• ঢাকা মঙ্গলবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ২৬ ভাদ্র ১৪৩১
logo
খালাতো ভাই পরিচয়ে হত্যা মামলা, তবে বাদীকে চেনেন না নিহতের বাবা!
সাবেক এলজিআরডি মন্ত্রীসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা
ফরিদপুরে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিয়াই, সাবেক স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টার মামলা দায়ের করা হয়েছে।  মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টায় ফরিদপুর চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ১নং আমলি আদালতের বিচারক মো. নাসিম মাহমুদের আদালতে অভিযোগ উত্থাপন করা হয়। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে কোতয়ালী থানাকে মামলা রেকর্ডের নির্দেশ দেন।  অভিযোগটি দায়ের করেছেন জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা মো. দেলদার হোসেন সবুজ।  এজাহার ও আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ মার্চ নেতাকর্মীদের নিয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্বে পুষ্পস্তবক অর্পণ করতে যান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল। এ সময় তৎকালীন এমপি ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও তার ভাই তৎকালীন উপজেলা চেয়ারম্যান খন্দকার মোহতেশাম হোসেন বাবরের নির্দেশে পৌর আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে মারাত্মক আহত করা হয় জুলফিকার হোসেন জুয়েল, দিলদার হোসেন সবুজসহ বেশ কয়েকজনকে। আহতরা চিকিৎসা নিতে হাসপাতালে গেলে সেখানেও হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতারা। পরে আহতরা বাসায় এসে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন।  বাদীর আইনজীবী মো. হেমায়েত হোসেন বলেন, আদালতকে আমরা জানিয়েছি, ওই সময়ে আমরা থানা ও আদালতে মামলা দায়েরের চেষ্টা করেছি কিন্তু কেউই আমাদের মামলা গ্রহণ করেনি। আজ দেশের পরিবেশ পরিস্থিতি পরিবর্তন হয়েছে, বিধায় আমরা ন্যায় বিচারের আসায় আদালতে হাজির হয়েছি। আদালত আমাদের বক্তব্য শুনে আমাদের অভিযোগটি মামলা হিসেবে গ্রহণ করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কোতোয়ালি থানা পুলিশকে।  ওই সময়ে হামলায় গুরতর আহত বর্তমান জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক সৈয়দ জুলফিকার হোসেন জুয়েল বলেন, আমি যে আপনাদের সামনে দাঁড়িয়ে আছি, কথা বলছি তা আমার অতিরিক্ত হায়াতটুকুর জন্য। ওই দিন আমাকে মেরে ফেলার জন্যই আমার ওপর হামলা করা হয়েছিল। কুপিয়ে আহত করার পরে আমি যে চিকিৎসা নেবো, সেই সুযোগও আমাকে দেয়নি। হাসপাতালে গিয়ে আবার হামলা করেছে। আমি পালিয়ে ঢাকায় গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছি। আমি আশাবাদী, দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আদালতের কাছে আমি ন্যায় বিচার পাবো।  উল্লেখ, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একমাত্র কন্যা সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের শ্বশুর। 
হত্যা মামলার আসামি হলেন শামা ওবায়েদ
ফরিদপুরে ওবায়দুল কাদেরসহ ৪০০ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুতবায় আ.লীগের জুলুম-নির্যাতন নিয়ে বয়ান, চাকরি গেল ইমামের
দোকান ভাঙচুরের সময় সেনাবাহিনীর হাতে ধরা, সেই দুজনের পরিচয় মিলেছে
সাবেক ওসিসহ ৮ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি মামলা
ফরিদপুরের সালথা থানার প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সেখ সাদিক (৪৫) ও সাব-ইন্সপেক্টর তন্ময় চক্রবর্তীর (৩৫) বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (১৫ আগস্ট) হাফিজুর রহমান মুন্নু নামের এক ব্যক্তি ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করেন। ওই আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট মো. মারুফ হাসান মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ওসি সেখ সাদিক চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার বারাদি গ্রামের শেখ আমিনউদ্দীনের ছেলে। তিনি ২০২২ সালের ১২ এপ্রিল থেকে ২০২৩ সালের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত সালথা থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। এসআই তন্ময় চক্রবর্তী রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলার ভররামদিয়া গ্রামের তাপস চক্রবর্তীর ছেলে। তিনি বর্তমানে বোয়ালমারী থানায় কর্মরত রয়েছেন। মামলার বাদী সালথার ভাওয়াল গ্রামের হাফিজুর রহমান মুন্নু গ্রামীণ ব্যাংকের একজন অবসরপ্রাপ্ত ডিজিএম। তিনি আরজিতে বলেন, চাকরি থেকে অবসরে যেয়ে গ্রামে ফিরে বিএনপির রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন। তাকে ওসি সেখ সাদিক ও এসআই তন্ময় বিভিন্ন সময়ে হুমকি দিয়ে বলত, আপনি গ্রামীণ ব্যাংক থেকে অনেক টাকা উপার্জন করে গ্রামে এসে রাজনীতি করছেন। এখন আমাদের ২০ লাখ টাকা চাঁদা দিবেন নইলে শান্তিতে থাকতে পারবেন না।  মামলার বাদী চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে গত বছরের ১১ মার্চ রাতে তাকে আটক করে আসামিরা তার নিকট ২০ লাখ চাঁদা দাবি করে। নইলে থানায় নিয়ে নির্যাতন ও হাতপা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেয়। তিনি প্রাণভয়ে নানাভাবে তাৎক্ষণিক ৫ লাখ টাকা দেন। এরপরও তাকে থানায় নিয়ে যেয়ে রাত-ভর অমানবিকভাবে নির্যাতন করে। এর পরদিন একটি বিস্ফোরক মামলায় আদালতে চালান করে দেন বাদীকে।  বাদী হাফিজুর রহমান আরও বলেন, তাকে মিথ্যা মামলায় আদালতে চালান দেওয়ার পর এ ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি করলে ক্রসফায়ারের হুমকি দেওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন কারাভোগের পর ওই মামলায় আদালত থেকে জামিনে বেরিয়ে আসেন। সে সময় ভয়ে ভীত হওয়ায় তিনি আদালতে মামলা করতে পারেননি। এখন দেশে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরে আসায় এবং অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় তিনি মামলাটি দায়ের করেছেন। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মামুন অর রশীদ বলেন, দায়ের করা মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর কলেজছাত্রের মরদেহ উদ্ধার
ফরিদপুরের মদনখালীর স্লুইস গেট এলাকায় কুমার নদে বন্ধুদের সঙ্গে গোসল করতে নেমে নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর কলেজছাত্র সালেহ আহমেদের (২০) মরদেহ পাওয়া গেছে।  সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে তার মরদেহ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। সালেহ আহমেদ শহরের টেপাখোলা এলাকার মো. হোসেন আহমেদের ছেলে। তিনি সরকারি রাজেন্দ্র কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের অনার্স দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। জানা যায়, রোববার খবর পেয়ে দমকল বাহিনীর তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি ডুবুরি দল ওই কলেজ ছাত্রকে উদ্ধার কাজ শুরু করে। তবে রোববার পর্যন্ত ওই তরুণের সন্ধান না পাওয়ায় সোমবার সকাল ৮টা থেকে আবার খুঁজতে শুরু করে ডুবুরিরা। এরপর দুপুর ৩টার দিকে স্লুইস গেটের যেখান থেকে নিখোঁজ হয়েছিল তার থেকে পশ্চিমে আনুমানিক আধা কিলোমিটার দূরে শহরের চুনাঘাটা বেড়িবাধ এলাকায় তার মরদেহ ভেসে উঠে। পরে সেখানে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সুভাষ বাড়ৈ। তিনি বলেন, নিখোঁজের ২৬ ঘণ্টা পর মরদেহ ভেসে ওঠায় তা উদ্ধার করে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।  এর আগে গত ৩ জুলাই শহরের কমলাপুর বালির মাঠ এলাকার সিরাজ শেখের ছেলে সরকারি ইয়াছিন কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ফারদিন শেখ (১৮) নামের এক কলেজছাত্র স্লুইস গেট এলাকায় গোসল করতে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছিলেন। পরে নিখোঁজের ৩১ ঘণ্টা পর তার মরদেহ ভেসে ওঠে।
কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে: শামা ওবায়েদ
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ ইসলাম বলেছেন, ছাত্রদের আত্মত্যাগের মাধ্যমে সারা বাংলাদেশ আজ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। আমি তাদের স্যালুট জানাই। এই নতুন প্রজন্মকে সঙ্গে নিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ে তুলবো। কেউ যেন কোনো প্রকার বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ফরিদপুরের নগরকান্দায় এক শান্তি সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। শামা ওবায়েদ বলেন, এদেশের হিন্দু ভাইদের আমি সংখ্যালঘু বলতে চাই না। তারাও আমাদেরই মতো আরেকজন। আমার ভাই, আমার বোন, আমার চাচা, তাদেরকেও রক্ষা করতে হবে। কেউ হিন্দুদের বাসাবাড়ি, মন্দির, দোকানপাটে আক্রমণ করবেন না। তাহলে আমাদের সঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো পার্থক্য থাকবে না। তিনি বলেন, যারা মানুষের ওপর অত্যাচার করবে, চাঁদাবাজি করবে, তাদের কিন্তু সেনাবাহিনী ধরবে। কেউ রেহাই পাবে না। তারা যদি দলের কেউ হয়, দল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির এই সাংগঠনিক সম্পাদক বলেন, এই বাংলাদেশে কোনো বৈষম্যের ঠাঁই হবে না। প্রত্যেকটা খুন, গুম, বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ড, দুর্নীতি, লুটপাটের বিচার হবে। উপজেলা বিএনপির জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি বাবুল তালুকদারেরর সভাপতিত্বে সমাবেশে উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক শওকত আলী, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহমুদুল হাসান, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি মাসুদুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
ফরিদপুরে অটোরিকশা চাপায় শিশুর মৃত্যু
ফরিদপুরের সালথায় অটোরিকশার চাপায় এক শিশু নিহত হয়েছে। তার নাম ফাতেমা আক্তার (৬)।   শনিবার (৩ আগস্ট) যদুনন্দী ইউনিয়নের যদুনন্দী আঞ্চলিক সড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সালথা থানার ওসি মো. ফায়েজুর রহমান। নিহত শিশু ফাতেমা আক্তার যদুনন্দী গ্রামের সাহেব আলীর মেয়ে। স্থানীয়রা জানান, মায়ের সঙ্গে শিশু ফাতেমা যদুনন্দী বাজার থেকে অটোরিকশায় করে বাড়ির সামনে এসে নামে। তখন পেছন থেকে অন্য একটি অটোরিকশা এসে তাকে চাপা দেয়। এরপর তাকে উদ্ধার করে মুকসুদপুর উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এ বিষয়ে সালথা থানার ওসি মো. ফায়েজুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন 
ফরিদপুরে স্ত্রী জেসমিন বেগমকে হত্যার দায়ে স্বামী মিলন শেখকে (৩৯) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রমে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২৯ জুলাই) দুপুরে ফরিদপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক শিহাবুল ইসলাম এ রায় দেন।  এ সময় আসামি মিলন শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। মিলন শেখ সদর উপজেলার বিলমামুদপুর এলাকার আক্কেল মোল্যার ডাঙ্গী এলাকার মো. সিদ্দিক শেখের ছেলে। আদালত সূত্রে জানা যায়, স্বামীর পরকীয়ার প্রতিবাদের জেরে ২০১৯ সালের ২০ মার্চ সকালে স্বামীর ঘর থেকে জেসমিন বেগমের গলায় ওড়না পেঁচানো মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে স্বামীর বাড়ির লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বলে অভিযোগ ওঠে। এ ঘটনায় জেসমিনের বাবা ইউনুস শেখ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে একই বছরের ১৭ জুলাই অভিযোগপত্র দেয়। রায়ের সত্যতা নিশ্চিত করে সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মো. ছানোয়ার হোসেন বলেন, মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ রায়ে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
‌‘আমার মেয়েকে পিটিয়ে মেরেছে জিসান’
ফরিদপুরে যৌতুকের দাবিতে তানজিলা আক্তার তহেরা (২১) নামের এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী জিসান আহমেদের (২১) বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) সকালে অভিযুক্ত জিসানকে আটক করে পুলিশ। বুধবার রাতে নিহত তানজিলার বাবা ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশসূত্রে জানা গেছে, জিসান ও তানজিলার মধ্যে দাম্পত্য কলহ ছিলো। যৌতুকের জন্য তানজিলার ওপর নির্যাতন করা হতো। জিসানের পরিবারের পক্ষ থেকে আত্মহত্যার কথা বলা হলেও তানজিলার শরীরে স্বাভাবিক কিছু জখমের চিহ্ন রয়েছে।  নিহত তানজিলার বাবা তোবারেজ মোল্লা বলেন, ‘আমার মেয়েকে পিটিয়ে মেরেছে জিসান। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য জিসান ও তার মা জবেদা বেগম আমার মেয়ের ওপর নির্যাতন করতো। জিসানকে মোটরসাইকেল দেয়ার জন্য চাপ দিয়ে আমাদের বাড়িতে পাঠিয়ে দিতো। আবার জিসানকে বিদেশে পাঠাবে বলে টাকা চেয়ে পাঠাতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘বুধবার রাত ৮টার দিকে আমার মেয়ের সঙ্গে কথা হয়। রাত ১২টার দিকে আমার মেয়ের নাম্বার দিয়ে জিসানের এক বন্ধু ফোন করে বলে তানজিলা আত্মহত্যা করতে চেয়েছে আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। খবর পেয়ে রাতেই আমরা হাসপাতালে গিয়ে মেয়ের নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখি। জিসান বা কাউকে আমরা তখন কাছে পাইনি।’ তোবারেজ মোল্লা বলেন, ‘আমার মেয়ের শরীরে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। জিসান নেশাগ্রস্ত ছিলো। যৌতুক না পেয়ে আমার মেয়েকে পিটিয়ে হত্যা করেছে। ভাড়া বাড়িতে থাকার আগে যখন শ্বশুর বাড়ি ছিলো তখন শ্বশুর বাড়ির লোকজনও তাকে নির্যাতন করত।’ এদিকে তানজিলাকে হত্যার কথা অস্বীকার করে জিসানের মা জবেদা বেগম বলেন, ‘জিসান ও তানজিলা দুজন ভালোবেসে বিয়ে করেছিলো। আমরা কখনও যৌতুকের জন্য তানজিলাকে নির্যাতন করিনি। জিসান আমাকে বুধবারের ঘটনা যা বলেছে তা হলো, জিসান বাইরে ছিল, রাত ১০টার পরে তানজিলার ফোনে সে বাড়ির উদ্দ্যেশে রওনা হয়। বাড়িতে গিয়ে সে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। এরপর পাশের এক দোকান থেকে রড নিয়ে দরজা ভেঙ্গে দেখতে পায় তানজিলা ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আছে। তারপর স্থানীয় লোকজনদের সহায়তায় তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।’ ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর সার্কেল মো. সালাউদ্দিন জানান, ‘এ ঘটনার তানজিলার বাবা একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। আমরা জিসানকে আটক করেছি। তবে এখনেই এটিকে হত্যা বলতে পারছি না। এটি হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পরে বলা যাবে। আমাদের আইনগত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে লাশ হস্তান্তর করা হবে।’