• ঢাকা রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
logo
বাড়ির সামনে ‘গান বাজানোয়’ প্রতিবন্ধী তরুণীকে পিটিয়ে হত্যা
আমার নেত্রী শেখ হাসিনার মতো পালিয়ে যায়নি: সাবেক এমপি হাবিব
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাতক্ষীরা-১ (তালা-কলারোয়া) আসনের সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেছেন, আমি ও আমার নেত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অন্যায়ের কাছে কখনও মাথা নত করিনি। দেশের ক্রান্তিকালে শেখ হাসিনা দুই দুই বার দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলেও আমি ও আমার নেত্রী দেশের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার কারণে দেশ ছেড়ে যাইনি।  শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সাতক্ষীরার তালা উপজেলার কুমিরা হাইস্কুল মাঠে উপজেলা বিএনপি আয়োজিত সংবর্ধনার জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।  হাবিবুল ইসলাম হাবিব বলেন, আওয়ামী লীগ আমলে মানুষ ঘরে থাকতে পারেনি। অসংখ্য আলেম ওলামাকে হত্যা করা হয়েছে। অসংখ্য মানুষকে মিথ্যা মামলায় জেল খাটানো হয়েছে। আমাকে ৭০ বছরের সাজা দেওয়া হয়েছিল।  আমার কানাডার ভিসা ছিল, আমেরিকার ভিসা ছিল। দলের অনেকেই বলেছিলেন বিদেশে চলে যেতে, কিন্তু আমি যাইনি। তালা-কলারোয়ার মানুষের সঙ্গে বেঈমানি করিনি।  তালা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মৃনাল কান্তির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিএনপির কেন্দ্রীয় তথ্যবিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, খুলনা বিভাগীয় কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, রংপুর বিভাগীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল খালেক, খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম তুহিন, সাতক্ষীরা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শেখ তারিকুল হাসান প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।  প্রসঙ্গত, সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলার মিথ্যা মামলায় দীর্ঘ ৪ বছর কারাভোগের পর আজ নিজ নির্বাচনী এলাকায় পা রাখেন হাবিবুল ইসলাম হাবিব। তার আগমনকে ঘিরে জনতার ঢল নামে। 
মাছের ঘের থেকে যুবকের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার 
কারামুক্ত হলেন সাতক্ষীরার সাবেক এমপি হাবিব 
থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র-গোলাবারুদসহ আটক ২ 
ভোমরা ইমিগ্রেশনে আওয়ামী লীগ নেতা আটক  
স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের অপসারণ পর্যন্ত ধৈর্য ধরতে হবে: জামায়াত সেক্রেটারি
স্বৈরাচারের প্রেতাত্মাদের অপসারণ করা না পর্যন্ত নির্বাচনের বিষয়ে নেতাকর্মীদের ধৈর্য ধারণ করার আহ্বান জানিয়েছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। শনিবার (২৪ আগস্ট) সকালে সাতক্ষীরা শহীদ আবদুর রাজ্জাক পার্কে জেলা জামায়াত আয়োজিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে দোয়া ও শহীদ পরিবারের মাঝে নগদ অর্থ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, প্রশাসনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে স্বৈরাচার আওয়ামী সরকারের যে প্রেতাত্মারা বসে আছে তাদেরকে অপসারণ না করা পর্যন্ত নির্বাচনের জন্য ধৈর্য ধারণ করতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত দেশ পুনর্গঠন না হবে ততদিন পর্যন্ত আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সময় দিয়ে সহযোগিতা করতে চাই। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে দেশের মানুষের ওপর গুম-খুন, মিথ্যা মামলা ও নির্যাতন চালিয়েছে আওয়ামী স্বৈরাচার সরকার। দেশ ও জনপদকে মুক্ত করতে যারা জীবন দিয়ে শহীদ হয়ে গেলেন, তারা আমাদের জাতীয় বীর। এখন রাষ্ট্রীয়ভাবে এসব শহীদদের বীর হিসেবে ঘোষণা করা উচিত। জামায়াতের পক্ষ হয়ে আমরা সেই দাবি জানাচ্ছি।  অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, খুনিদের বিচার অবশ্যই বাংলাদেশে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যারা গণহত্যা পরিচালনা করেছেন তাদের বিচার এদেশের মাটিতে হবে। ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিচারের কার্যক্রম শুরু করেছে, আমরা তাদেরকে সাধুবাদ জানাই। আন্তর্জাতিক আদালতেও ইতোমধ্যেই গণহত্যাকারী শেখ হাসিনাসহ তার সব দোসরদের নামে মামলা হয়েছে। গণঅভ্যুত্থানের সময়ে ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারীদের দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের ব্যবস্থা করতে হবে।  জামায়াতের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, জুলুম নির্যাতনের পরও জামায়াতের নেতারা ফাঁসির দড়িতে চুম্বন করে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের কাছে আপস করেননি, অথচ স্বৈরাচার শেখ হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। স্বৈরাচারের লোকজন হিন্দু ভাইদের ব্যবহার করে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করেছিল, কিন্তু দেশের ছাত্রজনতা সেটি নস্যাৎ করে দিয়েছে। জামায়াত ও শিবিরের নেতাকর্মীরা হিন্দু ভাইদের মন্দির, জমি জায়গা পাহাড়া দিয়ে শান্তির বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করেছেন। কিন্তু বিগত দিনে আওয়ামী লীগের লোকজনই হিন্দু ভাইদের ঘরবাড়ি, জায়গা জমি দখল করে লুটপাট ও মন্দির ভাঙচুর নির্যাতনের ঘটনা ঘটিয়েছে।  সাতক্ষীরা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির মুফতি রবিউল বাশারের সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাদ্দেস আব্দুল খালেক, খুলনা মহানগরের সাবেক আমির মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খলিলুর রহমান মাদানী, খুলনা অঞ্চলের সদস্য মাস্টার শফিকুল আলম, খুলনা জেলা আমির ইমরান হুসাইন, জেলা জামায়াতের সাবেক সেক্রেটারি শেখ নুরুল হুদা, জেলা ইসলামী ছাত্রশিবিরের সভাপতি ইমামুল ইসলাম, শহর সভাপতি আব্দুল্লাহ আল মামুন প্রমুখ। সমগ্র অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা আজিজুর রহমান।  এ সময় জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাতক্ষীরার শহীদ আসিফসহ চার শহীদ পরিবারের মাঝে ১ লাখ টাকা করে নগদ অর্থ প্রদান করা হয়।
সাতক্ষীরায় বিদেশি পিস্তলসহ এক ব্যক্তি আটক 
সাতক্ষীরায় একটি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগাজিন এবং ১ কেজি ৯৯৫ গ্রাম রূপার গহনাসহ এক ব্যক্তিকে আটক করেছে বিজিবি। আটক তরিকুল ইসলাম কলারোয়া উপজেলার ভাদিয়ালী গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের পুত্র। বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে কলারোয়া সীমান্তের কাকডাংগা এলাকা থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তরিকুল ইসলামকে আটক করে।  শুক্রবার (২৩ আগস্ট) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা ৩৩ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্ণেল আশরাফুল ইসলাম। লে. কর্নেল আশরাফুল ইসলাম বলেন, দক্ষিণ ভাদিয়ালী সীমান্ত দিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদ পাচার হচ্ছে এমন খবরে নায়েব সুবেদার আবু তাহের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তরিকুল ইসলামকে আটক করা গেলেও আব্দুল গফফার নামক এক ব্যক্তি পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। গফফার পূর্ব ভাদিয়ালী গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের পুত্র। পরে তরিকুলকে তাল্লাশি করে ১টি বিদেশি পিস্তল, ৩ রাউন্ড গুলি, ১টি ম্যাগজিন, ১ কেজি ৯৯৫ গ্রাম রুপা উদ্ধার করা হয়। আশরাফুল ইসলাম আরও বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে ৪টি মাদক মামলা এবং পলাতক গফফারের বিরুদ্ধে ২টি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
সাতক্ষীরায় ট্রাক-মোটরসাইকেল মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ২
সাতক্ষীরা-ভোমরা সড়কে ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন নিহত হয়েছেন আর আহত হয়েছেন আরও ৩ জন। সোমবার (১৯ আগস্ট) দুপুরে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর সড়কের আলিপুর ঢালিপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- সাতক্ষীরা সদরের আলিপুর বাজার খোলা এলাকার খলিলুর রহমানের ছেলে শরিফুল ইসলাম (৩০) ও একই এলাকার নুর আলী সরদারের ছেলে আব্দুল হান্নান (৪০)। স্থানীয়রা জানান, দুপুরে ভোমরা স্থলবন্দরে যাচ্ছিল একটি খালি ট্রাক। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে হয়। এতে মোটরসাইকেলের ২ আরোহী ঘটনাস্থলেই নিহত হন। আহত হন তিনজন পথচারী। তাদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সাতক্ষীরা সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দুটি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রয়েছে। ট্রাকটি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে চালককে আটক করা সম্ভব হয়নি।
সাতক্ষীরায় লুট হওয়া এটিএম মেশিন উদ্ধার
কোটা সংস্কার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। এরপর দেশের বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ সময় সাতক্ষীরায় কমিউনিটি ব্যাংকের এটিএম মেশিন লুট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতকারীরা। অবশেষে সেই মেশিনটি উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) শিক্ষার্থীদের সহায়তায় শহরতলীর বিনেরপোতা এলাকা থেকে এটিএম মেশিনটি উদ্ধার হয়। পরে সেটি সদর থানায় পৌঁছে দেন স্থানীয়রা। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজীব খান বলেন, ব্যাংকের এটিএম মেশিন উদ্ধার হয়েছে। মেশিনে ওই সময়ে কত টাকা ছিল সেটি আমাদের জানা নেই। সাতক্ষীরা সদর থানা পুলিশের ওসি (তদন্ত) নজরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গত ৫ আগস্ট সদর থানা থেকে কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশের এটিএম বুথসহ এতে থাকা বেশকিছু টাকা লুট হয়। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র সংগঠনের সহায়তায় উক্ত এটিএম বুথটি মঙ্গলবার উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ব্যাংকের এটিএম বুথে থাকা টাকা এখনও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লুণ্ঠিত অর্থ ও লুটপাটকারীদের শনাক্তের কাজ চলছে। কমিউনিটি ব্যাংক বাংলাদেশের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইয়াছিন নুর জানান, ওই সময়ে ইন্টারনেট সার্ভিস ভালো না থাকায় এতে টাকা বেশি থাকার কথা নয়। তবে কি পরিমাণ টাকা ছিল, সেটা তদন্তসাপেক্ষে বলা যাবে।
শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার
সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) শ্যামনগর থানার পেছনে একটি পুকুরের পাড় থেকে এগুলো উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শ্যামনগরের চন্ডিপুর গ্রামের এক কৃষক থানার পেছনে জমি চাষ করতে গিয়ে কিছু অস্ত্র দেখতে পায়। তারপর তিনি স্থানীয় একজন সাংবাদিকের মাধ্যমে প্রশাসনকে অবহিত করেন। পরে ডিজিএফআই ও ডিএসবির সদস্যরা এসে সেখান থেকে অস্ত্রগুলো উদ্ধার করেন। উদ্ধার হওয়া অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি শর্টগান, চারটি রাইফেল, পাঁচটি ম্যাগজিন ও ৫১ রাউন্ড গুলি। অন্যদিকে, শ্যামনগর প্রেস ক্লাবের সামনে একটা মোটরসাইকেল, দুটি পোড়া মোটরসাইকেল ও শ্যামনগর থানার একটি ফ্রিজ ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন অজ্ঞাতনামা কয়েকজন ব্যক্তি। গোয়েন্দা সংস্থা ডিজিএফআই এর প্রতিনিধি সার্জেন্ট আল মামুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মতিউর রহমান সিদ্দিকী বলেন, লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রসহ অন্যান্য জিনিসপত্র ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য দুই দিন ধরে এলাকাজুড়ে মাইকিং করা হচ্ছে। পুলিশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে লোকজন বিভিন্ন স্থানে অস্ত্র ও গুলি রেখে যাচ্ছে। প্রসঙ্গত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেশত্যাগ করার পর সাতক্ষীরার শ্যামনগর থানায় অগ্নিসংযোগ করে অস্ত্র লুট করে নেয় দুর্বৃত্তরা।  
ভোমরা সীমান্তে সাউথ বাংলা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান আটক
সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যাওয়ার পথে খুলনার শিল্পপতি এস এম আমজাদ হোসেনকে আটক করেছে বিজিবি। বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে তাকে আটক করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করে বিজিবি সাতক্ষীরা-৩৩ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফুল হক জানান, রাজনৈতিকভাবে প্রভাব বিস্তার করে সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে এমন কোনো ব্যক্তি যাতে ভোমরা বন্দরের ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে যেতে না পারেন, সেজন্য বিশেষ নজরদারি রাখা হয়েছে। আমজাদ হোসেন সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ছিলেন। বর্তমানে তিনি লকপুর গ্রুপের মালিক। তার হিমায়িত মৎস্য ও ফুড প্রসেসিং প্যাকেজিং, অটোব্রিকস, টাইলস ইন্ডাস্ট্রি ও ডেভেলপারসহ একাধিক ব্যবসা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে বন্ড জালিয়াতির ঘটনায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলা চলমান বলে জানা গেছে।