• ঢাকা শনিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৩০ ভাদ্র ১৪৩১
logo
‘ছাত্র-জনতা এক থাকলে দেশের যেকোনো সংকট মোকাবিলা সম্ভব’
মৌলভীবাজারে বন্যার্ত মানুষের পাশে বিজিবি
মৌলভীবাজারে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত বানবাসী মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। এরই অংশ হিসেবে জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার বরুনার হাওর অঞ্চলের বানবাসী মানুষের মাঝে শুকনো খাবার ও বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করছেন তারা। বন্যার শুরু থেকেই জেলাজুড়ে এই ত্রাণ তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে বিজিপি। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) এই খাদ্য বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিজিবি শ্রীমঙ্গল সেক্টর সদর দপ্তরের সেক্টর কমান্ডার কর্ণেল ইয়াসীন চৌধুরী, বিজিবির ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার, বিজিবির সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ জামাল হোসেন প্রমুখ। ৪৬ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল মোহাম্মদ মিজানুর রহমান সিকদার বলেন, ‘বর্ডার গার্ড বিজিবি সব সময়ই সমাজের দরিদ্র এবং বিপন্ন মানুষের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। আমরা বানভাসি মানুষের উদ্ধার করার কাজ করছি৷ পাশাপাশি যারা আটকা পড়ছেন তাদেরকে শুকনো খাবার দিচ্ছি।’  এর আগে কয়েক হাজার বানভাসি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার তুলে দেন তারা।
বন্যার পানি কমলেও বিশুদ্ধ পানির সংকট মৌলভীবাজারে 
পানি ছাড়ার আন্তর্জাতিক নিয়ম প্রতিপালন করেনি ভারত: পরিবেশ উপদেষ্টা
কমতে শুরু করেছে মনু নদীর পানি
বন্যা মোকাবিলায় মৌলভীবাজারে জামায়াতের জরুরি হেল্পলাইন
মৌলভীবাজারে সেনাবাহিনীর সরব উপস্থিতি, ক্রমশ শান্ত হচ্ছে পরিবেশ
সেনাবাহিনীর সরব উপস্থিতিতে মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের উত্তপ্ত পরিবেশ ক্রমশ শান্ত হয়ে আসছে। উভয় থানায় পুলিশ না থাকায় এবং ৫ আগস্ট বিকেলে সহিংসতায় আতঙ্কে ছিলেন এ দুই উপজেলার মানুষ। এরপর থেকেই স্থানীয় উপজেলা বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা শহরের বিভিন্ন এলাকায় নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তারা পরিচ্ছন্নতা, ট্রাফিকিং ও সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মন্দির পাহারার দায়িত্ব নেন। একই সঙ্গে সেনাবাহিনীর জোয়ানদের সরব উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। মেজর মো. মেজবাউর রহমানের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীর শ্রীমঙ্গল ও কমলগঞ্জের দায়িত্বরত কর্মকতারা গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই উপজেলার অর্ধশতাধিক মন্দির ও ক্ষতিগস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন।  পরিদর্শনকালে আর্মি ক্যাম্প কমান্ডার মেজর মো. মেজবাউর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলার অবনতি যারাই ঘটাবে তাদের কঠোর হাতে দমন করা হবে। বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে শ্রীমঙ্গল দূর্গাবাড়ি এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, কয়েকজন সেনাসদস্য মন্দিরের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছেন।  শ্রীমঙ্গল জগবন্ধু মন্দিরের প্রধান সেবায়েত প্রিতম বন্ধু ব্রহ্মচারী জানান, সেনাবাহিনীর একটি টিম তাদের মন্দির পরিদর্শন করেছেন এবং নিয়মিত টহলসহ যে কোনো সমস্যায় তাদের পাশে দাঁড়াবেন বলে জানিয়েছেন।  এ ব্যাপারে কমলগঞ্জ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রনীত রঞ্জন দেবনাথ জানান, কমলগঞ্জ উপজেলায় কোনো পুলিশ নেই। নানা ঘটনা নিয়ে অনেকে আতঙ্কিত ছিলেন। এই অবস্থায় সেনাবাহিনীর নিয়মিত টহল ও মন্দির পরিদর্শনে এলাকায় স্বস্তি ফিরে এসেছে।
মৌলভীবাজারে দুপক্ষের সংঘর্ষ, ইউপি চেয়ারম্যান নিহত
মৌলভীবাজারের রাজনগর উপজেলার মধুর দোকান বাজারে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুগ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সানা গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন আরও অর্ধশতাধিক মানুষ। শুক্রবার (৯ আগস্ট) দুপুরে মধুর দোকান বাজারে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন রাজনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুপ্রভাত চাকমা। জানা যায়, রাজনগর উপজেলা পাঁচগাঁও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সানা গ্রুপের পিন্টু সুলতান মিয়ার ও প্রতিপক্ষ দেওয়ান মিয়ার নেতৃত্বে দুই গ্রুপ দুপুরের দিকে মধুর দোকান বাজারে অবস্থান নেয়। এ সময় পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সানাও এসে উপস্থিত হন। আধিপত্য নিয়ে কথা-কাটাকাটির জের ধরে দুটি গ্রুপ অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে একাধিক গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে। গুলির আঘাতে মধুর দোকান বাজারে অর্ধশত লোকজন আহত হন। তবে গুলি বৃদ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন পাঁচগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সানা। তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সানার মৃত্যু হয়। খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেনাবাহিনী মৌলভীবাজার ক্যাম্পের ওয়ারেন্ট অফিসার হেলাল উদ্দিন বলেন, ‘দুপক্ষের সংঘর্ষের খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।’  এ বিষয়ে ইউএনও সুপ্রভাত চাকমা বলেন, ‘শুনেছি দুপক্ষের সংঘর্ষে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মারা গেছেন।’
জমি নিয়ে বিরোধ, শ্রীমঙ্গলে যুবক নিহত 
মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় একজন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন তার অপর ২ ভাই। এ ঘটনায় দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।  শুক্রবার (১২ জুলাই) সকালে উপজেলার সিন্দুরখাঁন ইউনিয়নের তেলিআব্দা গ্রামে। নিহত ইমাদ উদ্দিন রকিব (২৫) পেশায় আইনজীবী ছিলেন। তিনি তেলিআব্দা গ্রামের আজিম উদ্দিনের ছোট ছেলে।   প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, উপজেলার সিন্দুরখার ইউনিয়নের কোনাগাও গ্রামের খলিল মিয়া ও আজিম উদ্দিনের মধ্যে জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিশে সমাধান না হওয়ায় আদালতে মামলাও হয়। সকালে নিহত ইমাদ উদ্দিন রকিব ও তার ভাই হেলাল উদ্দিন তাদের জমিতে হাল চাষ করতে যান। এ সময় প্রতিবেশী খলিল মিয়া, আব্দুল বাতিন, আব্দুস সোবান, আব্দুল করিমসহ কয়েকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করলে রকিব ও হেলাল আহত হন। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাকিবকে মৃত ঘোষণা করেন। আর তার ভাই হেলাল উদ্দিনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সদর হাসপাতালে পাঠান। জানা জায়, জমি নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলছিল। এই বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। শ্রীমঙ্গল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিনয় ভূষণ রায় বলেন, ‘আমরা মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসাপাতালে পাঠিয়েছি। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
কুলাউড়ার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মেরামত ও সংস্কারে ২ কোটি ৮০ লাখ টাকা বরাদ্দ
মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার মেরামত এবং সংস্কারের জন্য ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরে ২ কোটি ৮০ লাখ (দুই কোটি আশি লাখ) টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রীর কাছে প্রধানমন্ত্রীর প্রোটোকল অফিসারের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ বরাদ্দ দেওয়া হয়।  পাশাপাশি কয়েকটি কলেজে উচ্চমাধ্যমিক পর্যায়ে একাডেমীক স্বীকৃতি, স্কুল ও কলেজ এমপিওভুক্তি,  সামাজিক বিজ্ঞান, মানবিক ও ব্যবসা শিক্ষা শাখা খোলার অনুমতি,  আসন সংখ্যা বৃদ্ধি এবং কয়েকটি মাদরাসা স্থাপন ও পাঠদানের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। অনুমোদনপ্রাপ্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে রয়েছে- কুলাউড়া সরকারি কলেজ, নবীন চন্দ্র সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়, এম এ গনি আদর্শ কলেজ, কর্মধা উচ্চবিদ্যালয়, লংলা আধুনিক ডিগ্রি কলেজ, অগ্রণী উচ্চবিদ্যালয়, পৌরবালিকা উচ্চবিদ্যালয়, সপ্তগ্রাম উচ্চবিদ্যালয়, সিংগুর উচ্চবিদ্যালয়, উত্তর কুলাউড়া  উচ্চবিদ্যালয়, দিলদারপুর উচ্চবিদ্যালয়, ভাটেরা উচ্চবিদ্যালয়, মনসুর মোহাম্মাদিয়া সিনিয়র মাদরাসা, ভুকশিমইল দাখিল মাদরাসা, হাসিমপুর দাখিল মাদরাসা, কুলাউড়া সরকারি কলেজ, ইয়াকুব তাজুর মহিলা কলেজ, সাধনপুর উচ্চবিদ্যালয়, হিংগাজিয়া উচ্চবিদ্যালয়  মহেতোছিন আলী উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, মনু মডেল কলেজ, রাজনগর উচ্চবিদ্যালয়, শাহ সুন্দর উচ্চবিদ্যালয়, রাউৎগাঁও উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, বঙ্গবন্ধু উচ্চবিদ্যালয়, আলী আমজাদ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, গজভাগ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ, দিলদারপুর উচ্চবিদ্যালয়, ছকাপন উচ্চবিদ্যালয়, হায়দরগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়, কানিহাটি বহুমুখী  উচ্চবিদ্যালয়, উত্তর কুলাউড়া উচ্চবিদ্যালয়, মহতোছিন আলী উচ্চবিদ্যালয়, টিলাগাঁও আজিজুন্নেছা উচ্চবিদ্যালয়, কর্মধা উচ্চবিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, দিলদারপুর উচ্চবিদ্যালয় প্রভৃতি।  
মৌলভীবাজারে বন্যার পানিতে ৪ দিনে ৭ জনের মৃত্যু
মৌলভীবাজারে গত চার দিনে বন্যার পানিতে ডুবে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এরা সবাই শিশু-কিশোর। নিহতরা হলেন সদর উপজেলার চাঁদনীঘাট ইউনিয়নের পশ্চিম শ্যামেরকোনা গ্রামের পচন মিয়ার ছেলে ছাদি মিয়া (৮), একই গ্রামের জমির মিয়ার ছেলে হৃদয় মিয়া (১৭), পাহাড় বর্ষিজোড়া গ্রামের লিমন শেখ (১২), খলিলপুর ইউনিয়নের আজিজুল ইসলাম (৬), কনকপুর ইউনিয়নের বুদ্ধিমন্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শিবলু মিয়ার ছেলে সোহান আহমদ (৭), বড়লেখা উপজেলার ভাগাডহর গ্রামের আয়শা (১২) ও কুলাউড়া উপজেলার ভূকশিমইল ইউনিয়নের মুক্তাজিপুর গ্রামের বাসিন্দা নাছির মিয়ার ছেলে আবু সাইদ আহমদ রেদোয়ান (৬)। এ বিষয়ে মৌলভীবাজার জেলা প্রশাসক ড. উর্মি বিনতে সালাম বলেন, দুঃখজনকভাবে এ পর্যন্ত পানিতে ডুবে সাত জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের পরিবারকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ২৫ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি ইউনিয়নে মাইকিং করা হয়েছে, যাতে সবাই শিশুদের খেয়াল রাখে। এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। মৌলভীবাজার পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী জাবেদ ইকবাল গণমাধ্যমকে বলেন, চারটি নদীর মধ্যে তিনটির পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। শুধু জুড়ী নদীর পানি বিপদসীমার ১৭৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আশা করি, দু-একদিনের মধ্যে পানি কমে যাবে।