• ঢাকা সোমবার, ১৭ জুন ২০২৪, ৩ আষাঢ় ১৪৩১
logo

মানুষের নাকের যত জানা-অজানা

ডয়েচে ভেলে

  ২৪ মে ২০২৪, ১২:৩৬
নাক
ছবি : সংগৃহীত

সর্দিকাশি, গন্ধ গ্রহণ থেকে শুরু করে প্রবাদ-প্রবচনে নাকের ভূমিকা গুরুত্ব পায়৷ নাক সম্পর্কে সার্বিক বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা পেলে সেই ধারণা আরো বদ্ধমূল হয়ে উঠতে পারে৷জগত থেকে সব গন্ধ লোপ পেলে, সব বস্তু নিজস্ব সুগন্ধ হারালে এবং কোনো কিছুরই স্বাদ না পেলে বুঝতে হবে সম্ভবত সর্দিকাশির কারণেই সেটা ঘটছে৷

নাকের কাজই হলো গন্ধ শোঁকা৷ কিন্তু সর্দিকাশি ও অ্যালার্জি নাককে মনে করিয়ে দেয়, যে সেটি ইমিউন সিস্টেমের অংশও বটে৷ নাকের কাজ শ্বাসপ্রশ্বাসের সময়ে বাতাস ফিল্টার করা, তাতে আর্দ্রতা ও উষ্ণতা যোগ করা৷ বাতাসের স্রোতের সঙ্গে আসা বড় কণা নাকের লোমে আটকে পড়ে৷ নাকের ভেতরের অংশের মিউকাস ঝিল্লি আঠালো এক পদার্থ সৃষ্টি করে, যা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের মতো আগন্তুকদের বন্দি করে৷ তার মধ্যে এমনকি অ্যান্টিবডিও রয়েছে, যা প্যাথোজেনকে সরাসরি নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে৷ সে কারণেই সংক্রমণ বা অ্যালার্জি হলে সবার আগে নাকেরই ভোগান্তি হয়৷ শ্বেত রক্ত কণিকা সেখানে সমবেত হয় এবং নাকের মিউকাস মেমব্রেন ফুলে ওঠে৷ এছাড়া সেগুলি আরো বেশি তরল সৃষ্টি করে৷ কোনো এক সময় নাক বন্ধ হয়ে যায়৷ কিছু সময়ের পর সেই অবরোধ উঠে গেলে নাক অবশেষে আবার তার পূর্ণ ক্ষমতা ফিরে পায়৷

অন্য সব সেন্সরি অরগ্যানের তুলনায় নাকের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ সবচেয়ে নিবিড়৷ ওলফ্যাক্টরি বা ঘ্রাণের স্নায়ু মিউকাস মেমব্রেনের দশ লাখেরও বেশি রিসেপ্টর থেকে পাওয়া সংকেত মস্তিষ্কে পাঠায়৷ বায়ু থেকে একটি অণু কোনো উপযুক্ত রিসেপ্টরে পৌঁছলেই সংকেত সৃষ্টি হয়৷ একাধিক ক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞ রিসেপ্টরের কল্যাণে আমরা গন্ধ জগতের বিশাল বৈচিত্র্যের স্বাদ নিতে পারি৷ একই ধরনের রিসেপ্টর একই সঙ্গে সক্রিয় হয়ে উঠলে গন্ধ বেশ কড়া হয়ে ওঠে৷ সব সময় সেটা মোটেই সুখকর হয় না৷ তবে শুধু দুর্গন্ধ পেলেই নাক সাড়া দেয় না৷ কখনো সুন্দর রান্নার সুগন্ধ বাতাসে ভেসে এলেও নাক আমাদের খিদে জাগিয়ে তোলে৷ নাক যেহেতু আমাদের জিবের তুলনায় অনেক বেশি গন্ধের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে, সে কারণেই খাবারের স্বাদ অনেক বেশি ভালো লাগে৷

অন্যের কাজে নাক গলানো কথাটার পেছনে কারণ আছে৷ নাক সত্যি অনেক সিদ্ধান্তে নাক গলায়৷ যেমন কোনো বাসা পছন্দ করা বা কাউকে আকর্ষণীয় মনে করার সময়ে গন্ধ আমাদের অনুভূতির উপর অনেক বেশি প্রভাব রাখে, যা আমরা সচেতনভাবে বুঝতে পারি না৷ আমাদের অন্য একটি ক্ষমতার চাবিকাঠিও নাকের কাছে রয়েছে৷ আর সেটা হলো আমাদের স্মৃতিভাণ্ডার৷ সুগন্ধের অভিজ্ঞতা স্মৃতিভাণ্ডারের গভীরে অটুট থেকে যায়৷ সেই স্পষ্ট স্মৃতির সঙ্গে বিশেষ আবেগ জড়িয়ে থাকে৷ এভাবে আমাদের নাক অতীতকে জীবন্ত করে তুলতে পারে৷ তবে স্মৃতিভাণ্ডারে সেই অভিজ্ঞতা প্রবেশের পথে সর্দিকাশি থাকলে চলবে না৷

স্বাস্থ্যকর মিউকাস ঝিল্লি ভাইরাস মোকাবিলা করার প্রথম ঢাল৷ কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে নাকের মিউকাস ঝিল্লির দায়িত্ব পালনের কাজ অনেক সহজ হয়ে যায়৷

মন্তব্য করুন

daraz
  • লাইফস্টাইল এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
সোনাক্ষী-জাহিরের বিয়েতে নিষিদ্ধ ‘লাল’
অ্যাপে নাকি খ্যাপে, সুবিধা নাকি নিরাপত্তা!
মুসলিম অভিনেতাকে বিয়ের গুঞ্জনে যা বললেন সোনাক্ষীর বাবা
ডেডবল নাকি ৪, যা বলছে ক্রিকেট আইন