‘ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার’ নিয়ম নিয়ে যা বললেন স্টার্ক
আইপিএলের ইতিহাসের সর্বোচ্চ দাম (২৪.৭৫ কোটি রুপি) দিয়ে মিচেল স্টার্ককে দলে ভিড়িয়েছিল কলকাতা নাইট রাইডার্স। ফলে টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই সবার নজরে ছিল এই অজি পেসার। কিন্তু চড়া দাম পেলেও প্রত্যাশা অনুযায়ী পারফর্ম করতে পারেননি তিনি।
প্রথম ৮ ম্যাচে ওভার প্রতি প্রায় ১২ রান খরচ করে ৭ উইকেট নিয়েছেন স্টার্ক। তবে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। চার ওভারে ৩৩ রান দিয়ে শিকার করেন ৪ উইকেট।
এদিন ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন মিচেল স্টার্ক। এ সময় কথা বলেছেন আলোচিত-সমালোচিত ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নিয়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে স্টার্ক বলেন, ইমপ্যাক্ট প্লেয়ারের নিয়মের কারণে খেলায় কিছুটা বদল এসেছে। সকলেই ব্যাটিংয়ের গভীরতা বাড়ানোর ও বোলিং একাদশ সাজানোর সুযোগ পায়। কোনো দল যখন ৮ বা ৯ নম্বর পজিশন পর্যন্ত ব্যাটার ও ব্যাটিং অলরাউন্ডার খেলানোর সুযোগ পায়, তখন সেটা বেশ লম্বা ব্যাটিং লাইনআপ।
আইপিএলে ৯ ম্যাচের ভেতর ৩ ম্যাচে ৫০ এর বেশি করে রান দিয়েছেন স্টার্ক। এর পেছনে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মেরও প্রভাব আছে বলে মনে করেন এই অজি পেসার।
তিনি বলেন, আইপিএলে পাওয়ার প্লেতে দ্রুত রান তুলছে ব্যাটাররা। অবশ্যই এখানে ভালো ব্যাটিং হচ্ছে। আমাকে ভুল বুঝবেন না, শুধু ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়মের প্রভাব ছাড়াও কিছু দুর্দান্ত স্কোরিং, পার্টনারশিপ এবং ব্যাট হাতে কিছু ব্যক্তিগত প্রতিভা দেখে গিয়েছে।
‘টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবসময় নিজের মন মতো কিছু করা যায় না। অবশ্যই আমি শুরুটা আরও ভালো করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমিই একমাত্র বোলার নই যে রান খরচ করেছে। যা হওয়ার তা-ই হয়েছে। আমরা এখন টেবিলের দুইয়ে আছি এবং সামনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। ভালো ক্রিকেট খেলছি আমরা, আশা করি আমিও এর অংশ হতে পারব।’
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম না থাকার প্রভাব নিয়ে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে কোনো ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার নিয়ম নেই, তাই সেটা রান তোলার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে কি না তা দেখার বাকি আছে এখনো। আমি মনে করি, সম্ভবত প্রভাব ফেলবে।
‘সবাই দলের ভারসাম্য নিয়ে কথা বলবে, যেখানে আপনি চাইলেই দলে কাউকে ঢোকাতে পারবেন না। অলরাউন্ডারদের গুরুত্ব দেওয়া হবে। অধিনায়কদের কৌশলগতভাবে আরও বেশি ভাবতে হবে। কারণ, তখন একাদশে কেবল ১১ জনকে নিয়েই খেলতে হবে।’
মন্তব্য করুন