• ঢাকা বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
টাকা ছাপানোর প্রভাব এখনই বাজারে পড়বে না
যে চকলেট কিনলে ডিগ্রি ছাড়াই মিলবে সার্টিফিকেট!
ভাইরাল, ভাইরাল, ভাইরাল! চারপাশে কেবল এই শব্দ। সোশ্যাল মিডিয়ায় রাতারাতি ভাইরাল হয়ে কেউ বনে যায় সেলিব্রেটি, কেউ হন বিজ্ঞাপনের তারকা। এবার রাতারাতি এই ভাইরালের তালিকায় এবার নাম লিখিয়েছে দুবাই চকলেট। যা কিনতে মানুষ রাস্তায় অপেক্ষা করছে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে। এটি কিনলে চকলেটের সাথে আপনাকে ডিগ্রি ছাড়াই দেওয়া হবে একটি সার্টিফিকেট। আর তাই শুধু খাওয়ার জন্য নয়, এই চকলেট সংগ্রহ করার জন্য চলছে প্রতিযোগিতা! কিন্তু কি এমন তার বিশেষত্ব যার এক পিস কিনতে এতো লম্বা লাইন?  এই চকলেটের নাম দুবাই চকোলেট। আর তা নিয়ে তোলপাড় চলছে জার্মানিতে। বিশেষ এই চকলেট তৈরি হয়েছে পিস্তাচিও আর ‘কাদাইফ’ দিয়ে, যা দুবাইয়ের মিষ্টি সংস্কৃতিকে ধারণ করে। ‘কাদাইফ’ হলো এক ধরনের সুতোয়ের মতো মিষ্টি উপাদান, যা চকলেটের মচমচেও মজাদার স্বাদ যোগ করে। স্বাদে অনন্য এই চকলেট মেশিনের পরিবর্তে বানানো হয় হাতে, আর এর সঙ্গে থাকে ইউনিক সিরিয়াল নম্বর। এখানে শেষ নয়, রয়েছে আরও চমক।  এই চকলেটের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হচ্ছে এর বিরলতা। মানে সারা জার্মানির জন্য বানানো হয়েছে মাত্র ১,০০০টি চকলেট। আর এর ফলে চকলেটের চাহিদা বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এতো জনপ্রিয় হয়েছে চকলেট যে, কেউ এসেছেন এর স্বাদ নিতে; আবার কেউ এসেছেন এখান থেকে কিনে অনলাইনে বেশি দামে বিক্রি করবেন, এই চিন্তা করে। তবে এর পিস কিনতে হবে ১৫ ইউরোতে, যা বাংলাদেশি প্রায় ১,৮০০ টাকা। এর সাথে একটি ব্যাগ ও একটি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এই প্যাকেজিং-ও আকৃষত করে অনেক ক্রেতাকে।  একজন ক্রেতা বলেন, এটি খেতে দারুণ! আমি সাধারণত পিস্তাচিও পছন্দ করি, কিন্তু এই চকলেট আমাকে মুগ্ধ করেছে। ১১ নভেম্বর বার্লিন থেকে শুরু হয়েছিল এই ভাইরাল চকলেটের যাত্রা। এরপর ফ্রাঙ্কফুর্ট আর হামবুর্গে লিন্ডট স্টোরে দেখা যায় ক্রেতাদের দীর্ঘ লাইন। সোশ্যাল মিডিয়ার প্রভাবে চকলেটটি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। যা এখন শুধু একটি চকলেট নয়, বরং ট্রেন্ডএ পরিণত হয়েছে। দর্শক আপনি কি লম্বা লাইনে দাঁড়িয়ে এই ভাইরাল চকলেট কিনতে প্রস্তুত? জানাতে পারের আপনার মতামত।
যে বাজারে কেনাবেচা হয় রাজা-বাদশা, চলে সৌন্দর্যের প্রতিযোগিতা
বিছানায় শুয়ে শুয়ে শহর ঘুরে দেখার অভিনব গাড়ি 
যেভাবে ‘প্যাডলার’ থেকে ‘মামায়’ রূপান্তর হলেন রিকশাচালকরা  
টাক মাথার পুরুষদের আকর্ষণীয় করতে যা বলছে গবেষণা!
বিজ্ঞানীদের সতর্কতা ভেঙে মঙ্গলে ১০ লাখ বসতি গড়তে চান ইলন মাস্ক
একদিন মঙ্গল গ্রহের যাত্রা হবে ফ্লাইট ট্রিপের মতো, অর্থাৎ মানুষ বিমানের মতো ভ্রমণ করে মঙ্গলে পৌঁছাবে। ফলে বুঝতেই পারছেন ভবিষ্যতে এমনটাই হবে যে, বিদেশ ভ্রমণের মতো আপনি মঙ্গল ভ্রমণ করতে পারবেন। স্টারশিপ কি মানুষকে মঙ্গল গ্রহে নিয়ে যাবে? এমন প্রশ্নে একজন এক্স ব্যবহারকারীকে ঠিক এমন উত্তর দিয়েছিলেন বিশ্বের অন্যতম আলোচিত প্রযুক্তি উদ্যোক্তা ইলন মাস্ক। তবে কি তার সেই স্বপ্নই বাস্তব হতে চলেছে? কেনো না ইলন মাস্ক জানিয়েছেন ২০৩০ সালের মধ্যেই তিনি মঙ্গলে মানুষের জন্য গড়তে চান বাসযোগ্য শহর। আর ২০৫৪ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহে তৈরি করবেন ১০ লাখ মানুষের বসবাসের উপযোগী শহর।  সম্প্রতি, স্পেসএক্সের সুপার হেভি বুস্টার সফলভাবে লঞ্চ প্ল্যাটফর্মে অবতরণ করার পর, ইলন মাস্ক তার এই উচ্চাভিলাষী পরিকল্পনার কথা জানান। স্পেসএক্সের এই সাফল্য মঙ্গল গ্রহে বসতি স্থাপনের জন্য কম খরচে মহাকাশযান পাঠানোর সুযোগ তৈরি করবে বলেও মন্তব্য তার। মাস্ক আরও জানান, ৩০ বছরের মধ্যে সভ্যতা যুক্তিসংগতভাবে স্থিতিশীল থাকলে মঙ্গল গ্রহে ১০ লাখের বেশি মানুষের জন্য তৈরি করা হবে একটি স্বনির্ভর শহর। এর আগে ২০২১ সালে আলোচিত এই মার্কিন প্রযুক্তি উদ্যোক্তা। বলেছিলেন মানুষ অন্যান্য প্রাণীর মতো এক গ্রহের প্রাণী হতে পারে না। মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী প্রাণী হতে হবে। মানুষ আজ থেকে ৫০ বছর আগে শেষবার চাঁদের বুকে পা রেখেছিল। তাদের আবার সেখানে যেতে হবে এবং সেখানে স্থায়ী ভিত্তি তৈরি করতে হবে। এরপর মঙ্গলের বুকের শহর বানিয়ে মানুষকে একাধিক গ্রহে বসবাসকারী সভ্যতার ধারক ও বাহক হতে হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী তিনি জানিয়েছেন, মঙ্গল গ্রহ প্রতি ২৬ মাসে পৃথিবীর কাছাকাছি আসে। সেই সময়ের মধ্যে লাখ লাখ টন কার্গো ও যাত্রীবাহী খেয়াযান পাঠাতে হবে শহর গড়ে তোলার জন্য। ইলন বিশ্বাস করেন, যদি সভ্যতা যুক্তিসংগতভাবে স্থিতিশীল থাকে, তবে মঙ্গলে ১০ লাখ মানুষের একটি স্বনির্ভর শহর তৈরি করা সম্ভব হবে। কিন্তু ইলন মাস্কের এই উদ্যোগ নিয়ে সতর্ক করেছেন ইউনিভার্সিটি কলেজ লন্ডনের বিজ্ঞানী অ্যান্ড্রু কোটস। তিনি জানান মঙ্গলে মানুষের উপস্থিতি সেখানে গবেষণা এবং ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানকাজে বাধা সৃষ্টি করতে পারে। তার মতে, মঙ্গলে শহর নির্মাণ করলে গ্রহটি দূষিত হওয়ার সম্ভাবনা থেকে যাবে, যা সেখানে প্রাণের সন্ধানের গবেষণাকে জটিল করে তুলবে। তাই সেখানে একজন নভোচারী পাঠানোই যথেষ্ট হবে। অন্যদিকে, নাসার রোজালিন্ড ফ্র্যাঙ্কলিন রোভার মিশন ইতোমধ্যে মঙ্গলে ভিনগ্রহের প্রাণীর সন্ধানে কাজ করছে। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, সেখানে অতীতে জীবাণু বা প্রাণীর উপস্থিতি সম্পর্কে জানার জন্য কম সংখ্যক মানুষের উপস্থিতি বজায় রাখা উচিত, যাতে মানবসৃষ্ট জৈবিক উপাদান দ্বারা গ্রহটি দূষিত না হয়।  তবে ইলন মাস্কের স্বপ্ন আর বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ—এই দুইয়ের মধ্যে সমঝোতা কীভাবে তৈরি হবে, এখন তা দেখার অপেক্ষায় পৃথিবী।  আরটিভি/এফআই
পৃথিবীতে সত্যিই কি এক চেহারার মানুষ ৭ জন আছেন?
অনেক সময় রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ করেই চোখে পড়ল আপনার মতো দেখতে আরেকজন। আপনি নিশ্চিত, আপনার কোনো যমজ নেই। কিন্তু হুবহু আপনার মতো দেখতে, বাবা-মা আলাদা, এমনকি দেশও আলাদা! তাহলে কি করে সম্ভব? নিশ্চয়ই শুনেছেন যে এই বিশ্বে নাকি একই রকম দেখতে ৭ জন মানুষ আছে। ভাবছেন হয়তো সেই ৭ জনের কারো সাথেই হয়তো আপনার দেখা হয়েছে? কিন্তু এটা কি আদৌ সম্ভব? গবেষকরা বলছেন, এমন কাহিনী পুরোপুরি বাস্তব নয়। যদিও দুজন মানুষের চেহারা হুবহু মিলতে পারে, তবে তাদের বলা হয় ডোপেলগ্যাঙ্গার। এর দ্বারা এমন মানুষকে বোঝানো হয়, যাদের মধ্যে জৈবিক সম্পর্ক না থাকলেও চেহারার অনেকটা মিল থাকে। তবে, এটি খুব বিরল ঘটনা এবং এই ধরনের মিল প্রতি ট্রিলিয়নে একজনেরও কম হতে পারে। কিছু সংস্কৃতিতে ডোপেলগ্যাঙ্গারকে ইভিল টুইন বা অলৌকিক সত্তা হিসেবে দেখা হলেও, এর কোনো বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই। অর্থাৎ বলা যায় পৃথিবীতে ৭ জন এক চেহারার মানুষ থাকা আদৌ সম্ভব নয়। মানুষের চেহারা কেমন হবে, তা নির্ভর করে ডিএনএ আর জিনের ওপর। প্রতিটি মানুষের ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম থাকে, আর সেই ক্রোমোজোমগুলো একে অপরের মধ্যে কিছু অংশ বিনিময় করে। এর ফলে প্রত্যেক মানুষের চেহারা আলাদা হয়। তবে বর্তমানের সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে এই চেহারার মিল দেখে অনেকেই অবাক হন। সেলিব্রিটিদের মধ্যে অনেকেরই সত্তা খুঁজে পাওয়া যায়। এই তালিকায় রয়েছে হলিউড ও বলিডের জনপ্রিয় তারকারা। যেমন ঐশ্বরিয়া রায়, ক্যাটরিনা কাইফ, আলিয়া ভাট, কিয়ারা আদভানি, প্রিয়াংকা চোপড়া, শাহরুখ খান, আমির খান, হৃত্বিক রোষনসহ আরও অনেকে। বাদ যায়নি সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ও শীর্ষ ধনকুবের ইলন মাস্ক। কিন্তু মজার বিষয় হলো, এই মিলের কারণে কখনো কখনো বিপদেও পড়তে হয়। তাহলে, আমরা কি বলতে পারি পৃথিবীতে একই চেহারার ৭ জন মানুষ আছে? গবেষণা বলছে, একেবারেই না। তবে এমন মানুষ থাকতে পারে, যারা আপনার সঙ্গে চেহারায় কিছুটা মিল রাখে। আর সেটাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের যুগে আমাদের অবাক করে তুলছে। আরটিভি/এফআই
মরার আগেই আগুন-ধোঁয়ার মিশ্রণে জীবন্ত মমি! 
এক প্রাচীন গুহা, ভেতরে লুকিয়ে থাকা অতীতের ছোঁয়া, আর সেই ছোঁয়ায় জীবিত এক ইতিহাস—এমনই এক রহস্যের নাম ‘আগুন মমি।’ ফিলিপাইনের ইবালোই গোত্রের মানুষদের এক অনন্য প্রথা, যা আজকের পৃথিবীর চোখে বিস্ময়ের মতো। মিশরের মমির কথা আমরা সবাই জানি, কিন্তু ফিলিপাইনের এই মমির রহস্য অনেকেরই অজানা। জীবিত অবস্থায় শুরু করা হত এই মমি তৈরির প্রক্রিয়া, যেখানে মৃতদেহ সংরক্ষণের মূল উপাদান ছিল আগুন আর ধোঁয়া। কেমন ছিল সেই প্রক্রিয়া? কেমন ছিল সেই মানুষেরা, যারা এই প্রথার পেছনে কাজ করেছে? উত্তর ফিলিপাইনের বেঙ্গুত প্রদেশের কাবাইয়ান অঞ্চলে বাস করে ইবালোই গোত্র। এই উপজাতির পূর্বপুরুষেরা মৃতদেহ সংরক্ষণের এক বিশেষ পদ্ধতি অবলম্বন করত, যা আজও তাদের সংস্কৃতির অংশ হয়ে আছে। তারা মৃতদের মমি করত আগুন আর ধোঁয়া ব্যবহার করে, আর এই প্রক্রিয়ায় তৈরি মমিরা পরিচিত আগুন মমি নামে। এই প্রক্রিয়ার সূচনা নিয়ে গবেষকদের মধ্যে ভিন্নমত থাকলেও, ধারণা করা হয় এটি ১২০০ খ্রিষ্টাব্দে শুরু হয়েছিল। মৃত্যুর আগে মুমূর্ষু ব্যক্তিকে লবণাক্ত পানীয় খাওয়ানো হত, যাতে তার শরীরের পানি দ্রুত বেরিয়ে যায়। তবে আধুনিক বিজ্ঞান এই পদ্ধতির কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। মৃত্যুর পর শুরু হত আসল প্রক্রিয়া মৃতদেহকে ধুয়ে কোলেবাও নামে এক বিশেষ কম্বলে মুড়ে বসানো হতো চেয়ারে, আর তার চারপাশে জ্বালানো হতো ছোট ছোট আগুন। আগুনের তাপের ধোঁয়া শরীর থেকে সমস্ত পানি বের করে দিত, যা সংরক্ষণ করা হতো বোতলে। এই প্রক্রিয়া কয়েক সপ্তাহ ধরে চলত, আর শেষে শুকিয়ে যাওয়া দেহকে কাঠের কফিনে মায়ের পেটে শিশুর মতো শায়িত করে পাহাড়ি গুহায় রেখে আসা হতো। স্প্যানিশ ঔপনিবেশিক শাসনের ফলে ১৫০০ শতকের দিকে ফিলিপাইনে খ্রিষ্টধর্ম প্রচার শুরু হয়, আর হারিয়ে যেতে থাকে এই প্রাচীন প্রথা। তবে আগুন মমিরা তাদের আকর্ষণ হারায়নি। ১৯১৯ সালে আপো আন্নু নামে এক বিখ্যাত মমি চুরি হয়ে যায়। ইবালোইদের কাছে তিনি ছিলেন একজন নেতা এবং শিকারী। তার মমি চুরি হওয়ার পর, ইবালোইরা এটিকে অভিশাপ বলে মানতে শুরু করে, কারণ এর পরপরই এলাকায় নানা দুর্যোগ নেমে আসে। শেষমেশ, ১৯৮৪ সালে আপো আন্নুর মমি পুনরুদ্ধার করা হয় এবং ইবালোইদের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আজও এই গুহাগুলোতে আগুন মমি দেখতে যাওয়ার জন্য কঠিন পথ পাড়ি দিতে হয়, আর সরকার সেগুলোকে রক্ষার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করেছে। ইবালোইদের জন্য আগুন মমি শুধু একটি প্রথা নয়, এটি তাদের পূর্বপুরুষদের সাথে এক গভীর সংযোগের প্রতীক। আজও তারা গুহার মমিদের জন্য খাবার ও পানীয় উৎসর্গ করে, আর মমিদের কোনো পরিবর্তন করতে হলে আগে তাদের নেতাদের অনুমতি নিতে হয়। এই গুহায় প্রবেশ করে গবেষণা করতেও লাগে তাদের অনুমতি। আরটিভি/এফআই
আর ৭৫ বছর পরেই বিশ্ব মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে মালদ্বীপ! 
পর্যটকদের স্বপ্নের মালদ্বীপ! যেখানে স্বচ্ছ নীল জলের সৌন্দর্য যে কারোই মন কাড়ে। এছাড়া কাঁচা নারিকেলের গন্ধ ভেসে আসা বাতাস, আর সূর্যাস্তের অপরূপ দৃশ্য সারা পৃথিবীর ভ্রমণপিপাসুদের মন জয় করে নেয় যে দেশ। সে দেশটিই কি না হারিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব মানচিত্র থেকে। প্রতিনিয়ত সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতার তলানিতে হারিয়ে যাওয়ার আশঙ্কায় দিন গুনছে পুরো দ্বীপপুঞ্জ। পরিবেশ বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি কার্বন নিঃসরণের বর্তমান ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ২১০০ সালের শেষের দিকে মালদ্বীপ সমুদ্রের অতল গহ্বরে বিলীন হয়ে যেতে পারে। বর্তমানে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে মালদ্বীপের গড় উচ্চতা মাত্র দেড় মিটার, যা পৃথিবীর সবচেয়ে নিচু বসবাসযোগ্য এলাকা। এমনকি ভবিষ্যদ্বাণী করা হচ্ছে, যদি সমুদ্রের স্তর আর এক মিটার বাড়ে, তবে মালদ্বীপের অসংখ্য দ্বীপপুঞ্জ পানির নিচে তলিয়ে যাবে। কেমন হবে তখন? যেখানে লাখ লাখ মানুষ জীবনের ছন্দে, সংস্কৃতির আদলে এই স্বপ্নের দেশে বেড়ে উঠেছে, সেই স্থান একসময় হয়তো শুধুই জলরাশির বুকে মিলিয়ে যাবে। কিন্তু, মালদ্বীপের মানুষরা আজও বেঁচে আছেন নিজেদের কিছু ঐতিহ্যের গল্পে। প্রচলিত আছে মালদ্বীপের মানুষ মনে করেন, তাদের দ্বীপগুলো প্রকৃতির অপার সৌন্দর্যের সঙ্গে এক অতিপ্রাকৃত রহস্যও লুকিয়ে রেখেছে। স্থানীয়দের কাছে প্রচলিত গল্প অনুসারে, এক ভিনদেশি জাদুকর দ্বীপের এক মেয়ে রাজকুমারীকে মুগ্ধ করে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু রাজকুমারী রাজি না হওয়ায়, জাদুকর ভয়ংকর অভিশাপ দেয় এই দ্বীপকে, যাতে এখানকার লোকজন সমুদ্রপৃষ্ঠের নিচে তলিয়ে যায়। এই মিথ আজও অনেকের মনে গেঁথে আছে।  আবার আরেকটি গল্পে শোনা যায়, মালদ্বীপে প্রাচীনকালে সমুদ্রের নিচে এক সমুদ্র দেবতার বাস ছিল, যিনি প্রতি বছর মানুষের কাছ থেকে উৎসর্গ দাবি করতেন। স্থানীয় জনগণ তাকে সন্তুষ্ট রাখতে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট দিনের রাতে পানিতে আলোকিত নৌকা পাঠাত। বর্তমানে এটি প্রচলিত না থাকলেও এখনও মালদ্বীপে মালিকি রাত্রি নামের একটি উৎসব পালিত হয়, যেখানে স্থানীয়রা সমুদ্রের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ নৌকা সাজিয়ে পানিতে ভাসায়। মালদ্বীপের অন্যতম আকর্ষণ প্রবালপ্রাচীরের মধ্যেও রয়েছে রহস্যময় জীবনের গল্প। তারা বিশ্বাস করেন, এই প্রবালপ্রাচীর হলো তাদের প্রাচীন পূর্বপুরুষদের আত্মার প্রতীক, যারা আজও তাদের রক্ষা করছে। এই কারণে, প্রবালপ্রাচীরের ক্ষয়ক্ষতি হওয়াকে তারা মনে করেন নিজেদের ভবিষ্যতের ওপর বিপদের ছায়া হিসেবে। তবে এতকিছুর পরেও মালদ্বীপ হাত গুটিয়ে বসে নেই। দেশটির সরকার জনগণকে সঙ্গে নিয়ে নিজেদের রক্ষার চেষ্টা করছে। এরজন্য কৃত্রিম দ্বীপ গড়ে তোলা হচ্ছে। এছাড়া প্রবালপ্রাচীরগুলোকে পুনঃসংস্কার করে তারা সাগরের ঢেউয়ের ধাক্কা থেকে রক্ষা পাওয়ার চেষ্টা করছে। আরটিভি/এফআই
ওঠানামার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাজার দর
দিনকে দিন ভোক্তার সাধ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে নিত্যপণ্যের বাজার। একটি পণ্যের দাম কমে তো বাড়ে দুটি পণ্যে। অর্থাৎ ওঠানামার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে বাজার দর।  বাজারে আলুর সরবরাহে তেমন ঘাটতি না থাকলেও কয়েক দিনের ব্যবধানে কেজিতে ১৫ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকায়। ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে বাজারে আলুর দাম বাড়তি। হিমাগার থেকেই এখনও বেশি দামে কিনতে হচ্ছে পণ্যটি। ফলে আলুর দাম কমছে না।  এদিকে মানভেদে ১০ থেকে ২০ টাকা কমেছে পেঁয়াজের দর। দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়। আমদানিকৃত পেঁয়াজ পাঁচ থেকে ১০ টাকা কমে মানভেদে ৮৫ থেকে ১১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। বাজারে শীতের মৌসুমি সবজির সরবরাহ বাড়ায় সবজির দাম কিছুটা কমছে। তিন সপ্তাহ আগেও ২৩০-২৪০ টাকায় শিম বিক্রি হলেও বর্তমান বাজারে ১০০-১২০ টাকায়। এ ছাড়া অন্যান্য সবজির মধ্যে কিছুর দাম কমেছে আবার কিছু আগের দামে স্থিতিশীল রয়েছে হঠাৎ কেজিতে ৩০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে ইলিশ মাছে। তবে দেশি অন্যান্য মাছের দাম কমেছে। গরুর মাংস আগের দামে বিক্রি হলেও কেজিপ্রতি খাসি ও ছাগলের মাংসে কমেছে ৫০ টাকা। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায় আর সোনালি মুরগি তিনশ। বাজারে আসতে শুরু করেছে বিআর-২৮ জাতের নতুন চাল। কেজিতে কমেছে ৩ টাকা। অন্যান্য চালের দাম কমতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। আরটিভি/আরএ/এস
সূর্যমুখীর বাগান নয়, যেনো এক একটি জীবন্ত শিল্পকর্ম
দিগন্ত বিস্তৃত হলুদ সূর্যমুখী ফুল গাছ, আর তা দিয়েই তৈরি হয়েছে নানা শিল্পকর্ম। কেউ বানিয়েছেন ভ্যান গঘের চিত্রকর্ম, কেউ করেছেন  বিটোফেনের মুখের আকৃতি , আবার কেউ তুলে ধরেছেন শান্তির প্রতীক পায়রা যা পৃথিবীকে ঘিরে উড়ছে। প্রকৃতির বুকে এ যেনো মানুষের সৃষ্টির কিছু অসাধারণ দৃশ্য, যা আপনার মন ভরিয়ে তুলবে। ১। প্রথমে আসি ভ্যান গঘের চিত্রকর্মে। নেদারল্যান্ডসের এটেন লিউর শহরে ৬০ হাজার সূর্যমুখী দিয়ে তৈরি করা হয়েছে ভ্যান গঘের বিখ্যাত চিত্রকর্ম 'ভেস উইথ ফিফটিন সানফ্লাওয়ার্স' পুনরায়। ৭,০০০ বর্গমিটারের এই সূর্যমুখীর বাগান এখন পর্যন্ত দেখতে এসেছেন প্রায় ১৬,০০০ দর্শক।  ২। দ্বিতীয় শিল্পকর্মটি জার্মানির বাভারিয়ার উটিং শহরে ভুট্টা, সূর্যমুখী এবং হেম্প দিয়ে তৈরি করা হয়েছে বিটোফেনের মুখের আকৃতি। এই প্রকল্পটি বিখ্যাত সুরকারের ২৫০তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নির্মাণ করা হয়। এক দম্পতি প্রায় ২১ বছর ধরে তৈরি করছেন এমন গোলকধাঁধা। তাঁদের মতে, সূর্যমুখী এই গোলকধাঁধার জন্য একেবারে উপযুক্ত এবং এটি দর্শনার্থীদের জন্য একটি বিশেষ আকর্ষণ। ৩। আর তৃতীয় শিল্পকর্মটি বাভারিয়ার আরেকটি গোলকধাঁধায় পৃথিবীর আকৃতি তুলে ধরা হয়েছে। ওপর থেকে দেখলে মনে হবে , শান্তির প্রতীক পায়রা পৃথিবী প্রদক্ষিণ করছে। পৃথিবী শান্তি আর ভালোবাসার যোগ্য, যেখানে মানুষ একে অপরের প্রতি উদার হবে এমন শান্তির বার্তা দিতে বানানো হয়েছে এই শিল্পকর্ম। যা বানাতে সময় লেগেছে প্রায় ২৪ বছর।  এক কথায় সূর্যমুখী দিয়ে তৈরি ভ্যান গঘের চিত্রকর্ম শেখায় প্রকৃতির জীববৈচিত্র্যের গুরুত্ব। বিটোফেনের মুখ দেখায় সৃজনশীলতার শক্তি। আর শান্তির গোলকধাঁধা মনে করিয়ে দেয়, পৃথিবীতে শান্তি আর ভালোবাসা ছড়ানো কতটা জরুরি। প্রকৃতি আর শিল্পের অনন্য মেলবন্ধনে এই সৃজনশীল নকশা দূর থেকে দেখলে মনে হয় যেনো জীবন্ত চিত্রকর্ম। বিনামূল্যে প্রবেশের সুযোগ থাকায় দর্শনার্থীদের কাছেও জনপ্রিয় এসব স্থান।  আরটিভি/এফআই
বিশ্বের সবেচেয়ে উঁচু যে মিনার!  
এক বিশাল সমুদ্র। যার তীরে দাঁড়িয়ে এক বিশাল মসজিদ। এই মসজিদের মিনার পৃথিবীর সবচেয়ে উঁচু। উপরে তাকালে দেখা যায় ২১০ মিটার উচ্চতার এক বিস্ময়, যা প্রায় ৬০ তলা ভবনের সমান! মিনারের চূড়ায় স্থাপিত লেজার বিম প্রতিনিয়ত কাবা ঘরের দিকে আলোক রশ্মি ছড়িয়ে দেয়, যা ৩০ কিলোমিটার দূর থেকেও চোখে পড়ে। আর সেই মসজিদে একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন ১ লাখ ৫ হাজার মানুষ। বলছি মরক্কের ভাসমান মসজিদ দ্বিতীয় হাসান মসজিদের কথা।     মসজিদটি বিশ্বের মুসলিম স্থাপত্যের এক অতুলনীয় নিদর্শন। এটি মরক্কোর ক্যাসাব্লাঙ্কায় আটলান্টিক মহাসাগরের তীরে অবস্থিত, এবং এর একটি অংশ সমুদ্রের পানিতে ভাসমান। যখন মুসল্লিরা মসজিদের কাঁচের মেঝেতে দাঁড়িয়ে নামাজ আদায় করেন, তখন তাদের পায়ের নিচে সমুদ্রের ঢেউয়ের ছোঁয়া। এক মুহূর্তে মনে হতে পারে, যেন প্রকৃতি আর ধর্ম একসঙ্গে মিলে গেছে এই মসজিদের প্রতিটি কোণে। এই মহান স্থাপনার পেছনে আছেন মরক্কোর রাজা দ্বিতীয় হাসান, যিনি ক্যাসাব্লাঙ্কায় একটি অনন্য ‘ল্যান্ডমার্ক’ স্থাপনা নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। ১৯৮৬ সালে ফরাসি স্থপতি মিশেল পিনসোর নকশায় মসজিদের নির্মাণকাজ শুরু হয়, এবং ১৯৯৩ সালে আনুষ্ঠানিকভাবে মসজিদটি উদ্বোধন করা হয়। রাজা দ্বিতীয় হাসানের উদ্দেশ্য ছিল একটি এমন মসজিদ নির্মাণ করা, যা মরক্কোকে বিশ্ব মানচিত্রে স্থাপত্যশৈলীর শীর্ষে তুলে ধরবে। দেশটির ইতিহাসের অন্যতম বৃহৎ প্রকল্প ছিল এই মসজিদ। প্রথম দিকে এর বাজেট ধরা হয়েছিল ৮০০ মিলিয়ন ডলার, যা পুরোপুরি দেশের সাধারণ মানুষের অনুদান থেকে সংগ্রহ করা হয়। প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষ মানুষ এই প্রকল্পে স্বেচ্ছায় অর্থ প্রদান করেন। তাদের সবাইকে মরক্কো সরকারের পক্ষ থেকে একটি করে অনুদানের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। শুধু সাধারণ মানুষ নয়, কিছু আরব রাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলোও আর্থিকভাবে সাহায্য করেছে। দ্বিতীয় হাসান মসজিদে প্রায় ২৫,০০০ মুসল্লি ভেতরে এবং বাইরের প্রাঙ্গণে আরও ৮০,০০০ মুসল্লি একসঙ্গে নামাজ আদায় করতে পারেন। মসজিদের মহিলাদের জন্য পৃথক বারান্দা রয়েছে, যেখানে একসঙ্গে ৫,০০০ নারী নামাজ পড়তে পারেন। মসজিদের ভেতরের বিশাল আয়তাকার হলটি প্রায় ২০০ মিটার লম্বা এবং ১০০ মিটার চওড়া। এছাড়া মসজিদের ছাদটি খোলা যায়, যা দিনের বেলা সূর্যের আলো ও রাতের চাঁদের আলোয় আলোকিত হয়। মিনারটির উচ্চতা ২১০ মিটার, যা মরক্কোর সবচেয়ে উঁচু স্থাপনা এবং বিশ্বের সর্বোচ্চ মিনার। মিনারটির চূড়ায় থাকা লেজার বিম কাবা ঘরের দিকে আলোর রশ্মি ছড়ায়, যা গভীর সমুদ্র থেকেও দেখা যায়। এর বিশেষ ধরনের কনক্রিট ব্যবহার করা হয়েছে, যা শক্তিশালী ঝড় ও ভূমিকম্পের প্রভাব সহ্য করতে পারে।  যদিও খুব শীঘ্রই এটি বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু মসজিদের রেকর্ড হারাবে, তবুও এর সৌন্দর্য এবং বিশালত্ব দীর্ঘদিন ধরে মানুষকে মুগ্ধ করে রাখবে। আরটিভি/এফআই