• ঢাকা সোমবার, ০৬ মে ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১
logo
চেয়ারম্যান-মেম্বারকে ধরিয়ে দিলেই পুরস্কার
ফরিদপুরে মন্দিরে অগ্নিকাণ্ডে এলাকা রণক্ষেত্র, ২ ভাই নিহত
ফরিদপুরের মধুখালী মন্দিরের কালী প্রতিমায় আগুন লাগার ঘটনাকে কেন্দ্র করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের হামলায় সহোদর দুই নির্মাণশ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আরও ৫ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ২ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বৃহস্পতিবার (১৮ এপ্রিল) উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের পঞ্চপল্লী গ্রামের বারোয়ারী মন্দিরে আগুনের ঘটনা ঘটে। এরপর এই আগুন দেওয়ার অভিযোগে মন্দিরের পাশের স্কুলে নির্মাণকাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের ওপর হামলা চালান স্থানীয়রা। নিহত শ্রমিকরা হলেন- মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের চোপেরঘাট গ্রামের শাহজাহান খানের ছেলে আশরাফুল (২১) ও আরশাদুল (১৫)।  জানা গেছে, হিন্দু অধ্যুষিত পঞ্চপল্লী গ্রামের ওই বারোয়ারি মন্দিরের কালী প্রতিমায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। তারা মন্দির থেকে ২০ গজ দূরের পঞ্চপল্লী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ওয়াশরুম নির্মাণকাজে নিয়োজিত মুসলিম সাত শ্রমিককে সন্দেহ করে স্কুলের শ্রেণিকক্ষে অবরুদ্ধ করে মারপিট করে। খবর পেয়ে মধুখালী থানা পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনা স্থলে গেলে হামলাকারীরা তাদেরও অবরুদ্ধ করে রাখে, এবং হতাহতদের উদ্ধারে বাধা দেয়। পরে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মাগুরা জেলা থেকে অতিরিক্ত পুলিশ ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর তাদের উদ্ধার করে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এবং ৪ জনকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজন মারা যান। আহত আরও দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক। সংশ্লিষ্ট বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান তপন সাংবাদিকদের জানান, মাগরিবের নামাজ শেষে ১ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার অজিত বাবুর ফোন পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পান হাজার হাজার জনতা। তিনি জনগণকে শান্ত করার চেষ্টা করেন, কিন্তু পরিস্থিতি বেগতিক থাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ প্রশাসনকে ফোনে অবহিত করেন। পরবর্তীতে তারা এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।  জেলার সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি-মধুখালী সার্কেল) মিজানুর রহমান বলেন, একটি মন্দিরে কে বা কারা আগুন দিয়েছে। বিক্ষুব্ধ লোকজন নির্মাণ শ্রমিকদের ওপর হামলা করেছে, মারপিট করেছে। এতে দুই ভাই চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশ সুপার জানান, শত শত মানুষ এই হামলায় অংশ নেওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিপুল সংখ্যক শটগানের ফাঁকা গুলি বর্ষণ করা হয়েছে। বিক্ষুব্ধদের ছোড়া ইটপাটকেলের আঘাতে পুলিশের বেশ কয়েকজন সদস্য আহত হলেও ঠিক কতজন সদস্য আহত হয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে জানাতে পারিনি। এই ঘটনায় কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। পরিস্থিতি বর্তমানে পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন থাকবে। জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান তালুকদার জানান, তিন প্লাটুন বিজিবি মোতায়েনের জন্য বলা হয়েছে। তারা শুক্রবার সকাল থেকে দায়িত্ব পালন করবেন। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই বিজিবি মোতায়েন করা হচ্ছে।
বাসরের পর লাপাত্তা স্বামী, শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান তরুণীর
শিল্পপতির সংসার ছাড়তে গরিবের মেয়ের সংবাদ সম্মেলন
ফরিদপুরে দুর্ঘটনা : নিহতদের ৫ জন একই পরিবারের
ফরিদপুরে বাস-পিকআপ সংঘর্ষ, নিহত বেড়ে ১৩
ফরিদপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ, নিহত ১১
ফরিদপুরের কানাইপুরে বাস ও পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষে দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) সকালে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাগুরাগামী ইউনিক পরিবহনের সঙ্গে ঢাকাগামী একটি যাত্রীবাহী পিকআপের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই শিশুসহ ১১ জন নিহত হয়েছেন। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন ফরিদপুরের করিমপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী।  তিনি বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এ সড়ক দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে ১১ জন নিহত হয়েছেন। আহত চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, প্রাথমিকভাবে হতাহতদের নাম-ঠিকানা জানা যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে, একটি পরিবারের লোকজন পিকআপ ভাড়া করে ঈদের ছুটি শেষে ঢাকায় ফিরছিলেন।
ছেলের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেলেন মা
ফরিদপুরের ভাঙ্গায় নিখোঁজ সন্তানের মৃত্যুর খবর শুনে মারা গেছেন এক মা।  শনিবার (১৩ এপ্রিল) বিকেলে নিহত স্কুলছাত্র হাসিব মোল্যার (১৮) পরিবারের পক্ষ থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়। জানা যায়, নিহত হাসিবের গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পূর্ব সদরদীতে। নিখোঁজের একদিন পর খাল থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছেলের মরদেহ পাওয়া গেছে শুনে মারা যান তার মা হেলেনা বেগম (৪৫)। হাসিব মোল্যা পূর্ব সদরদীর বাস্তখোলা গ্রামের ফরহাদ হোসেন মোল্যার ছেলে। তবে হাসিবের পরিবার জীবিকার তাগিদে দীর্ঘ বছর ধরে ঢাকার ডেমরার সারুলিয়া নামক এলাকায় বসবাস করে আসছেন। বাবা ফরহাদ হোসেন ডেমরা এলাকার একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সিকিউরিটি গার্ডের চাকরি করেন। হাসিব ডেমরা এলাকার একটি স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্র।  এ ঘটনায় শোকে স্তব্ধ ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার পৌরসভা এলাকার ছিলাধরচর বাস্তুখোলা গ্রামে নিহতদের স্বজনরা। এ ব্যাপারে হাসিবের চাচা মো. বিপ্লব মোল্যা বলেন, ঈদের নামাজ পড়তে বন্ধুদের নিয়ে বাসা থেকে বের হয় হাসিবুল। এরপর হাসিবুল মোল্যা আর বাসায় ফেরেনি। তার ব্যবহৃত মোবাইলটি বন্ধ ছিল। হাসিবকে তার বন্ধুরা ডেকে নিয়ে হত্যা করে খালে ফেলে দিয়েছে। আমরা এ হত্যার বিচার চাই।   এ বিষয়ে ডেমরা থানার ওসি মো. জহিরুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ঢাকার ডেমরার একটি খাল থেকে হাসিবের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত কিছু সিসি ক্যামেরার ফুটেজ হাতে পেয়েছি। সেখানে দেখা গিয়েছে হাসিবসহ তিন বন্ধু মিলে মদ নিয়ে ঘুরছেন। পরে একটি বাড়িতে গিয়ে তিন বন্ধু মিলে মদ পান করেন। ওই রাতেই কাউকে না বলেই হাসিব বাড়ি থেকে বের হন। রাস্তা দিয়ে হেঁটে একটি ব্রিজে বসেন।  ওসি আরও বলেন, সেখান থেকে খালের পানিতে পড়ে হাসিবের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল মর্গে পাঠিয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে। আপাতত থানাতে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
ফরিদপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত
ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় এক মোটরসাইকেল আরোহী নিহত হয়েছেন। তার নাম শংকর মালো (৪২)। এ দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন তার ছেলে অন্তর মালো (২০)। রোববার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মাঝকান্দি মাজেদা জুটমিলের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।  শংকর মালো ফরিদপুর সদর উপজেলার ভাটি কানাইপুর গ্রামের মলিন মালোর ছেলে। স্থানীয়দের বরাতে পুলিশ জানায়, শংকর মালো তার ছেলে অন্তর মালোকে নিয়ে মোটরসাইকেলে করে কানাইপুর থেকে মাগুরা যাচ্ছিলেন। পথে অজ্ঞাত এক গাড়ির চাপায় ঘটনাস্থলেই শংকর নিহত হন। এতে তার ছেলে অন্তর গুরুতর আহত হন। অন্তরকে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন করিমপুর হাইওয়ে থানার ওসি মো. সালাউদ্দিন চৌধুরী। ওসি সালাউদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত অন্তর মালোকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। নিহত শংকর মালোর মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়েছে। ঘাতক গাড়িটি বাস নাকি ট্রাক তা শনাক্ত করা যায়নি, শনাক্তের চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভাঙ্গা থেকে রূপদিয়ায় উদ্দেশে ছেড়ে গেছে ট্রায়াল ট্রেন
ফরিদপুরের ভাঙ্গা থেকে ৯৩.৬ কিলোমিটার দূরের যশোরের রূপদিয়া রেলস্টেশনের উদ্দেশে একটি পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেন ছেড়ে গেছে। এটিই প্রথম এই রুটে যাত্রীবাহী ট্রেনের গতির ট্রায়াল। এ সময় ট্রেনটির গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার। ওই ট্রেনের যাত্রী হিসেবে ছিলেন কয়েকজন স্থানীয় ও প্রকল্প সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। শনিবার (৩০ মার্চ) সকাল সোয়া ৮টার দিকে ভাঙ্গা জংশন থেকে ট্রেনটি ছেড়ে যায়। ট্রেনটির চালক হিসেবে ছিলেন মো. সাখাওয়াত হোসেন। ভাঙ্গার রেলস্টেশন মাস্টার মো. জিল্লুর রহমান জানান, শনিবার সকাল সোয়া আটটার দিকে উচ্চ গতিসম্পন্ন পরীক্ষামূলক ট্রেনটি যশোরের রূপদিয়ার উদ্দেশে ছেড়ে যায়। ট্রেনটির গতি ছিল ১২০ কিলোমিটার। যশোরে পৌঁছাতে সময় লাগবে মাত্র এক ঘণ্টা। রোববার (৩১ মার্চ) সকালে যশোর থেকে আবার রূপদিয়া রেল স্টেশনের উদ্দেশে ছেড়ে যাবে ট্রেনটি। আবার যশোর থেকে ভাঙ্গার উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। এভাবে দ্রুত গতিতে কয়েকবার পরীক্ষামূলক ট্রায়াল ট্রেনটি চলাচল করবে। তিনি আরও জানান, পরীক্ষামূলক ট্রেন যাত্রায় সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছেন সেনাবাহিনী ও রেল প্রকল্পের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ। নতুন রেললাইন চালু হওয়ার সংবাদে রেল লাইনের আশপাশের মানুষের মধ্যে চলছে উৎসবের আমেজ।
ফরিদপুরে স্কুলশিক্ষার্থী অন্তর হত্যায় ৩ জনের ফাঁসি
ফরিদপুরের নগরকান্দার স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন ওরফে অন্তর হত্যায় তিনজনের ফাঁসি ও তিনজনের যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।  বুধবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে ফরিদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় দেন।  ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন মাহাবুব আলম, কামাল মাতুব্বর ও খোকন মাতুব্বর। এ ছাড়া যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া আসামিরা হলেন আশরাফ শেখ, আজিজুল শেখ ও সুজন মাতুব্বর।  রায় ঘোষণার সময় আজিজুল শেখ ছাড়া বাকি পাঁচ আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে পুলিশ পাহারায় তাদের কারাগারে প্রেরণ করা হয়।  নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) স্বপন কুমার পাল জানান, বাদীপক্ষ ন্যায় বিচার পেয়েছে। এ রায়ের ফলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে এবং দেশে আইনের শাসনের পথ সুগম হবে। উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৭ জুন ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার তালমা ইউনিয়নের চর মানিকদী এলাকার ৮ম শ্রেণিতে পড়ুয়া স্কুলছাত্র আলাউদ্দিন ওরফে অন্তরকে অপহরণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মাটিচাপা দেওয়া হয়। 
দুলাভাইকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ শ্যালকদের বিরুদ্ধে 
ফরিদপুরের মধুখালীতে নিজাম উদ্দিন (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্যালকদের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দিবাগত রাত ১টায় উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শুক্রবার (২২ মার্চ) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিজাম উদ্দিন ওই গ্রামের মানিক শেখের ছেলে। স্থানীয়রা জানান, মধুখালী উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের হাটঘাটা গ্রামের নিজামউদ্দিন বিয়ে করেন একই ইউনিয়নের দিঘলিয়া গ্রামের মৃত জাহিদুল শেখের মেয়ে জামেলা খাতুনকে। বিয়ের পর শ্যালিকা জলি খাতুনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন নিজাম উদ্দিন। সম্প্রতি জলি খাতুনেরও বিয়ে ঠিক হয়। স্থানীয়রা আরও জানান, গত বুধবার নিজামউদ্দিন তার শ্যালিকা জলি খাতুনকে সঙ্গে নিয়ে ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অসুস্থ আত্মীয়কে দেখতে আসেন। সেখান থেকে জলিকে সঙ্গে নিয়ে নিজাম উদ্দিন তার বাড়িতে যান। শ্বশুর বাড়ি থেকে শ্যালিকাকে ফিরিয়ে দিতে বললেও নিজামউদ্দিন শ্যালিকাকে তার কাছে রেখে দেন। এরই জের ধরে বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নিজামউদ্দিনের বাড়িতে হামলা চালায় শ্যালক আশুারুল, ইলিয়াস, মামুন, হারুনসহ বেশ কয়েকজন। এ সময় নিজামউদ্দিনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে ফেলে রেখে যায় এবং জলিকে তারা নিয়ে যায়।   এ ব্যাপারে নিজাম উদ্দিনের ছোটভাই আজিম উদ্দিন বলেন, আমার বড় ভাইকে তার শ্যালক আশারুল, ইলিয়াস, মামুন, হারুনসহ বেশ কয়েকজন মধ্যরাতে ঘরে ঢুকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। মধুখালী থানার এসআই তোফাজ্জেল হোসেন জানান, সংবাদ পেয়ে শুক্রবার সকালে মধুখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে। নিহত নিজামউদ্দিন দুটি বিয়ে করেন। একটি বিয়ে করেন কুমিল্লায়, অপরটি দিঘলিয়া গ্রামে। শ্যালিকার সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যার বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে নিজামউদ্দিনের নামে ডাকাতি, মাদকসহ একাধিক মামলা রয়েছে। এ বিষয়ে মধুখালী থানার ওসি মো. মিরাজ হোসেন বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেননি।