• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা হত্যা, প্রতিবাদে গোপালগঞ্জে বিক্ষোভ মিছিল 
বিএনপি নেতার স্ত্রীকে আ.লীগ নেতার ধর্ষণ
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে এক আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে বিএনপির স্থানীয় এক নেতার স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।  ধর্ষণের শিকার ওই নারী সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) গোপালগঞ্জে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দুজনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনক (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। আসামিরা হলেন মুকসুদপুর উপজেলার উজানী গ্রামের মতি মোল্লার ছেলে আকরাম মোল্লা (৩৫)। তিনি উজানি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। অন্য আসামি একই উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের অনিল কৃষ্ণ মণ্ডলের ছেলে পরিতোষ মণ্ডল (৪৫)। তাকে ধর্ষণের সহযোগী হিসেবে আসামি করা হয়েছে। মামলা সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ওই নারীর স্বামীকে মুকসুদপুর থানার একটি মামলায় বেশ কিছুদিন আগে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর থেকে ভুক্তভোগীকে আদালতের সব কাজে সহযোগিতা করতেন অভিযুক্ত আওয়ামী লীগ নেতা আকরাম মোল্লা। তারই ধারাবাহিকতায় গত ৩১ আগস্ট আদালতে যাওয়ার কথা বলে তিনি ওই নারীকে পার্শ্ববর্তী গ্রাম নিশ্চিন্তপুরে আরেক অভিযুক্ত পরিতোষ মণ্ডলের বাড়িতে নিয়ে যান। পরে সেখানে তার সহযোগিতায় তিনি ওই নারীকে ধর্ষণ করেন। এ সময় ওই নারী চিৎকার করলে পরিতোষ তার বাসার সাউন্ডবক্সে ফুল ভলিউমে গান ছেড়ে দেন। পরে ওইদিন ভুক্তভোগী মুকসুদপুর থানায় মামলা করতে গেলে পুলিশ মামলা নেয়নি। আজ গোপালগঞ্জের আদালতে তিনি মামলা করেন। এ বিষয়ে উজানি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি শ্যামল কান্তি ঘোষ গণমাধ্যমকে বলেন, বাদী এবং অভিযুক্ত একে অপরের আত্মীয়। বাদীর স্বামীকে পুলিশ গ্রেপ্তারের পর থেকে দেখতাম তারা একসঙ্গে কোর্টে যেত। তবে ধর্ষণের ঘটনা আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হলে আমরা উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে আকরামকে বহিষ্কার করব। এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আকরাম মোল্লার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। জানা গেছে, বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর থেকেই তিনিসহ তার সহযোগী পলাতক রয়েছেন। আরটিভি/আইএম-টি
গ্রিন কার্ড পেয়েছেন স্বামী, ইতালি যাওয়া হলো না তানিয়ার
গোপালগঞ্জে বাস-ট্রাক সংঘর্ষ, নিহত ৫
হেলিকপ্টার দেখে ‘হাত নাড়িয়ে’ গ্রেপ্তার হন গোপালগঞ্জের প্রশান্ত 
জিআই স্বীকৃতি পেল গোপালগঞ্জের ব্রোঞ্জের গয়না
কোটা বহালের প্রতিবাদে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ 
সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবিতে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করেছেন গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ সময় মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পেছনের চরপাথালিয়া এলাকা হয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন শিক্ষার্থীরা।  কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা ‘জ্বালোরে জালো, আগুন জ্বালো’, ‘কোটাবৈষম্য নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’, ‘মেধাবীদের যাচাই করো, কোটাপদ্ধতি বাতিল করো’, ‘আঠারোর হাতিয়ার, গর্জে উঠো আরেকবার’, ‘জেগেছে রে জেগেছে, ছাত্রসমাজ জেগেছে’, ‘বাতিল চাই বাতিল চাই, কোটা প্রথা বাতিল চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন। আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললে তারা জানান, ‘কোটা প্রথার কারণে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা মূল্যায়িত হচ্ছেন না। দেশের প্রশাসনে মেধাবী শিক্ষার্থীরা সুযোগ না পাওয়াই দুর্নীতিতে ভরপুর সকল সেক্টর। যেখানে মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জন্য গর্বের, সেটাতে আমরা কোটা প্রয়োগ করে করুণার জায়গা বানিয়ে ফেলছি। এই কোটা প্রথা অযৌক্তিক। অবিলম্বে কোটা প্রথা বাতিল করা হোক।’ এ সময় শিক্ষার্থীরা কোটা বাতিলের দাবি মানা না হলে কঠোর আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পাশাপশি ক্লাস ও পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। অবরোধ চলাকালে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের দুপাশে বেশ কিছু যানবাহন আটকা পড়ে। এর ফলে ভোগান্তিতে পড়েন খুলনা বরিশাল সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের সাধারণ যাত্রীরা।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও দোয়া মোনাজাত করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তিনি। এর আগে বিকেলে পদ্মা সেতু প্রকল্পের সমাপনী অনুষ্ঠান শেষে নিজ বাড়ি টুঙ্গিপাড়ায় সড়ক পথে রওনা হন প্রধানমন্ত্রী।   জানা যায়, টুঙ্গিপাড়ায় বেশ কয়েকটি কর্মসূচিতে অংশ নেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রাতে প্রধানমন্ত্রী তার নিজ বাসভবনে রাত যাপন করবেন। শনিবার (৬ জুলাই) সকালে দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন প্রধানমন্ত্রী। বেলা ১১টায় জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত জিটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার উদ্বোধন, ‘এসো বঙ্গবন্ধুকে জানি’ শীর্ষক অ্যালবামের মোড়ক উন্মোচন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন। দুপুর ১২টায় নবনির্মিত টুঙ্গিপাড়া মাল্টিপারপাস পৌর সুপার মার্কেট পরিদর্শন করবেন। দুপুরে প্রধানমন্ত্রী নিজ বাসভবনে জোহরের নামাজ আদায় করবেন এবং মধ্যাহ্ন ভোজ করবেন। বিকেল সাড়ে ৩টায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেল ৪টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবেন তিনি। গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, টুঙ্গিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর সফর নিরাপদ করার জন্য আমরা সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে নিরাপত্তা সমন্বয় সভা করেছি।
গোপালগঞ্জে সাপের কামড়ে প্রাণ গেল যুবকের
গোপালগঞ্জে সাপের কামড়ে আলমগীর মুন্সী (৩৮) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপেজলার গোবিন্দপুর ইউনিয়নের গোপালপুর গ্রামের বাড়ির পাশের মাঠে তাকে সাপে কাটে। পরে স্থানীয়রা উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনলে কতর্ব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. জাহিদুল ইসলাম। নিহত আলমগীর মুন্সী গোপালপুর গ্রামের আজিজ মুন্সীর ছেলে। এ ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানান, আলমগীর মুন্সী দুপুর ৩টার দিকে স্থানীয় মাঠে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যান। পরে পরিবার খবর পায় তাকে সাপে কামড়িয়েছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাকে নিয়ে চিকিৎসার জন্য মুকসুদপুর হাসপাতালে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। তিনি গোপালপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরির চাকরি করতেন। এ বিষয়ে ডা. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘হাসপাতালে আনার পর তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, বিষধর কোনো সাপ দংশন করেছে তাকে।’
নকলে বাধা দেওয়ায় শিক্ষকের মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত
পরীক্ষার হলে নকল করতে না দেওয়ায় মাথায় পচা ডিম ভেঙে গোপালগঞ্জের সরকারি শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাসকে লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। সোমবার (১ জুলাই) সন্ধ্যায় গোপালগঞ্জ সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাসে লাঞ্ছিত করার এ ঘটনা ঘটে।  বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোপালগঞ্জ সদর থানার ওসি মোহাম্মদ আনিছুর রহমান। জানা যায়, এ ঘটনায় ওইদিন রাতেই ৪ পরীক্ষার্থীকে আসামি করে সদর থানায় মামলা করেন সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস।  এ দিকে শিক্ষক লাঞ্ছিতের এমন ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও এতে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জেলার শিক্ষক সমাজ ও শিক্ষার্থীরা। ভুক্তভোগী সহকারী অধ্যাপক মৃণাল বিশ্বাস বলেন, ‘সেদিন সরকারি বঙ্গবন্ধু কলেজের শিক্ষার্থীদের অনার্স চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষা শেখ ফজিলাতুন্নেছা সরকারি মহিলা কলেজ কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। গত ১২ জুন ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালে ৪০৮ নম্বর কক্ষের পরীক্ষার্থী আল মামুন মুন্সী, মো. হাফিজুর রহমান মিনা, লিটন মোল্লা ও নজরুল ইসলাম দেখাদেখি ও কথা বলাবলি করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তখন আমি তাদের বারবার সতর্ক করি। এতে ওই শিক্ষার্থীরা আমার সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে পড়েন। এবং পরীক্ষা শেষের দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আমাকে।’ মৃণাল বিশ্বাস আরও বলেন, ‘১ জুলাই শেষ হয় চতুর্থ বর্ষের অনার্স পরীক্ষা। পরীক্ষার দায়িত্ব পালন শেষে শহরের উদয়ন রোডের বাসায় যাচ্ছিলেন। বঙ্গবন্ধু কলেজ ক্যাম্পাস অডিটোরিয়াম সড়কে পৌঁছানো মাত্র তাকে পেছন থেকে আঘাত করে মাথায় পচা ডিম ভেঙে লাঞ্ছিত করে ওই পরীক্ষার্থীরা।’ এ বিষয়ে অধ্যক্ষ শেখ বেনজীর আহমেদ বলেন, ‘এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার দাবি করছি।’ গোপালগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আনিছুর রহমান বলেন, ‘ঘটনার দিন রাতে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক থানায় অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা সেটিকে আমলে নিয়ে রাতেই অভিযান চালিয়েছিলাম। এটি একটি ন্যক্কারজনক ঘটনা। দ্রুতই আমরা দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
দুদিনের সফরে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুদিনের এক ব্যক্তিগত সফরে টুঙ্গিপাড়া যাচ্ছেন শুক্রবার। সেখানে অবস্থানকালীন তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও কবর জিয়ারত, বঙ্গবন্ধুর স্মৃতি বিজড়িত গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (জিটি স্কুল) বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন ও শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ এবং দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়সহ কিছু কর্মসূচিতে অংশ নেবেন বলে জানা গেছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের খবরে প্রাণ চঞ্চল হয়ে উঠেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রস্তুতি। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধুর মাজার কমপ্লেক্সসহ তার গন্তব্যস্থলগুলোর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও শোভা বর্ধনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর আগমনের অপেক্ষায় রয়েছেন দলীয় নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষ।  স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পদ্মা সেতুর দ্বিতীয় বার্ষিকী উপলক্ষে শুক্রবার মুন্সীগঞ্জে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই অনুষ্ঠান শেষে তিনি সড়কপথে টুঙ্গিপাড়ায় যাবেন। সেখানে পৌঁছে তিনি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন এবং পবিত্র ফাতেহাপাঠ ও মোনাজাত করবেন। পরে টুঙ্গিপাড়ায় তার নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন। শনিবার তিনি গিমাডাঙ্গা-টুঙ্গিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে (জিটি স্কুল) বঙ্গবন্ধু কর্ণার উদ্বোধন করবেন এবং শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা-উপকরণ বিতরণ করবেন। পরে বিকেলে তিনি ঢাকায় ফিরে যাবেন। এ ছাড়াও টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করতে পারেন বলে খবর পাওয়া গেছে।  জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এ সফরকে ঘিরে জেলায় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে।’
কেটে ফেলা হলো ‘কথা বলা’ সেই গাছ 
গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে গুজবে কান দিয়ে ‘কথা বলা গাছ’ দেখতে মানুষের ঢল নেমেছে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গাছে কান পাতলে নারী কণ্ঠে তারা কথা শুনতে পাচ্ছেন। বিষয়টিকে গুজব ও ভুয়া দাবি করে আলোচিত সেই গাছটিকে কেটে ফেলেছে স্থানীয় প্রশাসন।  শনিবার (২২ জুন) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মুকসুদপুর থানার ওসি জিল্লুর রহমান।  তিনি বলেন, ‘গাছে কথা শোনা যায় বিষয়টি গুজব। আমাদের দৃষ্টিগোচর হওয়ার পর আমরা ওই এলাকায় গিয়ে সরেজমিনে গিয়ে দেখি। বিষয়টি আমাদের কাছে ভুয়া মনে হয়েছে। এ ছাড়া আমরা কান পেতে দেখেছি। কোনো কথা শোনা যায় না। পরে আমরা গাছটি কেটে ফেলি।’ এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান সাহিদুর রহমান টুটুল বলেন, ‘প্রশাসনের হস্তক্ষেপে গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। এ সময় গাছ কাঁটা দেখতে ভিড় করেন এলাকাবাসী।’ তবে স্থানীয় কয়েকজন বাসিন্দার দাবি, গত এক সপ্তাহ আগে উপজেলার রাঘদি ইউনিয়নের গজিনা গ্রামে নিরব নামে পাঁচ বছর বয়সী এক শিশু গাছটিতে ধারালো দা দিয়ে কোপ দিলে গাছ বলে ওঠে ‘আমাকে মারিস না’। পরে সে এ ঘটনা পাশের একজন মহিলাকে বললে, বিষয়টি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। দলে দলে এসে গাছে কান পেতে শোনার চেষ্টা করে সবাই। তাদেরও একই দাবি, গাছে কান পাতলে নারী কণ্ঠে কান্নার আওয়াজ শোনা যাচ্ছে। কেউ সালামের উত্তর শুনছেন, আবার কেউ কান্না বা আর্তনাদের আওয়াজ শুনছেন। আবার অনেকেই বলছেন ভুয়া। কান পাতলে গাছ ও পাতা নড়ার শব্দ শোনা যায়। এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের সহকারী অধ্যাপক নাহমিনা বেগম বলেন, ‘গাছে কান পাতলে কথা শোনা যায় এটার বৈজ্ঞানিক কোনো ভিত্তি নেই। তবে গাছের একটি শক্ত নেটওয়ার্ক রুট রয়েছে। যা অনেকদূর নিয়ে বিস্তৃত। এর মাধ্যমে এক গাছ আরেক গাছকে উপকার করে থাকে। তবে গাছে কান পাতলে কথা শোনার বিষয়টি পুরোটাই কুসংস্কার।’