• ঢাকা বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১
logo
বন্যার্তদের না দিয়ে ত্রাণের চাল রেখে দিলেন চেয়ারম্যান, অতঃপর...
সেতুর কাজ শেষ না হতেই দেবে গেছে ৪ পিলার
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে বেলকা ঘাট এলাকায় তিস্তার শাখা নদীর ওপর নির্মাণাধীন কাঠের সেতুর একটি অংশ দেবে গেছে। মঙ্গলবার ভোরে সেতুর মাঝখানে চারটি সিসি পিলার দেবে যায়। বুধবার (২৬ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের সেতুর ওপর দিয়ে স্থানীয়রা চলাচল করছেন। তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে নদী পারাপার হচ্ছেন। শিশুরা সেতু থেকে নদীতে লাফিয়ে লাফিয়ে গোসল করছে। নদীতে স্রোত বাড়লেই সেতুটি আরও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, ঠিকাদার ও দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর গাফিলতিতে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হওয়ার আগেই মাঝখানের অংশ দেবে গেছে। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন ধরে স্থানীয় লোকজন সুন্দরগঞ্জ উপজেলার বেলকা ইউনিয়নের বেলকা ঘাট থেকে নৌকাযোগে নদী পারাপার হতেন। দুই পাশের ইউনিয়নের মানুষের যোগাযোগের মাধ্যম ছিল একমাত্র নৌকা। স্থানীয় জনগণের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বেলকা ঘাট এলাকায় একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করে এলজিইডি। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) অর্থায়নে সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় এটি বাস্তবায়ন করে। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলীর কার্যালয় সূত্র জানায়, ২০২২ সালের আগস্ট মাসে সেতুটির নির্মাণকাজ শুরু হয়। ২০২৩ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা। ১০০ মিটার দৈর্ঘ্য এবং ৫ মিটার প্রস্থের সেতুটি নির্মাণে ৩০ লাখ টাকা ব্যয় ধরা হয়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে এই টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। কাজের দায়িত্ব পায় গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছানা এন্টারপ্রাইজ। এ পর্যন্ত সেতুর নির্মাণকাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হয়েছে। সিসি পিলারের ওপর দুই পাশে ঢালাই দেওয়া হয়। সেতুর পাটাতনে সিমেন্টের স্ল্যাবের পরিবর্তে কাঠ দেওয়া হয়েছে। সেতুর দুই পাশে নিরাপত্তামূলক প্রাচীর দেওয়া হয়নি। প্রায় চার ফুট উচ্চতার পিলার দেওয়া আছে। এ অবস্থায় সেতুর ওপর দিয়ে স্থানীয় লোকজন যাতায়াত শুরু করেন। সাইকেল ও রিকশা পারাপার হতে থাকে। বেলকা এলাকার স্কুলশিক্ষক লেলিন মিয়া বলেন, আগে এখানে কোনো সেতু ছিল না। নৌকা দিয়ে পার হতে হতো। এতে সাধারণের দুর্ভোগ পোহাতে হতো। এবার একটি কাঠের সেতু নির্মিত হচ্ছে জেনে খুশি হয়েছিলাম। এখন দেখছি, নির্মাণ শেষ হওয়ার আগেই দেবে পড়েছে। এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ছানা এন্টারপ্রাইজের মালিক ছানা মিয়ার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। বেলকা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইব্রাহিম খলিলুল্যাহ বলেন, সেতুর কাজ সম্পন্ন হলে স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ লাঘব হবে। তাই কাজটি শেষ করতে উপজেলা প্রকৌশল বিভাগকে বারবার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। এখন সেতুটি দেবে যাওয়ায় স্থানীয় মানুষের দুর্ভোগ আরও বেড়ে গেল। সুন্দরগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আবদুল মান্নাফ বলেন, ‘সেতু দেবে যাওয়ার কথা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত সেখানে যাওয়া সম্ভব হয়নি। আমি এই উপজেলায় যোগ দেওয়ার আগেই এই সেতুর কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ বিষয়ে তেমন কিছু জানি না। এই কাঠের সেতুর প্রাক্কলন ও পরিকল্পনা ভুল ছিল। তিস্তার শাখা নদীর ওপর সেতুটির যেভাবে ডিজাইন করার দরকার ছিলো সেটি করা হয়নি। তবে পিলার দেবে যাওয়ায় চলাচল এখন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। তাই সেতুর ওপর দিয়ে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।’  উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারিকুল ইসলাম বলেন, ‘লোকমুখে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পশুর হাটে পুলিশের গুলি, ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া
অন্তরঙ্গ অবস্থায় ধরা প্রধান শিক্ষক, গাছের সঙ্গে বেঁধে গণধোলাই
১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থীর সবাই ফেল, প্রধান শিক্ষককে শোকজ
১৩ শিক্ষকের ১৪ শিক্ষার্থী, পাস করেনি কেউ