• ঢাকা শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪, ৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১
logo
নাটোরে লাঠিতে ভর দিয়ে এসে ভোট দিলেন ৯০ বছরের বৃদ্ধা
এতিমখানায় চাঁদাবাজি, ৪ ভুয়া সাংবাদিক আটক
সাংবাদিক পরিচয়ে নাটোরের নলডাঙ্গার একটি এতিমখানায় চাঁদাবাজি করার সময় হেলাল সরকার জয় (২৮), লিমন হোসেন (২৭), ইউনুস আলী (২৭) ও শিহাব মিয়া (২৫) নামে চারজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে এলাকাবাসী। পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার দেখানোর পরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।  মঙ্গলবার (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলার গৌরীপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটকরা হলেন গাজীপুরের মো. সাঈদ সরকারের ছেলে মো. হেলাল সরকার জয় (২৮), ময়মনসিংহের মো. ইমান আলীর ছেলে মো. লিমন হোসেন (২৭), বগুড়ার মৃত আমিরুল ইসলামের ছেলে ইউনুস আলী (২৭) ও শেরপুরের মৃত শাহিন মিয়ার ছেলে শিহাব মিয়া (২৫)। এলাকাবাসী ও মামলা সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার খাজুরা ইউনিয়নের গৌরীপুর নূরানী এতিমখানা ও মাদরাসায় সাংবাদিক পরিচয়ে প্রধান শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান ও সভাপতিকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই ৪ জন চাঁদা দাবি করে। পরে মাদরাসার শিক্ষার্থীরা স্থানীয়দের সহায়তায় লাল রঙের প্রাইভেট কার, ক্যামেরা, ট্রাইপড, বুম ও বিভিন্ন পত্রিকার আইডি কার্ডসহ তাদের আটক করে। অভিযোগ মিলেছে, তারা সাংবাদিক পরিচয়ে বিভিন্ন সময়ে খাজুরা গৌরীপুর নুরানি এতিমখানা ও মাদরাসা থেকে প্রায় ২ লাখ ২৫ হাজার টাকা চাঁদা নেয়।  এতিমখানা ও মাদরাসার প্রধান শিক্ষক মো. রোকনুজ্জামান বলেন, তারা এর আগেও সাবেক সুপারের কাছে এসে চাঁদা দাবি করে টাকা নিতো। আমি দায়িত্ব পাওয়ার পরে আমার কাছে আবারও টাকা চায়। তখন আমি সভাপতির কাছে পাঠাই, এলাকার মানুষ তাদের ভুয়া শনাক্ত করে। আটকের পর তাদের পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়। খাজুরা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য সাইদুল ইসলাম জানান, গৌরীপুর নুরানি এতিমখানা ও মাদরাসার প্রধান শিক্ষক ও সভাপতির কাছে তারা চাঁদা দাবি করলে গ্রামবাসী তাদের আটক করে। পরে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। নলডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোয়ারুজ্জামান বলেন, একটি লাল প্রাইভেটকার নিয়ে চারজন ব্যক্তি খাজুরা ইউনিয়নের একটি এতিমখানা ও মাদরাসায় যায়, ভয়ভীতি দেখিয়ে টাকা দাবি করে। তখন মাদরাসার প্রধান শিক্ষক পুলিশে খবর দেয় এবং মাদরাসার প্রধান শিক্ষক একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। সেই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মামলা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে, তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।