• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
৩০ ঘণ্টা পর অলৌকিকভাবে বেঁচে যাওয়া সেই শিশুর পরিচয় মিলেছে
মায়ের ছিন্নভিন্ন মরদেহের পাশে কাঁদছিল শিশুটি
গাজীপুরে শিশুকন্যাসহ রাস্তা পারাপারের সময় গাড়িচাপায় এক নারী নিহত হয়েছেন। শুক্রবার (১২ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের স্টেশনরোড এলাকায় বিআরটি উড়ালপথের ওপর এ ঘটনা ঘটে। এখন পর্যন্ত নিহত ওই নারী ও শিশুটির পরিচয় নিশ্চিত হতে পারেনি পুলিশ। জানা গেছে, শিশুকন্যাকে নিয়ে ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থেকে ইমাম পরিবহনের একটি বাসে গাজীপুরের টঙ্গী ফিরছিলেন এক নারী। বাসটি টঙ্গীর চেরাগআলী থেকে উড়ালপথে ঢাকার দিকে যাচ্ছিল। এরমধ্যে স্টেশনরোড এলাকায় রাস্তার পূর্ব পাড়ে বাস থেকে নামেন। পাশেই উড়ালপথে ওঠানামার জন্য রয়েছে বিআরটি স্টেশন, যা এখনও চালু হয়নি। ওই নারী স্টেশন দিয়ে নিচের সড়কে নামার জন্য শিশুটিকে কোলে নিয়ে রাস্তা পার হচ্ছিলেন। এর মধ্যেই হঠাৎ পেছন থেকে একটি গাড়ি এসে তাদের চাপা দেয়। শিশুটি কোল থেকে ছিটকে পড়ে সড়কে। আর গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই নারী। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। আর ওই নারীর মরদেহ পাঠানো হয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে। টঙ্গী পূর্ব থানার উপপরিদর্শক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি, শিশুটি রাস্তার পাশে বসে আছে। পাশেই পড়ে আছে তার মায়ের ছিন্নভিন্ন মরদেহ। শিশুটি অনবরত কাঁদছিল। পরে তাকে উদ্ধার করে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শিশুটির মাথা ও ঠোঁটে কিছুটা আঘাত আছে, তবে গুরুতর নয়। আর তার মাকে পাঠানো হয় শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজের মর্গে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা এখনও ওই নারী বা শিশুটির নাম-পরিচয় নিশ্চিত হতে পারিনি। তবে তাদের সঙ্গে ইমাম পরিবহন নামের একটি বাসের টিকিট পাওয়া গেছে। সেখানে বাসে ওঠার স্থান ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট লেখা। আমরা পরিচয় নিশ্চিত হতে বাসটির কাউন্টারেও যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু তারা কেউ পরিচয় বলতে পারছেন না। পাশাপাশি ঘটনায় জড়িত গাড়িটিও শনাক্তের চেষ্টা করছি।’
পরকীয়া প্রেমিকাকে নিয়ে যাওয়ায় প্রেমিকের আত্মহত্যা
মাটি খুঁড়তেই মিলল ১৬ গ্রেনেড, অতঃপর...
কালিয়াকৈরে অজ্ঞাত যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার 
এক শিশুর ভেতর আরেক শিশুর জন্ম, যা বললেন চিকিৎসক
শ্রীপুরে সিএনজিকে লরির ধাক্কায় নিহত ১
গাজীপুরের শ্রীপুরে বিড়ালকে বাঁচাতে গিয়ে মাটি বহনকারী লরির ধাক্কায় সিএনজি থেকে সিটকে পড়ে সিএনজি যাত্রী পোশাক শ্রমিক মফিজুল ইসলাম (৩২) নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের শিশু ছেলে মাহিদ (৭) এবং সিএনজি চালক মোস্তফা কামাল (৩৮) আহত হয়েছে।  শনিবার (৬ জুলাই) বিকেল সাড়ে ৪টায় কাওরাইদ ইউনিয়নের সোনাব গ্রামের (চৌধুরী ঘাট) ব্রিজের পশ্চিম পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের স্থানীয়রা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত মফিজুল ইসলাম ময়মনসিংহের ভালুকা উপজেলার বাসিল গ্রামের আবু সাঈদের ছেলে। সে ওই উপজেলার একটি পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। আহত শিশু মাহিদ নিহতের ছেলে। আহত সিএনজিচালক মোস্তফা কামাল উপজেলার কাওরাইদ ইউনিয়নের বিধাই গ্রামের আব্দুল কাদিরের ছেলে।  শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকবর আলী খান প্রত্যক্ষদর্শীর বরাত দিয়ে জানান, মফিজুল ইসলাম তার স্ত্রী ও সাত বছরের শিশু ছেলেকে নিয়ে শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদে শশুর বাড়িতে বেড়াতে যাচ্ছিল। জৈনা বাজার-কাওরাইদ সড়কের সোনাব এলাকার চৌধুরী ঘাট ব্রীজের কাছে পৌঁছালে একটি বিড়াল সড়ক পার হচ্ছিল। এ সময় বিড়ালকে বাঁচাতে গিয়ে দ্রুত গতির সিএনজি ব্রেক করলে পেছনে থাকা মাটি বহনকারী লরির ধাক্কা লাগে। এতে সিএনজি থেকে ছিটকে পড়ে পোশাক শ্রমিক যাত্রী মফিজুল ইসলাম পাকা সড়কে পড়ে মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। দুর্ঘটনায় সিএনজি চালক মোস্তফা কামাল এবং নিহতের শিশু ছেলে মাহিদ গুরুতর আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। ঘটনার পর লরি চালক পালিয়ে গেছে। পুলিশ লরি ও দুর্ঘটনা কবলিত সিএনজি জব্দ করেছে।
পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন 
চার বছর প্রেমের পর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শুভ (১৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ফাতেমা (১৭) নামে এক প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের রশিদপুরের দরগাচালা এলাকায় আব্দুল বাছেদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।  প্রেমিকা ফাতেমা উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর এলাকার ফজল হোসেনের মেয়ে।  এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর আগে শুভর সঙ্গে প্রাইভেট পড়াকালে ফাতেমার পরিচয় হয়। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়ের বাবা ফজল হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পারিবারিকভাবে ফাতেমাকে আশুলিয়া থানার কবিরপুর গ্রামের সাইদুর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের এক বছর পর ফাতেমার ঘরে এক কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। এতেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। ফাতেমা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসলে ওই পুলিশ সদস্য শুভ ফাতেমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। পরে দুজনের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। বিষয়টি স্বামী সাইদুর জানতে পেরে ফাতেমাকে সন্দেহের চোখে রাখেন। গত কয়েক মাস আগে শুভ ও ফাতেমাকে উপজেলার তালতলী এলাকায় আনন্দ পার্কের ভেতরে একটি কক্ষে অনৈতিক কাজে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বামী। পরে দুই পক্ষ একত্র হয়ে তাদের দুজনের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। তবে নয় মাস আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পান শুভ। তিনি বর্তমানে শ্রীপুরের পুলিশ লাইনে রয়েছেন। ফাতেমার দাবি, পুলিশ সদস্য শুভ চাকরিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ফাতেমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, পারিবারিকভাবে তোমাকে নেওয়া সম্ভব হবে না। যদি পারো তুমি আমার বাড়িতে উঠে যেও। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে ফাতেমা ওই ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছেন।  এ বিষয়ে প্রেমিকা ফাতেমা বলেন, ‘বিয়ে না হলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব। শুভ আমাকে বিয়ে করবে বলে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার সিকদার। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শুনে আমি ছেলের বাড়িতে এসেছি। মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সন্ধ্যার মধ্যে এর একটি সমাধান করে দেবো।’ কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে কেউ কারও বাড়িতে উঠতে পারে না।’
কালিয়াকৈরে অফিস সময়ের তোয়াক্কা করেন না সরকারি কর্মকর্তারা
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নির্ধারিত সময়ে অফিসে উপস্থিত থাকার নির্দেশনা দিলেও তা মানতে নারাজ গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার বেশির ভাগ কর্মকর্তা-কর্মচারী। সকাল ৯টার মধ্যে কর্মক্ষেত্রে উপস্থিত হচ্ছেন না অনেকেই। এতে ভোগান্তিতে পড়ছেন সেবাপ্রার্থীরা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার বিভিন্ন কর্মকর্তার দপ্তর ঘুরে এমন চিত্রই দেখা যায়। যদিও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ সকাল ৯টার আগেই অফিসে উপস্থিত ছিলেন। সরেজমিনে দেখা যায়, বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জাকির মোল্লা ৯টা ৪৫ মিনিটে, উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান ১০টা ১০ মিনিটে ও উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা মোরশেদা ইয়াসমিন ১০টা ৩০ মিনিট, উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা সানজিদা মজুমদার ১০টা ৫ মিনিট, উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা বিপ্লব পাল ১০টা ৩০ মিনিটে অফিসে আসেন। উপজেলা মাধ্যমিক কর্মকর্তা জাকির মোল্লা বলেন, ‘বৃষ্টির কারণে একটু দেরি হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা চলছে। এ কারণে অফিসে আসতে দেরি হয়েছে।’  নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক উপজেলার এক কর্মচারী জানান, কর্মকর্তারা দশটার আগে কেউ অফিসে আসেন না। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাউছার আহাম্মেদ বলেন, সরকারি প্রজ্ঞাপন জারি আছে ৯টার মধ্যে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অফিসে উপস্থিত থাকতে হবে। অফিস ফাঁকি দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। তবে যারা অফিসে সময় মতো আসেনি, খোঁজ নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
শ্রীপুরে ট্রাকচাপায় তুলা গবেষণা কেন্দ্রের কর্মকর্তা নিহত
গাজীপুরের শ্রীপুরে ড্রাম ট্রাক ও মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে তুলা গবেষণা কেন্দ্রের জিনিং কর্মকর্তা মোটরসাইকেল আরোহী ইউনুস আলী (৬০) নিহত হয়েছেন।  রোববার (৩০ জুন) দুপুর ২টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর পৌরসভার গড়গড়িয়া (নতুন বাজার) তুলা গবেষণা কেন্দ্রের মেইন গেইটে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ইউনুস আলী মাগুরা জেলা সদর থানার লাহুরিয়া গ্রামের মৃত আদম মোল্লার ছেলে। তিনি তুলা গবেষণা কেন্দ্রে তুলা বীজ সংগ্রহ ও জিনিং কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন এবং পরিবারসহ ওই কেন্দ্রের কোয়ার্টারে বসবাস করতেন। মাওনা হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন বলেন, ইউনুস আলী মোটরসাইকেলে অফিসের কাজে কর্মস্থল থেকে বের হচ্ছিলেন। তুলা গবেষণার কেন্দ্রের প্রধান ফটক পার হয়ে মহাসড়কে উঠলে দ্রুতগতির ড্রাম ট্রাকের সঙ্গে মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় তার মোটরসাইকেল সড়কে পড়ে গেলে ওই ড্রাম ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে তার মাথার খুলি থেঁতলে যায়। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক সুদেব চক্রবর্তী বলেন, দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত ইউনুস আলীকে মৃত অবস্থায় হাসপাতালে আনা হয়েছে। খবর পেয়ে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মাওনা হাইওয়ে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। ট্রাক আটক করলেও চালক পালিয়ে গেছেন। নিহতের স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চাচার মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রাণ গেল ভাতিজার
গাজীপুরের শ্রীপুরে চাচার মৃত্যুর খবর শুনে বাড়ি যাওয়ার পথে সড়ক দুর্ঘটনায় ভাতিজা মামুন (২৮) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২ যাত্রী আহত হয়েছেন।  শনিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৬টায় মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কের উপজেলার বদনীভাঙ্গা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম এ দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত মামুন সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বলিশাবাড়ী গ্রামের শাহাজাহান মুন্সির ছেলে। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার ইকো কটন মিলস কারখানায় চাকরি করেন। আহত অপর দুজনের পরিচয় পাওয়া যায়নি। তাদেরকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শাহরিনা নাসরিন বলেন, মৃত অবস্থায় স্বজনরা তাকে হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরে শ্রীপুর থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে মরদেহ নিয়ে যান। নিহতের ভাইয়ের বরাতে শ্রীপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আমিনুল ইসলাম বলেন, শ্রীপুরের মাওনা থেকে চাচার মৃত্যুর খবর শুনে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিলেন মামুন। পথে মাওনা-কালিয়াকৈর সড়কের উপজেলার বদনীভাঙ্গা এলাকায় সিএনজি ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে তিন যাত্রী আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে মাওনা আল হেরা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। ওই হাসপাতাল থেকে মামুনকে শ্রীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এবং অপর দুজনকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে পাঠানো হয়েছে। মরদেহ শ্রীপুর থানায় রয়েছে। নিহতের স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
ট্রেনের দরজায় বসে যুবকের দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন
গাজীপুরের টঙ্গী জংশন স্টেশনে ট্রেনের দরজায় পা ঝুলে বসা আবদুর রহিম (৩৫) নামে এক যুবকের দুই পা প্রায় বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।  শুক্রবার (২৮ জুন) দুপুর ১২টার দিকে টঙ্গী জংশন স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা আশুগঞ্জগামী তিতাস কমিউটার ট্রেন টঙ্গী জংশনের এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। এ সময় ট্রেনের একটি বগিতে দরজার মুখে দুই পা ঝুলিয়ে বসে ছিলেন রহিম নামের ওই যাত্রী। ট্রেনটি স্টেশনে প্রবেশ করার সময় রহিম দরজার গেটে দাঁড়িয়ে না পড়ায় তার দুই পা প্ল্যাটফরমের সঙ্গে লেগে ভেঙে যায়। তাৎক্ষণিক পুলিশ আহতকে শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।  টঙ্গী জংশন রেলওয়ে পুলিশের ইনচার্জ ছোটন শার্মা জানান, শুক্রবার ঢাকা থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উদ্দেশ্যে ছেড়ে আসা তিতাস কমিউটার ট্রেন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে টঙ্গী স্টেশনের ১নং লাইনে যাত্রা বিরতির করে। এ সময় ট্রেনের কোচের প্রবেশমুখে পা ঝুলিয়ে বসেছিল ওই ট্রেনের যাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ উপজেলার আব্দুর রহিম। এ সময় ট্রেনটি ১নং লাইনে প্রবেশের সময় তার পা স্টেশনের প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে লেগে যায়। এতে তার দুটি পা গুরুতর জখম হয়। তাৎক্ষণিকভাবে রেলওয়ে পুলিশের সহযোগিতায় তাকে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়।