• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
হবিগঞ্জের সাবেক মেয়র আতাউর রহমান সেলিম গ্রেপ্তার
চুনারুঘাটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ নিহত ২
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ছাত্রদল নেতাসহ দুজন নিহত হয়েছেন।  শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টায় উপজেলার চন্ডিছড়া চা বাগান এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চুনারুঘাট থানার ওসি হিল্লোল রায়। নিহতরা হলেন- শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার সুদিয়াখলা গ্রামের মৌলদ মিয়ার ছেলে ও শায়েস্তাগঞ্জ পৌর ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক হাফিজ সরকার এবং একই উপজেলার তালুগড়াই গ্রামের হাজী কিম্মত আলীর ছেলে মোস্তাফিজুর রহমান। এ বিষয়ে ওসি হিল্লোল রায় বলেন, ‘হাফিজ ও মোস্তাফিজুর মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হয়েছিলেন। বাড়ি ফেরার পথে চন্ডিছড়া চা বাগানে মাজারের আগে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টে যায়। পরে পেছন থেকে একটি ট্রাক তাদের চাপা দিয়ে চলে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুজন মারা যান।’
হবিগঞ্জে দুপক্ষের সংঘর্ষ, নিহত ১
বেঁচে যাওয়া গুলিবিদ্ধ সালেহ আহমদের চোখে-মুখে দুশ্চিন্তার ছাপ 
বাঁশি বাজানো নিয়ে ঝগড়া, যুবককে পিটিয়ে হত্যা 
গ্যাস-বিদ্যুতের দাম বাড়ানো নিয়ে যা জানালেন বিইআরসি চেয়ারম্যান
বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ছাত্রদলের ত্রাণসামগ্রী বিতরণ
হবিগঞ্জে বন্যাদুর্গতদের মধ্যে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।  শুক্রবার (২৪ আগস্ট) ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের উদ্যোগে এ ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়। এসময় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান বলেন, বিএনপি গণমানুষের রাজনৈতিক দল। এ দল দেশের মানুষের যেকোনো সংকটে সর্বাত্মক পাশে থাকে। এবারের বন্যার শুরুতেই ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক মানবিক বাংলাদেশের স্বপ্নদ্রষ্টা তারেক রহমান আমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে বানভাসি মানুষের পাশে থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, আমরা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সেই নির্দেশনা মোতাবেক সার্বক্ষণিক বন্যাকবলিত মানুষের পাশে রয়েছি। ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে সংগঠনের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম জিসান, ফারুক হোসেন, মাসুদুর রহমান মাসুদ, মোস্তাফিজুর রহমান রুবেল, হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমানসহ জেলার বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। প্রসঙ্গত, হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার বন্যাকবলিত কয়েকটি গ্রামে দিনব্যাপী এই ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়।
হবিগঞ্জে পানিবন্দি ২৫ হাজার মানুষ
হবিগঞ্জে বন্যায় চার উপজেলার ২৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বুধবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাত ১২টায় জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সুমি রানি পাল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।   তিনি বলেন, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত  চুনারুঘাট, মাধবপুর, শায়েস্তাগঞ্জ ও হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ১৬টি ইউনিয়নের ৬ হাজার ৪১০টি পরিবার ও ২৫ হাজার ৬০৮ জন মানুষ পানিবন্দি। তাদের জন্য ১১৬টি বন্যা কেন্দ্র প্রস্তুত। পানিবন্দি মানুষদের বিতরণের জন্য ৯৬৫ টন চাল, এক হাজার ৫৬০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও নগদ ২১ লাখ ২৭ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।  এদিকে, গতকাল সন্ধ্যায় চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা পয়েন্টে খোয়াই নদীতে পানির উচ্চতা ছিল ২৩ দশমিক ২১ মিটার। যা বিপৎসীমার ২০১ সেন্টিমিটার ওপরে। একই সময়ে নদীর শায়েস্তাগঞ্জ পয়েন্টে ১৪ দশমিক ০২ মিটার বা বিপৎসীমার ১২৭ সেন্টিমিটার ওপরে এবং সদর উপজেলার মাছুলিয়া পয়েন্টে সন্ধ্যায় পানির উচ্চতা মাপা হয় ১১ দশমিক ০০ মিটার। যা বিপৎসীমার ১৯৫ সেন্টিমিটার ওপরে ছিল। 
খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে
টানা বৃষ্টি ও ভারত থেকে আসা উজানের ঢলে বিগঞ্জের খোয়াই নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করেছে। প্রায় সবগুলো পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। শহর রক্ষা বাঁধ পানিতে ছুঁই ছুঁই। ফলে হবিগঞ্জ শহরসহ খোয়াই নদীর দুই পারে বন্যার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কে রয়েছেন হবিগঞ্জবাসী। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, বুধবার (২১ আগস্ট) বিকেলে খোয়াই নদীর বাল্লা পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ২০০, শায়েস্তাগঞ্জে ১২৩ ও মাছুলিয়া পয়েন্টে ১৯৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। শহরের বাসিন্দারা বলছেন, খোয়াই নদীর বাঁধ দুর্বল, কারণ খোয়াই নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছে একটি কুচক্রী মহল। যার ফলে আজকে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার দ্বারপ্রান্তে। এ বিষয়ে হবিগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. একরামুল হক বলেন, ‘খোয়াই নদী ভারতের প্রান্তে ত্রিপুরায় ৭টি গেট খুলে দেওয়ার খবর পেয়েছে পাউবো। যে কারণে পানির প্রবল প্রবাহ নেমে আসছে হবিগঞ্জের দিকে। আর হাওরে কয়েকটি বাঁধ দিয়ে পানি গিয়ে হাওর টইটম্বুর হয়ে গেছে। ফলে পানি আর যাচ্ছে না। যার কারণে খোয়াই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং নদের দুই পারের জনপদই বন্যার ঝুঁকিতে পড়েছে।’
অবশেষে সরকার পতনের পরই বিয়ে করলেন ছাত্রদল নেতা
ছাত্রদল নেতা হবিগঞ্জের মাধবপুরে মীর্জা এসএম ইকরাম (৪২) প্রতিজ্ঞা করেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করবেন না। অবশেষে সরকার পতনের পর শুক্রবার (১৬ আগস্ট) পারিবারিক পছন্দে বিয়ের করেছেন তিনি। পাত্রী ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার নুরপুর গ্রামের আলী আকবরের মেয়ে শামীমা আক্তার। এর আগে অনেক বিয়ের প্রস্তাব আসলেও বিয়ে করতে রাজি হননি ইকরামুল। জানা যায়, হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার বহরা ইউনিয়নের আরিছপুর গ্রামের মির্জা নাজির আলীর ছেলে মীর্জা এসএম ইকরাম ৪ ভাই-বোনের মধ্যে সবার বড়। ২০০৮ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মাধবপুর  উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক ও সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন মীর্জা ইকরাম। সর্বশেষ তিনি হবিগঞ্জ জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদক ছিলেন। ওয়ান ইলেভেনের সময় দীর্ঘদিন কারাগারে আটক ছিলেন ইকরাম। মীর্জা ইকরামের মা আমিরন ফাতেমা জানান, ছেলে জেদ ধরেছিল হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে করবে না। সে তার কথা রেখেছে। আমি ছেলেকে নিয়ে গর্বিত। ইকরাম বলেন, প্রতিজ্ঞা পালন করতে গিয়ে দেরিতে হলেও বিয়ে করেছি। আমি সবার কাছে দোয়া চাই।
ছাত্র আন্দোলনে নিহত ৯ জনের পরিবারকে বিএনপির সহায়তা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে পুলিশের গুলিতে নিহত ৯ জনের পরিবারকে অর্থ সহায়তা দিয়েছে বিএনপি। সোমবার (১২ আগস্ট) বিকেলে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জি কে গউছ নিহত প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেন।  এ সময় তিনি প্রতিটি পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট সাড়ে ৪ লাখ টাকা প্রদান করেন। সাবেক অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী প্রয়াত এম সাইফুর রহমান স্মৃতি পরিষদের পক্ষ থেকে এ টাকা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন জি কে গউছ। অর্থ সহায়তা প্রদানকালে হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হাজী এনামুল হক, বানিয়াচং উপজেলা বিএনপির সভাপতি মজিবুল হাসান মারুফ, সাধারণ সম্পাদক নকিব ফজলে রকিব মাখন, হবিগঞ্জ সদর উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক আজিজুর রহমান কাজল, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন, সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।