• ঢাকা রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
logo
খুলনায় পুলিশ কর্মকর্তাসহ সাবেক ২ এমপির বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে ৩ শ্রমিকের মৃত্যু
খুলনায় একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে তিন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টার দিকে নগরীর বয়রা এলাকায় মর্মান্তিক এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন আশরাফুল, মামুন ও রাব্বি। তবে তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যায়নি। স্থানীয়রা জানান, সকালে নির্মাণাধীন ভবনটির ছাদে কাজ করছিলেন কয়েকজন শ্রমিক। এ সময় অসাবধানতায় আশরাফুল, মামুন ও রাব্বি ছাদ থেকে পড়ে যান। সহকর্মীরা দ্রুত উদ্ধার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তিনজনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, বয়রা মহিলা কলেজের বিপরীত পাশে কর ভবনে নির্মাণকাজ করছিলেন রড মিস্ত্রিরা। সেখানে অসাবধানতায় পাঁচ তলা থেকে পড়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে বলে শুনেছি। তবে ঘটনাটি সোনাডাঙ্গা মডেল থানা এলাকার। আরটিভি/আইএম-টি
পাইকগাছায় ব্যাঙের ছাতার মতো বাড়ছে অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক 
উচ্ছেদ হয়নি অবৈধভাবে নির্মিত পাইকগাছার মধুমিতা পার্কের আ.লীগ কার্যালয় 
খুলনায় ইউপি সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা
শেখ হাসিনার ৫ চাচাতো ভাইসহ ২১৫ জনের নামে মামলা
শেখ হাসিনার চাচাতো ভাইয়ের নামে চাঁদাবাজির মামলা
৬০ লাখ টাকা চাঁদাবাজির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চাচাতো ভাই শেখ সোহেল ও এলজিইডি খুলনার সাবেক নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল কালাম মুহাম্মদ আনিছুজ্জামানের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এস আর ট্রেডার্সের মালিক শেখ শহিদুল ইসলাম বাদী হয়ে খুলনার মুখ্য মহানগর হাকিমের আমলি আদালত-১-এ মামলাটি করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী এস এম মাসুদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, আদালতের বিচারক মো. তরিকুল ইসলাম মামলাটি আমলে নিয়ে তা তদন্তের জন্য সোনাডাঙ্গা থানাকে নির্দেশ দিয়েছেন। মামলার পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে চলতি বছরের ২০ অক্টোবর। মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত ২৩ এপ্রিল দুপুরের দিকে কয়েকজন যুবক এসে খুলনা যুবলীগের নেতাকর্মী পরিচয় দিয়ে শহিদুল ইসলামকে শেখ বাড়িতে শেখ সোহেলের কাছে নিয়ে যান। সেখানে সোহেল এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আনিছুজ্জামানের বিরুদ্ধে হওয়া দুদকের অভিযোগের জন্য ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলামকে দায়ী করেন। ওই অভিযোগ নিষ্পত্তির জন্য শহিদুল ইসলামের কাছে ৬০ লাখ টাকা দাবি করেন। সেদিন বিকেলের মধ্যে ব্যাংক ও বিভিন্ন জায়গা থেকে ধারদেনা করে ৬০ লাখ টাকা এনে সোহেলকে দেন শহিদুল। আগ্নেয়াস্ত্র ঠেকিয়ে শেখ সোহেল ওই টাকা গ্রহণ করেন।
জ্বালানি তেলের দাম আরও কমানোর চেষ্টা থাকবে: জ্বালানি উপদেষ্টা
জ্বালানি তেলের দাম আরও কমানোর চেষ্টা থাকবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান। তিনি বলেছেন, অকটেন ও পেট্রোলের দাম লিটারে ৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম ১ টাকা ২৫ পয়সা কমিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। ভবিষ্যতে আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে এটাকে আরও কমাতে পারি। শনিবার (৩১ আগস্ট) বেলা ১১টায় খুলনার খালিশপুরে অবস্থিত নির্মাণাধীন রুপসা ৮০০ মেগাওয়াট কম্বাইন্ড সাইকেল পাওয়ার প্ল্যান্ট প্রকল্প পরিদর্শনের আগে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি। ফাওজুল কবির খান বলেন, ডিজেলের এই দাম কমাতেই সরকারের জান বের হয়ে গেছে। আপনারা জানেন, আমাদের এখানে যে জ্বালানি তেল ব্যবহার করা হয় তার বেশির ভাগই ডিজেল। ডিজেলচালিত বাহন হচ্ছে বেশি। তারপর অকটেন, এরপর পেট্রোল। আমরা ডিজেলের দাম ১০৬ টাকা ৭৫ পয়সা থেকে ১০৫ টাকা ৫০ পয়সা, ১ টাকা ২৫ পয়সা পার লিটারে কমাচ্ছি। অকটেনের দাম ১৩১ টাকা থেকে ১২৫ টাকা, মানে ৬ টাকা কমাচ্ছি। পেট্রোলের দাম ১২৭ টাকা থেকে ১২১ টাকা, সেটাও ৬ টাকা কমাচ্ছি। অকটেন ও পেট্রোলের দাম ৬ টাকা এবং ডিজেলের দাম মাত্র ১ টাকা ২৫ পয়সা কমানোর কারণ প্রসঙ্গে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, আপনারা বলতে পারেন যে অকটেন-পেট্রোল এগুলো বড়লোকেরা ব্যবহার করে। ওদেরটা ৬ টাকা কমালেন? এর কারণ হচ্ছে, এদের পরিমাণটা খুব কম। এটা কমালে এটার ইমপ্যাক্টটা কম হয়। ওখানে (ডিজেল) এক টাকা ২৫ পয়সা কমাতে আমাদের জান বের হয়ে গেছে। আমরা আরও চেষ্টা করবো। ভবিষ্যতে যদি জ্বালানি মূল্য স্থিতিশীল থাকে, আমরা দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রকিউরমেন্ট প্রাইস, এখন তো একটা প্রকিউরমেন্ট প্রাইস আছে, সেটা তো আমি পরিবর্তন করতে পারব না। একটা কনট্রাক্ট আছে। সেটার জন্য এতটুকু করেছি। ভবিষ্যতে আমাদের চেষ্টা থাকবে যাতে এটাকে আরও কমাতে পারি। এ সময় জ্বালানি তেলের নতুন দাম শনিবার দিনগত রাত ১২টা থেকে কার্যকর হবে বলেও জানান জ্বালানি উপদেষ্টা।
শেখ হাসিনার ৪ চাচাতো ভাইয়ের বিরুদ্ধে ২ মামলা
খুলনার খালিশপুরে বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৪ চাচাতো ভাই খুলনা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সালাহ উদ্দিন জুয়েল, শেখ সোহেল, শেখ রুবেল ও শেখ বাবুসহ ২১৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে।  শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাতে খালিশপুর থানায় মামলা দুটি করা হয়।  ৯নং ওয়ার্ডের শেখ দবীর ও ১৫নং ওয়ার্ডের কাজী মো. ইকরাম মিন্টু বাদী হয়ে মামলা দুটি দায়ের করেন।  শেখ দবিরের দায়ের করা মামলায় ১১০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় আরও ২০-২৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলায় ২০২২ সালের ২৭ আগস্ট ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি অফিস ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়। ইকরাম মিন্টুর মামলায় ১০৫ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয় ২৫-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলায় ২০২৩ সালের ২২ অক্টোবর ১৫নং ওয়ার্ড বিএনপি কার্যালয় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ আনা হয়েছে। খালিশপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আশিষ মৈত্র বলেন, মামলা দুটি রেকর্ড করা হয়েছে। তদন্তের জন্য দুই জন তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করা হয়েছে। তারা আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন।
খুলনায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৯ গ্রাম প্লাবিত, লাখো মানুষ পানিবন্দি
খুলনার পাইকগাছা ও দাকোপ উপজেলার দুটি স্থানে বাঁধ ভেঙে ১৯ গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ফলে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন লাখো মানুষ। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) খুলনা-২-এর নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম। স্থানীয়রা জানান, পাইকগাছার কালিনগর রেখামারি বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম এবং দাকোপের পানখালীর খলিসায় বাঁধ ভেঙে ৬টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এর ফলে চিংড়িঘের, রোপা আমন ধান ও বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যদিও পাইকগাছা ও দাকোপের বাঁধ স্বেচ্ছাশ্রমে আটকানোর অনেক চেষ্টা করা হয়। তবে সেই চেষ্টা সফল হয়নি। জোয়ারের পানির চাপ অতিমাত্রায় রয়েছে। এ কারণে বাঁশের খুঁটি দিয়েও মাটি আটকানো যাচ্ছে না। পাইকগাছার বেড়িবাঁধের একটি অংশে ফাটল ছিল। বৃহস্পতিবার সকালে চোখের সামনেই তা ভেঙে যায়। এরপর এলাকার ৫টি ওয়ার্ডের মসজিদ-মন্দিরের মাইক দিয়ে এ খবর প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। স্থানীয় লোকজন নিয়ে বাঁধ সংস্কারের চেষ্টা করা হয়। যা সফল হয়নি। জানা যায়, কালীনগর গ্রামের পাশেই রয়েছে ভদ্রা নদী। দুপুরের দিকে সেখানে পাউবোর ২২ নম্বর পোল্ডারের উপকূল রক্ষার বেড়িবাঁধের প্রায় ৯০ ফুটের মতো অংশ ভেঙে যায়। এ সময় ওই পোল্ডারের ভেতরে থাকা ১৩টি গ্রামের মধ্যে পানি প্রবেশ শুরু করে। প্লাবিত গ্রামগুলো হলো– কালীনগর, দারুল মল্লিক, গোপী পাগলা, তেলিখালী, সৈয়দখালী, খেজুরতলা, সেনের বেড়, হাটবাড়ি, ফুলবাড়ী, বাগীরদানা, দুর্গাপুর, হরিণখোলা ও নোয়াই। এদিকে, দাকোপের খলিসা এলাকা কাজীবাছা নদীর তীরে। এ স্থানটিতে ৫০-৬০ হাত ভেঙেছে। ভাঙন বাড়ছে জোয়ারের চাপের কারণে। ফলে প্লাবিত হওয়া গ্রামগুলো হচ্ছে খলিসা, পানখালী, আনন্দনগর, ছোট চালনা, মৌখালী ও হোগলাবুনিয়া। এ বিষয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আশরাফুল আলম বলেন, ‘২২ নম্বর পোল্ডারের আয়তন প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর। ভদ্রা নদীর ৩০ মিটার ভেঙেছে। পানি আটকানোর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের সহায়তায় ২০০ বাঁশ এবং দুটি মাটি কাটার যন্ত্র (ভেকু) দিয়ে কাজ চলমান আছে।’
কয়রায় উপ‌জেলা চেয়ারম্যানের পোড়া মর‌দেহ উদ্ধার
খুলনার কয়রা উপজেলার চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জি এম মোহসিন রেজার বাসভবনে ঢুকে তাকে গণপিটুনি দিয়ে হত্যা করেছেন বিক্ষুব্ধ জনতা। পরে ওই বাসভবনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এতে পুড়ে যায় মরদেহটি। সোমবার (৫ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে কয়রা সদরের ওই বাসভবন থেকে মোহসিন রেজার পোড়া মর‌দেহ উদ্ধার করেছে বলে জানিয়েছেন তার স্বজনরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নিহত মোহসিন রেজার চাচাতো ভাই সাইফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সোমবার বিকেল ৪টার দিকে আমরা খবর পাই, মোহসিন ভাইকে মেরে তার বাসায় আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ওই সময় বিক্ষুব্ধ লোকজন থাকায় আমরা সেখানে যেতে পারিনি। সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসভবন থেকে তার মরদেহ কয়রার গোবিন্দপুর গ্রামের পৈতৃক বাড়িতে আনা হয়। মঙ্গলবার সকালে দাফন করা হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় আমরা যখন মোহসিন ভাইয়ের বাড়িতে পৌঁছাই, তখনো ভেতরে আগুন জ্বলছিল। ঘরের বারান্দায় পড়েছিল তার মরদেহ। কোনো রকমে পানি দিয়ে আগুনের তাপ কমিয়ে মরদেহ বের করে এনেছি। দোতলা বাসভবনের অনেকাংশ পুড়ে গেছে।’   স্থানীয়রা জানান, শেখ হাসিনার দেশ ছাড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে কয়রার আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে এসে বিজয়োল্লাস শুরু করেন। বেলা ৩টার দিকে আনন্দমিছিল থেকে ভাঙচুর চালানো হয় উপজেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে। আগুন দেওয়া হয় খুলনা-৬ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আক্তারুজ্জামানের কয়রা সদরের বাসভবনে। পরে কয়রা সদরে অবস্থিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজার বাসায় আন্দোলনকারীরা যান। তখন বাসার ভেতর থেকে গুলি ছোড়া হয়। এতে ১০ জন গুলিবিদ্ধ হন।  বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বিক্ষুব্ধ লোকজন আরও সংগঠিত হয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান জি এম মোহসিন রেজার বাসায় হামলা চালান এবং ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। তারা তাকে সেখানে পিটিয়ে হত্যা করেন। পরে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। কয়রা থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, ‘বাইরের কোনো খবর নেই আমা‌দের কা‌ছে। উপ‌জেলা পরিষদের চেয়ারম‌্যান মারা গে‌ছেন কি না জা‌নি না। আমরা থানার ভেতরে আছি। পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত বাইরে যাওয়া যাবে না।’
খুলনায় পুলিশ সদস্য হত্যায় মামলা, আসামি ১২০০
খুলনায় কোটা আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমন ঘরামীকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় অজ্ঞাত পরিচয় ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২ আগস্ট) রাতে লবণচরা থানার এস আই মোস্তফা সাকলাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।  এ বিষয়ে লবণচরা থানার ওসি মমতাজুল হক জানান, এ মামলায় এখনও কেউ গ্রেপ্তার নেই। এ ছাড়াও আন্দোলন চলাকালে বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বিকেলে ভাঙচুর ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে খুলনা সদর ও সোনাডাঙ্গা থানায় আলাদা দুটি মামলা হয়েছে বলে জানান তিনি। পুলিশ জানায়, শুক্রবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় খুলনার মোহাম্মদনগর এলাকায় আন্দোলনকারীদের পিটুনিতে নিহত হন সুমন ঘরামী। তার বাড়ি বাগেরহাট জেলার কচুয়া উপজেলায়। স্ত্রী ও মেয়েকে নিয়ে ভাড়া থাকতেন নগরীর বয়রা এলাকায়। তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সোনাডাঙ্গা জোনের সহকারী কমিশনার সৌমেন বিশ্বাসের দেহরক্ষী ছিলেন। বৃহস্পতিবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে ছাত্র-জনতার গণমিছিল কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষ চলাকালে পুলিশ কনস্টেবল সুমনকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন আন্দোলনকারীরা।  তাকে উদ্ধার করে খুলনা সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক বলেন, সুমন ঘরামীকে আন্দোলনকারীরা পিটিয়ে হত্যা করেছে। সংঘর্ষে পুলিশের আরও অন্তত ৩০ জন সদস্য আহত হয়েছেন।