• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
সোনারগাঁয়ে অসহায়দের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ
নারায়ণগঞ্জে পুলিশ-শিক্ষার্থী সংঘর্ষ
নারায়ণগঞ্জ শহরে চাষাঢ়ায় আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ ঘটেছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে চাষাঢ়ায় পুলিশের একটি গাড়ি ভাংচুর করে শিক্ষার্থীরা। এ সময়ে পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে।  জবাবে পুলিশ প্রথমে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন গলিতে ঢুকে পড়ে। এক পর্যায়ে পুলিশের কয়েকজন সদস্য গুলি নিক্ষেপ করে। এ সময়ে শিক্ষার্থীরা সড়ক ছেড়ে চলে গেলেও কিছুক্ষন পর আবার একত্রিত হয়ে পুলিশকে ধাওয়া দেয়।  এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হলেও সংখ্যা জানা যায়নি। এ নিয়ে পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন মন্তব্য করেনি।
নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের সড়ক ও রেলপথ অবরোধ
হাসপাতালে ভর্তি শামীম ওসমান
সোনারগাঁয়ে মাদরাসার নবনির্বাচিত সভাপতিকে সংবর্ধনা 
আড়াইহাজারে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টা, আ.লীগ নেতা গ্রেপ্তার
মাদক সেবনের টাকা না দেওয়ায় গৃহবধূকে হত্যা, স্বামী আটক
নারায়ণগঞ্জ উপজেলার বন্দরে কাজলী আক্তার নামে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগে তার স্বামী মাসুম হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।  সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ৮টার দিকে উপজেলার বন্দর ইউনিয়নের উলাক নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।  নিহত কাজলী আক্তার একই এলাকার মৃত কামাল হোসেনের মেয়ে। স্থানীয় লোকজন ও নিহতের মেয়ে জানান, মেয়ের সুখের জন্য কাজলী আক্তারের বিয়ের পর পর এ বাড়ি নির্মাণ করে দেয় তার বাবা। বাবার দেওয়া বাড়িতে প্রথমে স্বামীকে নিয়ে সুখের সংসার থাকলেও স্বামী মাদক সেবন শুরু করলে অশান্তি নেমে আসে। মাদক সেবনের জন্য টাকা না দিলে প্রায়ই মাসুম তার স্ত্রীকে মারধর করতো। আজ সকালে মাদকের জন্য টাকা চাইলে না দেওয়ায় প্রথমে ঝগড়া হয়। পরে ঘরে থাকা বটি দিয়ে কাজলীকে কুপিয়ে হত্যা করে মাসুম। তার মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে মাসুমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘মরদেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং হত্যার ঘটনায় নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়েছে।’  তিনি আরও বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে, মাদক সেবন ও পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে।’
ভাতিজার হাতে চাচা খুন, গ্রেপ্তার ২
সোনারগাঁয়ে আলোচিত জমি-সংক্রান্ত বিরোধে ভাতিজার হাতে চাচা হত্যা মামলায় ঘাতক ভাতিজা ও সৎ-ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। শুক্রবার (১২ জুলাই) বিকেলে ঢাকার ডেমরার ডগাইর পূর্বপাড়া ৬৬নং ওয়ার্ড এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয় বলে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। শনিবার (১৩ জুলাই) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি এস এম কামরুজ্জামান।গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, নিহত নাসির উদ্দীনের সৎভাই আব্দুল রব ও তার ছেলে হাসান মিয়া (২৪)। স্থানীয়দের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার সনমান্দি পূর্বপাড়া গ্রামে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে গত শুক্রবার (৫ জুলাই) দুই ভাইয়ের ঝগড়া মীমাংসা করতে গিয়ে ভাই ও ভাতিজাদের লোহার পাইপের আঘাতে গুরুতর আহত হন নাসির উদ্দিন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার (৯ জুলাই) মারা যান নাসির উদ্দিন। ওইদিন রাতে নিহতের ভাই জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী জায়েদা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় হত্যা মামলা করেন।  এ বিষয়ে ওসি এসএম কামরুজ্জামান বলেন, ‘জমি-সংক্রান্ত বিরোধে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে থানায় হস্তান্তর করেছেন র‍্যাব সদস্যরা। শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।’
মেঘনা টোলপ্লাজায় মাইক্রোবাসে আগুন, দগ্ধ ৫
নারায়ণগঞ্জের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সোনারগাঁয়ে যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসে থাকা ৫ জন অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন। বুধবার (১০ জুলাই) সকালের দিকে মহাসড়কের মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকার চট্টগ্রামমুখী লেনে এ ঘটনা ঘটে।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার টিআই (ট্রাফিক পরিদর্শক) আবু নাইম। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, সকাল ১০টার দিকে ঢাকা থেকে চট্টগ্রামমুখী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মেঘনা সেতুর টোলপ্লাজার সামনের ডিভাইডারের সঙ্গে ধাক্কা লাগলে সঙ্গে সঙ্গে তাতে আগুন ধরে যায়। পরে যাত্রীদের চিৎকারে টোলপ্লাজার কর্তৃপক্ষ ও স্থানীয়রা মাইক্রোবাসটির জানালাগুলো ভেঙে তাদের উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায়। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি রেজাউল হক। তিনি বলেন, ‘খবর শুনেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তাদের পরিচয় জানার চেষ্টা চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।’
জমি নিয়ে বিরোধ, ভাতিজার হাতে চাচা খুন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দুই ভাইয়ের ঝগড়া মীমাংসা করতে গিয়ে ভাতিজার হাতে আপন চাচা নাসির উদ্দীন (৫২) নিহত হয়েছেন।  শুক্রবার বিকেলে আহত হলেও মঙ্গলবার (৯ জুলাই) দুপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত নাসির উদ্দীন উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের পূর্ব সনমান্দি এলাকার মৃত কফিল উদ্দীনের ছেলে।  এ বিষেয়ে নিহতের ভাতিজা নাঈম বলেন, ‘গত ৫ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে আমার বাবা জয়নাল আবেদিন একটি রান্নাঘর নির্মাণের কাজ করছিলেন। এ সময় আমার বড় চাচা আব্দুর রব বাধা দেয়। আমার বাবা ও বড় চাচার মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমার চাচাতো ভাই কাশেম ও হাসান ঘর থেকে গ্যাসের পাইপ ও লোহার রড নিয়ে আমার বাবা জয়নাল আবেদিনকে পিটিয়ে আহত করেন। এমন সময় আমার আরেক চাচা নাসির উদ্দীন আমাদের ডাক-চিৎকার শুনে এগিয়ে আসলে তার ওপরও অতর্কিত হামলা চালানো হয়। কাশেমের হাতে থাকা গ্যাসের পাইপ দিয়ে আমার চাচা নাসির উদ্দীনের মাথায় আঘাত করা হয়। এলোপাতাড়ি পিটিয়ে তাকে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এ সময় তাকে বাঁচাতে আমার চাচি আবেদা বেগম এগিয়ে আসলে তাকেও রড দিয়ে মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করা হয়। এমন সময় আমার মা জায়েদা বেগম চাচিকে বাঁচাতে গেলে হাসান লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে আহত করে।’  ভাতিজা নাঈম আরও বলেন, ‘পরবর্তীতে আমাদের ডাক-চিৎকার শুনে এলাকাবাসী এসে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে রোগীদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার দুপুর আড়াইটার দিকে আমার চাচা নাসির উদ্দীনের মৃত্যু হয়।’  জানা যায়, এর আগে রোববার মারামারির ঘটনায় জয়নাল আবেদিনের স্ত্রী জায়েদা বেগম বাদী হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি হত্যা চেষ্টা মামলা দায়ের করেছেন। সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, ‘জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে দুই ভাইয়ের ঝগড়া মেটাতে গিয়ে নাসির উদ্দীন নামে এক ভাই আহত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
একটি সেতুর অভাবে হাজারও মানুষের দুর্ভোগ চরমে
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও গ্রামে ব্রহ্মপুত্র নদীর ওপরে একটি সেতুর অভাবে প্রায় ১০ হাজার লোক চরম দুর্ভোগে রয়েছেন। দৈনিক হাজার হাজার লোক এই সাঁকো দিয়ে ঢাকাসহ সারাদেশে যাতায়াত করে থাকেন। নোয়াগাঁও, পেকিরচর, বানেশ্বরদী  গৌরিবরদী, লক্ষ্মীবরদী, বিষ্ণাদী, চণ্ডিবরদী ব্যাসদীসহ প্রায় ১০ গ্রামের মানুষ এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হন। এ ছাড়াও নোয়াগাঁও হাইস্কুলের প্রায় শতাধিক ছাত্রছাত্রী দৈনিক এই সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে গিয়ে নানান দুর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে।  এ বিষয়ে নোয়াগাঁও গ্রামের মো. ইউনুস ভূঁইয়া আরটিভি নিউজকে বলেন, ‘আমরা ছোটবেলা থেকে এই নদীর ওপর সাঁকো দিয়ে পারাপার হচ্ছি। বুড়ো হয়ে যাচ্ছি কিন্তু এখানে একটি সেতু হচ্ছে না। আমরা সরকারের কাছে এখানে একটু সেতু নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি।’  আরেক বাসিন্দা হজরত আলী মিয়া বলেন, ‘আমরা মেম্বার আর চেয়ারম্যানদের সবাইকে এ বিষয়ে অবহিত করেছি। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। আমরা এলাকার জনগণ এখানে একটি সেতু চাই।’ এ বিষয়ে নোয়াগাঁও হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক আতিকুর রহমান তালুকদার আরটিভিকে বলেন, ‘আমার বিদ্যালয়ের শতাধিক ছাত্রছাত্রী দৈনিক এই সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে আসা যাওয়া করে। তারা প্রায়ই নানান দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। কেউ কেউ সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে পড়ে যাচ্ছে বই খাতা। এছাড়াও সাঁকো পারাপার হতে গিয়ে অনেকেই আহত হচ্ছে। আমি চাই এখানে দ্রুত একটি সেতু নির্মাণ করা হোক। যাতে বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা নির্বিঘ্নে নদী পারাপার হতে পারে।’ এ বিষয়ে সোনারগাঁও উপজেলা চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান কালাম আরটিভিকে বলেন, ‘এখানে অনেক বড় সেতু নির্মাণ করতে হবে। এটা উপজেলা চেয়ারম্যানের এখতিয়ারের বাইরে। তারপরেও প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে সেতু নির্মাণের চেষ্টা করব।’  এলাকাবাসীর দাবি দ্রুত এখানে যাতে একটু সেতু নির্মাণ করে এলাকাবাসীর দুর্ভোগ লাঘব করা হয়। 
পরীক্ষার হলে ছাত্রের পকেটে মিলল গাঁজা, অতঃপর...
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রে পকেটে করে গাঁজা নিয়ে এসে ধরা খেয়েছেন এক পরীক্ষার্থী। এ ছাড়া মোবাইল ফোন, নকলের চিরকুটসহ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের হাতে আটক হয়েছেন আরও দুই শিক্ষার্থী। এদের মধ্যে দুজন বহিষ্কার হলেও গাঁজা রাখায় জেলে যেতে হয়েছে ওই পরীক্ষার্থীকে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) দুপুরে উপজেলার ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কেন্দ্র সচিব ও ভুলতা স্কুল অ্যান্ড কলেজ অধ্যক্ষ ড. আব্দুল আউয়াল মোল্লা। তিনি বলেন, আজ এইচএসসির ইংরেজি প্রথমপত্র পরীক্ষা চলছিল। তখন শ্রাবণ মোল্লা নামে এক পরীক্ষার্থী গাঁজাসহ হলে প্রবেশ করেন। যা অন্যায়। এ সময় পাঁচরুখি কলেজের ওই ছাত্রকে মাদক আইনে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সিমন সরকার। তিনি আরও বলেন, একই কলেজের পরীক্ষার্থী সাইদ ও সলিমদ্দিন চৌধুরী কলেজের পরীক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম তুরজুকে নকলের দায়ে বহিষ্কার করেন ইউএনও আহসান মাহমুদ রাসেল। এ বিষয়ে ইউএনও আহসান মাহমুদ রাসেল বলেন, পরীক্ষার হলে নকলের চিরকুট, মোবাইল ফোন নিয়ে প্রবেশ করায় দুজনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ছাড়া এক পরীক্ষার্থীর কাছে গাঁজা পাওয়ায় তাকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ছয়মাসের সাজা দেওয়া হয়েছে।