• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
কালিয়াকৈরে অজ্ঞাত যুবকের ভাসমান মরদেহ উদ্ধার 
পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকার অনশন 
চার বছর প্রেমের পর গাজীপুরের কালিয়াকৈরে শুভ (১৮) নামে এক পুলিশ সদস্যের বাড়িতে বিয়ের দাবিতে অনশন করছেন ফাতেমা (১৭) নামে এক প্রেমিকা। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) সকালে উপজেলার চাপাইর ইউনিয়নের রশিদপুরের দরগাচালা এলাকায় আব্দুল বাছেদের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটেছে।  প্রেমিকা ফাতেমা উপজেলার বড় কাঞ্চনপুর এলাকার ফজল হোসেনের মেয়ে।  এলাকাবাসী ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, গত চার বছর আগে শুভর সঙ্গে প্রাইভেট পড়াকালে ফাতেমার পরিচয় হয়। পরে ফেসবুকের মাধ্যমে দুজনের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মেয়ের বাবা ফজল হোসেন বিষয়টি জানতে পেরে পারিবারিকভাবে ফাতেমাকে আশুলিয়া থানার কবিরপুর গ্রামের সাইদুর হোসেনের সঙ্গে বিয়ে দেয়। বিয়ের এক বছর পর ফাতেমার ঘরে এক কন্যাসন্তান জন্মগ্রহণ করে। এতেও তাদের প্রেমের সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন হয়নি। ফাতেমা স্বামীর বাড়ি থেকে বাবার বাড়ি আসলে ওই পুলিশ সদস্য শুভ ফাতেমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যান। পরে দুজনের মধ্যে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন হয়। বিষয়টি স্বামী সাইদুর জানতে পেরে ফাতেমাকে সন্দেহের চোখে রাখেন। গত কয়েক মাস আগে শুভ ও ফাতেমাকে উপজেলার তালতলী এলাকায় আনন্দ পার্কের ভেতরে একটি কক্ষে অনৈতিক কাজে হাতেনাতে ধরে ফেলেন স্বামী। পরে দুই পক্ষ একত্র হয়ে তাদের দুজনের মধ্যে পারিবারিকভাবে বিচ্ছেদ হয়। তবে নয় মাস আগে পুলিশ কনস্টেবল পদে চাকরি পান শুভ। তিনি বর্তমানে শ্রীপুরের পুলিশ লাইনে রয়েছেন। ফাতেমার দাবি, পুলিশ সদস্য শুভ চাকরিতে যাওয়ার আগ মুহূর্তে ফাতেমাকে জানিয়ে দিয়েছেন, পারিবারিকভাবে তোমাকে নেওয়া সম্ভব হবে না। যদি পারো তুমি আমার বাড়িতে উঠে যেও। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার সকালে ফাতেমা ওই ছেলের বাড়িতে বিয়ের দাবি নিয়ে অনশন করছেন।  এ বিষয়ে প্রেমিকা ফাতেমা বলেন, ‘বিয়ে না হলে আমি এই বাড়িতেই আত্মহত্যা করব। শুভ আমাকে বিয়ে করবে বলে আগের স্বামীকে ডিভোর্স দিয়েছি।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার সিকদার। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা ছিল না। শুনে আমি ছেলের বাড়িতে এসেছি। মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। সন্ধ্যার মধ্যে এর একটি সমাধান করে দেবো।’ কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নাই। তবে কেউ অভিযোগ দিলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এভাবে কেউ কারও বাড়িতে উঠতে পারে না।’
কালিয়াকৈরে অফিস সময়ের তোয়াক্কা করেন না সরকারি কর্মকর্তারা
উত্তরবঙ্গের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্বাভাবিক 
চলন্ত ট্রেনের ছাদ থেকে পড়ে গেলেন ৩ যাত্রী, নিহত ১
শত্রুতা করে পুকুরে বিষ, মরল কোটি টাকার মাছ
সেই ফিলিং স্টেশনে হামলার ঘটনায় মামলা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে ফিলিং স্টেশনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, নগদ অর্থ লুটের ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় অজ্ঞাত আরও ৫ থেকে ৬ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ মামলায় ইতোমধ্যেই দুইজনকে গ্রেপ্তার করে গাজীপুর জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।  গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার রনারচালা এলাকার সরু মিয়া (৫০) ও তার ছেলে মামুন (৩০)। মঙ্গলবার (১৮ জুন) সকালে এই তথ্য জানিয়েছেন কালিয়াকৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম। এর আগে, সোমবার বিকেলে পাঁচটার দিকে ওই ফিল্ম স্টেশনে হামলা ও নগদ অর্থ লুটের ঘটনা ঘটে। আজমত আলী ফিলিং স্টেশনের মালিক শফি উদ্দিন আহম্মেদ জানান, ঈদের দিন সন্ধ্যায় সুরু মিয়া, মামুন, রাহাতসহ তাদের সহযোগী ৫ থেকে ৬ জন মোটরসাইকেলযোগে এসে ফিলিং স্টেশনে আকস্মিক হামলা করে লুটপাট চালায়। এ সময় আমার ভাতিজা রাতুল তাদেরকে বাধা দিলে হামলাকারীরা তাকে পিটিয়ে জখম করে। একপর্যায়ে তার মাথায় আঘাত করলে সে মাটিতে পড়ে যায়। তাকে উদ্ধার করতে গেলে হামলাকারীরা আমাকেও পিটিয়ে আহত করে। হামলাকারীরা এ সময় পাম্পের ক্যাশ থেকে নগদ ৭ লাখ টাকা লুটে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। চিৎকারে আশেপাশের লোকজন ছুটে আসলে মামুন, সরু মিয়াকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জুয়েল বিশ্বাস ফেন্সি জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে। তাদেরকে মঙ্গলবার দুপুরে গাজীপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বাড়ি ফাঁকা পেয়ে গৃহবধূকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ, শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বাড়ি ফাঁকা পেয়ে এক গৃহবধূকে ধর্ষণের চেষ্টা ও নারী অভিভাবকদের বিভিন্ন সময় স্কুল কক্ষে ডেকে কুপ্রস্তাব দেওয়ার অভিযোগ ওঠেছে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই ঘটনায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেছেন গ্রামবাসী।  বুধবার (৫ জুন) সকালে উপজেলার খলিশাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠ প্রাঙ্গনে স্থানীয় গ্রামবাসী এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন। মানববন্ধন সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ মে সকাল ১০টায় ওই এলাকায় এক গৃহবধূকে স্কুল চলাকালে লোক মারফত ডেকে কক্ষের ভেতরে নিয়ে কুপ্রস্তাব দেয়। তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় তাকে হাত ধরে টানাহেঁচড়া করার চেষ্টা করেন। এ সময় কক্ষ থেকে বের হয়ে ওই গৃহবধূ বাড়িতে চলে যান। ফের ২৩ মে বিকেলে ওই শিক্ষক গৃহবধূর বাড়িতে যান। বাড়ি ফাঁকা পেয়ে ঘরের ভেতরে ঢুকে ধর্ষণ করার উদ্দেশ্যে ধস্তাধস্তি শুরু করেন। একপর্যায়ে শরীরের স্পর্শকাতর স্থানে হাত দেন। তার চিৎকারে আশেপাশের লোক ছুটে আসলে ততক্ষণে ওই গৃহবধূকে হত্যার হুমকি দিয়ে শিক্ষক ঘটনাস্থল থেকে দ্রুত পালিয়ে যান। এর আগেও তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে বলে জানান গ্রামবাসী। ওই ঘটনায় গৃহবধূ শিউলি আক্তার বাদী হয়ে কালিয়াকৈর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। খলিশাজানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আব্দুল আলিম জানান, ওই গৃহবধূ আমার স্কুলের কোনো অভিভাবক নন। এবং আমি তাকে কুপ্রস্তাব দেইনি। আমাকে হেয় করার জন্য এ অভিযোগ করা হচ্ছে।  এ বিষয়ে কালিয়াকৈর থানা অধীনস্থ ফুলবাড়িয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ সোহেল মোল্লা জানান, ওই ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ সময় মানববন্ধন বক্তব্য রাখেন, স্থানীয় দুলাল মিয়া, সবুজ মিয়া, মিলন মাহমুদসহ প্রমুখ। বক্তারা শিক্ষককে ওই স্কুল থেকে অবিলম্বে বহিষ্কার করার দাবি জানান। 
কালিয়াকৈরে বজ্রপাতে গৃহবধূর মৃত্যু 
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে বজ্রপাতে আসমা বেগম (৪৫) নামে এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতে মারা যায়। মঙ্গলবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় চাপাইর ইউনিয়নের নামাশুলাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত আসমা বেগম ওই গ্রামের নুর মোহাম্মদের স্ত্রী।  এলাকাবাসী ও নিহত পরিবার সূত্রে জানা যায়, আসমা বেগম বেলা ১১টার দিকে ঘরের ভেতরে বসে ছিলেন। তখন অবিরাম বৃষ্টি হচ্ছিল। এ সময় হঠাৎ বজ্রপাতের সৃষ্টি হয়। এতে পাশের ঘরে থাকা একটি ষাঁড় গরু মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। গৃহবধূ আসমা গরুটি দেখতে গেলে ফের বজ্রপাতের আঘাতে তিনিও ঘটনাস্থলেই মারা যান।  বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নামাশুলাই ৭ নম্বর ওয়ার্ড ইউপি সদস্য মো. মোফাখর হোসেন। তিনি বলেন, নুর মোহাম্মদের স্ত্রী আসমা বেগম বজ্রপাতে মারা গেছেন। এ সময় একটি গরুও বজ্রপাতের আঘাতে মারা যায়। 
কালিয়াকৈরে কাভার্ডভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে কাভার্ডভ্যান ও অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে মীর আলম (৪০) নামে এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও ৫ জন। আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। নিহত হলেন, টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর উপজেলার আজগানা গ্রামের মীর মুসার ছেলে মীর আলম (৪০)। মঙ্গলবার (২৮মে) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কালিয়াকৈর টু ফুলবাড়িয়া আঞ্চলিক সড়কের চাপাইর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এলাকাবাসী ও পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মির্জাপুর উপজেলার আজগানা এলাকা থেকে একটি অটোরিকশাযোগে ৫ যাত্রী নিয়ে কালিয়াকৈরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। চাপাইর এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে ছেড়ে আসা একটি কাভার্ডভ্যান একই পাশে থাকা অটোরিকশাকে অভারটেক করার সময় আজগানা থেকে ছেড়ে আসা অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অটোরিকশাটি যাত্রীসহ দুমড়ে-মুচড়ে কাভার্ডভ্যানের নিচে চলে যায়।  খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আধা ঘণ্টার চেষ্টার পর অটোরিকশাটি কেটে যাত্রীদের বের করা হয়। ঘটনাস্থলেই মীর আলম নামে ওই শ্রমিক মারা যান। এ সময় চালক হাবিব, আলামিন, মনির, পারভিনসহ আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। যাত্রীরা সবাই উপজেলা বোর্ড এলাকার জিএমএস কারখানার শ্রমিক বলে জানায় পুলিশ। কালিয়াকৈর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফেন্সি বিশ্বাস জুয়েল বলেন, ‘খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। স্বজনদের আবেদনের প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়া হস্তান্তর করা হয়েছে। কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালককে আটক করা যায়নি।’
মেয়েকে হত্যার পর কাঁথা দিয়ে মরদেহ লুকিয়ে রাখেন সৎ মা
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিখোঁজের ১০ ঘন্টা পর সৎ মায়ের রুমের সানসিটের ওপর কাঁথা দিয়ে পেছানো মিম আক্তার (৫) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ওই ঘটনায় সৎ মাকে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২২ মে) উপজেলা হরিণহাটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। জানা গেছে, নিহত মীম আক্তার (৫) সিরাজগঞ্জ জেলার বেলকুচি উপজেলার সবুজ মিয়ার মেয়ে। সবুজ মিয়া পরিবারসহ উপজেলার হরিণহাটি এলাকার সোজাবদ আলীর বাড়ির পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থাকেন। এলাকাবাসী, নিহত পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সবুজ মিয়া দীর্ঘদিন আগে জীবিকার তাগিদে সিরাজগঞ্জ জেলা থেকে পরিবার নিয়ে কালিয়াকৈর উপজেলায় আসে। পরে উপজেলার হরিণহাটি এলাকায় সোজাব্দ আলীর বাড়ির পাঁচতলা ভবনের তৃতীয় তলায় ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরী করেন। স্ত্রী ও মেয়ে মীমা আক্তারকে নিয়ে বসবাস করে আসছে। বেশ কিছুদিন আগে আয়না নামে এক মেয়েকে বিয়ে করে সবুজ। একই বাসার পাঁচতলায় ছোট স্ত্রীও থাকতো। মিম আক্তার বুধবার সকাল দশটার দিকে নিখোঁজ হয়। পরে মিমের বাবা সবুজ মিয়াসহ এলাকাবাসী বিভিন্ন এলাকায়  মাইকিং করে। পরে কোথাও খুঁজে না পেয়ে হঠাৎ এলাকাবাসী ও সবুজের ছোট স্ত্রীকে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী তাহার রুমের ভিতরে  প্রবেশ করে খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে সানসিটের উপর থেকে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় লাশটি দেখতে পায়। এসময় ছোট স্ত্রীকে আটক করে পুলিশকে খবর দেয় এলাকাবাসী। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর লাশটি উদ্ধার করে এবং অভিযুক্ত আয়না আক্তারকে আটক করে।  কালিয়াকৈর থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক(এসআই) ফেন্সি জুয়েল জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে শিশুর লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। সৎ মা আয়না আক্তারকে আটক করা হয়েছে। তবে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছে শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করা হয়েছে।
কালিয়াকৈরে স্কুল ভবন নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ
গাজীপুরের কালিয়াকৈরে লতিফপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের নিচ অংশের ইট সলিংয়ের নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। এতে নিন্মমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৪ মে) দুপুরে উপজেলা লতিফপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যায়য়ে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে ঠিকাদার জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, নিম্নমানের মালামাল সরিয়ে ফেলার নিদের্শ দেওয়া হয়েছে। একটি খারাপ ইট দিয়েও কাজ করবো না। জানা গেছে, টিওআই বাস্তবায়ন প্রকল্পের মাধ্যমে ১ কোটি ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে লতিফপুর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তিন তলা ভবনের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।     বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষক মেহেরুন নেছা খানম জানান, নির্মাণ কাজ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। কেন জানি মনে হলো মালামাল ভাল দিচ্ছে না। পরে উপজেলা (কাজের তদারকি) সহকারী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমানকে ফোন করে জানানো হয়েছে।  তদারকী কর্মকর্তা উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী জিল্লুর রহমান বলেন, কোনো ধরণের নিম্নমানের সামগ্রী ব্যহার করা হয়নি। আমি নিজে খোঁজ নিয়ে দেখেছি।  উপজেলা প্রকৌশলী বিপ্লব পাল বলেন, নিম্নমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করতে পারবে না। কাজ বন্ধ করা হয়েছে।খারাপ মালামাল সরিয়ে ফেলতে বলা হয়েছে।