• ঢাকা রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
logo
নড়াইলে কিশোর গ্যাং ও মাদক নির্মূলের দাবিতে র‌্যালি
অর্থাভাবে গুলিবিদ্ধ সিফায়েতের ওষুধ কিনতে পারছে না পরিবার
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন নড়াইলের কালিয়া উপজেলার শিক্ষার্থী মো. সিফায়েত চৌধুরী (২৬)। গত ৫ আগস্ট গুলিবিদ্ধ সিফায়েতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। সেখানে চিকিৎসার পর তাকে নেওয়া হয় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ)। এরপর কিছুটা সুস্থ হলে ৩০ আগস্ট ছাড়পত্র নিয়ে নড়াইলের কালিয়া উপজেলার পহরডাঙ্গা ইউনিয়নের চাপাইলে গ্রামের বাড়িতে আসেন। পরিবার বলছে, এখনো পুরোপুরি সুস্থ নয় সিফায়েত। ভালো করে কথা বলতে পারছে না। অর্থের অভাবে তার উন্নত চিকিৎসা দূরে থাক, পরিপূর্ণ যত্ন ও ওষুধ কিনতে পারছেন না তারা। জানা যায় আসাদ চৌধুরী ও মরজিনা বেগমের চার সন্তানের মধ্যে সবার ছোট সিফায়েত। বড় বোনের বিয়ে হয়েছে অনেক আগে। বড় দুই ভাই মসজিদে ইমামতি করে কোনোমতে সংসার চালান। ভাইদের সহযোগিতা ও টিউশনি করেই এতদিন পড়ালেখা চলেছে সিফায়েতের। ডিগ্রি শেষ করে গত ১৫ জুলাই ঢাকায় উঠেছিলেন বড় বোনের বাসায়। উদ্দেশ্য ছিল মাস্টার্সে ভর্তি হওয়া ও চাকরির চেষ্টা করা। সিফায়েত জানান, ৫ আগস্ট নবীনগরে আন্দোলনে গিয়েছিলাম, আরও অনেক লোক ছিল। আন্দোলনে পুলিশ ছররা গুলি ছুড়েছিল। পরের কিছু মনে নাই। সিফায়েতের মেজ ভাই বলেন, জুলাইয়ের ১৫ তারিখে ঢাকা যায় সিফায়েত। ৫ আগস্ট হঠাৎ একটি নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, আন্দোলন গিয়ে সিফায়েত মারা গেছে। তিনি ঢাকায় গিয়ে দেখেন, সিফায়েতের চার থেকে পাঁচটি গুলি লেগেছিল, অপারেশন করে তা বের করা হয়েছে। প্রথম দিকে দামি ওষুধপত্র অধিকাংশই নিজেদের কিনতে হয়েছে। পরে সরকারিভাবে চিকিৎসা হয়। কিন্তু ঢাকায় থাকা-খাওয়া ও টুকটাক ওষুধপত্র কেনার খরচ বহন করতেই তাদের হিমশিম খেতে হয়েছে। এখন আর সিফায়েতের চিকিৎসা ব্যয় টানার মতো সক্ষমতা তাদের নেই। বড় ভাই রুবেল চৌধুরী বলেন, সিফায়েতের ওষুধ শেষ হয়ে গেছে। টাকার অভাবে ওষুধ কিনতে পারছি না। সুস্থ হতে উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু আমরা আর্থিক সমস্যার কারণে চিকিৎসা করাতে পারছি না। সরকারের কাছে আমরা উন্নত চিকিৎসার দাবি জানাই। চাচা ইউনুস চৌধুরী বলেন, এরা আর্থিকভাবে খুবই অস্বচ্ছল। দুই ভাই ইমামতি করে ৪ হাজার টাকা করে বেতন পায়, তাই দিয়ে সংসার চলে। সিফায়েতের গুলি লাগার খবর পাওয়ার পর ঢাকা যাওয়ার টাকাও আমরা সবাই মিলে দিয়েছি। পহরডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মল্লিক মাহমুদুল ইসলাম  বলেন, আমার এলাকার ছেলে সিফায়েত আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়। ঢাকায় চিকিৎসা হলেও সে পুরো সুস্থ হয়নি, তার আরও চিকিৎসার প্রয়োজন। তাদের আর্থিক অবস্থাও ভালো নয়। সিফায়েতের উন্নত চিকিৎসা প্রয়োজন। আরটিভি/এফআই/এআর
নড়াইলে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ২ 
দাদির জন্য খাটিয়া আনতে গিয়ে ৩ যুবকের মর্মান্তিক মৃত্যু
এবার মাশরাফীর বিরুদ্ধে মামলা
ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল তিনজনের
নড়াইলে পুলিশ সুপারসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা 
নড়াইলের লোহাগড়ায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও চাঁদা দাবির অভিযোগে সাবেক পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুন, লোহাগড়া থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নাছির উদ্দিন, সাবেক ওসি (তদন্ত) হারান চন্দ্র পাল, এসআই মো. মিজানুর রহমান, এসআই সবুর, লোহাগড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমীন ইতি, ছাত্রলীগ, যুবলীগের নেতাকর্মীসহ ৩৪ জনের নামে মামলা দায়ের করা করেছে। সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) লোহাগড়া উপজেলার পারশালনগর গ্রামের মো. মনির হোসেনের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম লোহাগড়া আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) লোহাগড়া আমলি আদালতের বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিন মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্ত করে আগামী ১৬ অক্টোবরের মধ্যে প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটার (পিপি) অ্যাডভোকেট ইমদাদুল ইসলাম এমদাদ।  মামলার বিবরণে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক দলীয় কর্মসূচি পালন করতে লোহাগড়া আর্মি ক্যাম্পের সামনে বাদীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে শান্তিপূর্ণ মিছিলের প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। এ সময় আসামিরা অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা করেন। নড়াইলের সাবেক পুলিশ সুপার সাদিরা খাতুনের হুকুমে অন্যান্য আসামিরা বাদীসহ বিএনপির নেতাকর্মীদের শরীরের বিভিন্নস্থানে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করেন। পরে বাদী ফরিদপুর মেডিকেলে দীর্ঘদিন চিকিৎসা গ্রহণ করেন। ঘটনার সময়ে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকায় এবং আসামিদের কয়েকজন পুলিশের কর্মকর্তা হওয়ায় তখন লোহাগড়া থানা কর্তৃপক্ষ মামলা গ্রহণ করেনি।  বর্তমান সরকারের সময় দেশে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকায় আদালতে মামলা করেছেন বলেও বাদী তার বিবরণে উল্লেখ করেছেন।
নড়াইলে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় কলেজছাত্র নিহত
নড়াইলের কালিয়া উপজেলায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় নাসিম শেখ (২০) নামে এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার চাঁনপুর-রঘুনাথপুর আঞ্চলিক সড়কের তানজারের বাড়ির সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   নাসিম শেখ উপজেলার রঘুনাথপুর দক্ষিণ পাড়া গ্রামের শহিদুল শেখের ছেলে এবং নড়াইল সরকারি ভিক্টোরিয়া কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন।   স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, আরবি পড়ার জন্য প্রতিদিনের মতো নাসিম রোববার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী চানপুর গ্রামের মসজিদের ইমামের কাছে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে নিজের মোটরসাইকেল নিয়ে বের হন। পড়া শেষে চানপুর-রঘুনাথপুর আঞ্চলিক সড়কের তানজারের বাড়ির সামনে পৌঁছালে স্থানীয়রা শব্দ শুনে দৌড়ে গিয়ে আহত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন নাসিমকে। এ সময় স্থানীয় লোকজন নাসিমকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।  স্থানীয়রা ধারণা করছেন, মোটরসাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতের বিষয়টি স্থানীয়দের বরাতে জেনেছি। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের শাহাদাতবার্ষিকী পালিত
নড়াইলে নানা আয়োজনে বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী পালিত হয়েছে।  বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) সকালে সদরের নূর মোহাম্মদ নগরে কোরআনখানি, শোভাযাত্রা, স্মৃতিসৌধে গার্ড অব অনার, পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়।  এ সময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ আশফাকুল হক চৌধুরী, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো. মনিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক জুবায়ের হোসেন চৌধুরী (রাজস্ব), অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) এম এম আরাফাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) দোলন মিয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে শহীদ হন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। 
বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের শাহাদাতবার্ষিকী আজ
বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখের ৫৩তম শাহাদাতবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোর জেলার গোয়ালহাটি গ্রামে তিনি শাহাদাতবরণ করেন।  ওই দিন পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে প্রতিরোধ এবং দলীয় সঙ্গীদের জীবন ও অস্ত্র রক্ষা করতে গিয়ে নূর মোহাম্মদ শহীদ হন। যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুরে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়।  তার জীবনাদর্শ থেকে জানা যায়, নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার চন্ডিবরপুর ইউনিয়নের মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা, মতান্তরে জেন্নাতা খানম। বাল্যকালেই তিনি বাবা-মাকে হারান।  বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ শেখ সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করেছেন। তবে, মতান্তর রয়েছে। মহিষখোলার নাম পরিবর্তন করে ২০০৮ সালের ১৮ মার্চ নূর মোহাম্মদ নগর করা হয়। মুক্তিযুদ্ধকালীন ৮ নম্বর সেক্টরের কমান্ডার কর্নেল (অব.) আবু ওসমান চৌধুরী নূর মোহাম্মদ নগরের উদ্বোধন করেন।   এরপর উন্নয়নের ছোঁয়ায় বদলে যায় নূর মোহাম্মদ নগর। তার স্মৃতি রক্ষার্থে নূর মোহাম্মদ নগরে নির্মাণ করা হয়েছে ‘বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ল্যান্স নায়েক নূর মোহাম্মদ শেখ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘর’, স্মৃতিস্তম্ভ এবং স্কুল ও কলেজ। এ ছাড়া নড়াইল শহরে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ স্টেডিয়াম নির্মাণ করা হয়। এদিকে, ২০১৮ সালের ২১ নভেম্বর নূর মোহাম্মদ শেখের স্ত্রী বেগম ফজিলাতুন্নেসা (৮০) বার্ধক্যজনিত কারণে মৃত্যুবরণ করেন। নূর মোহাম্মদের তিন মেয়ে ও এক ছেলে নড়াইল এবং যশোর শহরে বসবাস করেন।  নূর মোহাম্মদের কর্মময় জীবন থেকে জানা যায়, ১৯৫৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি পূর্ব পাকিস্তান রাইফেলসে (ইপিআর) যোগদান করেন তিনি। ইপিআর বর্তমানে ‘বর্ডার গার্ড অব বাংলাদেশ’ (বিজিবি) হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। এই বাহিনীতে দীর্ঘ দিন দিনাজপুর সীমান্তে চাকরি করার পরে ১৯৭০ সালের ১০ জুলাই যশোর সেক্টরে বদলি হন তিনি। পরবর্তীতে ল্যান্স নায়েকে পদোন্নতি পান। ১৯৭১ সালে যশোর অঞ্চল নিয়ে গঠিত ৮ নম্বর সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন। এপ্রিল থেকে আগস্ট পর্যন্ত ৮ নম্বর সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কর্নেল (অব:) আবু ওসমান চৌধুরী এবং সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত মেজর এস এ মঞ্জুর। নূর মোহাম্মদ যশোরের শার্শা উপজেলার কাশিপুর সীমান্তের বয়রা অঞ্চলে ক্যাপ্টেন নাজমুল হুদার নেতৃত্বে পাক হানাদারদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে দেশ শত্রুমুক্ত করেন।
বয়ানে সালমান-মানিকের সমালোচনা করায় চাকরি গেল ইমামের
জুমার খুতবায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সমালোচনা করায় নড়াইলে এক ইমামকে বরখাস্তের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি হেদায়েত হোসাইন এ অভিযোগ করেন। তিনি নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর দক্ষিণপাড়া জামে মসজিদের ইমাম ছিলেন। একই সঙ্গে উজিরপুর ইসলামিয়া নুরানি মাদরাসার শিক্ষক ছিলেন।  মুফতি হেদায়েত নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের আবদুল গফফার মোল্যার ছেলে। রোববার (১ সেপ্টেম্বর) তাকে বরখাস্তের পর মসজিদ থেকে বাড়িতে চলে যান তিনি। অভিযোগ উঠেছে, নড়াইল পৌরসভার উজিরপুর মসজিদ কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও উজিরপুর ইসলামিয়া নুরানি মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমানের নির্দেশে তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। আনিসুর রহমান নড়াইল জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন খান নিলুর ব্যক্তিগত সহকারী ছিলেন। এ ছাড়া তিনি আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা। জানা গেছে, ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন নড়াইল সদর উপজেলার হবখালী ইউনিয়নের কাগজীপাড়া গ্রামের আব্দুল গফফার মোল্যার ছেলে। মুফতি এম হেদায়েত হোসাইন নড়াইলে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের চিকিৎসার জন্য অর্থ সংগ্রহ করেন। তখন থেকেই তাকে চাপ দিতে থাকে মসজিদ কমিটির লোকজন। এরপর আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন গত ৫ আগস্ট মসজিদের মুসল্লিদের মিষ্টিমুখ করান তিনি। সবশেষ শুক্রবার (৩০ আগস্ট) জুমার খুতবায় দুর্নীতিবাজ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে বিশেষত ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শিল্প ও বেসরকারি খাত বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান ও সাবেক বিচারক শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিকের সমালোচনা করেন। এতে ক্ষিপ্ত হন আনিসুর রহমান। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে গত রোববার ইমাম হেদায়েত হোসাইনকে মসজিদ ও মাদরাসার দায়িত্ব থেকে বরখাস্ত করেন কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনিসুর রহমান। এরপর সকাল ১০টার দিকে মসজিদ ছেড়ে চলে যান ওই শিক্ষক। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী ইমাম মুফতি হেদায়েত হোসাইন বলেন, ‘আমার ওপর অর্পিত ইমামতি ও মাদরাসার শিক্ষকতার দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করেছি। ছুটি ছাড়া একদিনও একটা ক্লাস বাদ দিইনি। নিয়মিত নামাজ পড়িয়েছি। কিন্তু বিচারক মানিক ও সালমান এফ রহমানের সমালোচনা করে জুমার খুতবায় বক্তব্য রাখায় আমাকে চাকরিচ্যুত করা হলো।’ মুফতি হেদায়েত বলেন, ‘ছাত্র আন্দোলন চলাকালে আহত হওয়া শিক্ষার্থীদের চিকিৎসার জন্য আমি অর্থ সংগ্রহ করেছিলাম। তখন থেকেই মসজিদ কমিটির আক্রমণের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হই আমি। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’ যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে আনিসুর রহমান বলেন, ‘আমাদের মসজিদে চার বছর ধরে আব্দুল গাফফার নামে একজন ইমামতি করতেন। তিনি চলে যাবার পর মুফতি এম হেদায়েত হোসাইনকে ইমাম ও নুরানি মাদরাসার শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কমিটির সম্মতিক্রমে। ইমাম হিসেবে ভালো আলোচনা করলেও নুরানি মাদরাসায় পাঠদানের ক্ষেত্রে অভিভাবকরা তার প্রতি সন্তষ্ট নন। সে কারণে কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক গত মাসের ১৫ তারিখে ওই শিক্ষককে রাখা হবে না বলে বিষয়টি জানিয়ে দেওয়া হয়।’ স্থানীয় মুসল্লি ও সাবেক কাউন্সিলর রজিবুল ইসলাম বলেন, ‘ওই মসজিদের অধিকাংশ মুসল্লি আওয়ামী লীগ সমর্থিত। যে কারণে এ বিষয়টি নিয়ে কেউ প্রতিবাদ করতে পারেনি। ইমামকে এভাবে বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি।’
নড়াইলে ট্রাক-মোটরসাইকেল সংঘর্ষ, যুবক নিহত
নড়াইল সদর উপজেলার যশোর-কালনা মহাসড়কে ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষে তাজিম হোসাইন (২০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে সদর উপজেলার যশোর-কালনা মহাসড়কের দত্তপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। তুলরামপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নিহত তাজিম হোসাইন নড়াইল সদর উপজেলার দুর্গাপুর এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে এবং লোহাগড়া উপজেলার একটি কওমি মাদরাসার ছাত্র ছিলেন। স্থানীয় ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, সোমবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তাজিম হোসাইন নামে ওই যুবক মোটরসাইকেল চালিয়ে নড়াইল থেকে লোহাগড়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সদর উপজেলার যশোর-কালনা মহাসড়কের দত্তপাড়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে তার মোটরসাইকেলটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তাজিমের মৃত্যু হয়। এ সময় তার মোটরসাইকেলটি দুমড়েমুচড়ে যায়। এ বিষয়ে তুলরামপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মৃত্যুঞ্জয় বিশ্বাস বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে রয়েছে। এ ছাড়া এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।