• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
‘ওরে কেন গুলি কইরা মারল, আমারে বাবার কাছে নিয়া যাও’
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী / এখন মুক্তিযোদ্ধাদের আর নিজেদের কোনো কোটার প্রয়োজন নেই
গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘কোটা সংরক্ষণের যেমন প্রয়োজন আছে। তেমনিভাবে অযৌক্তিকভাবে যে সমস্ত কোটা সংরক্ষণ আছে সেগুলোকেও একটা যৌক্তিক পর্যায় নিয়ে আসা প্রয়োজন। আমাদের সংবিধানেও কোটার কথা বলা হয়েছে অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অগ্রসরের প্রয়োজনে। এখন মুক্তিযোদ্ধাদের আর নিজেদের জন্য কোনো কোটার প্রয়োজন নেই। তাদের সন্তানরাও কোটার বাইরে চলে গেছে। এখন অন্যদেরকেও কোটা দেওয়া হবে কি না, সেটা আদালত যেভাবে নির্দেশনা দেবে সেভাবে সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’  শনিবার (১৩ জুলাই) দুপুরে মাদারীপুরের শিবচরে পৌরশহরে দাদা ভাই হাউজিং প্রকল্পে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এসব কথা বলেন তিনি।  এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের বলব, আপনারা আরেকটু অপেক্ষা করুন, ধৈর্য ধারণ করুন। এভাবে আপনারা পড়াশোনা নষ্ট করে যেভাবে মাঠে আছেন, আপনাদের প্রতি সিমপ্যাথি থাকলেও আমরা মনে করি আপনারা নিজেদের ক্ষতি করছেন।’ গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আপনারা মাঠ থেকে উঠে আসুন, পড়াশোনায় মনোনিবেশ করুন। সেই সঙ্গে আপনাদের দাবির ব্যাপারেও সোচ্চার থাকুন। আমরা আপনাদের অভিভাবক, আমরা আপনাদের প্রতি বিরূপ নই। শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ জনগণের প্রতি যথেষ্ট সংবেদনশীল, ছাত্রছাত্রীদের প্রতিও সংবেদনশীল। আমাদের সরকার অবশ্যই সব দিকেই বিচার বিশ্লেষণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে, ইনশাআল্লাহ।’ এ সময় বৃক্ষরোপণ অনুষ্ঠানে চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এমপি প্রধান বক্তা হিসেবে বিশেষ বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নবীরুল, গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের চেয়ারম্যান অতিরিক্ত সচিব মো. হামিদুর রহমান, মাদারীপুরের জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুনির চৌধুরী, মাদারীপুরের জেলা প্রশাসক মোহাম্মাদ মারুফুর রশিদ খান, মাদারীপুরের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ শফিকুর রহমানসহ গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন পদের কর্মকর্তারা। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা। এর আগে মন্ত্রী উপজেলার কাঁঠালবাড়িতে পদ্মানদীর পাড়ে মুজিব আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারের প্রস্তাবিত স্থান পরিদর্শন করেন। পরে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে উপজেলার ‘দাদা ভাই’ উপশহরে তিনি বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিতে যোগদান করেন।
দুই শিশুকে হত্যার পর পাশেই বসে ছিলেন মা
নিজ গ্রামে মানবতার ফেরিওয়ালা ছিলেন আবেদ আলী
এবার আবেদ আলীর ছেলে ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের পদও হারালেন 
দেশের প্রথম আইন বিশ্ববিদ্যালয় হবে শিবচরে: আইনমন্ত্রী
মুরগি ব্যবসায়ীর হাত ধরে পালালেন গরু ব্যবসায়ীর স্ত্রী
মাদারীপুরের শিবচরে মুরগি ব্যবসায়ী সাকিল খানের (৩৭) সঙ্গে পালিয়েছেন কামাল ঢালী নামের এক গরু ব্যবসায়ীর স্ত্রী স্বপ্না আক্তার (৩৫)। এ বিষয়ে স্বামী কামাল ঢালী বাদী হয়ে শিবচর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করেছেন। সাকিল খান শিবচর উপজেলার যাদুয়ারচর এলাকার বাসিন্দা। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালে স্বপ্না আক্তারকে প্রেম করে বিয়ে করেন কামাল ঢালী। এই দম্পত্তির পরিবারে দুটি ছেলে রয়েছে। তাদেরকে রেখে সাত বছর আগে বিদেশে যান কামাল। এ সময় সাকিল খানের সঙ্গে স্বপ্নার পরিচয় হয়। সেই পরিচয়ের সম্পর্ক আস্তে আস্তে প্রেমে পরিণত হয়। ২০২২ সালের অক্টোবরে গোপনে কামাল ঢালীকে তালাক দিয়ে সাকিলকে বিয়ে করেন স্বপ্না। এদিকে গত ৮ মাস আগে দেশে আসেন কামাল। দেশে আসার পরেও কামাল ঢালীর সঙ্গে সংসার করেন স্বপ্না। গত ১৫ জুন ভোর সাড়ে ৫টার দিকে পরিবারের সবার অজান্তে কামাল ঢালীর ঘরে থাকা ৯ লাখ টাকা ও সাত ভরি স্বর্ণ নিয়ে সাকিল খানের সঙ্গে পালিয়ে যান স্বপ্না। কামাল ঢালী বলেন, স্বপ্না গোপনে সাকিলকে বিয়ে করেছে। এতদিন আমার সঙ্গে সংসারও করেছে। আমি বিদেশ থেকে এসে আমার ভাইয়ের সঙ্গে একটি গরুর খামার করি। ঈদের আগে খামারের গরু বিক্রির ৯ লাখ টাকা স্বপ্নার কাছে দিই। সেই টাকা ও স্বর্ণসহ সাকিলকে নিয়ে পালিয়ে যায়। আমি থানায় অভিযোগ দিয়েছি। এর উপযুক্ত বিচার চাই। শিবচরের নিলখী তদন্তকেন্দ্রের উপপরিদর্শক মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রাসেলস ভাইপার সন্দেহে ১২ বাচ্চাসহ সাপ পিটিয়ে হত্যা
মাদারীপুরের শিবচরে রাসেলস ভাইপার সন্দেহে ১২টি বাচ্চাসহ একটি সাপ পিটিয়ে হত্যা করেছে গ্রামবাসী। সাপটি পিটিয়ে মারার সময় সাপের পেটের ভেতর থেকে একে একে বেরিয়ে আসে জীবিত ১২টি বাচ্চা। আর এতে পুরো গ্রামে ছড়িয়ে পড়ে সাপআতঙ্ক। সোমবার (২৪ জুন)  সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার সময় উপজেলার দ্বিতীয় খন্ড ইউনিয়নের কাজীকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দ্বিতীয় খন্ড ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের কাজী কান্দী গ্রামের করিম খানের বাড়ির পাশে নতুন পানিতে সন্ধ্যায় সাপটি দেখতে পায় রিয়াজুল নামে এক কিশোর। পরে সেই কিশোরের ডাকে আতাউর রহমান আতা নামে স্থানীয় এক কৃষক গ্রামবাসীর সহযোগিতায় সাপটিকে পিটিয়ে মারেন। সাধারণত সাপ ডিম পারে কিন্তু এ সাপের পেট থেকে একের পর এক সাপের বাচ্চা বের হতে দেখা যায়। রাসেলস ভাইপার সন্দেহে মুহূর্তের মধ্যে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সাপটিকে দেখতে জড়ো হতে থাকেন উৎসুক জনতা। সাপটি মেরে ফেললেও এলাকাবাসীর মধ্যে সাপ আতঙ্কে এখনও কাটেনি। কৃষক আতাউর রহমান বলেন, ‘এরকম সাপ আমি জীবনেও দেখি নাই। সাপটি ফোঁস ফোঁস শব্দ করছিল। সাপটি পিটিয়ে মারার সময় দেখি পেটের ভেতর থেকে ১২টি বাচ্চা বের হইছে। এর আগে সাপের ডিম দেখেছি, ডিম থেকে বাচ্চা ফুটে তাও দেখেছি। এই প্রথম সাপের পেট থেকে বাচ্চা বের হতে দেখলাম। আর রাসেলস ভাইপার সাপই তো বাচ্চা প্রসব করে। এখন আমরা রাসেলস ভাইপার সাপ আতঙ্কে রয়েছি।’  একই গ্রামের করিম খান বলেন, ‘সাপটি আমার ঘরের পাশে জোয়ারের নতুন পানিতে দেখতে পায় রিয়াজুল নামের একজন। আমরা জানতাম না এটি কী সাপ। তবে সাপের পেটের ভেতর থেকে বাচ্চা বের হতে দেখে বুঝতে পেরেছি এটি রাসেলস ভাইপারই হবে। এখন আমরা গ্রামবাসী সাপ আতঙ্কে আছি।’ বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রব স্বাভাবিকভাবেই বেড়ে যায় নদীবেষ্টিত এ অঞ্চলে। তার ওপরে এ বছর দেশজুড়ে রয়েছে রাসেলস ভাইপারের আতঙ্ক। সাধারণ মানুষের প্রশ্ন উপজেলা পর্যায়ে সাপের এন্টিভেনম আছে তো? এ বিষয়ে আরটিভিকে মুঠোফোনে মাদারীপুরের সিভিল সার্জন (অতিরিক্ত দায়িত্ব) ডা. ইকরাম হোসেন বলেন, ‘সাপ আতঙ্কে থাকার কিছু নেই। আমাদের জেলা ও উপজেলার সবগুলো সরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত এন্টিভেনম রয়েছে। কেউ সাপ দ্বারা আক্রান্ত হলে দ্রুত হাসপাতালে চলে আসতে হবে।’
‘সাইকেল চাই না, বাবার লাশটা দেন’
‘মাদরাসায় যেতে বাবার কাছে সাইকেল চেয়েছিলাম, কিনেও দিতে চেয়েছিলেন। সৌদি আরবে বাবা মারা গেছেন, আমার সাইকেল লাগবে না। আমি শুধু বাবার মুখখানা শেষবারের মতো দেখতে চাই। আমার বাবার লাশটা দেশে এনে দিন।’  সোমবার (২৪ জুন) বিকালে এভাবেই শেষবারের মতো বাবার মুখটা দেখার জন্য আহাজারি করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন নিহত প্রবাসী মিলন মাতুব্বরের (৩৫) ছেলে আবির মাতুব্বর (৯)। জানা গেছে, মাদারীপুরের পশ্চিম খৈয়ার ভাঙ্গা গ্রামের সিরাজুল হক মাতুব্বরের ছেলে মিলন পরিবারে সচ্ছলতা ফেরাতে পাঁচ বছর আগে সৌদি আরবে যান। দেশটির রাজধানী রিয়াদের হালুজারায় কাজ করতেন তিনি। সেখান থেকে পরিবারের খরচের জন্য টাকা পাঠাতেন। গত ১৮ জুন রাতে সেখানেই ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে তার সহকর্মীরা তাকে রিয়াদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে রোববার চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ খবর শোনার পর থেকে তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।  আবির বলছিলেন, ‘আমি বড়। আমার ছোট দুই ভাই ও মা আছে। এখন আমরা কীভাবে বাঁচব। পড়াশোনার খরচ কে দেবে? আমাদের দেখার মতো কেউ নেই।’ নিহত মিলনের স্ত্রী বলেন, আমাদের দেখার মতো কেউ রইলো না। আমাদের তিন শিশু সন্তানকে এখন কে দেখবে? আমরা প্রায় ২০ লাখ টাকার দেনা। এই দেনা কীভাবে শোধ করবো। আমার স্বামীর লাশটা দেখতে চাই। কিন্তু সৌদি থেকে টাকা খরচ করে লাশ দেশে আনার সামর্থ্য আমাদের নাই। সরকারের কাছে দাবি আমার স্বামীর লাশটা যেন দেশে আনার ব্যবস্থা করে দেন। মিলনের মা-বাবাও শেষ বারের মতো সন্তানের লাশ দেখতে একইভাবে সবার কাছে আকুতি জানান। এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা প্রশাসক মারুফুর রশিদ খান বলেন, ‘আমাদের কাছে আবেদন করলে আমরা ঢাকায় যোগাযোগ করে লাশটি দেশে আনার চেষ্টা করবো। আবেদন করলে স্থানীয়ভাবে তাদের সহযোগিতা করা হবে।’
নেত্রীকে ধর্ষণ, বাবাকে নিয়ে বিদেশ পালালেন ছাত্রলীগ নেতা
স্পেন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাঈল হোসেন রায়হানের বিরুদ্ধে একই সংগঠনের নেত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মামলার পর বাবাকে নিয়ে লন্ডন পালিয়েছেন ওই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা। রোববার (২৩ জুন) ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে নোয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে মামলাটি করেছেন। ইসমাঈল রায়হান নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের ইউসুফ আলীর ছেলে।  জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের মাধ্যমে মাদারীপুর জেলা ছাত্রলীগের এক নেত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ইসমাঈল। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই নেত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে সেই ভিডিও মোবাইলে ধারণ করেন তিনি। এরপর ধারণকৃত ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। সেই সঙ্গে ভিকটিমের কাছে ২৫ লক্ষ টাকা দাবি করেন ইসমাঈল। ভিকটিম ১০ লক্ষ টাকা পরিশোধ করলে আরও টাকার জন্য চাপ দেন রায়হান। পরে নিরুপাই হয়ে ওই নেত্রী নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলা দায়ের করেন। আদালত অভিযোগ আমলে নিয়ে পিবিআইকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।    অভিযুক্ত ইসমাঈল হোসেন সব অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল।
‘নিজে বাঁচলেও মা-বোনকে বাঁচাতে পারলাম না, মইরা যাওয়া ভালো ছিল’
বরগুনার আমতলীতে সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে ৯ বরযাত্রী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত ৯ জনের মধ্যে তিন জনই একই পরিবারের এবং অন্য ছয় জন তাদের নিকটাত্মীয়। তাদের বাড়ি মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার ভদ্রাসন ইউনিয়নের সাহাপাড়া গ্রামে। শনিবার (২২ জুন) দুপুরে বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়া হাট ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস ও অটো খালে ডুবে এ ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন মাদারীপুরের শিবচরের সাবেক সেনাসদস্য মাহাবুবুর রহমান সবুজও। এ ঘটনায় নিহতরা হলেন মাহাবুবের ভাই সোহেলের স্ত্রী রাইতি (৩০), মাহাবুবের মা ফরিদা বেগম (৪০), মামি মুন্নি বেগম (৪০), তার সন্তান তাহিয়া (৭), তাসদিয়া (১১), আরেক মামি ফাতেমা বেগম (৪০), রুমি বেগম (৪০)। এ ছাড়া আমতলীর দক্ষিণ তক্তাবুনিয়া জহিরুল ইসলামের স্ত্রী জাকিয়া এবং মেয়ে রিদি (৫)। এ ঘটনায় চারজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়। তারা হলেন- মাহবুব খান, সোহেল খান, সুমা আক্তার ও দীশা আক্তার।  জীবিত উদ্ধার হওয়া মাহবুব খান বলেন, ‘নিজে বাঁচলেও মা ও বোনকে বাঁচাতে পারলাম না। সব কপালের দোষ। তা নাহলে সবাই কেনো একই গাড়িতে থাকব। ব্রিজটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। এই বিজ্রের ওপর দিয়ে গাড়ি নিয়ে ওঠা ঠিক হয়নি।’  তিনি আরও বলেন, ‘সব শ্যাষ অইয়া গ্যাছে। এর চাইতে আমারও মইর‌্যা যাওয়া ভালো ছিল।’ জানা গেছে, গত বুধবার (১৯ জুন) সকালে শিবচর থেকে মাহাবুব এবং তার পরিবারের সদস্যরা খালাতো বোনের বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরগুনার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। শুক্রবার বরপক্ষ এসে বিয়ে করে নিয়ে যায়। শনিবার দুপুরে তারা মাইক্রোবাসযোগে বউভাতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। মাহাবুব ও তার পরিবারের সদস্যদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি হলদিয়া ইউনিয়নের ঝুঁকিপূর্ণ লোহার ব্রিজ পার হওয়ার সময় ব্রিজটি ভেঙে খালে পড়ে যায়। এতে ওই ৯ জন নিহত হন। এ বিষয়ে শিবচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘আমি বিষয়টি জেনেছি। খুবই মর্মান্তিক ঘটনা।’