• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
খুলনায় বজ্রপাতে গাভীসহ যুবকের মৃত্যু
৮ ঘণ্টা পর পাটকলের আগুন নিয়ন্ত্রণে
ফায়ার সার্ভিস ও নৌ বাহিনীর ১৬টি ইউনিটের ৮ ঘণ্টার চেষ্টার পর রূপসার সালাম জুট মিলের আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। এখন চলছে ডাম্পিংয়ের কাজ। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক ফারুক হোসেন সিকদার। তবে এরইমধ্যে রূপসার জাবুসায় অবস্থিত পাটকলটির চারটি গোডাউনে কাঁচা পাট ও প্রক্রিয়াজাত অবস্থায় থাকা সব পাটই পুড়ে গেছে। এদিকে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ধারণা করে শত কোটি টাকা ক্ষতির দাবি মালিক পক্ষের। যদিও ফায়ার সার্ভিস বলছে তদন্তের পরেই জানা যাবে মূল ঘটনা। এর আগে, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপসা উপজেলার জাবুসা এলাকায় অবস্থিত সালাম জুট মিলের পাটের গুদামে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস খুলনার সহকারী পরিচালক মো. ফারুক হোসেন সিকদার বলেন, বুধবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রূপসা উপজেলার জাবুসা এলাকায় অবস্থিত সালাম জুট মিলের পাটের গুদামে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিস খুলনা ও বাগেরহাটের সঙ্গে নৌ বাহিনীর দুটিসহ মোট ১৬টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে যাচ্ছে। রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন আংশিক নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়। রাত দেড়টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় নিজস্ব ব্যবস্থা জুট মিলটিতে না থাকায় এবং দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ায় নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে বলে জানায় ফায়ার সার্ভিস। আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। আগুন লাগার পর আশপাশের এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, সালাম জুট মিলে শুকনো পাট থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়েছে। ফলে আগুন নেভাতে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। সূতা ও রপ্তানিযোগ্য পাটজাত পণ্য মজুত ছিল। মূলত পাটের সূতা উৎপাদন করা হতো। প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, প্রথমে জুট মিলটির ৩ নম্বর গুদামে আগুনের সূত্রপাত হয়। পরে বিভিন্ন গুদামে ছড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় নৌবাহিনীর দুটি ইউনিট। এখনো আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি। আগুনে অনেক পাট পুড়ে গেছে। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মিল কর্তৃপক্ষ বলেছে, রূপসার জাবুসায় অবস্থিত মিলটিতে উৎপাদিত সাড়ে ৭০০ টন সূতা মজুত ছিল।পাটকলটির চারটি গোডাউনে কাঁচা পাট ও প্রক্রিয়াজাত করা থাকা সব পাটই পুড়ে গেছে। এতে শত কোটি টাকা ক্ষতির দাবি মালিকপক্ষের। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে বাংলাদেশ নৌবাহিনীও কাজ করছে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)।
এখনও নেভেনি  রূপসার জুট মিলের আগুন
আংশিক নিয়ন্ত্রণে এলেও নেভেনি আগুন, যোগ দিয়েছে নৌবাহিনী
কয়রায় স্মার্ট পোস্ট সার্ভিস পয়েন্টের যাত্রা শুরু
সুইডেনের রাজকন্যাকে বরণে প্রস্তুত খুলনা
যে কারণে চোখে-মুখে সুপার গ্লু দিয়ে ধর্ষণ করেন চোর
খুলনার পাইকগাছায় গৃহবধূর চোখ-মুখে সুপার গ্লু লাগিয়ে দিয়ে ধর্ষণ ও লুটপাটের ঘটনার মূল হোতা এনামুল জোয়াদ্দারকে (২৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলার কপিলমুনির কাশিমনগরে একটি পরিত্যক্ত মাছের ডিপো থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এনামুলের বিরুদ্ধে অস্ত্র, ডাকাতি, দস্যুতা, চুরি ও মাদক মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর তার কাছ থেকে অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি উপজেলার গদাইপুর এলাকার বাসিন্দা একরামুল জোয়াদ্দারের ছেলে। শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার সুশান্ত সরকার। গ্রেপ্তার এনামুলের বরাতে পুলিশ সুপার বলেন, গৃহবধূর ঘুম ভেঙে গেছে মনে করে প্রথমে হাত দিয়ে মুখ চেপে ধরেন এনামুল। পরে পকেটে থাকা সুপার গ্লু ভিকটিমের চোখে এবং মুখে লাগিয়ে দেন। এনামুলের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার মায়ের কাছ থেকে একটি চোরাই মোবাইল ও পার্শ্ববর্তী ডুমুরিয়া উপজেলার মালতিয়া গ্রামের দীপক হালদারের ছেলে স্বর্ণকার সুমন হালদারের (৪০) কাছ থেকে চোরাই সোনার কানের দুল উদ্ধার করা হয়েছে।  এর আগে, পুলিশ ওই মামলায় ছামাদ সরদার (৪৫) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ভিকটিমের স্বামী কাঁচামাল ব্যবসায়ী (৫০) গড়ইখালী হাটের উদ্দেশ্যে কাঁচামাল নিয়ে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান।  ওইদিন রাতে দুর্বৃত্তরা মান্নানের একতলা পাকা বিল্ডিংয়ের চিলেকোঠার দরজা ভেঙে তার স্ত্রীর শয়নকক্ষে প্রবেশ করেন। প্রথমে ওড়না দিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ফেলেন। এরপর কানে থাকা দু আনা ওজনের সোনার দুল, গচ্ছিত ১১ হাজার টাকা ও গৃহবধূর ব্যবহৃত একটি মোবাইল নিয়ে নেন। চলে যাওয়ার আগে আসামিরা গৃহবধূর চোখে-মুখে আঠা দিয়ে ধর্ষণ করেন। পরে মুমূর্ষু অবস্থায় ফেলে রেখে পালিয়ে যান।
চোখে-মুখে ‘সুপার গ্লু’ দিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা, অতঃপর...
খুলনার পাইকগাছায় চোখ-মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে ভুক্তভোগী নারীর স্বামী বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ভুক্তভোগীর স্বামীর অভিযোগ, গত রোববার রাতে তিনি ব্যবসায়িক কাজে গড়ুইখালী বাজারে ছিলেন। এ সুযোগে ভোর তিনটার দিকে দুর্বৃত্তরা মই দিয়ে ছাদে যায়। এরপর সিড়ির দরজা ভেঙে তার স্ত্রীর বেডরুমে প্রবেশ করে। এরপর তার চোখে ও মুখে ‘সুপার গ্লু’ আঠা দিয়ে তাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করে। পরে তার স্ত্রীর কানের দুল ও গলার চেনসহ মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায় তারা। পাইকগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ওবায়দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অজ্ঞাত পরিচয় ২/৩ জনকে আসামি করে তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন। তবে ওই মামলায় এখনও কাউকে আটক করা যায় নি। ভুক্তভোগী নারী খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তিনি আরও জানান, এ ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত এবং আটক করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
উপজেলা নির্বাচন চার ধাপে, শুরু এপ্রিলে
এপ্রিলের শেষ দিকে উপজেলা নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আহসান হাবিব খান (অব.)। রোববার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে খুলনার ফুলতলা রি-ইউনিয়ন স্কুল অ্যান্ড কলেজে উপজেলার স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান। ইসি আহসান হাবিব বলেন, এবার উপজেলা পরিষদ নির্বাচন চার ধাপে অনুষ্ঠিত হবে। এপ্রিলের শেষ সপ্তাহে শুরু হবে প্রথম ধাপের নির্বাচন। সবার অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে শান্তিপূর্ণ। আহসান হাবিব বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন করতে চাইলে বিদ্যমান আইনের পরিবর্তন করতে হবে। রাজনৈতিক দল বা স্বতন্ত্র প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচনে কোনো বাধা নেই। তিনি বলেন, নাগরিকসেবা প্রদানের ক্ষেত্রে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্রের গুরুত্ব অপরিসীম। স্মার্টকার্ডে দেশের নাগরিকদের ডিজিটাল তথ্য সংরক্ষিত থাকবে। এর মাধ্যমে নাগরিক সম্পর্কে জানা যাবে। মানুষের জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সকল সেবার ক্ষেত্রে এর প্রয়োজন রয়েছে। ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এই স্মার্ট কার্ড উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এর ডাটাবেজ সুরক্ষিত, ব্যক্তির চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি এবং দশ আঙুলের ছাপ দিয়ে তৈরি। তিনি আরও বলেন, এই স্মার্ট কার্ড আমেরিকা, ইতালি, সৌদি আরব ও আবুধাবি এই চারটি দেশের প্রবাসীদের বিতরণ করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে আরও ১১টি দেশে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে। বীর মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য নতুন করে আলাদা স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করা হবে। খুলনা নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তারা জানান, জেলায় বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ২০ লাখ ভোটারের মধ্যে প্রায় ১০ লাখ ২০ হাজার ভোটার স্মার্ট কার্ড পেয়েছেন। এবার প্রায় ৯ লাখ ব্যক্তি পাবেন স্মার্ট কার্ড। পর্যায়ক্রমে ফুলতলা উপজেলার ২ হাজার ৯২০ জনের মাঝে স্মার্ট কার্ড বিতরণ করা হবে।   অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি ছিলেন, আইডিইএ’র প্রকল্প পরিচালক (২য় পর্যায়) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আবুল হাসনাত মোহাম্মদ সায়েম। খুলনার জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন খুলনা আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান। এ ছাড়া শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ফারাজী বেনজীর আহম্মেদ।
‘আমাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি’ থানায় এসে বললেন সেই তরুণী
খুলনায় ধর্ষণের অভিযোগ করা ও পরে অপহরণের শিকার সেই তরুণী সোনাডাঙ্গা থানায় হাজির হয়ে বলছেন ভিন্ন কথা। তিনি বলেছেন, আমাকে ধর্ষণ বা অপহরণ করা হয়নি। রোববার (২৮ জানুয়ারি) রাত পৌনে ১১টায় মাইক্রোবাসে করে থানায় আসেন ওই তরুণী ও তার মা। পরে পুলিশ  জিজ্ঞাসাবাদ করলে জানান  জানান, তিনি ধর্ষণের শিকার হননি। তাকে ২ জন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করেছিল। রোববার বিকেলে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তিনি নিজেই গাড়িতে রওনা দেন। পরে যশোরের কেশবপুরে এক আত্মীয়র বাড়িতে যান। পুলিশ খবর দেওয়ায় তারা ফের থানায় এসেছেন।  সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে ওই তরুণী জানান- ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান গাজী এজাজ আহমেদ তাকে ধর্ষণ করেনি। খুলনা মেডিকেল হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পর তাকে কেউ অপহরণ করেনি। তিনি নিজেই আত্মীয়ের বাড়িতে গিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেন, অপহরণের অভিযোগে গাজী এজাজ আহমেদের চাচাতো ভাই মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছিল। তার  বিরুদ্ধেও ওই তরুণীর কোনো অভিযোগ না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। এর আগে রোববার বিকেলে খুমেক হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার (ওসিসি) থেকে বের হওয়ার পর ধর্ষণের অভিযোগ করা ওই তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়েছে বলে জানা যায়। ওই সময় ঘটনাস্থল থেকে তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে পুলিশ। এ বিষয় বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম জানান, বিকেলে ওই তরুণীকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে জানতে পেরে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা ওসিসির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হন। তখন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলা এগিয়ে যান। মোমিনুল ইসলাম আরও জানান, এ সময় আগে থেকে সেখানে অপেক্ষারত দুর্বৃত্তরা ওই তরুণী ও তার মাকে ধাক্কাধাক্কি করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ ছাড়া তাদের ২-৩ জন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দেয়। এরপর দ্রুত মাইক্রোবাসটি ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।
হাসপাতাল থেকে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে প্রকাশ্যে অপহরণ 
খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টার থেকে বের হওয়ার পর ধর্ষণের শিকার তরুণী ও তার মাকে প্রকাশ্যে অপহরণ করে নিয়ে গেছে দুর্বৃত্তরা।  রোববার (২৮ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।  ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ডুমুরিয়ার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়কারী অ্যাডভোকেট মো. মোমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, বিকেলে ওই তরুণীকে ওসিসি থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হবে বলে জানতে পেরে মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা ওসিসির সামনে অপেক্ষায় ছিলেন। ছাড়পত্র পাওয়ার পর ওই তরুণী তার মাকে সঙ্গে নিয়ে বাইরে বের হন। তখন মানবাধিকার কর্মী ও সাংবাদিকরা তাদের সঙ্গে কথা বলার জন্য এগিয়ে যান। এ সময় আগে থেকে সেখানে অপেক্ষায় থাকা দুর্বৃত্তরা ওই তরুণী ও তার মাকে ধাক্কাধাক্কি করে একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয়। এ ছাড়া তারা ২ থেকে ৩ জন সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের ধাক্কা দিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেয়। এরপর দ্রুত মাইক্রোবাসটি মেডিকেল ত্যাগ করে। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে ডুমুরিয়া উপজেলার রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করে সোনাডাঙ্গা থানায় নিয়ে যায়। সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত মো. আমিনুল ইসলাম জানান, অপহরণ ও হামলার কথা শুনে তিনি ঘটনাস্থলে এসেছেন। ঘটনাস্থল থেকে রুদাঘরা ইউপি চেয়ারম্যান মো. তৌহিদুজ্জামানকে আটক করা হয়েছে। তাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তরুণী ও তার মাকে অপহরণ করা হয়েছে কিনা তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এজাজ আহমেদের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্ষণের অভিযোগ তুলে ওই তরুণী। শনিবার রাত সোয়া ১১টার দিকে তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান-স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
২ সন্তানকে হত্যার পর মায়ের আত্মহত্যা
দুই সন্তানকে হত্যার পর খুলনায় এক মা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে জানা গেছে। শনিবার (২৭ জানুয়ারি) ডুমুরিয়া উপজেলার ১৩ নং গুটুদিয়া ইউনিয়নের কমলপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহতরা হলেন উপজেলার কমলপুর গ্রামের মান্নান সরদারের স্ত্রী ডলি বেগম (৩৮) এবং তার মেয়ে ফাতেমা (৬) ও ৭ মাস বয়সী ছেলে ওমর।  স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শনিবার সকাল ৮টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে যে কোনো সময় নিজ বাড়িতে পারিবারিক কলহের কারণে ডলি বেগম তার ২ সন্তানকে হত্যা করে নিজে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ডুমুরিয়া থানার ওসি সুকান্ত সাহা বলেন, ঘটনার বিষয়ে বিস্তারিত এখনও জানা যায়নি। মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ বিষয়ে খুলনা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আসিফ ইকবাল জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে আব্দুল মান্নান সরদারের স্ত্রী ডলি বেগম তার চার বছরের মেয়ে ফাতেমা খাতুন ও সাত মাসের ছেলে ওমর আলী সরদারকে বালিশ চাপা দিয়ে হত্যা করেন। এরপর নিজে ঘরে গলায় দঁড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন। খবর খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ডুমুরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।