• ঢাকা শনিবার, ১৮ মে ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
মাঠে গরু আনতে গিয়ে বজ্রপাতে জেলের মৃত্যু 
পাথরঘাটায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় স্থানীয় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গরুতে ফসল নষ্ট করার বিরোধ নিয়ে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালে প্রতিবেদন প্রকাশের জেরে দুই সাংবাদিকসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। পাথরঘাটা সদর ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মো. শহিদুর রহমান গতকাল সোমবার বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলাটি করেন। মামলার আইনজীবী ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য সায়েম-উল-আলম সাইবার আদালতে মামলাটি গ্রহণের বিষয়টি আজ মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোনে  নিশ্চিত করেন। মামলার আসামিরা হলেন দৈনিক আলোকিত প্রতিদিনের পাথরঘাটা প্রতিনিধি ও অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ দর্পণের সাংবাদিক মো. জিয়াউল ইসলাম, আরটিভির পাথরঘাটা প্রতিনিধি তাওহীদুল ইসলাম এবং স্থানীয় হাড়িটানা গ্রামের বাসিন্দা হানিফা, পাথরঘাটা পৌর এলাকার ৪ ওয়ার্ডের বাসিন্দা সুজন খান ও তাঁর স্ত্রী ফাহিমা বেগম। মামলার আর্জি ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৭ ফেব্রুয়ারি অনলাইন নিউজ পোর্টাল দেশ দর্পণে ‘খেতেই চাচা ভাতিজার ধমকা–ধমকি’ শিরোনামে একটি ভিডিও প্রতিবেদন প্রকাশ করেন সাংবাদিক জিয়াউল ইসলাম। গরুতে ফসল নষ্টের বিষয়ে দুই পক্ষের বিরোধ নিয়ে প্রতিবেদনটি করা হয়। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে বাদীর সম্মানহানি ও বাদীর কাছে চাঁদা দাবির অভিযোগ করা হয়েছে। আরটিভির সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম প্রতিবেদন প্রকাশ কিংবা প্রতিবেদন তৈরির সময় ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাকেও আসামি করা হয়। তাওহীদুলের পরিবারের সঙ্গে শহিদুরের দীর্ঘদিনের বিরোধ আছে। সাংবাদিক তাওহীদুল ইসলাম  বলেন, সাইবার আইনের মামলার বাদী শহিদুর রহমান তার ওয়ার্ডের বর্তমান সদস্য। ওই ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য জাহাঙ্গীর হোসেন সম্পর্কে তাঁর চাচা। গত নির্বাচনে তিনি চাচার পক্ষে নির্বাচন করেন। এ জন্য তিনি (শহিদুর) প্রতিপক্ষ হিসেবে নানা ষড়যন্ত্র করছেন। সর্বশেষ ঘটনাস্থলে না থাকলেও তাঁকে আসামি করেছেন। প্রায় এক বছর আগে শহিদুর রহমানে ছেলে সোহেল মুন্সি   আমাকে নানা ভাবে হুমকি দিত পরে আমি পাথরঘাটা থানায় চার জনকে আসামি করে।  একটি সাধারণ ডাইরি  করি আমি এখনো আমাকে বিভিন্ন ভাবে ভয় দেখায় শহিদুর রহমান এবং তারি ছেলে সোহেল মুন্সি  মামলার বাদী ও ইউপি সদস্য শহিদুর রহমানের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। তবে মামলার আবেদনে তিনি বলেন, গরুতে ফসল নষ্ট করা নিয়ে সাংবাদিক জিয়াউল অন্য আসামিদের ডেকে এনে ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে ছেড়ে দেন। ভিডিও ছাড়ার আগে জিয়াউল তাঁর কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। টাকা দিতে রাজি না হওয়ায় ফেসবুকে ভিডিও ছেড়ে দিয়ে সম্মানহানি করে। এর আগে ৪ এপ্রিল পাথরঘাটার তিন সাংবাদিকসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। স্থানীয় দুটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও একটি ফেসবুক আইডি থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন লাইভ করায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়। নির্যাতনে অভিযুক্ত সৌদিপ্রবাসী আল মামুনের চাচাতো ভাই লিটন হাওলাদার বাদী হয়ে বরিশাল সাইবার ট্রাইব্যুনালে ওই মামলা করেন। পাঁচ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে সাইবার নিরাপত্তা আইনে মামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন পাথরঘাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক জাফর ইকবাল। তাঁরা মামলা প্রত্যাহারের পাশাপাশি সাইবার নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবি জানিয়েছেন
পাথরঘাটায় নিখোঁজ হওয়া জেলের মরদেহ উদ্ধার 
বিষখালী নদীতে মৎস্য বিভাগের অভিযান, জেলে নিখোঁজ
পাথরঘাটায় গৃহবধূর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
পাথরঘাটা থানার ওসি প্রত্যাহার 
আসছে ঈদ, নদীতে মাছ না থাকায় হতাশ জেলেরা 
ইলিশের ভরা মৌসুমেও হাসি নেই বরগুনার পাথরঘাটার জেলেদের মুখে। একদিকে বঙ্গোপসাগরসহ উপকূলীয় নদী বিষখালী-বলেশ্বর নদীতে নেই ইলিশ। আরেক দিকে ডাঙায় এনজিওর ঋণের চাপ। এ নিয়ে ঈদের আনন্দ সবার হৃদয়ে কড়া নাড়লেও জেলেদের রাজ্যের বিষাদ। নদ-নদীতে কাঙ্ক্ষিত মাছ না পাওয়ায় ঋণের জালে বন্দি হয়ে আছে ঈদের আনন্দ। শিশুদের গায়ে নতুন জামা উঠবে কিনা তা নিয়েই দুশ্চিন্তা। এ দিকে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে ব্যয় বেড়েছে জেলেদের। এ কারণে ঋণের জালে জর্জরিত হয়ে পড়েছেন তারা। উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাথরঘাটা উপজেলায় মোট জেলে রয়েছেন প্রায় ২৫ হাজার। এর মধ্যে সরকারি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন ১৬ হাজার ৮২০ জন। মাছ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে প্রতি মাসে প্রত্যেক নিবন্ধিত জেলের মধ্যে ১৬ হাজার ২২৮ জনের পরিবারকে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।  এ বিষয়ে কথা হয় জেলে মনির, ইলিয়াস, বেল্লাল হোসেন, ছরোয়ারের সঙ্গে। তারা বলেন, এক দিকে আবরোধ অন্যদিকে সাগরে নিম্নচাপ। এ দুয়ে মিলে আমরা দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অবরোধে মাছ ধরতে পারি না আবার নিম্নচাপের মধ্যে সাগরে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মাছ শিকারে গিয়েও খালি হাতে ফিরে আসতে হয়। এর মধ্যে কিভাবে আমরা ছেলে মেয়েদের নিয়ে ঈদ করবো ভেবে পাচ্ছি না। আমরা বাপ-দাদার আমল থেকে ইলিশ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করি মাছ ধরা ছাড়া অন্য কোনো কাজ জানি না। তাই অন্য কাজ করতে চাইলে কেউ কাজ দিচ্ছে না। অশিক্ষিত হওয়ায় পেশার পরিবর্তন করতে পারছি না। আমাদের জালেতো ইলিশ ছাড়া অন্য কোনো প্রকার মাছ ধরা পরে না। আমরা এখন দাদনের জন্য ট্রলার মালিকের কাছে গেলেও তারাও তাড়িয়ে দেন। এ বছরের ঈদ জেলেদের জন্য নয়।  বরগুনা জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, জৈষ্ঠ্যের মাঝামাঝি সময় থেকে শুরু হয় ইলিশের মৌসুম। কিন্তু এ বছর সেই শুরু থেকেই সাগর থেকে জেলেরা ইলিশ শূন্য হাতে ফিরে আসছেন। এবার ঈদকে সামনে রেখে ১০ থেকে ১২ দিন আগেই সাগরে পাঠানো হয়েছে ট্রলার। ইতোমধ্যে যে ট্রলার এসেছে তার মধ্যে দু-একটি ট্রলারে কিছু মাছ পেলেও অধিকাংশ ট্রলার বাজার সদয়ের খরচই উঠাতে পারবে না।  এ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপুর সঙ্গে কথা হলে তিনি জানান, জেলেদের জন্য কোনো চাল বরাদ্দ নেই। ঈদ উপলক্ষে কিন্তু তাদের জেলে কার্ড থেকে ঈদের আগে ৮০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।
রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাকচাপায় শিশু নিহত
বরগুনার পাথরঘাটায় রাস্তা পারাপারের সময় মালবাহী ট্রাকের চাপায় সাড়ে তিন বছর বয়সী খাদিজা নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার ৬নং কাকচিড়া ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের বাইনচটকী এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  নিহত খাদিজা ওই এলাকার হুমায়ুন কবিরের মেয়ে। কাকচিড়া ৮নং ওয়ার্ডে ইউপি সদস্য মো. গিয়াস জানান, নিহত (শিশু) খাদিজা রাস্তা পার হচ্ছিল। এ সময় যশোর থেকে বরগুনাগামী একটি মালবাহী মিনি ট্রাকের চাপায় ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন ট্রাকচালক জাহাঙ্গীর আলমকে আটক করে। পরে পাথরঘাটা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে তারা। তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় নিহত খাদিজার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। আটককৃত চালক জাহাঙ্গীর আলম যশোরের ছোট মেঘলা জয়নাল আবেদীনের ছেলে। জানতে চাইলে পাথরঘাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, দুর্ঘটনার কথা জানার পর আমরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দিয়েছি। এ বিষয়ে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
পাথরঘাটায় হরিণের চামড়া উদ্ধার
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলায় চারটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করেছে কোস্টগার্ড। তবে এ সময় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।  রোববার (৩১ মার্চ) রাত ১২টার দিকে উপজেলার নীলিমা পয়েন্ট এবং তৎসংলগ্ন এলাকায় এ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা হয়। কোস্টগার্ড সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোন অধীনস্থ বিসিজি স্টেশন কন্টিনজেন্ট কমান্ডার এম জাহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় পাথরঘাটা নীলিমা পয়েন্ট নামক এলাকা থেকে চারটি হরিণের চামড়া উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে পাথরঘাটা কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা এইচ এম এম হারুন অর রশীদ বলেন, কোস্টগার্ডের উপস্থিতি টের পেয়ে হরিণের চামড়া পরিবহনকারীরা পালিয়ে যাওয়ায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে চামড়াগুলো উপজেলা ফরেস্ট কেস কনজারভেটিভ অফিসারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পানির এলাকায় সুপেয় পানির অভাব
‘পানির জন্য উপকূলের দুঃখ বারো মাস, সুপেয় পানির অভাব আর লবনাক্ততায় সর্বনাশ’ স্লোগানকে সামনে রেখে বরগুনার পাথরঘাটায় খালি কলসি নিয়ে ‘কলসি বন্ধন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২২ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে বিষখালী নদী সংলগ্ন চরলাঠিমারা গ্রামের একটি মাঠে ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা (ধরা), পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের আয়োজনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।  এতে প্রায় ৩ শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দাসহ সিসিডিবি, এনএসএস, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশন, চরলাঠিমারা, সিসিআরসিসহ ৩০টি বেসরকারি, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন অংশগ্রহণ করে। এ সময় ‘আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ’ লবনাক্ত এবং খারাপ পানি ব্যবহার করে ভবিষ্যৎ জীবন ঝুঁকিতে ফেলতে চায়না এমন চিন্তা করে একাধিক শিশু খালি কলসি নিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ করে।  এতে বক্তব্য রাখেন পাথরঘাটা উপকূল সুরক্ষা আন্দোলনের সমন্বয়ক সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন, বাংলাদেশ বন্ধু ফাউন্ডেশনের সহকারী ম্যানেজার মোহাম্মদ মামুনুর রশিদ, সিসিডিবির প্রকল্প সমন্বয়কারী রতন মজুমদার, সমাজসেবক নয়ন আহমেদ, স্থানীয় বাসিন্দা আবুল হোসেন, সোহরাব হোসেন প্রমুখ। বক্তারা বলেন, পাথরঘাটায় পর্যাপ্ত সুপেয় পানি পাওয়া যায় না। এখানকার মানুষের মধ্যে নিয়মিত দেখা যায় পানির জন্য হাহাকারের চিত্র। এক কলসি পানির জন্য তাদের পাড়ি দিতে হয় কয়েক গ্রাম। তারপরেও অনেক সময় খাওয়ার মতো পানি না পেয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়তে হয়। প্রতি বছরই বিভিন্ন এলাকায় মিঠা পানির স্তর নিচে নেমে যায়। এতে সুপেয় পানির অভাব দিন দিন আরও বাড়ছে। তারা আরও বলেন, এখানে শুকনো মৌসুমে পানির সংকট তীব্র থাকে। বিশেষ করে পাথরঘাটায় গভীর নলকূপ স্থাপন সম্ভব না হওয়ায় এখনকার মানুষের দুঃখের যেন শেষ নেই। সাংবাদিক ও গবেষক শফিকুল ইসলাম খোকন বলেন, উপকূলের মানুষের পানির দুঃখ ১২ মাস। উপকূলের পানির কান্না কেউ শুনতে পায় না। প্রকৃতিগতভাবেই এখানে পানির অভাব থাকে তাই বিকল্প পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে‌‌। যদিও সরকারি এবং বেসরকারিভাবে পানি সংরক্ষণের জন্য পানির ট্যাংক দেওয়া হচ্ছে। এ ছাড়া এলাকার নদ-নদীর পানি রিফাইন করে স্থায়ীভাবে পানি সরবরাহ ও সংরক্ষণসহ নতুন নতুন উপায় বের করতে হবে। তিনি আরও বলেন, আজকের শিশু আগামীর ভবিষ্যৎ, ছোট থেকেই শিশুদের সুপেয় পানির মাধ্যমে পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্ত রাখতে হবে। তা না হলে বংশ পরম্পরায় উপকূলের মানুষ রোগ-শোক নিয়ে জীবন চলতে হবে।
বরগুনায় কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক জব্দ
বরগুনার পাথরঘাটা উপজেলা থেকে কোটি টাকা মূল্যের ৩টি তক্ষক জব্দ করেছে পুলিশ। কিন্তু এর সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি তারা। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) বিকেলে উপজেলার কালমেঘা ইউনিয়নের ঘুটাবাছা এলাকা থেকে ইউসুফ মৃধার বসতঘর থেকে স্থানীয়দের সহায়তায় ৩টি তক্ষক জব্দ করে পুলিশ। অভিযুক্ত ওই গ্রামের রশিদ হাওলাদারের ছেলে। তার স্ত্রী বান্দরবন জেলার লামা উপজেলার বাসিন্দা। ঘটনাসূত্রে জানা যায়, ইউসুফ মৃধা ও তার স্ত্রী রহিমা বেগম দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে তক্ষকের ব্যবসা করে আসছিলো। বিষয়টি স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশকে জানালে তারা অভিযান চালিয়ে তিনটি কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক জব্দ করে। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে রহিমা পালিয়ে যায়।  প্রতিবেশীরা জানায়, ইউসুফ মৃধার শশুর বাড়ি পার্বত্য বান্দরবান জেলার লামা উপজেলা থেকে অবৈধভাবে তক্ষক পাথরঘাটায় এনে দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছিল। তবে এর সাথে বড় একটি চক্র জড়িত আছে।  এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানার এসআই পলাশ চন্দ্র বলেন, আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে স্বামী-স্ত্রী সেখান থেকে পালিয়ে যায়। পরে সেখান থেকে তিনটি তক্ষক জব্দ করতে সক্ষম হয়। 
জালে ধরা পড়ল ৮০ কেজির পাখি মাছ 
বরগুনার পাথরঘাটায় দেশের বৃহত্তম মৎস্য বন্দর বিএফডিসি মৎস্য ঘাটে ৮০ কেজি ওজনের বিরল প্রজাতির মাছ উঠেছে। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে বঙ্গোপসাগর থেকে বিএফডিসি ঘাটে এ মাছ বিক্রির জন্য জেলেরা নিয়ে আসেন। এ ছাড়াও বিভিন্ন ওজনের আরও ২৯টি পাখি মাছ নিয়ে আসে এফবি মারিয়া নামের একটি ট্রলার।  এ সময় স্থানীয়রা এ পাখি মাছগুলো একনজর দেখতে ভিড় করেন। মেসার্স জোবায়ের এন্টারপ্রাইজের স্বত্ত্বাধিকারী মো. সেলিম মিয়া জানান, ‘কয়েক দিন আগে এফবি মারিয়া ট্রলারটি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করতে যায়। সমুদ্রে জাল ফেলে অপেক্ষা করলে অন্যান্য মাছের সঙ্গে সাতটি পাখি মাছ ধরা পড়ে। মাছগুলো প্রায় ৭ ফুট লম্বা। স্থানীয়দের মধ্যে অনেকে এ মাছটিকে ‘পাখি মাছ’ বা ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই চিনেন। তবে ‘গোলপাতা মাছ’ হিসেবেই এ এলাকায় এ মাছ বেশি পরিচিত। তিনি আরও জানান, এক একটি মাছ ৬০০০ টাকায় পাইকার জাহিদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে। পাইকার মো. জাহিদুল ইসলাম জানান, উপকূলীয় অঞ্চলে এ মাছের চাহিদা কম। তবে তিনি মাছগুলো কম টাকায় ক্রয় করতে পেরেছেন। এ মাছগুলো বিদেশেও রপ্তানি করা যায়। দেশের নামীদামি রেস্টুরেন্টগুলোতে এ মাছের চাহিদা রয়েছে। মাছগুলো বেশি দামে বিক্রির জন্য ঢাকায় পাঠাবেন বলেও জানান এ মাছ ব্যবসায়ী। পাথরঘাটা উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা জয়ন্ত কুমার অপু জানান, ‘এটি গভীর সমুদ্রের মাছ। এর বৈজ্ঞানিক নাম সেইল ফিস (Sail Fish)। এ মাছ খুব সুস্বাদু হয়ে থাকে। বিদেশে অনেক চাহিদা থাকার কারণে এ মাছ রপ্তানি করা হয়ে থাকে। তবে এ মাছ গভীর সমুদ্র ছাড়া সহজে পাওয়া যায় না।’