• ঢাকা রোববার, ০৫ মে ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১
logo
পাথরঘাটায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একজন হাফেজের মৃত্যু
বরগুনার তালতলীতে মায়ের সঙ্গে শিমুল তুলা পাড়তে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে হাফেজ মো. নাজমুল হাসান (১৯) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের ছোট ভাইজোড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. নাজমুল হাসান একই গ্রামের মো. হক ইসলাম আকনের ছেলে। তিনি কোরআনের হাফেজ ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার বিকালে তার মায়ের সঙ্গে বাঁশের কঞ্চি নিয়ে শিমুল তুলা পাড়তে গাছে ওঠেন মো. নাজমুল হাসান। এই গাছের পাশ দিয়ে পল্লী বিদ্যুতের সঞ্চালন লাইন টানা ছিল। নাজমুল গাছের ডালে উঠে তুলা পাড়ার সময় অসাবধানতাবশত তার হাতে থাকা বাঁশের কঞ্চিটি পল্লী বিদ্যুতের একটি তারে লেগে যায়। আর সেসময় বিদ্যুতায়িত হয়ে তুলাগাছ থেকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। পরে তার মা চিৎকার করলে স্বজনরা এসে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। নিহতের ভাই মো. ওমর হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার ভাই বিকালে মায়ের সঙ্গে বাঁশের কঞ্চি নিয়ে গাছ থেকে তুলা পাড়তে যায়। এ সময় বাঁশের কঞ্চি পল্লী বিদ্যুতের তারের সঙ্গে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নাজমুল। পরে হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন চিকিৎসক। তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় মরদেহ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
পাথরঘাটায় নিখোঁজ হওয়া জেলের মরদেহ উদ্ধার 
বিষখালী নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান, জেলে নিখোঁজ
ছাত্রলীগ নেতার অন্তরঙ্গ ভিডিও ভাইরাল, কমিটি বিলুপ্ত
পাথরঘাটায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১ : বরগুনায় চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কারাগারে ৫
বরগুনার আমতলীতে চাঞ্চল্যকর হিরন গাজী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ৬৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ থেকে ৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাছলিমা বেগম।  মামলার এজাহারভুক্ত প্রধান আসামি চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের আগে হিরন জানতে পারেন নয়ন মৃধা তার সমর্থকদের নিয়ে পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভোট কেনার জন্য টাকা বিতরণ করছেন। এই তথ্য জানার পরে তাদের বাধা দিতে বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হিরন বের হন। তার সঙ্গে আরও ১০ থেকে ১২ জন গিয়েছিলেন। প্রতিপক্ষের লোকজন হিরনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে এবং ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।   শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় নিহতের স্ত্রী তাছলিমা বেগম বাদী হয়ে অটোরিকশা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ আরও ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৫০-৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি দেখিয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর বৃহস্পতিবার রাতে মামলার প্রধান আসামি আবুল বাশার নয়ন মৃধা, সন্দেহভাজন সোহাগ প্যাদা, মাহবুব, গোলাম কিবরিয়া ও মেহেদি নামে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করে পুলিশ। নিহত হিরন গাজীর স্ত্রী তাসলিমা বেগম বলেন, ‘মোর স্বামীরে আবুল বাশার নয়ন মৃধা তার ভাই এ জেড এম ছালেহ পান্নু মৃধা ও আবুল কালাম আজাদের নেতৃত্বে খুন করা হয়েছে। আমি এই খুনের কঠিন বিচার চাই।’ আমতলী থানার ওসি কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, হিরন গাজী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ১৬ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০ থেকে ৬০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে তার স্ত্রী বৃহস্পতিবার দুপুরে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এ মামলায় প্রধান আসামি আবুল বাশার নয়ন মৃধাসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে শুক্রবার সকালে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে। উল্লেখ্য, আগামী ২৮ এপ্রিল আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 
ধাওয়া খেয়ে পায়রা নদীতে হরিণের ঝাঁপ, অতঃপর...
বরগুনা সদর উপজেলার বালিয়াতলীতে স্থানীয় মানুষের ধাওয়া খেয়ে প্রাণ বাঁচাতে পায়রা নদীতে একটি হরিণ ঝাঁপ দিয়েছে বলে জানা গেছে। পরে হরিণটি তীরে যাওয়ার চেষ্টা করলে জেলেদের জালে আটক পড়ে। সেসময় জেলেরা হরিণটিকে তীরে নিয়ে আসলে স্থানীয় বন বিভাগের বিট অফিসের লোকজন গিয়ে হরিণটিকে উদ্ধার করেন। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে বাবুগঞ্জ তদন্তকেন্দ্রের পুলিশ পরিদর্শক মো. সাইফুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।  মো. সাইফুজ্জামান জানান, বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। পায়রা নদে ওই হরিণ জেলেদের জালে আটক পড়েছিল। পরে বন বিভাগের সদস্যরা হরিণটিকে উদ্ধার করেন। এ বিষয়ে বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, বাবুগঞ্জ বিট এলাকার বনে কোনো হরিণ নেই। চোরাকাবারিদের ধাওয়া খেয়ে পাথরঘাটার হরিণঘাটা বন থেকে হরিণটি বিষখালী নদীতে আসতে পারে। অথবা শিকারিদের কাছ থেকে ছুটে আসতে পারে হরিণটি। হরিণের বর্তমান অবস্থার কথা জানতে চাইলে বাবুগঞ্জ বিট কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান বলেন, উদ্ধার করা হরিণটি তালতলী উপজেলার টেংরাগিরি ইকোপার্কে অবমুক্ত করা হবে। হরিণটি সুস্থ আছে। তিনি আরও বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় জেলেরা হরিণটিকে উদ্ধার করে তীরে এনে স্থানীয় বাবুগঞ্জ পুলিশ ফাঁড়িতে জানান। তাদের কাছ থেকে খবর পেয়ে বাবুগঞ্জ বিট কার্যালয়ের কর্মীরা হরিণটিকে নিয়ে যান। সেখানে হরিণটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
বরগুনায় নির্বাচনী সহিংসতায় নিহত ১, আটক ৩
বরগুনার আমতলী উপজেলার আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনী সহিংসতায় ২ চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় হিরন গাজী (৫২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এতে জিজ্ঞাসাবাদের আটক করা হয়েছে ৩ জনকে। বুধবার (১০ এপ্রিল) রাত ১১টা থেকে সাড়ে ১১টার দিকে ইউনিয়নের পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদের আসন্ন নির্বাচনে হিরন গাজী চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার উদ্দীন মৃধার সমর্থক ছিলেন।   নিহত হিরন গাজীর বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগে মামলা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানায়। আমতলী থানা পুলিশ রাতেই তার মরদেহ উদ্ধার করেছে। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) সকালে ময়নাতদন্তের জন্য হিরন গাজীর মরদেহ বরগুনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।   এ বিষয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী মোতাহার মৃধা বলেন, বুধবার রাতে আমার কর্মীরা পূর্ব মহিষডাঙ্গা গ্রামে গণসংযোগ করার সময় প্রতিদ্বন্দ্বী নয়ন মৃধার নেতৃত্বে পান্নু মৃধা, সোহাগ প্যাদাসহ ৭-৮ জন আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় ছুরিকাঘাতে হিরন গাজী নামের আমার এক কর্মী নিহত হন। আমি হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবি জানাচ্ছি।    আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাখাওয়াত হোসেন তপু জানান, নির্বাচনী সহিংসতায় বুধবার রাতে হিরন গাজী নামে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। রাতেই লাশ উদ্ধার করে আজ সকালে মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। হিরন গাজী এলাকায় একজন চিহ্নিত অপরাধী ছিলেন।
পাথরঘাটা থানার ওসি প্রত্যাহার 
বরগুনার পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেনকে প্রত্যাহার করেছে নির্বাচন কমিশন। আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক করার স্বার্থে তাকে বরগুনা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করার জন্য বলা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মো. আশরাফুল আলমের স্বাক্ষরিত চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একটি প্রজ্ঞাপন সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য ও সুপারিশের ভিত্তিতে ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজনের লক্ষ্যে পাথরঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আনোয়ার হোসেনকে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের স্বার্থে প্রত্যাহার করে একজন উপযুক্ত কর্মকর্তা পদায়ন করার নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।  উল্লেখ্য, ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের কার্যক্রম চলছে। এবার দেশের ৪৮১টি উপজেলায় ভোট হবে চারটি ধাপে। প্রথম ধাপে ১৫২টি উপজেলায় ভোটগ্রহণ ৮ মে এবং দ্বিতীয় ধাপে ১৬১টি উপজেলায় ভোট হবে ২১ মে।
আসছে ঈদ, নদীতে মাছ না থাকায় হতাশ জেলেরা 
ইলিশের ভরা মৌসুমেও হাসি নেই বরগুনার পাথরঘাটার জেলেদের মুখে। একদিকে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদী বিষখালী-বলেশ্বর নদীতে নেই ইলিশ। আরেক দিকে ডাঙায় এনজিওর ঋণের চাপ। এ নিয়ে ঈদের আনন্দ সবার হৃদয়ে কড়া নাড়লেও জেলেদের রাজ্যের বিষাদ। নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় ঋণের জালে বন্দি হয়ে আছে ঈদের আনন্দ। শিশুদের গায়ে নতুন জামা উঠবে কিনা তা নিয়েই দুশ্চিন্তা। এ দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যয় বেড়েছে জেলেদের। এ কারণে ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন তারা। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট জেলে রয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার। এর মধ্যে সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১৬ হাজার ৮২০ জন। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রতি মাসে প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ১৬ হাজার ২২৮ জনের পরিবারকে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।  এ বিষয়ে কথা হয় জেলে মনির, ইলিয়াস, বেল্লাল হোসেন, ছরোয়ারের সঙ্গে। তারা বলেন, এক দিকে আবরোধ অন্যদিকে সাগরে নিম্নচাপ। এ দুয়ে মিলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অবরোধে মাছ ধরতে পারি না আবার নিম্নচাপের মধ্যে সাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। এর মধ্যে কিভাবে আমরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঈদ করবো ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে ইলিশ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানি না। তাই অন্য কাজ করতে চাইলে কেউ কাজ দিচ্ছে না। অশিক্ষিত হওয়ায় পেশার পরিবর্তন করতে পারছি না। আমাদের জালেতো ইলিশ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার মাছ ধরা পরে না। আমরা এখন দাদনের জন্য ট্রলার মালিকের কাছে গেলেও তারাও তাড়িয়ে দেন। এ বছরের ঈদ জেলেদের জন্য নয়।  বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় ইলিশের মৌসুম। কিন্তু এ বছর সেই শুরু থেকেই সাগর থেকে জেলেরা ইলিশ শূন্য হাতে ফিরে আসছেন। এবার ঈদকে সামনে রেখে ১০ থেকে ১২ দিন আগেই সাগরে পাঠানো হয়েছে ট্রলার। ইতোমধ্যে যে ট্রলার এসেছে তার মধ্যে দু-একটি ট্রলারে কিছু মাছ পেলেও অধিকাংশ ট্রলার বাজার সদয়ের খরচই উঠাতে পারবে না।  এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপুর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, জেলেদের জন্য কোনো চাল বরাদ্দ নেই। ঈদ উপলক্ষে কিন্তু তাদের জেলে কার্ড থেকে ঈদের আগে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত
বরগুনার পাথরঘাটায় রাস্তা পারাপারের সময় মালবাহী ট্রাকের চাপায় সাড়ে তিন বছর বয়সী খাদিজা নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাইনচটকী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত খাদিজা ওই এলাকার হুমায়ুন কবিরের মেয়ে। কাকচিড়া ৮নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো. গিয়াস জানান, নিহত (শিশু) খাদিজা রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় যশোর থেকে বরগুনাগামী একটি মালবাহী মিনি ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত খাদিজার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃত চালক জাহাঙ্গীর আলম যশোরের ছোট মেঘলা জয়নাল আবেদীনের ছেলে। জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার কথা জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।