• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১
logo
সীমান্তে ভারতীয় নাগরিক আটক
সোনাহাট সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের পতাকা বৈঠক
কুড়িগ্রামের ভুরুঙ্গামারীর সোনাহাট সীমান্তে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।  এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে বিজিবি।  বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট সীমান্তের আন্তর্জাতিক মেইন পিলার ১০০৯ এর নিকটবর্তী ভারতীয় অংশে সোনাহাট এলসিএস নামক স্থানে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় সৌজন্য পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন কুড়িগ্রাম ব্যাটালিয়ন (২২ বিজিবি) এর অধিনায়ক লেফটেনেন্ট কর্নেল মুহাম্মদ মাসুদুর রহমান ও বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট সুনিল সৈবাম, ৩১ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট অজয় কুমার সিং এবং ৪৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ড্যান্ট অজিত কুমার।  পতাকা বৈঠকে উভয় কমান্ডাররা কুশল বিনিময় শেষে বিএসএফের কমান্ডারের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে হিন্দু সম্প্রদায়ের লোক যাতে ভুল বোঝাবুঝির মাধ্যমে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে না পারে এ ব্যাপারে নজরদারি রাখার জন্য জানানো হয়।  এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম ২২ বিজিবির অধিনায়ক মো. মাসুদুর রহমান বলেন, সীমান্তে বিজিবি সার্বক্ষণিক নজরদারি অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়াও সীমান্তে গুলি, হত্যাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উভয়ের মধ্যে আলোচনা এবং দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখার সম্মতি জানানো হয়।
কুড়িগ্রামে নেশার টাকা না পেয়ে যুবকের আত্মহত্যা 
নদের ভাঙনে কবর বিলীন, দাফনের ৮ বছর পর মিলল অক্ষত মরদেহ
দাফনের ৪৪ দিন পর কবর থেকে মরদেহ উত্তোলন 
সোনাহাট স্থলবন্দরে ৯ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৭ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ তার পরিবারের সাত জন অচেতন হয়ে পড়লে শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাদের কুড়িগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।  অসুস্থ অন্যরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মা মজিরন বেওয়া, স্ত্রী চায়না বেগম, কন্যা আখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা, ছকিনা বেগম। ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুধবার (৬ মার্চ) সকালে বাড়িতে খাবার খেয়ে চেয়ারম্যান ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। এ সময় বাড়ির সকলকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা যায়। আজ সকাল থেকে সবার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কেউ সারাদিন ঘুমে অচেতন আবার কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। চেয়ারম্যানও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কথা বলতে পারলেও চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। একা হাটতেও পারছেন না। সন্ধ্যায় অসুস্থ সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। এখানে বাড়ির ভিতরে কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকলেই অসুস্থ্যবোধ করছেন। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চেতনানাশক ছিটিয়েছেন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম সায়েম জানান, খবর পাওয়া মাত্র তাদেরকে হাসপাতালে আনতে এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে থাকতে পারে অথবা ঘরে চেতনা নাশক ছিটাতে পারে।  কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার
কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিতে গিয়ে বাসচাপায় মারা গেছেন মফিজ উদ্দিন (৪০) নামের এক ব্যক্তি। ঘটনার পর পরই রাস্তা অবরোধ করেন স্থানীয়রা। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে অবরোধকারীদের বিচারের আশ্বাস দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নাগেশ্বরী উপজেলার ভুরুঙ্গামারী-কুড়িগ্রাম মহাসড়কের পাথারি মসজিদ এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মফিজ উদ্দিন উপজেলার সন্তোষপুর ইউনিয়নের ধরকার কুটি গ্রামের বাসিন্দা।   স্থানীয়রা জানান, উপজেলার মাদিনাতুল উলুম ক্যাডেট মাদরাসাছাত্র নিহত মফিজ উদ্দিনের ছেলে। সকালে মফিজ উদ্দিন ছেলের জন্য খাবার দিতে মাদরাসাতে যান। পরে বাড়ি ফেরার পথে ভুরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী একটি বাসের চাপায় তিনি ঘটনাস্থলে নিহত হন। এ দিকে দুর্ঘটনার পরপরই বেলা ১১টা পর্যন্ত সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে প্রতিবাদ করেন এলাকাবাসী। খবর পেয়ে নাগেশ্বরী থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে যান চলাচল স্বাভাবিক করেন।  নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুপ কুমার সরকার ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কুড়িগ্রামে ভটভটির ধাক্কায় নিহত ২
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে ভটভটির ধাক্কায় বৃদ্ধসহ ২ জন নিহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ৪টার দিকে উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের কোম্পানি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন__পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা গ্রামের মৃত নাদু তেলির ছেলে আলহাজ্ব আইজুদ্দিন (৮০) ও ভূরুঙ্গামারী সদর ইউনিয়নের নলেয়া গ্রামের জহুরুল ইসলামের ছেলে রুবেল মিয়া (১৭)। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে আইজুদ্দিন নামের ওই বয়স্ক ব্যক্তি ভূরুঙ্গামারী-সোনাহাট স্থলবন্দর গামী সড়কের একপাশ থেকে অপর-পাশে পার হওয়ার সময় ভূরুঙ্গামারী থেকে ছেড়ে আসা একটি তিন চাকার ভটভটির সাথে ধাক্কা লাগে। এসময় তিনি মারাত্মক ভাবে আহত হন। এ ঘটনায় ভটভটিতে থাকা চালকের ছেলে রুবেল মিয়া ভটভটি থেকে ছিটকে নিচে পড়ে যান। ভটভটির চাকায় তার দুপা থেতলে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত দুজনকে উদ্ধার করে ভূরুঙ্গামারী সদর হাসপাতালে পাঠান। আহতদের অবস্থার অবনতি হলে সন্ধ্যার দিকে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরণ করা হয়। পৃথক পৃথক এ্যাম্বুলেন্সে রংপুর যাওয়ার পথে রাত ৮ টার দিকে তাদের মৃত্যু হয়। ভূরুঙ্গামারী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এ বিষয়ে এখনো কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 
নসিমন-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, বাবা-ছেলের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে ঘন কুয়াশার কারণে নসিমন ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল আরোহী বাবা-ছেলে নিহত হয়েছেন। রোববার (২১ জানুয়ারি) সকাল ৮টার দিকে ভূরুঙ্গামারী সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের পাটেশ্বরীর তালতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা হলেন- কচাকাটা থানার কেদার ইউনিয়নের সরকারটারি গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে শহিদুল ইসলাম (৪৮) ও শহিদুলের ছেলে বিপ্লব (২৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, ভুরুঙ্গামারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন। তিনি বলেন, সোনাহাটে নসিমন ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে দুজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছেছে। মরদেহ দুটি হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে স্বজনদের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে। 
কুড়িগ্রামের ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কে ট্রাকচাপায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছে। অপর আরোহী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। শনিবার (১৩ জানুয়ারী) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সোনাহাট স্থলবন্দর সড়কের ঘুন্টিঘরে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত কিশোর বিপুল মিয়া (১৫) বঙ্গসোনাহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ ভরতের ছড়া লক্ষ্মীমোড় গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলে। আহত যুবক রাঙ্গা মিয়া (১৮) একই গ্রামের সোবহান আলীর ছেলে।  স্থানীয় ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর আলম হ্যাপি জানান, সোনাহাট স্থলবন্দর থেকে ছেড়ে আসা পাথরবোঝাই একটি ট্রাক ভূরুঙ্গামারী দিকে যাচ্ছিল। একই দিক থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে আসা দুজন চলন্ত ট্রাকটিকে কাটিয়ে সামনে আসার চেষ্টা করে। এ সময় ট্রাকটি মোটরসাইকেলের পেছনে ধাক্কা দিলে বিপুল মিয়া ট্রাকের নিচে পড়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। অপরদিকে গুরুতর আহত হয় রাঙ্গা মিয়া। পরে রাঙ্গা মিয়াকে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়।  স্থানীয়রা ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাকটি আটক করলেও চালক কৌশলে পালিয়ে যায়। পরে পুলিশ ট্রাকটি থানা হেফাজতে নেয়। ভূরুঙ্গামারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রুহুল আমিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। নিহতের মরদেহ স্বজনরা বাড়িতে নিয়ে গেছেন। ঘাতক ট্রাকটি পুলিশের হেফাজতে রয়েছে।
ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। দুদিন থেকে কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থাকছে চারদিক। সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন। শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। শিশু বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত রোগে।  সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুদিন থেকে জেলায় সন্ধ্যা নামলেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। রাতভর থাকে তীব্র শীতের প্রকোপ। সকালে কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরে নাজেহাল হয়ে পড়েছে দিন মুজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশায় চলতি ইরি মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। শ্রমিক আমিনুর ইসলাম জানান, শীত আর কুয়াশা থাকায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। অনেকটা বেলা হওয়ার পর তাদের কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়বে এ জেলায়।