• ঢাকা শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১
logo
শরীয়তপুরে ধর্ষণচেষ্টা মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কাঁচা রাস্তায় দুর্ভোগ চরমে, ধানের চারা লাগিয়ে প্রতিবাদ 
কাঁচা রাস্তাটি দিয়ে প্রায় ১৫ গ্রামের বাসিন্দা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে গিয়ে পড়তে হয় চরম দুর্ভোগে। রাস্তাটির দেড় কিলোমিটার অংশজুড়ে এমন করুণ অবস্থা হলেও পাকাকরণের কোনো উদ্যোগ নেই জনপ্রতিনিধিদের। এমন পরিস্থিতিতে সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য প্রতিবাদস্বরূপ এক ভিন্নধর্মী পন্থা অবলম্বন করেছেন গ্রামবাসীরা। চলাচলের ওই রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন তারা। শনিবার (৬ জুলাই) বিকেলে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়নের মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দারা এমন প্রতিবাদ করেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কদম আলী মোড়ল কান্দি থেকে মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রাম পর্যন্ত কাঁচা রাস্তা দিয়ে আশপাশের ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের বাসিন্দারা চলাচল করে। প্রত্যেক বছর বর্ষা মৌসুম এলেই বৃষ্টিতে কাদা জমে এসব গ্রামের বাসিন্দাদের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। গ্রামবাসী বারবার দাবি জানানো সত্ত্বেও রাস্তাটি পাকাকরণের উদ্যোগ নেয়নি জনপ্রতিনিধিরা। এতে প্রায় ১৫টি গ্রামের ৩০ হাজার বাসিন্দা ও স্কুলের শিক্ষার্থীরা ভোগান্তিতে পড়েছেন। এমন ভোগান্তির প্রতিবাদস্বরূপ রাস্তাটিতে ধানের চারা রোপণ করেছেন গ্রামবাসী ও পথচারীরা। শাহজাহান মাদবর নামে একজন বলেন, রাস্তাটি পাকাকরণের জন্য ইউপি মেম্বার ও চেয়ারম্যানকে বারবার জানানো হয়েছে। কিন্তু তারা বিষয়টির গুরুত্ব দিচ্ছেন না। সামান্য বৃষ্টি হলে রাস্তাটি ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে যায়। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গ্রামের শিক্ষার্থী ও রোগীরা পড়েন চরম বিপাকে। অন্যদিকে এমন রাস্তা দিয়ে বেশ কিছুদিন ধরে মাহিন্দ্রা-ট্রাকযোগে ভারী মালামাল নেওয়া-আনা করা হয়েছে। এখন আর রাস্তাটি ব্যবহারের উপযোগী নয়, তাই আমরা গ্রামবাসী মিলে রাস্তায় ধানের চারা রোপণ করেছি। মোহর আলী হাজী কান্দি গ্রামের বাসিন্দা ফুল মালা বলেন, এক মাসের বাচ্চা নিয়ে টিকা দেওয়ার জন্য বের হয়েছিলাম। বাচ্চাকে নিয়ে বাড়ির সামনের রাস্তায় আসার পরেই কাদায় পড়ে গিয়ে দুইজনই ব্যথা পেয়েছি। রাস্তা পাকাকরণের আগে এই রাস্তা দিয়ে যেন ট্রাক না চলে, সেই দাবি জানাই। অন্যথায় আমরা গাড়ির সামনে দাঁড়াব। পূর্ব নাওডোবা পাবলিক উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুমাইয়া, শিউলি ও বিপাশার সঙ্গে কথা হয় তারা বলে, জুতা খুলে হাতে নিয়ে এ রাস্তায় চলাচল করতে হয়। এতে কাদা লেগে জামা কাপড় নষ্ট হয়ে যায়। বই-খাতা কাদায় পড়ে গেলে আর স্কুলে যেতে পারি না। রাস্তাটি পাকা হলে আমাদের জন্য অনেক সুবিধা হতো। পূর্ব নাওডোবা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলতাফ খান বলেন, রাস্তাটি এমন বেহাল হয়েছে সে বিষয়ে আমাকে কেউ কিছু বলেনি। তবে রাস্তাটির সামনেই একটি কালভার্টের কাজ চলছে। সেখানে ট্রাক্টর দিয়ে মালামাল নেওয়ায় হয়ত রাস্তাটির অবস্থা একটু বেশি বেহাল হয়েছে। কিন্তু রাস্তায় ধান লাগানোর বিষয়ে আমি জানি না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সাদিয়া ইসলাম লুনা বলেন, এ বিষয়ে স্থানীয় কেউ বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা আমাকে জানায়নি। বিষয়টির খোঁজ নিয়ে দেখব।
পুকুরে পড়ে আছে বিদ্যুতের খুঁটি, এক মাসেও নজরে আসেনি কর্তৃপক্ষের
পদ্মায় মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে যুবকের মৃত্যু 
পদ্মা-মেঘনায় ইলিশ কম, জ্বালানি খরচও উঠছে না জেলেদের
পানি পানের অজুহাতে শিশু ধর্ষণ, বৃদ্ধ গ্রেপ্তার
শরীয়তপুরে টেঁটা দিয়ে মারা হলো রাসেলস ভাইপার
শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে একটি বিষধর রাসেলস ভাইপার ধরা পড়েছে। পরে সেটিকে মাছ ধরার টেঁটার সাহায্যে মেরে মাটিচাপা দেওয়া হয়। রোববার (২৩ জুন) উপজেলার চরভাগা ইউনিয়নের পূর্ব মনাই হাওলাদার কান্দি এলাকা থেকে সাপটিকে ধরা হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভেদরগঞ্জের চরভাগা ইউনিয়নের পূর্ব মনাই হাওলাদারকান্দি পদ্মা নদীর তীরবর্তী এলাকায় রোববার বিকেলে নদীর পাড়ে বসে সময় কাটাচ্ছিলেন ওই এলাকার সাইফুল নামে এক যুবক। এ সময় তিনি একটি সাপকে নদী সাঁতরিয়ে পাড়ে উঠে আসতে দেখেন। সাপটিকে দেখে তিনি দৌঁড়ে বাড়িতে গিয়ে একটি মাছ মারার টেঁটা এনে সাপটির মাথায় বিদ্ধ করেন। পরে সাপটিকে মেরে গর্ত খুঁড়ে স্থানীয়দের উপস্থিতিতে মাটিচাপা দেওয়া হয়। এ বিষয়ে সাইফুল বলেন, ‘আমাদের এলাকাটি নদী তীরবর্তী হওয়ায় রাসেলস ভাইপার আতঙ্কে ছিলাম। বিকেলে যখন নদীর পাড়ে বসে সময় কাটাচ্ছিলাম তখন সাপটিকে এ পাড়ে উঠে আসতে দেখি। পরে বাসায় গিয়ে মাছ ধরার টেঁটা এনে সাপটির মাথায় বিদ্ধ করি। তখন দেখতে পাই এটি রাসেলস ভাইপার।’ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান সিকদার বলেন, ‘কিছুদিন ধরে আমাদের চরাঞ্চলে রাসেলস ভাইপারের সংখ্যা বেড়েছে। মানুষ এখন চরে কৃষিকাজ করতেও ভয় পায়।’
জাজিরায় পদ্মা নদী থেকে রাসেলস ভাইপার উদ্ধার
শরীয়তপুরের জাজিরায় পদ্মা নদী থেকে পাঁচ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি রাসেলস ভাইপার সাপ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে সাপটিকে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘স্নেক রেসকিউ টিম’-এর হাতে তুলে দেন স্থানীয়রা। শনিবার (২২ জুন) রাতে উপজেলার জাজিরা ইউনিয়নের জব্বর আলী আকন কান্দি এলাকার পদ্মা নদী থেকে সাপটিকে ধরা হয়। স্থানীয়রা জানান, শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে জব্বর আলী আকন কান্দি এলাকার সোহেল মাদবরসহ কয়েকজন নৌকা নিয়ে পদ্মা নদী পার হচ্ছিলেন। এ সময় তারা একটি সাপ নদী পার হতে দেখেন। কাছে গিয়ে রাসেলস ভাইপার চিনতে পেরে সাপটিকে লাঠি দিয়ে আহত করে নৌকায় থাকা একটি মাছ ধরার চাইয়ের ভেতরে করে এলাকায় নিয়ে আসেন। পরে স্নেক রেসকিউ টিমকে জানালে তারা এসে সাপটিকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়। সাপটি ধরে আনা সোহেল মাদবর বলেন, ‘আমরা পদ্মা নদী পার হয়ে বাড়ি ফেরার পথে সাপটিকে দেখতে পাই। পরে লাঠি দিয়ে সাপটিকে পিটিয়ে আহত করে ধরে নিয়ে আসি।’ প্রত্যক্ষদর্শী মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন বলেন, ‘জাজিরায় রাসেলস ভাইপারের বিচরণ বেড়ে গেছে। সব সময় আতঙ্কের মধ্যে থাকতে হয়। এ বিষধর সাপ থেকে মুক্তি চাই। আমরা চাই এ সাপের উপদ্রব থেকে বাঁচতে সরকার যেন পদক্ষেপ নেয়।’ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন স্নেক রেসকিউ টিম বাংলাদেশের ভাইস প্রেসিডেন্ট মেহেদী হাসান জুবায়ের বলেন, ‘আমরা ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি জাজিরায় একটি রাসেলস ভাইপার সাপ ধরা পড়েছে। পরে ঢাকা থেকে আমাদের একটি দল গিয়ে রাত ১২টার দিকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সাপটি উদ্ধার করি। তবে সাপটি কিছুটা আহত অবস্থায় ছিল।’
ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরে ব্যক্তিগত চেম্বার থেকে মনিরুজ্জামান ইমরান (৫৫) নামের এক আইনজীবীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  বুধবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৮টার দিকে আইনজীবী সমিতির দক্ষিণ পাশের একটি ভবন থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  আইনজীবী মনিরুজ্জামান ইমরান জাজিরা উপজেলার মুলনা ইউনিয়নের কাউয়াদি এলাকার শাজাহান মাদবরের ছেলে। সে জেলা জজ কোর্টের আইনজীবী ছিলেন। আইনজীবীর সহকারী, পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন  আইনজীবী মনিরুজ্জামান ইমরান। বুধবার সন্ধ্যায় বাসা থেকে বের হয়ে ব্যক্তিগত চেম্বার সময় কাটাছিলেন তিনি। রাত ৮ টার দিকে তার সহকারী শহিদুল ইসলাম চেম্বারে গেলে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় তিনি পাশের লোকজনকে ডাক দেন। পরে একজন দরজার ওপর দিয়ে ভেতরে প্রবেশ করলে মনিরুজ্জামান ইমরানকে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে থাকতে দেখেন। বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারা এসে মরদেহ উদ্ধার করে। নিহতের ছোট বোন জোসনা বেগম বলেন, ভাইয়া ভেবেছিল তার ডিমেনসিয়া রোগ ধরা পড়েছে। এরপর থেকেই ওনি চুপচাপ থাকেন। আজ যে ওনি এভাবে সুইসাইড করবেন ভাবতে পারছি না। আইনজীবীর সহকারী শহিদুল ইসলাম বলেন, স্যার কিছুদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন। রাতে আমি চেম্বারে যাওয়ার পর ভেতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পাই। পরে বিষয়টি আমি অন্য আইনজীবীকে জানাই ও লোকজন ডাক দেই। একজনকে দরজার ওপর দিয়ে ভেতরে পাঠালে স্যারকে ঝুলে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়। একপর্যায়ে সে ভেতর থেকে দরজা খুলে দিলে আমরা সবাই ভেতরে ঢুকি। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পালং মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, আমরা আইনজীবীদের মাধ্যমে খবর পেয়ে তাদের উপস্থিতিতে মনিরুজ্জামান ইমরানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে কেউ কোনো অভিযোগ করেনি। অভিযোগ দিলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শরীয়তপুর-ঢাকা রুটে দ্বিগুণ ভাড়া আদায়, যাত্রীদের ভোগান্তি
প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদ শেষে এবার কর্মস্থলে ফেরার পালা। এ সুযোগে শরীয়তপুর থেকে ঢাকা রুটের যাত্রীদের কাছ থেকে বাস মালিকেরা অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সাধারণ সময়ে এই রুটের ভাড়া ২৫০ টাকা হলেও ঈদের সময়ে যাত্রীদের থেকে ৫০০-৬০০ টাকা পর্যন্ত আদায় করা হচ্ছে। এতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির সম্মুখীন হচ্ছেন। অতিরিক্ত টাকা নেওয়ায় যাত্রীরা বিপাকে পড়ছেন। কিন্তু উপায় না থাকায় বাধ্য হয়ে যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে। বুধবার (১৯ জুন) জেলার বিভিন্ন বাস টার্মিনালে এমন চিত্র দেখা গেছে।  বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) শরীয়তপুর কার্যালয় ও শরীয়তপুর আন্তঃজেলা বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতি সূত্রে জানা যায়, শরীয়তপুরের মানুষ পদ্মাসেতু পারাপার হয়ে বাসে ঢাকায় যাতায়াত করেন। শরীয়তপুর পৌর বাস টার্মিনাল ও নড়িয়া উপজেলা সদর থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জের কদমতলা পর্যন্ত বাস চলাচল করে। সকাল ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত ওই পথে প্রতিদিন তিন শতাধিক বাস চলে। গড়ে প্রতি পাঁচ মিনিট অন্তর একেকটি বাস গন্তব্যে ছেড়ে যায়। প্রতিদিন ৮-১০ হাজার মানুষ বাসে চড়ে এ পথে যাতায়াত করেন। ঈদের ছুটিতে যাত্রীসংখ্যা আরও বেড়ে যায়। শরীয়তপুর শহর থেকে ঢাকার যাত্রাবাড়ীর দূরত্ব ৭৩ কিলোমিটার।  বিআরটিএ এ পথে বাসের যাত্রী ভাড়া ২৯৪ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছে। শরীয়তপুর বাস মালিক সমিতি ২৫০ টাকা ভাড়ায় যাত্রী আনা-নেওয়া করে। তবে ঈদ কেন্দ্র করে গত সোমবার (১৭ জুন) ও মঙ্গলবার (১৮ জুন) যাত্রীদের কাছ থেকে ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা ভাড়া আদায় করা হয়েছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে যাত্রীরা এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তাদের অভিযোগ, প্রতিবার ঈদের সময়ই বাস মালিকরা ভাড়া বাড়িয়ে দেন এবং যাত্রীরা উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে বাধ্য হন। এই অতিরিক্ত ভাড়া আদায়কে অনেকে অনৈতিক এবং অমানবিক হিসেবে অভিহিত করেছেন। এই ভাড়া বৃদ্ধি যৌক্তিক সীমার বাইরে চলে গেছে এবং এতে সাধারণ মানুষের কষ্ট হচ্ছে। ঢাকার মোহাম্মদপুরে একটি মোবাইলের দোকানে কাজ করেন শরীয়তপুর সদর উপজেলার ধানুকা গ্রামের আবু রাহাত খান। তিনি আজ শরীয়তপুর সুপার সার্ভিসের একটি বাসে করে শরীয়তপুর সদর থেকে থেকে ঢাকার শহরে যাচ্ছেন। তার কাছ থেকে মাঝপথে ৫০০ টাকা বাসভাড়া নেওয়া হয়েছে। আবু রাহাত খান বলেন, আমরা গরিব মানুষ। স্বল্প বেতনে কাজ করি। সারা বছরের সঞ্চয় দিয়ে ঈদ উদ্‌যাপন করি। সেই কষ্টের টাকা যদি বাসের মালিক-শ্রমিকেরা রেখে দেন, তাহলে আমরা কোথায় যাব? আজ সকালে সদর উপজেলার চর চিকন্দি এলাকার কামরুল খান পরিবারের দুই সদস্যকে নিয়ে ঢাকা থেকে এসেছেন। তাদের কাছ থেকে ৬০০ টাকা করে বাসভাড়া আদায় করা হয়েছে। যাত্রীরা দাবি করছেন, সরকার এবং পরিবহন কর্তৃপক্ষ যেন এই বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করে এবং অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করে। ঈদে যাত্রীদের নির্বিঘ্নে এবং স্বাভাবিক ভাড়ায় যাতায়াত নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। ভাড়া বেশি নেওয়া হচ্ছে কেন জানতে চাইলে শরীয়তপুর সুপার সার্ভিস বাসের চালক সানি বলেন, ঢাকা থেকে শরীয়তপুরে খালি বাস নিয়ে যেতে হচ্ছে। যাওয়ার সময় যাত্রী হলেও আসার সময় কোনো যাত্রী থাকে না। তাই যাওয়া-আসার খরচ সমন্বয় করতে ভাড়া একটু বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে শরীয়তপুরে আন্তঃজেলা বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির সভাপতি ফারুক আহম্মেদ তালুকদারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বেড়ে যায় এবং অতিরিক্ত সার্ভিস চালাতে হয়। শরীয়তপুর থেকে যাওয়ার সময়ই অতিরিক্ত যাত্রী আছে। কিন্তু ঢাকা থেকে শরীয়তপুর যাওয়ার সময় কোনো যাত্রী পাওয়া যাচ্ছে না। যাত্রীরা যাতে শরীয়তপুরের বিভিন্ন বাস টার্মিনালে দাঁড়িয়ে না থাকেন, সেই কথা বিবেচনা করে ঢাকা থেকে খালি বাস পাঠাতে হচ্ছে। সেতুর টোল, মহাসড়কের টোল, বিভিন্ন চাঁদা ও তেল খরচ সমন্বয় করতে ভাড়া বেশি নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এজন্য কিছুটা ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মুহাম্মদ নিজাম উদ্দীন আহাম্মেদ মুঠোফোনে বলেন, বিআরটিএ নির্ধারিত ভাড়ার অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করা যাবে না। ঈদের সময় ভাড়া নির্ধারণের বিষয় শরীয়তপুর আন্তঃজেলা বাস ও মিনি বাস মালিক সমিতির সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। যাত্রী হয়রানি ও অতিরিক্ত ভাড়া আদায় বন্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চালাবেন ম্যাজিস্ট্রেট।
বসতঘর থেকে গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার
শরীয়তপুরের নড়িয়াতে আকলিমা বেগম (৫৫) নামের এক গৃহবধূর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  রোববার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় নড়িয়া পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম লোনসিং এলাকা থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়। আকলিমা বেগম ওই এলাকার দিনমজুর কালু মালের স্ত্রী। স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, রোববার সকালে কাজে বের হয়েছিলেন কালু মাল। তিনি সন্ধ্যায় বাসায় ফিরে আসলে ঘরের দরজায় খুলে স্ত্রীকে মেঝেতে গলাকাটা ও রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি মোবাইলে মেয়ের জামাই ছাত্তার মল্লিককে জানালে ও স্থানীয়রা এসে বিষয়টি পুলিশকে জানায়। খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।  স্থানীয় কাউন্সিলর শহিদুল সরদার বলেন, আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ঘরের মধ্যে আকলিমা নামের ওই গৃহবধূর গলাকাটা লাশ পড়েছিল। পুলিশ মরদেহ থানায় নিয়ে গেছে। এ বিষয়ে জেলার পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের স্বামী কালু মালকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তদন্ত চলমান রয়েছে।
শরীয়তপুরে আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ
শরীয়তপুরে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের আশ্রয়ণ প্রকল্পে ঠাঁই পাওয়া অসহায় ও দুস্তদের মাঝে ঈদ উপহার শাড়ি ও নগদ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।  রোববার (১৬ এপ্রিল) সকাল থেকে রাত পর্যন্ত নড়িয়া-সখিপুরের আশ্রয়ণের তিন হাজার পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ করেন, শরীয়তপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য ও সাবেক পানিসম্পদ উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম। এনামুল হক শামীম বলেন, একসময় যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, খোলা আকাশের নিচে যারা দিন কাটাত। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের জন্য জমিসহ ঘর দিয়েছেন। তারা এখন সুখে শান্তিতে দিন কাটাচ্ছেন। এবারের ঈদটা যাতে তারা পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দ উচ্ছ্বাসে কাটাতে পারে, সেজন্য তাদের মাঝে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে ঈদ উপহার বিতরণ করেছি। সুন্দর পরিবেশে তারা ঈদ উদযাপন করতে পারবে। প্রধানমন্ত্রীর জন্য এসব মানুষ মন খুলে দোয়া করছেন। উপহার বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন- এমপিপত্নী তাহমিনা খাতুন (সিলু), তার ছোট মেয়ে এবং নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার শংকর চন্দ্র বৈদ্য ও ভেদরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রাজিবুল ইসলাম, সখিপুর থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুমায়ন কবির মোল্লাসহ প্রমুখ।