• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
গরু বোঝাই ভটভটি উল্টে ব্যবসায়ীর মৃত্যু
কামালপুর স্থলবন্দরে ৩ মাস ধরে আমদানি বন্ধ, বেকার ৬ হাজার শ্রমিক 
নানা সমস্যার কারণে জামালপুরের বকশীগঞ্জের ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়েছে। তিন মাস ধরে এই বন্দর দিয়ে আমদানি বন্ধ থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন প্রায় ৬ হাজার পাথর ভাঙা শ্রমিক। ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন বন্দরের ব্যবসায়ী ও শ্রমজীবীরা। এ দিকে বন্দরের কার্যক্রম না থাকায় রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। অবিলম্বে আলোচনা করে বন্দরের কার্যক্রম চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রশাসন।  খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভারতের মেঘালয় রাজ্য ঘেষা জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর সীমান্তে লোকাল কাস্টমস (এলসি) স্টেশনটি চালু হয় ১৯৭৪ সালে। ২০১৫ সালের ২১ মে সালে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপ নেয় ধানুয়া কামালপুর এলসি স্টেশন। ধানুয়া কামালপুর বন্দর প্রতিষ্ঠার পর থেকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে বন্দরের কার্যক্রম। বর্তমানে ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন চালুর লক্ষ্যে প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে অবকাঠামো নির্মাণ করা হয়েছে। এই বন্দর দিয়ে ৩৪ প্রকারের পণ্য আমদানির সুযোগ থাকলেও বর্তমানে শুধুমাত্র পাথর আমদানি করা হয়। কিন্তু নানা কারণে এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানিও বন্ধ রয়েছে। অতিরিক্ত শুল্ক আদায়, বন্দরে অতিরিক্ত চার্জ আদায়, ভারতের পাথরের মূল্য বেশি হওয়া, ব্যবসায়ীদের সুবিধামত পাথর আমদানি সুযোগ না দেওয়াসহ নানা সমস্যার কারণে তিন মাস ধরে বন্ধ রয়েছে ভারতীয় পাথর আমদানি। এই বন্দরের শুল্ক বিভাগ যেখানে বছরে ১০ কোটি টাকার রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে সেখানে চলতি অর্থ বছরে এখন পর্যন্ত এক টাকাও রাজস্ব আদায় হয়নি এই বন্দরে।  পাথর ব্যবসায়ীরা জানান, পার্শ্ববর্তী কুড়িগ্রামের রৌমারী বন্দরে ওয়ে ব্রীজ না থাকায় স্কেল দিয়ে পাথর পরিমাপ করা হয়। ফলে ব্যবসায়ীরা সেখান থেকে পাথর আমদানি করে থাকে বেশি লাভবান হচ্ছে। আমাদের এখানে ওয়ে ব্রিজের মাধ্যমে পাথর পরিমাপ করার ফলে অতিরিক্ত শুল্ক আদায় করা হয়। যেকারণে ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন। একই সঙ্গে শুল্ক কর্মকর্তা ও বন্দরের কর্মকর্তাদের অসহযোগিতা মনোভাবের কারণেও ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি বন্ধ রেখেছেন। তাদের দাবি বন্দরের কর্মকর্তারা রৌমারী বন্দরসহ পাশাপাশি অন্যান্য বন্দরের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আঁতাত করে ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরকে কোনঠাসা করে রেখেছেন। ফলে সম্ভাবনাময় এই বন্দরে আমদানি-রপ্তানিতে ভাটা পড়েছে।  এ দিকে তিন মাস ধরে এই বন্দর দিয়ে পাথর আমদানি বন্ধ থাকায় খাঁ খাঁ করছে পুরো বন্দর। বন্দরে পড়ে রয়েছে পাথর ভাঙার ক্রাশার মেশিনগুলো। এতে করে বেকার হয়ে পড়েছেন প্রায় ৬ হাজার পাথর ভাঙা শ্রমিক। নিয়মিত পাথর আমদানি হলে নিজ এলাকাতেই কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো এসব শ্রমিক। বন্দর পাথর শূন্য থাকায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন শ্রমিক ও তাদের পরিবার। পাথর ভাঙা শ্রমিকদের দাবি দ্রুত বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হোক। বন্দরের পাথর ভাঙার শ্রমিকরা জানান, তারা বর্তমানে বেকার অবস্থায় রয়েছেন। পাথর আমদানি না থাকায় আমরা কাজ করতে পারছি না। এ কারণে আমাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে। দ্রুত এর সমাধান না হলে পেশা ছেড়ে অন্যত্র যেতে হবে আমাদের।  ধানুয়া কামালপুর বন্দরের শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা সঞ্জয় কুমার দাস বলেন, সম্প্রতি ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিস্থিতি ও ভারতের অভ্যন্তরের রাস্তাঘাটের সমস্যা ও দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমদানি বন্ধ রয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীরা পাথর আমদানি করে লাভের মুখ না দেখায় তারা আমদানি করছেন না। তবে তারা পাথর আনা শুরু করলে আমাদের পক্ষ থেকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করা হবে।  ধানুয়া কামালপুর স্থল বন্দরের ট্রাফিব ইন্সপেক্টর মো. জাবেদুল্লাহ বলেন, আমদানি নেই তবে এই বন্দরের কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। আমদানি-রপ্তানিকারক চাইলেই যেকোন সময় পাথরসহ ৩৪টি পণ্য আমদানি করতে পারেন। এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত বলেন, ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দরের চলমান সমস্যা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক কমিটির সভায় আলোচনা হয়েছে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে। জামালপুরের একমাত্র স্থলবন্দর ধানুয়া কামালপুর স্থলবন্দর।  অপার সম্ভাবনাময় এই বন্দরের কার্যক্রম জোরদার করা, রাজস্ব আদায় বৃদ্ধি করা ও স্থানীয় বেকার শ্রমিকদের পুনরায় কর্মের সুযোগ তৈরি করা ও দ্রুত পাথর আমদানি করতে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে এখনই উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন ব্যবসায়ী, শ্রমিক ও সচেতন মহল। 
জামালপুরে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
দেওয়ানগঞ্জে পুকুর থেকে এক ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার
হামলা-ভাঙচুরের ঘটনায় ২ আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
বকশীগঞ্জ সীমান্ত থেকে গভীর রাতে ২১ বাংলাদেশিকে আটক  
বকশীগঞ্জবাসীকে অভয় দিলেন মেজর সারোয়ার মোর্শেদ
জামালপুরের বকশীগঞ্জে চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতিবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ওই সভায় বকশীগঞ্জবাসীকে অভয় দিয়ে তাদের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা করার অনুরোধ করেন বকশীগঞ্জে দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সারোয়ার মোর্শেদ।  উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে শুক্রবার (৯ আগস্ট) বিকালে উপজেলা মডেল মসজিদ মিলনায়তনে ওই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় চলমান পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন সেনাবাহিনীর বকশীগঞ্জ ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মোহাম্মদ সারোয়ার মোর্শেদ। তিনি পুলিশের কার্যক্রমে সকল নাগরিককে সহযোগিতা করার আহ্বান জানান। চলমান আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের প্রশংসা করে মেজর মোহাম্মদ সারোয়ার মোর্শেদ বলেন, শিক্ষার্থীরা অসম্ভব কাজকে সম্ভব করেছেন। এ সময় বকশীগঞ্জের শান্তি প্রিয় মানুষের সহযোগিতা কামনা করেন মেজর মোর্শেদ। সভায় সভাপতিত্ব করেন বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) অহনা জিন্নাত। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মওলানা শাহজালাল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আসমা উল হুসনা, সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সিদ্ধেসর সাহা, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আজিজুল হক, বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান তালুকদার, উপজেলা জামায়াতের আমির মওলানা আদেল ইবনে আউয়াল, উপজেলা বণিক সমিতির সদস্য সচিব শাকিল তালুকদার, উপজেলা বাস মালিক সমিতির সাধারণ আবদুল কাইয়ুম, স্কাউট প্রতিনিধি ফরহাদ হোসেনসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী, শিক্ষার্থীবৃন্দ, সুধীজন ও বিভিন্ন রাজনতিক দলের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।  
প্রেমিকা আসায় বিয়ের আসর থেকে পালালেন পুলিশ সদস্য
বিয়ের পিঁড়িতে বসতে যাচ্ছেন পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদ (২৫)। ইতোমধ্যে বিয়ের সকল আয়োজন শেষ। এ খবর পেয়ে বরযাত্রার আগ মুহূর্তে রাসেলের বাড়িতে হাজির হন তার প্রেমিকা। এ সময় বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান রাসেল, পণ্ড হয়ে যায় বিয়ের আয়োজন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বেলা ১০টার দিকে জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঝাউগড়া ইউনিয়নের মানকি নয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনাটি ঘটে। প্রেমিকা সুইটি আক্তার এখনও ওই বাড়িতেই অবস্থান করছেন।  প্রেমিক পুলিশ সদস্য রাসেল ওই এলাকার আমির হামজার ছেলে। তিনি বর্তমানে নেত্রকোনা জেলার পুলিশ লাইন্সে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে‌। প্রেমিকা সুইটি আক্তারের বাড়ি একই জেলার মাদারগঞ্জ উপজেলার গুনারীতলা ইউনিয়নের জাঙ্গালিয়া এলাকায়। স্থানীয়রা জানান, মেলান্দহ উপজেলার মাহমুর এলাকায় বিয়ে ঠিক হয় পুলিশ সদস্য রাসেলের। গতকাল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান সম্পূর্ণ হয়েছে। এ খবর পেয়ে আজ সকালে প্রেমিক রাসলের বাড়িতে প্রেমিকা সুইটি আক্তার চলে আসেন। বাড়ির সামনের রাস্তায় প্রেমিকা সুইটি আক্তার ও প্রেমিক পুলিশ সদস্যের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। প্রেমিক রাসেল যেদিকে যায় প্রেমিকাও সেদিকে যায়। প্রেমিকা বারবার বলছেন আমাকে বিয়ে না করলে আমি এখানেই আত্মহত্যা করব। একপর্যায়ে রাসেলের বাড়ির ভেতরে ঢুকেন তারা। এ সময় প্রেমিক পুলিশ কৌশলে বাড়ির পেছন দিয়ে পালিয়ে যান। পরে পুলিশ সদস্যের পরিবারের লোকজন প্রেমিকা সুইটি আক্তারকে তাদের বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে বাড়ি থেকে বের করে দিতে ব্যর্থ হন। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। জানা যায়, কয়েকদিন আগে গোপনে পুলিশ সদস্য রাসেল মাহমুদের বিয়ে ঠিক হয়। বিয়েতে ৮ লাখ টাকা যৌতুকও দেওয়ার কথা হয়। এরমধ্যে যৌতুকের কিছু টাকা ছেলের পরিবারকে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বরযাত্রা নিয়ে যাওয়ার কথা। সেই মূহূর্তে প্রেমিকের বাড়িতে হাজির হন প্রেমিকা সুইটি আক্তার। এতেই বিয়ের সকল আয়োজন মুহূর্তেই পণ্ড হয়ে যায়। সুইটি আক্তার বলেন, প্রায় দেড় বছর আগে বিয়ের জন্য পারিবারিকভাবে আমাকে দেখত বাড়িতে যায় রাসেল। ওই সময় মোবাইল নাম্বার নেন তিনি। তার কিছুদিন পরে মোবাইল ফোনে আমাদের যোগাযোগ হয়। এক পর্যায়ে আমাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। এরপর থেকে আমাদের সম্পর্ক চলছিল। সম্পর্ক চলাকালীন জামালপুর শহরে বেশ কয়েকবার দেখা হয়েছে। আমাদের বাড়িতে গিয়েছিল। আমার পরিবারের সবার সাথেই পরিচিত। আমিও তাদের পরিবারের সবার সাথেই মোবাইলে অনেকবার কথা বলেছি। বিয়ে করার আশ্বাস দিয়ে দেখা করেছে বারবার। রাসেল কাল আমাকে রাতে ফোন দিয়ে বিয়ে ঠিক হইছে বলে জানান এবং আমাকে বাড়িতে আসতে বলেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) বাড়িতে আসলে রাসেল পালিয়ে যায়। এ অবস্থায় আমার তো আর বাড়িতে ফিরে যাওয়ার কোন উপায় নেই। আমাকে এখানেই থাকতে হবে। আমাকে বিয়ে না করলে আত্মহত্যা করা ছাড়া আমার কোনো উপায় নেই।' এ বিষয়ে ছেলের বাবা আমির হামজা বলেন, জোর করেই আমাদের বাড়িতে উঠেছে। তার সাথে আমার ছেলের কোনো প্রেমের সম্পর্ক নাই। মেলান্দহ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মদন সিংহ বলেন, আমি ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। মেয়ে এবং ছেলের পরিবারের সাথে কথা বলেছি। ছেলের পরিবার অস্বীকৃতি জানিয়েছে। মেয়েকে আইনি সহায়তার জন্য থানায় যেতে বলা হয়েছে।
গরুর লাম্পি ভাইরাসে আতঙ্কিত জামালপুরের খামারিরা
জামালপুরের বিভিন্ন এলাকায় ছড়িয়ে পড়েছে গরুর স্কিন ডিজিজ লাম্পি ভাইরাস। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন প্রান্তিক এলাকার ছোট ছোট খামারে। মঙ্গলবার (৩০ জুলাই) লাম্পি ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন। তবে এতে আতঙ্কের কিছু নেই জানিয়ে তিনি বলেন, গরুর বাড়তি পরিচর্যাসহ চিকিৎসকের পরামর্শ নিলেই সেরে যাবে এই ভাইরাস।   সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, জেলার সাতটি উপজেলাতেই লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হচ্ছে গরু। এ ভাইরাস দ্রুত জেলাজুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। লাম্পি ভাইরাসে আক্রান্ত হলে গরুর বেঁচে যাওয়ার সম্ভবনা খুবই কম থাকে। তবে এ ভাইরাসে ছোট গরুই বেশি আক্রান্ত হয়। আক্রান্ত গরুর প্রথমেই ১০৬ থেকে ১০৭ ডিগ্রি জ্বর হয় এবং চামড়ার নিচে ফুলে গুটি হয়। পরে সেই গুটি পেকে বা গলে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। সেই ক্ষত আস্তে আস্তে বড় হয়। এই ক্ষত থেকেই গরু মারা যায়।   সদর ও ইসলামপুর উপজেলার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, গরুর শরীরে চামড়ার নিচে ছোট ছোট ফোলা গুটি। শরীরে হাত দিয়ে দেখা যায় তাপমাত্রাও অনেক। রোদে ও গরমে গরু হাঁসফাঁস করছে। আক্রান্ত গরু খাবার খাচ্ছে খুব কম।   এ বিষয়ে কয়েকজন খামারি বলেন, গ্রামের কৃষক বা গৃহস্থ সবার ঘরে কম-বেশি গরু থাকে। আর এসব গরুর লালন পালন নারীরাই করে থাকেন। ওইসব প্রান্তিক নারীরা একটি বা দুটি গরু পালন করে পরিবারের আর্থিক স্বচ্ছলতা আনার চেষ্টা করেন। এ অবস্থার মধ্যে হঠাৎ করে গরুর লাম্পি ভাইরাস রোগ দেখা দিয়েছে। বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতিনিয়ত ছোট ছোট বাছুর এই রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। ভাইরাসজনিত এই রোগের এমন সংক্রমণে গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ছোট-বড় প্রান্তিক খামারিরা। এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মো. সানোয়ার হোসেন বলেন, ‘মানুষকে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ ভাইরাসে গরু আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। চিকিৎসকের পরামর্শে গরুর বাড়তি পরিচর্যা করলেই লাম্পি ভাইরাস সেরে যাবে।’
সড়কের পাশে পড়ে ছিল যুবকের মরদেহ
জামালপুর-সরিষাবাড়ি সড়কের পাশ থেকে অজ্ঞাত পরিচয়ে এক যুবকের (২৫) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।  সোমবার (২৯ জুলাই) সকাল ৯টায় সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নে স্লুইচগেট মোড়ে সড়কের পাশ থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন জামালপুর সদর থানার ওসি মহব্বত কবির। স্থানীয়রা জানান, সকালে এলাকার লোকজন সড়কের পাশে এক যুবকের মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের পরনে একটি সাদা রঙের পায়জামা ছিল। এ বিষয়ে ওসি মহব্বত কবির বলেন, সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের জামালপুর-সরিষাবাড়ি সড়কের পাশে অজ্ঞাত এক যুবকের মরদেহ দেখে এলাকার লোকজন খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করেছে। তিনি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। তার পরিচয় শনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। তদন্তের পর হত্যার বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারবো। এ ব্যাপারে সদর থানায় মামলা নেওয়া হবে। পরিচয় নিশ্চিত হলে পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনে যোগ দিয়ে ছাত্রলীগ নেতার পদত্যাগ
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে সানন্দবাড়ী সাংগঠনিক থানা ছাত্রলীগের উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক মো. ওমর ফারুক আকন্দ কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে পদত্যাগ করেছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) রাত ৯ টার দিকে নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট দিয়ে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করেন।  মো. ওমর ফারুক ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘আমি মো. ওমর ফারুক আকন্দ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সানন্দবাড়ী সাংগঠনিক থানা শাখার ‘উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদক’ পদ থেকে পদত্যাগ করছি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের (কোটা সংস্কার আন্দোলন) সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি। আমার ভাইয়ের রক্ত, বৃথা যেতে দেবো না।’ তিনি বলেন, ‘চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রলীগের ভূমিকা আমার কাছে দুঃখজনক মনে হয়েছে। যে ছাত্রলীগের নীতি আর আদর্শ দেখে ছাত্রলীগে যুক্ত হয়েছিলাম, সেই ছাত্রলীগের সঙ্গে বর্তমান ছাত্রলীগের আদর্শের মিল না থাকায় আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছি। চলাচল কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করেছি।’  এ প্রসঙ্গে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি খাবীরুল ইসলাম খান বাবু বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ খবর নিয়ে বলতে পারব।’  
বন্যার পানিতে গোসল, ৪ জনের মৃত্যু 
জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ বালুচর এলাকায় বন্যার পানিতে গোসল করতে নেমে চারজন মারা গেছেন।  রোববার (১৪ জুলাই) বিকেল ৫টায় এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মেলান্দহ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজু আহমেদ। নিহতরা হলেন- দক্ষিণ বালুচর এলাকার দিশা আক্তার (১৭), সাদিয়া (১০), খাদিজা (১০) ও রোকশানা (২৫)। স্থানীয়রা জানান, রোববার বিকেলে দক্ষিণ বালুচর এলাকার পাশাপাশি বাড়ির তিন শিশু, এক কিশোরী ও এক গৃহবধূ ফসলি জমিতে বন্যার পানিতে গোসল করতে যান। গোসল করার একপর্যায়ে হঠাৎ করেই চারজন পানিতে তলিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় দূরে থাকা এক কিশোরী তাদের তলিয়ে যাওয়া দেখে দৌড়ে বাড়িতে এসে খবর দেন। খবর পেয়ে লোকজন গিয়ে দেখেন মরদেহ পানিতে ভেসে উঠেছে। এ সময় বেঁচে ফেরেন মারিয়া (১২) নামের এক শিশু। স্থানীয়দের বরাতে ওসি রাজু বলেন, ‘এলাকার লোকজন বলছেন, অল্প পানিতেই সবাই গোসল করতে গিয়েছিল। এই পানিতে ডুবে মারা যাওয়ার ঘটনাতে সবাই হতবাক। এর মধ্যে আগামী শুক্রবার দিশার বিয়ে হওয়ার কথা ছিল।’ এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য আজাদ আলী বলেন, ‘দুপুরে এমন খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। এমন ঘটনায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।’