• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo
দিনাজপুরে বাসের ধাক্কায় অটোচালক নিহত
সকল বৈষম্যের কবর রচনা হোক: জামায়াতের আমির
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, আমার যদি বাড়িতে পাহারা না লাগে, আমার মসজিদে যদি পাহারার প্রয়োজন না হয়, তাহলে হিন্দু ভাইদের মন্দিরে পাহারার প্রয়োজন হবে কেন বলে প্রশ্ন করেন তিনি। আমরা এই ধরনের বৈষম্য চাই না। আমরা চাই আমাদের সন্তানরা যে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন করে গেছে এর মাধ্যমে সকল বৈষম্যের কবর রচনা হোক। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে দিনাজপুর পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে জামায়াতে ইসলামীর দিনাজপুর উত্তর জেলা শাখা আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই আন্দোলন কোনো গোষ্ঠী বা দলের নয়, এই আন্দোলন আপামর জনগণের আন্দোলন। জনগণ রাস্তায় নেমে এসে এই আন্দোলন সফল করেছে। এখানে কোনো নির্দিষ্ট ধর্মের লোক লড়াই করেনি। কেউ যদি জনতার এই আন্দোলনকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায় তাহলে আবারও দেশের ১৮ কোটি জনগণ রুখে দেবে। হাজারও প্রাণের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের এই বিপ্লব, এই পরিবর্তন, এই আন্দোলনের সফলতাকে অবশ্যই আমরা পাহারাদারি করবো। এর কোনো ধরনের অপমান এই জাতি সহ্য করবে না। জামায়াতের আমির আরও বলেন, আমরা এমন একটা দেশ, এমন একটি জগৎ চাই, যে দেশে জাতি, দল, ধর্ম নির্বিশেষে সকল ধর্মের মানুষ শান্তিতে বসবাস করবে। এ দেশের নাগরিক হিসেবে দেশে ও প্রবাসে যেখানেই যাক গর্বের সঙ্গে বলবে আমি বাংলাদেশের একজন নাগরিক। এখনে বিশেষ বিশেষ সময়ে কোনো ধর্মীয় সম্প্রদায়ের উপাসনালয়ে পাহারা দেওয়ার প্রয়োজন হবে না। কারণ এখানে জন্মগতভাবে সকলেই বাংলাদেশের নাগরিক। বাংলাদেশ একটা বৈষম্যবিহীন দেশে পরিণত হোক। আমাদেরকে নিয়ে যেন গর্ব করতে পারে এমন একটা জাতি আমরা চাই। জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর উত্তর জেলা শাখার আমির অধ্যক্ষ মো. আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মাওলানা মমতাজ উদ্দিন, জামায়াতের কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বেলাল ও জাগপা কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতি ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান। সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির চিরিরবন্দর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ আফতাব উদ্দিন মোল্লা, জামায়াতে ইসলামী দিনাজপুর দক্ষিণ জেলা আমির মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা আব্দুল হাকিম, পঞ্চগড় জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইকবাল হোসেন, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি মাওলানা রবিউল ইসলাম, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাহবুবুর রহমান ভুট্টু, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি রাজিবুর রহমান পলাশ, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতে নায়েবে আমির মাওলানা এ কে এম আফজালুল আনাম, উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মাইনুল আলম, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন, ওলামা মাশায়েখদের মধ্যে ইসলামী আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা সোহরাব হোসাইন, দিনাজপুর উত্তর জেলা জামায়াতের কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা খোদা বকস, দিনাজপুর শহর জামায়াতের আমির মো. রেজাউল ইসলাম, দিনাজপুর শহর ছাত্রশিবিরের সভাপতি মো. রেজওয়ানুল হক, দিনাজপুর উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি রেজাউল ইসলাম প্রমুখ। এর আগে জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমান হ্যালিকপ্টারযোগে ঢাকা থেকে দিনাজপুরে পৌঁছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহীদ রুদ্র সেনের পাহাড়পুরস্থ বাসভবনে যান এবং তার পিতা মাতার সাথে দেখা করেন। এ ছাড়া সমাবেশস্থলে আগত শহীদ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন ও প্রত্যেক শহীদের পরিবারকে নগদ দুই লাখ করে টাকা প্রদান করেন। উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে দিনাজপুর জেলার ৭ জন শহীদ হন। তারা হলেন-দিনাজপুর জেলা শহরের পাহাড়পুরের বাসিন্দা ও শাবি শিক্ষার্থী রুদ্র সেন, বিরল কবলা এলাকার বাসিন্দা মাদরাসা শিক্ষার্থী মো. মাসুম রেজা, বিরলের নাগরবাড়ীর বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের চাকরিজীবী আব্দুল কাফি, একই উপজেলার পাকুড়া এলাকার রিকশাচালক জয়নাল আবেদীন, দিনাজপুর সদর উপজেলার রানীগঞ্জ এহিয়া হোসেন স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী মো. রবিউল ইসলাম রাহুল, চিরিরবন্দর উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাসুদেবপুর গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মো. সুমন পাটোয়ারী ও বীরগঞ্জের ডাবরা জিনেশ্বরী গ্রামের গার্মেন্টসকর্মী মো. সেলিম উদ্দিন।
‘আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাউকে গুলির নির্দেশ দেওয়া ছিল না’
‘ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগ জনগণের সঙ্গে আছে’
‘লোভেরও একটা সীমা থাকা দরকার’
বই উৎসবে নির্বাচনী প্রচারণা, অধ্যক্ষকে শোকজ
দিনাজপুরে তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস
হিমেল হাওয়ায় কাঁপছে উত্তরের জনপদ দিনাজপুরের মানুষ। তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় দিন দিন বাড়ছে শীতের প্রকোপ। ঘন কুয়াশাতে দিনের বেলায়ও যানবাহনকে লাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে। মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) সকাল ৬টায় দিনাজপুরে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।  এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৫ ভাগ। চলতি বছরে এটি জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, রোববার দিনাজপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৬ ভাগ। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায় রাস্তায় কমেছে মানুষের চলাচল। উষ্ণতার আশায় কেউ বা আগুন জ্বালিয়ে শরীর গরম করে নিচ্ছেন আবার কেউ ভিড় জমাচ্ছেন চায়ের দোকানে।  দূরপাল্লার গাড়িগুলো চলাচল করছে হেডলাইট জ্বালিয়ে। দিনের তাপমাত্রা কমে যাওয়ায়, বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া ও নিম্নআয়ের মানুষ।