• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিহত ১
হামলায় আহত সেই ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন
প্রতিপক্ষের হামলায় গুরুতর আহত হওয়ার ৮ দিন পর মানিকগঞ্জের শিবালয়ের ছাত্রলীগ নেতা রাকিব মোল্লা (২৫) মারা গেছেন। সোমবার (১৫ জুলাই) ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। নিহত ডিএল রাকিব উপজেলার দশচিড়া গ্রামের লাবলু মোল্লার ছেলে ও উলাইল ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। জানা গেছে, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কয়েক মাস ধরে দুই পক্ষের চরম দ্বন্দ্ব চলছিল। তার জের ধরে গত ৭ জুলাই সন্ধ্যায় দশচিড়া খেলার মাঠ এলাকায় প্রতিপক্ষের লোকজন তাকে কুপিয়ে মারাত্মকভাবে আহত করে। পরে তাকে উদ্ধার করে ঢাকায় জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনবার্সন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) ভর্তি করা হয়। ঘটনার আট দিন পর সোমবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘গত এপ্রিল মাসে স্থানীয় আলমগীর হোসেন ও রাকিবের সঙ্গে দ্বন্দ্বের জেরে থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। মাসখানেক আগে রাকিব আলমগীর পক্ষের লোকজনকে মারধর করে। এর জের ধরেই রাকিবের ওপর হামলা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‌‘ছাত্রলীগ নেতা মৃত্যুর ঘটনায় কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৬ ঘণ্টায় কুকুর-বিড়াল-শিয়ালের কামড়ে মানিকগঞ্জে আহত ৭৫
গরু চুরির ঘটনায় ২ এসআইসহ ৪ পুলিশকে প্রত্যাহার
অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সংগীতশিল্পী খোকন 
অনুষ্ঠানে হারিয়ে গেল এমপির আইফোন ‘৪০ প্রো ম্যাক্স’!
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সিংগাইর থানায় একটি জিডি করেছেন এমপির সহকারী দেওয়ান মাহাবুব হোসেন। সেই জিডি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর ‘আইফোন ৪০ প্রো ম্যাক্স’ মোবইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। তবে এই মডেলের কোন ফোন এখনো বাজারে আনেনি অ্যাপল। এ ছাড়া জিডিতে ফোনটিকে অ্যান্ড্রোয়েড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস। জানা গেছে, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিংগাইর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। সন্ধ্যার পর কেক কাটার অনুষ্ঠানে আনন্দ-উল্লাসের সময় মঞ্চের টেবিলে থাকা তার মোবাইলটি হারিয়ে যায়। পরে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের সহকারী দেওয়ান মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘রোববার ফোনটি খোয়া গেছে। ফোনটি হারিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। তাড়াহুড়া করে করার ফলে হয়তো জিডিতে ভুল হয়েছে। ফোনের মডেল আইফোন ‘১৪ প্রো ম্যাক্স’, ৪০ নয়। ভুলের বিষয়টি আমি দেখছি।’ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমন চক্রবর্তী বলেন, ‘এমপির পিএস জিডি করতে এসেছিলেন। তিনি যেভাবে বলেছেন সেভাবেই জিডি নথিভুক্ত করা হয়েছে। হয়তো বলতে ভুল করেছেন বা শোনার ভুল হয়েছে তবে আমরা এইটা ঠিক করে ফেলব। ফোন উদ্ধারে মডেল বা ওএস খুব বেশি জরুরি না। আইএমই নম্বরই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ফোন উদ্ধারে কাজ করছি তবে এখনো ফোনটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
সেতুর নিচ থেকে কারা হিসাবরক্ষকের মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগীর সেতুর নিচে ধলেশ্বরী নদী এলাকা থেকে শহিদুল ইসলাম (৫২) নামের এক কারা হিসাবরক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ জুন) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের ভাজ দারগাতী এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি গাজীপুর কারাগারের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে তার কর্মস্থল গাজীপুর থেকে মানিকগঞ্জে আসছিলেন। সর্বশেষ রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে তার মেয়ের কথা হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সোমবার সকালে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে জানান।  এদিকে জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ ফোনে খবর পেরে জাগীর সেতুর নিচ থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, উদ্ধার মরদেহটি নিখোঁজ কারা হিসাবরক্ষকের। নিহতের সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও বলা সম্ভব হচ্ছে না। পথিমধ্যে তাকে বহনকারী যানবাহন থেকে সেতুর নিচে ফেলে দেওয়ার পর তিনি মারা গিয়ে থাকতে পারেন।
ভোটের ফল ঘোষণায় বিলম্ব, ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক অবরোধ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাচনে ফল ঘোষণায় বিলম্ব হওয়ায় আধা ঘণ্টা ঢাকা–আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখে মোটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী সুদেব সাহার কর্মী সমর্থকরা। এ সময় মহাসড়কে আটকে চরম দুর্ভোগে পড়েন পরিবহন চালক ও যাত্রীরা। বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত সদর উপজেলা পরিষদের সামনে কয়েক হাজার মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। পরে পুলিশ, র‍্যাব, ও বিজিবি ঘটনাস্থলে এসে অবরোধকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।  এ সময় সুদেব সাহার কর্মী সমর্থকরা ভোট কারচুপির অভিযোগ করেন। তাদের দাবি, সদর উপজেলার ১১০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ৪১ কেন্দ্রের ফলাফলে সুদেব সাহা প্রায় সারে ছয় হাজার ভোটে এগিয়ে আছেন।  অবরোধকারীরা অভিযোগ করে জানান, স্থানীয় সংসদ সদস্য জাহিদ মালেকের ফুপাতো ভাই চেয়ারম্যান প্রার্থী ইসরাফিল হোসেনের নিজ গ্রাম গড়পাড়া ইউনিয়নের ফলাফল ঘোষণা করা হচ্ছে না। তারা শঙ্কা প্রকাশ করছেন সুদেব সাহাকে পরিকল্পিতভাবে হারিয়ে দেওয়ার জন্য ফল ঘোষণায় বিলম্ব করা হচ্ছে। সুদেব কুমার সাহা বলেন, কেন্দ্রগুলোতে ফল ঘোষণা হলেও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে ফল ঘোষণায় বিলম্ব হচ্ছে। এতে ফলাফল কারচুপির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ পরিস্থিতিতে তার কর্মী ও সমর্থকরা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ বিষয়ে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, ফল ঘোষণা বিলম্ব হওয়ায় এক প্রার্থীর কর্মীসমর্থকেরা ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করেন। পরে তাদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।  
গলায় লিচুর বিচি আটকে আ.লীগ নেতার মৃত্যু
মানিকগঞ্জের ঘিওরে গলায় লিচুর বিচি আটকে শ্বাসরোধে আবদুল মজিদ মিয়া (৬৫) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে।  মঙ্গলবার (১৪ মে) উপজেলার বড়টিয়া ইউনিয়নের কলিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আবদুল মজিদ মিয়া ওই গ্রামের মৃত আবুল কাশেম মিয়ার ছেলে।  তিনি বড়টিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বড়টিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম রওশন। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা মজিদ মিয়া বিকেলে বাড়িতে লিচু খাচ্ছিলেন। এ সময় হঠাৎ একটি লিচুর বিচি তার গলায় আটকে যায়। পরে তাকে দ্রুত শিবালয় উপজেলা পরিষদ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’  এ সময় গলায় লিচুর বিচি আটকানোর কারণে শ্বাসরোধ হয়ে তার মৃত্যু হয়েছে বলে চিকিৎসকরা নিশ্চিত করেছেন বলেও জানান তিনি।
‘আমারে মাটি দিব ছেলে, এহন আমারেই দিতে হইবো মাটি’
চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় স্কোয়াড্রন লিডার আসিম জাওয়াদ রিফাত নিহত হয়েছেন। মানিকগঞ্জে নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা আক্তার খানম। তার আহাজারিতে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন এলাকাবাসী। তাকে কোনোভাবে সামাল দিতে পারছেন না প্রতিবেশী আত্মীয়রা।  বৃহস্পতিবার (৯ মে) মানিকগঞ্জে শহরের পশ্চিম দাশড়ায় জাওয়াদ রিফাতের বাড়িতে এ দৃশ্য দেখা যায়।  জাওয়াদ রিফাতের মা নিলুফা আক্তার কাঁদছেন আর বলছেন, ‘আমার ছেলে প্রতিদিন সকালে ফোন করে। কিন্তু আজ এখন পর্যন্ত ফোন করেনি। কখন আসবে জাওয়াদের ফোন। আমি আছি অথচ আমার ছেলে নাই এটা কেমন কথা। আমারে মাটি দিব আমার ছেলে। আর এহন আমারে দিতে হইবো তাকে মাটি।’  জানা গেছে, সাভার ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের সাবেক শিক্ষক নিলুফা আক্তার খানম ও চিকিৎসক আমানুল্লাহর একমাত্র সন্তান ছিলেন আসিম জাওয়াদ রিফাত। একমাত্র সন্তানকে হারিয়ে কান্না করতে করতে মূর্ছা যাচ্ছেন মা নিলুফা।  নিহত জাওয়াদের বড় মামা সুরুজ খান জানান, অত্যন্ত মেধাবী ছিল জাওয়াদ। স্কুল ও কলেজজীবনে সব সময় প্রথম হয়েছে। ছোটবেলা থেকে জাওয়াদের স্বপ্ন ছিল পাইলট হওয়ার। কিন্তু সে স্বপ্ন পূরণ হয়ে পাইলটও হয়েছিল। কিন্তু সেটি ছিল মাত্র অল্প সময়ের জন্য। পরিবারের মাথায় বাজ নেমে পড়েছে জাওয়াদকে হারিয়ে।’ আগামীকাল শুক্রবার জাওয়াদের মরদেহ মানিকগঞ্জে আনা হবে বলে জানান তিনি।  জাওয়াদের খালাতো ভাই মশিউর রহমান শিমুল জানান, ২০০৮ সালে বাংলাদেশ এয়ারফোর্স অ্যাকাডেমিতে (বাফা) যোগদান করে ২০১১ সালে অফিসার হিসেবে কমিশন লাভ করেন জাওয়াদ। তার ছয় বছরের এক কন্যাসন্তান ও এক বছর বয়সী এক ছেলেসন্তান রয়েছে। স্ত্রী রিফাত অন্তরাসহ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় থাকেন তারা। 
মানিকগঞ্জের দুই উপজেলায় চেয়ারম্যান হলেন যারা
 মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে তৃতীয়বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও দুযোর্গ বিষয়ক সম্পাদক দেওয়ান সাইদুর রহমান। তিনি পেয়েছেন ৩১ হাজার ৮৪৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি সাদ্দাম হোসেন পেয়েছেন ২০ হাজার ১৬৪ ভোট। বিএনপি থেকে বহিস্কৃত জাহিদুর রহমান তুষার পেয়েছেন ৯ হাজার ৪০০ ভোট। অপর দিকে সিঙ্গাইর উপজেলা পরিষদ  নির্বাচনে ৪৭ হাজার ৯৮৮ ভোট পেয়ে প্রথমবারের মতো চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সায়েদুল ইসলাম। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল মাজেদ খান পেয়েছেন ৩৮ হাজার ২১৪ ভোট। অন্য প্রার্থী আবদুল হাকিম পেয়েছেন ৬ হাজার ৪০০ ভোট। হরিরামপুরে ভাইস চেয়ারম্যান পদে ১৯ হাজার ১০৪ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন উপজেলা কৃষক লীগের আহবায়ক মো. বিল্লাল হোসেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী বিএনপি থেকে বহিস্কৃত মোশাররফ হোসেন পেয়েছেন ১৫ হাজার ১৬৫ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা আক্তার চায়না ২৯ হাজার ৩৩২ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী জোসনা বেগম পেয়েছেন ২০ হাজার ৫০১ ভোট। সিঙ্গাইর উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান পদে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক রমিজ উদ্দিন ৪৫ হাজার ৭৫৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তাঁর নিকটতম প্রার্থী আবদুস সালাম পেয়েছেন ৩০ হাজার ৬২৯ ভোট এবং বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত প্রার্থী তোফাজ্জল হোসেন পেয়েছেন ১৬ হাজার২১৩ ভোট। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৬৯ হাজার ৬৮১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারা খাতুন। তার একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ও বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত আফরোজা খান লিপি পেয়েছেন ২২ হাজার ৮২৮ ভোট। জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং কর্মকতা মোহাম্মদ আমিনুর রহমান মিঞা বলেন, ‘জেলার দুটি উপজেলায়(সিংগাইর ও হরিরামপুর) সুষ্ঠুভাবে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। কোনও ধরণে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়াই সকাল ৮ থেকে শুরু হওয়া ভোটগ্রহণ বিকেলে ৪ টায় শেষ হয়।