• ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১
logo

নাটোরে অবিশ্বাস্য দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি

নাটোর প্রতিনিধি, আরটিভি নিউজ

  ১৮ মার্চ ২০২৪, ১৪:৫৭
নাটোরে অবিশ্বাস্য দরে বিক্রি হচ্ছে সবজি
ছবি : সংগৃহীত

ঢাকার বাজারে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ছে জ্যামিতিক হারে। রমজান শুরুর আগেই ঢাকায় সবজির দাম বেড়েছে প্রায় ৮০ শতাংশ। রমজান শুরুর কয়েক দিনের মধ্যেই সবজিসহ নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বহু গুণ। যেখানে ঢাকায় নিত্যপণ্য কিনতে দিশাহারা ক্রেতা-ভোক্তা। সেখানে অবিশ্বাস্য দরে সবজি বিক্রি হচ্ছে নাটোরে।

কয়েক দিন আগেও নাটোরে সবজির বাজারে বেগুন বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা। এখন তা বিক্রি হচ্ছে ২ থেকে ৫ টাকা কেজি দরে, মুলা ২ থেকে ৫ টাকা, প্রতি পিস লাউ বিক্রি হচ্ছে ৫ টাকা থেকে ৭ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা কেজি, করলা বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ৪০ টাকা কেজি, লালশাক এক টাকা আটি, ধনেপাতা ৫ থেকে ১০ টাকা কেজি, ১১০ থেকে ১২০ টাকা কেজি দরের পেঁয়াজ এক সপ্তাহের ব্যবধানে নেমে বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে। কাঁচা মরিচ গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা এখন তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকা কেজি দরে।

এ দিকে নাটোরে কম দামে সবজি কিনতে পেরে সন্তুষ্ট ক্রেতারা। কিন্তু সবজির বাজারে এমন ধস নামায় দিশেহারা কৃষক। মৌসুমের শুরুতে উৎপাদিত সবজির ভালো দাম পেয়েছিলেন কৃষকরা। আশা ছিল ভরা রমজানে আরও বেশি দামে বিক্রি করবেন। উল্টো রমজানের সপ্তাহ পার হওয়ার আগেই সবজির দাম তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। সবজি বিক্রি করে পরিবহন খরচই উঠছে না তাদের।

সবজির দাম কমে যাওয়ায় নিজের সন্তুষ্টির কথা জানিয়ে নাটোরের স্থানীয় এক বাসিন্দা জানান, দামের কারণে আমরা তো সবজি খাওয়া প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম। এখন বাজারে যা দাম, এমনটা হলে আমাদের সবজির ঘাটতি পুষিয়ে নিতে পারব।

একজন রিকশাচালক খুশি হয়ে বলেন, সারা দিনে যা উপার্জন করি, তা চাল-ডাল কিনতেই শেষ হয়ে যায়। এমন অবস্থায় সবজির দাম কম হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি বোধ করছি।

এ বিষয়ে রাজশাহীর বাগমারা থেকে নাটোর স্টেশন বাজারে আসা এক কৃষক হতাশা ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের উৎপাদিত শাকসবজি আমরা নাটোর স্টেশন বাজারে বিক্রি করি। কিন্তু বর্তমানে যেভাবে সবজির দাম কমে গেছে তাতে আমাদের পরিবহন খরচ নিজের পকেট থেকেই দিতে হবে। সরকার একটা ব্যবস্থা না নিলে আমরা নিঃস্ব হয়ে যাব।

সবজির দাম নিয়ে বাগমারা থেকে আসা অপর এক সবজি ব্যবসায়ী বলেন, তেল সার কীটনাশক বীজের আকাশ ছোয়া দামের কারণে সবজি উৎপাদনে খরচ অন্যান্য বছরের তুলনায় এবার অনেক বেশি হয়েছে। এমতাবস্থায় বাজার পরিস্থিতি এমন থাকলে পথে বসতে হবে কৃষকদের। শুধু কৃষকরাই ধাক্কা খায়নি। সেই সঙ্গে খুচরা বিক্রেতারাও ধাক্কা খেয়েছে অনেক বড়।

এ প্রসঙ্গে নাটোর স্টেশন বাজারের একজন খুচরা বিক্রেতা জানান, আগে এক কেজি পণ্য বিক্রি করলে ১০ থেকে ১৫ টাকা লাভ হতো। সেখানে সবজির প্রতি কেজি যদি দুই থেকে পাঁচ টাকা হয় তাহলে লাভ কীভাবে হবে। এমন অবস্থায় ক্রেতারাও যাতে সহনীয় দামে পণ্য কিনতে পারেন এবং কৃষক ও খুচরা বিক্রেতারাও স্বাভাবিক দাম রেখে তাদের পণ্য কেনাবেচা করতে পারেন এমনটাই প্রত্যাশা নাটোরবাসীর।

জানতে চাইলে নাটোরের ভারপ্রাপ্ত কৃষি বিপণন কর্মকর্তা জুয়েল সরকার বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারব হঠাৎ কেন বাজারের এই অবস্থা হলো।’

মন্তব্য করুন

daraz
  • দেশজুড়ে এর পাঠক প্রিয়
আরও পড়ুন
বউভাতে গিয়ে দুর্ঘটনা, একে একে মারা গেলেন ৩ ভাই
কাভার্ডভ্যানচাপায় প্রাণ গেল ২ সবজি বিক্রেতার 
ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে ভ্যানচালকের মৃত্যু
৩০ বছর বয়সে ১৪ নারীর স্বামী সাঈদ
X
Fresh