• ঢাকা রোববার, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩১ ভাদ্র ১৪৩১
logo
ভৈরব নদ সংস্কারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্মারকলিপি
নারীকে বাঁচাতে খালে ঝাঁপ, ৩৬ ঘণ্টা পর বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার
মানসিক ভারসাম্যহীন নারীকে বাঁচাতে গিয়ে খালে নিখোঁজের ৩৬ ঘণ্টা পর এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার সাতকপাট এলাকার জিকে খাল থেকে ভাসমান অবস্থায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস। জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় মানসিক ভারসাম্যহীন সুমি খাতুন (৩২) কালিদাসপুর সাদা ব্রিজ এলাকার জিকে খালে আত্মহত্যার উদ্দেশ্যে ঝাঁপ দেন। তাকে বাঁচাতে খালে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ হন আলমডাঙ্গা পৌর এলাকার হাফিজমোড়ের আব্দুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৬৫) নামের ওই বৃদ্ধ। নদীতে স্রোত থাকায় তীরে উঠতে সক্ষম হননি তিনি। এরপর স্থানীয়রা বিষয়টি আলমডাঙ্গা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে জানালে তারা এসে উদ্ধার অভিযান চালিয়েও মরদেহ খুঁজে পায়নি। পরের দিন খুলনা থেকে ডুবুরি দল এসে যোগ দেয়। ডুবুরি দল জিকে খালে তল্লাশি করে খুঁজে না পাওয়ায় উদ্ধার অভিযান সমাপ্ত করে। পরে শনিবার সকালে নিখোঁজ ব্যক্তির মরদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা ফায়ার সার্ভিসে খবর দেয়। খাল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া বলেন, বৃহস্পতিবার খালে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করতে যাওয়া মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নারীকে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করতে পারলেও উদ্ধারে নামা ব্যক্তি খালে তলিয়ে যায়। এর ৩৬ ঘণ্টা পর তার মরদেহ পাওয়া যায়। আইনি প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
চুয়াডাঙ্গায় পিস্তল-গুলি-টাকাসহ আটক ১
নিয়োগ বাতিলে দুশ্চিন্তায় ৫৯ স্বাস্থ্যকর্মী 
জীবননগরে গৃহবধূকে তুলে নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ
পরকীয়া প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ের পর দুধ দিয়ে গোসল
সড়কের পাশে পড়ে ছিল অজ্ঞাত ব্যক্তির মরদেহ
চুয়াডাঙ্গার জীবননগরে সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৬০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (২৯ জুন) সকালে চুয়াডাঙ্গা-জীবননগর সড়কের সন্তোষপুর তেল পাম্পের কাছে থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পুলিশ। স্থানীয়রা জানান, ওই ব্যক্তি হয়তো মানসিক প্রতিবন্ধী ছি‌লেন। তবে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। আজ ভোরের দি‌কে উপ‌জেলার স‌ন্তোষপুর তেল পা‌ম্পের কাছে একটি শব্দ শুনতে পান স্থানীয়রা। এ সময় তারা রাস্তায় বের হ‌য়ে দেখেন এক ব্যক্তি সড়কের পাশে মা‌টি‌তে প‌ড়ে কাতরাচ্ছেন। তখন আক‌লিমা না‌মে এক নারী তার মাথায় দেওয়ার জন্য পানি আনতে বাড়ি যান। পরে ফিরে এসে দেখেন লোকটি মারা গেছেন। এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন জানান, সন্তোষপুর তেল পাম্প সংলগ্ন সড়কের পাশে ঝোপের ভেতর অজ্ঞাত এক ব্যক্তির মরদেহ পেয়েছেন স্থানীয়রা। তার মুখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তবে ওই ব্যক্তির নাম-পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) একরাম হোসেন। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে অজ্ঞাত ব্যক্তিটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। সড়ক দুর্ঘটনায় তার মৃত্যু হতে পারে। আমরা পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছি। মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল ম‌র্গে পাঠানো হ‌য়ে‌ছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’
চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে ডায়রিয়া রোগী, বৃদ্ধার মৃত্যু
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আছিয়া খাতুন (৮০) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। রোববার (২৩ জুন) চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আছিয়া খাতুন চুয়াডাঙ্গা শহরের বাগানপাড়ার মৃত আশরাফ আলীর স্ত্রী। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. নাজমুস শাকিব। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের শিশু ও ডায়রিয়া ওয়ার্ড সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ দিনে অর্থাৎ ১৭ জুন থেকে ২৩ জুন বিকেল ৩টা পর্যন্ত ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নারী, শিশু, বয়োবৃদ্ধসহ মোট ১৭৩ রোগী ভর্তি হয়েছেন। এ ছাড়া বহির্বিভাগে প্রতিদিন ডায়রিয়া ও আবহাওয়াজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। এরই মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। এ বিষয়ে ডা. নাজমুস শাকিব বলেন, রোববার সকালে ডায়রিয়া আক্রান্ত হয়ে আছিয়া খাতুন সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। দুপুরে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি মারা যান। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ওয়াহিদ মাহমুদ রবিন বলেন, ডায়রিয়া ওয়ার্ডে নারীর মৃত্যুর খবর আমার জানা নেই। আমি খোঁজ নিয়ে দেখবো। ঈদের মধ্যে মাংস অনেক বেশি খাওয়া এবং বাহিরে ঘুরতে গিয়ে ফুচকা, চটপটি ইত্যাদি ফাস্ট ফুড আইটেম বেশি খাওয়ার কারণে এবং তাপমাত্রা বেশি হওয়ায় ডায়রিয়া রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ডায়রিয়া হলে প্রচুর স্যালাইন পানি পানসহ সতর্ক থাকতে হবে।
বিয়ের আসরে হঠাৎ হাজির প্রথম স্ত্রী, অতঃপর...
বিয়ে বাড়িতে হঠাৎ হাজির হয়ে বরের খালাতো বোন দাবি করেন, তিনি ওই যুবকের (বর) স্ত্রী। তাদের আটমাস আগে বিয়ে হয়েছে। এ কথার পরপরই শুরু হয় ত্রিমুখী সংঘর্ষ। আহত হন বর, নববধূ ও দাবিকরা স্ত্রীসহ অন্তত আটজন। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। রোববার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বর চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার শিংনগর গ্রামের শমসের আলীর ছেলে আসিফ রহমান (২২)। এ ঘটনায় বিয়ের আসরেই নববধূকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ হাজার টাকা দেনমোহরসহ সাড়ে চার লাখ টাকা গচ্ছা দিতে হয়েছে বরকে। এ ছাড়া থানায় আগের স্ত্রীর বাবা লিখিত অভিযোগ করেছেন। পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ওইদিন বিকেলে একই উপজেলা দর্শনা থানার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের মেয়েকে বিয়ে করতে বরযাত্রীসহ আসেন বর আসিফ রহমান। খাওয়া শেষে সন্ধ্যায় বিয়ের কাজ সম্পন্ন হয়। কিছুক্ষণ পরই বরের খালাতো বোন এসে অভিযোগ করেন, তার সঙ্গে আটমাস আগে বিয়ে হয়েছে আসিফ রহমানের। এ কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে সংঘর্ষ বেঁধে যায়। এতে বর, নববধূ, বরযাত্রী ও আগের দাবি করা স্ত্রীসহ ৮ জন আহত হন।   পরে স্থানীয় ব্যক্তিদের সিদ্ধান্তে নববধূকে তালাকসহ ক্ষতিপূরণ বাবদ ৭৫ হাজার টাকা ও দেনমোহরের সাড়ে চার লাখ টাকা বরকে পরিশোধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দর্শনা থানার (ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা) ওসি বিপ্লব কুমার সাহা বলেন, থানার এসআই ফাহিম হোসেনের নেতৃত্বে একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি শান্ত করে। এ বিষয়ে প্রথম স্ত্রীর বাবা থানায় একটি লিখিত অভিযোগও করেন।
ঈদে ৯ দিনের ছুটিতে দর্শনা রেলবন্দর
পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মৈত্রী এক্সপ্রেস ৯ দিন ও সাতদিন ভারত থেকে সব ধরনের মালামাল দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলবন্দরে আসা বন্ধ থাকবে। এ সময় বন্দরে কোনো মালামাল খালাসের কাজ করা হবে না। দর্শনা আন্তর্জাতিক রেলস্টেশন ম্যানেজার মির্জা কামরুর হক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বাংলাদেশ রেলের নির্দেশানুযায়ী পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে সব সরকারি ও বেসরকারি ব্যাংক ছুটিতে থাকবে। এ কারণে বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) থেকে শুক্রবার (১৯ জুন) সাতদিন ভারত থেকে রেলপথে দর্শনা বন্দরে কোনো মালামাল আমদানি করা হবে না। একইসঙ্গে ১৩ জুন থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ৯ দিন দর্শনা স্টেশন হয়ে ঢাকা-কলকাতা মৈত্রী এক্সপ্রেস ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকবে। ছুটি শেষে বন্দরের কার্যক্রম আগের মতো স্বাভাবিক নিয়মে চলবে। দর্শনা চেকপোস্টের ইমিগ্রেশন ওসি আতিকুর রহমান জানান, দর্শনা আন্তর্জাতিক চেকপোস্ট দিয়ে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে পাসপোর্টধারী যাত্রী যাতায়াত স্বাভাবিক থাকবে। 
চুয়াডাঙ্গায় ২ মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, যুবক নিহত
চুয়াডাঙ্গায় মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে এক যুবক নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন অপর মোটরসাইকেল চালকসহ এক আরোহী।  সোমবার (৩ জুন) বিকেলে সদরের কিরণগাছি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত টুটুল খান (২৬) সদর উপজেলার গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের খোকন মণ্ডলের ছেলে।  আহতরা হলেন, একই উপজেলার শংকরচন্দ্র ইউনিয়নের বহালগাছি গ্রামের তুফান মণ্ডলের ছেলে আবুল হোসেন (৫৬) ও গড়াইটুপি ইউনিয়নের গহেরপুর গ্রামের আহাদ আলীর ছেলে মিলন হোসেন (২৪)। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, টুটুল ও তার চাচাতো ভাই মিলন হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুই মোটরসাইকেলে থাকা তিনজনই আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে চিকিৎসক টুটুলকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। নিহতের পরিবারের কোনো অভিযোগ না থাকায় ময়নাতদন্ত ছাড়াই নিহতের মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।
কেশবপুরে ট্রাক্টরচাপায় প্রাণ গেল শিশুর
চুয়াডাঙ্গায় মাটিভর্তি ট্রাক্টরচাপায় সামিউল ইসলাম (৬) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (৩ জুন) সকাল ১০টায় আলমডাঙ্গা উপজেলার কেশবপুরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সামিউল ইসলাম উপজেলার হারদি ইউনিয়নের কেশবপুর গ্রামের মাঠপাড়ার আইনাল হকের ছেলে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানার এসআই ফরহাদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘খেলার সময় মাটিভর্তি ট্রাক্টরে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই শিশু সামিউল ইসলাম নিহত হয়। আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঊর্ধ্বতনদের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ স্থানীয় ইউপি সদস্য মুনছুর আলী বলেন, ‘আমরা মাছের একটি প্রজেক্টের জন্য মাটি কাটছিলাম। সেখানে একটি ট্রাক্টরচাপায় পিষ্ট হয়ে এক শিশু মারা গেছে।’