• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
নিখোঁজের ৩ দিন পর ডোবায় মিলল কিশোরের মরদেহ 
টাঙ্গাইলে পৃথক স্থান থেকে ২ মরদেহ উদ্ধার  
টাঙ্গাইলে পৃথক দুটি স্থান থেকে কিশোর ও বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টার দিকে ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই এলাকার একটি ধানখেতের পাশ থেকে কিশোর শামীমের ও কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকা থেকে অজ্ঞাত এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত শামীম ঘাটাইল উপজেলার ভানিকাত্রা গ্রামের ভ্যানচালক আব্দুল করিমের ছেলে।  স্থানীয়রা জানান, আজ সকালে ঘাটাইল উপজেলার কাইতকাই এলাকায় ধানখেতের পাশে একটি মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে শামীমের মরদেহ উদ্ধার করে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। নিহত শামীম অন্যের দোকানে কাজ করতো। ইট দিয়ে মাথায় আঘাত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।  এদিকে কালিহাতী উপজেলার হাতিয়া এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে এক বৃদ্ধের মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে তার পরিচয় জানা যায়নি। ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ রকিবুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এটি হত্যাকাণ্ড। ময়নাতদন্ত শেষে বিস্তারিত জানা যাবে। আরটিভি/আইএম/এসএ
ধলেশ্বরী নদীতে নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার 
বাস-পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ১
সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন 
টাঙ্গাইলে হেরোইনসহ গ্রেপ্তার ১
টাঙ্গাইলে কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেলের সংঘর্ষ, কলেজছাত্র নিহত 
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে কাভার্ডভ্যান-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে মুন নামে এক কলেজ শিক্ষার্থী নিহত হয়েছে।  রোববার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুরে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের বানিয়াপাড়া এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ঘাটাইল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সজল খান। নিহত মুন লাউয়াগ্রামের জুলফিকারের ছেলে ও ঘাটাইল ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র।  জানা যায়, এ ঘটনায় তার দুই বন্ধু নয়ন ও জীবন আহত হয়েছেন। তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।  এ বিষয়ে ওসি সজল খান বলেন, ‘তিন বন্ধু মুন, নয়ন ও জীবন মোটরসাইকেলে করে টিলাবাজার থেকে ঘাটাইল ফিরছিলেন। এ সময় ঘাটাইল থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যানের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে তিনজনই গুরুতর আহত হন। পরে মুনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নয়ন ও জীবনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।’ 
কলেজছাত্র হত্যা মামলায় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান গ্রেপ্তার 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে নিহত কলেজছাত্রের হত্যা মামলায় টাঙ্গাইলের মির্জাপুর উপজেলার মহেড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বাদশা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এর আগে শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে থানার পাশ থেকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।  বাদশা মিয়া ওই ইউনিয়নের ডোকলাহাটী গ্রামের হাকিম মিয়ার ছেলে এবং ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি। পুলিশ জানায়, গত ৪ আগস্ট ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের মির্জাপুরের সোহাগপাড়া এলাকায় গোড়াই হাইওয়ে থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়ে গুলিবিদ্ধ হয় কলেজছাত্র ইমন (১৮)। এরপর দীর্ঘদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর তিনি মারা যান। পরে নিহতের ভাই সুমন গত ২২ আগস্ট ১৫৭ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মির্জাপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ১০০ নম্বর আসামি বাদশা মিয়া। নিহত ইমন গোপালপুর উপজেলার হেমনগর ইউনিয়নের নলিন মণ্ডল বাড়ি এলাকার জুলহাস মিয়ার ছেলে। তিনি অলোয়া মনিরুজ্জামান খান বিএম কলেজ থেকে ২০২৩ সালে এইচএসসি পাস করে হেমনগর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি হয়েছিলেন। এ মামলায় সাবেক কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক ও বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু ছাড়াও সাবেক সাত সংসদ সদস্যকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মির্জাপুরের পাঁচজন ইউপি চেয়ারম্যানসহ আরও ১৪৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মির্জাপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোশারফ হোসেন বলেন, শুক্রবার রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার ৭ দিনের  রিমান্ড আবেদন করে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। 
‘পেটে গুলি থাকায় আমার বাবা কবরে কষ্ট পাইতাছে’
রাজধানীর উত্তরায় গত ১৯ জুলাই জুমার নামাজের পর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গিয়ে গুলিতে নিহত হন মাদরাসা শিক্ষার্থী সাদিকুর রহমান (২১)। বুধবার (৪ আগস্ট) টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সাগরদীঘি ইউনিয়নের ফুলমালীচালা গ্রামে সাদিকুরের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, দেড় মাস পেরিয়ে গেলেও শোক কাটেনি পরিবারে। বিলাপ করতে করতে সাদিকুরের মা শাহানাজ বেগম বলেন, ‘আইজক্যা দেড় মাস অইলো আমার বাবা শহীদ অইছে। পুলিশের করা গুলি পেটে নইয়া (নিয়ে) আমার বাবা কবরে শুইয়া রইছে। আমার মুনে কয়, পেটে গুলি থাকায় আমার বাবা কষ্ট পাইতাছে।’  তিনি বলেন, ‘সাদিকুর কোরআনের হাফেজ ছিলেন। বড় মাওলানা হওয়ার আশায় ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে ওই মাদরাসায় ভর্তি হয়েছিলেন ছেলে। তবে সেই স্বপ্ন পূরণ হওয়ার আগেই অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাটি ঘটে।’ জানা গেছে, সাদিক ঢাকার আব্দুল্লাহপুরে জামিয়া দ্বীনি ইসলামিয়া মাদরাসার কিতাব বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাবা লুৎফর রহমান কুয়েতপ্রবাসী। সাদিকুরকে না পেয়ে ওই দিন রাত সাড়ে ১০টার দিকে তার মাকে নিখোঁজের বিষয়টি জানায় মাদরাসা কর্তৃপক্ষ। এর মধ্যে আত্মীয়স্বজনের বাড়িতেও খোঁজাখুঁজি করা হয়। পরদিন খবর আসে, আন্দোলনে গিয়ে নিহত হয়েছেন সাদিকুর। পরে ২১ জুলাই সকালে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এনে দাফন করা হয়। সাদিকুরের মামা আবু বকর সিদ্দিক বলেন, ‘সাদিকুর তার এক বন্ধুর সঙ্গে উত্তরায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন। বিকেল পাঁচটার দিকে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। ওই সময় পুলিশের গুলিতে আহত হয়ে সাদিকুর রাস্তায় ঢলে পড়েন। পরে আন্দোলনকারীরা একটি রিকশায় করে আধুনিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। স্বজনেরা কেউ না থাকায় মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হয়েছিল।’ চাচা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘গুলি পিঠ ভেদ করে নাভির পাশে আটকে ছিল। পেটে গুলির অস্তিত্ব (বুলেট) সবাই দেখেছে।’ সাগরদীঘি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাবিবুল্লাহ বাহার বলেন, ‘পরিবারটিকে সব ধরনের সাহায্য-সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে পরিবারটিকে বেশ কিছু নগদ অর্থ দেওয়া হয়েছে।’ মামলা করার বিষয়ে সাদিকুরের মা শাহানাজ বেগম বলেন, ‘অনেকেই তাকে কল করে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নামে মামলা করতে বলছেন। তবে মামলা করবেন কি না, এখনো সিদ্ধান্ত নেননি।’
টাঙ্গাইলে জেলা আ.লীগের সভাপতি-সম্পাদকসহ ২৩০ জনের নামে মামলা
টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমান খান ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক জোয়াহেরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইল শহরে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত লাল মিয়া রোববার সদর থানায় এ মামলা দায়ের করেন। সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) টাঙ্গাইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লোকমান হোসেনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। ফজলুর রহমান খান ফারুক (৮৪) টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ছিলেন এবং জোয়াহেরুল ইসলাম টাঙ্গাইল-৮ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য।  ওসি লোকমান হোসেন বলেন, মামলায় জেলা, উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের মোট ২৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলার বিবরণী অনুযায়ী, গত ৪ আগস্ট টাঙ্গাইল জেলা শহরে মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। মিছিলটি বটতলা এলাকায় পৌঁছালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা গুলি ছোড়ে। এতে কয়েকজন আহত হন।  আহতদের মধ্যে একজন হচ্ছেন লাল মিয়া। তিনিই বাদি হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন। 
আ.লীগের প্রভাব খাটিয়ে বিধিবহির্ভূত ৩ প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সাগরদিঘীতে অবস্থিত মদিনাতুল উলুম মাদরাসাটি একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান। যার প্রতিষ্ঠাতা এবং পরিচালক সাগরদিঘী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. হাবিবুল্লাহ্। ওই প্রতিষ্ঠানে একই অর্থবছরে চেয়ারম্যান তিনটি সরকারি উন্নয়ন বরাদ্দের প্রকল্প দিয়েছেন। টাকায় যার অঙ্ক ৭ লাখ ২৮ হাজার। উন্নয়ন প্রকল্পের আইনে একই অর্থবছরে একইস্থানে বা প্রতিষ্ঠানে একাধিক প্রকল্প দেওয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও আইনের কোনো তোয়াক্কা করেননি চেয়ারম্যান। অবশ্য প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা বলছেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে প্রকল্প দিয়েছেন চেয়ারম্যান। জানা যায়, ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টি আর সাধারণ ১ম পর্যায়) কর্মসূচির উন্নয়ন প্রকল্পে সাগরদিঘী ইউনিয়নে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়, ‘সাগরদিঘী মদিনাতুল উলুম মাদরাসায় রাস্তা এইবিবি করণ।’ এতে বরাদ্দ দেওয়া হয়, ৩ লাখ টাকা। একই কর্মসূচির টিআর দ্বিতীয় পর্যায়ে এই ইউনিয়নে প্রকল্পের নাম দেওয়া হয়, ‘সাগরদিঘী (হাতিমারা) মদিনাতুল উলুম মাদরাসার মসজিদের টাইলস্ করণ।’ যার ব্যয় ধরা হয়, ১ লাখ ৬৪ হাজার টাকা এবং একই কর্মসূচির টিআর তৃতীয় পর্যায়ের প্রকল্পের নাম, ‘মদিনাতুল উলুম মাদরাসার মাটি ভরাট।’ এই কাজে বরাদ্দ ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সরেজমিনে দেখা যায়, চেয়ারম্যান তিন নামে যে প্রকল্প দিয়েছেন নাম ভিন্ন ভিন্ন হলেও প্রতিষ্ঠান একটাই ‘মদিনাতুল উলূম মাদরাসা।’ মাদরাসাটির মালিক ও পরিচালক চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহ্। এটি কোনো অবৈতনিক মাদরাসা নয়, শিক্ষাক্ষেত্রে চেয়ারম্যানের ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান।  এলাকাবাসীর দেওয়া তথ্যের বিষয়ে কথা হয় সাগরদিঘী গ্রামের রাসেল ভূঁইয়ার সঙ্গে। তিনি বলেন, তার সন্তান মদিনাতুল উলূম মাদরাসার প্রথম শ্রেণিতে পড়ে। মাস শেষে বেতন দিতে হয় এক হাজার টাকা। মাসুম মিয়ার সন্তান পড়ে প্লে-তে। তিনি জানান, তার মাসিক বেতন দিতে হয় ৮০০ টাকা। পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীর বেতন এক হাজার ৫০০ টাকা বলে জানান হিমেল মিয়া নামে অপর অভিভাবক। এ দিকে একই অর্থবছরে একই প্রতিষ্ঠানে বেআইনিভাবে প্রকল্প দিয়ে ক্ষান্ত হননি চেয়ারম্যান। অভিযোগ উঠেছে, গ্রামীণ অবকাঠামো রক্ষণাবেক্ষণ (টিআর) কর্মসূচি সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সরকারি যে নির্দেশনা রয়েছে, তাও মানা হয়নি। সরকারি নির্দেশনায় কর্মসূচির উদ্দেশ্য ও লক্ষ্যে বলা আছে, গ্রামীণ এলাকায় অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও দরিদ্র জনগণের কর্মসংস্থান সৃষ্টি। গ্রামীণ এলাকায় খাদ্যশস্য সরবরাহ ও জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং দারিদ্র্য বিমোচনে ইতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করা। কিন্তু সরেজমিনে দেখা যায়, ভরাট কাজে ২ লাখ ৬৪ হাজার টাকা বরাদ্দ থাকলেও তা মাটি কাটার কাজে ব্যবহার করা হয়নি। শ্রমিক দিয়ে নয়, কাজ হয়েছে যন্ত্র দিয়ে। প্রকল্পের সভাপতি ছিলেন নারী ইউপি সদস্য মনোয়ারা বেগম। তাকে প্রকল্পের কাজের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উল্টো প্রতিবেদককে বলেন, কাজের হিসেব উপজেলায় লেখা আছে সেখান থেকে নেন। এই কথা বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ কেটে দেন তিনি। একইস্থানে একই অর্থবছরে একাধিক প্রকল্প দেওয়ার বিষয়ে উপজেলার একাধিক চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এটা অন্যায় অনিয়ম। একইস্থানে এক অর্থবছরে শুধু টিআর নয়, কাবিখা, কাবিটাসহ যেকোনো সরকারি বরাদ্দ দেওয়া আইন পরিপন্থী। সাগরদিঘী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হাবিবুল্লাহকে প্রকল্প দেওয়ার বিষয়ে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নম্বরে কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। মোবাইলে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও সাড়া মেলেনি। এ বিষয়ে ঘাটাইল উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা এনামুল হক বলেন, আওয়ামী লীগের দলীয় প্রভাব খাটিয়ে একইস্থানে প্রকল্প দেন চেয়ারম্যান। এভাবে প্রকল্প দেওয়া যায় না। বিষয়টি তাকে বারবার বুঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি মানতে রাজি হননি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরতিজা হাসান বলেন, একই অর্থবছরে একই প্রতিষ্ঠানে একটার বেশি প্রকল্প দেওয়া বিধিবহির্ভূত। বেনামে ব্যবহার করে প্রকল্প দিয়ে থাকলে তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
টাঙ্গাইলে গোসলে নেমে পুকুরে ডুবে প্রাণ গেল হেলপারের 
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে পুকুরে গোসলে করতে নেমে সোলেমান (১৮) নামে এক বাস হেলপারের মৃত্যু হয়েছে।  শুক্রবার (৩০ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা পরিষদের পুকুরে গোসল করতে গেলে এ ঘটনা ঘটে।  সোলেমান দিনাজপুর জেলার হাকিমপুর উপজেলার বাসুদেবপুর গ্রামের বাসিন্দা। সহকর্মীরা জানান, বাস হেলপার সোলেমান শুক্রবার বিকেলে ঢাকা থেকে ফিরে সহকর্মীদের সঙ্গে ভূঞাপুর উপজেলা পরিষদ পুকুরে গোসল করতে নামেন। সাঁতার না জানায় তিনি পানিতে ডুবে যান। সঙ্গে থাকা সহকর্মীরা তাকে উদ্ধার করতে না পেরে ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসে খবর দেন। পরে তারা উদ্ধার করে হাসপাতালে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে ভূঞাপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার খাদেমুল ইসলাম বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’