• ঢাকা মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২ আশ্বিন ১৪৩১
logo
গাজীপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় শিক্ষিকা ও অটোরিকশা চালক নিহত
কাশিমপুর কারাগার থেকে পালানো যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেপ্তার
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে পলাতক হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি কামাল হোসেনকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪ টায় শ্রীপুরের টেংরা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে। কামাল হোসেন শ্রীপুর উপজেলার কাওরাইদ গ্রামের ধনু মোড়লের ছেলে। র‌্যাব-১ গাজীপুর পোড়াবাড়ী ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মাহফুজুর রহমান রাত ১০ টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গত ৬ আগস্ট কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে কারাবন্দিরা দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে কারারক্ষীদের জিম্মি করেন। এসময় হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী কামাল হোসেন বৈদ্যুতিক পিলার (জিআই পাইপ) ভেঙ্গে মই বানিয়ে কারাগারের পশ্চিম পাশের সীমানা প্রাচীর টপকিয়ে পালিয়ে যায়। পালানোর সময় সে ডান পায়ে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। এ ঘটনায় কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কারাগারের জেলার লুৎফর রহমান জিএমপির কোনাবাড়ী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।   র‌্যাব-১ ওই মামলা আমলে নিয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে। বিশ্বস্ত র‌্যাব সূত্রে জানতে পারে যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত কয়েদী কামাল হোসেন গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের টেংরা বাজার এলাকা আত্মগোপনে আছে। পরে টেংরা বাজারে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ (জিএমপির) কোনাবাড়ী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আরটিভি/এসএপি
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ জনজীবন, শিল্প কারখানার উৎপাদন ব্যাহত  
গাজীপুরে বিগবস কারখানায় আগুন
শ্রীপুরে সড়কে গাছ ফেলে ডাকাতি, নগদ টাকা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট
ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে ট্রাকচাপায় নিহত ২
শ্রীপুরে বাসচাপায় নিহত ১
গাজীপুরের শ্রীপুরে মহাসড়ক পার হওয়ার সময় শেরপুরগামী দ্রুতগতির অজ্ঞাত যাত্রীবাহী বাসচাপায় আক্কাস আলী (২৯) নামে এক পোশাক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।  সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের শ্রীপুর উপজেলার এমসি বাজার এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।  মাওনা হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইসমাইল হোসেন দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। নিহত আক্কাস আলী শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মালামারি গ্রামের আব্দুস ছালামের ছেলে। তিনি শ্রীপুর উপজেলার মাওনা গ্রামের বেলাল হোসেনের বাড়িতে ভাড়া থেকে নোমান শিল্প গ্রুপের স্থানীয় নাইস ডেনিম পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন। এ বিষয়ে এসআই ইসমাইল হোসেন বলেন, আক্কাস আলী মহাসড়ক পার হয়ে মীর সিরামিক কারখানার সামনে ডাচ বাংলা ব্যাংকের এটিএম বুথ টাকা থেকে তুলতে যান। পরে ফেরার পথে শেরপুরগামী দ্রুতগতির অজ্ঞাত যাত্রীবাহী বাসচাপা দিয়ে চলে যায়। মাথায় মারাত্মক আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে এবং তার স্বজনদের খবর দেওয়া হয়েছে।
কলেজছাত্রকে গুলি করে হত্যা মামলায় কনস্টেবল গ্রেপ্তার
গাজীপুরের কোনাবাড়ীতে কলেজছাত্র মো. হৃদয়কে (২০) গুলি করে হত্যা মামলায় পুলিশের এক কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।  শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত ওই কনস্টেবলের নাম মো. আকরাম হোসেন (২২)। তিনি গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত ছিলেন। নিহত হৃদয় টাঙ্গাইলের গোপালপুরের আলমগর গ্রামের লাল মিয়ার ছেলে। তিনি হেমনগর ডিগ্রি কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়তেন। লেখাপড়ার পাশাপাশি তিনি কোনাবাড়ী এলাকায় বসবাস করে অটোরিকশা চালাতেন। কোনাবাড়ী থানা পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গাজীপুর মহানগরের কোনাবাড়ী সড়কের কোনাবাড়ী এলাকায়  মো. হৃদয় (২০) সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেন। এ সময় কয়েকজন পুলিশের উপস্থিতি দেখতে পেয়ে হৃদয় রাস্তার পাশে অবস্থান নেন। ওই সময় শিল্প পুলিশে কর্মরত কিছু পুলিশ সদস্য কোনাবাড়ী এলাকায় দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় তারা হৃদয়কে রাস্তার পাশ থেকে ধরে নিয়ে চড়থাপ্পড় মারেন। একপর্যায়ে পুলিশ কনস্টেবল আকরাম অতি উৎসাহী হয়ে তার পেছন দিক থেকে গুলি করলে ঘটনাস্থলেই হৃদয়ের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ফুফাতো ভাই মো. ইব্রাহীম বাদী হয়ে কোনোবাড়ী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে শুক্রবার রাতে কিশোরগঞ্জের পারাইল এলাকা থেকে কনস্টেবল আকরামকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে গাজীপুর মহানগর পুলিশের কোনাবাড়ী জোনের সহকারী কমিশনার সুবীর কুমার সাহা বলেন, কনস্টেবল আকরামকে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেপ্তার করা হবে।
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আরও ২ হত্যা মামলা
দুই যুবককে হত্যার অভিযোগ গাজীপুরের কালিয়াকৈর থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ২১৭ জনের নাম উল্লেখ করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই দুই মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৮০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহতরা হলেন কালিয়াকৈর উপজেলার পূর্ব চান্দরা এলাকার হায়াত আলী ফকিরের ছেলে মো. জসিম ফকির (৩৬) ও কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকার বাসিন্দা শাহিনুর মাহমুদ শেখ (৪০)। কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ওই দুটি হত্যা মামলায় বাদী হয়েছেন নিহত জসিম ফকিরের ভাই রিয়াজ ফকির ও নিহত শাহিনুরের স্ত্রী সালমা বেগম। মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কালিয়াকৈর উপজেলার সফিপুর এলাকায় গত ৪ আগস্ট বিকেলে আন্দোলন চলাকালে গুলিবিদ্ধ হয়ে জসিম ফকির নিহত হন। পরে তার লাশ নিহতের পরিবার উদ্ধার করে নিয়ে যায়। ওই ঘটনায় শুক্রবার দিবাগত রাতে নিহতের ভাই রিয়াজ ফকির বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক সংসদ সদস্য ও বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য শেখ হেলাল, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে হুকুমের আসামি করে ১০৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া, অপর মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহেনা, সাবেক সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ও সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হককে হুকুমের আসামি করে ১০৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া ওই মামলায় অজ্ঞাত ৩০০ থেকে ৪০০ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুস সাকিব খান বলেন, কালিয়াকৈর থানায় পৃথক দুইটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর একটি শুক্রবার রাতে নথিভুক্ত করা হয়েছে, অপরটি শনিবার সকালে নথিভুক্ত করা হয়েছে।
গাজীপুরে বিএনপির ২ গ্রুপের সংঘর্ষ, নিহত ১
গাজীপুরের কালীগঞ্জের মোক্তারপুরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুগ্রুপের সংঘর্ষে ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি এমদাদুল হক আকলুকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এ সময় আহত হয়েছেন আরও চারজন। শুক্রবার (৬ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টায় গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের নাশু মার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত এমদাদুল হক ওরফে আকলু (৬০) উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে।  তিনি মোক্তারপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি। আহতরা হলেন- উপজেলার রাথুরা গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে জহিরুল ইসলাম (৩৫), ফাইজ উদ্দিন শেখের ছেলে মনজু শেখ (৬০), রামচন্দ্রপুর গ্রামের ইসমাইল শিকদারের ছেলে সীমান্ত শিকদার (২৪) এবং বজলুর সরকারের ছেলে মেহিদী হাসান সরকার (৩০)। স্থানীয়রা জানান, গত ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমদাদুল হক গ্রুপের সমর্থন ছিল সাবেক চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলামের নেতৃত্বে স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগ নেতা মো. আখতারুজ্জামানের পক্ষে। অপরদিকে প্রতিপক্ষ ইউনিয়ন বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক নূর মোহাম্মদ গ্রুপ সরাসরি সমর্থন দিয়েছিল আওয়ামী লীগের প্রার্থী মেহের আফরোজ চুমকিকে (নৌকা)। এ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলছিল অনেক দিন ধরেই। সম্প্রতি ক্ষমতার পালাবদলের পর এলাকায় দুপক্ষের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। বৃহস্পতিবার এমদাদুল হক গ্রুপের লোকজন নূর মোহাম্মদ গ্রুপকে আওয়ামী লীগের দালাল আখ্যা দিয়ে এলাকায় প্রচার চালায়।  শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে এমদাদুল হকের নেতৃত্বে স্থানীয় নেতাকর্মীরা ৮-১০টি মোটরসাইকেল নিয়ে এলাকায় মহরা দিয়ে মিছিল করে। একপর্যায়ে তারা কাপাসিয়া থানার দূর্গাপুর ইউনিয়নের নাশু মার্কেট এলাকায় অবস্থান নিলে নূর মোহাম্মদ গ্রুপের প্রায় ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ মিলে তাদের ধাওয়া করে। সে সময় এমদাদুল হকের ওপর হামলা চালিয়ে মারধর করে গুরুতর আহত করলে ঘটনাস্থলেই তিনি নিহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এ ছাড়া হামলায় এমদাদুল হক গ্রুপের চারজন আহত হয়। আহতদের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। অপরদিকে ঘটনার পর দুপুর ১২টার দিকে স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম তোরণের বাড়িতে ও অফিসে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। গাজীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) নাজমুস সাকিব খান বলেন, ‘বিএনপির দুগ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।’
সাবেক প্রতিমন্ত্রী রিমিসহ ৯২ জনের বিরুদ্ধে মামলা 
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মসূচিতে হামলার অভিযোগে গাজীপুর-৪ (কাপাসিয়া) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন রিমিসহ ৩২ জনের নামে কাপাসিয়া থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও অন্তত ৫০-৬০ জনকে। গত বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) কাপাসিয়া থানায় মামলাটি করেন হামলায় আহত বিএনপি নেতা মো. সাজিদুল ইসলাম। মামলা নম্বর ৭/১৮০। মামলাটির বাদী সাজিদুল কাপাসিয়ার ঘাগটিয়া পূর্বপাড়া এলাকার বাসিন্দা।  মামলার অন্য আসামিরা হলেন, কাপাসিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাবেক এমপি মো. শহিদুল্লাহ (৬০), ঘাগটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ হিরন মোল্লা (৪৮), মাহবুব (৪৫), মাজহারুল (৩০), অলিউল্লাহ (৪০), মো. ফয়সাল (২৬), জাকির মোল্লা (৩২), রিপন মাঝি (৫০), নুরে আলম টিটু (৪৫), মেজবা উদ্দিন (৫০), তৈমুর (২৫), মারুফ (২৬), ফয়সাল মোল্লা (২৫), শ্যামল (৪২), আব্দুল খালেক (৪০), ইলিয়াস (৪৫), বিকল্প (২৮), বিহেব (২৫), কাজল (২৫), তোফাজ্জল হোসেন (৩০), রাসেল (৩০), মান্নান (৩২), মনির হোসেন (৩৩), রাশেদুল (২৮), আসাদ (৩৮), মিলন মাস্টার (৪৫), সজিব মিয়া (২৮), জুয়েল মিয়া (৪৫), নাজমুল (৩০), আহম্মদ (২৮), শুভ (২৭)-সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ থেকে ৬০ জনকে  আসামি করা হয়েছে।  আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন বাংলাদেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের মেয়ে।  মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৪ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৭০–৮০ জন ছাত্র মিছিল নিয়ে খিরাটি স্কুলমাঠ থেকে চালার বাজারে যাচ্ছিল। এ সময় চালার বাজার সেতু পার হওয়ার পর বিপরীত দিক থেকে আসামিরা মিছিলকারীদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় আসামিরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে এবং ককটেল বিস্ফোরণ করে ওই এলাকায় তাণ্ডব চালায়। এজাহারে আরও বলা হয়েছে, হামলায় বাদী সাজিদুল ইসলামের ছেলে মো. সাগরকে মাথায় চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এ সময় ১৫–১৬ জনকে গুরুতর আহত করে হামলাকারীরা। হামলার সময় পাঁচ থেকে ছয়টি মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ করা হয়। আসামিরা বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় অগ্নিসংযোগ ঘটায়। সিমিন হোসেন রিমির হুকুমে আসামিরা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আক্রমণ করে বলে এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে। কাপাসিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবু বকর মিয়া বলেন, মামলার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আধিপত্য নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, নিহত কলেজছাত্র
গাজীপুর মহানগরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি সমর্থিত দুই পক্ষের সংঘর্ষে মো. ফাহিম নামে (২৫) এক কলেজছাত্র নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ৪-৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) দিবাগত রাতে জেলা শহরের উত্তর ছায়াবিথীর হাক্কানী এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। নিহতের বাড়ি নগরের মুন্সি পাড়া এলাকায়।  গাজীপুর জিএমপির সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, গত কয়েক দিন ধরে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে মহানগরীর সদর থানার ২৮নং ওয়ার্ডের সাহা পাড়া এলাকার সৌরভ গ্রুপের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের বরুদা এলাকার হিমেল-সাগর গ্রুপের উত্তেজনা বিরাজ করছিল। এর জের ধরে শুক্রবার দিবাগত রাত ১০টার দিকে জেলা শহরের উত্তর ছায়াবিথীর হাক্কানী এলাকায় সংঘর্ষ ও ধাওয়া- পাল্টাধাওয়া হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের যুবকরা দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে সৌরভ গ্রুপের ফাহিমকে এলোপাতাড়ি কোপায়। পরে স্থানীয়রা আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সংঘর্ষে আরও ৪ থেকে ৫ জন আহত হন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। উভয় পক্ষই স্থানীয় বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। ওসি মো. মুস্তাফিজুর রহমান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। ঘটনার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।