• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
ব্রহ্মপুত্রে নিখোঁজ ৪ শিশুর মধ্যে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
ব্রহ্মপুত্রে গোসলে নেমে চার শিশু নিখোঁজ
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার নারায়ণপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে ভাই-বোনসহ চার শিশু নিখোঁজ হয়েছে। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিখোঁজ চার শিশু নারায়ণপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাঘমারা গ্রামের আলম মিয়ার ছেলে জুয়েল (৭), অষ্টাশির চর গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নাজমুল হোসেন (৭), আহাদ আলীর দুই সন্তান আখি খাতুন (৯) ও আতিক হোসেন (৭)।  নিখোঁজ চার শিশু স্থানীয় ডা. মনির উদ্দিন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। এর মধ্যে আখি খাতুন ৪র্থ শ্রেণি ও বাকি তিনজন ১ম শ্রেণির শিক্ষার্থী। জুয়েলের চাচাতো ভাই আলাল উদ্দিন জানান, বুধবার দুপুরে স্কুল ছুটির পর পাঁচজন মিলে গ্রামের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নামে। এদের মধ্যে একজন পারে উঠতে পারলেও অপর চারজন স্রোতের টানে ডুবে যায়। খবর পেয়ে গ্রামের সবাই মিলে তাদের খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। আমি নিজেও নেমে খুঁজেছি। রাত হয়ে যাওয়ায় তাদেরকে খোঁজা বন্ধ রাখা হয়েছে। আগামীকাল বৃহস্পতিবার ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল আসার কথা।  নারায়নপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ৯নং ওয়ার্ডের অষ্টমির চর এলাকায় ব্রহ্মপুত্র নদে গোসল করতে নেমে চার শিশু নিখোঁজ হওয়ার খবর পেয়েছি। সেখানে লোকজন তাদেরকে রাত হওয়ায় উদ্ধার করতে পারেনি। কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে কুড়িগ্রামে বৃদ্ধকে পিটিয়ে হত্যা
ছোট ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল বড় বোনের
শহীদ আবু সাঈদের নামে সিংগেরডাবরি হাট রেল গেইটের নামকরণ
কুড়িগ্রামে পুকুরে ডুবে ২ ভাইয়ের মৃত্যু
সোনাহাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবি।  বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১০০৯ এর নিকটবর্তী ভারতীয় অংশে সোনাহাট এলসিএস নামক স্থানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌজন্য পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট সুনিল সৈবাম, ৩১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট অজয় কুমার সিং এবং ৪৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট অজিত কুমার।  পতাকা বৈঠকে উভয় কমান্ডাররা কুশল বিনিময় শেষে বিএসএফের কমান্ডারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক যাতে ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এ ব্যাপারে নজরদারি রাখার জন্য জানানো হয়।  এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির অধিনায়ক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সীমান্তে বিজিবি সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়াও সীমান্তে গুলি, হত্যাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উভয়ের মধ্যে আলোচনা এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার সম্মতি জানানো হয়।
আতঙ্কে নয়, পূজায় অংশ নিতে সীমান্ত পার হয়েছিলেন ৭ সনাতন ধর্মাবলম্বী
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে ৭ সনাতন ধর্মাবলম্বী আতঙ্কে নয়, পূজায় অংশ নিতে সীমান্ত পার হয়ে ভারতের অভ্যন্তরে আত্মীয়ের বাড়িতে যান। এ সময় সেখানে বিএসএফের হাতে আটক হন তারা। পরে বিএসএফ আটককৃতদের বিজিবির নিকট হস্তান্তর করে।  শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে জেলার নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের সিপেরহাট সীমান্তে ঘটনাটি ঘটে। বিজিবি সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেদার ইউনিয়নের টেপার কুটি গ্রামের ধর্মেস্বর বিশ্বাসের ছেলে নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস (৫০), ভারত চন্দ্র রায়ের ছেলে মানিক চন্দ্র রায় (৪৫), সন্তোস চন্দ্র বিশ্বাসের ছেলে মনমোহন চন্দ্র বিশ্বাস (৪৬), সুবল চন্দ্র বিশ্বাস (৪০), দয়া বিশ্বাস (৩৫) ও একই ইউনিয়নের ঢলুয়াবাড়ি গ্রামের অমল বিশ্বাসের ছেলে নিপুল বিশ্বাস (৩৬), বিপুল বিশ্বাস (৩২) শনিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে কেদার সীমান্তের শিপের হাট এলাকা দিয়ে ভারতের আসাম রাজ্যের ধুবরী জেলার গোলোকগঞ্জ থানার কাটাতারের বাইরে থাকা ভোগডাঙ্গা গ্রামে প্রবেশ করে। এ সময় ভারতের কেদার আড্ডা বিওপির বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। পরে তাদেরকে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে বিজিবির কাছে হস্তান্তর করে। এদিকে তাদের আটকের খবর মুহূর্তের মধ্যে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ছড়িয়ে পড়ে। প্রচার হতে থাকে আতঙ্কে ওই সাতজন ভারতে আশ্রয় নিয়েছেন। ফিরে আসা নিখিল চন্দ্র বলেন, সকালে সাতজন মিলে ভাসান পূজায় অংশ নিতে ভারতের ভোগডাঙ্গায় যাই। এরমধ্যে মানিক চন্দ্র রায় একজন ঢোল বাদক। পূজা শেষে ওখানকার মেম্বারের বাড়ি বেড়াতে গেলে বিএসএফ আমাদের আটক করে। পরে বিকেলে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিজিবির কাছে আমাদের হস্তান্তর করা হয়। এরপর বিজিবি বাড়ি পৌঁছে দেয় আমাদের। আতঙ্কে দেশ ছাড়ার কথা সত্য নয়। এরকম কোনো ঘটনা আমাদের গ্রামে ঘটেনি। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে বসবাস করছি। কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির কেদার কোম্পানির নায়েব সুবেদার আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে বিএসএফের হাতে আটক সাতজনকে ছাড়িয়ে আনা হয়েছে।
হিলি শহর পরিষ্কার করতে রাস্তায় শিক্ষার্থীরা
দিনাজপুরের হিলি শহরের বিভিন্ন এলাকায় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কর্মসূচি পালন করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ আগস্ট) দুপুরে হিলির শহরের চারমাথা মোড়, হিলি বাজার, স্টেশন রোডসহ কয়েকটি এলাকায় সড়ক পরিস্কার ও গাছ রোপন করতে দেখা যায় তাদের। এ কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছে আন্দোলনকারী বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শিক্ষার্থীরা জানায়, কোটাবিরোধী আন্দোলনের সময় শহরের বিভিন্ন স্থানে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। শহরের বিভিন্ন স্থানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইটপাটকেল-লাঠিসোঁটা পরিষ্কারসহ শহরের নানান আবর্জনা পরিষ্কার করছেন তারা। এ কর্মসূচি চলমান থাকবে বলেও জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
কুড়িগ্রামে আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা
সেনাপ্রধানের বক্তব্যের পর সারাদেশের মতো কুড়িগ্রামেও আনন্দ মিছিল ও শোভাযাত্রা করেছে কোটা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী। এ সময় তাদের শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ বিএনপি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সর্বস্তরের জনগণ রাজপথে নেমে আসেন।   সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার পর শহরের কলেজ মোড় এলাকা থেকে একটি বিশাল আনন্দ মিছিল বের হয়ে পৌরবাজার ঘুরে শাপলা চত্বর হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে এবং শাপলা চত্বরে জমায়েত হয়। এ ছাড়াও খণ্ড খণ্ড মিছিল বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করতে দেখা যায় আনন্দ উল্লাস করা সাধারণ শ্রেণি পেশার মানুষকে। আনন্দ শোভাযাত্রা করার সময় আন্দোলনকারীরা আনন্দ উল্লাসের পাশাপাশি জাতীয় সঙ্গীত ও দেশাত্ববোধক গান পরিবেশন করেন। এ দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যগণ ও বিজিবিসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানসমূহে এবং মোড়ে মোড়ে টহল জোরদার করেছে। এ সময় আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠা শিক্ষার্থী এবং অন্যান্যরা তাদের ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।
কোটা সংস্কার আন্দোলন: কুড়িগ্রামে লাশ হয়ে ফিরেছেন ৩ জন
কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিকার কুড়িগ্রাম জেলার তিন যুবক। ঢাকায় আন্দোলনের সংঘর্ষের সময় গুলিতে প্রাণ হারান তারা। মৃতদের পারিবারিক তথ্যমতে তারা কেউ আন্দোলনের সঙ্গে বা কোনো রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন না। তারপরেও তাদের পরিস্থিতির শিকার হতে হয়।  মৃতরা হলেন উলিপুর উপজেলার ব্যাংক কর্মকর্তা রায়হানুল ইসলাম (৩৫), কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার রাজমিস্ত্রী নুর ইসলাম (২২) এবং নাগেশ্বরী উপজেলার রাজমিস্ত্রী গোলাম রব্বানী (২০)। এখন পর্যন্ত এই তিন পরিবারকে সরকারি বা বেসরকারিভাবে কেউ কোন প্রকার সহায়তা করেনি বলে জানা গেছে। রায়হানুল ইসলাম (ব্যাংক কর্মকর্তা)  জেলার উলিপুর উপজেলার পৌর শহরের মুন্সিপাড়ার আব্দুর রশিদের একমাত্র সন্তান রায়হানুল ইসলাম। বাবা আব্দুর রশিদ জানান, রায়হানুল ছোটবেলা থেকে মেধাবী ছাত্র ছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশুনা শেষে চাকুরি হয় একটি বেসরকারি ব্যাংকে। সেখানে সহকারি ম্যানেজার হিসাবে কাজ করতো।  তার বাবা প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে আরো বলেন, গত শুত্রুবার ১৯ জুলাই বাড্ডা এলাকায় জুম্মার নামাজ শেষে রাস্তায় নামলে কোটাবিরোধী আন্দোলনকারী আর পুলিশের সংঘর্ষেও মাঝে পড়েন। এরই এক সময় একটি গুলি তার ডান চোখের কাছেলেগে পিছন দিয়ে বের হয়ে যায়। ফলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। পরদিন তার লাশ এনে উলিপুর এমএস স্কুল এ্যান্ড কলেজ মাঠে নামাজের জানাজা শেষে উলিপুর কেন্দ্রীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়। নুর আলম (রাজমিস্ত্রী) কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভোগডাঙ্গা ইউনিয়নের ভাগিরভিটা গ্রামের আমির হোসেনের দুই পুত্রের মধ্যে নুর আলম বড়। বাবা আমির হোসেন ভ্যান চালক। আর মা নুর বানু গার্মেন্টস কর্মী। আর নুর আলম ছিলো রাজমিস্ত্রী। আর সবার ছোট নুর জামাল (১৪) থাকতো অন্যের দোকানের কর্মচারী হিসাবে। আর নুর আলম প্রায় এক বছর আগে বিয়ে করেন। স্ত্রী খাদিজা অন্তসত্বা সে থাকতো বাসায়। আর সবাই কর্মজীবী। সবমিলিয়ে ছিলো সুখের সংসার।  পরিবারের সবাই মিলে ভাড়া থাকতেন গাজিপুর চৌরাস্তার তেলিপাড়া এলাকায়।  বাবা আমির হোসেন প্রত্যক্ষদর্শী আশিক ও আব্দুল্লাহর বরাতে জানান, শনিবার (২০ জুলাই) সকাল ৯টার দিকে ঠিকাদারের সাইডের কাজ থেকে ফেরার পথে চৌরাস্তা এলাকায় গোলাগুলিতে পড়েন। এক পর্যায়ে ডান চোখে গুলি লাগলে ঘটনাস্থলে লুটে পড়েন। পরে অন্যান্যরা ধরাধরি করে সিটি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডাঃ আবিদ বিল্লাহ তাকে মৃত ঘোষনা করেন। এরপর তারা লাশ নিয়ে যায় জয়দেবপুর সরকারি হাসপাতালে। সেখান থেকে রাত ১০টায় লাশ হস্তান্তর করলে পরদিন রোববার (২১ জুলাই) গ্রামের বাড়িতে লাশ নিয়ে আসি। সকাল সাড়ে ১০টায় নামাজের জানাজা শেষে বাড়ির আঙ্গিনায় দাফন করা হয়।  গোলাম রব্বানী (রাজমিস্ত্রী)    কোটা সংস্কার আন্দোলনে বিজিবির গুলিতে ঢাকার আফতাবনগরে মারা যায় কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার কেদার ইউনিয়নের কচাকাটা বাজার এলাকার সাইদুর রহমানের পুত্র গোলাম রব্বানী (২০)। নিহত গোলাম রব্বানীর সহকর্মী একই এলাকার বাসিন্দা রাসেল ইসলাম (২২) জানান, তারা রামপুরা আফতাবনগরে থাকতেন। রাজমিস্ত্রি কাজ করতেন। গত শুক্রবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় আফতাবনগরে ই-ব্লকে কাজ শেষে বাসায় ফিরছিলেন তারা। এ সময় রাতের খাবার খেতে পাশের খাবারের দোকানে যাওয়ার পথে আকস্মিক বিজিবির ছোড়া গুলিতে পেটের নিচে গুলি লেগে আহত হন গোলাম রব্বানী। তাকে দ্রুত পাশের একটি হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তৃপক্ষ ফিরিয়ে দেন। পরে সেখান থেকে শ্যামলির একটি হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে মরদেহ কুড়িগ্রাম নিয়ে আসে রাসেল ইসলাম।গত শনিবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাত সাড়ে ৯টার দিকে মরদেহ নিয়ে আসা হয় নাগেশ্বরীতে। রোববার (২১ জুলাই) সকাল ৯টায় জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।  
কুড়িগ্রামে স্বেচ্ছাসেবক লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
সারাদেশের ন্যায় কুড়িগ্রামেও যথাযোগ্য মর্যাদায় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগের ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়েছে।  মিলাদ মাহফিল, দোয়া ও আলোচনা সভার মধ্য দিয়ে শনিবার (২৭ জুলাই) দুপুরে শহরের শাপলা চত্বরের কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার আয়োজনে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।  এ সময় বাংলাদেশ স্বেচ্ছাসেবকলীগ কুড়িগ্রাম জেলা শাখার সভাপতি সহকারি অধ্যাপক মো. আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম তাজ, সাংগঠনিক সম্পাদক শাহ আলম লালন, মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন সোহান, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন রনি প্রমুখ। অনুষ্ঠান শেষে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে এবং সাম্প্রতিক সহিংসতায় নিহতদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত, আহতদের জন্য বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।