• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
দল আর মার্কা দেখার সময় শেষ, এখন সময় যোগ্যতা দেখার: সারজিস আলম
পঞ্চগড়ে প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ, গ্রেপ্তার ৪
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলায় বুদ্ধি প্রতিবন্ধী কিশোরীকে (১৪) ধর্ষণের অভিযোগে চার জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে পঞ্চগড়ের পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য জানান। গ্রেপ্তার চার জনের মধ্যে দুইজনের বয়স আঠারো বছরের কম।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- তেঁতুলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ (২০), নাহিদ হাসান (১৭), রেদোয়ান হোসেন রতন (১৭), সাব্বির হোসেন (১৯)। শনিবারই অভিযুক্তদের রিমাণ্ডে চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, অভিযুক্ত ছয় থেকে সাত জন দল বেঁধে ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী তরুণীকে ধর্ষণ করে। এর মধ্যে চার জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকিদের আটকে অভিযান চলছে। ভুক্তভোগী গত ৫ সেপ্টেম্বর তেঁতুলিয়াতে আসেন। সন্ধ্যায় তেঁতুলিয়া বাজার থেকে দর্জিপাড়া এলাকার আব্দুল্লাহ তাকে বিভিন্ন প্রলোভন দেখিয়ে নিয়ে যায় দর্জিপাড়া গ্রামের বুড়াঠাকুরের আস্তানায়। সেখানে একটি ঘরে রাতে আব্দুল্লাহসহ দুজন তাকে ধর্ষণ করে। পরদিন সকালে দর্জিপাড়া ফরেস্টে নিয়ে আব্দুল্লাহ, নাহিদ, রতন ও সাব্বিরসহ ছয় থেকে সাত জন ওই প্রতিবন্ধীকে ধর্ষণ করে। পুলিশ সুপার বলেন, পরের দিন স্থানীয়রা ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে তেঁতুলিয়া মডেল থানায় নিয়ে যায়। ওই রাতেই বিজিবির সহযোগিতায় অভিযান চালিয়ে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার করা হয়। শনিবার তেঁতুলিয়া মডেল থানায় ভুক্তভোগীর চাচা নিরঞ্জন চন্দ্র রায় গ্রেপ্তার চার জনসহ অজ্ঞাত আরও তিন জনকে আসামি করে মামলা করেন। পুলিশ সুপার আরও বলেন, যৌথ অভিযানে দ্রুত ধর্ষণের সঙ্গে জড়িতদের মধ্যে চার তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা পুলিশের কাছে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে হাজির করে রিমাণ্ড চাওয়া হবে।  একই সঙ্গে অন্য আসামিদেরও গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানান তিনি। সংবাদ সম্মেলনে পঞ্চগড়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) কনক কুমার দাস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লাহ, তেতুঁলিয়া মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আরমান আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাবান্ধা স্থল বন্দর আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের নতুন কমিটি
আন্দোলনকারী নারীদের উপদেষ্টা বানানোর আহ্বান বিএনপি নেতার
পঞ্চগড় সীমান্তে ভারতীয় চোরাকারবারিদের লক্ষ্য করে বিজিবির গুলি
জন্মাষ্টমীতে বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
সন্তানের মুখ দেখতে পাননি গুলিবিদ্ধ সাজু, ফিরলেন লাশ হয়ে
গেল ২৪ জুলাই, সন্তান সম্ভবা স্ত্রীকে রেখে জীবিকার তাগিদে গাজীপুরে যান পঞ্চগড়ের সাজু মিয়া (২৬)। একই মাসের ২৭ জুলাই তার স্ত্রী এক ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন। সেসময় সাজু তার সন্তানের নাম রাখেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রথম শহীদের নামানুসারে আবু সাঈদ।  ভাগ্যের কি নির্মম পরিহাস মাত্র ১৬ দিনের মাথায় সাজু মিয়া নিজেও গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করবেন তা কেউ ভাবতেও পারেননি। সন্তানের মুখ না দেখেই তাকে চলে যেতে হয়েছে না ফেরার দেশে। গত ১২ আগস্ট বিকেলে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয় সাজু মিয়াকে।  এর আগে রোববার (১১ আগস্ট) দিবাগত রাতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি।  পরিবার জানায়, গত ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা যেদিন পালিয়ে যান সেদিনই সাজু মিয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন। তার মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে বইছে শোকের মাতম। নবজাতক সন্তান নিয়ে দিশেহারা তার স্ত্রী শারমিন আক্তার। সাজু মিয়ার বাড়ি পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জ উপজেলার চিলাহাটি ইউনিয়নের টোকরাভাষা মিরপাড়া গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের আজাহার আলীর ছেলে। চার ভাই-বোনের মধ্যে সাজু ছিল সবার বড়। তিনি গাজীপুরের একটি টেক্সটাইল মিলে চাকরি করে পরিবার চালাতেন। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, স্বজনদের আহাজারিতে সাজু মিয়ার বাড়ির পরিবেশ এখনও ভারি। এখনও বিলাপ করে কান্না করেন তার দুই বোনসহ বাবা-মা। ঘরের ভেতর ১৬ দিন বয়সি ছেলেকে নিয়ে অনবরত চোখের পানি ফেলছেন শারমিন আক্তার। স্বজনদের সমবেদনা যে কারও হৃদয় ছুঁয়ে যাবে।  গণমাধ্যমকর্মীদের দেখে বারবার শারমিন আক্তার বলছিলেন, ‘এই ছোট বাচ্চাকে নিয়ে কোথায় যাবো আমি, আমার ছেলেরে কে মানুষ করবে? আমি বিচার চাই, আমার স্বামীর খুনিদের বিচার চাই।’ শারমিন আক্তার জানান, তার স্বামী সাজু মিয়া ২০১৫ সালে স্থানীয় একটি বিদ্যালয় থেকে এসএসসি পাস করেন। এরপর অভাবের সংসারের হাল ধরতে টেক্সটাইল মিলে কাজ শুরু করেন। তিনি ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের গণঅধিকার পরিষদের অঙ্গসংগঠন শ্রমিক অধিকার পরিষদের পঞ্চগড় জেলা কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বেও ছিলেন। জানা গেছে, শেখ হাসিনা সরকার পতনের দিন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে গাজীপুরের মাওনা হতে একটি মিছিল বের হয়েছিল। সেই মিছিলে ছাত্রজনতার সেই ঢলে যোগ দিয়েছিলেন সাজু মিয়া। মাওনা থেকে ছাত্রজনতা মিছিলটি নিয়ে গণভবনের দিকে রওনা হয়। ওই সময় ময়মনসিংহ থেকে ৭টি পিকআপে করে বিজিবি ও কিছু পুলিশ এসে গুলি করতে থাকে। এ সময় পুলিশের গুলি দুই দফা সাজুর পিঠে লাগে, এতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তিনি। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সাজুর বাবা আজহার আলী বলেন, ‘আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই। আমার পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ছিল আমার ছেলে। এখন কে এই পরিবার চালাবে। আমার ছেলে তার সন্তানের মুখ দেখার জন্য হাসপাতালে ছটফট করেছিলো, কিন্তু দেখতে পারল না। বার বার বলেছিল, আমি বাঁচবোনা আমার ছেলেকে একবার দেখতে চাই। আমরা তাকে তার ছেলের মুখ দেখাতে পারিনি।’ এসব কথা বলেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি। সাজুর মা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘হাসপাতালে থেকে ফোনে আমার ছেলে আমাকে বলেছিলো, কান্না করিও না মা, তোমার ছেলে শহীদ হবে। তুমি শহীদের মা হবা। শুধু আমার ছেলেকে দেখে রেখো, মানুষের মত মানুষ করো।’
স্ত্রী ও ২ সন্তানের রক্তাক্ত লাশ দেখে আঁতকে ওঠেন সেলিম
পঞ্চগড়ে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে কাপড় ব্যবসায়ী সেলিমের স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৩৫) ও তার দুই ছেলে সৈকত (১২) এবং সায়হাম (৯) নিহত হয়েছেন। বুধবার (১৪ আগস্ট) রাত আনুমানিক ১১টায় জেলার আটোয়ারী উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দলুয়া দিঘি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  জানা গেছে, সেলিম পার্শ্ববর্তী বোদা বাজারে অবস্থিত তার কাপড়ের দোকান বন্ধ করে রাতে বাড়ি ফেরেন। ড্রয়িং রুমের দরজা খোলা দেখে কাছে গেলে মেঝেতে স্ত্রী ও সন্তানদের রক্তাক্ত মরদেহ দেখে তিনি চিৎকার করতে থাকেন। প্রতিবেশীরা ছুটে এসে এ ঘটনা দেখে পুলিশকে খবর দেয়। আটোয়ারী থানার ওসি মুসা মিয়া বলেন, ‘ঘটনাস্থলে এসে এক মহিলা ও তার দুই সন্তানের লাশ ড্রয়িং রুমের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখি। ঘটনা তদন্তে সিআইডি ও ক্রাইমসিনের প্রতিনিধি দল কাজ করছে। তাদের দেওয়া তথ্য মতে বিভিন্ন এঙ্গেলে তদন্ত চালানো হবে।’
রং-তুলিতে বদলে গেছে তেঁতুলিয়ার দেয়াল চিত্র
শেখ হাসিনা সরকারের পদত্যাগের একদফা দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে দেয়ালে দেয়ালে গ্রাফিতি লিখেছিলেন শিক্ষার্থীরা। সরকার পদত্যাগ ও নতুন সরকার গঠনের পর আগের গ্রাফিতি মুছে সেই দেয়ালে এখন বিজয়ের চিহ্ন, ক্যালিগ্রাফি লিখছেন তারা। পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেয়াল লিখন ও ক্যালিগ্রাফিতে অংশ নিয়েছেন শত শত শিক্ষার্থী। সোমবার উপজেলার পর্যটনস্পট ডাকবাংলো পিকনিক কর্ণারের দেয়ালগুলো রাঙিয়ে তোলেন তারা। মঙ্গলবার (১৩ আগস্ট) সরেজমিনে দেখা যায়, রোববার থেকেই শিক্ষার্থীদের অনেকে দেয়াল পরিষ্কার করছেন, কেউ কেউ রঙ মিশানোর কাজ করছেন, কেউ দেয়ালে লিখছেন। এসব চিত্রে দেখা গেছে, ‘ক্ষমতা নয় সমতা চাই, বুকের ভেতর অনেক ঝড়, বুক পেতেছি গুলি কর, ২৪-এর গণঅভ্যুথানসহ বিভিন্ন স্লোগান।  এ বিষয়ে এক চিত্রশিল্পী বলেন, সকাল থেকেই তেঁতুলিয়ার পর্যটনকেন্দ্র ডাকবাংলোর পিকনিক কর্ণারের দেয়ালগুলোতে অঙ্কন করেছি। এতে অংশ নিয়েছে পঞ্চগড়ের বিভিন্ন স্কুল কলেজে পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। তারা বেশ উৎসাহ নিয়ে কাজ করেছে। 
গুজবে কান না দিয়ে সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গীকার হিন্দুদের
পঞ্চগড়ে গুজবে কান না দিয়ে, দেশ না ছেড়ে সম্প্রীতি রক্ষার অঙ্গিকার করেছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা।  শনিবার (১০ আগস্ট) বিকেলে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্ট, পঞ্চগড়ের আয়োজনে বোদা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে এক সম্প্রীতি সমাবেশে তারা এই অঙ্গীকার করেন। এতে দুই উপজেলার পাঁচ শতাধিক হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নেন।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক ফরহাদ হোসেন আজাদ। সমাবেশে বক্তারা বলেন, এই দেশে আমাদের জন্ম, আমাদের বাপ দাদার জন্ম। আমরা এই দেশ কখনই ছেড়ে কোথাও যাব না। সম্প্রীতি রক্ষার মাধ্যমে দেশ গড়বো আমরা।  এর আগে বেলা তিনটা থেকে বোদা উপজেলা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে বোদা এবং দেবীগঞ্জ উপজেলার ২০টি ইউনিয়ন থেকে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা এসে জড়ো হতে শুরু করেন। পরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সনাতন ধর্মাবলম্বী ও বিএনপির নেতাদের ভিড় দেখা যায়। কল্যাণ ফ্রন্টের পঞ্চগড়ের আহ্বায়ক প্রেমাশিষ কুমার রায়ের সভাপতিত্বে সম্প্রীতি সমাবেশে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার, কেন্দ্রীয় বিএনপির পল্লী উন্নয়ন সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সদস্য সচিব ফরহাদ হোসেন আজাদ, ফ্রন্টের মহাসচিব এস এন তরুন দে, বিএনপি নেতা ও সাবেক পৌর মেয়র মো. তৌহিদুল ইসলামসহ বোদা ও দেবীগঞ্জ উপজেলার সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতারা বক্তব্য দেন।  
পঞ্চগড়ে নিহতদের স্মরণে পুলিশের গায়েবানা জানাজা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পেশাগত দায়িত্ব পালনের সময় নিহত পুলিশ সদস্যদের স্মরণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে পঞ্চগড়ে। শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকেলে পঞ্চগড় জেলা পুলিশের আয়োজনে পুলিশ লাইনসের ড্রিল শেডে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় উপস্থিত ছিলেন পঞ্চগড় পুলিশ সুপার এসএম সিরাজুল হুদা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আমিরুল্লাহসহ পুলিশ সুপার কার্যালয়, সদর থানা ও পুলিশ লাইনসের সদস্যরা। জানাজা শেষে আন্দোলনে নিহত পুলিশ সদস্য, সাধারণ মানুষ ও শিক্ষার্থীদের আত্মার মাগফিরাতের জন্য মোনাজাত করা হয়। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার সিরাজুল হুদা বলেন, ‘অন্য আর ১০ জন মানুষের মতো আমরাও চাকরি করি। কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সবচেয়ে বড় বৈষম্যের শিকার হয়েছে পুলিশ। চাকরি করতে গিয়ে পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে যেসব পুলিশ শহীদ হয়েছেন, আমরা তার ন্যায়বিচার চাই। আন্দোলনে যেসব পুলিশ ও ছাত্রসহ যারা নিহত হয়েছেন আমরা তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি। কিছু অপেশাদার পুলিশ সদস্যের জন্য আজ এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আমরা ঘুরে দাঁড়াব।’
পঞ্চগড় সীমান্তজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি
পঞ্চগড়ে ভারতীয় সীমান্তজুড়ে রেড অ্যালার্ট জারি করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। একইসঙ্গে বৃদ্ধি করা হয়েছে টহল।  বুধবার (৭ আগস্ট) এ রেড অ্যালার্ট জারি করা হয়। বিজিবি সূত্র জানায়, পঞ্চগড়ের তিন পাশ জুড়েই ২৮৪ কিলোমিটার ভারতীয় সীমান্ত। দীর্ঘ এ সীমান্ত এলাকায় পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি, নীলফামারী ৫৬ বিজিবি এবং ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়ন দায়িত্ব পালন করে। দেশের চলমান অস্থিরতার মধ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং দেশ থেকে কোনো দুস্কৃতিকারী যাতে অবৈধপথে ভারত যেতে না পারে সেজন্য সীমান্তে কড়া নজরদারিসহ রেড অ্যালার্ট জারি করে বিজিবি। পঞ্চগড় ১৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল জিয়াউল হক বলেন, উভয় সীমান্তেই রেড অ্যালার্ট জারি রয়েছে। ভারত তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে আগেই রেড অ্যালার্ট করেছে। দেশের সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আমরাও সীমান্তে টহল বৃদ্ধিসহ পুরো সীমান্তে রেড অ্যালার্ট জারি করেছি।