• ঢাকা শনিবার, ১৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
logo
ভাইরাল হতেই হাঁস নিয়ে খাবার ডেলিভারি
৪ হাজার ৭৭৪ কোটি টাকার এক বিরল গোলাপ
ভিডিওতে যে গোলাপ দেখছেন এর মূল্য ৪৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার। যা টাকায় প্রায় ৪, ৭৭৪ কোটি। দেখে হয়তো বুজতেই পারছেন এটি কোনো সাধারণ গোলাপ নয়। মরুভূমি চিন্তা করতে চোখে ভেসে ওঠে ধূসর এক চিত্র। কিন্তু সেই মরুভূমির দেশ কাতারেই কি না ফুটেছে এক বিশাল গোলাপ! যার নাম ডেজার্ট রোজ। এই গোলাপটি মূলত কাতারের জাতীয় জাদুঘর, যার প্রতিটি পাপড়ি দেখতে অবিকল গোলাপের মতো। এই জাদুঘরটি উদ্বোধন করা হয় ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ। প্রায় ৪০ হাজার বর্গ মিটার এলাকাজুড়ে এই স্থাপত্যটি তৈরি হতে সময় লেগেছে প্রায় এক দশক, খরচ হয়েছে প্রায় ৪৩ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার! যা টাকায় ৪ হাজার ৭৭৪ কোটি। ফরাসি স্থপতি জ্যঁ ন্যুভেলের নিখুঁত নকশায় তৈরি এই জাদুঘরটি দেখতে যেন সত্যিকারের এক বিশাল গোলাপ। কিন্তু কেন এর নাম ডেজার্ট রোজ? কারণ এটি অনেকটা মরুভূমির গোলাপের মতো। কোন গোলাপ? বলছি, মরুভূমিতে জন্মানো স্যান্ড রোজ বা বালুর গোলাপ আসলে কোনও ফুল নয়। কাতারের মরুভূমির জিপসাম আর বালু মিলে বিশেষ ধরনের পাথরের স্তূপ তৈরি করে, যা দেখতে অনেকটা গোলাপ ফুলের মত। এই প্রাকৃতিক আকর্ষণ থেকেই জাদুঘরের নাম ডেজার্ট রোজ রাখা হয়।  জাদুঘরের ভেতরে গেলে চোখের সামনে ভেসে উঠবে কাতারের তিনটি অধ্যায়। দেশটির প্রাচীনকালের গল্প, জীবনযাপনের বিবর্তন, আর আধুনিক কাতারের উত্থান। ১১টি গ্যালারি জুড়ে প্রদর্শিত এই গল্পগুলো দেখতে দেখতে মনে হবে যেন এক ঐতিহাসিক যাত্রায় পা রেখেছেন। প্রথম গ্যালারিতে দেখা যাবে ৭০০ মিলিয়ন বছর আগের পৃথিবী, ফসল আর বিভিন্ন জীবাশ্ম। এরপর ধীরে ধীরে ফুটে উঠবে কাতারের জনগণের জীবনযাপন, তাদের বেদুইন সংস্কৃতি, তেল ও গ্যাস আবিষ্কারের গল্প এবং আধুনিক উন্নয়নের চিত্র। এই জাদুঘরের আরেকটি বিশেষ দিক হলো, এখানে দেয়ালজুড়ে বিশাল পর্দায় চলমান ভিডিও আর ত্রিমাত্রিক ডায়োরামার মাধ্যমে ইতিহাসকে জীবন্ত করে উপস্থাপন করা হয়েছে।  ভেতরের জায়গাগুলো যেমন আকর্ষণীয়, বাইরের পার্কটিও তেমনি মনোমুগ্ধকর। পার্কে ১১৪টি ঝর্ণা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে একটি কৃত্রিম হ্রদ, যার নাম আলফা। এই বিশাল পার্কটিতে দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে সবুজ গাছপালা আর খেজুর গাছের সারি। ১ লাখ ১২ হাজার বর্গমিটারের এই পার্কে কাতারের মরুর মাঝে এক চমৎকার সবুজ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এছাড়া, জাদুঘরে রয়েছে শিল্পকর্ম, প্রাচীন পাণ্ডুলিপি, এবং দর্শনার্থীদের জন্য অসাধারণ এক গিফট শপ। কাঠ দিয়ে তৈরি শপটি দেখতে থ্রি-ডি ধাঁধার মতো, যা মনোমুগ্ধ করে দর্শকদের। এখানে কাতারের ঐতিহ্যবাহী শিল্পকর্ম থেকে শুরু করে ছোট ছোট উপহার সামগ্রী সবই পাওয়া যাবে। জাদুঘরের এই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ শুধু কাতারের ঐতিহ্য নয়, বরং তাদের সংগ্রাম, অর্জন আর গৌরবের প্রতীক। আগামী বিশ্বকাপে কাতারে আগত অতিথিরা কাতারের জাতীয় জাদুঘরের এই বিস্ময়কর সৌন্দর্য দেখে আরও মুগ্ধ হবেন, এতে কোনও সন্দেহ নেই। আরটিভি/এফআই
চলন্ত ট্রেনের ওপর সাইকেল চালিয়ে তরুণের বিশ্ব রেকর্ড
যে দেশে যার যত বড় ভুঁড়ি, তার তত সম্মান!
নিঃসন্তান মায়েরা পদদলিত হলেই মিলবে নাকি সন্তান! 
সোনায় মোড়ানো বিশ্বের সবচেয়ে দামি বার্গার!
মৃত মানুষকে জীবিত করতে যাচ্ছে বিজ্ঞানীরা!
তাহলে কি সত্যিই দাজ্জালের আবির্ভাব হয়ে গেছে ! সত্যিই কি সেই সময় চলে এসেছে যখন মৃত মানুষকে জীবিত করে দেখাবে দাজ্জাল! সহিহ মুসলিমের বলা আছে, দাজ্জাল মৃত ব্যক্তিদের জীবিত করতে পারবে এবং তাকে অলৌকিক ক্ষমতা দেওয়া হবে। যা হবে কেয়ামতের সবচেয়ে বড় আলামতগুলোর একটি। কয়েক বছর আগেও এমন কিছু শোনা ছিল অসম্ভব! মৃতদেহ জীবিত করার কথা ভাবলেই মনে হয় গল্পের বইয়ের কল্পনা। কিন্তু আজকের বাস্তবতা ভিন্ন। বিজ্ঞানীরা এমন এক অগ্রগতির দিকে এগোচ্ছে, যা আমাদের চিন্তা-ভাবনাকে পাল্টে দিতে পারে। আমেরিকার একদল বিজ্ঞানী এমন প্রযুক্তি এবং পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন, যা দিয়ে তারা দাবি করছেন মৃত দেহকে পুনরায় জীবিত করা সম্ভব হতে পারে! শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও, বাস্তবেই এমন কিছু গবেষণা চলছে। ক্রায়োনিক্স (Cryonics) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হচ্ছে মৃতদেহ সংরক্ষণের জন্য। এই প্রক্রিয়ায় মৃতদেহ বা মস্তিষ্ককে অত্যন্ত নিম্ন তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা হয়, যাতে ভবিষ্যতে প্রযুক্তির উন্নতি হলে সেই দেহকে জীবিত করা সম্ভব হয়। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনায় অবস্থিত Alcor Life Extension Foundation ও মিশিগানের Cryonics Institute এরা এই পদ্ধতির ওপর নির্ভরশীল। এরমধ্যে Alcor Foundation প্রতিষ্ঠিত ১৯৭২ সালে, আর Cryonics Institute গড়ে ওঠে ১৯৭৬ সালে। এরা শতাধিক মৃতদেহ এবং মস্তিষ্ককে সংরক্ষণ করছে, সেসব দেহের ভবিষ্যতের পুনরুজ্জীবনের আশায়। এই গবেষণা প্রচেষ্টা যতই এগিয়ে চলেছে, ততই প্রশ্ন উঠছে—এটা কি আদৌ সম্ভব? এই গবেষণা প্রচেষ্টার মূল লক্ষ্য হচ্ছে একদিন এমন প্রযুক্তি তৈরি করা, যা দেহের সমস্ত কোষকে পুনরায় কার্যক্ষম করতে পারবে। কিন্তু এখানে এক বড় প্রশ্ন থেকেই যায় এই গবেষণা কতটা সফল হবে? বিজ্ঞানীরা যতই দাবি করুন না কেন, অনেকেই মনে করেন, এটি দাজ্জালের প্রতারণার ফাঁদ হতে পারে। সহিহ মুসলিমের হাদিসে উল্লেখ রয়েছে যে, দাজ্জাল মানুষের বিশ্বাস নিয়ে খেলা করবে এবং বিভ্রান্তিকর কৌশল ব্যবহার করে তাদের আকৃষ্ট করবে। তার মধ্যে একটি বড় পরীক্ষা হবে মৃত মানুষকে জীবিত করার মতো অলৌকিক ক্ষমতা দেখানো। এমন ক্ষমতা যে শুধুমাত্র আল্লাহরই আছে, ইসলামি বিশ্বাসে তা স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে। তাই কোনও ধরনের অস্বাভাবিক ক্ষমতার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন না করাই শ্রেয়। ইসলামের দৃষ্টিতে কেবলমাত্র মহান আল্লাহই জীবনের স্রষ্টা এবং মৃত্যুর পর পুনর্জীবন দানের ক্ষমতাধারী। আল্লাহ তার রাসূলদের মধ্যে কিছু বিশেষ মুজিজা প্রদর্শনের ক্ষমতা দিয়েছিলেন, যার মধ্যে ঈসা (আঃ) আল্লাহর আদেশে মৃত মানুষকে জীবিত করতে পারতেন। কিন্তু তা ছিল আল্লাহরই এক বিশেষ অনুগ্রহ। কোরআনে সূরা আলে ইমরান আয়াত ৪৯ এবং সূরা মায়িদা  আয়াত নং ১১০এ এই মুজিজার বর্ণনা পাওয়া যায়।
যে কাঁকড়ার রক্ত বাঁচিয়েছে লাখো মানুষের প্রাণ!
একটি কাঁকড়া!  যার এক লিটার রক্তের দাম প্রায় ১৫ লাখ টাকা। একটি দুটি নয়, এর শরীরে রয়েছে ১০টি চোখ। শুনতে অবিশ্বাস্য মনে হলেও সত্যি। এর  রক্ত লালের বিপরীতে নীল হয়। শুধু তাই নয়, করোনা মহামারির বিশ্বজুড়ে যেখানে সবার নজর ছিল কীভাবে দ্রুত একটি নিরাপদ ও কার্যকর ভ্যাকসিন তৈরি করা যায়। সেখানে সমুদ্রের এই ছোট্ট প্রাণি মানুষের জীবন বাঁচানোর লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। কিন্তু ভাবছেন তা আবার কিভাবে? আর এই কাঁকড়ার রক্তে এমন কী আছে, যা এত মূল্যবান?  সাধারণ মানুষের কাছে এটি পরিচিত না হলেও চিকিৎসাবিজ্ঞানে এর জনপ্রিয়তা ব্যপক।  বিশেষ এই কাঁকড়ার নাম হর্সশু ক্র্যাব। মানুষের রক্তে অক্সিজেন পরিবহনের জন্য লোহা-ভিত্তিক প্রোটিন হিমোগ্লোবিন ব্যবহৃত হয়, যা রক্তকে লাল রঙ দেয়। অন্যদিকে, হর্সশু ক্র্যাবের রক্তে অক্সিজেন পরিবহনে তামা-ভিত্তিক প্রোটিন হেমোসায়ানিন ব্যবহৃত হয়, যা রক্তকে নীল রঙ প্রদান করে।  যার এক লিটারের জন্য আন্তর্জাতিক বাজারে গুনতে হবে ১৫ হাজার মার্কিন ডলার।  হর্সশু ক্র্যাবের রক্তে আছে লিমুলাস অ্যামেবোসাইট লাইসেট নামক এক বিশেষ উপাদান যা ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া শনাক্ত করতে পারে। করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হলেও, সেটি মানুষের শরীরে প্রয়োগ করার আগে নিশ্চিত হতে হয় যে এতে কোনো ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া নেই। আর তখন ভ্যাকসিনের প্রতিটি ডোজে ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষা করতে ব্যবহৃত হয়েছে এর রক্ত। এছাড়া অন্যান্য অনেক ওষুধের ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষায় এই রক্তের ব্যবহার হচ্ছে।  যার ফলে এই কাঁকড়ার রক্ত অত্যন্ত  দামি।  হর্সশু ক্র্যাবকে "জীবন্ত জীবাশ্ম" বলা হয় কারণ এটি পৃথিবীতে প্রায় ৪৫০ মিলিয়ন বছর ধরে টিকে আছে, অর্থাৎ ডাইনোসরদেরও আগে থেকে!  এদের মাথায় দুটি বড় চোখ ছাড়াও, শরীরের বিভিন্ন অংশে ছোট ছোট চোখ রয়েছে  যা বিভিন্ন দিক থেকে আলোর উপস্থিতি শনাক্ত করতে সাহায্য করে। হর্সশু ক্র্যাবের স্ত্রী প্রজাতি পুরুষ প্রজাতির তুলনায় বড় আকারের হয়। প্রজনন মৌসুমে এরা তীরে এসে প্রায় এক লক্ষ ডিম পাড়ে। মূলত আমেরিকা ও এশিয়ার কিছু উপকূলবর্তী অঞ্চলে পাওয়া এই কাঁকড়ার রক্তের চাহিদা ব্যাপক।  তবে বাণিজ্যিকভাবে রক্ত সংগ্রহ ও পরিবেশগত কারণে এদের সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে। তাই  এর নির্ভরতা কমাতে বিকল্প রাসায়নিক প্রস্তুতের চেষ্টা চলছে। 
বরফের পর এবার চুলের বারবিকিউ খেতে ভিড়
দেখতে অনেকটা মানুষের একগুচ্ছ চুলের মতো ঘন কালো এই চুলকে তেল-মশলা মাখিয়ে আগুনে পুড়িয়ে বানানো হচ্ছে বারবিকিউ। শুধু তাই নয় এটি স্যুপে মিশিয়ে খাওয়া হয় নুডলসের মতো। এছাড়া ফ্রাই করে বা সবজির সাথেও খাওয়া হয়। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও যা দেখছেন তা কল্পনা নয়, সত্যি। চীনের স্ট্রিট ফুডের তালিকায় বরফের বারবি কিউর পর এবার দেখা মিললো অদ্ভুত চুলের বারবিকিউ, যার নাম দেওয়া হয়েছে গ্রিল্ড হেয়ার। চীনের চেংডু শহরে নতুন এই খাবারের ট্রেন্ডে যোগ দিয়েছেন ভোজনপ্রেমিরা। এর মজাদার গন্ধ আর অদ্ভুত চেহারার কারণে রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। কালো, সুতার মতো লম্বা এই খাবার চুলের মতো দেখায় ঠিকই, কিন্তু তা আসলে মানুষের চুল নয়, মূলত এটি এক ধরণের বিশেষ শৈবাল। যা দেখতে একেবারেই মানুষের চুলের পিন্ডের মতো দেখায়। এই খাবার তৈরি হয় বেশ কয়েকটি ধাপে। প্রথমে সাগরের কাছ থেকে আনা কালো শৈবাল, যা ব্ল্যাক মস নামে পরিচিত। এরপর তাতে তেল, মরিচগুঁড়ো, সয়া সস, পেঁয়াজ কুচি আর folded ear root নামে বিশেষ একটি মশলা মাখিয়ে গ্রিল করা হয়। এই খাবারের স্বাদ ভিন্ন, তবে এর চেহারা আর গন্ধই বেশি মজার ও আকর্ষণীয়, যা কৌতূহলী মানুষকে টানে। এই রেস্তোঁরা মালিক জানান, এই খাবার প্রথমে একদল বন্ধু মিলে মজার ছলে তৈরি করেছিলেন। তাদের মধ্যে অনেকেই অদ্ভুত জিনিস নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করতে ভালোবাসেন। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের এই খাবারের পোস্ট দিতেই তা ভাইরাল হয়ে যায়। চেংডুর মানুষজন সাধারণত মজাদার নতুন নতুন খাবার চেখে দেখার জন্য খুবই আগ্রহী, আর এই খাবারও এর ব্যতিক্রম নয়। একজন স্থানীয় ভ্রমণকারী বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় খাবারটি দেখে আমি নিজেই খুঁজে বের করলাম। এটা একটু ভিন্ন ধরনের মনে হয়েছে, তাই চেখে দেখতে চাইলাম। এই কালো মস দেখতে চুলের মতো হওয়ায় অনেকেই একে হেয়ার ভেজিটেবলও বলা হয়। এটি বেশিরভাগ চীনের শুষ্ক ও অনুর্বর মরুভূমি অঞ্চলে জন্মায়। ফসল তোলার পরপরই বাতাসে শুকানোর মাধ্যমে এটি প্রক্রিয়াজাত করা হয়। চেংডুর স্ট্রিট ফুড বিক্রেতারা এই নতুন রান্নার কৌশলটি শিখে খাবারটিকে মজার ভঙ্গিতে পরিবেশন করতে শুরু করেছেন, এবং তা থেকেই এই খাবারটি এখন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। আরটিভি/এফআই
শিশুদের নামকরণ ব্যবসায় কোটিপতি যে নারী
আজ আমি মা হয়েছি, আপনারা আমার সন্তানের জন্য একটি সুন্দর নাম রাখুন। ঠিক এমনই একটি ফেসবুক পোস্টে যেন মন্তব্যের ঝড় বয়ে যায়, কমেন্টে জমা হয় হাজার হাজার নাম তাই না? কতশত মানুষের ভালোবাসা ও চিন্তা প্রকাশ পায় শুধু একটি নামের মাধ্যমে। কখনো কি ভেবেছেন, এই নামকরণও হতে পারে কারো বিশেষ পেশা? শুধু সঠিক নাম খুঁজে দেওয়ার মাধ্যমে মানুষকে আনন্দিত করে, আপনি হয়ে উঠতে পারেন বিনা পুঁজিতে কোটিপতি।  ভাবছেন এ আবার কেমন পেশা! জি নিউইয়র্কের টেলর ঠিক এমনই কাজ করে হয়েছেন কোটিপতি। যেখানে আমরা ফ্রীতেই কতজনের নাম রেখে দেই তাই না। তবে টেলর এত বোকা না। তিনিও বাচ্চাদের নামকরণ করেন তবে তা মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে।  ৩৩ বছর বয়সি নিউইয়র্কের বাসিন্দা টেলর। সদ্যোজাত বাচ্চাদের জন্য নিখুঁত এবং মানানসই নাম খুঁজে বের করাই তার নেশা এবং পেশা। শুধু নামকরণ করার জন্য তিনি নেন ১৮০০ ডলার পর্যন্ত! টেলরের কাছে আসেন হাজার হাজার অভিভাবক, সন্তানের জন্য একেবারে ইউনিক এবং যথাযথ নাম খোঁজার আশায়। টেলর নামকরণের এই অদ্ভুত পেশায় পা রাখেন ২০১৫ সালে। নিজের হাতে বানানো নামের তালিকা নিয়ে ইনস্টাগ্রামে শুরু করেন তার পথচলা। প্রথম দিকে ফলোয়ার সংখ্যা ছিল বেশ কম, তবে ক্রমশ তার পোস্ট করা অভিনব নামগুলো নজর কাড়তে শুরু করে। অভিভাবকরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করে, তাদের সন্তানদের জন্য একদম মানানসই নাম চেয়ে পরামর্শ নিতে শুরু করেন। এভাবেই টেলর বুঝতে পারেন, বাচ্চাদের নামকরণের মাধ্যমে তিনি শুধু একটি নামই দিচ্ছেন না, বরং পরিবারগুলোর সংস্কৃতি এবং মূল্যবোধকেও তুলে ধরছেন। টেলর জানান, ২০২২ সালে তিনি ১০০টিরও বেশি বাচ্চার নাম ঠিক করে দিয়েছেন। তার পরিষেবায় অভিভাবকরা ফোনে তার সঙ্গে আলোচনা করার সুযোগ পান, এবং সঙ্গে পান একাধিক নামের তালিকা, যা তিনি প্রস্তুত করেন অভিভাবকদের পরিবারের ইতিহাস বিশ্লেষণ করে। এই পরিষেবার জন্য তিনি সাধারণত নেন ২ লাখ ডলার পর্যন্ত। তবে যারা আরও বিস্তারিত এবং কাস্টমাইজড পরিষেবা চান, তাদের জন্যও রয়েছে বিশেষ অফার! ৯৬৭৪ ডলারের বিনিময়ে টেলর অভিভাবকদের ব্যবসা বা পেশার সাথে মিলিয়ে একেবারে নিখুঁত নামের তালিকা দেন। আরটিভি/এফআই
বিজয়ের ৫৩ বছরেও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ নয় দেশ
স্বাধীনতার পর থেকে উৎপাদন বেড়েছে কয়েকগুণ, তবুও খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারেনি বাংলাদেশ। বাজারে নিত্যপণ্যের অস্বাভাবিক দামে নাকাল অবস্থা মধ্য ও নিম্নবিত্তের। বিশ্লেষকরা বলছেন, একদিকে কৃষিতে আধুনিক প্রযুক্তি পুরোপুরি ব্যবহার শুরু করা যায়নি। অন্যদিকে বাজার চলে গেছে সিন্ডিকেটের কবজায়। দেশে পণ্যের দাম একবার বাড়লে আর কমার লক্ষণ থাকে না। বিশ্বের দাম বৃদ্ধির এমন বিরল চিত্রেরে দেখা মিলবে বাংলাদেশে। এতে বঞ্চনার শিকার কেবল সাধারণ মানুষ। শুধু তাই নয়, সরকারি কাগজে-কলমে মূল্যস্ফীতি গত কয়েক বছরে যে হিসাব দেখানো হয়েছে, বাস্তবে তার পরিমাণ অনেক বেশি। বিভিন্ন পরিসংখ্যান বলছে, স্বাধীনতার পর থেকে দেশের ধানের উৎপাদন বেড়েছে সাড়ে তিনগুণ, ১০ গুণ বেড়েছে গম উৎপাদন। সবজি ও মাছের উৎপাদন বেড়েছে ৪ থেকে ৭ গুণ। তারপরও কেন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করতে পারছে না বাংলাদেশ? এ বিষয়ে সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেন, আমাদের সমসাময়িক দেশগুলো যেভাবে কৃষির উৎপাদনশীলতা বাড়িয়েছে, সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনও অনেক পিছিয়ে।  বিআইআইএসএসের গবেষণা পরিচালক ড. মাহফুজ কবির বলেন, আমাদের বাজারব্যবস্থা পুরোপুরি সিন্ডিকেটভিত্তিক হওয়ায় এবং তাদের ব্যাপক প্রভাব থাকার কারণে আমরা সুফল পাচ্ছি না। কৃষকরা দাম পাচ্ছেন না। তারা ঋণের জালে আবদ্ধ হয়ে যাচ্ছেন। অন্যদিকে যারা কৃষি ব্যবসার সঙ্গে জড়িত, খাদ্যপণ্যের ব্যবসা যারা করছে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়ে যাচ্ছেন। তারা অর্থ পাচার করছেন। বিশ্লেষকরা বলছেন, পণ্যের উৎপাদন বাড়াতে বিনিয়োগ বৃদ্ধি এবং কারসাজিকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। পাশাপাশি মূল্যস্ফীতি কমিয়ে আনতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে সমন্বিত উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন তারা। আরটিভি/এফএ
পুরনো সব স্থাপত্যের আদলে নান্দনিক সব কেক
কেক বলতে সাধারণত কী বুঝি? মিষ্টি স্বাদ, সুন্দর সাজ, আর জন্মদিনের মিষ্টি মুহূর্ত! কিন্তু ফিলিপাইনের লিপা শহরের জেরিয়েল এনকারনাডো কেকের ধারণাটাই বদলে দিয়েছেন। তার কেক দেখে মনে হয় যেন শিল্প প্রদর্শনীতে রাখা কোনো মাস্টারপিস। কেক নয়, যেন রংতুলির জাদু। আসুন, এই অসাধারণ শিল্পীর কেক তৈরির মন্ত্রমুগ্ধ জগতে ঢুকে পড়ি। জেরিয়েল এনকারনাডো কেক সাজানোকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গেছেন। তার মতে, কেক সাজানো আর চিত্রকলার মধ্যে বেশ মিল আছে। যেমন, চিত্রকর্মে তেল ও রং ব্যবহার করে ছবি আঁকা হয়, তেমনি কেকের সাজের জন্য খাবার তেল ও রং ব্যবহার করেন তিনি। তিনি বলেন, এই দুই শৈলী একত্রিত করে তিনি তৈরি করেন তার নিজস্ব শিল্পকর্ম। করোনা মহামারির সময়, যখন সারা বিশ্ব ঘরবন্দি, তখন জেরিয়েলের হাতে ছিল অনেক ফাঁকা সময়। সেই সময়টা তিনি কাজে লাগালেন। সৃজনশীলতার দ্বার খুলে গেল তার সামনে। ছবি আঁকা, ভিজ্যুয়াল আর্টস আর কেকের পাইপিং ডিজাইন সবকিছুই মিশে গেল তার কেক তৈরির শৈলীতে। আর এই পথেই তিনি তৈরি করলেন এমন কেক, যা শুধুই মিষ্টি নয়, শিল্পের ছোঁয়া রাখে। ২০২০ সালে ইতালিতে তার প্রথম কেক ডিজাইন অ্যাওয়ার্ড জেতা ছিল জেরিয়েলের জন্য একটি বড় অর্জন। কিন্তু থেমে থাকেননি তিনি। ২০২২ সালের আগস্টে ফিলিপাইন কুলিনারি কাপ (PCC)-এ ওয়েডিং কেক ক্যাটাগরিতে সোনার ট্রফি হাতে তুলে নিয়েছেলেন তিনি। তার তৈরি গথিক স্থাপত্যের মতো দেখতে কেক সবাইকে মুগ্ধ করেছে। জেরিয়েল নতুনদের জন্য একটি বিশেষ পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, যারা কেক ডিজাইন করতে চান, তাদের উচিত নিজের জন্য একটু সময় বের করা। একা থেকে সৃজনশীলতা চর্চা করা, কারণ অন্যের মতামত কখনো কখনো মনোভাব ও কল্পনাকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই নিজেকে স্বাধীনভাবে প্রকাশ করতে হবে। করোনা মহামারির অন্ধকার সময়েও জেরিয়েল এনকারনাডো খুঁজে পেয়েছিলেন আলোর এক বিন্দু, যা তাকে শিল্পের পথে নিয়ে গেছে। কঠোর পরিশ্রম ও অদম্য ইচ্ছাশক্তির মাধ্যমে তিনি কেকের জগতে তৈরি করেছেন এক অনন্য নাম। তার কেক শুধু মিষ্টির স্বাদ দেয় না, দেয় চোখের প্রশান্তি। এমন একজন শিল্পী, যিনি কেকের মধ্যে লুকিয়ে রাখেন শিল্পের সৌন্দর্য। কেকও যে হতে পারে শিল্পের ভাষা, তা যেন জেরিয়েলের হাতেই প্রমাণিত! আরটিভি/এফআই
বিশ্বের যে প্রাণী পুরুষ হয়েও গর্ভধারণ করে!
প্রায় অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি পৃথিবীতে এমনও প্রাণী আছে, যারা পুরুষ হয়েও সন্তানের জন্ম দেয়! যেখানে প্রাণিজগতে স্ত্রী প্রজাতিই শুধু গর্ভধারণ করে সেখানে এই প্রাণীর পুরুষ সন্তান প্রসবের দায়িত্ব পালন করে। এই সামুদ্রিক প্রাণীগুলো এমন এক অভিনব উপায়ে সন্তান জন্ম দেয়, যা প্রাণিজগতে বিরল। প্রকৃতির এই বিস্ময়কর প্রাণী সিংনাথিডি পরিবারের এক বিশেষ মাছ, যার মধ্যে রয়েছে সি-হর্স, পাইপ ফিশ এবং সি-ড্রাগন। কিন্তু কীভাবে সম্ভব এই অদ্ভুত ঘটনা? কেমন করে তারা গর্ভধারণ করে আর সন্তান জন্ম দেয়? এখানে মূলত স্ত্রী প্রাণীটি ডিমগুলোকে পুরুষ প্রাণীর দেহে স্থানান্তর করে। পুরুষ সি-হর্সের পেটে থাকে বিশেষ একটি থলি, যেখানে ডিমগুলো সুরক্ষিত থাকে এবং সেখানেই ডিম থেকে ছানা জন্মায়। ডিম নিষিক্ত হওয়ার পর পুরুষ সি-হর্স এই ডিমগুলোতে পুষ্টি সরবরাহ করে প্রয়োজনীয় যত্ন নেয়। ডিম থেকে ছানা বের হওয়া পর্যন্ত সময় লাগে প্রায় দুই থেকে চার সপ্তাহ। এই সময়কালে পুরুষ সি-হর্স তার সন্তানদের সুরক্ষিত রাখতে নিজের মতো করে বিভিন্ন ব্যবস্থা গ্রহণ করে। জন্মের সময় এটি একসঙ্গে প্রায় ৫০ থেকে ১ হাজার ছানার জন্ম দেয়, যা এক বিরল দৃশ্য। তবে ছানা জন্মের পরপরই সমুদ্রে নানান শিকারির মধ্যে বেঁচে থাকতে হয়, অনেক সময় এক হাজার ছানার মধ্যে একটি মাত্র ছানাই বড় হয়ে বয়ঃপ্রাপ্তিতে পৌঁছাতে পারে। পাইপ ফিশের প্রজনন প্রক্রিয়াটিও অনেকটা একই রকম। স্ত্রী পাইপ ফিশ ডিমগুলো পুরুষের পেটে থাকা একটি থলিতে পাড়ে। এখানেও ডিমগুলো নিষিক্ত হয় এবং পুরুষ পাইপ ফিশ দুই সপ্তাহ পর্যন্ত এগুলোতে যত্ন নিয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। একসঙ্গে প্রায় ৫ থেকে ৪০টি ছানা জন্মাতে পারে এই প্রক্রিয়ায়। তবে পাইপ ফিশের আরেকটি মজার বিষয় হলো, তারা ছানার যত্নের ক্ষেত্রে স্ত্রী সঙ্গীকে গুরুত্ব দেয়। যদি স্ত্রী পাইপ ফিশটি বড় ও আকর্ষণীয় হয়, তবে পুরুষটি তার ছানাদের বেশি যত্ন নেয়। অন্যদিকে, দুর্বল বা অসুন্দর স্ত্রী পাইপ ফিশের ডিম থেকে জন্ম নেওয়া ছানাদের জন্য কম পুষ্টি সরবরাহ করে। প্রকৃতির এই বিস্ময়কর বৈচিত্র্য শেখায়, স্নেহ, যত্ন আর দায়িত্ব কেবল গঠনগত ভিন্নতার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এ যেন প্রকৃতির এক চমৎকার বার্তা, যে কখনও কখনও প্রচলিত নিয়মও ভেঙে দিয়ে জীবনের এক অন্যরকম মায়ার গল্প তৈরি হয়। আরটিভি/এফআই-টি