• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০৯ মে ২০২৪, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১
logo
সৌদিফেরত স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা, অস্ত্র নিয়ে থানায় হাজির স্বামী
মৌলভীবাজারে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করলেন প্রধান বিচারপতি
মৌলভীবাজারে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’ উদ্বোধন করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শুক্রবার (৩ মে) বিকেলে জেলা ও দায়রা জজ আদালত প্রাঙ্গণে এ বিশ্রামাগারের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধান বিচারপতি বলেন, আদালতে বিচারপ্রার্থীদের পানি পান, টয়লেট ও দুগ্ধপোষ্য মায়েদের তাদের সন্তানদের দুধ পানের কোনো স্থান ছিল না। বিষয়টি সাবেক প্রধান বিচারপতি প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করেছিলেন। প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে সঙ্গে দেশের সব আদালত চত্বরে এক হাজার বর্গফুটের ‘ন্যায়কুঞ্জ’ স্থাপনের নির্দেশ দেন। এখন থেকে সাধারণ বিচারপ্রার্থীরা এটি ব্যবহার করতে পারবেন। উপস্থিত ছিলেন জেলা ও দায়রা জজ আল মাহমুদ ফয়জুল কবির, জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম, পুলিশ সুপার মনজুর রহমানসহ আদালতের বিচারক ও আইনজীবীরা।
‘বাংলাদেশের কোনো ভাষাকেই হারিয়ে যেতে দেওয়া যাবে না’
১৫৩ রোহিঙ্গার ভুয়া জন্ম নিবন্ধন, ইউপি চেয়ারম্যান সাময়িক বরখাস্ত
‘পেনশন ব্যবস্থায় যুক্ত হলে শেষ বয়সে দুশ্চিন্তায় থাকতে হবে না’
ঈদের ছুটিতে পর্যটকদের স্বাগত জানাতে প্রস্তুত পর্যটন স্পট
বাঁচানো গেল না সোনিয়াকে, বিদ্যুৎস্পৃষ্টে একই পরিবারের সবার মৃত্যু
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় বাবা-মা ও তিন ভাই-বোনের পর এবার মারা গেল শিশু সোনিয়া আক্তারও (১২)। বুধবার (২৭ মার্চ) ভোরের দিকে সোনিয়ার মৃত্যু হয়।  সোনিয়া গোয়ালবাড়ী উত্তর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়তো। মঙ্গলবার বিদ্যুৎস্পৃষ্টে সোনিয়ার বাবা-মা ও তিন ভাইবোনও মারা যান। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একমাত্র সোনিয়াই বেঁচে ছিল। সোনিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তার মামা আব্দুল আজিজ। তিনি বলেন, সোনিয়াকে প্রথমে সিলেটের ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার শরীরের ২৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা। উন্নত চিকিৎসার জন্য মঙ্গলবার রাতে তাকে ঢাকায় নেওয়া হয়। সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ পরই সে মারা যায়। ঢাকায় সোনিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা করা পূর্ব গোয়ালবাড়ীর বাসিন্দা এস এম জাকির বলেন, সোনিয়াকে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নিয়ে আসি। সিলেট থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নেওয়ার পর আজ ভোর ৪টার দিকে তার মৃত্যু হয়। 
অস্ত্রোপচারে বের হলো পায়ুপথে ঢুকে পড়া কুঁচিয়া
সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অবিশ্বাস্য ও দুর্লভ এক অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে গত ২৪ মার্চ। যা এ যাবৎকালের স্বরণীয় ঘটনা হিসেবে বলছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। রোগীর পেট থেকে অপারেশন করে জীবন্ত মাছ বের করেছেন হাসপাতালের ডাক্তাররা। ওসমানী মেডিকেল সূত্রে জানা যায়, মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা মিতিঙ্গগা চা বাগানের উপজাতি বাসিন্ধা ধনমুন্ডার ছেলে সম্ররামুন্ডা (৫৫)। তিনি একজন রেজিস্ট্রার কার্ডধারী জেলে। কাদার মধ্যে মাছ ধরতে গিয়ে তার পায়ুপথ দিয়ে ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) প্রবেশ করে পেটে। দুই দিন পর সিলেট ওসমানী মেডিকেল হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করে সেই মাছ জ্যান্ত বের করা হয়। সম্ররামুন্ডা বিভিন্ন জায়গা থেকে মাছ ধরে স্থানীয়দের কাছে বিক্রি করেন। গত ২৩ মার্চ মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার স্থানীয় হাওরে মাছ ধরতে গেলে হঠাৎ কোমর সমান কাদায় আটকে যান। তখন তার দুই হাতে থাকা দুটি কুঁচিয়া মাছের একটি পানিতে পড়ে যায় এবং আরেকটি কাদায় পড়ে। কাদাতে পড়ে যাওয়া মাছ ধরতে গিয়ে তিনি অনুভব করেন তার পায়ু পথে কি যেন ডুকছে। তবে সেটিকে গুরুত্ব দেননি তিনি। পরে সম্ররা মুন্ডা সেখান থেকে উঠে বাড়িতে আসার পর তার পেটে প্রচুর ব্যথা অনুভব হয়। তার ছেলে জানান তার বাবা সম্ররামুন্ডা হাফ প্যান্ট পরে মাছ শিকারে গিয়েছিলেন। কাদায় আটকে পায়ু পথে মাছ ঢুকলেও তিনি বাড়িতে এসে এ ব্যাপারে কাউকেই কিছু বলেননি। তবে এক পর্যায়ে পেটে তীব্র ব্যথা শুরু হলে ২৪ মার্চ রোববারে স্থানীয় হাসপাতালে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। ওসমানীর চিকিৎসকগণ তার ব্যথার কথা শুনে এক্সরের মাধ্যমে পেটের ভিতর লম্বা আকৃতির একটি বস্তু দেখতে পান। কর্তব্যরত ডাক্তাররা সিনিয়দের সঙ্গে আলাপ করে সম্ররা মুন্ডাকে সন্ধায় অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান। সেখানে প্রফেসর জানে আলমের নেতৃত্বে ৪ জন চিকিৎসক ২ ঘণ্টা অপারেশন চালিয়ে পেটের ভিতর থেকে একটি জীবন্ত কুঁচিয়া (জেল ফিস) মাছ বের করেন। এ ঘটনায় ডাক্তারা বিস্মিত হন। পরে পেটের ভিতর থেকে কুচিয়া মাছ বের করার ঘটনা জনসাধারণের মধ্যে জানাজানি হলে সিলেট জুড়ে তোলপাড় শুরু হয়। রোববার রাতে সিওমেকের সার্জারি ইউনিট-২ প্রধান অধ্যাপক ডা. কাজী জানে আলমের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচার করে ওই রোগীর পেট থেকে মাছটি বের করা হয়। অস্ত্রোপচারে অংশগ্রহণ করেন সার্জারি ইউনিট-২ এর সহকারী রেজিস্ট্রার ডা. রাশেদুল ইসলাম ও ডা. তৌফিক আজিজ শাকুর।  এ ব্যাপারে ওসমানী মেডিকেলের উপপরিচালক ডা. সৌমিত্র চক্রবর্তী  জানান, সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে অস্ত্রোপচার করে তার পেট থেকে জ্যান্ত ২৫ ইঞ্চি কুঁচিয়া মাছ (জেল ফিস) উদ্ধার করা হয়েছে। এটা একটা অপ্রত্যাশিত ও কঠিন অপারেশন ছিল যা আমাদের টিম ভালোভাবে সম্পন্ন করেছে। রোগী পুরোপুরি সুস্থ আছেন। বর্তমানে সম্ররা মুন্ডা ওসমানী মেডিকেলের ১১নং ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানান তিনি। যদি রোগী অপারেশনে আসতে দেরি করতেন তাহলে তার মারা যাওয়ার আশংকা ছিল।  
মৌলভীবাজারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারের জুড়ীতে বসতঘরের ওপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে তাতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন একজন। মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) ভোরে জেলার জুড়ি উপজেলার পূর্ব গোয়ালবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফয়জুরের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয় স্বজনসহ আশেপাশের এলাকার বাসিন্দারা।  নিহতরা হলেন ফয়জুর রহমান (৫৫), তার স্ত্রী শিরিন বেগম (৪৫), তাদের বড় মেয়ে সামিয়া (১৬), মেঝো মেয়ে সাবিনা (১৩) ও ছেলে সায়েম উদ্দিন (৮)। এ ঘটনায় ফজজুরের ছোট মেয়ে সোনিয়া আক্তারকে (৬) আহতাবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ফয়জুর রহমান পরিবারের ছয় সদস্য নিয়ে একটি টিনের ঘরে ওই এলাকায় বসবাস করতেন। ঘরের ওপর দিয়ে উচ্চ ভোল্টেজ ক্ষমতা সম্পন্ন পল্লী বিদ্যুতের লাইন গেছে। সেহরির আগে ও পরে ঝড়বৃষ্টি হলে বিদ্যুতের লাইন ছিঁড়ে ঘরের চালে পড়লে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের ৫ জনের মৃত্যু হয়। গোয়ালবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান আব্দুল কাইয়ুম জানান, ফয়জুর তার পরিবার নিয়ে ঘর থেকে বের হতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা যান। গুরুতর আহত সোনিয়া সিলেটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ঘটনায় উপজেলা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। ফয়জুরের বাড়িতে ভিড় করছেন আত্মীয় স্বজনসহ প্রতিবেশীরা। মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এ বি এম মিজানুর রহমান জানান, লাইন স্থাপনের পর ঘরটি তৈরি করা হয়েছে। এখন লাইনটি সরানো হবে। আহত শিশুর চিকিৎসার বিষয়ে সহযোগিতা করা হবে। জুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাইন উদ্দিন জানান, স্বজনদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই তাদের কাছে মরদেহগুলো হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিএসএফের গুলিতে নিহত কিশোরের মরদেহ ফেরত পেল পরিবার
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার মুরাইছড়া সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে নিহত বাংলাদেশি কিশোরের মরদেহ ফেরত পেয়েছে পরিবার। সোমবার (১৮ মার্চ) সন্ধ্যায় বিজিবি মরদেহ গ্রহণ করে সীমান্ত এলাকায়ই পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে।  জানা গেছে, রোববার (১৭ মার্চ) বিকেলে মুরাইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (১৫) ও একই গ্রামের মৃত সাদাই মিয়ার ছেলে ছদ্দেকুর রহমান (৩৪) মুরাইছড়া সীন্তের শিকরিয়া এলাকায় গরু চরাতে চরাতে সীমান্তের জিরো লাইনের কাছাকাছি চলে যায়। এ সময় ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের উনকোটি জেলার মাগুরুলি বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়ে। গুলিতে কিশোর সাদ্দাম ঘটনাস্থলেই মারা যান। এ সময় ছিদ্দেকুরকে আহতবস্থায় বাংলাদেশ সীমান্তে ফিরে আসলে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে কুলাউড়া, পরে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতাল নেয়। তবে সেখানেও অবস্থা খারাপ হলে তাকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। তিনি সেখানে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরদিকে নিহত সাদ্দাম হোসেনের মরদেহ নিয়ে যায় পুলিশ। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউপি সদস্য সিলভিস্টার পাঠাং জানান, নিহত সাদ্দামের মরদেহ ভারতের কৈলাশহর হাসপাতালের মর্গে ছিল। মরদেহ ফেরাতে তারা বিজিবির সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করেন। এরপর বিজিবি ও বিএসএসফের যোগাযোগ হলে আজ মরদেহ ফেরত পাওয়া গেছে। বিকালে বিএসএফ সাদ্দামের মরদেহ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করলে রাতে বিজিবি তা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। কুলাউড়া থানা অফিসার ইনচার্জ আলী মাহমুদ জানান, সোমবার বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে বিএসএফ মরদেহ বাংলাদেশে পাঠালে প্রথমে বিজিবি তা গ্রহণ করে। পরে থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিয়ে ভারতের কৈলাশহর থানায় মামলা হয়েছে। মামলার ডকুমেন্টসহ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে বিজিবি। আইনি কার্যক্রম শেষে মরদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
কুলাউড়ায় বিএসএফের গুলিতে বাংলাদেশি কিশোর নিহত, গুলিবিদ্ধ ১ 
মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি কিশোর নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও একজন। রোববার (১৭ মার্চ) দুপুর আড়াইটার দিকে উপজেলার পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে।  নিহত কিশোর সাদ্দাম (১৩) উপজেলার কর্মধা ইউনিয়নের মুড়ইছড়া বস্তির আছকির মিয়ার ছেলে। আহত হয়েছেন ওই গ্রামের মৃত সাদই মিয়ার ছেলে ছিদ্দেকুর রহমান (৩৬)। জানা যায়, রোববার বিকলে নিহত সাদ্দাম তার পরিবারের গৃহপালিত দুটি গরু আনতে পৃথিমপাশা ইউনিয়নের শিকড়িয়া সীমান্তে যান। এ সময় সাদ্দাম তাদের গরু আনতে গেলে সীমান্ত এলাকার ৪৩ নম্বর মূল পিলারের কাছে প্রবেশ করার চেষ্টাকালে ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যর উনকোটি জেলার মাগুরউলি এলাকায় বিএসএফের একটি টহল দল তাকে মারধর করে গুলি করে। এতে ঘটনাস্থলেই সাদ্দাম মারা যান। এ সময় সীমান্ত এলাকায় বিএসএফের হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হন ছিদ্দেকুর রহমান নামের আরও এক ব্যক্তি।  আলীনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার হরি জীবন বলেন, এ বিষয়ে পরে কথা বলবো এখন বিএসএফের সঙ্গে আছি।  কর্মধা ইউপি চেয়ারম্যান মুহিবুল ইসলাম আজাদ বলেন, নিহত সাদ্দাম ও আহত ছিদ্দেকুর রহমান এলাকায় চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। সীমান্ত এলাকায় চোরাচালান রোধে ও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ বন্ধ করতে স্থানীয় সবশ্রেণির মানুষকে নিয়ে একাধিকবার মতবিনিময় করা হয়েছে। কিন্তু একটি চক্র চোরাচালান কাজ বন্ধ করেনি।  কুলাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) ক্যশৈনু বলেন, ঘটনাটি জেনেছি। যতটুকু জেনেছি সাদ্দামকে বিএসএফ ধরে নিয়ে গেছে। এ দিকে আহত ছিদ্দিককে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে সুপেয় পানি পেলো চা জনগোষ্ঠী
শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন ও পানি সংরক্ষণে আড়াই হাজার লিটারের একটি ট্যাংকের ব্যবস্থা করে দিয়েছে আব্দুর রহিম মেমোরিয়াল ট্রাস্ট। সেখান থেকে আশপাশের প্রায় ৩০টি পরিবারের পানির সমস্যা মিটবে। এছাড়া এখান থেকে সুপেয় পানি পান করতে পারবেন চা বাগানে বেড়াতে আসা পর্যটকরা। সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে শ্রীমঙ্গল কাকিয়াছড়া চা বাগানে গভীর নলকূপটি উদ্বোধন করেন শ্রীমঙ্গল উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ভানু লাল রায়।  এ সময় এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব, এস এস জি জলধারা সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়ক মুহাম্মাদ হাছানুজ্জামান চৌধুরী এবং কাকিয়াছড়া চা বাগানের জেনারেল ম্যানাজার সৈয়দ সালাউদ্দিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। নলকূপ পেয়ে চা শ্রমিক কবিতা হাজড়া বলেন, এখানে সুপেয় পানির কোনো ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে কুয়া ও ছড়ার (খাল) পানি ওপরই বেশি নির্ভর থাকতে হত। এখন নলকূপ পেয়ে আমরা খুবই খুশি। এস এস জি জলধারা প্রধান সমন্বয়ক মাসুদ আল আমিন রাজিব জানান, চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে যারা কাজ করেন তাদের জীবন মান খুব কঠিন। তাদের জীবনমান উন্নয়নে তাদের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও এই ট্রাস্ট এর পক্ষ থেকে দেশের ৬৪টি জেলায় সুপেয় পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করে দেওয়া হচ্ছে।