• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
বন্যার্তদের না দিয়ে ত্রাণের চাল রেখে দিলেন চেয়ারম্যান, অতঃপর...
গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় শ্বশুর-জামাই নিহত
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ মহাসড়কের লেন পরিবর্তনের সময় হঠাৎ মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে আরোহী জাহিদুল ইসলাম ও তার জামাই শামীম মণ্ডল নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার রংপুর-ঢাকা মহাসড়কের বকচর এলাকার ফায়ার সার্ভিস অফিসের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম। নিহত জাহিদুল ইসলাম (৪০) উপজেলার গোবিন্দনগর গ্রামের রমজান আলীর ছেলে। এছাড়া তার জামাই শামীম মণ্ডলের (২৫) বাড়ি পাশ্ববর্তী কোমরপুর গ্রামে। স্থানীয়রা জানান, রাতে জাহিদুল ইসলাম তার জামাই শামীমকে সঙ্গে নিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে বগুড়া থেকে গোবিন্দগঞ্জে আসছিলেন। পথে বকচর এলাকায় পৌঁছালে মহাসড়কের লেন পরিবর্তনের সময় হঠাৎ করে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। এতে মোটরসাইকেলসহ দুজনেই মহাসড়কের ওপর ছিটকে পড়ে গুরুতর হন। পরে দুর্ঘটনার বিষয়টি তাৎক্ষণিক ফায়ার সার্ভিসকে অবহিত করলে তাদের একটি টিম আহতদের উদ্ধার করে গোবিন্দগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের দুজনকেই মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ওসি শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন। নিহতদের মরদেহ আইনি প্রক্রিয়া শেষে রাতেই স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’
গাইবান্ধায় দুই সিএনজি অটোরিকশার সংঘর্ষে নিহত ১
ঢামেকে হামলা, গাইবান্ধা থেকে সঞ্জয় পাল গ্রেপ্তার
গাইবান্ধায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে স্বামী-স্ত্রীর মৃত্যু
গাইবান্ধায় আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস পালন
দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতার মৃত্যু
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় সড়ক দুর্ঘটনায় আহত ছাত্রলীগ নেতা সামিউল ইসলাম সামু মারা গেছেন।  শুক্রবার (২ আগস্ট) সকালে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। জানা গেছে, গত বুধবার বিকেলে সামিউল ইসলাম ও তার দুই বন্ধু লালমনিরহাট থেকে মোটরসাইকেল যোগে রাতে নিজ উপজেলা সুন্দরগঞ্জ ফিরছিলেন। পথে কাউনিয়া তিস্তা ব্রিজ এলাকায় এলে একটি সিএনজির সঙ্গে তাদের মুখোমুখি সংর্ঘষ হয়। এতে অন্তত ৪ জন আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে প্রথমে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে সামিউল ইসলামের অবস্থার অবনতি হলে হেলিকপ্টার যোগে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শুক্রবার সকালে মারা যান তিনি। নিহত সামিউল ইসলাম সামু সুন্দরগঞ্জ উপজেলার সাবেক ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তার বাড়ি সুন্দরগঞ্জ পৌরসভার বাইবাস এলাকার। তিনি ওই এলাকার রেজাউল করিম লাল মিয়ার ছেলে। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি মাহবুব আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘সড়ক দুর্ঘটনায় সামিউল ইসলাম সামু আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পেরেছি শুক্রবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন।’
গাইবান্ধায় বিল থেকে নিখোঁজ শিশুর মরদেহ উদ্ধার
গাইবান্ধায় নিখোঁজের একদিন পর বিল থেকে রক্তিম ইসলাম নামে একটি শিশুর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) বিকেলে শহরের ব্রিজরোড এলাকায় ছড়ারবাতা বিল থেকে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স কর্মীরা এ মরদেহ উদ্ধার করেন।  নিহত রক্তিম ওই এলাকার ভাঙাড়ি ব্যবসায়ী শহিদুল ইসলাম সুজনের ছেলে। সে ব্রিজরোড সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র ছিল।  নিহতের স্বজনরা জানান, গত শুক্রবার দুপুরে ঘাঘট নদীতে গোসল করতে যাওয়ার কথা বলে বাসা থেকে বের হয়ে যায় রক্তিম। কিন্তু বিকেল পর্যন্ত বাসায় ফিরে না আসায় আশেপাশে রক্তিমের খোঁজ শুরু করেন স্বজনরা। হারানো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয় ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সদর থানায় একটি নিখোঁজের জিডিও করা হয়। স্বজনরা আরও জানান, শনিবার বিকেলে ব্রিজরোড অ্যাকোয়ারস্টেট পাড়া সংলগ্ন ছড়ারবাতা বিলে ভাসমান অবস্থায় রক্তিমের মরদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তারা ফায়ার স্টেশনে খবর দিলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে মরদেহটি উদ্ধার করে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেন।   এ ব্যাপারে ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শুক্রবার রাতে এসে বিলের বিভিন্ন জায়গায় আমরা খোঁজাখুজি করেছি। কিন্তু সঠিক তথ্য না পাওয়ার কারণে মরদেহ উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। শনিবার বিকেলে মরদেহ ভাসতে দেখে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে আমাদের সদস্যরা এসে ভাসমান লাশ উদ্ধার করেছেন।’
গাইবান্ধায় বন্যায় ১৪০ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ, পানিবন্দি ১ লাখ মানুষ
গাইবান্ধায় নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুর্ভোগ কমেনি। ব্রহ্মপুত্র ৬৩ সেন্টিমিটার ও ঘাঘট নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বন্যার কারণে চার উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষ পানিবন্দি জীবনযাপন করছেন। বন্যাকবলিত এলাকায় সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু ও বৃদ্ধরা। স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও শিক্ষা ছাড়াও গবাদি পশুপাখি রাখার স্থান ও গো-খাদ্য, স্যানিটেশনসহ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে।  জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রোকসানা বেগম ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা শহিদুল ইসলাম জানান, বন্যার প্রভাবে এ পর্যন্ত জেলার ১৪০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে মাদরাসাসহ ২২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও একটি কলেজ এবং ১১৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। ফুলছড়ি কলেজের এইচএসসি পরীক্ষাকেন্দ্র বন্ধ ঘোষণা করে পরীক্ষার্থীদের ভরতখালি উচ্চবিদ্যালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে।   ক্ষতিগ্রস্ত এসব পরিবারের মাঝে জরুরি নিরাপত্তা, শুকনো খাবার, শিশু খাদ্য, ভিটামিন ট্যাবলেট, পানি বিশুদ্ধিকরণ ট্যাবলেট ও নিরাপদ পানি বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে প্রশাসন ও দুর্যোগ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। পাশাপাশি ডিএফপির (ওয়ার্ল্ড ফুড প্রোগ্রাম) অর্থায়নে ২০ হাজার পরিবারকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে ৫ হাজার করে টাকা দেওয়া হয়েছে। গাইবান্ধা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী হাফিজুল হক জানান, ব্রহ্মপুত্র ও ঘাঘট নদীর পানি কমতে শুরু করেছে। আজ সকাল ৯টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি ফুলছড়ি উপজেলার ফুলছড়ি স্টেশন পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটিার কমে বিপৎসীমার ৬৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া ঘাঘট নদীর পানি জেলা শহরের নতুন ব্রিজ পয়েন্টে ১১ সেন্টিমিটিার কমে বিপৎসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। জেলা প্রশাসনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, গাইবান্ধার সদর উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন, সুন্দরগঞ্জের ৯টি, সাঘাটার ৮টি ও ফুলছড়ি উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন বন্যায় প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি মানুষের জন্য স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলে মোট ১৮১টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, বন্যায় চার উপজেলায় ২ হাজার ৫৪৫ হেক্টর জমির আউশ ধান, পাট ও ভুট্টাসহ বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি ডুবে গেছে। পানি দ্রুত নেমে গেলে ক্ষয়ক্ষতি কম হবে। অন্যথায় ফসল পচে নষ্ট হয়ে যাবে। গাইবান্ধা জেলা প্রশাসক কাজী নাহিদ রসুল বলেন, এ পর্যন্ত গাইবান্ধার ৪টি উপজেলার বন্যার্ত মানুষের মাঝে ৩ হাজার ৫০ প্যাকেট শুকনা খাবার, ১৬৫ টন জিআর চাল এবং ১০ লাখ টাকা নগদ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আরও ২৬৫ টন চাল মজুত রয়েছে। ত্রাণ বিতরণ ও উদ্ধার কার্যক্রমের জন্য নৌকা, স্পিডবোট প্রস্তুত রয়েছে। এ ছাড়া বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় জেলা এবং উপজেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে।
রুবেল হত্যার বিচার চেয়ে ডিসি-এসপিকে স্মারকলিপি
গাইবান্ধার পলাশবাড়ীতে চাঞ্চল্যকর রুবেল মিয়া হত্যার ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও উপযুক্ত বিচার চেয়ে জেলা প্রশাসক (ডিসি), পুলিশ সুপার (এসপি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে এলাকাবাসী। মঙ্গলবার (২ জুলাই) উপজেলার ঠুঠিয়াপুকুর বাসস্ট্যান্ডে মানববন্ধন শেষে এ স্মারকলিপি দেওয়া হয়। মানববন্ধনে বক্তারা রুবেলের হত্যাকারী ও তাদের সহযোগীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি জানানো হয়। উল্লেখ্য, গত ১৮ জুন পলাশবাড়ীর বোর্ড বাজার এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এ সময় উভয়পক্ষকে শান্ত করতে গেলে রুবেল মিয়াকে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে আহত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে গাইবান্ধা সদর হাসপাতাল এবং পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার মাথায় শতাধিক সেলাই শেষে ঢাকায় পাঠানো হয়। এরপর তাকে ঢাকার মেট্রোপলিটন মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয় এবং ডা. কনক কান্তি বড়ুয়ার তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ২১ জুন মৃত্যু হয় রুবেল মিয়া।  এ ঘটনায় ১৭ জনকে আসামি করে পলাশবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। র‌্যাব ও পুলিশের যৌথ অভিযানে এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  
ফুলছড়িতে বজ্রপাতে কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু
গাইবান্ধার ফুলছড়ি উপজেলায় বজ্রপাতে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। তার নাম ফরহাদ সরদার (১৮)।  সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার গজারিয়া ইউনিয়নের কাতলামারি গ্রামের নবাবগঞ্জ বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত ফরহাদ সরদার ওই গ্রামের জিন্না সরদারের ছেলে। তিনি ফুলছড়ি সরকারি কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গজারিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান খোরশেদ আলী। স্থানীয়দের বরাতে তিনি বলেন, ‘সোমবার সন্ধ্যায় ফরহাদ সরদার বাড়ির সামনে খোয়ারে হাঁস উঠাচ্ছিলেন। এ সময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।’