসআর বাহিনী এবং পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। এছাড়া বিপুল পরিমাণে মজুদ করা হয়েছে রায়ট কন্ট্রোল ভ্যান, জলকামান ও টিআর গ্যাস শেল।  এ বিষয়ে পশ্চিম জেলার পুলিশ সুপার ড. কিরণ কুমার বলেন, উত্তেজনাকর পরিস্থিতির কথা চিন্তা করে গত এক সপ্তাহ ধরে আখাউড়াসহ রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে এবং পুলিশ বাহিনীও টহল দিচ্ছে। গোয়েন্দা বাহিনীকে বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের উত্তেজনাকর পরিস্থিতি সামাল দিতে নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে। উল্লেখ্য, আখাউড়া সীমান্তে নিরাপত্তা ব্যবস্থার জোরদার করা হলেও যাত্রী পারাপার অব্যাহত রয়েছে। আরটিভি/এসএপি/এআর
পশ্চিমবঙ্গে নতুন বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিলেন তৃণমূল নেতা
পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে নতুন বাবরি মসজিদ নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন হুমায়ুন কবীর নামে তৃণমূল কংগ্রেসের এক নেতা। এ সময় মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের তারিখও জানিয়ে দিয়েছেন ভরতপুর বিধানসভার এ বিধায়ক। তিনি বলেছেন, মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা এলাকায় অযোধ্যার বাবরি মসজিদের আদলে একটি নতুন মসজিদ প্রতিষ্ঠা করা হবে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে প্রধান অতিথি হিসেবে সামনে রেখে লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে নতুন বাবরি মসজিদের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে ২০২৫ সালের ৬ ডিসেম্বর। শুধু তাই নয়, নতুন বাবরি মসজিদ নির্মাণে যত খরচ হবে, তার মধ্যে এক কোটি রুপি নিজেই দেবেন বলেও ঘোষণা দিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এ নেতা।  তিনি বলেন, আমি ইসলাম ধর্ম মানি। আমার মসজিদ বানানোর অধিকার আছে। কে কী বলল, তাতে আমার কিছু যায় আসে না। এ ব্যাপারে হুমায়ুন কবীর আরও বলেন, বাবরি মসজিদ ধ্বংস হয়েছে, ৩৩ বছর হয়ে গেছে। সেই মসজিদের আদলে আরেকটা মসজিদ প্রতিষ্ঠা করলে তা ইসলামী রাষ্ট্র তৈরির অভিপ্রায়ের মধ্যে পড়ে না। এ ধরনের একটি মসজিদ তৈরি হলে সেখানে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন। মসজিদটি উদ্বোধনের সময় পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর পাশাপাশি ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও আমন্ত্রণ জানাবেন বলে জানিয়েছেন এ বিধায়ক। তিনি জানান, মসজিদ নির্মাণ করতে তিন থেকে চার বছর সময় লাগবে। ২০২৯ সালের লোকসভা নির্বাচনের পর এর উদ্বোধন করা হবে। এদিকে হুমায়ুন কবীরের এই ঘোষণার জবাবে বঙ্গীয় হিন্দু সেনাপতি সংগঠনের সভাপতি অম্বিকানন্দ মহারাজ বলেছেন, বেলডাঙায় বাবরি মসজিদ তৈরি হোক, তাতে কোনও আপত্তি নেই। তবে, মুর্শিদাবাদে প্রতিটি বিধানসভায় একটি করে রাম মন্দির হবে। পুরো মুর্শিদাবাদজুড়ে ২২টি রাম মন্দির তৈরি করা হবে। আরটিভি/এসএইচএম/এআর
ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটক ৭৮ বাংলাদেশি নাবিকের ছবি প্রকাশ
আটক বাংলাদেশি ৭৮ নাবিকসহ এফভি লায়লা-২ ও এফবি মেঘনা-৫ ট্রলারের ছবি প্রকাশ করেছে ভারতীয় কোস্ট গার্ড। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) রাতে সংস্থাটির অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ ও এক্স হ্যান্ডলে মোট তিনটি ছবি প্রকাশ করা হয়। এসব ছবিতে দেখা গেছে, আটক বাংলাদেশি নাবিকেরা মাথার পেছনে হাত দিয়ে হাঁটু গেড়ে বসে আছেন। তাদের পেছনে দাঁড়িয়ে ভারতীয় কোস্টগার্ডের সদস্যরা। বাংলাদেশের দুটি ট্রলার সাগরে চলছে। জেটিতে ট্রলার দুটি নিয়ে আসা হচ্ছে। ছবির ক্যাপশনে ভারতীয় কোস্ট গার্ড জানিয়েছে, ভারতীয় সমুদ্রসীমায় মৎস্য আহরণের অভিযোগে এক অভিযানে ট্রলার ২টিসহ ৭৮ নাবিককে আটক করা হয়েছে। নাবিকসহ ট্রলার দুটি প্যারা দ্বীপের কাছে নেওয়া হয়েছে। জানা গেছে, এফভি লায়লা-২ ট্রলারটি এস আর ফিশিং নামের প্রতিষ্ঠানের। অপর দিকে এফভি মেঘনা-৫ নামের ট্রলারটি সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের মালিকানাধীন। সিঅ্যান্ডএফ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন জানান, সোমবার সকালে ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে মাছ ধরছিল। এ সময় ভারতীয় কোস্টগার্ড ট্রলার দুটি আটক করে নিয়ে যায়। এখন যেহেতু ভারতীয় কোস্টগার্ড আটক করেছে বলে ফেসবুকে জানিয়েছে, তাই আইনি প্রক্রিয়ায় যাতে উদ্ধার করা যায়, সে জন্য বাংলাদেশ সরকারের সংশ্লিষ্ট পক্ষকে জানিয়েছেন তারা।   আরটিভি/এসএপি