• ঢাকা সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
নওগাঁয় মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৯.২ ডিগ্রি 
নওগাঁয় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড
নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলায় স্ত্রীকে হত্যার দায়ে সালাউদ্দিন ওরফে টনি (৩৫) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকার অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।  সোমবার (২২ এপ্রিল) দুপুরে নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সালাউদ্দিন চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের আজিজার রহমানের ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।   জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আদালত ও মামলার এজহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে নিয়ামতপুর উপজেলার ধানসা গ্রামের আবু কালামের মেয়ে তুকাজ্জেবার (২৪) সঙ্গে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল উপজেলার মুরাদপুর গ্রামের সালাউদ্দিনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই সালাউদ্দিন তুকাজ্জেবার ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করতো। ২০২০ সালের ২৯ জুন তুকাজ্জেবা স্বামী সালাউদ্দিনকে নিয়ে বাবার বাড়ি নিয়ামতপুরের ধানসা গ্রামে বেড়াতে আসেন। পারিবারিক কলহের জেরে শ্বশুরবাড়িতে থাকা অবস্থায় ১ জুলাই সালাউদ্দিন তার স্ত্রী তুকাজ্জেবার গলায় কাঁচি দিয়ে খুঁচিয়ে গুরুতরভাবে জখম করে। ওই দিন সকাল সাড়ে ৫টার দিকে তুকাজ্জেবা ও সালাউদ্দিনের ঘর থেকে চিৎকারের শব্দ পেয়ে তুকাজ্জেবার বাবা ও মা  বাইরে থেকে ঘরের দরজা খোলার চেষ্টা করেন। এক পর্যায়ে প্রতিবেশীরা দরজা ভেঙে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে তুকাজ্জেবাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। এ সময় সালাউদ্দিনের হাতে কাপড় কাটার কাঁচি দেখতে পান প্রতিবেশীরা। আহত অবস্থায় উদ্ধার করে তুকাজ্জেবাকে নিয়ামতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। স্ত্রীকে আহত করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয় লোকজন সালাউদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন। এ ঘটনায় নিহত তুকাজ্জেবার বাবা আবু কালাম বাদী হয়ে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে নিয়ামতপুর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে  মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা ২০২২ সালের ২২ জুন আদালতে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় অভিযোগপত্র দাখিল করেন। রাষ্ট্রপক্ষের মোট ১৮ জন সাক্ষীর মধ্যে আদালতে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের দীর্ঘ সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় নওগাঁর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আবু শামীম আজাদ আসামিকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার আদেশ দেন। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) আব্দুল খালেক এবং আসামিপক্ষে মামলাটি শুনানি করেন রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী আতিকুর রহমান। সরকারি কৌঁসুলি আব্দুল খালেক বলেন, সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামিকে সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদান করেছেন। রায়ে হাইকোর্ট বিভাগে মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখা সাপেক্ষে আসামি সালাউদ্দিনকে মৃত্যু না হওয়া পর্যন্ত ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা বলা হয়েছে।  এ রায় হত্যা মামলার ক্ষেত্রে একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে বলে মনে করেন আইনজীবী আব্দুল খালেক।
নওগাঁয় ৩ ক্লিনিকে অভিযান, ৩০ হাজার টাকা জরিমানা
নওগাঁয় ভুয়া সিআইডি কর্মকর্তা গ্রেপ্তার 
নওগাঁয় ২ মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষ, স্বামী-স্ত্রী নিহত
নওগাঁয় প্রমি রানী সাহা হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন
ঈদের ছুটি কাটাতে এসে সড়কে প্রাণ গেল মা-ছেলের
নওগাঁর মান্দায় পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে রেশমা খাতুন (৩০) এবং তার পাঁচ মাস বয়সী শিশু ফারাবি হোসেন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পত্নীতলা উপজেলার বাবনাবাজ গ্রামের ফিরোজ আলী ও তার মেয়ে ফারিয়া (৮)।  নিহত রেশমা খাতুন অধ্যাপক ফিরোজ আলীর স্ত্রী।  বৃহস্পতিবার (৪ এপ্রিল) বিকেলে মান্দা উপজেলার নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বিজয়পুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।    তাদের উদ্ধার করে মান্দা হাসপাতালে নেওয়ার পর প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।  জানা গেছে, নিহত শিশুটির বাবা ফিরোজ হোসেন পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। ঈদের ছুটি কাটাতে দুই শিশু সন্তানকে নিয়ে সপরিবারে তারা গ্রামের বাড়ি পত্নীতলা উপজেলার চকগোছাই গ্রামে যাচ্ছিলেন। পথে বিজয়পুর এলাকায় দুর্ঘটনার শিকার হন তারা।  দুর্ঘটনায় ঘটনাস্থলে শিশুর মৃত্যু হয়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় আহত রেশমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন মান্দা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক। রাতে তিনিও মারা যান।  মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোজাম্মেল হক কাজী বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের বিজয়পুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। পরে রাতে শিশুটির মাও রাজশাহী মেডিকেলে মারা গেছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে ইউপি চেয়ারম্যানের সংবাদ সম্মেলন 
জমি নিয়ে বিরোধের জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে একজনের নিহতের ঘটনায় প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুত্তালিব হোসেন বাবর।  রোববার (৩১ মার্চ) দুপুরে নিয়ামতপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।  সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে ইউপি চেয়ারম্যান মুত্তালিব হোসেন বাবর বলেন, উপজেলার রসুলপুর ইউনিয়নের চৌরাসমাসপুর আড্ডা এলাকায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে গত ২৪ মার্চ বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় আহত এক ব্যক্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। এ ঘটনা নিয়ে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও স্থানীয় পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকৃতপক্ষে মারামারির ওই ঘটনার সঙ্গে কোনোভাবেই আমার সম্পৃক্ততা নেই। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, উপজেলার চৌরাসমাসপুর গ্রামের তরিকুল ইসলাম, তার ভাই তফিকুল ইসলাম ও শফিকুল ইসলামদের সঙ্গে চার বিঘা জমি নিয়ে একই গ্রামের সাবির উদ্দিন, তার ভাই খবির উদ্দিন, আকতার আলীর দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা চলছিল। সম্প্রতি ওই মামলায় আদালত তরিকুল ইসলামের পক্ষে রায় দেন। রায়ের ভিত্তিতে তরিকুল ইসলাম ও তার ভাইয়েরা গত ২৪ মার্চ জমির দখল বুঝে নিতে গেলে প্রতিপক্ষের লোকজন তাদেরকে বাধা দেন। এতে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। খবর পেয়ে ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় আমি ওই গ্রামে গিয়ে বিবদমান দুপক্ষের মধ্যে আপস-মীমাংসা ও পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে ওই স্থান থেকে আমি চলে আসি। ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ২৪ মার্চ সন্ধ্যায় দুপক্ষের সঙ্গে কথা বলে চলে আসার পর ওই ঘটনার জেরে পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার গোমস্তাপুর উপজেলার শেরপুর গ্রামে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন। ওই ঘটনায় আহত জয়নাল আবেদীন (৪৫) নামে এক ব্যক্তি গত বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা যান।  তিনি আরও বলেন, মারামারির ঘটনা নিয়ে দুপক্ষই থানায় পাল্টাপাল্টি মামলা করে। কোনো মামলাতেই আসামি হিসেবে আমার নাম নেই। অথচ এ ঘটনা নিয়ে কয়েকটি বেসরকারি টেলিভিশন ও স্থানীয় পত্রিকায় আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ করে। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখ করা হয়, আমার নেতৃত্বে ওই হামলার ঘটনা ঘটে, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট। যে জমি নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ, এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমি কেবল একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ মীমাংসার চেষ্টা করেছি।
নওগাঁ সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি নিহত
নওগাঁর পোরশা সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে আল আমিন (৩২) নামে এক বাংলাদেশি যুবক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।  মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে পোরশা উপজেলার নিতপুর সীমান্ত চৌকির (বিওপি) অদূরে মিলমারি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) ১৬ ব্যাটালিয়নের (নওগাঁ) অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান । নিহত আল আমিন উপজেলার নিতপুর ইউনিয়নের নিতপুর কলোনীপাড়া গ্রামের আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে। স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, সোমবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় আল আমিন আরও কয়েকজনের সঙ্গে নীতপুর সীমান্ত এলাকার ২৩২ নম্বর পিলারের পাশ দিয়ে ভারতের অভ্যন্তরে প্রবেশ করেন। গরু নিয়ে নিতপুর সীমান্তের মিলমারি এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় আজ ভোর সাড়ে ৪টার দিকে ভারতের মালদহ জেলার বিএসএফ ১৫৯ ব্যাটালিয়নের আগ্রাবাদ ক্যাম্পের জওয়ানরা তাদের ধাওয়া করেন।  এ সময় অন্যরা পালিয়ে আসতে সক্ষম হলেও আল আমিন গুলিবিদ্ধ হন। ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে প্রায় দুই কিলোমিটার ভারতের অভ্যন্তরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে বিএসএফের সদস্যরা আল আমিনের মরদেহ নিয়ে যায়। নিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান এনামুল হক বলেন, ‘আল আমিন ভারত থেকে গরু আনা-নেওয়ার কাজ করতেন। টাকার বিনিময়ে রাখাল হিসেবে ভারত থেকে গরু নিয়ে আসতেন। গতকাল রাতে আল আমিন আরও ১০ থেকে ১২ জনের সঙ্গে গরু আনতে নিতপুর সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে যান। ভোরে গরু নিয়ে ফেরার পথে বিএসএফ সদস্যরা তাদের তাড়া করেন। অন্যরা পালিয়ে আসতে পারলেও আল আমিন পারেননি। বিএসএফের গুলিতে ঘটনাস্থলেই আল আমিন মারা যান।’ বিজিবি ১৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্নেল মুহম্মদ সাদিকুর রহমান বলেন, বাংলাদেশের সীমান্ত থেকে ভারতের প্রায় দুই কিলোমিটার অভ্যন্তরে মিলমারি এলাকায় একজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে বিজিবি ও বিএসএফের কোম্পানি কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠকের জন্য বিএসএফকে আহ্বান জানিয়ে পত্র পাঠানো হয়েছে।
নওগাঁয় ১৩২ স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শহীদদের শ্রদ্ধা
২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস উপলক্ষে নওগাঁয় ১৩২টি গণহত্যার স্থানের মাটি সংগ্রহ করে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে। সোমবার (২৫ মার্চ) সকালে স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদের আয়োজনে শহরের মুক্তির মোড়ে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিস্তম্ভের পাশে এ শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সেখানে ১৩২টি স্থানের মাটি সংগ্রহ করে আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে গোলাপ ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে সেখানে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বক্তব্য রাখেন সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ডিএম আব্দুল বারি, সাধারণ সম্পাদক এম এম রাসেলসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যবৃন্দরা। সময় সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক ও মাটি সংগ্রহের অন্যতম এম এম রাসেল বলেন, এখন পর্যন্ত জেলায় জরিপ করে দেখা গেছে, ১৩২টি স্থানে গণহত্যা চালানো হয়েছে। এ গণহত্যার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ, শহীদদের নাম, তাদের ঠিকানা, পেশা, বয়স এগুলো সংগ্রহ করতে প্রায় ১১ বছর ধরে কাজ করা হয়েছে। আমাদের তথ্যমতে, ১৩২টি গণকবর রয়েছে এ জেলায়। সেসব স্থান থেকে মাটি সংগ্রহ করা হয়েছে। শহীদদের এই রক্তস্নাত মাটি সংগ্রহ করতে সময় লেগেছে ২ মাসের মতো। আজকে এই ১৩২টি স্থানের মাটিগুলো আলাদা আলাদা পাত্রে রেখে দিয়ে সেখানে একটি করে গোলাপ দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সংগঠনটির সভাপতি অ্যাডভোকেট ডি এম আব্দুল বারি বলেন, যাদের জন্য আমরা স্বাধীন দেশ ও মুক্ত স্বদেশ পেয়েছি তাদেরকে এ ব্যতিক্রমী আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্মরণ করা হয়েছে। যাতে করে নতুন প্রজন্মকে গণহত্যা সম্পর্কে আমরা জানাতে পারি।
তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা পেলেন প্রধানমন্ত্রীর উপহার
পবিত্র রমজান মাসে নওগাঁয় কর্মহীন ও সুবিধাবঞ্ছিত মানুষের মাঝে ইফতার ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণ অব্যাহত রয়েছে। এবার পবিত্র রমজান উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যদের মাঝেও।  সোমবার (২৫ মার্চ) বিকেল সাড়ে চারটার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে ৩৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের হাতে উপহার সামগ্রী হিসেবে চাল, ডাল, চিনি, তেলসহ মোট আটটি নিত্য প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য তুলে দেন জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা। এ দিকে জেলা প্রশাসকের হাত থেকে প্রধানমন্ত্রীর উপহার সামগ্রী হিসেবে খাদ্যদ্রব্য নিতে পেরে খুশি তৃতীয় লিঙ্গের সদস্যরা। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক গোলাম মওলা বলেন, অন্যান্যদের মতো তাদেরও অধিকার আছে কিছু চাওয়ার ও পাওয়ার। তাই আমি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এই পবিত্র রমজান মাস উপলক্ষে ৩৪ জন তৃতীয় লিঙ্গের মাঝে একটু খাদ্যদ্রব্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।  আশা করি তাদের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে সহযোগিতার এই ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।  এ সময় তিনি অসহায় ও দরিদ্রদের জন্য সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদের সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।
তুলসীগঙ্গা নদীতে বস্তাবন্দী যুবকের মরদেহ উদ্ধার
নওগাঁয় অজ্ঞাত পরিচয়ধারী বস্তাবন্দী এক যুবকের (৩৫) মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (২২ মার্চ) বিকেলে সদর উপজেলার চন্ডিপুর ইউনিয়নের চকবুলাকি গ্রামে তুলসীগঙ্গা নদীর ডোবাই কচুরিপানার ভেতর থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।  খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জানা যায়, শুক্রবার দুপুর আড়াইটার দিকে সদর থানাধীন চন্ডিপুর ইউনিয়নের চকবুলাকি গ্রামের তুলসী গঙ্গা নদীর ডোবাই কচুরিপানার ভেতর বস্তাবন্দী অজ্ঞাতনামা এক যুবকের মরদেহ স্থানীয়রা দেখতে পান। পরে পুলিশকে খবর দেন স্থানীয়রা। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে সন্ধ্যার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নওগাঁ সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল গফুর। তিনি বলেন, ‘ধারণা করা হচ্ছে হত্যাকাণ্ডের পরে অনেকদিন ধরে মরদেহটি ডোবাই পড়েছিল। নিহতের পরিচয় শনাক্ত ও ঘটনার রহস্য উদঘাটনের জন্য কাজ করছে পুলিশ।’  আইনগত বিষয় প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।