• ঢাকা বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
logo
সীমান্তে ভারতীয় রুপিসহ যুবক আটক
ভারতে পাচারের সময় একের পর এক ইলিশের চালান জব্দ
দেশের চাহিদা না মিটিয়ে বিদেশে ইলিশ রপ্তানির ক্ষেত্রে সরকার নিষেধ করেছে। আগে দেশের মানুষ ইলিশ পাবে, পরে রপ্তানি—এমন নির্দেশনা দিয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, দেশবাসী ইলিশ পাবে না, আর বিদেশে রপ্তানি হবে এটা হতে পারে না। আগে দেশকে গুরুত্ব দিতে হবে। এরপর রপ্তানি করা হবে। এমন এক পরিস্থিতিতে এবার দুর্গাপূজায় ভারতে ইলিশ নিয়ে হাহাকার পড়েছে। এতে ভারতের মৎস্য ব্যবসায়ীরা ইলিশ চেয়ে বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। ইলিশ নিয়ে ভারতের এমন হাহাকারে বেকে বসেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। ইলিশ যেন বর্ডার না পার হতে পারে তার জন্য নজর রাখছে বিজিবি সদস্যরা। এতেই বিপাকে পড়েছে চোরাচালানকারীরা। একের পর এক ধরা পড়ছে ইলিশ। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) ভোরে সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত থেকে ভারতে পাচারের সময় ২৭৫ কেজি ইলিশ জব্দ করেছে বিজিবি। বাংলাবাজার বিওপির দায়িত্বপূর্ণ ঘিলাতলী নামক সীমান্ত এলাকায় অভিযান চালিয়ে মাছগুলো জব্দ করা হয়। জানা গেছে, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঘিলাতলী নামক স্থানে ১১ বক্স ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা। চোরাকারবারিরা বিজিবি টহল দেখে মালামাল রেখে পালিয়ে যাওয়ায় অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি। সুবেদার মো. আবুল বাশার আজাদ বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে আমরা খবর পাই ঘিলাতলী এলাকায় ইলিশ পাচার হচ্ছে। সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত আছে। আমাদের অভিযানে ২৭৫ কেজি বাংলাদেশি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয়েছে। ইলিশগুলো স্থানীয় কাস্টমসে জমা করা হবে বলে জানান তিনি। এর আগেও এমন ঘটনা ঘটেছে সীমান্তে। একই জেলার তাহিরপুর উপজেলা সীমান্ত দিয়ে শনিবার (৩১ আগস্ট) বিকেলে ভারতে পাচারের সময় ৪৬ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করেছে বিজিবি। বিজিবি সূত্রে জানা গেছে, লাউড়েরগড়ের শাহিদাবাদ এলাকা দিয়ে একদল চোরাকারবারি সীমান্ত পথ দিয়ে ভারতে ইলিশ মাছ পাচারের জন্য নিয়ে যাচ্ছিল। খবর পেয়ে সুনামগঞ্জ-২৮ বিজিবির অধীনস্থ লাউড়েরগড় বিজিবি সদস্যরা চোরাকারবারিদের পিছু নেন। একপর্যায়ে চোরাকারবারিরা বিজিবি সদস্যদের দেখতে পেয়ে দুটি ককশিট ভর্তি ইলিশ মাছ রেখে পালিয়ে যান। লাউড়েরগড় বিজিবি ক্যাম্পের কমান্ডার মুহিদুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন, চোরাকারবারিরা বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়েই দুটি ককশিট ভর্তি ইলিশ মাছ শাহিদাদ এলাকায় রেখে পালিয়ে যান।
ডিভোর্স দেওয়া স্ত্রীকে ছুরিকাঘাতে খুন
আদালতে চাঁদাবাজি, ছাত্রদলের ২ নেতা বহিষ্কার 
দুই গ্রামবাসীর সংঘর্ষে একজন নিহত
আরটিভির সাংবাদিকের ওপর হামলা, আসামি কারাগারে 
ছাত্র আন্দোলনের নামে চাঁদাবাজির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শিক্ষার্থীদের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে চাঁদাবাজি, অর্থ উত্তোলন ও আপত্তিকর কাণ্ডের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুনামগঞ্জ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শনিবার (১৭ আগস্ট) দুপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পাবলিক লাইব্রেরির মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন করে তারা। সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য দেন ইমন দোজা। তিনি বলেন, আমরা আন্দোলনের শুরু থেকেই সুনামগঞ্জে যুক্ত ছিলাম। এজন্য ছাত্রলীগ ও প্রশাসনের দ্বারা হয়রানির শিকার হয়েছি। আমাদের আন্দোলনে রাজনৈতিক সংগঠনের কেউ যুক্ত নেই। কোটা সংস্কারের প্রতিটি আন্দোলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেছি। চলতি মাসের তিন তারিখ ও চার তারিখে প্রতিবাদ সমাবেশ ও মিছিলে অংশগ্রহণ করেছি। পাঁচ আগস্টের বিজয় মিছিল থেকে শুরু করে এর পরবর্তী দেশ সংস্কারের কাজেও যুক্ত রয়েছি আমরা। শিক্ষার্থী নাহাত হাসান পৌলমী বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানার ব্যবহার করে কেউ কেউ চাঁদাবাজির চেষ্টা করছেন। শহরের অনেক শুভাকাঙ্খী আমাদের বিষয়টি অবগত করেছেন। এই চাঁদাবাজির সঙ্গে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাধারণ শিক্ষার্থীরা জড়িত নয়।এই বিষয়টি পরিষ্কার করতে আজকের সংবাদ সম্মেলন। ছাত্র আন্দোলনের নামে কেউ চাঁদা চাইলে তাদেরকে অবগত করার আহ্বান জানানো হয়। পৌলমী আরও বলেন, দেশ নতুনভাবে স্বাধীন করার পর এখন আমরা সংস্কার কাজ করছি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দুষ্কৃতিকারীরা মেয়েদের সাইবার বুলিং করছেন। দেশের কাজে যে বা যারাই নিজ জায়গা থেকে কাজ করবে, তাদেরকে এরকম বুলিং না করার আহ্বান জানাই। সংবাদ সম্মেলনে এছাড়াও বক্তব্য দেন শিক্ষার্থী ফারজিয়া হক ফারিন, জেলি দাস, তাজকিরা হক তাজিন প্রমুখ।
সুনামগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস খাদে, আহত ৩০ 
সুনামগঞ্জে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী একটি বাস খাদে পড়ে অন্তত ৩০ যাত্রী আহত হয়েছেন।  বৃহস্পতিবার (১৫ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে সদর উপজেলার মদনপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে ঢাকা থেকে লিমন পরিবহন নামের একটি বাস ৪০ জনের বেশি যাত্রীসহ দিরাই আসছিলো। মদনপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে গেলে জানালার গ্লাস ভেঙে যাত্রীদের উদ্ধার করেন স্থানীয়রা। এসময় নারী শিশুসহ অন্তত ৩০ জনকে সদর হাসপাতাল ও সিলেট ওসমানী মেডিকেল মেডিকেল পাঠানো হয়। তাৎক্ষণিকভাবে আহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি।  বাসের যাত্রী দিরাই উপজেলার রফিনগর এলাকার কামরুল হাসান বলেন, ঢাকা থেকে দিরাই যাচ্ছিলো বাসটি। বাসে ৪০ জনের বেশি যাত্রী ছিলো। বাসের ওপরে-নিচে ভারি মালামাল ছিল। অতিরিক্ত মালামালের কারণে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাস উল্টে খাদে পড়ে যায়। আমি জানালার গ্লাস ভেঙে বাস থেকে বের হয়েছি। অনেক যাত্রীর মাথা, পা, হাতে মারাত্মক জখম হয়েছে।  সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিয়াজ মুর্শেদ বলেন, কেবল সদর হাসপাতালেই আহত ২০ জন যাত্রী চিকিৎসা নিয়েছেন। বাকিরা সিলেটসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে গিয়েছেন। 
মন্দির পাহারায় মাদরাসা ছাত্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা
শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পরই মিছিলের নগরীতে পরিণত হয় সারাদেশ। বিজয় উল্লাসে ফেটে পড়েন সাধারণ ছাত্র-জনতা। এর মাঝেও কিছু জায়গাতে সহিংসতা হয়। সোমবার (৫ আগস্ট) বিকেলে কুমিল্লা-৬ আসনের সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের বাড়ি ও আওয়ামী লীগের অফিসসহ কয়েকটি স্থাপনা ভাঙচুর করেন বিক্ষুব্ধ জনতা। বিশেষ করে কয়েকটি মন্দিরের সামনে আচমকাই জড়ো হয় কিছু মানুষ। তারা কিছু মন্দিরে ঢিলও ছোড়ে। এরপর থেকেই দেশের মন্দিরগুলোর নিরাপত্তায় কড়া নজরদারি করছে মাদরাসা ছাত্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) কুমিল্লা নগরী ও আশপাশের এলাকার মন্দিরগুলো ভাঙচুর থেকে বাঁচাতে মন্দিরের সামনে অবস্থান নেন তারা। মধ্যরাতেও কুমিল্লার বিভিন্ন মন্দিরের সামনে তাদের দেখা যায়।  মাদরাসা ছাত্র ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলছেন, নতুন স্বাধীনতার ফাঁকে কেউ যেন সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে না পারে সেজন্যই এই আন্দোলন। এভাবে আমাদের ভাইদের জান ও মালের রক্ষা করাও স্বাধীনতার অংশ। এটাও আমাদের আন্দোলনকে ধারণ করার অর্থ। এদিকে মন্দির রক্ষার্থে বিভিন্ন স্থানে মাইক, মৌখিক ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও পাহারা বসানোর জন্য আন্দোলনকারীদের বসানোর জন্য বলা হচ্ছে। কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্র ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে আন্দোলন করা শিক্ষার্থী অভিষেক কর বলেন, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সূত্র ধরেই আজকের এই মুহূর্ত। যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে আমাদের ভাইয়েরা এত রক্ত দিয়েছে সেই নতুন বাংলাদেশে যেন বৈষম্যটা না থাকে। এখনও কুমিল্লার কোনও মন্দিরে হামলার খবর পাইনি। আমরা বিশ্বাস করি, কুমিল্লার শান্তিপ্রিয় মানুষ স্বাধীনতার আনন্দে সবাইকে নিয়ে শান্তিতে বাঁচবেন। অনেক স্থানে শুনেছি, অনেক ছাত্র-শিক্ষক মন্দির পাহারা দিচ্ছেন। এটা শান্তির লক্ষণ। এটা আমাদের অনুকরণীয় ও শিক্ষণীয়। ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কুমিল্লার সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, বাংলাদেশ সম্প্রীতির দেশ। এখানে সুখ আর সমৃদ্ধি আছে। এ দেশের কোনও ভাইয়ের জানমালের ক্ষতি হোক চাই না। তাছাড়া এটা ধর্মের স্পষ্ট বক্তব্য। শান্তির স্বার্থে সারা বাংলাদেশে ইসলামী আন্দোলনের ছাত্ররা পাহারা দিচ্ছে। এটা আমরা দায়িত্ব হিসেবে দেখি।  সুনামগঞ্জের মন্দির পাহারায় মাদরাসা ছাত্ররা দেশের বিভিন্ন জায়গায় সনাতন ধর্মালম্বীদের মন্দিরে হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে সুনামগঞ্জের সচেতন নাগরিক ও মাদরাসার ছাত্ররা শহরের বিভিন্ন মন্দিরে অবস্থান নিয়ে পাহারা দিতে থাকে। মঙ্গলবার (৬ আগস্ট) ফজর নামাজের পর থেকেই কওমি মাদরাসার ছাত্ররা সুনামগঞ্জের বিভিন্ন মন্দিরের সামনে বসে পাহারার ব্যবস্থা করে। ছাত্রদের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ফজরের পর থেকে কওমি মাদরাসার ছাত্ররা সুনামগঞ্জের সব মন্দিরের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করেছে। যদিও সুনামগঞ্জের কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। মন্দির পাহারা দেওয়া স্বেচ্ছাসেবক আম্মার আহমদ বলেন, ‘সুনামগঞ্জ অসাম্প্রদায়িক শহর। এই শহরে সব ধর্মের মানুষ মিলেমিশে থাকি। হিন্দুরাও আমাদের ভাই-বোন। তাই তাদের নিরাপত্তা ও তাদেরকে অভয় দিতে মন্দিরের সামনে আমরা অবস্থান নিয়েছি।’
সুনামগঞ্জে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
সারাদেশে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা, হত্যার প্রতিবাদ ও ৯ দফার দাবিতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচিতে মিছিলে মিছিলে উত্তাল হয়ে উঠেছে সুনামগঞ্জের রাজপথ।  সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে শনিবার (৩ আগস্ট) দুপুরে ‘সুনামগঞ্জ ঐতিহ্য জাদুঘর’ থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করেন শিক্ষার্থীরা।  এ সময় তারা আন্দোলন দমনের নামে সারাদেশে ছাত্র ও নাগরিক হত্যার প্রতিবাদ জানিয়ে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী ও সরকারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন স্লোগান দেন।  অবিলম্বে বৈষম্যবিরোধী ছাত্রদের ৯ দফা দাবি মানতে সরকারকে আহ্বান জানান আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে সুনামগঞ্জের বিভিন্ন কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন। শিক্ষার্থী ছাড়াও জেলা শহরের বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে।
সুনামগঞ্জে অবৈধ বালু-পাথরবোঝাই ২৬ বাল্কহেড জব্দ
সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে উত্তোলন করা অর্ধ কোটি টাকার ২৬টি বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেড আটক করে পুলিশে দিয়েছে গ্রামবাসী। রোববার (১৪ জুলাই) সকালে সদর উপজেলার গৌরারং ইউনিয়নের নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন করচার হাওর থেকে এসব বাল্কহেড আটক করে। পরে উপজেলা প্রশাসনকে খবর দিলে দুপুরে সদর থানার পুলিশ এসব বাল্কহেড জব্দ করে। তবে এ ঘটনায় কতজনকে আটক করা হয়েছে তা জানা যায়নি।  স্থানীয়রা জানান, সদর উপজেলার ইজারাবিহীন ধোপাজান চলতি নদী থেকে রাতের আধারে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে কোটি কোটি টাকার বালু-পাথর উত্তোলন করা হয়। এসব বালু-পাথর, নদী ও হাওর পথে বিভিন্ন এলাকায় বিক্রি করা হয়। রোববার সকালে করচার হাওরপাড়ের নোয়াগাঁও গ্রামের লোকজন তাদের গ্রামের পাশের হাওরে ২৬টি বালু-পাথরবোঝাই বাল্কহেড আটক করে সদর উপজেলা প্রশাসনকে খবর দেয়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে দুজন ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা (তহসিলদার) ও পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে বাল্কহেডগুলো জব্দ করে। ২৬টি বাল্কহেডের মধ্যে ২৩টিতে বালু ও ২টি পাথরবোঝাই রয়েছে। জব্দ করা বালু-পাথরের মূল্য অর্ধ কোটি টাকার বেশি। সুনামগঞ্জ সদর থানার এসআই পার্ডন সিংহ বলেন, ‘খবর পেয়ে করচার হাওর থেকে ২৬টি বালু ও পাথরবোঝাই বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। কোনো বাল্কহেডের মাঝি বা লোকজন বালু-পাথরের বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি।’ সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মৌসুমী মান্নান বলেন, ‘গ্রামবাসীর কাছ থেকে খবর পেয়ে নদী থেকে অবৈধভাবে উত্তোলন করে নিয়ে যাওয়া বালু-পাথরবোঝাই ২৬টি বাল্কহেড জব্দ করা হয়েছে। হাওর থেকে এগুলো উপজেলা সদরে নিয়ে আসা হচ্ছে। জব্দ করা বাল্কহেড ও সঙ্গে থাকা লোকজনের বিষয়ে নৌপুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবো।’
শাশুড়িকে বাঁচাতে গিয়ে প্রাণ গেল অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূরও
সুনামগঞ্জে হাওরে গোসল করতে নেমে ডুবে শাশুড়ি ও অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১২ জুলাই) দুপুর ২টার দিকে ধর্মপাশা উপজেলার মুগরাইন হাওরে এ ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, এদিন দুপুরে উপজেলার সদর ইউনিয়নের জানিয়ারচর গ্রামের ফিরোজ আলীর স্ত্রী রেজিয়া আক্তার ও ছেলে হক মিয়ার স্ত্রী পিপাসা আক্তার বাড়ির পিছনে মুগরাইন হাওরে গোসল করতে যান। হাওর পাড়ে যেতেই পা পিছলে পানিতে পড়ে স্রোতে ভেসে যান রেজিয়া আক্তার। তাকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন ৬ মাসের অন্তঃসত্ত্বা পুত্রবধূ পিপাসা আক্তার। তখন পিপাসাও ভেসে যান। পরে স্থানীয়রা জাল ফেলে দুইজনের মরদেহ উদ্ধার করেন।   ধর্মপাশা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুদ্দোহা বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।