অন্তর্বর্তী সরকারের ১ মাস
প্রাপ্তি কতটুকু, সামনে কী চ্যালেঞ্জ
কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাই মাসে শুরু হওয়া আন্দোলন শেষ হয় ৫ আগস্ট সরকার পতনের মধ্য দিয়ে। এরপর রাষ্ট্রপতি, সেনাপ্রধান ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কয়েকজন সমন্বয়ক মিলে সিদ্ধান্ত নেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের। ৬ আগস্ট বিলুপ্ত করা হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মোহাম্মদ ইউনূস। গেল ৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টাসহ মোট ১৩ জন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেন। পরবর্তীতে তিন ধাপে এখন উপদেষ্টার সংখ্যা ২১ জন।
দায়িত্ব গ্রহণের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের এক মাস পূর্ণ হয়েছে। এখনও দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি। থানাগুলোতে পুরোদমে কাজ শুরু করতে পারেনি পুলিশ সদস্যরা। কিছু সরকারি-বেসরকারি সংস্থার প্রধানদের সরিয়ে নেওয়া হলেও সুশাসন প্রতিষ্ঠা এখনও নিশ্চিত হয়নি। অস্থিরতা চলছে নিত্যপণ্যের বাজারেও। সড়কে চাঁদাবাজি কিছুটা কমলেও বাজার সিন্ডিকেটের কারণে দাম এখনও সাধারণের নাগালের বাইরে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠা, আর্থিক খাতে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনা, অসাধু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়াসহ বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে এত অল্প সময়ে মানুষের আকাঙ্ক্ষানুযায়ী তা করা বেশ কঠিন। যে বিশাল জনআকাঙ্ক্ষার ধারক হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছে এই সরকার, জনগণের সেই আস্থা ধরে রাখাটাই এখন বড় চ্যালেঞ্জ।
স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ আবু আলম শহীদ খান বলছেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে এমন কিছু সংস্কার করতে হবে, যার মধ্য দিয়ে পুনর্জন্ম হবে বাংলাদেশের।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক কাজী মারুফুল ইসলাম বলছেন, অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের দাবি মেটানোর জন্য কাজ করছে, যার বাস্তবায়ন করাটা এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।
সরকার কোন কোন বিষয়ে সংস্কার করতে চায় তার একটি স্পষ্ট রূপরেখা জাতির সামনে উপস্থাপন করাও প্রয়োজন বলে মনে করেন এই বিশেষজ্ঞ।
মন্তব্য করুন