• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
জিআই স্বীকৃতি পেল গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না
কোটা বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ 
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের চরপাথালিয়া এলাকা হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।  কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ‘জ্বালোরে জালো, আগুন জ্বালো’, ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বাতিল চাই বাতিল চাই, কোটা প্রথা বাতিল চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ‘কোটা প্রথার কারণে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা মূল্যায়িত হচ্ছেন না। দেশের প্রশাসনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুযোগ না পাওয়াই দুর্নীতিতে ভরপুর সকল সেক্টর। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য গর্বের, সেটাতে আমরা কোটা প্রয়োগ করে করুণার জায়গা বানিয়ে ফেলছি। এই কোটা প্রথা অযৌক্তিক। অবিলম্বে কোটা প্রথা বাতিল করা হোক।’ এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপশি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। অবরোধ চলাকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুপাশে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন খুলনা বরিশাল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল যুবকের
নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত
দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
কেটে ফেলা হলো ‘কথা বলা’ সেই গাছ 
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গুজবে কান দিয়ে ‘কথা বলা গাছ’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গাছে কান পাতলে নারী কণ্ঠে তারা কথা শুনতে পাচ্ছেন। বিষয়টিকে গুজব ও ভুয়া দাবি করে আলোচিত সেই গাছটিকে কেটে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন।  শনিবার (২২ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান।  তিনি বলেন, ‘গাছে কথা শোনা যায় বিষয়টি গুজব। আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর আমরা ওই এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখি। বিষয়টি আমাদের কাছে ভুয়া মনে হয়েছে। এ ছাড়া আমরা কান পেতে দেখেছি। কোনো কথা শোনা যায় না। পরে আমরা গাছটি কেটে ফেলি।’ এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুল বলেন, ‘প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। এ সময় গাছ কাঁটা দেখতে ভিড় করেন এলাকাবাসী।’ তবে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার দাবি, গত এক সপ্তাহ আগে উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের গজিনা গ্রামে নিরব নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু গাছটিতে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে গাছ বলে ওঠে ‘আমাকে মারিস না’। পরে সে এ ঘটনা পাশের একজন মহিলাকে বললে, বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দলে দলে এসে গাছে কান পেতে শোনার চেষ্টা করে সবাই। তাদেরও একই দাবি, গাছে কান পাতলে নারী কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কেউ সালামের উত্তর শুনছেন, আবার কেউ কান্না বা আর্তনাদের আওয়াজ শুনছেন। আবার অনেকেই বলছেন ভুয়া। কান পাতলে গাছ ও পাতা নড়ার শব্দ শোনা যায়। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক নাহমিনা বেগম বলেন, ‘গাছে কান পাতলে কথা শোনা যায় এটার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তবে গাছের একটি শক্ত নেটওয়ার্ক রুট রয়েছে। যা অনেকদূর নিয়ে বিস্তৃত। এর মাধ্যমে এক গাছ আরেক গাছকে উপকার করে থাকে। তবে গাছে কান পাতলে কথা শোনার বিষয়টি পুরোটাই কুসংস্কার।’
প্রশ্ন করলে উত্তর দিচ্ছে গাছ, এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য!
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার গর্জিনা গ্রামের সৌদি প্রবাসী সবুর মিয়া বাগানের একটি গাছকে প্রশ্ন করলে উত্তর পাওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। গাছটি দেখতে ভিড় করছেন অসংখ্য মানুষ, সেই সঙ্গে কান পেতে গাছের কথা শোনার চেষ্টাও করছেন অনেকে। জানা গেছে, গত ১৪ জুন সবুর মিয়ার ওই বাগানে স্থানীয় জুয়েল মোল্লার ছেলে নীরবসহ কয়েকজন শিশু গাছ কাটতে যায়। বাগানে গিয়ে তারা গাছে আঘাত করলেই সেটি কথা বলে ওঠে। পরে ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়। অনেকে বলছেন, গাছটিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করলেও সেটি তার উত্তর দিচ্ছে। অনেক দর্শনার্থী গাছের কথা শুনতে পান দাবি করে এটি ‘অলৌকিক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন। মুকসুদপুর উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের মেম্বার সাদ্দাম হোসেনসহ স্থানীয় লিয়াকত হোসেন, টেকেরহাট গ্রামের রাসেল, গর্জিনা গ্রামের গণি মিয়াসহ আগন্তুকরা গাছের গায়ে কান পেতে কথা শোনার চেষ্টা করেন। অনেকে দাবি করেছেন তারা কথা শুনতে পেয়েছেন। তবে প্রতিবেদক গাছে কান পেতে কিছু শুনতে পাননি বলে জানিয়েছেন। স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ বাদশা এ বিষয়ে বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনাকে ইসলাম সমর্থন করে না। তবে জিন গাছের মধ্যে আটকে রাখার কারণে এমনটি হতে পারে।’ গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের উদ্ভিদ বিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শুকলাল বিশ্বাস বলেন, ‘গাছের প্রাণ থাকলেও এটি চলাচল করতে যেমন পারে না। এর কোন কোনো ভোকাল নেই। যা হচ্ছে তা গুজব। যা বিজ্ঞান সমর্থন করে না।’
বেনজীরের সাভানা পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে শনিবার 
সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক খুলে দেওয়া হচ্ছে।  শনিবার (১৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে দর্শনার্থীরা এ পার্কে প্রবেশ করতে পারবেন। শুক্রবার (১৪ জুন) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পার্ক পর্যবেক্ষণ ও তদারকির কমিটির সদস্যসচিব ও গোপালগঞ্জ দুর্নীতি দমন কমিশনের উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১০ দিন বন্ধ থাকার পর জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় শনিবার সকাল ৮টা থেকে সর্বসাধারণের জন্য পার্কটি সীমিত আকারে খুলে দেওয়া হবে। এতে দর্শনার্থীরা আগের মতো ১০০ টাকা গেট ফি দিয়ে পার্কের ভেতরে প্রবেশ করতে এবং ঘুরতে পারবেন। তিনি আরও বলেন, দর্শনার্থীদের বিনোদনের জন্য পার্কের বিভিন্ন রাইড খুলে দেওয়া হলেও কটেজ বন্ধ থাকবে। পার্কের সব আয় রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা দেওয়া হবে। এ বিষয়ে আজ বিকেলে পর্যবেক্ষণ ও তদারক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। উল্লেখ্য, গত ৪ জুন সার্ভার জটিলতা দেখিয়ে সাময়িকভাবে পার্ক বন্ধ করে দিয়েছিল কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে পার্কে দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ছিল। গত ৭ জুন রাতে আদালতের নির্দেশে রিসিভার নিয়োগ করে পার্কটি নিয়ন্ত্রণ নেয় জেলা প্রশাসন।
সংখ্যালঘুদের জমি দখল বেনজীরের, প্রধানমন্ত্রীর কাছে যে আরজি রানা দাশগুপ্তের
সংখ্যালঘুদের জমি পুলিশের সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ যেভাবে দখল করেছেন, সেই বর্ণনা শুনতে ওই এলাকা ঘুরে দেখার অনুরোধ করেছেন হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রানা দাশগুপ্ত। এ সময় তিনি গোপালগঞ্জে হিন্দুদের শত শত বিঘা জমি দখল করার অভিযোগ আনেন। রানা দাশগুপ্ত প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করে বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এলাকাটি আপনারই। আপনি (প্রধানমন্ত্রী) একবার এলাকায় আসুন, আপনি দেখে যান, বেনজীর কীভাবে এখানকার সংখ্যালঘুদের জায়গা-জমি জবরদখল করেছেন। আমরা আবেদন জানাই, যাদের সম্পত্তিগুলো দখল করা হয়েছে, তাদের সম্পত্তিগুলো ফেরত দেওয়া হোক।’ শুক্রবার (৬ জুন) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জে বেনজীর আহমেদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় ভুক্তভোগী লোকজনের সঙ্গে কথা বলেন রানা দাশগুপ্ত। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘কৃষির ওপর নির্ভরশীল ওই এলাকার মানুষদের জমি দখল করে ফেলায় তাদের দৈনন্দিন জীবনে বিশাল অর্থনৈতিক সংকট নেমে এসেছে। হিন্দুদের শত শত বিঘা জমি জোর করে, হুমকি দিয়ে, নানাভাবে চক্রান্ত করে বেনজীর দখল করে নিয়েছেন। শুধু দখলই করেননি, কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে এমনভাবে চারদিকে বেষ্টনী করেছেন। যাতে অন্য কেউ ওই জায়গায় প্রবেশ করতে না পারে।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মনে হয়, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞাগুলো এদের (বেনজীর ও জেনারেল আজিজ) কারণেই হয়েছে। হয়তো নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার সময় আমরা এই বিষয়গুলো জানতাম না বলেই অনেক সময় মনে করেছি, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশবিরোধী ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।’ এ সময় হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তাপস কুমার পাল, মনিন্দ্র কুমার নাথ, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনুপ কুমার সাহা, পরিষদের গোপালগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার বিশ্বাস, সহসভাপতি শিপ্রা বিশ্বাস, সদস্য ডেভিড বৈদ্য প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‍্যাবের মহাপরিচালক এবং ২০২০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত আইজিপি থাকার সময়ে বেনজীর আহমেদ গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা (দুদকের তথ্য অনুযায়ী) জমির ওপর গড়ে তোলেন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক। এ রিসোর্ট ও পার্কের সব জমি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজনের বলে দাবি স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাদের ভাষ্য, ভয় দেখিয়ে, জোর করে ও নানা কৌশলে জমি কেনা হলেও অনেক জমি দখল করা হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে সংবাদ প্রকাশিত হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। পরে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা জব্দের নির্দেশ দেন আদালত।
বেনজীরের সাভানা ইকো রিসোর্ট বন্ধ ঘোষণা
নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি আত্মসাৎ ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের দায়ে অভিযুক্ত পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বেশ আলোচনায় রয়েছেন। এবার গোপালগঞ্জে বেনজীর ও তার পরিবারের সদস্যদের মালিকানাধীন সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  সোমবার (৩ জুন) সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বির বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সোমবার থেকে আর পার্কে কেউ প্রবেশ করতে পারবেন না। জানা গেছে, বেনজীর আহমেদ ২০১৫ থেকে ২০২০ সালে র‌্যাবের মহাপরিচালক এবং  ২০২০ সাল থেকে থেকে ২০২২ পর্যন্ত পুলিশের আইজিপি ছিলেন। এ সময়ে গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার বৈরাগীটোল গ্রামে ৬২১ বিঘা জমির ওপর সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্ক গড়ে তোলেন। পার্কটি করতে নির্যাতন ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সংখ্যালঘুদের জমি কেনা হলেও অভিযোগ আছে এটির সিংহভাগ জমিই দখল করা হয়। বিষয়টি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে দুদক তদন্ত শুরু করে। পরে আদালত সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কসহ বিভিন্ন স্থাপনা ক্রোকের নির্দেশ দেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে রাতের আধারে ট্রাকের করে মালামাল সরিয়ে নেন বেনজীরের পরিবার। এদিকে এলাকাবাসী কিংবা ভুক্তভোগীরা গণমাধ্যমে এ বিষয়ে বক্তব্য দিলে পার্ক কর্তৃপক্ষ পুলিশ এনে হামলা চালানোর অভিযোগ আছে। পুলিশের লাঠির আঘাতে ইকোপার্ক-সংলগ্ন সাহাপুর ইউনিয়নের বৈরাগীটোল গ্রামের বিনোদ বিহারি বলের ছেলে বিপ্লব বল, সন্তোষ বলের ছেলে সঞ্জয় বল ও সাগর বল এবং ওই এলাকার রনি নামের এক যুবক আহতও হয়েছেন। এলাকাবাসী জানায়, পার্কের নিরাপত্তার জন্য পুলিশ মোতায়েন করা হলেও সোমবার থেকে সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। সাভানা ইকো রিসোর্ট অ্যান্ড ন্যাচারাল পার্কের বুকিং ম্যানেজার মো. সাব্বিরের জানান, ‘আপাতত পার্কের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। পার্কের সার্ভারের সমস্যার কারণে দর্শনার্থীদের ভিতরে প্রবেশ করার যাচ্ছে না। যার কারণে কয়েক দিনের জন্য পার্ক বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সার্ভার সমস্যা সমাধন হলে আগামী ৪ থেকে ৫ দিনের মধ্যে পার্ক খুলে দেওয়া হবে।’
টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গ্রেপ্তার
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক বি এম মাহমুদুল হককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে স্থানীয় পাটগাতী বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।  শনিবার(১ জুন) সকাল ৯টার দিকে টুঙ্গিপাড়া থানা পুলিশ তাকে আদালতে পাঠিয়েছে।  জানা যায়, গত ৮ মে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলার সবগুলো ভোটকেন্দ্রে সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হলেও গিমাডাঙ্গা আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রে বিশৃঙ্খল পরিবেশের সৃষ্টি হয়। ভোটকেন্দ্র দখলের চেষ্টা করা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে দায়িত্বরত পুলিশের এসআই বদিয়ার রহমান হামলার শিকার হন এবং তার ব্যবহৃত মোটর-বাইকটি বাইক ভাঙচুর করা হয়। একপর্যায়ে পুলিশ রাবার বুলেট ছুড়তে বাধ্য হয়। সাময়িকভাবে ভোটগ্রহণও স্থগিত হয় এবং চরম বিশৃঙ্খল পরিবেশের মধ্য দিয়ে সেখানে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।  টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি খন্দকার আমিনুর রহমান জানিয়েছেন, এ ঘটনায় পরদিন ৯ মে আহত এসআই বদিয়ার রহমান বাদী হয়ে নামীয় ২২ জন ও অজ্ঞাত আরও ২শ’ জনের বিরুদ্ধে টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে আইডিয়াল স্কুল কেন্দ্রের ভিডিও ফুটেজ নিবিড়ভাবে পর্যালোচনা করে বি এম মাহমুদুল হকের সংশ্লিষ্টতাসহ পুলিশের উপর হামলায় তার উস্কানি  দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং শনিবার সকালে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।