• ঢাকা বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১
logo
সোনারগাঁয়ে যৌথবাহিনীর অভিযান, অস্ত্রসহ আটক ১
মাহমুদুর রহমানের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে সোনারগাঁওয়ে মানববন্ধন 
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁওয়ে আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে হয়রানি ও ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।  মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় সোনারগাঁও জার্নালিস্ট ফোরামের ব্যানারে ক্লাবের সভাপতি মো. জাকির হোসেন ঝন্টুর নেতৃত্বে স্থানীয় সাংবাদিক ও এলাকাবাসী এ মানববন্ধনে অংশগ্রহণ করেন। উপজেলার নয়াপুরে সোনারগাঁও জার্নালিস্ট ফোরাম কার্যালয় সংলগ্ন ঢাকা বাইপাস সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে বিশিষ্ট সাংবাদিক, লেখক, আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানি, ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা মামলা বাতিলসহ সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান মানববন্ধনকারীরা। মানববন্ধন শেষে মানববন্ধনকারীরা ঢাকা বাইপাস সড়কে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বিক্ষোভ মিছিলটি নয়াপুর থেকে সড়কের বস্তল মোড় হয়ে নয়াপুরে এসে শেষ হয় আরটিভি/এমকে
সোনারগাঁয়ে ক‍্যাপিটাল স্কুল অ্যান্ড কলেজে গুণীজন সংবর্ধনা
‘ছোট্ট বাচ্চাটা নিখোঁজ মায়ের জন্য কান্না করছে’
সোনারগাঁওয়ে দেশীয় অস্ত্রসহ ২ ডাকাত গ্রেপ্তার
চাঁদাবাজ ও দখলদারের বিরুদ্ধে সোনারগাঁওয়ে বিএনপির সমাবেশ
সোনারগাঁয়ে সওজের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের সড়ক ও জনপদের জায়গা ও ড্রেন দখলের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে। উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তায় মারীখালি সেতুর পাশে ড্রেনের মুখ বন্ধ করে বালু ফেলে দখল করে দোকান নির্মানের অভিযোগ উঠেছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর দখলদারদের উচ্ছেদের জন্য নোটিশ ও সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পরও থেমে নেই দখলের কাজ।   সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সোনারগাঁও মোগড়াপাড়া চৌরাস্তায় চরমেনিখালী মৌজায় ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশের সওজের জায়গায় জোরপূর্বক অবৈধভাবে বালু ভরাট করে স্থাপনা তৈরি করছে হাবিবপুর এলাকার মৃত মহারাজ মিয়ার ছেলে জিলানী ও আব্দুল কাদের গংরা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকাটি জনবহুল ও গণবসতি পূর্ণ এলাকা। এই এলাকার পয়ঃনিষ্কাশনের পানি, বনবিভাগ, পাবলিক টয়লেটসহ কাচাবাজারের পানি এই ড্রেন দিয়ে মেনি খালি খালে পড়তো। অবৈধ বালু ভরাটের কারণে ড্রেনেজ ব্যবস্থাটি নষ্ট হওয়ায় অল্প বৃষ্টিতেই রাস্তায় হাটু পানি জমে গিয়ে জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করে। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কর্মজীবী মানুষ এই রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে গিয়ে দুর্ঘটনায় পড়েন। দিনের পর দিন জলাবদ্ধতার ফলে জমে থাকা ময়লা আবর্জনায় জনজীবন বিপর্যস্ত করে তুলেছে। সরকারি জায়গা ও ড্রেন দখলকারী জিলানী ও আব্দুল কাদের গংদের এসব কাজে বাধা দিলে এলাকাবাসীর বিরুদ্ধে থানায় গিয়ে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানি করেন তারা। জিলানী গংদের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে তদন্ত করতে যাওয়া এসআই আক ইসলাম বলেন, ‘জিলানী এবং তাদের কয়েকজন লোক সরকারি জমির পাশাপাশি ড্রেন ভরাট করার কারণে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে এলাকার কয়েকজন ব্যক্তি বাঁধা দেওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে প্রতিপক্ষ। এখানে এসে ড্রেন ভরাটের বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে।’ এ বিষয়ে অভিযুক্ত জিলানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সরকারি জায়গায় আমাদের পৈতৃক সম্পত্তি রয়েছে। সেই সুবাদে আমরা সরকারি জায়গাসহ ড্রেন ভরাট করেছি। তবে সরকার যদি প্রয়োজন মনে করে আমরা সরকারি জায়গা ছেড়ে দেবো।’ সড়ক ও জনপদের নারায়ণগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহানা ফেরদৌস বলেন, ‘সরকারি জায়গা বা ড্রেন কাউকেই দখল করতে দেওয়া হবে না। এ বিষয়ে প্রকৌশলীকে পাঠিয়ে নোটিশ দেওয়া হয়েছে এবং থানায় লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। দখলদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
সোনারগাঁয়ে শাওন হত্যার বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মহজমপুর যোগীপাড়া এলাকায় শাওন মিয়া (২৪) নামে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন নিহতের স্বজন ও এলাকাবাসী।  শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার তালতলা পুলিশ ফাঁড়ির সামনে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে নিহতের স্ত্রী তামান্না আক্তার, বাবা আলী আজগর ও ভাই মোতালেব মিয়াসহ এলাকার কয়েকশ নারী পুরুষ অংশ নেন। এ সময় হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন তারা। নিহত শাওনের ভাই মোতালেব মিয়া বলেন, গত ২৯ আগস্ট শিশুদের খেলায় ঝগড়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইসরাফিল মিয়া, ডাকাত শ্যামল, রিমন, রাকিব মিয়া ও রাব্বির নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে শাওন মিয়ার বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় শাওন ও তার পরিবারের লোকেরা বাধা দিলে সন্ত্রাসীরা শাওনকে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। শাওন হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে ফাঁসির দাবি করেন তারা। পুলিশ এখনও কোনো আসামিকে গ্রেপ্তার না করায় সন্ত্রাসীরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরে আমাদের মামলা তুলে নেওয়ার হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি।
আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আ.লীগ হতে পারে না: ফয়জুল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেছেন, আওয়ামী লীগের মধ্যে যারা ডাকাত না, জালেম না, অত্যাচারী না, তাদেরকে অত্যাচার করা যাবে না। আমি ওইসব ভাইদের বলব- যারা আওয়ামী লীগ করেছিলেন, যারা আদর্শবান, মনে রাখবেন, আদর্শবান ব্যক্তির দল কখনো আওয়ামী লীগ হতে পারে না। সময় আছে তওবা করুন। আগের দেশ আর আমরা চাই না। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক গণসমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ ফয়জুল করীম বলেন, বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা দুর্নীতি। দুর্নীতি দূর করতে না পারলে এ দেশের পরিবর্তন হবে না। এ দেশে ওসি পরিবর্তন হয়, এসপি পরিবর্তন হয়, কিন্তু ঘুষ ঠিকই থাকে। আমরা ঘুষ ও চোর মুক্ত বাংলাদেশ চাই। তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই বারের বেশি যাতে না হয় সে ব্যাপারে আলোচনা চলছে। কিন্তু আমি মনে করি, শুধু ব্যক্তি পরির্বতন নয়, সুন্দর দেশ গড়তে নীতিরও পরিবর্তন করতে হবে। আমরা একটি মানবিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে চাই। যেখানে হিন্দু, মুসলমান, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান সবাই সমান অধিকার ভোগ করতে পারি। দলটির উপজেলা শাখার সভাপতি হাজী নূরুল আমিন খাঁনের সভাপতিত্বে সমাবেশে অন্যান্যদের মধ্যে নারায়ণগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা মুহাম্মাদ দ্বীন ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর কবির, যুগ্ম সম্পাদক মুহাম্মদ আমান উল্লাহ, শিল্প ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মুফতী ইমদাদুল হাসেমী, জেলার ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ যুবায়ের হোসাইন, জেলার ইসলামী শ্রমিক আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ ওমর ফারুক, জেলার ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ আশরাফ আলী এবং সহযোগী অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
লক্ষ্মীপুরে বন্যার্তদের পাশে ‘স্বপ্নের সোনারগাঁ’
লক্ষ্মীপুরের ১৮ নম্বর কুশাখালী ইউনিয়নে তিনদিন ধরে খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ ও পোশাক বিতরণ করেছে ‘স্বপ্নের সোনারগাঁ’ নামের একটি সামাজিক সংগঠন। গ্রামটির বেশিরভাগ বাড়িঘর বন্যায় প্লাবিত হয়ে যাওয়ার পর তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় প্রায় ৪০০ মানুষ। তাছাড়া এলাকায় আরও কয়েকশ' মানুষ পানিবন্দি হয়ে ঘরেই অবস্থান করছিলেন। কোনো শুকনো জায়গা না থাকায় রান্না করা অসম্ভব ছিলো। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে শুকনো খাবার খাওয়ানো হচ্ছিলো। স্থানীয় এক স্বেচ্ছাসেবী স্বপ্নের সোনারগাঁয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলে সংগঠনটির প্রশাসক শহিদুল ইসলাম সুমন অনতিবিলম্বে তাদের দুর্যোগ তহবিল ও টিম প্রেরণ করেন লক্ষ্মীপুরের উদ্দেশ্যে। প্রতিষ্ঠাতা সদস্য তরিকুল ইসলামের নেতৃত্বে একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম প্রয়োজনীয় খাদ্য সামগ্রী, ওষুধ ও পোশাক নিয়ে যায় লক্ষ্মীপুরের প্রত্যন্ত এই গ্রামে। এ বিষয়ে তরিকুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ত্রাণ সামগ্রী দিলেও রান্না করার সুযোগ ছিল না সেখানে তাই স্থানীয় একটি আশ্রয় কেন্দ্রের একটি কক্ষে চলে রান্নার কাজ। পরে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয় তিনটি আশ্রয়কেন্দ্রের ৪০০ মানুষের মাঝে। এ ছাড়াও পানিবন্দি এলাকাবাসীর ঘরে ঘরে গিয়ে বিতরণ করা হয় আরও ৩০০ প্যাকেট খাবার। পাশাপাশি প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার জন্য আমাদের ছিল মেডিকেল সাপোর্ট টিম। বিতরণ করা হয়েছে প্রয়োজনীয় ওষুধ। অনেকের পোশাক প্রয়োজন ছিল, তাদের জন্য ব্যবস্থা করা হয় পোশাক। তিনি বলেন, সকালে পানিবন্দি মানুষের জন্য ব্যবস্থা করা হয় চিনিগুড়া চালের ভুনাখিচুড়ি ও ডিম, দুপুরে সাদা ভাত, মুরগির তরকারি ও মুগডাল ভুনা এবং রাতে ব্যবস্থা করা হয় মুরগি দিয়ে ভুনাখিচুড়ি।  উল্লেখ্য, স্বপ্নের সোনারগাঁয়ের কার্যক্রম ২৭, ২৮ ও ২৯ আগস্ট পর্যন্ত চলেছে। এর পূর্বে ২০২২ সালে সিলেটে বন্যার সময়ও সংগঠনটি তাদের ত্রাণ তহবিল ব্যবহার করে ৪ টন খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছিল সিলেটের কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায়। সংগঠনটি সোনারগাঁওব্যাপী বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। 
শেখ হাসিনা-কাদেরসহ সোনারগাঁয়ে ২৭৬ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের কাঁচপুরে শফিক মিয়া (২৮) গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহতের ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, হাসান মাহমুদ, আসাদুজ্জামান খান কামালসহ ১৫৬ জনের নামে ও অজ্ঞাত আরও ১২০ জনকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় মামলা হয়েছে। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) সকালে নিহতের চাচাতো ভাই আবু হানিফ বাদী হয়ে এ হত্যা মামলা করেন।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সোনারগাঁ থানার ওসি (তদন্ত) মো. মহসিন। মামলার এজাহারে আবু হানিফ অভিযোগ করেন, ৪ আগস্ট তার চাচাতো ভাই শফিক মিয়া শেরপুর থেকে তার কাঁচপুরে সেনপাড়ার বাসায় বেড়াতে আসেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে পণ্ড করতে আওয়ামী-যুবলীগের নেতাকর্মীরা কাঁচপুরে জড়ো হয়ে অস্ত্রশস্ত্র, দেশীয় লাঠিসোটা নিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর এলোপাথাড়ি গুলি ছুড়ে। এতে তার চাচাতো ভাই সিনহা গার্মেন্টসের সামনে বুকে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান।
‘মাথায় গুলি লেগে আমার ছেলের মগজ বের হয়ে গেছে’
নিম্নবিত্ত পরিবারের একমাত্র ছেলে মো. মেহেদী। বাবা স্থানীয় একটি কারখানার তৃতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করতেন। মেহেদীকে ঘিরেই সব স্বপ্ন ছিল বাবা- মায়ের। ছেলেকে একজন ইঞ্জিনিয়ার বানাবেন সেই আশায় পরিবারের অসচ্ছলতার মধ্যেও স্থানীয় একটি বেসরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে ভর্তি করেন। অসহায় বাবা-মার স্বপ্ন ছিল, একসময় ছেলে বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়ে বাবা-মার নাম উজ্জ্বল করবে। তবে সেই স্বপ্ন গুলিতে শেষ হয়ে গেছে। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে দিশেহারা বাবা-মা। ছেলের কথা মনে পড়লেই বুকফাটা চাপা কান্না এবং চোখের পানিতে কাতর হয়ে পড়েন বাবা-মা। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত মো. মেহেদী নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের ঝাউচর গ্রামের মো. ছানাউল্লাহর ছেলে। তার পৈতৃক বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া থানার বড়- রায়পাড়া। তবে তিনি তার পরিবারসহ জন্মের পর থেকে নানির বাড়িতেই থাকতেন। নিহত মো. মেহেদীর বাবা ছানাউল্লাহ বলেন, আমার ছেলে খুবই মেধাবী ও শান্ত স্বভাবের ছিল। পারিবারিক অসচ্ছলতার কারণে নিজেই সারাদিন টিউশনি করে পড়ালেখার খরচ আর সংসারের খরচ চালাত। আমার ছেলের স্বপ্ন ছিল বড় হয়ে ইঞ্জিনিয়ার হবে। ২০  জুলাই সন্ধ্যার পরও সে বাড়ি না আসায় আমি তার মোবাইলে ফোন দিই। কয়েকবার রিং হওয়ার পর এক ছেলে ধরে জানায়, আমাদের মেহেদী আর নেই। নারায়ণগঞ্জের চিটাগাংরোডে পুলিশের গুলিতে সে নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি রাস্তায় পড়ে আছে আমার একমাত্র ছেলের নিথর দেহ। মাথায় গুলি লাগায় মজগগুলো সব বের হয়ে গেছে। পলিথিনে ভরে ছেলের নিথর দেহটিকে অনেক কষ্টে বাসায় নিয়ে আসি। এদিকে মেহেদীর মা শিল্পী বেগমের কান্না এখনো থামছেই না। ছেলের কলেজের আইডি কার্ড হাতে নিয়ে কান্নাকণ্ঠে বলেন, আমার স্বামী একটি ছোট চাকরি করেন। অনেক স্বপ্ন ছিল, একমাত্র ছেলে ইঞ্জিনিয়ার হবে। আমার ছেলেটা দেশের জন্য আন্দোলন করতে গিয়েছিল আমাদের না জানিয়ে। সবার সঙ্গে আন্দোলন করতে গিয়ে পুলিশের গুলিতে আমার বাবার মাথার মগজগুলো বের হয়ে গেছে। কেন মারল এমন করে আমার ছেলেকে? কী দোষ করেছিল। আমি আমার ছেলে হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।