• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
সোনাহাট স্থলবন্দরে ৯ দিন বন্ধ থাকবে আমদানি-রপ্তানি
কুড়িগ্রামে একই পরিবারের ৭ জন অচেতন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি
কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকসহ তার পরিবারের সাত জন অচেতন হয়ে পড়লে শুক্রবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় চিকিৎসার জন্য তাদের কুড়িগ্রাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।  অসুস্থ অন্যরা হলেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মা মজিরন বেওয়া, স্ত্রী চায়না বেগম, কন্যা আখি ও তিন বোন শাহেদা, শাহেরা, ছকিনা বেগম। ইউপি সদস্য আব্দুর রাজ্জাক জানান, বুধবার (৬ মার্চ) সকালে বাড়িতে খাবার খেয়ে চেয়ারম্যান ভূরুঙ্গামারীতে যান। সেখানে দুপুরের দিকে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে কুড়িগ্রামে নিয়ে চিকিৎসা করানো হয়। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে তাকে বাড়িতে আনা হয়। এ সময় বাড়ির সকলকে অসুস্থ অবস্থায় দেখা যায়। আজ সকাল থেকে সবার অবস্থা খারাপ হতে থাকে। কেউ সারাদিন ঘুমে অচেতন আবার কেউ চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। চেয়ারম্যানও আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি কথা বলতে পারলেও চোখ খুলে তাকাতে পারছেন না। একা হাটতেও পারছেন না। সন্ধ্যায় অসুস্থ সবাইকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।   কেদার মহিলা মহাবিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ হাফিজুর মন্ডল জানান, খবর পেয়ে আমরা পরিস্থিতি দেখতে এসেছি। এখানে বাড়ির ভিতরে কেউ ১০ থেকে ১৫ মিনিট থাকলেই অসুস্থ্যবোধ করছেন। হয়তো কেউ অসৎ উদ্দেশ্যে চেতনানাশক ছিটিয়েছেন। ভূরুঙ্গামারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এএসএম সায়েম জানান, খবর পাওয়া মাত্র তাদেরকে হাসপাতালে আনতে এম্বুলেন্স পাঠানো হয়েছে। চিকিৎসা দিলেই তারা সুস্থ হয়ে যাবেন। প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়ে থাকতে পারে অথবা ঘরে চেতনা নাশক ছিটাতে পারে।  কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বিশ্বদেব রায় জানান, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ধারণা করা হচ্ছে চুরির উদ্দেশ্যে কেউ খাবারের সঙ্গে চেতনানাশক মিশিয়েছে। বিষয়টি তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
মাদরাসা পড়ুয়া ছেলেকে খাবার দিতে গিয়ে প্রাণ গেল বাবার
কুড়িগ্রামে ভটভটির ধাক্কায় নিহত ২
নসিমন-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, বাবা-ছেলের মৃত্যু
কুড়িগ্রামের ট্রাকচাপায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত কুড়িগ্রাম
ঘন কুয়াশা আর হিমেল হাওয়ায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে কুড়িগ্রামের মানুষ। দুদিন থেকে কুড়িগ্রামে ঘন কুয়াশায় সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকা থাকছে চারদিক। সঙ্গে বইছে উত্তরের হিমেল হাওয়া। ফলে শীতের তীব্রতা অনুভূত হচ্ছে এ জেলায়। কুয়াশার কারণে দিনের বেলাতেও হেডলাইট জ্বালিয়ে সড়কে চলছে যানবাহন। শীত বাড়ায় দুর্ভোগে পড়েছে খেটে খাওয়া শ্রমজীবী মানুষ। শিশু বৃদ্ধরা আক্রান্ত হচ্ছে শীতজনিত রোগে।  সোমবার (১ জানুয়ারি) ভোর ৬টায় এ জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। দুদিন থেকে জেলায় সন্ধ্যা নামলেই কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। রাতভর থাকে তীব্র শীতের প্রকোপ। সকালে কুয়াশা আর বৃষ্টির মতো ঝরে পড়া শিশিরে নাজেহাল হয়ে পড়েছে দিন মুজুর শ্রেণির মানুষ। ঘন কুয়াশায় চলতি ইরি মৌসুমের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। শ্রমিক আমিনুর ইসলাম জানান, শীত আর কুয়াশা থাকায় সকাল সকাল কাজে যোগ দিতে পারছেন না তারা। অনেকটা বেলা হওয়ার পর তাদের কাজে যোগ দিতে হচ্ছে। কুড়িগ্রামের রাজারহাট আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুবল চন্দ্র সরকার জানান, এখন প্রতিদিন তাপমাত্রা কমে আসবে এবং ঘন কুয়াশার সঙ্গে শীতের তীব্রতা বাড়বে এ জেলায়।