• ঢাকা মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১
logo
বিগত নির্বাচন অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য হয়েছে : ইসি রাশেদা 
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে রিকশাচালকের মৃত্যু
গাইবান্ধায় ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে আশরাফ আলী (৫০) নামের এক রিকশাচালকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত আশরাফ আলী সদর উপজেলার খোলাহাটী ইউনিয়নের সাহার ভিটার গ্রামের মৃত ফয়জার রহমানের ছেলে। গ্রেপ্তারকৃত ব্যক্তির নাম সাদেকুল ইসলাম (৩৫)। কুপতলা ইউনিয়নের রামপ্রসাদ গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাদেক। শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ রানা। স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে আশরাফ আলী রিকশা নিয়ে কুপতলা থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ সড়কের ৭৫ নম্বর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে সাদেকুল আশরাফ আলীর পথরোধ করেন। এ সময় ছুরি দেখিয়ে রিকশা ও চাবি দিয়ে চালককে চলে যেতে বলেন। সেসময় উভয়ের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। ধস্তাধস্তির একপর্যায়ে আশরাফ আলীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন সাদেকুল।  পরে এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে মামলা করেন। এ বিষয়ে ওসি মাসুদ রানা জানান, নিহত রিকশাচালক আশরাফ আলীর স্ত্রী মামলা করেছেন। নিহতের মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। অভিযান চালিয়ে রাতেই অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সেফটি ট্যাংক থেকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
নারী কয়েদির সঙ্গে কারারক্ষীর অনৈতিক সম্পর্ক, অতঃপর...
গোবিন্দগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় নারী নিহত
গাইবান্ধায় ১ টাকায় মিলল ১৬ পণ্য
গোবিন্দগঞ্জে বাসচাপায় প্রাণ গেল অটোরিকশা চালকের
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় একটি যাত্রীবাহী বাসের চাপায় রায়হান মিয়া গাটু (৩৫) নামের এক অটোরিকশা চালক নিহত হয়েছেন।  সোমবার (৮ এপ্রিল) গোবিন্দগঞ্জের মহাসড়কের হাইওয়ে থানার সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত রায়হান মিয়া গাটু গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুড়িপাইকা গ্রামের আবদুল কুদ্দুস মিয়ার ছেলে। স্থানীয়রা জানান, আজ সকাল ১০টার দিকে হাইওয়ে থানার অদূরে কালিতলা নামক স্থানে একটি অটোরিকশা দাঁড়িয়ে ছিল। এ সময় রংপুরগামী হানিফ পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে এসে অটোরিকশাটিকে ধাক্কা দেয়। এতে রিকশাটি উল্টে গিয়ে চালক রায়হান মিয়া গাটু ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ বিষয়ে গোবিন্দগঞ্জ হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব রহমান বলেন, খবর পেয়ে রেকার দিয়ে উদ্ধার তৎপরতা চালানো হয়। এ ঘটনায় বাসচালক পালিয়ে গেলেও বাসটি আটক করা হয়েছে।  তিনি আরও বলেন, অটোরিকশাচালক রায়হান মিয়ার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের মাধ্যমে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। 
সন্তান কোলে নারীর আত্মহত্যা, বাঁচাতে গিয়ে কলেজছাত্রের মৃত্যু
গাইবান্ধা সদরে ট্রেনে কাটা পড়ে এক কলেজছাত্রসহ দুজন নিহত হয়েছেন। সোমবার (১ এপ্রিল) দুপুরে গাইবান্ধা আদর্শ কলেজ-সংলগ্ন রেললাইনে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন সাঘাটা উপজেলার ভরতখালী গ্রামের জাহিদুল ইসলামের ছেলে জোবায়ের মিয়া (১৮) এবং গাইবান্ধা সদরের মাঝিপাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী রাজিয়া বেগম (২৩)। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে পুলিশ জানায়, গৃহবধূ রাজিয়া বেগম দেড় বছরের শিশু সন্তান কোলে নিয়ে ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেন। এ সময় কলেজছাত্র জোবায়ের মিয়া তাদের বাঁচাতে গিয়ে ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান। এ ঘটনায় কোলে থাকা দেড় বছরের শিশু আবির হোসেন গুরুতর আহত হলে তাকে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন স্থানীয়রা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন গাইবান্ধা রেলওয়ে (জিআরপি) পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ফারুক হোসেন। তিনি জানান, ময়নাতদন্তের পর মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এটি আত্মহত্যা না দুর্ঘটনা তা এ মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। এ ঘটনায় গাইবান্ধা জিআরপি থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করা হবে।
প্রেমিকের আশায় স্বামী-সন্তান সব হারালেন গৃহবধূ, অতঃপর....
পরকীয়ায় মগ্ন হয়ে সংসার ভাঙার পর বিয়ের দাবিতে প্রেমিক রাসেলের বাড়িতে গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলায় অনশন শুরু করেছে এক নারী। শুক্রবার (২৯ মার্চ) বিকেলে উপজেলার পুটিমারী গ্রামে প্রেমিকের বাড়ির সামনে অনশন করতে দেখা যায় ওই নারীকে। রাসেলের সাঘাটা উপজেলার মুক্তিনগর ইউনিয়নের পুটিমারী গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে।        জানা যায়, কচুয়া ইউনিয়নের এক ব্যক্তির সঙ্গে পাঁচ বছর আগে সাঘাটা উপজেলার সাঘাটা ইউনিয়নের ওই নারীর বিয়ে হয়। বিভিন্ন সময়ে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে রাসেল ওই নারীর ঘরে প্রবেশ করে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ সম্পর্ক করে আসছিলেন। সম্প্রতি রাসেলকে ওই নারীর শ্বশুরবাড়ির লোকজন ধরে ফেলে পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশ রাসেলকে সাঘাটা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলি আদালতের মাধ্যমে ১৫১ ধারায় গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠায়। এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে স্বামী নাজের বেপারী সন্তানকে নিজের কাছে রেখে ওই নারীকে তালাক দেন। পরবর্তী সময়ে রাসেল জামিনে বের হয়ে বাড়িতে ফিরে এলে ওই নারীর লোকজন তাকে বিয়ে করার চাপ প্রয়োগ করেন। কিন্তু রাসেল বিয়ে না করতে তালবাহানা করতে থাকেন। অবশেষে বিয়ের দাবিতে বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) বিকেল থেকে রাসেলের বাড়ির উঠানে অবস্থান নিয়ে অনশন শুরু করেন ওই নারী। অবস্থা বেগতিক দেখে রাসেল সরকার ও তার পরিবার বাড়িঘরে তালা ঝুলিয়ে পালিয়েছেন।   ভুক্তভোগী ওই নারী বলেন, আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন থেকে ধর্ষণ করে আসছিল রাসেল। তার কারণে আমার ঘর ভেঙেছে। সে কারণে বিয়ের দাবিতে অনশনে বসেছি। এ বিষয়ে মুক্তিনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শ্রী পরিমল চন্দ্র বর্মন বলেন, বৃহস্পতিবার (২৮ মার্চ) খবর পেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে দেখি রাসেল ও তার পরিবারের কেউই নেই। তাই নিরাপত্তার কথা ভেবে রাতে ওই নারীকে রাসেলের চাচার বাসায় রেখে এসেছি। বিষয়টি সমাধানে উভয়পক্ষের সঙ্গে আলোচনা চলছে। 
গোবিন্দগঞ্জে ইফতারি কিনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত বেড়ে ৪
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নছিমনের ধাক্কায় আহত দুজনের মধ্যে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মো. বেলাল নামে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃতের সংখ্যা চারজনে দাঁড়ালো। এর আগে শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন এবং বৃহস্পতিবার রাতে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়।  নিহতরা হলেন গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ী এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে ইজিবাইক চালক আশরাফুল ইসলাম (৩৫), একই গ্রামের আব্দুস ছাত্তার মিয়ার ছেলে সবুজ মিয়া (৩৮), আজিজুলের ছেলে মো. বেলাল (৫০) এবং পলাশবাড়ী উপজেলার হরিনাবাড়ী এলাকার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে মো. মোত্তালিব (৫২)। এ ঘটনায় আমিরুল ইসলাম (৩৩) নামে একজন রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।  স্থানীয়রা জানান, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কুমারগাড়ি এলাকা থেকে একটি ইজিবাইকে পাঁচজন যাত্রী নিয়ে নাকাইহাট বাজারের দিকে যাচ্ছিলেন। ইজিবাইকটি নাকাইহাট-গাইবান্ধা সড়কের বড়পুল এলাকায় পৌঁছালে পেছন থেকে আসা মাটির হাড়ি ভর্তি একটি ডিজেল ইঞ্জিনচালিত ভটভটি ধাক্কা দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ইজিবাইকের চালক আশরাফুল ইসলাম মারা যান। ইজিবাইকে থাকা চারযাত্রী গুরুতর আহত হন। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। পরে সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ সকালে মোত্তালেব মিয়া ও সবুজ মিয়া মারা যান এবং বিকেলে মো. বেলাল মিয়া মারা যান। কুমারগাড়ী এলাকার প্রতিবেশী মোনারুল ইসলাম বলেন, আজ শুক্রবার গ্রামের মসজিদের ইফতার পার্টি ছিল। সেই ইফতার সামগ্রী কিনতে তারা একটি ইজিবাইক যোগে নাকাইহাটে বাজার করতে যান। পথে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচজনই আহত হন।  বিষয়টি নিশ্চিত করে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। ঘটনার পর পরই দুর্ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এ ঘটনায় প্রথমে ইজিবাইক চালকের মৃত্যু হয়। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সকালে দুজন এবং বিকেলে আরও একজন মারা যান।  তিনি আরও বলেন, ডিজেল ইঞ্জিনচালিত নছিমনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
ইফতারি কিনতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ৩
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে ব্যাটারিচালিত নছিমনের ধাক্কায় অটোরিকশাচালকসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুজন। শুক্রবার (২২ মার্চ) গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে একজন ও রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে দুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। নিহতরা হলেন- গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নাকাই ইউনিয়নের কুমারগাড়ি এলাকার মৃত ভোলা মিয়ার ছেলে মুত্তালিব মিয়া, একই গ্রামের বুধা শেখের ছেলে সবুজ মিয়া ও মজিবুর রহমানের ছেলে অটোরিকশাচালক আশরাফুল ইসলাম। এ ছাড়াও বেলাল মিয়া (৪৫) ও আমিরুল ইসলাম (৩৩) নামের আরও দুজন রংপুর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাতে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তারা। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শুক্রবার হতাহতদের গ্রামের মসজিদে ইফতার পার্টি ছিল। ইফতারসামগ্রী কিনতে ওই পাঁচজন নাকাইহাটে বাজার করতে যান। পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতরা বাড়ি থেকে অটোরিকশায় করে নাকাইহাট যাচ্ছিলেন। পথে গাইবান্ধা-গোবিন্দগঞ্জ-ভাইয়া নাকাইহাট সড়কের বটতলা এলাকায় পৌঁছালে মাটির পাতিলবোঝাই একটি নছিমনকে ওভারটেক করতে গিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা ও নছিমন খাদে পড়ে পাঁচজন আহত হন।  পুলিশ আরও জানায়, আশপাশের লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে নেন। সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি হলে রাতেই রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার সকালে মোত্তালেব মিয়া ও সবুজ মিয়া মারা যান। অটোরিকশাচালক আশরাফুল ইসলাম গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে মধ্যরাতে মারা যান। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি শামসুল আলম শাহ। তিনি বলেন, হাসপাতাল থেকে স্বজনরা মরদেহ বাড়িতে নিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
গাইবান্ধায় মরদেহ নিয়ে থানা ঘেরাও
গাইবান্ধার ফুলছড়িতে জমি নিয়ে সংঘর্ষে মৃত্যুর ঘটনায় মরদেহ নিয়ে বিচারের দাবিতে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছেন এলাকাবাসী। এ সময় পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সকালে ফুলছড়ি থানা ঘেরাও করেন নিহত নুরুন্নবীর স্বজন ও এলাকাবাসী। পরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। স্থানীয়রা জানান, ফুলছড়ির দক্ষিণ বুড়াইল গ্রামের বাসিন্দা নুরুন্নবী মিয়ার সঙ্গে প্রতিবেশী গোলজার মিয়ার দীর্ঘদিন ধরে জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এরই জেরে গতকাল সোমবার সকালে বিরোধপূর্ণ জমিতে নুরুন্নবী মিয়া আসলে প্রতিপক্ষ গোলজার মিয়া ও তার লোকজন হামলা চালান। এতে নুরন্নবী মিয়াসহ কয়েকজন গুরুতর আহত হন। গুরুতর আহত নুরুন্নবী মিয়াকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার সকালে তার মৃত্যু হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, নিহতের স্বজনরা হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে মরদেহ নিয়ে আজ সকালে ফুলছড়ি থানায় গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের তর্কবিতর্ক ও ধাক্কাধাক্কি হয়। এ সময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের লাঠিচার্জ করে। পরে পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করে মরদেহ কেড়ে নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। এ ঘটনার বিচার দাবিতে বিক্ষুদ্ধ জনতা উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন করে।  পরে গাইবান্ধার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনাস্থলে পৌঁছে বিক্ষুব্ধ জনতাকে শান্ত করার চেষ্টা করেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ফুলছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাফিকুজ্জামান বসুনিয়া। তিনি বলেন, নিহতের স্বজন ও গ্রামবাসীরা মরদেহ নিয়ে থানায় এলে পুলিশের সঙ্গে কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তাদের কাছ থেকে মরদেহ নিয়ে ময়নাতদন্তের জন্য গাইবান্ধা জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।