‘ডেঙ্গু মোকাবিলায় সারাদেশে প্রস্তুত হাসপাতালগুলো’
দখল ও দূষণে জর্জরিত রাজধানীর খালগুলো হচ্ছে মশার সবচেয়ে নিরাপদ আবাসস্থল। ফলে বংশবিস্তারও ঠেকানো যাচ্ছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় সারাদেশে প্রস্তুত রয়েছে হাসপাতালগুলো।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাসপাতালে মশক নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা রাখার পাশাপাশি ডেঙ্গুতে মৃত্যুহার কমাতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকা মহানগরে যত খাল রয়েছে, তার বেশির ভাগই এখন ময়লার ভাগাড়। বৃষ্টির পানি নির্গমনের পথগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জলাবদ্ধতা যেমন বাড়ছে তেমনই বাড়ছে মশা। রাজধানীর মশার অন্যতম উৎপত্তিস্থল এসব খালে মাঝেমধ্যে পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালানো হলেও তা লোক দেখানো ছাড়া আর কিছু নয় বলে মনে করছে নগরবাসী।
তাদের অভিযোগ, পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা অনেক আগে এসেছিলেন। এরপর আর তাদের দেখিনি। অথচ এখানে প্রচুর মশা। মশার কামড়ে বাচ্চাদের ডেঙ্গু হয়ে যায়।
জনগণের অসচেতনতা আর সিটি করপোরেশনের উদাসীনতার বলি হচ্ছে শিশু থেকে বৃদ্ধ, সবাই। ২০০০ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত যেখানে ডেঙ্গুতে মারা যায় ৮৬৮ জন, সেখানে ২০২৩ সালে এক বছরেই মারা যায় এক হাজার ৭০৫ জন। দেশের ইতিহাসের সর্বোচ্চ সংখ্যক রোগী ভর্তি হয় হাসপাতালে। রোগীর উপচে পড়া ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়।
গত বছরের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে যন্ত্রপাতির সক্ষমতা বাড়িয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে হাসপাতালগুলো।
এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, ডেঙ্গু মোকাবিলায় শুধু রাজধানী নয়, সারাদেশেই ব্যাপক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার জন্য আমাদের চিকিৎসকরা এখন অভিজ্ঞ। তারা সব জানেন। তাই ঢাকার বাইরের হাসপাতালগুলোকে সেভাবেই নির্দেশনা দেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন