• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
হিলিতে ক্লাস চলাকালীন শিক্ষার্থী অসুস্থ
হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
ভারতের ১৮তম লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত-বাংলাদেশের আমদানি-রপ্তানি ও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ট্যুরিস্ট ও বিজনেস ভিসায় যাত্রী পারাপার কার্যক্রম তিন দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে আমদানি-রপ্তানি ও যাত্রী পারাপার স্বাভাবিক হয়েছে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, গত তিনদিন শুধুমাত্র মেডিকেল ভিসার যাত্রী ও বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়রা নিজ দেশে যাতায়াত করতে পেরেছেন। তবে এখন থেকে উভয় দেশের পাসপোর্ট যাত্রীরা যাতায়াত করতে পারবেন। আমরা সকল পাসপোর্ট যাত্রীর কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ শেষে ভ্রমণের সহযোগিতা করছি।   এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন-উর রশিদ বলেন, ভারতের লোকসভার নির্বাচনে গত ২৪ এপ্রিল থেকে ২৬ এপ্রিল এবং সাপ্তাহিক ছুটি শুক্রবার উপলক্ষে তিনদিন বন্ধ থাকার পর হিলি স্থলবন্দর দিয়ে সকাল থেকে আমদানি শুরু হয়েছে। ফলে বন্দরের ব্যবসায়ীরা তাদের এলসিকৃত মালামাল বন্দর থেকে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। 
হিলিতে গরুবাহী ভটভটির ধাক্কায় ২ মোটরসাইকেল আরোহী নিহত 
যে কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়িতে হামলা
দিনাজপুরে দশ মাইলে পেট্রোল পাম্পে আগুন
হিলিতে কোটি টাকার কোকেন উদ্ধার
হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে ট্যুরিস্ট ভিসায় চলাচল বন্ধ
ভারতের পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলায় লোকসভা নির্বাচনের কারণে আজ থেকে হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে। তবে পাইপলাইনে থাকা কাঁচামালের ট্রাকগুলো বিশেষ বিবেচনায় আমদানি হবে। এ ছাড়াও হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট দিয়ে মেডিকেল ভিসা ছাড়া অন্য ভিসায় পাসপোর্টের যাত্রী চলাচল বন্ধ থাকবে। বুধবার (২৪ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শেখ আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, ভারতের বালুরঘাটে নির্বাচনের কারণে বুধবার সকাল থেকে বাংলাদেশ হতে ট্যুরিস্ট ভিসা ও বিজনেস ভিসায় পাসপোর্ট যাত্রী পারাপার বন্ধ রয়েছে। তবে মেডিকেল ভিসায় চলাচল করা যাবে এবং ভারতীয় পাসপোর্ট যাত্রী বাংলাদেশ থেকে ভারতে যেতে পারবেন।
শিশু হত্যা মামলায় বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড 
দিনাজপুরের ফুলবাড়ীর চাঞ্চল্যকর পাঁচ বছরের শিশু মিরাজ হত্যা মামলায় মমতাজ উদ্দিন নামে এক বৃদ্ধের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর তিনজনকে খালাস প্রদান করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুরের অতিরিক্ত দায়রা জজ-২ আদালতের বিচারক শ্যামসুন্দর রায় এ রায় প্রদান করেন।  দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মমতাজ উদ্দিনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ প্রদান করেছেন বিচারক। আসামি মমতাজ উদ্দিন ফুলবাড়ী উপজেলার পশ্চিম খাজাপুর গ্রামের মৃত মীর উদ্দিনের ছেলে। নিহত শিশু মিরাজ কাজী একই গ্রামের মাহাবুব কাজীর ছেলে।  খালাসপ্রাপ্তরা হলেন, মমতাজ উদ্দিনের বোন মর্জিনা বেগম, ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান ও ছেলের বউ জেসমিন আরা। দিনাজপুরের কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই শিশু মিরাজ কাজী প্রতিবেশী মমতাজ উদ্দিনের বাড়িতে খেলতে যায়। এরপর শিশুটি নিখোঁজ ছিল। পরদিন ৯ জুলাই ওই এলাকার একটি ডোবা থেকে শিশু মিরাজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ৯ জুলাই নিহত শিশুর বাবা মাহবুব বাদী হয়ে চারজনকে আসামি করে ফুলবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। 
দিনাজপুরে ‘বাঁশের চালে’ রান্না হচ্ছে ভাত-পায়েস
ধান নয়, বাঁশের ফুলের বীজ থেকে তৈরি হচ্ছে চাল। তা দিয়ে রান্না হচ্ছে ভাত, পায়েস। আবার সেই চালের আটা তৈরি করে বানানো হচ্ছে রুটি। বাঁশ ও কঞ্চিতে ঝুলছে ধানসদৃশ দানাদার ফল। সেই ফল সংগ্রহ করা হচ্ছে বস্তায়। ময়লা পরিষ্কার করে রোদে শুকিয়ে চলছে মাড়াই। এভাবেই তৈরি করা হচ্ছে বাঁশের চাল। এ ঘটনা দিনাজপুরের ফুলবাড়ী উপজেলার এলুয়াড়ী ইউনিয়নের পাকাপান গ্রামের। বাঁশের ফল থেকে ধানসদৃশ দানাদার শস্য সংগ্রহ করে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছেন গ্রামের তরুণ সাঞ্জু রায় (২৫)। কৃষক ছিমল রায়ের ছেলে। গত এক সপ্তাহে প্রায় সাত মণ দানাদার শস্য সংগ্রহ করেছেন। ইতোমধ্যে দুই মণ চাল পেয়েছেন। নিজে যেমন রান্না করে খেয়েছেন, তেমনি আশপাশের মানুষের কাছে বিক্রিও করেছেন প্রতি কেজি ৪০ টাকায়। প্রতিবেশী বৃদ্ধের কাছে গল্প শুনে বাঁশফুলের বীজ থেকে দানা (চাল) সংগ্রহ করে এলাকায় তাক লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে উৎসুক এলাকাবাসীর মধ্যে এ বীজ সংগ্রহের হিড়িক পড়েছে। পাকাপান গ্রামের সাঞ্জু রায় ও প্রতিবেশী বৃদ্ধ কালিচন্দ্র রায় (৭০) দুজনই পেশায় দিনমজুর। তিনি সাঞ্জু রায়কে গল্প শোনান যে, ১৯৭১ সালে এরকম বাঁশফুলের দানা থেকে চাল সংগ্রহ করতে দেখেছেন। সে সময় অনেকেই এ দানা চাল হিসেবে ভাত রান্না করে খেয়েছেন। সাঞ্জু রায়ের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির পাশের ঝাড় থেকে বাঁশের বীজ সংগ্রহ করছেন তিনি। তার মা বাঁশফুলগুলো কুলা দিয়ে ঝেড়ে পরিষ্কার করছেন। সেই বীজ পানিতে ধুয়ে সাঞ্জু রায় পরিষ্কার করে রোদে শুকাচ্ছেন। এরপর সেগুলো ধানের হাসকিং মিলে ভাঙাবেন। বাড়ির উঠানে প্রস্তুতকৃত এমন কয়েকটি বীজের বস্তা দেখা যায়। কিছু দানা ভাঙিয়ে রেখেছেন। গ্রামের অনেকেই তা কিনে নিয়ে যাচ্ছেন। বাঁশের ফুল থেকে চাল উৎপাদন করার বিষয়টি এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। এটি দেখতে প্রতিদিন বিভিন্ন এলাকা থেকে দলে দলে উৎসুক মানুষ ভিড় করছেন তার বাড়িতে। সাঞ্জু রায় বলেন, বাঁশের কঞ্চিতে ফলগুলো শুকিয়ে মাটিতে পড়ে যাচ্ছে। মাঝেমধ্যে কঞ্চি ধরে নাড়া দিলে ঝরে পড়ছে। এ পর্যন্ত এক দিনে সর্বোচ্চ ২০ কেজি সংগ্রহ করেছেন। এক কেজিতে চাল পেয়েছেন আধা কেজির মতো। রান্না করে খেয়েছেন। ভাতের মতোই স্বাদ। পায়েসও রান্না করেছেন। আটা বানিয়ে রুটিও খেয়েছেন। ইতোমধ্যে আড়াই হাজার টাকার চাল বিক্রিও করেছেন। এখনও পাঁচ বস্তা মজুত আছে। ভালোই লাগছে। বাঁশগাছে পাওয়া দানাদার শস্যের চাল নিয়ে গেছেন পাড়ার সুনীল রায়, লিপি রানী ও কামিনী বালা। তারা জানান, সাঞ্জুকে ধানের চাল বদল দিয়ে বাঁশের চাল নিয়েছেন এক কেজি করে। রান্না করে খেয়েছেনও। খুবই সুস্বাদু। খিচুড়িও রান্না করে খেয়েছেন বলে জানান কামিনী বালা। বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট (ব্রি) আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. রকিবুল হাসান বলেন, বাঁশের বীজ থেকে চাল উৎপাদন হয় এই প্রথম জানলাম। দেশের কোথাও এমন ঘটনা শোনা যায়নি। এটি বিরল ঘটনা। বিষয়টি নিয়ে আমরা শিগগিরই গবেষণার কাজ শুরু করব। দিনাজপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক নুরুজ্জামান জানান, বাঁশ এবং ধান একই প্রজাতির। ৫০ বছরে একটি বাঁশঝাড়ে একবার ফল আসে। পরে আর সেই বাঁশঝাড়টি আর টিকে থাকে না। তবে বাঁশফলের সেই দানা থেকে অবিকল চালের মতো দানা হয়। যার ভাতের স্বাদ ধানের চালের ভাতের মতোই। তবে এটি সম্ভাবনাময় নয়। বাংলাদেশ বন গবেষণা ইনস্টিটিউটের সিভিকালচার জেনেটিকস বিভাগের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান বলেন, বাঁশে সাধারণত ফুল হয় না। তবে প্রজাতিভেদে ২৫ থেকে ৬০ বছর পরে ফুল আসতে পারে। ফুল আসা মানেই ওই বাঁশের জীবনচক্র শেষ হওয়া। বাঁশফলটা দেখতে অনেকটা ধানের বীজের মতো। এটি মূলত ইঁদুরের প্রিয় খাবার।
নবাবগঞ্জে মাটিচাপায় শ্রমিকের মৃত্যু
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে মাটিচাপায় আজিজুল ইসলাম নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় উপজেলার ভাদুড়িয়া ইউনিয়নের বাজারে একটি পুরতান মসজিদের ভিত্তি তৈরি করার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম তাওহীদ। নিহত শ্রমিক দিনাজপুর জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার মাহমুদপুর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের মৃত আজাদ আলীর ছেলে আজিজুল ইসলাম (২৫)।  স্থানীয়রা জানান, সকাল থেকে কিছু শ্রমিক মাটি খোঁড়ার কাজ করছিলেন। এমতাবস্থায় মাটি ধসে পড়লে দুজন শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়েন। পরে স্থানীয়রা একজনকে দ্রুত উদ্ধার করলেও অপর শ্রমিক আজিজুলকে উদ্ধার করতে দেরি হওয়াতে তার মৃত্যু হয়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাওহীদুল ইসলাম তাওহীদ। তিনি বলেন, মোবাইল ফোনে জানতে পারি ভাদুরিয়া ইউনিয়নে মাটিচাপায় একজন শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আজিজুল রহমান নামের ওই শ্রমিক গত কয়েক দিন ধরে ভাদুরিয়া বাজার পুরাতন মসজিদের নির্মাণ কাজে যুক্ত ছিলেন। সোমবার (২২ এপ্রিল) বিকেলে আজিজুলসহ কয়েকজন শ্রমিক মাটির পনেরো ফিট নিচে ভিত্তি স্থাপনে পাইলিংয়ের কাজ করছিলেন। মাটি নরম থাকায় ওপর থেকে তা ধসে পড়লে দুজন শ্রমিক মাটির নিচে চাপা পড়েন। পরে তাদের ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা উদ্ধার করে নবাবগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা আজিজুল ইসলামকে মৃত ঘোষণা করেন।
জমি দখলের চেষ্টা চেয়ারম্যানের, বাবা-ছেলে জেলহাজতে
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে জাল দলিল তৈরি করে জমি দখলের অভিযোগে উপজেলার ৬নং ভাদুরিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান (৬৬) ও তার ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান বাবুল আহসান কবীর ওরফে শামীমকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছেন আদালত। সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের বিচারক গিয়াসউদ্দিন তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদী এমদাদুল হকের বাবা মৃত আব্দুল লতিফ মিয়া ও চাচা আব্দুর রহমান ১৯৬৫ সালে তাদের মায়ের মৃত্যুর পর সম্পত্তিসমূহ নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নেয়। পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালের ২৬ নভেম্বর সেরাজ উদ্দিন ৫৬ শতাংশ তার স্ত্রী ও ৮১ শতাংশ বদিউজ্জামান ও মনিরুজ্জামানের নিকট বিক্রি করে। পরবর্তীতে আব্দুর রহমান তাদের সঙ্গে একত্রে মাছ চাষ করছিলেন। এক পর্যায়ে তাদেরকে আসামিরা নিজের সম্পত্তি দাবি করে মাছ চাষে বাধা প্রদান করেন। ২০২৩ সালের ৬ জানুয়ারি স্থানীয় থানায় সালিশ হয়। তখন ওই জমি ১৯৬৪ সালে ক্রয় করেছেন বলে তারা একটি দলিলের ফটোকপি দেখিয়ে রহমানের পুকুরের অংশও নিজেদের দাবি করেন। যা সম্পূর্ণ জাল দলিল প্রমাণিত হয়। এ ঘটনায় বাদী হয়ে মামলা করেন এমদাদুল হক। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম লিয়াকত আলী জানান, জমিজমা (সিআর) মামলায় আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করতে আসলে বিচারক তাদের জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেয়। এ ঘটনায় বিকেলে বাবা ও ছেলেকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
ঘোড়াঘাটের পৌর মেয়রসহ বিএনপির ৪ নেতাকর্মী কারাগারে
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট পৌরসভার মেয়র, জেলা বিএনপির যুগ্মসাধারণ সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলনসহ বিএনপির চার নেতাকর্মী নাশকতার মামলায় আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন। পরে আদালত তাদের জেলহাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে দিনাজপুর আমলি আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট গিয়াস উদ্দিনের আদালতে তারা আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। আদালত তাদের জামিনের আবেদন না মঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। আসামিরা হলেন- উপজেলা বিএনপির সহসভাপতি মাহবুব চৌধুরী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাদ্দাম হোসেন ও সাবেক উপজেলা ছাত্রদল নেতা সোহেল প্রধান। আদালত সূত্রে জানা যায়, ঘোড়াঘাট উপজেলায় গত বছর জাতীয় নির্বাচনের পূর্বে সরকারবিরোধী আন্দোলনের নামে জ্বালাও-পোড়াও এবং অগ্নিসংযোগ করে সাধারণ মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধন করা হয়েছে।  সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অপরাধে পুলিশ তাদের বিরুদ্ধে নাশকতার মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় পুলিশ তদন্ত সাপেক্ষে আদালতে অভিযোগপত্র পেশ করে। আসামিরা পলাতক থাকায় আদালত তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। রোববার (২১ এপ্রিল) তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।