• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
অন্যায়কারী পুলিশের বিচার করতে হবে: সারজিস আলম  
পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চালু হবে বিদ্যুতের লাইন: জ্বালানি উপদেষ্টা
পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের লাইন চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। শনিবার (২৪ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া এলাকায় ৩৫ মেগাওয়াটের স্পেক্টা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা জানান তিনি। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, বন্যাকবলিত এলাকায় দুর্ঘটনা এড়াতে বিদ্যুতের লাইন বন্ধ রাখা হয়েছে। ইতোমধ্যে ক্ষয়ক্ষতির তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পানি নেমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুতের লাইন চালু করা হবে। মুহাম্মদ ফাওজুল কবির আরও বলেন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানিখাতে বিগত সময়গুলোতে ব্যাপক অনিয়ম হয়েছে। ২০১০ সালে আইন করার মাধ্যমে কোনো প্রতিযোগিতা ছাড়াই প্রকল্প নেওয়া হতো। এর মধ্যদিয়ে খাতিরের লোকদের প্রকল্প দেওয়া হয়েছে। ইচ্ছেমতো দাম বাড়ানো হতো। উদ্দেশ্য ছিলে অনিয়মের মাধ্যমে বেশি দামে বিদ্যুৎ কিনে, নানা অজুহাতে গ্রাহকের কাছে বেশি দামে বিক্রি করা। এ সময় মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক রেহেনা আকতার, স্পেক্টা সোলার পাওয়ার প্ল্যান্ট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার আফতাব উদ্দিন খান বাচ্চু, মানিকগঞ্জ পাওয়ার গ্রিডের নির্বাহী প্রকৌশলী গিয়াস উদ্দিন, শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেনসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
দোকান দখলের অভিযোগে যুবদল নেতাকে বহিষ্কার
কারও বাড়িঘর ভাঙচুর করলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার: বিএনপি নেত্রী রিতা
বাল্কহেডের ধাক্কায় পিকনিকের ট্রলারডুবি, নিহত ১
হামলায় আহত সেই ছাত্রলীগ নেতা মারা গেছেন
মানিকগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতা ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মানিকগঞ্জের সিংগাইর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুর রহমান ওরফে ভিপি শহীদ ও তার স্ত্রী জেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক নারগীছ আক্তারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে (ঢাকা-১) মামলা দুটি করা হয়। প্রায় সাড়ে ৩ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ৩০ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। বুধবার (১০ জুলাই) বিষয়টি নিশ্চিত করেন মামলার বাদী দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক আল আমীন। মামলার এজাহারে বলা হয়, সম্পদ বিবরণীতে শহিদুর রহমানের আয়কর নথি পর্যালোচনায় দেখা যায়, ২০১৯-২০ ও ২০২০-২১ করবর্ষে তার ব্যয়সহ অর্জিত সম্পদের পরিমাণ ২ কোটি ৪ লাখ ৮৯ হাজার ৮৬৫ টাকা। আর আয় অপেক্ষা অতিরিক্ত সম্পদ পাওয়া যায় ৫৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৯ টাকা। অন্যদিকে স্বামীর অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদকে বৈধতা দানের উদ্দেশ্যে নিজ নামে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ২ কোটি ৯২ লাখ ৫০ হাজার ৯২১ টাকার সম্পদ অর্জন ও দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে ৩০ লাখ ৭৮ হাজার ৭৬৪ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ আনা হয়েছে নারগীছ আক্তারের বিরুদ্ধে। এদিকে অভিযুক্ত শহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, তদন্তাধীন বিষয় নিয়ে কথা বলতে চাই না। এটাকে ষড়যন্ত্র বলব। আমার প্রত্যেকটি সম্পদের ট্যাক্স পে করেছি।
৬ ঘণ্টায় কুকুর-বিড়াল-শিয়ালের কামড়ে মানিকগঞ্জে আহত ৭৫
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলায় বেওয়ারিশ কয়েকটি কুকুর, বিড়াল ও শিয়ালের কামড়ে নারী ও শিশুসহ ৭৫ জন আহত হয়েছেন।  রোববার (৭ জুলাই) সকাল ৮টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার এই বাসিন্দারা কুকুরের কামড়ে আহত হন।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন।  স্থানীয়রা জানান, রোববার সকাল ৮টার দিকে পশ্চিম সেওতা গ্রামে কালো ও সাদা রঙের একটি কুকুর এক ব্যক্তির পায়ে কামড় দেয়। এরপর কুকুরটিকে মারতে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া করলে কুকুরটি বেপরোয়া হয়ে ওঠে। তখন কুকুরটি আশপাশে যাকে পায় তাকেই কামড় দিতে শুরু করে। এভাবে কুকুরটি চার থেকে পাঁচ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪০ জনের বেশি মানুষকে কামড় দিয়ে জখম করলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। দুপুরে দিকে উত্তর সেওতা এলাকায় কালো রঙের একটি কুকুর আরও কয়েকজনকে কামড় দেয়। এ ছাড়া পশ্চিম দাশড়া ও বেউথা এলাকায় বেওয়ারিশ কয়েকটি কুকুর কয়েকজনকে কামড় দিয়ে আহত করে।  পরে কুকুরে কামড়ানো রোগীরা মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।  হাসপাতালের টিকাদান কক্ষের দায়িত্বপ্রাপ্ত জ্যেষ্ঠ স্টাফ নার্স মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, আহত ব্যক্তিদের বাড়ি মানিকগঞ্জ পৌর এলাকার পশ্চিম সেওতা, উত্তর সেওতা, পশ্চিম দাশড়া, বেউথাসহ আশপাশের এলাকার। হাসপাতালে সকাল ৮টা থেকেই একের পর এক কুকুরের কামড়ে মারাত্মক জখম রোগীরা আসতে থাকেন। তাদের মধ্যে নারী, পুরুষ, শিশুসহ বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তি রয়েছেন। আহত অধিকাংশ ব্যক্তির পায়ের হাঁটু থেকে নিচ পর্যন্ত জখম রয়েছে। অনেকের হাতেও কামড় আছে। বিশেষ করে শিশু ও নারীদের ক্ষত বেশি। রোববার সকাল ৮টা থেকে বেলা দুইটা পর্যন্ত কুকুড়ের কামড়ে আহত ৫৫ জন, বিড়ালের কামড়ে আহত ১৯ জন এবং শিয়ালের কামড়ে আহত এক রোগীকে জলাতঙ্ক রোধে টিকা দেওয়া হয়েছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুকুড়ের কামড়ে আহত কয়েকজন রোগী চিকিৎসা নিতে এসেছেন। এই রোগীদের পায়ে কামড়ের রক্তাক্ত জখম দেখা গেছে। কুকুড়ের কামড়ে আহত পশ্চিম সেওতা গ্রামের একজন জানান, দুপুরে বাড়ি থেকে মানিকগঞ্জ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় যাচ্ছিলেন তিনি। দুপুর ১২টার দিকে উত্তর সেওতা এলাকায় কাঁচাবাজারের পাশে সড়কে আসার পরপর কালো রঙের একটি কুকুর কোথা থেকে এসে তার ডান পায়ে হাঁটুর ওপরে কামড় দেয়। পরে স্থানীয় লোকজন ধাওয়া দিলে কিছু দূর যাওয়ার পর কুকুরটি আরও কয়েকজনকে কামড় দেয়। এ বিষয়ে মানিকগঞ্জের ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক মোহাম্মদ বাহাউদ্দিন বলেন, হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা কুকুর-বিড়ালের কামড়ে আহত রোগীদের জলাতঙ্কের টিকা দেওয়া হয়েছে। হাসপাতালে টিকার সংকট নেই। বেওয়ারিশ কুকুর থেকে দূরে থাকতে সবাইকে সচেতন হতে হবে।
গরু চুরির ঘটনায় ২ এসআইসহ ৪ পুলিশকে প্রত্যাহার
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলায় গরু চুরির ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার কারণে পুলিশের ২ উপপরিদর্শক (এসআই) ও দুই কনস্টেবলকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।  বুধবার (৩ জুলাই) বিকেলে মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  প্রত্যাহারকৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন, উপপরিদর্শক আল আমিন ও জালাল উদ্দিন এবং কনস্টেবল দোলন ও হালিম।  পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জেলার সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ইউনিয়নের পারতিল্লী এলাকায় গত ২৬ জুন রাত ১০টার দিকে নিফাজ উদ্দিনের বাড়িতে ৪টি গরু চুরি হয়। ওই গ্রামে একই সময় রহিম উদ্দিনের বাড়ি থেকে আরও ৩টি গরু চুরি হয়। এদিকে ২৮ জুন বালিয়াটি ইউনিয়নে আলতাফ হোসেন নামের এক কৃষকের বাড়ি থেকে দুটি গরু চুরি হয়। নিফাজ উদ্দিন বাদী হয়ে ২৮ জুন অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেন। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল হাসান বলেন, সাটুরিয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর আল আমিন, কনস্টেবল দোলন ও কনস্টেবল হালিম ২৬ জুন রাতে তিল্লী ইউনিয়নে টহল ডিউটিতে ছিলেন। আর ওই ইউনিয়নের বিট পুলিশিং অফিসার হচ্ছেন, সাব ইন্সপেক্টর জালাল উদ্দিন। তাদেরকে দায়িত্বে অবহেলার কারণে ১ জুলাই রাতে থানা থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।
অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন সংগীতশিল্পী খোকন 
বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের তালিকাভুক্ত কণ্ঠশিল্পী মনিরুল ইসলাম খোকন অর্থাভাবে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হলেও অর্থাভাবে করতে পারছেন না চিকিৎসা। তার হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে পেসমেকার স্থাপন করার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। টাকার অভাবে পেসমেকার স্থাপন করার সক্ষমতা নেই এ সংগীতশিল্পীর। বর্তমানে কণ্ঠশিল্পী মনিরুল ইসলাম খাকন মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের খান বানিয়ারা নিজ গ্রামের বাড়িতে শয্যাশায়ী। সেখানেই বিনা চিকিৎসায় দুর্বিষহ দিন পার করছেন তিনি। জানা যায়, মনিরুল ইসলাম একাধারে সুরকার, গীতিকার ও সংগীতশিল্পী। তিনি শাস্ত্রীয় সংগীতের ওপর ঢাকায় বুলবুল ললিতকলা একাডেমি থেকে সংগীতে প্রশিক্ষণ নিয়েছেন। সহস্রাধিক গান রচনা করেছেন। ১২০টি গানে সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। বাংলাদেশ বেতার ও বিটিভিতে গান পরিবেশন করেছেন এ সংগীতশিল্পী।  এ ছাড়া তার লেখা অনেক গান গেয়েছেন দেশের স্বনামধন্য কণ্ঠশিল্পীরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তার নিজের লেখা গানে নিজেই সুর ও কণ্ঠ দিয়েছেন। সংগীতে অবদানের জন্য পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার। সম্প্রতি সরেজমিনে খান বানিয়ারা গ্রামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, সংগীতশিল্পী মনিরুল ইসলাম শয্যাশায়ী। ধুলো জমেছে হারমোনিয়াম, বেহালা ও গিটারে। একান্ত আলাপে কণ্ঠশিল্পী মনিরুল ইসলাম খোকন বলেন, ‘১৯৭৯ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হই আমি। এরপর চিকিৎসা করাতে গিয়ে তার অনেক অর্থ খরচ হয়েছে। গান শিখিয়ে, বেতার ও বিটিভিতে গান গেয়ে একসময় নিয়মিত সম্মানি পেতাম। ২০১৯ সালে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হওয়ার পরই অর্থসংকটে পড়ি। কয়েক মাস আগে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আমাকে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। সেখানকার চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, আমার হৃদ্‌যন্ত্রের স্বাভাবিক স্পন্দন ফিরিয়ে আনতে পেসমেকার স্থাপন করা প্রয়োজন।’ অনেকটা অভিমান আর আক্ষেপের সুরে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বেতারের এ শিল্পী বলেন, ‘এক সময় কত বড় বড় সুরকার, গীতিকার ও শিল্পীর সঙ্গে আমার ওঠাবসা ছিল। এখন আমি শয্যাশায়ী, এখন কেউ আর খোঁজ নেন না। আমি আবার গানে ফিরতে চাই।’ এ সময় নিজেদের অর্থাভাবের কথা স্বীকার করে লজ্জায় কাউকে বলতে পারেন না বলে জানান মনিরুল ইসলাম খোকনের স্ত্রী সুফিয়া আক্তার। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, ‘চিকিৎসকরা জানিয়েছেন- আমার স্বামীর বুকে একটি পেসমেকার স্থাপন করা গেলে তিনি বেঁচে যাবেন। এতে ৮–১০ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু টাকার অভাবে একজন শিল্পী বিনা চিকিৎসায় ধুঁকছেন, কেউ দেখার নেই। আমি অসহায়। কতটা অসহায় বলে বোঝাতে পারবো না। আমার স্বামীর চিকিৎসার জন্য আমি বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা প্রত্যাশা করি। সেই সঙ্গে স্বামীকে বাঁচাতে বিত্তবানদের কাছে সহায়তা চাইতে বাধ্য হচ্ছি। যদি কোনো হৃদয়বান মানুষ আমাদের এই বিপদে এগিয়ে আসেন, কৃতজ্ঞ থাকবো।’
অনুষ্ঠানে হারিয়ে গেল এমপির আইফোন ‘৪০ প্রো ম্যাক্স’!
মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর মোবাইল ফোন হারিয়ে গেছে। আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে তার হারিয়ে যাওয়া ফোনটি প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত উদ্ধার হয়নি। সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে সিংগাইর থানায় একটি জিডি করেছেন এমপির সহকারী দেওয়ান মাহাবুব হোসেন। সেই জিডি নিয়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলুর ‘আইফোন ৪০ প্রো ম্যাক্স’ মোবইল ফোনটি হারিয়ে গেছে। তবে এই মডেলের কোন ফোন এখনো বাজারে আনেনি অ্যাপল। এ ছাড়া জিডিতে ফোনটিকে অ্যান্ড্রোয়েড হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, তবে আইফোনের অপারেটিং সিস্টেম আইওএস। জানা গেছে, ২৩ জুন আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সিংগাইর সরকারি উচ্চবিদ্যালয় মাঠে দিনব্যাপী অনুষ্ঠান চলছিল। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানিকগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য দেওয়ান জাহিদ আহমেদ টুলু। সন্ধ্যার পর কেক কাটার অনুষ্ঠানে আনন্দ-উল্লাসের সময় মঞ্চের টেবিলে থাকা তার মোবাইলটি হারিয়ে যায়। পরে মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে সংসদ সদস্যের সহকারী দেওয়ান মাহাবুব হোসেন বলেন, ‘রোববার ফোনটি খোয়া গেছে। ফোনটি হারিয়ে গিয়ে থাকতে পারে। এ বিষয়ে জিডি করা হয়েছে। তাড়াহুড়া করে করার ফলে হয়তো জিডিতে ভুল হয়েছে। ফোনের মডেল আইফোন ‘১৪ প্রো ম্যাক্স’, ৪০ নয়। ভুলের বিষয়টি আমি দেখছি।’ ঘটনার তদন্তকারী কর্মকর্তা সুমন চক্রবর্তী বলেন, ‘এমপির পিএস জিডি করতে এসেছিলেন। তিনি যেভাবে বলেছেন সেভাবেই জিডি নথিভুক্ত করা হয়েছে। হয়তো বলতে ভুল করেছেন বা শোনার ভুল হয়েছে তবে আমরা এইটা ঠিক করে ফেলব। ফোন উদ্ধারে মডেল বা ওএস খুব বেশি জরুরি না। আইএমই নম্বরই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ফোন উদ্ধারে কাজ করছি তবে এখনো ফোনটির সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
সেতুর নিচ থেকে কারা হিসাবরক্ষকের মরদেহ উদ্ধার
মানিকগঞ্জে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জাগীর সেতুর নিচে ধলেশ্বরী নদী এলাকা থেকে শহিদুল ইসলাম (৫২) নামের এক কারা হিসাবরক্ষকের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৭ জুন) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত শহিদুল ইসলাম সিরাজগঞ্জের ভাজ দারগাতী এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে। তিনি গাজীপুর কারাগারের হিসাবরক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মানিকগঞ্জ শহরের গঙ্গাধরপট্টি এলাকায় স্ত্রী ও দুই কন্যাকে নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকতেন। মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, নিহত ব্যক্তি পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করতে তার কর্মস্থল গাজীপুর থেকে মানিকগঞ্জে আসছিলেন। সর্বশেষ রোববার রাত পৌনে ১১টার দিকে নিহত ব্যক্তির সঙ্গে তার মেয়ের কথা হয়। এরপর থেকে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সোমবার সকালে তার পরিবারের সদস্যরা থানায় এসে জানান।  এদিকে জরুরি সেবা নম্বর-৯৯৯-এ ফোনে খবর পেরে জাগীর সেতুর নিচ থেকে একটি মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবারের সদস্যরা জানান, উদ্ধার মরদেহটি নিখোঁজ কারা হিসাবরক্ষকের। নিহতের সুরতহাল শেষে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মানিকগঞ্জ ২৫০-শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। তাকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, তা এখনও বলা সম্ভব হচ্ছে না। পথিমধ্যে তাকে বহনকারী যানবাহন থেকে সেতুর নিচে ফেলে দেওয়ার পর তিনি মারা গিয়ে থাকতে পারেন।