• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
ভাড়াবাড়ি থেকে যুবকের গলা কাটা মরদেহ উদ্ধার
আশুলিয়ায় দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
আশুলিয়ার জিরাবো এলাকায় মাস্কট গার্মেন্টস ফ্যাক্টরির সামনে শ্রমিকদের দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে এক নারী শ্রমিক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও তিনজন। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন। নিহত ওই নারী শ্রমিকের নাম রোকেয়া বেগম। এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) মো. কামাল হোসেন বলেন, সকালে শ্রমিকরা কাজ করতে এসে দেখেন মেরামতের জন্য কারখানা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে তাদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। তিনি বলেন, মাস্কট গার্মেন্টসের কারখানার পাশে পাশাপাশি দুটি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় উভয় পোশাক কারখানার শ্রমিকরা পিকেটিং শুরু করেন। এতে রোকেয়া বেগম নামে মাসকট পোশাক কারখানার এক শ্রমিক গুরুতর আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান।  আরটিভি/এমকে/এআর
গবিসাস কার্যালয়ে হামলার চেষ্টা, তদন্ত কমিটি গঠন
কর্মচঞ্চল আশুলিয়া, এখনও বন্ধ ৪৯ কারখানা
আশুলিয়ায় একই পরিবারের তিনজনের মরদেহ উদ্ধার
বায়ান্ন ও আরটিভির সাংবাদিকদের ওপর সন্ত্রাসী হামলা
আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য 
সাভারের আশুলিয়ায় টানা কয়েক দিন শ্রমিক অসন্তোষের পর ফিরেছে কর্মচাঞ্চল্য। মঙ্গলবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কারখানায় কাজে যোগ দিয়েছেন শ্রমিকরা। তবে যেকোনো বিশৃঙ্খলা এড়াতে শিল্পাঞ্চলে অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনা মোতায়েন রয়েছে। সকাল থেকেই শিল্পাঞ্চলের অধিকাংশ কারখানা খোলা রয়েছে। আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে ও ইপিজেড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় শ্রমিকরা প্রবেশ করছেন। এখন পর্যন্ত আশুলিয়া শিল্প এলাকা ও ইপিজেড এ কোথাও কোনো শ্রমিক অসন্তোষের খবর পাওয়া যায়নি।  নিরাপত্তার নিশ্চিত করতে  বিভিন্ন পয়েন্টে অতিরিক্ত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে। এ ছাড়া ইপিজেডসহ শিল্পাঞ্চলে বাহিনী টহল দিচ্ছে। এর আগে সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) শ্রমিক বিক্ষোভের মুখে আশুলিয়ায় ৯০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়। এরপর শ্রমিকদের দাবি মেনে তাদের টিফিন বিল ও হাজিরা বোনাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তারনিকারক সমিতি (বিজিএমইএ)।  প্রশাসন ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে সোমবার রাতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানান বিজিএমইএ’র সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। এর আগে গত রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে নানা দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভের মুখে কমপক্ষে ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়। এরপর সোমবার সকাল থেকে এ বিক্ষোভ আরও বড় আকার ধারণ করে। এ পরিস্থিতিতে অন্তত ৯০টি কারখানায় বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেন কর্তৃপক্ষ। এরপর মালিকরা দাবি মেনে নেওয়ার পর মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মচাঞ্চল্য ফিরে কারখানাগুলোতে।    আরটিভি/এআর-টি  
আশুলিয়ায় শ্রমিকদলের দুপক্ষের সংঘর্ষ, আহত ৫
সাভারের আশুলিয়ায় শ্রমিকদলের সমাবেশে মঞ্চে ওঠাকে কেন্দ্র করে দুপক্ষের সংঘর্ষে অন্তত ৫ জন আহতের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বাইপাইল স্ট্যান্ড এলাকায় বিভিন্ন কারখানায় ভাঙচুর ও শ্রমিক অসন্তোষ সৃষ্টিকারীসহ ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আয়োজিত এক শ্রমিক সমাবেশে এ ঘটনা ঘটে।  তাৎক্ষণিকভাবে ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক দাবি করা মাজহারুল ইসলাম ছাড়া আহত বাকিদের পরিচয় জানা যায়নি।  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলে আশুলিয়ার বাইপাইল এলাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দলের আশুলিয়া থানা ইউনিটের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশের শুরুতে ট্রাকের অস্থায়ী মঞ্চে ওঠাকে কেন্দ্র করে প্রথমে হট্টগোলের সৃষ্টি হয়। এ সময় ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম খানকে মঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়ার পর এক গ্রুপ এসে তাকে পিটিয়ে আহত করে। এ সময় দুই গ্রুপের সংঘর্ষ ও চেয়ার ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।  ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক আহত মাজহারুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমি ধামসোনা ইউনিয়ন শ্রমিক দলের রানিং সাধারণ সম্পাদক। আমাকে মঞ্চ থেকে ফেলে দেওয়া হয়। গফুর চেয়ারম্যান ও মোখলেস খাঁনের লোকজন আমাদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমাদের অন্তত ৫ জন আহত হয়েছেন। আমিও হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছি।’  তবে এ বিষয়ে আশুলিয়া থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল গফুরের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। একাধিক গণমাধ্যমকর্মী চেষ্টা করলেও সাংবাদিক শোনার পর তিনি মুঠোফোনের লাইন কেটে দেন।
কাজে ফিরেছেন সাভার-আশুলিয়ার পোশাক শ্রমিকরা
পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ায় কাজে ফিরেছেন সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলের সব পোশাক কারখানার শ্রমিকরা। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সকাল থেকে নিজেদের কর্মস্থলে যোগ দিয়েছেন পোশাক শ্রমিকরা। কারখানাগুলোতে শুরু হয়েছে উৎপাদন কাজ। কারখানাগুলোর সামনে অধিক নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন রয়েছে শিল্প পুলিশ। এ ছাড়া একাধিক সেনাবাহিনী টহল টিম শিল্পাঞ্চলের বিভিন্ন জায়গায় পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রেখেছে। এ ছাড়া আশুলিয়ার নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর জামগড়া ডিইপিজেড, পলাশবাড়ীতে যে সকল কারখানা বিক্ষোভ করেছিলেন, ওই সকল পোশাক কারখানার শ্রমিকদের আজ কাজে যোগ দিতে দেখা যায়। তবে সকাল ৯টার দিকে দুটি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। এ ছাড়া দুপুর ১২টা পর্যন্ত কোনোরকম বিশৃঙ্খলার সংবাদ পাওয়া যায়নি। বাংলাদেশ গামের্ন্ট ও সোয়েটার্স শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের আইনবিষয়ক সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, সকাল থেকে কারখানাগুলোতে শ্রমিকরা কাজে যোগ দিয়েছে। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পায়নি। আশুলিয়ায় শিল্পাঞ্চল পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, আশুলিয়ায় আজ অধিকাংশ কারখানায় নির্ধারিত সময়ে কাজ শুরু হয়েছে। শারমিন গার্মেন্টস ও অনন্ত গার্মেন্টস বন্ধ রয়েছে। তবে পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। প্রসঙ্গত, শ্রমিক অসন্তোষের কারণে সাভার ও আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে টানা কয়েক দিন উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। শ্রমিকরা বিভিন্ন দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও আশুলিয়া-ডিইপিজেত-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন।
শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা: সাভারে যৌথ অভিযানে আটক ১৪
সাভার-আশুলিয়া শিল্পাঞ্চলে পোশাক কারখানায় ভাঙচুর, হামলা ও পোশাক খাতে অস্থিরতা তৈরির সঙ্গে যুক্ত এমন সন্দেহভাজন ১৪ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনীর সদস্যরা। বৃহস্পতিবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতের বিভিন্ন সময়ে শিল্পাঞ্চল আশুলিয়া এবং সাভারের বিভিন্ন এলাকা থেকে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার আহম্মদ মুঈদ।  তিনি বলেন, শিল্পাঞ্চলে অস্থিরতা তৈরির পাশাপাশি পোশাক কারখানায় হামলা-ভাঙচুরের সঙ্গে জড়িত এমন সন্দেহভাজন মোট ১৪ জনকে আমরা আটক করেছি। এর মধ্যে ১১ জনকে আশুলিয়া থেকে এবং ৩ জনকে সাভার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, এ ছাড়াও এসব বিশৃঙ্খলার সঙ্গে আটকদের সংশ্লিষ্টতার বিষয়েও যাচাই-বাছাই চলছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে আটকদের নাম পরিচয় জানা যায়নি।
৪৬ লাশ পোড়ানোর ঘটনায় ২১ পুলিশের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ
সাভারের আশুলিয়ায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ৪৬ জনকে গুলি করে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক মন্ত্রী, ২১ পুলিশ সদস্যসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ৩৬ জনের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় গণহত্যা এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ায় মানারত ইউনিভার্সিটির ইইই বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র নিহত আহনাফ আবীর আশরাফুল্লাহর বোন সাইয়েদা আক্তারের পক্ষে বৃহস্পতিবার  (৫ সেপ্টেম্বর) আবেদনটি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আবদুস সাত্তার পালোয়ান। এ নিয়ে ট্রাইব্যুনালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ৯টি অভিযোগ দেওয়া হলো। এর আগে ঢাকায় সাতটি এবং চট্টগ্রামে একটি গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনাসহ বিভিন্নজনের বিরুদ্ধে তদন্ত সংস্থায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। যেগুলোর ওপর তদন্ত চলমান রেখেছে আন্তজার্তিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। অপরাধের ধরনে বলা হয়েছে, এক থেকে পাঁচ ও সাত থেকে দশ নং আসামির নির্দেশ ও পরিকল্পনায় অন্যান্য আসামিরা দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী সাধারণ নিরস্ত্র ছাত্র-জনতাকে হত্যা করে তাদের সমূলে বা আংশিক নির্মূল করার উদ্দেশ্যে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংগঠনের অপরাধ। যাদের আসামি করা হয়েছে  আবেদনে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক, সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মাদ আলী আরাফাত, সাভার-আশুলিয়ার সাবেক সংসদ সদস্য মো. সাইফুল ইসলাম, তৎকালীন সরকারের কতিপয় মন্ত্রী, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিবি প্রধান হারুন অর রশিদ, সাবেক ডিআইজি সৈয়দ নুরুল ইসলাম, ঢাকা জেলার অতিরিক্ত এসপি মোবাশ্বিরা জাহান, সাবেক এসপি আব্দুল্লাহহিল কাফি, ঢাকা জেলা উত্তরের সাবেক ডিবি পরিদর্শক আরাফাত হোসেন, আশুলিয়া থানার ওসি (তদন্ত) নির্মল চন্দ্র, ওসি এএফএম সায়েদ আহমেদ, এসআই আফজালুল, এসআই জলিল, এসআই মো.রাকিবুল, এসআই আবুল হাসান, এসআই হামিদুর রহমান, এসআই নাসির উদ্দিন, এসআই আব্দুল মালেক, এএসআই সুমন চন্দ্র গাইন, এএসআই বিশ্বজিৎ রায়, কন্সটেবল মুকুল, কনস্টেবল রেজাউল করিমসহ কতিপয় পুলিশ সদস্য, আশুলিয়া থানার আওয়ামী লীগ সভাপতি ফারুক হাসান তুহিন ওরফে তুহিন কুলু, ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি নাদিম হোসেন, যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরদার, ছাত্রলীগ সহ-সভাপতি মো.শামীম হোসেন, যুবলীগের আলমগীর হোসেন, ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ, সেক্রেটারি টিটু, সাভার ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, সাভার আওয়ামী লীগের আলী হায়দারসহ ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্যদের আসামি করা হয়েছে।    অভিযোগে বলা হয়েছে, গত ৫ আগস্ট আশুলিয়ার বাইপাইলে ছাত্র-জনতার মিছিলে ১ থেকে ১২ নম্বর আসামির নির্দেশে ১৩ থেকে ৩৬ নম্বর আসামি নির্বিচারে গুলি চালালে আহনাফসহ ৪৬ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হন। গুলিবিদ্ধ লাশগুলো ১৩ থেকে ১৬ নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা পুলিশ সদস্যরা ময়লার বস্তার মতো করে ভ্যানে তোলে। একই সঙ্গে থানার পাশে পুলিশের একটি গাড়িতে পেট্রোল দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদের লাশ পুড়িয়ে গণহত্যার নির্মম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে।    
আন্দোলনের মুখে আশুলিয়ায় ৬০ পোশাক কারখানা বন্ধ
সাভারের আশুলিয়ায় পোশাকশ্রমিকদের আন্দোলনের জেরে অন্তত ৬০টি পোশাক কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে কোথাও কোনো বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি।  বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই সাভারের আশুলিয়ার জিরাবো, ঘোষবাগ, সরকার মার্কেট, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর ও পল্লী বিদ্যুৎ এলাকায় শ্রমিক বিক্ষোভের কারণে পোশাক কারখানাগুলোতে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। জানা যায়, টানা কয়েক দিন বিভিন্ন পোশাক কারখানায় ভিন্ন ভিন্ন দাবিতে শ্রমিকরা বিক্ষোভ করেন। এতে মালিকপক্ষ তাদের কিছু কিছু দাবি মঙ্গলবার মেনেও নিয়েছিল। তবে আজ মালিকপক্ষ বলছে, তাদের পক্ষে শ্রমিকদের সব দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না। এতে বিভিন্ন কারখানার পোশাক শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে কারখানার সামনে ও সড়কে বিক্ষোভ করেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শ্রমিক বলেন, সকালে হা-মীম গার্মেন্টসের কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক কাজে যোগ দিয়েছিলেন। পরে তাদের কারখানা হঠাৎ সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। পরে হা-মীমের শ্রমিকরা শারমিন গার্মেন্টসের সামনে গেলে তাদের কারখানার শ্রমিকও বের হয়ে আসেন। এরপরে জিবারো, ঘোষবাগ, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর এলাকার যতগুলো পোশাক কারখানা ছিল সেগুলো আজকের জন্য সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়। এ বিষয়ে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, সকালে শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন। পরে একটি বড় গার্মেন্টস ছুটি দিলে কয়েক হাজার পোশাক শ্রমিক রাস্তায় নেমে আসেন। তখন অন্তত আরও ৬০টি পোশাক কারখানা সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে। তবে কোথাও কোনো বড় ধরনের বিশৃঙ্খলার খবর পাওয়া যায়নি। তিনি আরও বলেন, আমাদের ও সেনাবাহিনীর সামনেই শ্রমিকদের কিছু দাবি মেনে নিয়েছিলেন কারখানা কর্তৃপক্ষ। তবে এখন কারখানার মালিকরা বলছেন, শ্রমিকদের দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব না। এতেই শ্রমিকরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন।  তবে তাদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানো হয়েছে বলেও জানান শিল্প পুলিশের এ কর্মকর্তা।