নিত্যপণ্যের মতোই লাগামহীন ওষুধের দাম
করোনাকালীন একদফা বাড়ার পর আবারও কোনো ঘোষণা ছাড়াই বেড়েছে বেশির ভাগ ওষুধের দাম। এ অবস্থায় চিকিৎসা খরচ মেটাতে দিশেহারা সাধারণ মানুষ। এর পেছনে ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দুষছেন ব্যবসায়ীরা। কিছুই করার নেই বলছে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর। তবে ওষুধের মূল্য নির্ধারণে স্বচ্ছতার ঘাটতি দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।
২০১৯ সালে চাকরি জীবন শেষ করেন সোনালী ব্যাংকের মতিঝিল শাখার নিরীক্ষা বিভাগে কর্মরত খোরশেদ আলম। স্বপ্ন ছিল অবসরে স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সুখে-শান্তিতে দিন কাটাবেন। কিন্তু ২০২১ সালে হঠাৎ বুকে ব্যথা ওঠার পর জানতে পারেন তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত। গেল তিন বছরে চিকিৎসা বাবদ খরচ হয়েছে ৫ থেকে ৬ লাখ টাকা, যার বেশির ভাগ চলে গেছে ওষুধ ক্রয়ে।
করোনা মহামারির সময় ওষুধের যে দাম বেড়েছিল তা আর কমেনি। চলতি বছরে আবারও শুরু হয়েছে অস্থিরতা। সব থেকে বেশি বেড়েছে অ্যান্টিবায়োটিক জাতীয় ওষুধের দাম।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, ডলারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে ওষুধ তৈরির সব কাঁচামাল আমদানিতে বেড়েছে খরচ, আর তাই বেড়েছে ওষুধের দাম।
আজিজি কো-অপারেটিভ ওষুধ মার্কেট দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘এলসি করতে গেলে যে ধরনের কাঁচামাল বা ওষুধ শিল্পের জন্য যে সমস্ত মালামাল দরকার এর জন্য সময় সাপেক্ষ বিষয় হয়ে যায়। সেই জিনিসটাকে মেকাপ করতে হলে অতিরিক্ত দামে কাঁচামাল নিয়ে আসতে হচ্ছে।’
ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর সম্প্রতি ওষুধের দাম বাড়াকে স্বাভাবিক হিসেবেই দেখছেন। ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) মো. সালাহ উদ্দিন ফোনে বলেন, ‘ওষুধের দাম কিছুটা বেড়েছে। এটি অস্বীকার করছি না। আন্তর্জাতিক বাজারের জন্য এবং ডলারের ক্রাইসিসের জন্য এটি হয়েছে।’
মন্তব্য করুন