• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
শিশু সুফিয়াকে ধর্ষণের পর হত্যা, জড়িতদের ফাঁসি চায় এলাকাবাসী
লোহাগড়ায় গরমে ১২ শিক্ষার্থী অসুস্থ, স্কুল ছুটি ঘোষণা
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে তীব্র গরমে ১২ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছে। এরমধ‍্যে ৬ জন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। এ ঘটনার পর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওই স্কুল একদিনের জন্য ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (২৯ এপ্রিল) বেলা ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে উপজেলার ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন কলেজটির অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার।  প্রচণ্ড গরমে অসুস্থ শিক্ষার্থীরা হলো ৭ম শ্রেণির সাহারা, একই শ্রেণির রেজোয়ান, ৮ম শ্রেণির সিহাব, সোহাগ ও বায়োজিদসহ ১২ জন। ওই স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তীব্র গরমের কারণে সকাল ১০টা থেকেই ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অনেক শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করছিল। দুপুর ১২টা পর্যন্ত ৭ জন শিক্ষার্থী গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র থেকে বিদ্যালয়ে চিকিৎসক এনে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি যায়। স্থানীয় বাসিন্দা অশোক ঘোষ জানান, এক সপ্তাহ বন্ধের পর স্কুল খুলেছে। স্কুল খোলার দ্বিতীয় দিনে অতিরিক্ত গরমে ওই স্কুলের শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। ছাত্রছাত্রীরা গরমের কারণে লেখাপড়া করতে পারছে না। তিনি স্কুল-কলেজে মর্নিং শিফট চালুর দাবি জানান। ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ অনিন্দ্য সরকার বলেন, প্রচণ্ড গরমে শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়লে স্থানীয় ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের চিকিৎসক এনে তাদের সুস্থ করে তাদেরকে বাড়ি পাঠানো হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, এ ঘটনার পর লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) এবং জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের সঙ্গে কথা বলে সোমবার একদিনের জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে এবং মঙ্গলবার যথারীতি স্কুল খোলা থাকবে।  লোহাগড়া উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. জহুরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।  তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের অসুস্থতার বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত রয়েছি। ইতনা স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছি। 
সুলতান মেলার সমাপনী, পদক পেলেন চিত্রশিল্পী নাসিম 
মাইজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন সফুরা খাতুন
নড়াইলে পানের বরজ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা
নড়াইলে মাদক মামলায় চারজনের যাবজ্জীবন
সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই
নড়াইলে সুলতান মেলায় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৪ এপ্রিল) শহরের কুড়ির ডোব মাঠে দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত চলে এ প্রতিযোগিতা।  বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সুলতান মেলায় ঐতিহ্যবাহী এ ষাঁড়ের লড়াই অনুষ্ঠিত হয়।  জেলা প্রশাসন ও এস এম সুলতান ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এ প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা ২৬টি ষাঁড় অংশ নেয়। লড়াইয়ে অংশ নেওয়া প্রতিটি ষাঁড়ই ছিল সুঠাম দেহের ও বাহারি রঙের। লড়াই দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে আসেন নানা বয়সী মানুষ। এ সময় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে মুখরিত হয়ে ওঠে মাঠটি।  যশোরের অভয়নগর থেকে আসা সূর্য কুমার বলেন, অনেক কষ্ট করে প্রতিবছর সুলতান মেলায় ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আসি। ষাঁড়ের লড়াই দেখতে আমার খুবই ভালো লাগে। প্রচন্ড গরম উপেক্ষা করে এসেছি। সমীরণ বিশ্বাস বলেন, ষাঁড়ের লড়াই আগে অনেক জায়গায় হতো, এখন হয় না। এই সুলতান মেলায় প্রতিবছর হয়। তাই অনেক মানুষ এসেছে। ষাঁড়ের লড়াই দেখছি, খুব ভালো লাগছে।  এ দিকে নতুন প্রজন্মের মাঝে হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্যবাহী ক্রীড়া উৎসবের নবজাগরণের উদ্দেশ্যে সুলতান মেলায় এসব খেলাধুলার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্টরা।  সুলতান মেলার ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব উদযাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রশিদ মন্নু বলেন, এই আয়োজনের উদ্দেশ্য হলো নতুন প্রজন্মের কাছে বাঙালির হারিয়ে যাওয়া যে ক্রীড়া উৎসব রয়েছে সেগুলোর নবজাগরণ সৃষ্টি করা। নতুন প্রজন্মকে আমাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে পরিচিত করা। তারা মাদক থেকে সরে এসে খেলাধুলা, লেখাপড়ার ভেতরে আসুক এবং নিজেরা আলোকিত মানুষ হিসেবে তৈরি হোক সেই প্রত্যাশা নিয়েই আমাদের এই প্রচেষ্টা। উল্লেখ্য, গত ১৫ এপ্রিল নড়াইলের সুলতান মঞ্চে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলা মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। মেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী কুড়ির ডোব মাঠে ‘কিউট গ্রামীণ’ ক্রীড়া উৎসব শিরোনামে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী বিভিন্ন খেলার আয়োজন করা হয়। নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে আগামী ২৯ এপ্রিল এ মেলা শেষ হবে।
নড়াইলে চলছে গ্রামীণ ক্রীড়া উৎসব
বানরের তৈলাক্ত বাঁশ বেয়ে ওঠার অংক করতে গিয়ে কল্পনায় এমন দৃশ্য হয়তো অনেকেই এঁকেছে। কিন্তু বাস্তবে তৈলাক্ত কলাগাছ বেয়ে ওঠার মতো এমন অসাধ্য কাজ কী করেছেন কখনো? নড়াইলে এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তীতে দেখা গেলো অসম্ভব সে চ্যালেঞ্জ নিতে দুর্দান্ত শিশুদের হার না মানা প্রয়াস।  আর তা উপভোগ করতেই দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন অনেকেই। অভূতপূর্ব এ দৃশ্য নিজ চোখে অবলোকনের সুযোগ হারাতে চান না কেউই। শুধু কলা গাছ বেয়ে ওঠাই নয়। এখানে আয়োজন করা হয় গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী হাড়ি ভাঙা প্রতিযোগিতা। যেখানে নির্দিষ্ট দূরত্ব থেকে চোখ বেছে প্রতিযোগীকে ছেড়ে দেওয়া হয় হাতে একটি লাঠি দিয়ে। আর সে লাঠি দিয়ে মাটিতে রাখা হাড়ি ভাঙার চেষ্টা করে প্রতিযোগী। যদিও এই কাজটিও খুব একটা সহজ নয়। তবে সফল যিনি হচ্ছেন, তার সঙ্গে উল্লাসে মাতছেন দর্শকরাও। দারুণ এসব খেলা উপভোগ করতে আসা গ্রামবাসী মনে করে নিয়মিত এসব আয়োজন পারে যুবকদের মাদক-নেশা থেকে দূরে রাখতে।  খেলা দেখতে আসা একজন জানান, আমার খুব ভালো লাগছে। এমন প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হলে ছেলেমেয়েরা কেউই মাদকে আসক্ত হবে না। নতুন প্রজন্ম আগের দিনের খেলার সঙ্গে পরিচিত হতে পারবে। গত ১৫ এপ্রিল শুরু হওয়া এ আয়োজন চলবে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত।  
খাটের নিচ থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
নড়াইল সদরের গোবরা গ্রামে ভাড়াটিয়ার খাটের নিচ থেকে ইতি (৩৬) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  রোববার (২১ এপ্রিল) রাত ৮টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করে। খুন হওয়া নারীর স্বামীর নাম শফিকুল গাজী। তিনি লোহাগড়া উপজেলার মিঠাপুর মাদরাসার ইমাম হিসেবে কর্মরত। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইতি বেগমের কোনো সন্তান নেই। গত ১৮ এপ্রিল স্বামী শফিকুল গাজী কর্মস্থলে চলে যাওয়ার পরে তিনি একাই বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। নিজ ঘরের পাশেই বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলার বারইপাড়া গ্রামের মনিরুল ইসলাম নামে একজন ভাড়াটিয়া থাকতেন। নিহতের স্বামী বাড়িতে স্ত্রীর খোঁজ করলে তার মোবাইলে কোনো যোগাযোগ করতে পারেননি। এ সময় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে স্ত্রীর খোঁজ নিতে চাইলে তার ঘর তালাবদ্ধ দেখে বাইরে খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। দুদিন ধরে ওই নারীর বসবাসের ঘর এবং ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘর তালাবদ্ধ দেখতে পাওয়া যায়। ২১ এপ্রিল বিকেলে ঘরের ভেতর থেকে দুর্গন্ধ পেয়ে এলাকার লোকেরা স্বামী শফিকুল গাজী ও পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ভাড়াটিয়া মনিরুলের ঘরের তালা ভেঙে খাটের নিচ থেকে ইতির গলাকাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করে। এ বিষয়ে নড়াইল সদর থানার ওসি (তদন্ত) জামিল কবির জানান, আমরা ভাড়াটিয়া মনিরুলকে সন্দেহ করছি। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নড়াইলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ইজিবাইক পুকুরে, নিহত ১
নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার দিঘলিয়া-কুমড়ি সড়কে কুমড়ি গ্রামের পূর্বপাড়া এলাকায় ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে ডুবে ফিরোজা বেগম (৪১) নামের একজন মহিলা যাত্রী নিহত হয়েছেন।  নিহত ফিরোজা বেগম উপজেলার দিঘলিয়া ইউনিয়নের কুমড়ি গ্রামের এনামুল শেখের স্ত্রী।  রোববার (২১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নিহত ফিরোজা বেগম বাড়ি থেকে বের হয়ে দিঘলিয়া-কুমড়ি সড়কে ইজিবাইকে করে দিঘলিয়া বাজারে আসছিলেন।  ইজিবাইকটি কুমড়ি পূর্ব পাড়ার ব্রিজের কাছে পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাশের পুকুরে ডুবে যায়। এ সময় ইজিবাইকের যাত্রী ফিরোজা বেগম পুকুরে ডুবে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। পুকুর থেকে ফিরোজা বেগমকে উদ্ধার করে লোহাগড়া হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। বর্তমানে মরদেহ লোহাগড়া থানা পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন লোহাগড়া থানার দিঘলিয়া ইউনিয়নে কর্মরত পুলিশের বিট অফিসার অমিত বিশ্বাস। তিনি বলেন, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পুকুরে ডুবে যায়। এতে একজন নারী মারা গেছেন। ওই নারীর মরদেহ পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। 
নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলা শুরু
বিশ্ববরেণ্য চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের ৯৯তম জন্মজয়ন্তী উপলক্ষে নড়াইলে ১৫ দিনব্যাপী সুলতান মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) বিকেলে শহরের সুলতান মঞ্চ চত্বরে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক ও সুলতান ফাউন্ডেশনের সভাপতি মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন জেলা পুলিশ সুপার মেহেদী হাসান, সুলতান ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক আশিকুর রহমান মিকু, নড়াইল পৌরসভার মেয়র আঞ্জুমান আরা, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন খান নিলু, চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি হাসানুজ্জামান প্রমুখ।  মেলা উপলক্ষে সুলতানের সংগ্রহশালায় সুলতানের কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি প্রদান ও সেখান থেকে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু করে সুলতান মঞ্চ চত্বরে শেষ হয়।  উদ্বোধনী দিনে দর্শক উপস্থিতি কম থাকলেও সুলতান মঞ্চ প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ মেলায় মনোহারি পণ্য সম্ভারে সাজানো স্টলে স্টলে কেনাকাটা, ঘোরাফেরাসহ নানান আনন্দ উপভোগ করতে আগামী দিনে নানান বয়সের মানুষের পদচারণায় মুখর হয়ে উঠবে বলে জানান আয়োজক কমিটি। আগামী ২৯ এপ্রিল এ উৎসব মেলা শেষ হবে।   
বর্ষবরণে ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বাইসাইকেল শোভাযাত্রা
ভোর থেকে একে একে জড়ো হচ্ছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সব শিক্ষার্থীর কাছেই বাইসাইকেল। ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই প্রায় ৩০০ ছাত্রছাত্রীর পদচারণায় মুখরিত বিদ্যালয় চত্বর। বর্ষবরণ উপলক্ষে পহেলা বৈশাখে এ দৃশ্যের অবতারণা হয় নড়াইলের প্রত্যন্ত অঞ্চল গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় চত্বরে। ব্যতিক্রমী বর্ষবরণে মেতে ওঠেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা, অভিভাবকসহ আশেপাশের ১১ গ্রামের মানুষ। বাইসাইকেল চালিয়ে প্রায় ১৭ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানান সবাই। জেলা শহর থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে বিদ্যালয়টির অবস্থান হলেও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য রয়েছে এখানে। বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী অনন্যা সিংহ, শুভ ঘটক, অনির্বাণ সরকার, নবম শ্রেণির কিয়া সরকার, সপ্তম শ্রেণির হিয়া রায় ও অভ্র সিকদারসহ একাধিক শিক্ষার্থী জানান, তারা বাইসাইকেলে গুয়াখোলা, হাতিয়াড়া, বাকড়ী, দোগাছী, রঘুরামপুর, কমলাপুর, বেনাহাটি, মালিয়াট, বাকলীসহ ১১টি গ্রাম ঘুরে নববর্ষ উদযাপন করেছেন। খুবই আনন্দিত তারা। অভিভাবকসহ এলাকাবাসী বলেন, গুয়াখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন জাতীয় দিবসসহ উৎসব অনুষ্ঠানে সবসময় ব্যতিক্রমী আয়োজন করে থাকেন। এরই ধারাবাহিকতায় এবার নববর্ষে বাইসাইকেলযোগে গ্রামাঞ্চল ঘুরে সবাইকে আনন্দ দিয়েছে। দেশ ও দশের কল্যাণে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করেছে। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রবীন্দ্রনাথ মন্ডল বলেন, পরিবেশবান্ধব বাইসাইকেল চালিয়ে ছাত্রছাত্রীরা নিয়মিত বিদ্যালয়ে যাতায়াত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাইসাইকেলে নতুন বছরকে বরণ করা হয়েছে। এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে পথচারী, যানবাহন চালকসহ সাধারণ যাত্রীরাও সহযোগিতা করেন।  ভবিষ্যতেও এ ধরনের উদ্যোগ অব্যাহত থাকবে বলে জানান তিনি।