• ঢাকা বুধবার, ২২ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১
logo
৪ ঘণ্টার ব্যবধানে ৪০ হাজার কেজি সবজি বিক্রি
শপথের আগের রাতে মঞ্চে ভিন্ন এক ট্রাম্প, নেচে-গেয়ে মাতালেন ভক্তদের
তাকে কী শুধু রাজনীতির মঞ্চের নায়ক বলবেন? কখনও তিনি ক্যাফের শেফ হয়ে রান্নায় মন দেন, কখনও বিক্রেতা হয়ে ফ্রেঞ্চফ্রাই বিক্রি করেন। আর এবার? শপথ গ্রহণের আগের রাতের মঞ্চে দেখা গেল তার আরও একটি রূপ। নিজের আনন্দকে আর ধামাচাপা দিতে পারলেন না, বেরিয়েই গেল তার নাচ আর গানের মাধ্যমে। এত গুণ ! এ যেন একের ভেতর সব। ওয়াশিংটনে রোববার রাত ছিলো যেন রঙিন উৎসব। শপথের ঠিক আগে বিশাল এক সমাবেশে হাজির ডোনাল্ড ট্রাম্প। উপস্থিত ভক্ত সমর্থকদের সামনে তিনি বলেন, আমেরিকার এই দীর্ঘ চার বছরের পতন এখন শেষ হতে চলেছে। এখন থেকে শুরু হবে নতুন শক্তি আর সমৃদ্ধির দিন। তবে বক্তৃতার মাঝেই মঞ্চে শুরু হয় ভিন্ন আবহ।  ভিলেজ পিপল গত শতকের সত্তরের দশকের তাদের বিখ্যাত গান ‘ওয়াই. এম. সি. এ.’ পরিবেশন করেন। গানের তালে তালে নাচেন ট্রাম্প। গানটি ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণার অনানুষ্ঠানিক সংগীতে পরিণত হয়েছিল। এর আগেও ট্রাম্পকে নির্বাচনী প্রচারণায় নাচতে দেখা গেছে।  এদিকে মঞ্চে প্রেসিডেন্টের এমন প্রাণবন্ত ভঙ্গিমা দেখে উপস্থিত জনতাও উচ্ছ্বাস দেখান। রাজনীতির মঞ্চ যেন বিনোদনের জোয়ারে পরিপূর্ণ। আর আগে ভাষণে ট্রাম্প বিগত প্রেসিডেন্টের উদারপন্থী নীতির সমালোচনা করেন।  নতুন প্রশাসন সরকারি ব্যয় সংকোচনের কাজে মনযোগ দেয়ার আশ্বাস দেন।  এই বিশেষ রাতের আরও একটি আকর্ষণ ছিল ইলন মাস্কের উপস্থিতি। ট্রাম্প জানান মাস্ক নতুন একটি বিভাগের নেতৃত্ব দেবেন, যা আমেরিকার প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে যুগান্তকারী পরিবর্তন আনবে। তবে রাতের সবচেয়ে আলোচিত অংশ ছিল ট্রাম্পের সেই নাচ। সমর্থকরা কেউ কেউ মজা করে বলছিলেন, ট্রাম্প তো শুধু শাসক নন, তিনি একজন বিনোদনের তারকাও! তার এই বহুমুখী রূপ যেন তার ব্যক্তিত্বকে আরও অনন্য করে তুলেছে। আরটিভি/জেএম
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর পররাষ্ট্রনীতিতে পরিবর্তন
রাজধানীতে গ্যাসের জন্য হাহাকার, শিগগিরই কাটছে না সংকট
রাখাইনে আরাকান আর্মির কর্তৃত্ব ঘিরে জটিল হচ্ছে ভূ-রাজনীতি
ওষুধ ছাড়াই তেলাপিয়া মাছের চামড়ায় পোড়া ক্ষতের চিকিৎসা
রাখাইন রাজ্যে অস্থিরতার কারণে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে বাংলাদেশ
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এখন অনেকটাই জটিল হবে বলে মনে করছেন নিরাপত্তা ও কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা। রাখাইন রাজ্যে অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তাও ঝুঁকিতে পড়েছে। তাই সীমান্তে সেনাবাহিনী নিয়োগের পাশাপাশি জটিল পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাংলাদেশকে আরও কৌশলী হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের। থ্রি বাদারহুড অ্যালায়েন্স, সশস্ত্র বিদ্রোহী জোট। যার অন্যতম আরকান আর্মি। স্বাধীন আরাকান রাজ্য প্রতিষ্ঠায় ২০০৯ সালে সংগঠনটির যাত্রা। ২০২১ সালে অং সান সুচিকে ক্ষমতাচ্যুত করে সেনাবাহিনী ক্ষমতা দখলের আগে থেকেই আরাকান আর্মির মজবুত ভিত তৈরি হয়। যুদ্ধ বিরতি ভেঙে যাওয়ার পর গত নভেম্বর থেকে জান্তা সরকারের সঙ্গে শুরু হয় লড়াই। জান্তা সেনাদের পরাজিত করে একের পর এক জয় ছিনিয়ে নেয় বিদ্রোহী গোষ্ঠীটি। সবশেষ রাখাইন রাজ্য পুরোটাই দখলে নেয় বিদ্রোহীরা। তাদের জয় বাংলাদেশের জন্য বড় মাথা ব্যথার কারণ। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন আর সীমান্ত নিরাপত্তা নিয়ে তাই নতুন করে ভাবতে বলছেন বিশেষজ্ঞরা। নিরাপত্তা বিশ্লেষক ইশফাক ইলাহী চৌধুরী বলেন, আবারও রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ঘটলে তা দেশকে নিরাপত্তা ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। তাই সংকট নিরসনে সরকারকে দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। সাবেক কূটনৈতিক মোহাম্মদ সাইফুল্লাহ বলেন, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ১৩ লাখের বেশি রোহিঙ্গা ছিল। যার ১০ লাখের বেশি এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে। মিয়ানমারের সীমান্ত এখন আরাকান আর্মির দখলে। এটি আমাদের নিরাপত্তার জন্য একটি বড় সমস্যা। আরটিভি/এফএ-টি
সরিষা খেতে রেস্টুরেন্ট বানিয়ে তাক লাগালেন প্রবাসী
চারপাশে যেন হলুদ সরিষা ফুলের গালিচা! এর মাঝেই দর্শনার্থীদের ভোজনবিলাস। এমন দৃশ্য দেখে হয়তো ভাবছেন সরিষা খেতের মাঝে রেস্টুরেন্ট নাকি রেস্টুরেন্টের পাশে সরিষা খেত? মূলত, সরিষা খেতকেই রেস্টুরেন্ট বানিয়ে ফেলেছেন প্রবাসফেরত মিন্টু মিয়া।  এমন অভিনব ব্যবসায় মাসে আয় করছেন প্রায় ৩ লাখ টাকা। নিজে আয় করার পাশাপাশি অন্যদেরও হয়েছে কাজ করার সুযোগ। সেই সাথে দর্শনার্থীরা চায়ের চুমুকের সঙ্গে উপভোগ করছেন সরিষা ফুলের সৌন্দর্য।  নেত্রকোণা সদর উপজেলার পাবিয়াজুর গ্রামের বাসিন্দা মিন্টু মিয়া দীর্ঘ ১২ বছর দুবাই ও ব্যাঙ্গালুরুতে সুপার শপে কাজ করেছেন। কিন্তু করোনা মহামারিতে দেশে ফিরে আর বিদেশ যাওয়া হয়নি তার। শুরুতে বাড়ির পাশে একটি মুদির দোকান চালালেও, মাথায় একদিন এল এক ভিন্ন চিন্তা। সরিষা খেতে রেস্টুরেন্ট বানানোর ভাবনা। শুরুতে তার এমন পরিকল্পনা শোনার পর পরিবারের লোকজন ও প্রতিবেশীরা হাসাহাসি করলেও, মিন্টু থেমে থাকেননি। কাজ শুরু করেন নিজের জমিতে। সরিষা খেতের মাঝখানে চেয়ার, টেবিল, আর ছাতা দিয়ে তৈরি করেন এক অনন্য রেস্টুরেন্ট। সরিষাখেতের মাঝে রেস্টুরেন্টের এই চিত্র ছড়িয়ে পড়তে সময় লাগেনি। এখন প্রতিদিন সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ভিড় জমাচ্ছেন নানা বয়সী মানুষ।  মিন্টু জানান, প্রতিদিন তার রেস্টুরেন্ট থেকে প্রায় ১০ হাজার টাকা আয় হচ্ছে। তার আত্মীয়স্বজনরাও এখানে কাজ করছেন, ফলে কিছু মানুষের কর্মসংস্থানও হয়েছে। ভবিষ্যতে তিনি এই রেস্টুরেন্টকে আরও বড় আকারে চালানোর পরিকল্পনা করছেন। সরিষার খেতে রেস্টুরেন্ট বানানোর ভাবনা হয়তো সবার কাছে প্রথমে অদ্ভুত লেগেছিল। কিন্তু এই ব্যতিক্রমী উদ্যোগ দেখিয়েছে, একটু আলাদা ভাবে ভাবলেই নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হতে পারে।  আরটিভি/জেএম
হীরার তৈরি যে ব্যাটারি একবার চার্জে চলবে হাজার বছর
বিশ্বে প্রথমবার হীরার মতো দামি পাথর দিয়ে তৈরি হলো এমন এক ব্যাটারি, যা একবার চার্জ করলেই চলবে হাজার বছর। এই যুগান্তকারী উৎস শুধু চিকিৎসা সরঞ্জাম আর মহাকাশযানে ব্যবহারের জন্য নয়, এটি পাল্টে দেবে ভবিষ্যতের প্রযুক্তির দিকনির্দেশনা ।  এই অসাধারণ প্রযুক্তি উদ্ভাবন করেছে যুক্তরাজ্যের অ্যাটমিক এনার্জি অথরিটি (ইউকেএইএ) এবং ইউনিভার্সিটি অব ব্রিস্টলের বিজ্ঞানী ও প্রকৌশলীরা। কার্বন-১৪ নামে এক তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ দিয়ে তৈরি এই ব্যাটারিকে বলা হচ্ছে ডায়মন্ড ব্যাটারি। এটি সৌর প্যানেলের মতো কাজ করে, তবে আলোর পরিবর্তে কার্বন-১৪ এর ক্ষয় থেকে পাওয়া ইলেকট্রনকে বিদ্যুতে রূপান্তরিত করে। আরও মজার বিষয় হলো এটি শুধু দীর্ঘস্থায়ী নয়, অত্যন্ত নিরাপদ। এটি স্মার্টফোন, গৃহস্থালি যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে চিকিৎসা সরঞ্জাম যেমন পেসমেকার, শ্রবণ সহায়ক যন্ত্র এবং চোখের ইমপ্ল্যান্টে এই ব্যাটারি ব্যবহার করা যাবে। রোগীদের জন্য এটি হবে একটি বিশাল সুবিধা, কারণ একবার ব্যাটারি লাগানোর পর আর বদলানোর প্রয়োজনই হবে না। মহাকাশ গবেষণার জন্যও এটি হতে পারে একটি গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার। চরম পরিবেশে সাধারণ ব্যাটারি যেখানে কাজ করে না, সেখানেও ডায়মন্ড ব্যাটারি কাজ করতে সক্ষম। মহাকাশযান, স্যাটেলাইট এবং পেলোডের মতো ডিভাইসগুলোতে এটি কয়েক দশক ধরে শক্তি সরবরাহ করতে পারবে। কারণ, একবার চার্জ দিয়ে এটি মহাকাশযানে কয়েক শ বছর কাজ চালিয়ে যেতে সক্ষম। তবে, এর দাম নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। হীরার মতো ব্যাটারির মূল্য সাধারণ মানুষের জন্য কতটা সাশ্রয়ী হবে, সেটি নিয়ে এখনো বিতর্ক চলছে। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে এর উৎপাদন প্রক্রিয়া উন্নত হলে খরচ কমে আসবে। এই ব্যাটারির প্রযুক্তি আরও একটি বিশেষ দিক তুলে ধরে—এটি পরিবেশবান্ধব। তেজস্ক্রিয় আইসোটোপ হলেও, কার্বন-১৪ এর ক্ষুদ্র পরিমাণ কৃত্রিম হীরায় সুরক্ষিতভাবে স্থাপন করা হয়। তাই এটি ব্যবহারে কোনো ঝুঁকি নেই। গবেষকদের মতে, এই ব্যাটারি শুধু শক্তি খাতে নয়, প্রযুক্তির অন্যান্য ক্ষেত্রেও বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনবে। এটি এমন এক সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে, যা ভবিষ্যতের অনেক জটিল সমস্যার সমাধান দেবে। আরটিভি/জেএম/এআর
উত্তাল সমুদ্রের চারপাশে মানুষের ঢল, এ যেন আরেক জাহেলিয়াত!
এ যেন আরেক জাহেলিয়াত! ইসলামের ইতিহাসে প্রাচীন যুগে মানুষ সূর্য, পাহাড়, নদী কিংবা সমুদ্রের পূজা করত, আজও পৃথিবীর কিছু প্রান্তে সেই প্রথার অনুরূপ চিত্র দেখা যাচ্ছে। এখন ভিডিওতে যে চিত্র দেখছেন এখানেও চলছে এমন কর্মকাণ্ড। উত্তাল সমুদ্রের চারপাশে মানুষের ঢল। বর্ণিল পোশাক পরা মানুষ, হাতে ফুল আর খাবারের থালা। কেউ নৌকা ভাসাচ্ছেন তো কেউ ফুল আর নানা উপহার নিয়ে ব্যস্ত। দেখে যেন মনে হয় বিয়ের বড় আচার-অনুষ্ঠান চলছে। কিন্তু ঘটনা আরেকটু ভিন্ন! এরা সবাই সমুদ্রদেবীর পূজায় মগ্ন। তাদের বিশ্বাস, এই দেবী সৌভাগ্য আর জীবনের নিরাপত্তা এনে দেন। তাই প্রতিবছর এই সময় তারা একত্র হন, সমুদ্রের কোলে নিবেদন করেন তাদের বিশ্বাস আর ভালোবাসা। ব্রাজিলের কোপাকাবানা সমুদ্রতটে আফ্রো-ব্রাজিলীয় সম্প্রদায় প্রতিবছর সমুদ্রদেবী ইয়েমাঞ্জার আরাধনায় এই সমুদ্রের তীরে সমবেত হন। তাদের বিশ্বাস এই দেবী জীবনে কল্যাণ, সৌভাগ্য এবং শান্তি নিয়ে আসেন। মাদুরেইরা বাজার থেকে শুরু হয় এই জমকালো শোভাযাত্রা। স্থানীয়রা বলেন, ইয়েমাঞ্জা শুধু সমুদ্রের রক্ষকই নন, তিনি নাবিক, জেলে, স্ত্রী এবং মায়েদেরও রক্ষাকর্ত্রী। সমুদ্রতটে পৌঁছে তারা ফুল সমুদ্রের জলে ভাসিয়ে দেন। এর সঙ্গে মিশে থাকে প্রার্থনার আওয়াজ শক্তি, স্বাস্থ্য আর ভালোবাসার আকাঙ্ক্ষা। ভিডিওতে দেখা যায়, উপাসকেরা সমুদ্রের পাড়ে দাঁড়িয়ে সমবেত গান গাইছেন, নাচছেন, আর একে অপরের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিচ্ছেন। তারা আশাবাদী যে এর মাধ্যমে তারা শক্তি, স্বাস্থ্য আর অনেক ভালোবাসা পাবেন এই দেবীর কাছ থেকে।  আরেকজন জানান, তিনি প্রতিবছরই এই অনুষ্ঠানে যোগ দেন, কারণ ইয়েমাঞ্জা তাদের মা। ইয়েমাঞ্জা আফ্রো-ব্রাজিলীয় ধর্ম উম্বান্ডার এক প্রধান দেবী। উম্বান্ডা হলো এক বিশেষ ধর্ম যা আফ্রিকান প্রথা, রোমান ক্যাথলিক ধর্ম, স্পিরিটিজম এবং স্থানীয় আমেরিকান সংস্কৃতির মিশ্রণে গড়ে উঠেছে। ইয়েমাঞ্জাকে ওড়িশাদের মা হিসেবে সম্মান জানানো হয়।  যেখানে বিজ্ঞান ও আধুনিক জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে পড়ছে, সেখানে এখনও মানুষ প্রাকৃতিক শক্তিকে দেবতার রূপ দিয়ে পূজা করছে এটা এক ধরনের হতাশাজনক চিত্র। এমন আচার-অনুষ্ঠান কি সত্যিই সৌভাগ্য বা জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারে? আরটিভি/জেএম/এআর    
কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ ঘিরে সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে
কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। গত সপ্তাহজুড়ে আলোচনায় চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিনোদপুর, নওগাঁর ধামইরহাট, লালমনিরহাটের দহগ্রাম ও মহেশপুর উপজেলার মাটিলা সীমান্তের কোদলা নদী এলাকা। সীমান্তের শূন্যরেখায় ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কাঁটাতারের বেড়া দেওয়াকে কেন্দ্র করে বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।  তথ্যমতে, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে ১০ জানুয়ারি সকাল থেকেই ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ শূন্যরেখায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের চেষ্টা করে। বিজিবির বাধায় শেষ পর্যন্ত কাজ বন্ধ করে তারা। গত বছরের আগস্টেও একই ঘটনা ঘটে দহগ্রামে। এ নিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় দুদেশের স্থানীয়দের মধ্যেও।  চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ সীমান্তে দুদিনের উত্তেজনার পর গেল ৮ জানুয়ারি বেড়ার নির্মাণ বন্ধ করে বিএসএফ। একই কারণে গেল ৬ জানুয়ারি নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্তেও উত্তেজনা ছড়ায়। একই দিনে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার সীমান্ত এলাকায় কোদলা নদীর ৫ কিলোমিটার অংশ দখলমুক্ত করার দাবি করে বিজিবি। পরে ভারতের গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদে বলা হয়, বিজিবির দাবি নাকচ করেছে বিএসএফ। ভারতের ভূমি সুরক্ষিত।  আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী, সীমান্তের শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজের মধ্যে কোনো দেশ বেড়া কিংবা স্থাপনা নির্মাণ করতে পারবে না। কিন্তু বিএসএফ বলছে, ২০১০ সালের চুক্তি অনুযায়ী, আংগরপোতা-দহগ্রাম এলাকায় শূন্যরেখা বরাবর তারা একসারি বিশিষ্ট কাঁটাতার দিতে পারবে। তবে বিজিবি বলছে, ২০২১ সালে তিনবিঘা করিডোর দিয়ে আংগরপোতা-দহগ্রাম এলাকায় অপটিক্যাল ফাইভার ক্যাবল স্থাপনকাজে বিএসএফ বাধা দেয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমোদনের অজুহাত দেখিয়ে আজ পর্যন্ত তার সমাধান হয়নি। যদি সেটা না হয় তবে ভারতও কাঁটাতার দিতে পারবে না।   স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী জানান, সীমান্তের ১৫০ গজের মধ্যে ভারত কোনোভাবেই কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ করতে পারবে না। তিনি বলেন, ভারতকে এসব নির্মাণ কাজ করতে দেওয়া হবে না। ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ভারতীয় হাই কমিশনারকে ডেকে দুই একদিনের মধ্যেই বিস্তারিত তথ্য জানাবে এবং নির্মাণ কাজের প্রতিবাদ জানাবে। স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ২০১০ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ভারত সীমান্তে কিছু অসম কাজ করেছে, যেগুলো তাদের করা উচিত হয়নি। আমাদের আগের সরকার তাদের সেই সুযোগ দিয়েছিল। বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৪ হাজার ১৫৬ কিলোমিটার সীমান্তের ৩ হাজার ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শেষ করেছে। বাকি ৮৮৫ কিলোমিটার সীমান্তে ভারত কাঁটাতারের নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। তিনি বলেন, চুক্তি অনুসারে যেকোনো স্থানে এ ধরনের উন্নয়ন কাজ করতে হলে দুদেশের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে করতে হবে। কিন্তু ভারত সেটি করেনি। জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সম্প্রতি সীমান্তের পাঁচটি জায়গায় কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ কাজ শুরু করে ভারত। কিন্তু, বিজিবির এবং স্থানীয়দের শক্ত অবস্থানের কারণে ওই সব স্থানে কাজ বন্ধ করতে বাধ্য হয়েছে তারা। আরটিভি/আরএ/এআর
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় তীব্র গ্যাস সংকট
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় গ্যাসের তীব্র সংকট চলছে। দিনের বেশিরভাগ সময়ে গ্যাস না থাকায় চরম ভোগান্তিতে নগরবাসী।   প্রতিবছর শীত এলেই মিরপুর, বাসাবো, রামপুরাসহ ঢাকার আশপাশের এলাকার গ্যাসের সংকট তীব্র সংকট দেখা দেয়।  কখনও ভোরে আবার কখনও গভীর রাতে গ্যাস আসে।  তা-ও তা স্থায়ী হয় ঘণ্টাখানেক।  এজন্য প্রতিমাসে গ্যাস বিল দেওয়াসহ বিকল্প জ্বালানির জন্য গুনতে হচ্ছে বাড়তি টাকা।  রাজধানীর মিরপুরের ভাষানটেকের বাসিন্দা নাজমা বেগম। স্বামী-সন্তানের জন্য দুপুরের খাবার প্রস্তুত করতে সব আয়োজন করেছেন।  কিন্তু গ্যাস সংকটে চুলা জ্বালাতে পারছেন না।  অধিকাংশ সময় এমনটা হওয়ায় অলিগলির দোকান থেকে খাবার কিনে খেতে হয়।  টানাটানির সংসারে এ যেন বাড়তি বিড়ম্বনা।   নাজমার মতো ভোগান্তির শিকার রাজধানীর খিলগাঁও, বনশ্রী, রামপুরা, মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, যাত্রাবাড়ী, মহাখালী, উত্তরাসহ বেশির ভাগ এলাকার মানুষ। শুধু বাসা-বাড়িতেই নয়। গ্যাস সংকটের কারণে পাম্পগুলোতেও চাপ কম।  ফলে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় পার হচ্ছে পাম্পগুলোতে।  ভাটা পড়েছে উপার্জনে। তিতাস কর্তৃপক্ষে বলছে, এলএনজি টার্মিনাল মেরামতের কারণে গ্যাস সরবরাহ কমে আসায় কিছু এলাকায় সংকট তীব্র হয়েছে। এ ছাড়াও শীতকালে গ্যাসের চাপ একটু কম থাকে।  দ্রুতই এই সমস্যার সমাধান হবে।  বিশেষজ্ঞরা বলছেন, উৎপাদন না বাড়ালে ভবিষ্যতে গ্যাস সংকট আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। আরটিভি/আরএ/এস  
শিসের সুরেই যোগাযোগ করেন এই গ্রামবাসী!
একটি গ্রাম যেখানে কোন মানুষ কথা বলে না। এখানে বাচ্চা থেকে বুড়ো সবাই সুরে সুরে একে অপরের সঙ্গে কথা বলে! অদ্ভুত ও সুরেলা এ গ্রামের নাম কংথং, যা মেঘালয়ের গভীরে অবস্থিত। এখানে জীবনের প্রতিটি মুহূর্ত বাঁশির সুর আর গানের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মানুষের নাম এখানে শুধুই শব্দ নয়, একটি বিশেষ সুর, যা তাকে সারা জীবন ডাকতে ব্যবহৃত হয়। শুনতে অবাক লাগলেও, এই গ্রামের মানুষরা প্রাচীন খাসি জনগোষ্ঠীর ঐতিহ্যকে ধরে রেখে গানের মাধ্যমে তাদের পরিচয় বহন করে চলেছেন। আর এই সুরেলা প্রথাই তাদের পরিচিতি এনে দিয়েছে ভারতের 'বাঁশির গ্রাম' হিসেবে। এই বিশেষ প্রথার নাম ‘জিংরোয়াই লাওবেই’, যার মাধ্যমে মায়েরা তাদের সন্তানদের জন্য একটি অনন্য সুর তৈরি করেন। এই সুরই সেই সন্তানের পরিচয় হয়ে ওঠে। ইবাসিশা খংসিত, গ্রামের একজন বাসিন্দা, জানালেন যে তারা ছোটবেলায় তাদের মা-বাবাদের কাছ থেকে এই সুর শিখেছেন। আজ তারাও তাদের সন্তানদের এই ঐতিহ্য শিখিয়ে যাচ্ছেন। তারা বলেন, যখন কোনও বন্ধুকে ডাকা প্রয়োজন, তারা সুর তোলেন, এবং উত্তরটাও সুরেই আসে। এই সুরের মাধ্যমে তারা কাজের সময়ও একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। কংথং-এর এই সুরেলা ঐতিহ্য এখন পর্যটকদের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। শিলং থেকে প্রায় ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এই গ্রামটিতে আজকাল বহু পর্যটক আসেন কেবল এই ঐতিহ্যটি দেখার জন্য।  স্থানীয় পর্যটন সমন্বয়ক রাফায়েল রালফ শাদাপ জানালেন, গ্রামের দূরবর্তী অবস্থান সত্ত্বেও এই অনন্য সুরের সংস্কৃতি তাদের বিশ্বব্যাপী পরিচিত করেছে। এমনকি এই গ্রামকে ইউনাইটেড নেশনস ওয়ার্ল্ড ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন কর্তৃক ভারতের সেরা পর্যটন গ্রামগুলির মধ্যে অন্যতম হিসেবে মনোনীত করা হয়েছে। এই গ্রামের মানুষদের দৈনন্দিন জীবনে বাঁশির সুর যেন জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ। এখানে প্রতিটি ডাক, প্রতিটি যোগাযোগ, এমনকি কাজ করার সময়ও সুরের মধ্যেই প্রকাশিত হয়। এ যেন প্রকৃতির সঙ্গে একাত্ম হওয়ার এক সুরেলা ভাষা, যা মানুষকে শুধু একে অপরের সঙ্গে নয়, বরং প্রকৃতির সঙ্গেও যোগ করে। এই গ্রামে প্রযুক্তি নয়, সুরের মধ্যে লুকিয়ে আছে যোগাযোগের শক্তি। পর্যটকরা এখানে এসে সেই সুরের মধ্যেই হারিয়ে যান, যেখানে প্রতিটি ডাকের মধ্যেই মিশে থাকে প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে চলে আসা ঐতিহ্যের সুর। আরটিভি/এফআই