• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
টাঙ্গাইলে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ, আহত অন্তত ৩০
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল টাঙ্গাইল
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে টাঙ্গাইল শহরের বিভিন্ন পথ ও মহাসড়ক ঘিরে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার্থীদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছুড়েছে পুলিশ। এতে আহত হয়েছেন অনেকে। বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জেলার পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে জেলা প্রেস ক্লাবের সামনে জড়ো হন আন্দোলনকারীরা। জানা গেছে, বেলা ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করতে বিক্ষোভ নিয়ে যাচ্ছিলেন শিক্ষার্থীরা। পুরোনো বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গেলে তাদের ওপর টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ। এতে কয়েকজন শিক্ষার্থী গুলিবিদ্ধসহ অনেকে আহত হয়েছেন।
ভূঞাপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় 
টাঙ্গাইলে ১১৪ গ্রামের ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দি 
টাঙ্গাইলে চলন্ত সিএনজির ওপর গাছ পড়ে যাত্রী নিহত
টাঙ্গাইলে কোটা সংস্কারের দাবিতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
যমুনার পানি সামান্য কমলেও বন্যায় ভাসছে ঘরবাড়ি
টাঙ্গাইলে যমুনা ও ঝিনাই নদীর পানি সামান্য কমলেও বাড়ছে অন্যান্য নদ-নদীর পানি। ফলে জেলায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। গেল ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৩৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ঝিনাই নদীর পানি ৩ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে ও ধলেশ্বরী নদীর পানি ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। যমুনার ধু ধু বালু চরে এখন যে দিকে চোখ যায়, শুধু পানি আর পানি। কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে। জেলার পাঁচটি উপজেলার ৩৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। সোমবার (৮ জুলাই) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পানি বৃদ্ধির ফলে পুরো চরাঞ্চল ও প্রত্যন্ত গ্রামগুলো পানিতে কানায়-কানায় পরিপূর্ণ। এ ছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন সড়ক ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এতে অসংখ্য ঘরবাড়িতে পানি উঠেছে এবং অনেকের ঘরবাড়ি তলিয়ে গেছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, মসজিদ-মন্দির, ঘরবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। চরাঞ্চলের অনেকে নৌকায় বা স্বজনদের বাড়ি ও উঁচু জায়গাতে আশ্রয় নিয়েছেন। অন্যদিকে জেলার ৫টি উপজেলায় ৪ হাজার ৬৬ হেক্টর জমির পাট, আউসশ, তিল ও সবজি বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। অধিকাংশ পঁচে নষ্ট হয়ে গেছে। পানি দীর্ঘস্থায়ী হলে কৃষক ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগ।   ভূঞাপুর উপজেলার গাবসারা ইউনিয়নের কালিপুর গ্রামের আবদুস ছবুর বলেন, ‘৩ থেকে ৪ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে আছি। ১২ জনের পরিবার, শিশু সন্তান ও বৃদ্ধদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। চরে সব জায়গায় পানি আর পানি। এ ছাড়া কাজকর্ম বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরের খাবারও নেই, দেখা দিয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট। কোনো রকম খেয়ে না খেয়ে দিনাতিপাত করছি।’ একই গ্রামের আছর উদ্দিন বলেন, ‘বাড়িতে পানি, যাওয়ার কোনো জায়গা নেই। নৌকাতেই থাকতে হচ্ছে। নতুন পানিতে পোকা-মাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। সবার মাঝে ভয় ও আতঙ্ক বিরাজ করছে। তাদের অভিযোগ, কয়েকদিন ধরে পানিবন্দি থাকলেও এখনও কোনো ত্রাণ সহায়তা পাননি।’ এর আগে রোববার বিকেলে উপজেলার অর্জুনা পরিষদ মাঠে বন্যা কবলিত অসহায়দের মাঝে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে মানবিক সহায়তা সামগ্রী বিতরণ করেছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং জেলা প্রশাসন। এতে অতিথি ছিলেন, স্থানীয় সংসদ সদস্য ছোট মনির ও জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম প্রমুখ। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ বলেন, ‘বন্যার্তদের মাঝে পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট, খাবার স্যালাইন বিতরণ চলমান রয়েছে। এ ছাড়াও পানিবন্দিদের তালিকা সম্পন্ন হয়েছে। অতিদ্রুত তাদের মাঝে ত্রাণ সহায়তা প্রদান করা এবং ভাঙন কবলিত রাস্তায় যাতায়াতের জন্য আপাতত বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে দেওয়া হবে।’
টাঙ্গাইলে বন্যার্তদের মাঝে চাল বিতরণ
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে বন্যাকবলিতদের মাঝে চাল বিতরণ করা হয়েছে। রোববার (৭ জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলার অর্জুনা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ২২৩টি পরিবারের মাঝে এ চাল বিতরণ করা হয়।  এ সময় উপস্থিত ছিলেন টাঙ্গাইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ছোট মনির, টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক কায়ছারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নার্গিস আক্তার, ভূঞাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার, ওসি মোহাম্মদ আহাসান উল্ল্যাহ, ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক তাহেরুল ইসলাম তোতা।  এমপি ছোট মনির বলেন, ‘জাতির পিতার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার যে কোন দুর্যোগে মানুষের পাশে রয়েছে। টাঙ্গাইলের বন্যায় একজন মানুষও না খেয়ে থাকবেনা। পর্যাপ্ত ত্রাণ মজুদ রয়েছে। চেয়ারম্যানদের তালিকা তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সবার কাছে ত্রাণ সামগ্রী পৌঁছে যাবে।’ 
টাঙ্গাইলে প্রতিবন্ধীরা পেল হুইল চেয়ার 
টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে ৫ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীর মাঝে হুইল চেয়ার বিতরণ করেছেন জেলা প্রশাসক মো. কায়ছারুল ইসলাম।  রোববার (৭ জুলাই) বিকেলে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে উপজেলা পরিষদ চত্বরে এ হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন- উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোছা. নার্গিস বেগম, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মামুনুর রশীদ, সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফাহিমা বিনতে আখতার, উপজেলা প্রকৌশলী মো. আমিনুল ইসলাম, উপজেলা কৃষি অফিসার মোখলেছুর রহমান, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার নাজমুল হাসান, উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ভূঞাপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, গাবসারা ইউপি চেয়ারম্যান শাহ আলম আকন্দ শাপলা, অলোয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম রফিক, নিকরাইল ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুল হক মাসুদ প্রমুখ।
ভেঙে গেছে ইটের ব্লকের রাস্তা, মানুষের দুর্ভোগ চরমে
যমুনা নদীর পানির প্রবল স্রোতে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে কয়েড়ায় নতুন ব্লক ইটের রাস্তাটি ভেঙে গেছে। ফলে কয়েকটি গ্রামের মানুষ যাতায়াতে দুর্ভোগে পড়েছেন।  শনিবার (৬ জুলাই) সন্ধ্যার দিকে পানির তীব্র স্রোতে রাস্তাটি ভেঙে যায়। এতে মুহূর্তেই পুরো এলাকায় পানি প্রবেশ করে এবং রাস্তাটির ভাঙন দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমায়।  এদিকে কয়েড়ার রাস্তাটি ভেঙে যাওয়ার ফলে চর কয়েড়া, আকালু ও নলুয়া গ্রামসহ আরও বেশ কয়েকটি এলাকায় পানি প্রবেশ করছে। যার কারণে এসব এলাকার নিম্নাঞ্চলের রাস্তাগুলো তলিয়ে যাচ্ছে। এরমধ্যে কয়েড়া এলাকার পুঁইশাক, ঢেঁড়শ, কাঁচা মরিচ, ধুন্দুল, কলমি শাকসহ বিভিন্ন ধরনের সবজি-ফসল তলিয়ে গেছে। রোববার (৭ জুলাই) সকালে সরজমিনে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার গোবিন্দাসী ইউনিয়নের কয়েড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়-সংলগ্ন কয়েড়া পূর্বপাড়া, দক্ষিণপাড়া, চর কয়েড়া, আকালু ও নলুয়া যাওয়ার একমাত্র সংযোগ রাস্তা। কয়েক মাস আগে রাস্তার পিচ উঠিয়ে যত্রতত্রভাবে ঠিকাদার ব্লক ইটের রাস্তা পাকাকরণের কাজ করে। এনিয়ে স্থানীয়রা ব্যাপক ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ ছাড়া রাস্তাটিতে আগে বেশ কয়েকটি কালভার্ট থাকলেও জমির মালিকরা সেটি বন্ধ করে দেয়। যার ফলে অল্প পানি হলে রাস্তাটি তলিয়ে যায় এবং প্রতি বছর বন্যায় রাস্তাটি ভেঙে যায়। এরইন্যায় গত শনিবার সন্ধ্যার দিকে পানির ব্যাপক স্রোতের কারণে নতুন ব্লক ইটের রাস্তাটি প্রায় ১৫ মিটার অংশজুড়ে ভেঙে যায়। রাস্তাটি ভেঙে গেলেও এখন পর্যন্ত মানুষের যাতায়াতের ব্যবস্থা করা হয়নি। স্থানীয় স্কুলশিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, সুমন সরকার, রাশেদ আলীসহ অনেকেই জানান, কালভার্ট না থাকায় প্রতি বছর বন্যায় রাস্তাটির বিভিন্ন স্থানে ও ভাঙন দেখা দেয়। ফলে  বেশ কয়েকটি গ্রামের মানুষের যাতায়াতে চরম দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল, মাদরাসা, কলেজগামীরা বেশি বিপাকে পড়েন। ভেঙে যাওয়া রাস্তাটি দ্রুত মেরামত করার জোর দাবি জানান তারা। কয়েড়া ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. রুবেল সরকার বলেন, রাস্তাটি ভেঙে যাওয়া যাতায়াতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ভাঙনের সঙ্গে সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউএনও মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। এ ছাড়াও একই গ্রামের উত্তরপাড়া জামে মসজিদের সামনেও আরও বেশি ভেঙেছে। আপাতত মানুষের যাতায়াতের জন্য অতি দ্রুতই বাঁশের সাঁকো নির্মাণের কাজ শুরু হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মামুনুর রশীদ জানান- গোবিন্দাসী কয়েড়া গ্রামের রাস্তাটি পানির স্রোতে ভেঙে যাওয়ার বিষয়টি জানতে পেরেছি এবং ভাঙনের কারণে কয়েক এলাকার মানুষের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রাস্তাটি করে অতি দ্রুত বাঁশের সাঁকোর মাধ্যমে যাতায়াতের জন্য উপযোগী করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনায় ভারত পাশে থাকবে: বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর সফল হয়েছে। তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনায় ভারত আমাদের পাশে থাকবে। দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা হয়েছে। মোদি নিজে বলেছেন, তিস্তার পানি ব্যবস্থাপনায় ভারত পাশে থাকবে। যে ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া দরকার সে ধরনের পদক্ষেপে সহযোগিতা করবে। শনিবার (৬ জুলাই) দুপুরে টাঙ্গাইলে শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের হলরুমে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা বলেন তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে উৎপাদন থেকে ভোক্তা পর্যন্ত তাদের উভয়ের মধ্যে সরবরাহ উন্নত করার চেষ্টা করছি। দেশীয় ও আমদানি করা পণ্য সরবরাহে যেন সংকট না হয় তা নিশ্চিত করছি। তিনি আরও বলেন, দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থার অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। যখন যেখানে যে পণ্যের প্রয়োজন আমরা দ্রুত উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থার কারণে সেই পণ্য সরবরাহ নিশ্চিত করব। ভোক্তাদের কাছে দ্রুত পণ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্য রেলকে ব্যবহার করবো। এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার চাঁপা, টাঙ্গাইল-৪ আসনের সংসদ সদস্য আব্দুল লতিফ সিদ্দিকী, টাঙ্গাইল-৫ আসনের সংসদ সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও জেলা প্রশাসক কায়সারুল ইসলাম প্রমুখ। এসময় হাসপাতালর কর্মকর্তাবদ ও ডাক্তার এবং উপজলা নির্বাহী অফিসার ও জনপ্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলন।
মাভাবিপ্রবিতে কোটা বাতিল আন্দোলনে উত্তাল ক্যাম্পাস
টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (মাভাবিপ্রবি) কোটাবিরোধী বিক্ষোভ সমাবেশ ও আন্দোলনে নেমেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিপুলসংখ্যক শিক্ষার্থী এতে অংশগ্রহণ করেন। শুক্রবার (৫ জুলাই) সকালে তৃতীয় একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ফটক হয়ে প্রথম ফটকে অবস্থান নেয়। এরপর প্রথম ফটকের সামনে দলে দলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জড়ো হতে শুরু করেন। এ সময় তারা ‘সারা বাংলায় খবর দে-কোটা প্রথার কবর দে’, ‘আমার সোনার বাংলায়, বৈষম্যের ঠাঁই নাই’ এর মতো বিভিন্ন স্লোগান দেন। বিক্ষোভ সমাবেশে বিএমবি বিভাগের শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থীরা কখনও সারাদিন রাস্তায় রাস্তায় আন্দোলন করতে চাই না, আমরা পড়াশোনা করতে চাই। কিন্তু আমাদের কিছু করার নাই। কারণ যে পরিমাণ কোটা, তাতে দেশের মেধাবীরা চাকুরি না পেয়ে দেশের বাইরে চলে যাবে, দেশে সরকারি চাকরিতে করার আগ্রহও হারাবে।’ সমাবেশে অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌকির আহমেদ বলেন, ‘বৈষম্যমূলক কোটার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে অন্যায় করা হচ্ছে। আমরা ইতোপূর্বেও সব অন্যায়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন করেছি। এ বৈষম্য দূর না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।’  টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান রাকিব বলেন, ‘এই আন্দোলন কোনো সরকারবিরোধী আন্দোলন না। এই আন্দোলন আমাদের সকলের ভবিষ্যৎ নিশ্চিতের আন্দোলন। যৌক্তিক দাবি আদায়ের আন্দোলন। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যেতে চাই।’  সমাবেশে বক্তারা দাবি না মানলে শনিবার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধ করে আন্দোলন পরিচালনা করার হুঁশিয়ারি দেন।